![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সারা দিন সোহাগী জাহান তনু ইস্যুতে যেন বিমর্ষ ছিলাম। আর্মি ক্যান্টমেন্টে ধর্ষিতা সোহাগীর নিরেট দেহ যেন বারবার পাকিস্থানি হানাদারদের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। এতো সংরক্ষিত একটি এলাকায় সোহাগীরা নিরাপদ নই। ধর্ষকরা সাহসই বা কি ভাবে পায়। তাহলে কি ধরে নিব উপরের মহলের কোন যোগ সজাগ ছিলো। আর্মিতো এখন লিমিটেড কোম্পানি তে রুপান্তরিত প্রাইভেট একটি ফোর্স।
এক জন চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী হত দরিদ্র বাবার সোহাগীর কথা চিন্তা করুন তো। যে সোহাগী ছিলো
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। দরিদ্রতায় টিউশানি করে জীবন চলতো সোহাগীদের। হয়তো বা স্বপ্ন ছিলো স্নাতক কিংবা স্নাতক উত্তর ডিগ্রী নিয়ে বাবা ইয়ার হোসেনের মুখে হাসি ফোটাবে।সোহাগীর সেই স্বপ্ন যে আজ শুধুই স্বপ্ন। স্বপ্নের বাস্তবতাকে গ্রাস করে নিয়েছে ধর্ষক নামক হায়েনার দলেরা। ইয়ার হোসেন যেন শোকে পাথর কারন সন্তানের লাশ যে বয়ে নিতে হবে তাকে। পৃথিবীতে পিতার কাছে সব চাইতে ভারী জিনিসটি হলো আপন সন্তানের শবদেহ।
এবার ভাবুন তো ১৯ বৎসরের সন্তান হারানো মায়ের কথা। স্তব কিংবা বিমর্ষ পাগল প্রায় এক নারী যে কিনা প্রতি ঘন্টায় ৪ থেকে ৫ বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন। জ্ঞান ফিরলেই আবার চিৎকার করে উঠেন সোহাগী সোহাগী করে।মায়ের আর্তনাদে ভারী যেন পুরো পৃথিবী।
হিংস্রতায় যেন হারিয়ে গেছে স্বপ্নের রং এ আঁকা সোহাগীদের পৃথিবী। সোহাগীরা হারিয়ে যায় কালো মেঘের আড়ালে।শোকের বইতে যুক্ত হতে থাকে সোহাগীর নাম। ফেইসবুকে ঝড় উঠে প্রতিবাদের। আর সোহাগীদের আত্তা তখন অট্র হাসিতে মেতে উঠে এই ঝড় দেখে। কারণ সোহাগীদের আত্ন চিৎকার শুনার মানুষেরা যে আজ অমানুষ নামক কোন এক নর্দমার কীর্টে পরিনত সংঘবদ্ধ একটি দল।
বিচার চেয়ে কি লাভ বলুন। মানবতা আজ যেন যাদুঘরের কোন এক মূর্তির ন্যায় বেদনায় নিমোজ্জিত হয়ে দাড়িয়ে আছে।
কর্তাব্যক্তিরা লোক দেখানো তদন্ত কমিটির করবে, সোহাগীদের পোস্টমর্টাম হবে, আবার বড় বড় পত্রিকার শিরোনাম হবে আরো কত কি হবে। বিচারের দায়ভার এ পযর্ন্ত ই।
অবশেষে সোহাগীদের ভুলতে বসবো আমরা সবাই আবার কোন এক দিন অন্য কোনো সোহাগীর শোকে প্রতিবাদে মেতে উঠবে সারা দেশ। হায়রে দেশ আমাদের মেয়েরা যেন জন্মেছে ধর্ষিতা হওয়ার জন্যই। ধিক্কার
©somewhere in net ltd.