নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মহি উদ্দিন এরশাদ

মহি

মহি উদ্দিন এরশাদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আলো চাই ভালোবাসার আলো।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৫০

আমি লজ্জায় অবনত বোধ করছি। নিজে কে ভুল বলতে শুরু করেছি যে বাংলাদেশ একটি সাম্য ও সম্প্রীতির দেশ। যে দেশের মানুষের সম্মানবোধ মাপা হয় ধর্মের মাপকাঠিতে। মনুষ্যত্বের বিচারে যেখানে স্থান পায় না মানুষ। ব্যবধান বিচ্ছেদের আনুপাতিক হারে স্বপ্ন ভাঙ্গতে থাকে আশার শেষ আলোটি। জাগতিক সম্প্রীতি ভুলে আজ আমরা দ্বিধান্বিত। লোক দেখানো ভালোবাসায় ব্যাস্ত আমাদের দিন। খাঁটি সোনাকে পায়ে ঠেলে দিচ্ছি তুচ্ছ ভেবে। সে দেশ কি সম্প্রীতি না ভালোবাসার নাকি ধর্মান্ধতার?

মৃত্যুর শোকে পৃথিবীর যখন নীল। শোকে যখন সাদা পুস্তকের প্রতিটি পাতা।কলমের কালি যখন শোক কালিহীন; ঠিক তখনই কুৎসারটানো শুরু করে সাদা কালো আলখেল্লা পরিহিত দুনিয়াবি জান্নাতের টিকেট বিক্রেতা প্রেত্বেতাগন।

মিথ্যার ফুলঝুরি যাদের প্রতিটি কথায় ও কাজে। অন্যকে হেয় করার এক প্রানবন্ত প্রচেষ্টা যাদের মনে। তাদের থেকে আপনি কি বা আশা করতে পারেন?

নর সুন্দরকে দেখতাম কোন বাড়ীতে জন্ম হওয়া নবযাতকের চুল ন্যাড়া করতে আসতো। কারণ তার ডাক পড়েছে সাত দিনের মাথায়। বাথরুমের পাইপ ব্লক হয়ে বিকল হয়ে আছে। স্ত্রীর চাপে ম্যাথরের খোঁজে ম্যাথ পাড়ায় হাজির জনৈক জনাব হাসমত সাহেব । ম্যাথর নাকি বাংলা খায় তাও সহ্য করে নিলেন হাসমত সাহেব এক মাত্র স্ত্রীর চাপে। নুন আনতে পান্তা পুরায় সংসারে জুতার লেইস পরির্বতন করে চলতো সংসারের পাদুকার কাজ কিন্তু মাঝে মাঝে অনেক দামী জুতার লেইসের পরিবর্তন করা যেন বড়ই মুশকিল তাই হাসমত সাহেব ঘুরেফিরে মুচির কাছে যেতে হয় সেলাই করার জন্য। সামনে কোরবানির ঈদ জনাব হাসমত সাহেব আল্লাহ কে রাজী খুশি করার জন্য কোরবানী দিবেন অথচ যেই চুরি দিয়ে আল্লাহ হু আকবার বলবেন তা নিয়ে গেলেন কামারের কাছে শান দিতে। আর কুমারের হাতের পাতিল না হলে যে হাসমত সাহেবের পরিবার ভাত না খেয়ে আলু সিদ্ব করে খেতে হতো।

উপরের সব গুলো কাজই হাসমত সাহেবের দেখা বিধর্মী লোকজন করতো উনাদের এলাকায়। হয়তোবা ভিন্ন হতে পারে অন্য এলাকার হিসেব। আমরা সবাই আধুনিক। নিচু জাতে কে দিয়ে কাজ করিয়ে নি। কিন্তু দরকারে জাতপাত ভুলে স্বার্থ উদ্বারে ব্যাস্ত হাসমত সাহেবদের মতোই। আর নিচুজাতের লোকদের উৎসবে পাশ্বের বাসার আশফাক সাহেবরা যখন একটু শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন ঠিক তখনই যেন পাড়ার লোকজন কে হাসমত সাহেবের আশফাক সাহেবের ধর্ম শেষ বলে হলিস্বর তুলে তুলকুলাম কান্ড বসিয়ে দিল। আর ঐ যে উপরের লোক গুলির কথা। হ্যাঁ হাসমত সাহেবরা হয়তো বলবো টাকা দিলে কি না হয়। জ্বি সত্যই হাসমত সাহেব। সব কিছুই হয়।

এবার আসি আমার গল্পে। মানবিক মূল্যবোধ?? আমাকে এক কেজি মানবিক মূল্যবোধ দাম দিবেন প্লিজ হাসমত সাহেব? এক কেজি বললাম কারণ আমার বাবা যখন হসপিটালের বিছনায় চটপট করছে ঠিক তখনই আমার এক বন্ধুর রক্ত মিলে গেল বাবার রক্তের গ্রুপের সাথে। সে হাত বাড়িয়ে দিলো ধর্ম জাতপাত ভুলে। আমি তাকে নিষেধ করতে পারি নি।আর নিষেধ করবোই বা কেন? আমার বাবা বেশি নাকি জাতপাত কিংবা ধর্ম দেখবো? আর ঐ যে এক কেজি রক্ত যা আমার বাবাকে আমার মাঝে ফিরিয়ে দিল। তার দাম আপনি কিংবা আমি কি পরিশোধ করতে পারবো। আপনি পারলে ও আমি পারবো না। কারণ ঐ রক্তের কোন দাম হয় না।

ধর্ম যদি মানবতা হয় তবে আমার ধর্ম মানবতা। আমি ধর্মে বিজ্ঞ নয়। তবে জাতপাতে আমি বিশ্বাসী নয়। কারণ আমার এ বিশ্বাসের ভিত যিনি সৃষ্টি করে দিয়ে ছিলেন তিনি মোটেও মুসলিম ছিলেন না। কই কোন দিন তো আমাকে বিধর্মী বলে অবহেলা কিংবা অবজ্ঞা করেন কুশিক্ষা দেন নি। আমি যখন প্রাইমারী স্কুলে পড়ি। তখনকার কথা টিফিনে স্যারদের জন্য কেক আর চা নিয়ে আসতো। স্যার নিজে না খেয়ে আমার হাতে উঠিয়ে দিতেন গোলগাল চকলেট কেক। এ ভালোবাসার কি দাম দিবো আমি। ধরুন আমি দাম দিতে আসলাম। কোম্পানি এখন আর কেকটি বাজার জাত করছে না। এখন এই কেক কই পাবো। ধরুন পাওয়া গেল সেই পাঁচ টাকা মূল্যের কেক আর আমি এখন হাজার টাকা মূল্য দিতে ও রাজি। কিন্তু সে মানুষটি। তিনি তো নেই। কালান্তরের কালো মেঘের হারিয়ে গেছেন বছর ছয়েক আগে। এ দাম কি দেয়া কি সম্ভব?

আলো চাই। ভালোবাসার আলো। সূর্যপুর নাকি চাঁদপুর কোথায় যাবো আমি? আলোর মশাল যে জ্বেলে দিতে হবে চারিদিকে। সময় তো হয়ে এলো।ভালোবাসার আলোর খুবই দরকার।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.