![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Andrei Romanovich Chikatilo (আন্দ্রেই রোমানোবিচ চিকাতিলো)। একজন সাবেক সোভিয়েত সিরিয়াল কিলার যিনি ইতিহাসে দ্যা বুচার অফ রুস্থব, দ্যা রেড রিপার এবং রুস্থব রিপার হিসেবে কুখ্যাত হয়ে আছে। ইতিহাসের কুখ্যাত সিরিয়াল কিলারদের তালিকার করলে উপরের দিকেই থাকে এই লোকটির নাম। ১৯৭৮ সাল থেকে শুরু করে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত (অর্থাৎ বার বছরের মধ্যে) সে প্রায় ৫২ জন মহিলা এবং শিশু হত্যা করে যাদের অধিকাংশেরই বয়স ছিল ১৭ বছরের নিচে।
১৯৭৮ সালে থেকে চিকাতিলো যখন একের পর এক খুন করা শুরু করে, তখন সোভিয়েত পুলিশের কানে এ খবর যায় কিন্তু তৎকালীন সময়ের বাজে এবং নোংরা রাজনৈতিক অবস্থায় কারণে এই কুখ্যাত হত্যাকারী আড়ালেই রয়ে যায়। একের পর এক হতে থাকা খুন গুলোকে প্রথমে বিভিন্ন আজব আজব পদ্ধতি ব্যাখ্যা করা হত। কিন্তু ১৯৮৩ সালের জানুয়ারিতে চারটির খুনের একই ধরনের মোটিভ দেখে ফোরেন্সিক এনালিস্ট ভিক্তর বোরাকভ এই খুন গুলোকের একজন সিরিয়াল কিলার এর কাজ বলে জানান। এটা শুনে মস্কো পুলিশ তৎকালীন মেজর মিখেইল ফেতিসব কে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করে। মেজর ফেতিসব চৌকস এবং নরম মনের বোরাকভকে প্রধান ইনভেস্টিগেটর হিসেবে নিয়োগ দেন যার পূর্বে কোন এ সম্বন্ধে কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। যেভাবেই হোক, বোরাকভ তার ইনভেস্টিগেশন শুরু করে। কিন্তু বিভিন্ন উচ্চপদস্থ নোংরা রাজনৈতিকদের হস্তক্ষেপের কারণে এই ইনভেস্টিগেশন খুব বেশি আগায় নি। এই ঘটনা পাবলিকলি জানানুও হয় নি। এমনকি এই চিকাতিলোকে একবার গ্রেফতার করেও ছেড়ে দিতে হয়েছিল তাদেরই কারণে। এরপরে ১৯৮৪ সালের আগস্ট মাসে রাজনৈতিক অবস্থার পরিবর্তনে এই ঘটনা জনগনের সামনে প্রকাশ করা হয়। ইতো মধ্যে চিকাতিলো প্রায় ৩০ জনকে হত্যা করে ফেলেছে। এরপরে পুরোদমে শুরু হয় তদন্ত। ১৯৯০সালের ১৪ই নভেম্বর শেষ পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার এবং ইন্টেরোগেট করা হয়। অনেক চেষ্টার পরে একজন সাইকিয়াট্রিস্ট এর সহযোগীতায় নভেম্বর এর ২৯ তারিখে সে তার সব দোষ স্বীকার করে। পুলিশ তাদের তদন্ত সম্পন্ন করে ১৯৯১ সালের ২০ আগস্ট তারিখে চিকাতিলোর মানসিক অবস্থা নির্নয়ের জন্য তাকে ৬০ দিনের জন্য একটি সাইকিয়াট্রি সেন্টারে পাঠায়। তার মানসিক অবস্থা পরীক্ষা করার পরে শুনানি হয়। বিভিন্ন শুনানী শেষে ১৯৯৪ সালের ৪ জানুয়ারী তাকে একটি সাউন্ডপ্রুফ রোমে নিয়ে গিয়ে মাথায় গুলি করে এক্সিকিউট করা হয়।
পরবর্তিতে চিকাতিলোর জীবনী নিয়ে এবং তার এই কেস নিয়ে চারটি বই লেখা হয়েছে এবং ৩ টি মুভি নির্মান করা হয়েছে। তবে এই ঘটনার উপর লেখা সবচেয়ে পারফেক্ট বই হল ১৯৯৩ সালে লেখক রবার্ট কালেন এর লেখা "দ্যা কিলার ডিপার্টম্যান্ট" নামে বইটি। এই বইটির উপর ভিত্তি করেই লেখক ও পরিচালক ক্রিস গেরোল্মো ১৯৯৫ সালে 'সিটিজেন এক্স' অসাধারণ মুভি নির্মান করেন। যেটা দেখেই আমার এতো বড় এই লেখার উৎপত্তি। চমৎকার এই মুভিটিতে ভিক্টর বোরাকভ চরিত্রটিকে চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন আন্ডাররেটেড স্টিফেন রিয়া। মুভিতে উনার অভিনয়, রাশান এক্সেন্ট এ কথা বলা এবং এক্সপ্রেশন গুলো ছিল দেখার মত। মেজর ফেতিসব চরিত্রে ছিলেন অভিজ্ঞ ডোনাল্ড সাউদারল্যান্ড। আর সিরিয়াল কিলার চিকাতিলো চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরেকজন আন্ডারেটেড অভিনেতা জেফ্রি ডিমান। মূল কারেক্টারের সাথে উনার শারিরিক গঠন ও মিল ছাড়াও উনার অভিনয় এবং এক্সপ্রেশন পার্ফেক্ট ছিল।
খুবই ভাল লেগেছে মুভিটি। আশা করি আপনাদের ভাল লাগবে। ধন্যবাদ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮
ঈশান কবির বলেছেন: দেইখেন। চমৎকার মুভি,
২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩
আবু শাকিল বলেছেন: সময় পেলে সিনেমা টা দেখব।
সিরিয়াল কিলার সম্পর্কে জানলাম ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩
ঈশান কবির বলেছেন: দেখবেন অবশ্যই। খুবই সুন্দর মুভি।
৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪০
মুস্তাফিজ রাফি বলেছেন: দুর্দান্ত মুভি
৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭
গেম চেঞ্জার বলেছেন: শয়তানটাকে এক্সিকিউট করা হয়েছে বলে ভাল লাগছে।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১
ঈশান কবির বলেছেন: জ্বী মাথায় গুলি করে এক্সিকিউট করা হয়েছিল।
৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩০
রহস্যময় ডিটেকটিভ ঈশান বলেছেন: ছবিটা না দেখে কিছু বলতে পারছি না!!
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮
ঈশান কবির বলেছেন: দেখেই বলেন।
৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:২০
থিওরি বলেছেন: সাউন্ডপ্রুফ ঘরে??
১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:২৭
ঈশান কবির বলেছেন: হ্যাঁ সাউন্ডপ্রুফ রোম।।
৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৮
মহান অতন্দ্র বলেছেন: সিনেমাটা দেখে নেব। ভাল পোষ্ট।
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭
ঈশান কবির বলেছেন: ধন্যবাদ
৮| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪২
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
ভালো লাগলো। সিনেমাটি দেখার উপায় কী?
১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮
ঈশান কবির বলেছেন: ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে দেখতে পারেন।
৯| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৩
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সিরিয়াল কিলিং দেখার ইচ্ছা নেই । সব ধরণের কিলার ....মানুষের জীবন বাঁচানোর কারিগড়ে পরিণত হোক নিজেও বেছে থাকুকু ।
১০| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৫
এহসান সাবির বলেছেন: মুভিটি দেখেছিলাম। মুভিতে চিকাতিলো কে কেমন যেন নিরিহ টাইপের দেখানো হয়েছে......
ভালো লিখেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫২
হাসান মাহবুব বলেছেন: যাক...তার মৃত্যুদন্ড হয়েছে শুনে ভালো লাগলো। সিনেমাটা দেখতে হবে।