![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাকে কেও যদি প্রশ্ন করে কোন দেশের গ্যাংস্টার মুভি সবচেয়ে ভাল? আমি চোখ বুঝে উত্তর দিব “ব্রাজিলিয়ান” মুভি। কেন আমি ব্রাজিলের কথা বলব তা যারা সিটি অফ গড দেখেছেন তারা খুব ভাল ভাবেই বুঝবেন। কিন্তু আজ আমি সিটি অফ গড এর কথা বলব না। বলব অন্য ২ টা মুভির কথা। দুটি মুভিই আমি চরম এঞ্জয় করেছি। একটা হল Elite Squad যা ২০০৭ সালে নির্মিত আরেক টা হল ওইটার সিক্যুয়েল Elite Squad 2: The Enemy Within. এইটা নির্মিত হয়েছিল ২০১০ সালে। তবে প্রথম টার চেয়ে দ্বিতীয় টি বেশি ভাল লাগছে। ২ টি মুভিই একশন এবং থ্রিলিং এ ভরপুর। দেখতে দেখতে কখন যে মুভি শেষ হয়ে গেছে টেরই পাইনি। প্রথম টাকে যদি ১০ এ ১০ দেই তবে দ্বিতীয় টিকে দিতে হবে ১০ এ ২০। ডিরেক্টর এর নাম Jose Padilha. এলিট স্কোয়াড ছিল তার পরিচালিত ২য় ছবি। ২০০৭ সালে রিলিজ হওয়ার পর মুভিটি ব্যাপক আলোচিত হতে থাকে। প্রচুর অর্থ আয়ের পাশাপাশি মুভিটি ব্রাজিলের সামাজিক প্রতিক হয়ে উঠে। মুভিটি স্ক্রিপ্ট Elite da Tropa নামে একটি বই কে ভিত্তি করে লেখা। বইটি লিখে ছিলেন সমাজবিজ্ঞানী Luiz Eduardo Soares এবং Andre Batista এবং Rodrigo Pimentel নামে BOPE এর ২ জন ক্যাপ্টেন। ২০০৮ সালে মুভিটি বার্লিন ফিল্ম ফেস্টিবলে গোল্ডেন বিয়ার এওয়ার্ড জিতে ছিল। এই মুভির ব্যাপক সাফল্যের পর ২০১০ সালে পরিচালক এই মুভির সিকুয়েল Elite Squad 2: The Enemy Within রিলিজ দেন। রিলিজ হওয়ার পর অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে ব্রাজিলের সবচেয়ে ব্যবসা সফল মুভিতে পরিণত হয়। ব্রাজিলের মুভির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি টিকেট বিক্রি হয়েছিল এই মুভিটির। ব্যবসার পাশাপাশি সমালোচকদের দ্বারাও ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছিল এটি। ৮৪ তম অস্কারে ব্রাজিলের এন্ট্রি ছিল এই মুভিটি, কিন্তু ফাইনাল লিস্টে এর জায়গা হয়নি।
২ টি মুভিই BOPE এর বিভিন্ন মিশন এর আংশিক সত্যতার উপর ভিত্তি করে তৈরি।
প্রথমটার আইএমডিবি রেটিং ৮.০ এবং দ্বিতীয় টির রেটিং ৮.১ এবং এটি আইএমডিবি টপ ২৫০ লিস্টে ২৪৭ নাম্বারে অবস্থান করছে।
যে BOPE কে নিয়ে মুভি তাদের সম্পর্কে কিছু বলে নেই আগে। BOPE এর পূর্ণ রূপ হল Batalhao de Operacose Policias Especials. এরা রিও ডি জেনেরিও ‘র বিশেষ পুলিশ স্কোয়াড। অনেকটা আমেরিকান SWAT টিমের মত। এদেরকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করা হয় যাতে তারা যে কোন পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে পারে। যেখানে সাধারন পুলিশ পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হয় সেখানে BOPE এসে হাজির।
মুভির পরিচালনা এবং এর ক্যামেরার কাজ মুভির মান অনেক উঁচুতে নিয়ে গেছে। মুভিটি দেখলে বুঝাই যায় না এলিট স্কোয়াড উনার দ্বিতীয় পরিচালিত মুভি। পরিচালনার পাশাপাশি স্ক্রিন প্লে, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক খুব ভাল ছিল।
এখন আসি মুভির প্লটে।
প্রথম মুভি Elite Squad.
1997 সাল। রিও তে পোপ আসবেন। পোপ যেখানে থাকার ইচ্ছা পূষন করেছেন BOPE এর ক্যাপ্টন নাসিমেন্তো কে নিয়োগ দেয়া হয় এর আশেপাশের বিপদজনক বস্তির ড্রাগ ডিলার দের কে পরিষ্কার করার জন্য। এদিকে ক্যাপ্টেন নাসিমেন্তো ‘র স্ত্রী প্রেগন্যান্ট হওয়ায় সে এই কাজ ছেড়ে অন্য কাজ করার চিন্তা করে। তাই ক্যাপ্টেন তার একজন বিকল্প খুঁজতে থাকে। সমান তালে চলতে থাকে ড্রাগ ডিলার নিধন এবং তার বিকল্প খুঁজা।
দ্বিতীয় মুভি Elite Squad 2: The Enemy Within.
প্রথম মুভির প্লটের ১৬ বছর পরের ঘটনা। হঠাৎ করে ব্রাজিলে ম্যাক্সিমাম সিকিউরিটি প্রিজন এ দাঙ্গা শুরু হয়। BOPE এসে পরিস্থিতি সামলে নেয় কিন্তু মানবাধিকার কর্মী দিয়াগো ফ্রাগা এটিকে মার্ডার আক্ষা দিয়ে ক্যাপ্টেন নাসিমেন্তো কে এর জন্য দোষ দিতে থাকে। বহিস্কার করতে না পেরে তাকে সরকারের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। সেখান থেকে চলতে থাকে তার বিভিন্ন মিশন। এবং সে তার মিশনে সফল ও হয়। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই কোন ড্রাগ ডিলার থেকে অর্থ না পেয়ে, দুর্নীতি বাজ পুলিশ রা এ কাজে জড়িয়ে পরে সাথে জড়িয়ে পরে প্রশাসনের বড় বড় কর্মকর্তারাও।
এবার আসি চরিত্র বিশ্লেষণে। ক্যাপ্টেন নাসিমেন্তো ‘র চরিত্রে আছেন Wagner Moura. উনি হলেন পুরো মুভির প্রাণ। উনি উনার অভিনয়ের দক্ষতা এবং পারদর্শিতা মাধমে মুভি ২ টি কে অসাধারন করে তুলেছেন। ওনার অভিনয়, ডায়লগ বলার স্টাইল এক কথায় অসাধারন। এছাড়া ওনার কথা বলার ধরণ, শরীরের গঠন এ চরিত্র টির জন্য ছিল পারফেক্ট। আন্দ্রে মাতিয়াস চরিত্রে ছিলেন Andre Ramiro. এই চরিত্র টি আমার অনেক পছন্দের একটি চরিত্র। এই লোকটির অভিনয়, পারসোনালিটি এক কথায় অসাম। এই লোক টির ভাব ই আলাদা। ২ টি মুভিতেই ওনার উপস্থিতি, অভিনয়, এক্সপ্রেশন অসাধারণ ছিল। এছাড়াও প্রথম টায় নেতো চরিত্রে Caio Junqueire, ক্যাপ্টেন ফ্যাবিও চরিত্রে Milhem Cortaz এর অভিনয়ও যথেষ্ট ভাল ছিল। দ্বিতীয় টায় দিয়াগো ফ্রাগা চরিত্রে অভিনয় করেছেন Irandhir Santos. এই লোকটির উপস্থিতি মুভিটি শোভা বারিয়েছে। আর অভিনয়ও করেছেন সে লেভেলের। দ্বিতীয় টায় প্রধান ভিলেন রোজেন এর চরিত্রে ছিলেন Maria Ribeiro. উনিও অনেক ভাল অভিনয় করেছেন। এছাড়া অন্য সবার অভিনয়ও ভাল ছিল।
যারা দেখেন নি, দেরি না করে তাড়াতাড়ি দেখে নিন অসাধারণ মুভি দুটি। গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। সময় আপনাদের খারাপ কাটবে না...।।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৫
ঈশান কবির বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৬
সুমন কর বলেছেন: রিভিউ ভালো হয়েছে। +।
দেখার লিস্টে রাখলাম।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৫
ঈশান কবির বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আসলেই অসাধারণ। আপনাকে আরো দুটো ব্রাজিলিয়ান ক্রাইম মুভি সাজেস্ট করবো,
Pixote এবং Last Stop 174
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৯
ঈশান কবির বলেছেন: আপনার সাজেশনের জন্য ধন্যবাদ। দেখবো.।।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৩
হানিফঢাকা বলেছেন: দেখার ইচ্ছা আছে। নেট থেকে খুজে বের করতে হবে। ভাল লাগল।