নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তালহা বিডি

তালহা বিডি › বিস্তারিত পোস্টঃ

“গুন্ডে” ও আমাদের প্রকৃত স্বাধীনতা

৩০ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:০০

আমার জানা এবং বুঝার মধ্যে ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে কিন্তু তা হবে আমার অজ্ঞতার কারনে, অসততার কারনে নয়। অস্থানীয় শোষকের স্থানটি যে স্থানীয় শোষক এবং সম্পদলোভীদের দ্বারা অতিদ্রুত পূরন হয়ে যাবে সেটা দেশের জনগণ বা সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের জ্ঞান বা বোধশক্তির বাহিরে ছিল। পচিঁশে মার্চের সেই ভয়াল রাতের হিংস্র ছোবলের সাথে সাথে পূব পাকিস্তানের অধিবাসি এবং পূব পাকিস্তানের আওয়ামিলীগের সংসদ সদস্যরা কি করে পাকিস্তানের শত্রু হিসাবে পরিচিত তাদের কাছে ছুটে যেতে পারল তা আমার বোধগম্য নয় ?স্বাধীনতাবিরোধী বলে পরিচিত ধর্মভিত্তিক দলগুলীর শঙ্কা অনুমান সত্য ছিল কি না তা হয়ত আমরা আস্তে আস্তে বুঝতে পারবো, তাদের এই শঙ্কা সত্যি হয় তাহলে দেশপ্রেমিক কারা মুক্তিযোদ্বরা না রাজাকাররা। ধর্মভিত্তিক দলগুলির যুক্তি হল আমরা বাঙালী স্বাধীনতার বিরুদ্বে নয় তবে আমরা অধিপত্যবাদী শক্তির সাহায্য নিয়ে দেশ স্বাধীন করার পক্ষে নই, আসলে ধর্মভিত্তিক দলগুলি পাকিস্তানি অধিপত্যবাদী শক্তির তুলনায় ভারতীয় অধিপত্যবাদী শক্তিকে বিপদজনক বলে মনে করেছে। ধর্মভিত্তিক দলগুলোর মতে ব্রাক্ষনবাদী ভারতীয় প্রতিক্রিয়াশীল গোস্ঠি শুধু পাকিস্তানের দ্বিখণ্ডিত করতেই আগ্রহ নয়, বাংলাদেশকে সবভাবে গ্রাস করে ভারতের একটি অঙ্গরাজ্য করতে চায়। বাঙালির স্বার্থ ছিল ভারতের কাছ থেকে অস্ত্র নিয়ে স্বাধীন হওয়া এবং ভারতের স্বার্থ ছিল স্বাধীনতার মাধ্যমে পাকিস্তানের দ্বিখণ্ডিত করে সম্পদ লুট করে শত্রু পক্ষকে আরও দূর্বল করা। যেন তাদের উপর খবরদারী করা যায় এবং সময়মত ভারতের সাথে একত্রিভূত করা যায়। ১৯৪৭ সনের দেশ বিভক্তির সময় বঙ্গ-ভঙ্গের ইচ্ছা ভারতীয় কংগ্রেসী নেতৃবৃন্দের মধ্যে মোটেও ছিল না তারা সমগ্র বাংলাকে পেতে চেয়েছিল একটি কমনওয়েলথভুক্ত স্বাধীন রাজ্য হিসাবে কিন্তু কাটা হলেন কিছু কংগ্রেসী নেতা, নাটকীয়ভাবে শ্রী প্যাটেল বাবুর মাধ্যমে আজানা কারানে পাকিস্তান দ্বিখন্ডিত হয়ে পড়ে পুর্ব পাকিস্তান এবং পস্চিম পাকিস্তান হিসাবে । ১৯৪৭ সনের দেশ বিভক্তির মধ্যে দিয়ে যে ঐতিহাসিক ছেদ ঘটানো হলো ৭১ এর মুক্তিযুদ্বের মাধ্যমে। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরে স্বাধীন সরকারের প্রথম অফিস হয় কোলকাতা নগরীর ৮ নাম্বার থিয়েটার রোডে । স্বাধীনতা যুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কর্নেল ওসমানী হলেও সকল ক্ষমতার উতস ছিল ভারতীয় বাহিনীর,তিনি একজন বন্দীর মতন জীবন পরিচালনা করেছেন যেখানে ওসমানীর কোন লিখিত নির্দেশও পাননি কমান্ডাররা । ভারতীয় বাহিনী এই সময়ে বাংলাদেশের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে ব্যস্ত ছিল বেশী। আমাদের অন্যতম চিএ নির্মাতা জহির রায়হান চিএায়িত করেছেন অনেক দুর্লভ দূশ্যের, জানতে ও বুঝতে চেয়েছিলেন অনেক কিছু যার ফল হিসাবে স্বাধীনতার ঊষালগ্নেই তাকে বলীর পাঠা হতে হয় বলে সবার ধারনা। ১৯৭১ সনের ৩রা ডিসেম্বর পাকিস্তান কতৃক ভারতের সীমান্তে আকশ্মিক যুদ্ধ ঘোষনা ভারতকে বাংলাদেশ অভিযানে অণুপ্রেরনা জাগায়। ভারত যে ধরণের উংসাহ নিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করার উদ্দেশে ঝাপিয়ে পড়েছিল সেভাবে তো সেভেন সিস্টার হিসাবে ক্ষ্যাত (নগাল্যান্ড, মিজোরাম, গৃখাল্যান্ড,পাঞ্ছাব এবং খালিস্থান) এলাকাগুলি স্বাধীন করার কোন উদ্দ্যেগ নেয়নি। এই যুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সামনে সারি থেকে আর ভারতীয় সেনাবাহিনী পিছনের সারি থেকে অগ্রসর হয়েছে। যদিও এই যুদ্ধে তদের ১২ থেকে ১৪ হাজার সৈন্য প্রান বিসর্জন দিয়েছিল। বর্তমান ও পূর্বের অবস্থা বিবেচনা করে তারা আমদের পরম বন্ধু না শত্রু! মুক্তিযোদ্ধাদের মাধ্যমে যে যুদ্ধ শুরু হয় তা শেষ হয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী অধিনায়কের আত্নসমাপর্ণের মধ্য দিয়ে। যুক্তিসংগত ভাবে যদি এটা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ হয় তবে কর্নেল ওসমানীর কাছে জেনারেল নিয়াজীর আত্নসমাপর্ণের কথা ।আসলে ব্যাতিক্রমধর্মী আত্নসমাপর্ণের মধ্য দিয়ে ভারত বাঙালির স্বাধীনতার বা স্বাধীনতা দিবসকে অস্বীকার করলো। একই পরিস্থিতী আমরা দেখতে পাই ১৭ই ডিসেম্বর খুলনা সার্কিট হাউসে মাঠে আত্নসমাপর্ণের নেত্রিত্বৃ দেন ভারতীও বাহিনীর মেজর দলবল সিং কিত্নু সেখানে সেক্টর কমান্ডার বা দায়িত্বশীল ছিলেন মেজর জলিল ,মেজর জলিল উপস্থিত থাকার পরেও তাকে সামনের দিকে আসতে দেওয়া হয়নি। এখানে একটা বিষয় সবার জানা উচিত স্বাধীনতার ঊষালগ্নে তারা যে লুটতরাজ করেছে শুধু সেটাই বলছি ভারত বিরোধী হবার করনে নয়। এযুগে তো দেশ দখল করে অঙ্গরাজে পরিণত করা হয় না। একথা সর্বজন বিদিত যে, বাংলাদেশের ৭২ এর সংবিধান প্রনেতা ভারত। বাংলাদেশের সংবিধানে গনতনন্ত্র, সমাজনতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং জাতীয়তাবাদ সন্নিবেশিত করার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ মুলত ভারতের একটি অঙ্গরাজ্যে চিন্হিত করা হয়েছে। শক্তিশালী দেশগুলি দূর্বল দেশগুলিকে চুক্তি ও শর্তে আবদ্ধ রাখে। স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় বা সেনাবাহিনীর অন্যতম উদ্দ্যেশ ছিল বাংলাদেশকে এমন কিছু দাসত্বমূলক চুক্তি এবং শর্তের মধ্যে আবদ্ধ রাখা। বাংলাদেশকে কোন না কোন ভাবে আবদ্ধ করতেই হবে। বাংলাদেশের উপর যদি সাংস্কৃতিক এবং অথনৈতিক কতৃত্ব স্থাপন করা সম্ভব হয় তাহলে সামরিক কতৃত্ব স্থাপনের তেমন প্রয়োজন পড়ে না। এই দুটি বিষয়ের কতৃত্বর মধ্যে দিয়ে ভারতের রাজনৈতিক কতৃত্ব এমনি-এমনি প্রতিষ্ঠিত হবে। করেকদিন আগে একটা রিপোর্ট পড়লাম বর্তমানে বাংলাদেশ ৫ লাখ ভারতীও বসবাস করে। সবচেয়ে আশঙ্কাজনক বিষয় হল বাংলাদেশ ভারতের পঞ্চম বৈদেশিক মুদ্রা অজর্নের দেশ। আর যদি সাংস্কৃতির কথা বলি তাহলে দেখা যায় যে প্রত্যেক ঘরে ঘরে হিন্দী মুভি, হিন্দী নাটক, হিন্দীতে কথা-বার্তা অর্থাত সংস্কৃতিও তাদের দখলে চলে গেছে। ৯০ ভাগ মুসলমান হবার কারনে বাংলাদেশের মুল সংস্কৃতি হল ইসলাম ভিত্তিক। ৯০ ভাগ মানুষের ধর্মের উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠেছে সাংস্কৃতিক জীবন। তাই এই ধর্মীয় আবেগ-অনুভতি থেকে মুসলিম জনগণকে বিচ্ছিন্ন করতে হলে প্রয়োজন একটি দর্শন যা ইসলাম ধর্মের অনুশাসন মেনে চলতে নিরুতসাহিত করবে, যার ফলে তরুণ-তরুণীরা বাধাহীন জীবন-যাপন পালন করবে বেপোরোয়া আরাম-আয়েস ভোগপ্রবণ হবে। তখন তারা ইসলামের ঐতিহ্যে গরবোধ না করে ধমনিরাপক্ষ হিসাবে পরিচয় দিবে আর এভাবেই ভারতের গোপন স্বপ্ন পুরন হবে। আর এই পরিকল্পনা জন্যই একের পর এক নতুন সংস্কৃতির আবিষ্কার। ভারত যে আমাদের স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না সেটা “১৬ ডিসেম্বর” ও “ গুন্ডে” মুভির মধ্যে দিয়ে প্রমান দিল। শুধু তাই নয় বিভিন্ন সময় আমরা দেখতে পাই ভারত বিভিন্ন রিয়েলিটি শোতে বাংলাদেশের পতাকা খচিত কারপেটের উপর কর্মসূচী পালান করে। “১৬ ডিসেম্বর” ও “ গুন্ডে” মধ্যে দিয়ে ভারত তরুণ প্রজন্মকে আবার মনে করিয়ে দিল দাদারা বাংলার স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না।



মো হুমায়ুন কবির তালহা

কলামিস্ট

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.