![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Nothing is permanent in this transitory world
কোন বাড়িতে মানুষ মারা গেল আশে-পাশের মানুষ এসে বলে এটা করা যাবে না ওটা করা যাবে না তারমধ্য বহুল প্রচলিত একটি সেই বাড়িতে তিন দিন আগুন জ্বালানো(রান্না করা) যাবে না।
যদি কোন বাড়িতে মানুষ মারা যায় সেই বাড়িতে রান্না-বান্না নিয়ে ইসলামে কোন বিধিনিষেধ নেই। ঐ বাড়ির লোক যদি রান্না-বান্না করে খাওয়ার ভারসাম্য ও মানসিক আবস্থা থাকে তাহলে সে খেতে পারবে এতে ইসলামে কোন রকম বিধিনিষেধ নেই। কিন্তু এলাকাবাসীর দায়িত্ব হল যদি কোন ব্যাক্তি মারা যায়, তার পরিবারের জন্য রান্না-বান্না করে পাঠাবে। কারণ তাদের মন খারাপ, মানসিক ভারসাম্যর অবস্থা ভালো নয় প্রিয়জন হারিয়েছেন রান্না-বান্না করার মত মানসিক অবস্থা নেই। এজন্য কেউ মারা গেলে তার আশে-পাশের বাসা থেকে খাবার পাঠানো সুন্নাত। জাফর (রাঃ) (আলী (রাঃ) এর ভাই) যখন শহীদ হলেন মুতাহ'র যুদ্ধে তখন রাসূল ﷺ বলেন "জাফরের পরিবারের জন্য তোমরা আশে-পাশে যারা আছো খাবার করে করে পাঠাও কারণ তারা তাদের বিপদে মসিবতে দিশেহারা হয়ে আছে। এজন্য কোন বাড়িতে মানুষ মারা গেল আশে-পাশের বাড়ি থেকে খাবার পাঠানো সুন্নাত কিন্তু তিন রান্না করা যাবে এই কথাটি কোথাও উল্লেখ নাই। কেউ যদি খাবার না পাঠায় তাইলে কি ঐ পরিবারের রান্না করে খাওয়া লাগবে না ? আবশ্যই লাগবে, তাই তিন দিন রান্না করা যাবে না এইরকম কথা কোথাও নাই। বিধায় ইহা সঠিক কথা নয়। আশে-পাশের লোক খাবার দিবে ঠিক আছে কিন্তু প্রয়োজন হলে উনারাও চুলা জ্বালাতে পারবেন।
আবার অনেকেই আছেন রান্না-বান্না করে বিপদ এহসান করে তিনদিন, চল্লিশা বা কুলখানি ইত্যাদির নামে দোয়া করার ব্যবস্হা করতে বলি। যেখানে গরীব দুঃখী মানুষের চাইতে পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, এলাকার নামি-দামি ব্যাক্তিবর্গদের আপ্যায়নটাই হয়ে থাকে মূখ্য। ইসলামে এইধরনের কথার কোন ভিওি নেই। আল্লাহ আমাদের সকলকে এইসব ধরনের চিন্তা-ভাবনা থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুন। (আমিন)
৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৩৩
ফাহিমা আক্তার বলেছেন: শুকরিয়া। এলোমেলো আগোছালো ভাবা লেখা। পাঠক কেমন পড়তে ইচ্ছুক নহে। তারপরও লিখে যাব।
২| ৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি সঠিক বলেছেন। ভালো থাকবেন।
৩১ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১২:০৪
ফাহিমা আক্তার বলেছেন: দোয়া করবেন। আপনিও ভালো থাকবেন।
৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৫২
হাবিব বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষণ।
৩১ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:১৫
ফাহিমা আক্তার বলেছেন: অনুপ্রাণিত করার জন্য ধন্যবাদ।
৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ ভোর ৫:১৭
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আমি ও আপনার সাথে এক মত।
সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৫৮
ফাহিমা আক্তার বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার ও মন্তব্যর জন্য
৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:১৭
বারবোসা বলেছেন:
প্রিয় বোন ফাহিমা আক্তার,
মুসলিম উম্মাহর কুসংস্কার দূর করতে আপনার প্রচেষ্টা আল্লাহ তায়ালা কবুল করুক।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:১২
ফাহিমা আক্তার বলেছেন: আল্লাহ পাঠকদেরও কবুল করুক। আমিন
৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৫৬
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: তিন দিন বা চার দিন মৃত বাড়িতে রান্নাবান্না করা যায় না ঠিক এমন করে ভাবনা বা প্রচার ব্যক্তিগত ভাবে আমি শুনিনি। নিজের বাবা মা গত হলে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে অনেকদিন ধরে নেমন্তন্ন খেয়েছি। উল্লেখ্য যে সময় খাওয়া একেবারেই মুখে রোচে না বা খিদে আসেনা। প্রিয়জন হারানোর ব্যথা সেসময় বড় হয়ে দেখা দেয়। স্বভাবতই এই কারণে এমন তিন বা চির দিনের আগুন না জ্বালানোর পরামর্শ দেয়।
আর একটা এমনি প্রচার প্রচলিত আছে। আমার বাবার মৃত্যুর পর মাকে চারদিন স্থান ত্যাগ না করতে মুরুব্বিরা পরামর্শ দেন। আমার ব্যকৃতিগত বিশ্বাস সদ্য স্বামী হারানোয় একটা একাকীত্ব তৈরি হয়।যা থেকে রাতে কিছুটা ভয়ভীতি চলে আসার সম্ভাবনা থাকে। আমরা অবশ্য মাকে একা থাকতে দিতাম না। তবে এসব নিয়মের বিরুদ্ধে গিয়ে নিজেকে যুক্তিবাদী প্রমান করারও ইচ্ছা হয়নি কোনোদিন।
আপনার লেখনী পড়ে বেশ বলিষ্ঠ মনে হচ্ছে।সাথে মনে হচ্ছে আপনি হয়তো ব্লগে নুতন নন।মে বি সেটা নিয়ে আমার কোন সমস্যা নেই।জাস্ট মনে হলো তাই বললাম। খারাপ ভাবে নেবেন না প্লিজ।
আমার পোস্টে আপনার আমন্ত্রণ রইলো।
শুভেচ্ছা জানবেন।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:১৯
ফাহিমা আক্তার বলেছেন: মুসলিম কোন মানুষ মারা গেল তার আশে-পাশ থাকা মানুষরা এইগুলো বলে থাকে।আমি অনেক দেখেছি এইরকম বলতে তারই পরিপ্রেক্ষিতে লেখা। ।আপনি কখনও না শুনে থাকলে আমার তো করার কিছু নেই।
ব্লগে এইটি আমার প্রথম পদচারণা। জানি না কি দেখে আপনি আমাকে পুরাতন ভাবলেন। আমি একমাস আগে বন্ধু থেকে জানি ব্লগের কথা।তারপর কিছুদিন পর্যবেক্ষণ করে আইডিটি খুলি। আপনার মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
৭| ০৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:২৩
আমি তুমি আমরা বলেছেন: এ ধরণের কিছু ভ্রান্ত ধারনা আমাদের সমাজে প্রচলিত রয়েছে। আল্লাহপাক সবাইকে সত্য জানার এবং বোঝার তওফীক দান করুন।
জাঝাকুমুল্লাহ খাইরান।
০৫ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৫৯
ফাহিমা আক্তার বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার পোস্টে আপনার মন্তব্য পেয়ে উৎসাহিত হলাম।ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে জুলাই, ২০২১ রাত ১০:২৪
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সমস্যা হলো এটাই। আমাদের ধর্মীয় বিষয়ে জ্ঞান কম। কাঠমোল্লারা এ্ই সুযোগ নিয়ে বেদাতের প্রচলন করে। বিষয় গুলো অযৌক্তিক বলেই অন্যরা কথা বলার সুযোগ পায়। এখন ইসলাম সম্পর্কে জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটাই প্রকৃত জ্ঞান। সারা দুনিয়ার বিষয় বস্তু জেনে তো লাভ নেই। যেটা জানা গুরুত্বপূর্ণ সেটা জানা দরকারি। বা আগে জানা উচিৎ। আকাশ বতাস নক্ষত্রি মন্ডলির চেয়ে সঠিক জীবন যাপন প্রণালি জানা দরকার। প্রাচীন রোম সভ্যতার জ্ঞান দিয়ে বর্তমান সময়ে কি করা যাবে। আসলে কমেন্ট তো শেষ হবে না সপ্তাহ খানেক লিখলেও। অল্প কথায় সুন্দর পোস্ট। আপনার জন্য শুভকামনা।