![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত বছর তাজিংডং থেকে আসার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আর কোন পাহাঢ ভ্রমনে যাব না।তাহলে বুঝতেই পারছেন কেমন দূর্গম, বিপদ সংকুল পথ পাডি দিয়েছিলাম! কিন্তু বছর ঘুরতে না ঘুরতেই, ফেব্রুয়ারি মাস আসতেই আবার আমাদের মন বিদ্রোহ করে উঠল, আবারও অজানা, অদেখা ও দূর্গম পথ পাডি দিয়ার উগ্র বাসনা জেগে উঠল।
তাই হাসান মহীউদ্দিন, মিনহাজ ও এহসান ভাই এর সাথে আলোচনা করে আমাদের ট্যুরের ফোরকাস্ট অনুযায়ী অমিয়াকুম, সাতভাই, ভেলাকুম এবং নাফাকুম যাওয়ার দিনক্ষন ঠিক হল, তারিখ হল সেই ঐতিহাসিক ২১ শে ফেব্রুয়ারির বন্ধ! সিন্ধান্ত হওয়ার সাথে আমাদের কাউন্ট-ডাউন শুরু হল! এর মধ্যেই রাহাত ভাই মেইলে প্রস্তাব দিল, টি-শার্ট কিনে তাতে ট্যুরের লোগো প্রিন্ট করতে, তাতে সবাই সানন্দে রাজি হল, তারপর শুরু লোগো যাচাই বাচাই প্রক্রিয়া, বিশেষ করে এই ক্ষেত্রে রাশেদ হল সবচেয়ে বেশি এক্টিভ, তার অনেকগুলো প্রস্তাবনা থেকে নিচের লোগোটি ট্যুরের লোগো হিসেবে নির্বাচিত হল।
লোগো সিলেক্ট হওয়ার পরে তোডজোড শুরু হল টি-শার্ট কেনা ও তাতে প্রিন্ট করা। একদিন অফিস শেষে আমি, হাসান মহীউদ্দিন, এহসান ও রাসেদ ভাই মিলে মার্কেটে থেকে কিনে ও তাতে প্রিন্ট করালাম আন্দরকিল্লা গিয়ে। নিচের টি-শার্ট টি হল আমাদের পছন্দকৃত লোগোসহ গেঞ্জিটি!
এই সব কার্যক্রমের ভিতরেই চলতে থাকলে আমাদের ট্যুরের মেম্বারদের মেইল আদানপ্রদান, বিভিন্ন ধরনের খুনসুটি, ট্যুর বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাবনা!
২০, শে ফেব্রুয়ারিঃ অবশেষে সেই বহুপ্রতিক্ষিত সেই দিনটি এল, খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে ট্যুরের জিনিসপত্র নিয়ে ব্যাগ এন্ড ব্যাগেজ অফিসে চলে আসলাম আমাদের পরিকল্পনা মোতাবেগ! বিকাল ৫ টায় সবাই যার যার অফিস শেষে আমরা মিলিত হলাম নতুন ব্রিজ। আমরা হলাম হাসান মহীউদ্দিন, মিনহাজ, রাহাত, এহসান, শরিফ, আরিফ, রাসেদ, নজরুল, সোহেল, কলি, মাহফুজ এবং আমি ( ফাহিম) মোট ১২ জনের একটা গ্রুপ
বান্দরবানের ডাইরেক্ট বাস পাব কি পাব না, এই কনফিউজের মধ্যে না থেকে আমরা হাতের কাছে যে বাসটি পেয়েছি, সেটাতেই করেই আমরা সাতকানিয়া, কেরাণী হাট চলে গেলাম। ঐখানে নেমে হালকা ঝালমুরি খেলাম, ইতিমধ্যে আমাদের সম্মানিত মিনহাজ ভাই একটা মাইক্রো ঠিক করলেন। আমরা তাতে চেপে বসলাম বান্দরবানের উদ্যেশ্যে।যদিও আমরা অফিসে কেউ জুনিয়র, কেউ বা সিনিয়র, কিন্তু ট্যুরের গেঞ্জী গায়ে চাপানোর সাথে সাথেই সবাই আমরা হয়ে গেলাম অন্য মানুষ অর্থাৎ ভিন্ন ধরনের মানুষ যে আচরন আমরা অফিসে দেখিনা। আমরা একে অপরকে কথার প্যাচে, দুষ্টুমিতে ঘায়েল করতে মেতে উঠলাম। এগুলো করতে করতে আমরা পৌঁছে গেলাম বান্দরবানে।
বাস থেকে নেমেই শুরু করলাম রাত যাপনের জন্য হোটেল সার্চিং। কিছুক্ষন ঘোরাঘুরি শেষে উঠলাম হোটেল " হোটেল হিল সিটি"।রুমে ব্যাগগুলো রেখে বাহিরে বের হয়ে আসলাম, উদ্যেশ্য খাওয়া দাওয়া করা ও ঘুরাঘুরি করে রাতের বান্দরবন দেখা।কেউ শহীদ মিনারে গিয়ে ছবি তুলছে আর কেউ এদিক সেদিক ঘুরাঘুরি করছে। আমরা কয়েকজন পরের দিনের থানচি যাওয়ার জন্য চাঁদের গাডী ঠিক করলাম। তারপর হোটেলে খাওয়া দাওয়া সেরে যার যার রুমে চলে গেলাম। পরের দিনের কথা চিন্তা করে ঘুমের রাজ্যে চলে গেলাম !!
©somewhere in net ltd.