নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন দেখি,একটা আলো ঘুম ভাঙাবে বলে...

ফাহমিদা আফরোজ নিপু

যদি আরেকবার জন্মানোর সুযোগ পাই,তবে নীল পাখি হয়ে জন্মাবো,আবার এই মাটির বুকেই!

ফাহমিদা আফরোজ নিপু › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ব্যতিক্রম" এর খোঁজে

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৬

অনেক নারীবাদী পুরুষের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তারা নিজের স্ত্রীকে বহিরাগত কর্মসংস্থানে পাঠানোর চাইতে অন্তর্গত চারকোনাকৃতির রান্নাঘরে আবদ্ধ করে রাখতে বেশি উৎসাহী। তারা বলেন ঠিকই-"রান্নাবান্না এখন শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য না,ছেলেরা এতে অনেক ভালো করছে।" কিন্তু যখন শোনেন বাসায় আজ তাকে রান্না চড়াতে হবে স্ত্রীর আসতে কিঞ্চিৎ দেরী হওয়ার কারণে,তখনই পুরুষালী প্রভাব খাটানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান। স্ত্রী যদি কোথাও যেতে চায়,হোক তা আর্জেন্ট জরুরী কোনো কাজে,স্বামী যদি দেশান্তরীও হয়ে থাকে,তবুও "অনুমতি" নিতে হবে। কিন্তু তিনি যদি বন্ধুদের সাথে সিনেমাও দেখতে যান স্ত্রীকে না জানিয়ে, তা নিতান্তই সাধারণ, অন্যায়ের প্রশ্নই ওঠে না। তারা বলেন, "আমরা অনেক প্রোগ্রেসিভ সমাজে বাস করছি। আমাদের বাবা কিংবা দাদারা স্ত্রীকে ঘরের বাইরে কাজ করার অনুমতি দিতো না। কিন্তু আমরা "অনুমতি" দিচ্ছি।" যদি প্রোগ্রেসিভই হয়ে থাকেন,তাকে নিজের সমান মনে করে থাকেন,তাহলে অনুমতির প্রশ্ন কেন আসছে রে ভাই? ছোটোকে বড় অনুমতি দেয়,সমানে সমানে অনুমতির প্রয়োজন পড়ে না।
নিয়ম যদি নিয়মই হয়,তাহলে তো তা সবার জন্যই সমান হওয়া উচিত। "আমি করলে ঠিক,তুমি করলে ভুল"- এটা তো নিয়ম হতে পারে না।
সবাই মুখোশধারী,বিচার মানি তাল গাছ আমার গোত্রের। মুখোশের আড়ালে একটি কুৎসিত প্রতিকৃতি। নারীবাদী মন্ত্র তাদের মুখবইয়ের দেয়াল কিংবা অন্য কোনো দেয়ালিকা অথবা বক্তব্য পর্যন্ত সীমাবদ্ধ। সেসব মন্ত্রকে ঘরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। দরজা জানালা বন্ধ করে সজোরে আটকে রাখা হয়। কিছু ব্যতিক্রম হয়তো আছে। তাদের মুখোশ পরতে হয় না। তারা সত্য এবং সুন্দরে বিশ্বাসী। দ্বিচক্রযানের দু'টো চাকাকেই তারা সমান তালে চালাতে চান,একটি ছোট একটি বড় না রেখে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো,যতদিন পর্যন্ত এই মুখোশহীন মানুষগুলো "ব্যতিক্রম" এর কাঁতারে আর মুখোশধারীরা "সাধারণ" এর কাঁতারে থাকবে,ততদিন পর্যন্ত সমাজের দুটো চাকা অসমানই থাকবে। যত যাই হোক,খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে আর কদ্দুরই বা যাওয়া যায়?
তবে এই "ব্যতিক্রম" এর রূপ আজও কল্পনাতেই লালন করছি,বাস্তবে তার দেখা পাওয়া ঢাকা শহরে ট্র্যাফিক জ্যামহীন রোববার দেখারই সমান!!

[নিজ ইচ্ছায় কাদা মাখালে,মাঠঘাট দায়ী নয়।]

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫

Tas DE Sun বলেছেন: সমাজ পরিবর্তিত হচ্ছে,মেয়েরা ও হচ্ছে শিক্ষিত,,।শিক্ষিত হবার জন্য শুধু ধর্মীয় গোঁড়ামিরর কথা বলে অনেকে কলুপ এটে দেন বাস্তবে অর্থনৈতিক দিকটা ও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে,,,।
আমার স্ত্রী শিক্ষিত হলে এবং উপযুক্ত পরিবেশ থাকলে চাকরী করুতে পারবে,,,,।অবস্থা বিবেচনায় তার বাবা মার কাছে টাকা ও পাঠাতে পারবে,,।কিন্তুু যদি প্রয়োজন এবং উপযুক্ত পরিবেশ না থাকে তো চাকরীর প্রশ্নই উঠে না,পুরুষ বৈরি পরিবেশে কাজ করতে পারে কিন্তুু নারীরা না,তা ছাড়া নিরাপত্তার বিষয়ও আছে,যুগ আধুনিক হয়েছে কিন্তু এদেশের নারীরা কি আধুনিক হতে পেরেছে!এখনো ওদের ধ্যান ধারনা অনেক পুরোনো, ,এখনো তারা নিজেদের বিকশিত না করে পুরুষের উপরই নির্ভর করে টিকে আছে,যে খানা বাবা মা ভাই বোন কে বিশ্বাস সৃষ্টি করাতে পারে না যে নারীটি একা স্বাবলম্বী সেখানে বিয়ের পর স্বামী কি করে মনে করবে তার স্ত্রী যে কোন পরিবেশে উপযুক্ত, কিবাং তাকে পরিপূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া যায় একটা পুরুষের মত।
নারীকে ঘরে আটকে রাখার কথা বলছি না,নারী যদি আরেকটু সচেতন হতো কিংবা আরো আগেই এগোতে পারতো তবে পুরুষের জীবন ও সহজ হয়ে যেতো,।তবে ধর্মীয় কিছু বিধিবিধান অবশ্যই আছে,আমি যেমন অন্য নারীর সাথে খোলামেলা চলাফেরা করলে আমার স্ত্রী গ্রহন করবে না সহজ ভাবে আমিও তেমনই করব।(নিজেকে দিয়ে বললাম,ব্যক্তিগত অভিমত)

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৩

ফাহমিদা আফরোজ নিপু বলেছেন: লেখাটি পড়ে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদানের জন্য ধন্যবাদ।
তবে সব কথার এক কথা কি, বেগম রোকেয়াকে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন করে গড়ে তোলেন তাঁর স্বামী,তাঁর বাবা মা নন।
যদিও আমি বোধ হয় বোঝাতে পারিনি আমি আমার লেখায় কী বলতে চেয়েছি। যারা পিছিয়ে আছে তারা বিভিন্ন অজুহাতে নিজেদের পিছিয়ে রেখেছে। কিন্তু যারা এগোতে চাইছে,তাদেরকেও কিছু "সাধারণ" মানুষ দাবিয়ে রাখতে চাইছে। লেখাটা তাদেরকে উদ্দেশ্য করে।
আর ব্যক্তিগত অভিমত থেকে যা বললেন, তার জন্য কথা আগেই বলেছি- "নিয়ম সবার জন্যই এক।" আপনি ভুল করলে যদি আপনারটা ভুল হয়,তাহলে তারটাও ভুল। কিন্তু আপনি করলে ঠিক,আর সে করলে যদি ভুল হয়- এক্ষেত্রেই তা অনুচিত।

২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৭

বিদ্রোহী সিপাহী বলেছেন: ব্যতিক্রম নিজে দেখা না দিলে খুঁজে তারে পাবেন না বলেই অনুমিত। কল্পনাও বাস্তব হয়।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৪

ফাহমিদা আফরোজ নিপু বলেছেন: আশ্বস্ত করার জন্য সাধুবাদ এবং ব্যতিক্রমের কাঁতারে আসার জন্য আমন্ত্রণ রইলো।

৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৬

কিরমানী লিটন বলেছেন: বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠিত হোক,নারীতে-পুরুষে...

চমৎকার ভাবনা,সুন্দর ও সচেতনতার.। অনেক শুভকামনা রইলো...

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:১৯

ফাহমিদা আফরোজ নিপু বলেছেন: আপনার চমৎকার হৃদয়গ্রাসী মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে সাহায্যপ্রার্থী।
আপনার তরেও শুভ কামনা রইলো।

৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৫৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: এটা ঠিক যে, সময়ের অনেক পরিবর্তন হলেও, অনেক কিছুর অনেক উন্নতি ঘটলেও, আধুনায়িকতার স্পর্শ ভালভাবে লাগলেও - এখনও বিচার মানি কিন্তু তালগাছটা আসলে ভাই আমারই গোত্রেই রয়ে গেছে সবাই।

নারী-পুরুষে অধিকার সমান। এটা মৌখিক কথা। বাস্তবিক না। বাস্তবে এটা নেই। স্ত্রীদের যে কোন কাজেই অনুমতি নিতে হবে - এটা অলিখিত নিয়ম। তাকে সব কিছু বলতে হবেই। যদিও তারা অনুমতি পায়, সব কিছু বললেও এতে তেমন ক্ষতির মুখেও পড়া লাগে না - তবুও জবাবদিহির মধ্যে থাকতে হয়। যেটা নারীদেরকে মানসিকভাবে পিছিয়ে দিচ্ছে।

স্বামী-স্ত্রী সম্পর্কে যেতে হবে না, আরেকটু কম বয়স থেকেই শুরু করি - কোন ছেলে একটা মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ। কয়েকটা দিন দেখা যাবে, ছেলেটা মেয়েটাকে বেশ ভালভাবেই ফ্রি চলতে দিচ্ছে। সমস্যাটা শুরু হয় কয়েকদিন পর থেকেই - মেয়ের ফোন বিজি থাকলে জবাবদিহি করা লাগে, আরেকটা ছেলেবন্ধুর সাথে বেরিয়েছে - সেটার জন্য আগে অনুমতি নিতে হবে, কেন বেরুতে হবে, সেটা ভেঙে বলতে হবে। আর অনুমতি ছাড়া বেরুলে - কেন অনুমতি নেয় নি এটার জবাব, ঠিক কী কারণে বেরিয়েছিল, ঐটাকে ব্যাখ্যা করতে হবে, এতোটাই জরুরী তাহলে তাকে কেন আগে বলা হয়নি - এটাও বলতে হবে।
এটাই তো আস্তে আস্তে বড় সম্পর্কের দিকে অগ্রসর হয়। সাথে সাথে অন্যান্য সবকিছুরই অগ্রসর হয়। কিন্তু জবাবদিহি তার জায়গায়ই থাকে।

আর, ব্যতিক্রমতা?
এটার তো সমাজে কোন দামই নেই। যে ব্যতিক্রম তাকে সবাই ফ্রিক ভাবে, পাগল ভাবে অথবা মনে করে তার কোন কিছু নিয়ে কোন ধারণাই নেই।
উপরের উদাহরণটাতেই, ছেলে ফ্রিভাবে চলতে দিচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হল অন্যদের। কেন দিচ্ছে সে? এটা তো ঠিক না। এভাবে তো মেয়েকে ধরে রাখা যাবে না। তাকে আরো জবাবদিহির ভিতর ঢুকতে হবে। সর্বোপরি, মেয়েকে চাপে রাখতে হবে।
আবার মেয়ের দিক থেকেও একই রকমভাবে বিষ ঢালা হবে - ঐ ছেলের তো তোর প্রতি মনোযোগই নেই। থাকলে তো তোকে প্রশ্ন করতোই, জবাব চাইতোই। চাচ্ছেনা মানে ভালো না। ওকে ছেড়ে দে, হেন তেন হাবিজাবি।
মানে, কেউ ব্যতিক্রমভাবে ভাল করে চলতে চাইবে - তারও উপায় নেই। জোর করে তাকে সাধারণ কাতারে নামানো লাগবেই।

এটার আমার খুবই ভাল অভিজ্ঞতা আছে। সেইজন্যই বললাম।

আপু, ব্যতিক্রমতা এখন এক স্বপ্নের শব্দ। এটা খুঁজে আদৌ পাওয়া যাবে কিনা কে জানে! গেলেও সেইটা কয়দিন টিকে থাকবে সেটাও নির্ণয় করা অসম্ভব।
আমিও এটার খোঁজে আছি।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৩৮

ফাহমিদা আফরোজ নিপু বলেছেন: মনটা ভরে গেছে আশ্বাসে,আপনার মন্তব্য পড়ে,সত্যি। হবে হবে, ব্যতিক্রম একদিন সাধারণ হবে। আপনি আমি আছি না? সমাজ কে? হু দ্যা হেল ইজ সোসাইটি? আই অ্যাম সোসাইটি, য়্যু আর সোসাইটি! সো, আমরা যেটা বলবো সেটাই হবে, হতে বাধ্য।
আমি গত ছ' বছর যাবৎ ডাস্টবিনের বাইরে একটা চকলেটের প্যাকেটও ফেলিনি। অনেকে হাসে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমার দেখাদেখি একজন,তার দেখাদেখি আরেকজন, এভাবে করে একদিন সকালে পুরো বাংলাদেশ হয়ে উঠবে একটি ঝকঝকে বিছানা!
সমাজ এভাবেই বদলাবে। এই যে আপনি একজনও যদি ব্যতিক্রম হয়ে থাকেন,তাহলে তা থেকে একজন একজন করে হলেও বেড়ে তা অচিরেই সাধারণের কাঁতারে চলে আসবে। তখন গর্ব করে বলতে পারবেন,"শুরুটা আমি করেছি।"

৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৪৩

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: সপ্তম শ্রেণীতে থাকা অবস্থা থেকে এরকম স্বপ্ন দেখে আসছি। এখনতো বলতে গেলে ১৬ তম শ্রেণীতে আছি। এখনও স্বপ্নই দেখছি।

মাঝখান থেকে আলাদা হতে গিয়ে - পাগল, বেয়াদব সহ আরো কত কত ট্যাগ খেয়ে বসেছি তার ঠিকই নেই কোন।

তবে ইনশাল্লাহ!! বদলাবে। অবশ্যই বদলাবে। ব্যতিক্রম সবার দলে সাধারণ একজন হয়ে থাকতে কোন অসুবিধা নেই আমার।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:৪৭

ফাহমিদা আফরোজ নিপু বলেছেন: ওসব ছোটোখাটো ট্যাগ দোয়া দোয়া! ওগুলো খেতে হয়,আমি তো হরহামেশা খাই,পেট ভরিয়ে খাই!
শেষের লাইনটা বলে দিচ্ছে আপনি বাঘের দেশের বাঘ! সাবাশ!

৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩

অবুঝ১ বলেছেন: হুম

৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২১

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আশা করি, জ্যামহীন একটা রোববার আপনার জীবনেও আসবে।
//তবে এই "ব্যতিক্রম" এর রূপ আজও কল্পনাতেই লালন করছি,বাস্তবে তার দেখা পাওয়া ঢাকা শহরে ট্র্যাফিক জ্যামহীন রোববার দেখারই সমান!!//

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৪

ফাহমিদা আফরোজ নিপু বলেছেন: আশ্বস্ত করার জন্য সাধুবাদ।

৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৮:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন খুলে লিখেছেন, পড়ে ভালো লাগলো।
আমি গত ছ' বছর যাবৎ ডাস্টবিনের বাইরে একটা চকলেটের প্যাকেটও ফেলিনি -- চমৎকার!

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৩

ফাহমিদা আফরোজ নিপু বলেছেন: সময় নিয়ে পড়েছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞ।
উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.