![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যদি আরেকবার জন্মানোর সুযোগ পাই,তবে নীল পাখি হয়ে জন্মাবো,আবার এই মাটির বুকেই!
শুরুতে তুমি আমার খোঁপায়
শিউলি সাজিয়ে বলেছিলে,
"তোর মেঠোপথের সিঁথিতে,
শিমুল রঙা সিঁদুরকে পথিক সাজিয়ে
আমার অনামিকায় চড়িয়ে ভ্রমণে পাঠাবো।
ঢুকতে দিবি তো আমার অনামিকাকে?"
আমি স্বলজ্জে মাথায় আঁচল টেনে
তোমায় প্রণাম করতে ব্রত হলাম।
তুমি থামিয়ে দিয়ে বললে,
"ও কি করছিস পাগলী?
আমার অমন কুচ্ছিত পায়ে
তোর নরম তুলতুলে হাত ছোঁয়ালে
আমার পাপ হবে যে!"
আমি "যাও!" বলে তোমায় সরিয়ে দিতেই
তুমি বুকের একদম গভীরে টেনে নিলে!
যতটা গভীর হলে
আমি তোমার অস্তিত্বের আস্থা পাবো।
সেখান থেকেই মাঝপথের যাত্রা।
পথটা সোজা কিংবা ঋজু নয়; বন্ধুর।
এরপর কতদিন গেলো!
আমি শিউলি ফুলের অপেক্ষায় থেকেছি।
আমার খোঁপা তো ছাঁই,
শাড়ির আঁচল সরে আসা
উদাম কোমরখানিও
তোমায়
আর আকৃষ্ট করে না।
তোমার মনে আছে?
আমি কৃষ্ণচূড়া কুড়োতে পছন্দ করতাম।
একদিন ডেকে বললে,
"গিন্নি বউদের এত কিসের উঠোনে দৌড়োদৌড়ি?
মালতী তো আছেই সব কাজের জন্য।
তাকে কুড়োতে বোলো।"
আমার খুব হাসি পেয়েছিলো তা শুনে!
মনে হচ্ছিলো,
খিদে পেয়েছে আমার,
আর খেতে দিতে বলছো ঝি কে!
কিন্তু আমি হাসিনি।
বুঝতে পারছিলাম,
আমার মৃত্যু ঘনিয়ে এসেছে।
শেষ দৃশ্যে,
আমার হাসি দেখার অপেক্ষায়
আজ তুমি দাঁড়িয়ে নেই।
ভীষণ ব্যস্ত তুমি।
শুরুতে তোমায় না করতে পারা,
তুলে রাখা প্রণামটা
আজ তোমার ব্যস্ততাকে দিলাম!
আমি তোমায় ছাড়া বাঁচতে শিখে গেছি।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪২
ফাহমিদা আফরোজ নিপু বলেছেন: অক্ষরগুলো ডুব মেরেছিলো কোথায় জানি! তাই আমাকেও বাধ্য হয়ে ডুব দিতে হলো।
মনে রেখেছেন, এতেই আমার লেখা সার্থক!
২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৩
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: উরি বাবা কি সুন্দর শব্দের খেলা, পারেন ও বটে লিখতে, আমি হতাশ,
মুগ্ধতায় ছেয়ে গেল চারপাশ।
"তোর মেঠোপথের সিঁথিতে,
শিমুল রঙা সিঁদুরকে পথিক সাজিয়ে
আমার অনামিকায় চড়িয়ে ভ্রমণে পাঠাবো।
ঢুকতে দিবি তো আমার অনামিকাকে?" একটু বেশিই ভাল লাগল
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫
ফাহমিদা আফরোজ নিপু বলেছেন: কী যে বলেন! কি আর এমন লিখলাম? চেষ্টা করি এই শূন্য মস্তিষ্ক থেকে একটা দুটো করে শব্দের অংক মেলাতে। অসংখ্য ধন্যবাদ, উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্যের জন্য।
৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১৫
তাওহিদ হিমু বলেছেন: একা বাঁচতে শিখা খুব দরকার
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৬
ফাহমিদা আফরোজ নিপু বলেছেন: খুব খুব খুব বেশি দরকার।
৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:৪৮
তিমিরবিলাসী বলেছেন: খুব ভাল লেগেছে +
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৮
ফাহমিদা আফরোজ নিপু বলেছেন: + পাবো আসা করিনি!! কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা নেই। আমন্ত্রণ রইলো শব্দখেলা উপভোগ করার।
৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৮
হাসান মাহবুব বলেছেন: আজকালকার মেয়েরা স্বামীকে প্রণাম করে নাকি? তাও ভালো তাকে ছাড়া বাঁচতে শেখা হলো! +
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫১
ফাহমিদা আফরোজ নিপু বলেছেন: ব্যতিক্রম না থাকলে পৃথিবীটা আজও এত সুন্দর থাকতো না। তারা প্রণাম করতেও জানে, করতে জানে বলে পাওয়ার আশাটাও রাখে!
৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৮
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: কবিতা মনে হয়নি লেখাটাকে, একটা কাহিনীই লাগলো। উপন্যাসিক কাহিনী! সুন্দর ও ব্যতিক্রম লেখা। আমি নাম সাধারণত ভুলি না। মনে থাকে।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০১
ফাহমিদা আফরোজ নিপু বলেছেন: কি জানি কী লিখেছি! আঙুলগুলো অবাধ্য হতে চেয়েছে, তাদের বিচরণ করতে দিয়েছি- এ ই যা!
নাম মনে রাখতে পারা কিন্তু ভালো গুণ!
৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: ফাহমিদা আফরোজ নিপু ,
মানুষের প্রত্যাশার মেঠোপথ যখন সিঁথিতে শিমুল রঙের মতো রঙিন না হয়ে ধূলো ধুসরিত হয়ে যায় বারে বারে তখন মানুষকে নিজে নিজেই বেঁচে ওঠাটা শিখে নিতে হয় । হাত বাড়িয়ে কেউ দাঁড়িয়ে থাকেনা ।
কবিতায় মিললো তেমন ইঙ্গিত-ই । ভালো ।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৬
ফাহমিদা আফরোজ নিপু বলেছেন: ধূলো ধুসরিত পথের সঙ্গী কেউ হতে চায় না। একা একা বাঁচতে শেখাটা তখন মৌলিক চাহিদা বা অধিকারের অন্যতম একটি অংশ হয়ে দাঁড়ায়।
আপনার চমৎকার মন্তব্যে কবিতাটিকে ধন্য মনে হচ্ছে। তার ধন্যবাদটুকু আপনার কাছে পৌঁছে দিলাম, গ্রহণ করবেন।
৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪১
সুমন কর বলেছেন: কবিতায় যেন একটা গল্প পেলাম।
ভালো লাগা রইলো। প্লাস।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১৬
ফাহমিদা আফরোজ নিপু বলেছেন: গল্পই বটে, গল্প হলেও সত্যের মত গল্প!
প্লাস দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞ রইলাম। লেখা পড়তে আসার আমন্ত্রণ রইলো।
৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩২
জুন বলেছেন: শীত সকালে এক অসাধারন কবিতা পাঠ হলো ফাহমিদা আফরোজ নিপু।
পৌষ সকালের উষ্ণ শুভেচ্ছা আপনার জন্য
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৫
ফাহমিদা আফরোজ নিপু বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, জুন দিদি। আপনার উৎসাহব্যঞ্জক মন্তব্য মন ছুঁয়ে গেলো, সত্যি!
শীতের দুপুরের উষ্ণ রোদের শুভেচ্ছান্তে।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩১
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: কতদিন পর আসলেন? ছিলেন কই এতদিন?