![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক উদাস ফকির তারা দানা তসবী গুনিপ্রাণীসম দেহ মাঝে মানুষ নামে স্বপ্ন বুনি
পাখির কলতান শুনি,
বাতাসে নড়ে উঠা ধানগাছের মর্মস্পর্শী আওয়াজ,
আগুনের দাউ দাউ আস্ফালন, পাহালে পাটখড়ির পট পট ধ্বনি,
ভালবাসা প্রকাশের শরীর সঞ্চালন শব্দ শুনি,
নবজাতকের ক্রন্দন শুনি-
সকল শব্দ একত্রে চলমান, কিছু বিস্ফোরিত, কখনও স্থবির, কখনও প্রবহমান,
শহরের শব্দ শুনি- গ্রাম্য আবহের শব্দ, দিন রাত্রির,
অল্পবয়সী বাচালের প্রিয় অযথা সংলাপ,
খাওয়ার সময়ের কর্মজীবি লোকের অট্টহাসি,
শত্রুতার রাগাম্বিত উচ্চস্বর, রোগীর বিলাপ,
জজের টেবিলে হাতুড়ী পিটানোর শব্দ, তার মলিন পাণ্ডুবর্ণ ঠোঁটে উচ্চারিত
মৃত্যুদন্ডের ঘোষনা শুনি-
ঘাটে জাহাজ ভিড়ানোর, নোঙর ফেলার শব্দ শুনি
ঢং ঢং বেজে উঠা ঘন্টা, আগুনের ক্রন্দন শুনি
ট্রেনের হুইশালের শব্দ, বাস ট্রাকের হর্ণের শব্দ
যন্ত্র ঘর্ষণের ঝিক ঝিক, যাত্রীর হাকডাক, ট্রাফিকের হুইশাল শুনি-
বেহালার সূর শুনি
গিটার, তবলার ঐক্যতান কর্ণকুহরে মায়াবী আলোড়ন তুলে,
ভাবনাকে মাতাল করে,
কাদ, হাত-পা ছন্দময় আন্দোলিত হয়।
গণমানুষের কোরাস শুনি, অসংখ্য মানুষের হৃদয়ের প্রতিধ্বনি শুনি,
পৌরষদীপ্ত কণ্ঠস্বর সৃষ্টিশীলতায় মাতিয়ে তুলে
তার মুখমন্ডল আর কন্ঠের অভিব্যক্তি পরিপূর্ণ তৃপ্তি এনে দেয়।
মাঝে মাঝে রঙ্গালয়ে যাই-
প্রশিক্ষিত কণ্ঠ নিয়ে অপরূপ রমনী শৈল্পিক উচ্চারণে মাতিয়ে তুলে
বাদকদল উড়িয়ে নিয়ে যায়, যেন ঘুরপাক খেতে থাকি শনির বলয়ে,
পাল তোলা নৌকার মত দুলতে থাকি, নগ্ন পায়ে তাদের বাদ্যতরঙ্গে নেচে উঠি-
নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে! আফিমের মাদকতা! উড়নচন্ডী হয়ে যাই!
দীর্ঘ সময় প্রহেলিকার হেয়ালিতে মেতে থেকে সেইসব মাতাল সংগীত শুনি-
শুধু তোমর মুখ থেকে
‘ভালোবাসি তোমায়’ শব্দ দু'টি
কোনদিন শুনি নি,
কোনদিন না!
২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৪২
ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৮
প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ