নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফকির আবদুল মালেক

ফকির আবদুল মালেক

আমি এক উদাস ফকির তারা দানা তসবী গুনিপ্রাণীসম দেহ মাঝে মানুষ নামে স্বপ্ন বুনি

ফকির আবদুল মালেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ছোট ছোট কথামালা-২

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০২



এক.
জার্মান প্রতিষ্ঠান 'বেরটেলসম্যান স্টিফটুং' তাদের রিপোর্টে - বাংলাদেশ এখন স্বৈরশাসনের অধীন এবং সেখানে এখন গণতন্ত্রের ন্যূনতম মানদন্ড পর্যন্ত মানা হচ্ছে না বলে মন্তব্য করার পর অনেকে এখন বাকশালের কথা ভাবছেন, মূল্যায়ন করছেন।

দুই.
আজকে বাকশালকে গালি দিয়ে একদল সর্বহারার বিপ্লবের কথা বলে, চীনের আদলে কিউবার আদলে, আরেকদল বলে ইসলামী বিপ্লবের কথা, ইরানের আদলে। জানতে ইচ্ছা সেগুলা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বলে এই বিপ্লবীরা মানেন কিনা? জানেন কিনা? সেখানে গনতন্ত্র নেই স্বীকার করেন কিনা?

তিন.
স্বপ্নে স্বপ্নে বিরোধ হয়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধু কন্যার স্বপ্ন দেশকে উন্নত বিশ্বের অাদলে গড়ে তোলা।




চার.
বঙ্গবন্ধু বলেন- আমি যা বলি, তাই করে ছাড়ি। যেখানে একবার হাত দেই সেখান থেকে হাত উঠাই না। বলেছিলাম এদেশকে মুক্ত করে ছাড়বো, মুক্ত করেছি। বলেছি শোষণহীন দুর্নীতিমুক্ত সমাজতান্ত্রিক বাংলা গড়বো, তাই করে ছাড়বো, ইনশাল্লাহ। কোনো কিন্তুটিন্তু নাই, কোনো আপোষ নাই।

পাঁচ.
বঙ্গবন্ধু দৃঢ প্রত্যয়ী ছিলেন।
বলেন- হয়তো শেষ পর্যন্ত ওরা আমাকে মেরে ফেলতে পারে। পরোয়া করি না। ও মৃত্যু আমার জীবনে অনেকবার এসেছে। একসিডেন্টলি আজো আমি বেঁচে আছি। অবশ্যই আমাকে মরতে হবে। তাই মৃত্যু ভয় আমার নেই। জনগন যদি বোঝে আমার আইডিয়া ভালো, তাহলে তারা তা গ্রহণ করবে। আমার কর্মসূচী বাস্তবায়ন করবে। আমার একটা বড় স্বান্তনা আছে, যুদ্ধের সময় আমি জনগনের সাথে থাকতে পারিনি। জনগণ আমারই আদেশ ও নির্দেশে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। আজকের এই শোষণমুক্ত সমাজতন্ত্র বা অর্থনৈতিক মুক্তির বিপ্লবে আমি যদি নাও থাকি, তাহলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমার বাঙালীরা যে কোনো মূল্যে আমার রেখে যাওয়া আদর্শ ও লক্ষ্য একদিন বাংলার বুকে বাস্তবায়িত করে ছাড়বে ইনশাল্লাহ।




ছয়.
বঙ্গবন্ধু সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন-
যারা বাকশালকে একদলীয় ব্যবস্থা বলেন, তাদের স্মরণ করতে বলি, ইসলামে ক’টি দল ছিলো? ইসলামী ব্যবস্থায় একটি মাত্র দলের অস্তিত্ব ছিলো, আর তা হলো খেলাফত তথা খেলাফতে রাশেদীন। মার্কসবাদও একটি মাত্র দলের অনুমোদন দিয়েছে। চীন, রাশিয়া, কিউবা, ভিয়েতনাম কিংবা অন্যান্য ইসলামী রাষ্ট্রে কতটি করে দল আছে? এইসব ইসলামী রাষ্ট্রসমূহকে বাদ দাও, ওখানে মহানবীর ইসলাম নেই। বস্তুত প্রকৃত গণতন্ত্র বা সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বার্থেই একটি একক জাতীয় রাজনৈতিক সংস্থা থাকা বাঞ্ছনীয়।

তথ্
http://www.jonmojuddho.com/about-bksal/.

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬

তিক্তভাষী বলেছেন: তাইলে আর বাকশাল কেন? ইসলামী ব্যবস্থাই সই। ইহকাল পরকাল একসাথে রক্ষা!

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:২১

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: যদি ইসলামী ব্যবস্থাই সই হয়, সেখানেও পচা তন্ত্র বাংলাদেশের গনতন্ত্রের স্থান নেই।

২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৮

ক্স বলেছেন: বাংলাদেশে একটি মাত্র দল গণতন্ত্রের চর্চা করে, সেটি কিন্তু ইসলামী দল। একটি মাত্র দল ইসলামের সাথে সংঘর্ষিক ধারা গঠনতন্ত্রে অন্ত্রভুক্ত না করে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন বাতিলের ঝুঁকি নিয়েছে। গণতন্ত্র, দলীয় আনুগত্য, আদর্শের চর্চা বলে কিছু থাকলে ঐ একটি দলেই আছে।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: গণতন্ত্রের পথ, ইসলামের পথ নয়, এটা স্পস্ট।

৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলার মানুষযকে আক্রমণ করেছিল পাকিস্তানী সেনা বাহিনী, বাংলার মানুষ নিজের দেশযকে স্বাধীন করেছেন; ২২ হাজার মুক্তিযো্দ্ধা ও লাখ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। সরকার গঠন করেছিলেন অদক্ষরা, সেটা আজও চলছে।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২৭

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: আমাদের গণতন্ত্রের এমনই মহিমা যোগ্য লোক ক্ষমতায় যাওয়ার সব রাস্তা বন্ধ থাকে। সিস্টেমেই গন্ডোগোল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.