![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক উদাস ফকির তারা দানা তসবী গুনিপ্রাণীসম দেহ মাঝে মানুষ নামে স্বপ্ন বুনি
১.
এসো নিজেকে খুঁজি, হে, এসো আপনার গান গাই।
নিথর নিরালায় আমি আমাকে ডাকি, আয় আয়…
আমার উচ্চারণ, আত্মার রক্তক্ষরণ, মস্তিষ্কের অনন্য রসায়ন থেকে উত্থিত, ইথারে প্রবহমান, তুমি শুনতে পাও। আমি এসেছি আমার পিতামাতা থেকে, তারা তাদের পিতামাতা থেকে। এখন আমি চল্লিশে, প্রাণবন্ত টগবগে যৌবন নিজের মাঝে উপলব্দি করি। আশা করি, মৃত্যু দ্বারা থেমে যাব না এখনই।
বিশ্ব-বিদ্যালয় প্রাঙ্গন আমার পদচারনায় মুখরিত থেকেছে, আমার হয়নি শিক্ষগ্রহণ। আমার সকল মক্তব আজ মুখ থুবরে পরে আছে শূন্য হাহাকারে। আমি আশ্রয় নিয়েছি মৌলিকে, আমার উচ্চারণগুলি প্রাকৃতিক, শক্তি আর সামর্থে সৃষ্টিপ্রবন।
২.
নতুন বইয়ের মাদক গন্ধে মাতাল আমার ঘর, পুরানো বইয়ের প্লাবিত সুবাসে মুখরিত আমার গ্রন্থাগার। আমি আমার গন্ধ খুঁজি, আমি আমাকে জানি এবং পছন্দ করি। গ্রন্থাবদ্ধ বিন্যাসিত ভাবনাগুলো আমাকে আলোড়িত করে, আমি আলোড়িত হই কিন্তু স্থির থাকি না।
আমার নি:শ্বাস-প্রশ্বাস, হৃৎ-কম্পন, রক্ত সঞ্চালন, আমার ফুসফুসের উঠানামা, গন্ধহীন বায়ু প্রবাহের আসা-যাওয়া, আমার জীবন। বর্ণিল শব্দরাজরা বৈচিত্রময় অর্থ আর বোধ নিয়ে আসে আমার আঙিনায়, বায়ুর রথে চড়ে।
কিছু আলো আমাকে চুম্বন করে, কিছু আলো আমাকে আলিঙ্গন করে। গাছের পাতাদের মাঝে আলো ছায়ায় খেলা করে। নির্জনে কিম্বা রাজপথে অথবা মেঠো কিম্বা পাহাড়ের ধারে আছরে পরে আলো। অই গাছেদের, লতা-গুল্ম আর শ্যাওলা ছত্রাকের আলো খাওয়ার দৃশ্যগুলো আমার বোধে উন্মোচিত হয়, আমিও আলো খাই, দেহগত উৎফুল্লতা টের পাই, বিপুল বিক্রমে মধ্য-দুপুরের সূর্য্য আমার মাঝে জাগরিত হয়, আমি বিপুল উচ্চারনে গান গেয়ে উঠি, অন্ধকার থেকে ক্রমাগত আমি সূর্য্যের মুখোমুখি দাঁড়াই-
আমার উচ্চারনগুলো গন্ধহীন বায়ু স্পন্দনে ছড়িয়ে যায়-
কে তুমি গ্রন্থকীট, দেশের সীমানা ছাড়িয়ে তুমি বহুজাতিক?
কে তুমি অর্থ খুঁজ সকল কবিতার?
থামো আমার সাথে একটু হাটো, সকল কবিতার মুল খুঁজে পাবে তুমি। এই সৃষ্টিশীল প্রণবন্ত পৃথিবী আর আলোময় সূর্যের মুখোমুখি তুমি দাঁড়াও। দ্বিতীয় বা তৃতীয় পক্ষ থেকে গ্রহণ করো না কিছুই, জ্ঞানগর্ভ আলোচনা গলঃধারন করো না। আমার হাতে হাত রেখে এসো একটু শুন, ছেকে নাও আপন ছাকুনীতে।
৩.
লোকে বলে, কোথা থেকে এলাম, কোথায় যাব চলে? আমি শুরু আর শেষের কথা বলি না।
‘এখন’ই শ্রেষ্ট সময়, ‘এখন’ যৌবন আর সৃষ্টিশীলতা কম্পনে মাধুর্যময়। এখনকার চেয়ে শ্রেষ্ট সময় পাবে না তুমি, এখনই তুমি উপভোগ করতে পারো শ্রেষ্টতম বেহেস্ত অথবা দোজগ।
‘বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি’ ধারণার বিপরীতে হোক তোমার পথ চলা। বিপরীত লিঙ্গের দৃষ্টি আকর্ষণ করো, পারস্পরিক দায়িত্ব গ্রহণ করো আর পরস্পরের শরীরকে উপভোগ করো। বিপরীত লিঙ্গের আচড়ে আঁকা চিত্রের চেয়ে শৈল্পিক কোন চিত্রকর্ম নেই অনুভব ক্যানভাসে। আত্মকাম বা সমকামে লিপ্ত থেকো না। সর্বদা আপন অনন্যতা বুপন করে যাও; নিজের শারীরিক স্বাতন্ত্র স্পষ্ট করো, নব নব সৃষ্টি প্রসব করো । অতিরিক্ত তর্ক কোন কাজে লাগে না, শিক্ষিত আর অশিক্ষিত অনুভুত অনুভবে কোন পার্থক্য তৈরী করে না।
সহজভাবে ভাবতে শিখ আর নিজের কাছে সৎ থোকো, হও নিবেদিত প্রাণ, হও ঘোড়ার মতো বলবান, উদ্ধত আর গতিশীল; নিশ্চিতভাবে জেনো আমি এবং এই অলৌকিক পথনির্দেশনা, আমরা এখানেই।
স্পষ্টতা আর মাধুর্যতায় ভরপুর আমার হৃদয় এবং এখনও সমস্ত স্পষ্টতায় উদ্ভাসিত নয় আমার হৃদয়, জটিলতা মাকড়শার জাল বুনে যাচ্ছে অবিরত। সমস্ত অদেখা দেখা দ্বারা স্পষ্ট হয়। কিছু খবর আসে অপ্রমানিত, তাঁরা উর্ধ্বজগত আর পরজগতের কথা কয়।
লোকেরা পাপাত্মা আর পূণ্যাত্মাকে পার্থক্য করে, তারা সূক্ষ্ম তন্ত্র-মন্ত্র, শ্লোক, আয়াত উচ্চারণ করে , তারা অর্থের চেয়ে উচ্চারণ রীতির শুদ্ধতার কথা কয়, তারা গভীর তর্কে জড়িয়ে যায়, রক্তপাতের হুলিখেলায় মেতে উঠে, আমি কোন পক্ষ নেই না, চুপ থাকি, নানাবিধ তর্কগুলো আমার দেহে নোংরার মতো ঘৃনা তৈরী করে, আমি গোছলখানায় যাই এবং নিজেকে সম্মান করতে থাকি। যে কেহ হৃদয়বান আর পরিচ্ছন্ন ভাবনার অধিকারী, আমি স্বাগত জানাই। হৃদয়ের পরিচ্ছন্নতা ছাড়া আমি মানুষে মানুষে কোন পার্থক্য চিহ্নিত করি না।
আমি আনন্দিত হই- আমি নাচি, হাসি আর গান গাই; যখন দেখি, যেমন আমি আমার কোল-বালিশ আলিঙ্গন করে জড়িয়ে থাকি অন্ধকারে এবং আলোক বিন্দু উঁকি দিলে দূরে ফেলে দেই, তেমনি দূরে ছুড়ে ফেলছো আমায়, স্পষ্ট আলোর উচ্ছাসে। যা কিছু আলো বলে মনে হচ্ছিল আমার কাছে, সেগুলো নিশ্চিত আলো বটে কিন্তু তুমি এনেছো আরও স্পষ্ট আলোর লন্ঠন। আমি তোমাকে কুর্ণিশ করি যেমন সূর্য্যকে কুর্ণিশ করতে করতে দৃশ্যহীন হয় চাঁদের আলো। আমি তোমাকে সামনে ঠেলে দেই, তোমাকে অনুসরন করতে থাকি।...
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: ঙ্কিছু বুঝলাম না।