![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তার কথার চেয়ে আর কার কথা অধিক উত্তম যে মানুষকে নেকের দিকে আহবান করে এবং নিজে সৎ কাজ করে আর বলে আমিতো একজন মুসলিম। সূরা ফুসিলাত আয়াত ৩৩
আল্লাহ তা’লা কুরআনের ৬নং সূরা আন’আম এর ১০৩ নং আয়াতে এরশাদ করেন,
"তিনি দৃষ্টির অধিগম্য নন, তবে দৃষ্টিশক্তি তার অধিগত”"
অর্থাৎ চক্ষু আল্লাহকে দেখতে পারেনা বলে এরশাদ করা হয়েছে।
পবিত্র কুরআনের ৪২ নং সূরা আশ শূরা এর ৫১ নং আয়াতে উল্লেখ আছে,
"কোনো মানুষের জন্যই সম্ভব নয় যে, আল্লাহ ওহীর মাধ্যমে বা পর্দার আড়াল থেকে ছাড়া তার সাথে কথা বলবেন"
এছারাও কুরআনের ৭ নং সূরা আল আরাফ এর ১৪৩ নং আয়াতে উল্লেখ আছে,
"অতপর মূসা যখন আমার নির্ধারিত সময়ে উপস্থিত হলো এবং তার রব তার সাথে কথা বললেন তখন সে আকূল আবেদন জানালো, হে প্রভু! আমাকে দর্শনের শক্তি দাও, আমি তোমাকে দেখবো৷তিনি বললেনঃ তুমি আমাকে দেখতে পারো না৷ হাঁ সামনের পাহাড়ের দিকে তাকাও ৷ সেটি যদি নিজের জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারে তাহলে অবশ্যি তুমি আমাকে দেখতে পাবে৷ কাজেই তার রব যখন পাহাড়ে জ্যোতি প্রকাশ করলেন তখন তা তাকে চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিল এবং মূসা সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে গেলো"
অতএব কুরআন কারীমের এ সকল সুস্পষ্ট নির্দেশনার আলোকে মুসলিম উম্মাহ একমত যে, পৃথিবীতে কেউ আল্লাহকে দেখতে পারবেনা।
রাসুলুল্লাহ মুহাম্মাদ (সাঃ) কি আল্লাহর দর্শন লাভ করেছিলেন ???
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) থেকে একটি সহীহ হাদীসও বর্ণিত হয়নি, “যাতে তিনি বলেছেন যে, আমি জাগ্রত অবস্থায় পৃথিবীতে বা মি’রাজে চর্ম চক্ষে বা অন্তরের চক্ষে আল্লাহকে দেখেছি।
“রাসুলুল্লাহ (সাঃ)আল্লাহকে দেখেছিলেন কিনা সে বিষয়ে তার স্ত্রী আয়েশা (রা) কে '‘মাসরুক্ব'’ নামে একজন তাবেঈ (তাবেঈ মানে অনুসারী, তবে ইসলামের পরিভাষায় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সাহাবীদের ছাত্রদের বুঝানো হয়) জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তর দেন, “ তোমার কথা শুনে আমার শরীরের পশম কাঁটা দিয়ে খারা হয়ে গেছে! যে একথা বলে যে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আল্লাহকে দেখেছে সে মিথ্যা বলেছে”।
[ সহীহ মুসলিম ১ম খন্ড হাদীস নং ৩৩৭ ও ৩৩৯]
আবূ যর (রা) বলেন আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করেছি, "“আপনি কি আপনার রবকে দেখেছেন? উত্তরে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, ‘তিনি আল্লাহ (নূর), তা আমি কি রূপে দেখব?”"
[ সহীহ মুসলিম ১ম খন্ড হাদীস নং ৩৪১]
এ ব্যাপারে ইবনু মাসাউদ (রা) ও অন্যান্য সাহাবীগণ একমত।
"পক্ষান্তরে ইবনু আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, মি’রাজের রাত্রিতে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) অন্তরের দৃষ্টি দিয়ে আল্লাহকে দেখেছিলেন। আল্লাহ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে অন্তরের দৃষ্টি দিয়ে দর্শনের মুজিজা দান করেছিলেন”"
[ইবনু খুযাইমা, কিতাবুত তাওহীদ ২/৪৭৭-৫৬৩]
এখানে আলিমগণ একমত যে, এই দর্শন হচ্ছে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর জন্য একটি বিশেষ মুজিজা, যা আর কারো জন্য নয় এবং এই দর্শন হৃদয়ের অনুভব, যেখানে কোনো আকৃতির উল্লেখ নেই।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আল্লাহকে কোনো আকৃতিতে দেখেছেন অথবা তিনি ছাড়া কোনো ছাহাবী আল্লাহকে দেখেছেন বলে যা কিছু বর্ণিত সবই জাল ও মিথ্যা।
মিরাজের রাত্রিতে বা আরাফার দিনে, বা মিনার দিনে বা অন্য কোনো সময়ে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তার মহান প্রভুর মহিমাময় আল্লাহকে বিশেষ কোনো আকৃতিতে দেখছেন অর্থে সকল হাদীস বানোয়াট।
"যেমন যুবক অবস্থায় দেখেছেন, তাজ পরিহিত অবস্থায় দেখেছেন, উটের পিঠে বা খচ্চরের পিঠে দেখেছেন... এগুলো সবই বানোয়াট”"
[ইবনু ইরাক, তানযীহুশ শরিয়াহ]
এছারাও আরেকটি ভিত্তিহীন বাক্য হলো,
“"আমি আমার প্রভুকে (আল্লাহকে) একজন দাড়ি-গোঁফ ওঠেনি এমন যুবক রূপে দেখছি”"
[ইবনুল জাওয়ী, আল মাওযূ’আত ১/৮০-৮১; সুয়ূতী, লা-লাআলী ১/২৮-৩১; মুল্লা আল কারী, আল আসরার, ১২৬ পৃ]
অনুরূপভাবে উমার (রা) নামে জালিয়াতগণ বানিয়েছেঃ "“আমার প্রভুর নূর দ্বারা আমার অন্তর আমার প্রভুকে দেখেছে”"
আলী (রা) নামে জালিয়াতগণ বানিয়েছেঃ “ "যে প্রভুকে আমি দেখিনা সেই প্রভুর আমি ইবাদত করিনা”"
[সিররুল আসরার পৃ ৫৭-৫৮]
তাই এ কথা বলার অপেক্ষা রাখেনা যে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) পূর্ববর্তী নবীদের মতই ইহলৌকিক জীবনে আল্লাহর দর্শন লাভ করার সুযোগ লাভ করেন নি।
২৪ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:৩৭
ফারহাত৮৮৯ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
২| ২৪ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১০:৪৮
প্রমিথিউস22 বলেছেন: শুকরিয়া ভাই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করার জন্য। এ রকম আরোও লেখা চাই।
২৪ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ১১:৪০
ফারহাত৮৮৯ বলেছেন: ইনশাআল্লাহ্
৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:৩৯
কান্টি টুটুল বলেছেন: ভাল লাগল।
৩০ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১:০৮
ফারহাত৮৮৯ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:৫৫
সাইফ বাঙ্গালী বলেছেন: সুন্দর ও রেফারেন্স দিয়ে আলোচনার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ
৩০ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১:০৭
ফারহাত৮৮৯ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১:০৪
নীরব দর্শক্ বলেছেন: খুবই ভাললেগেছে।
৩০ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১:০৮
ফারহাত৮৮৯ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ
৬| ৩০ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১:১৮
খাজা মুহাম্মদ মাসুম বলেছেন: আপনার আলোচনার প্রথম পড়্ব ঠিক আছে । কিন্তূ হযরত মউহাম্মদ (সা.) যে আল্লাহ কে মিরাজে গিয়ে দেখা করেন নই বা মেরাজ যে স্ব শরিরে হয়েছে তা আপনি আস্বিকার করছেন যা উদ্দেশ্য প্রনদিত ও মিথ্যায় পরিপুর্ন ।
হযরত মুহাম্মদ (সা.) মিরাজের রাতরিতে মহান আল্লাহর সম্মানিত আমন্ত্রনে খুবই জোওক পৃথিবির ইতিহাসের আল্লাহ কর্তিক সর্বচ্চ সম্মান আমাদের নবি হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে দিয়েছেন । দিবেন না কেন তিনি তো আল্লাহর সব চেয়ে প্রিয় মাহবুব । তার জন্যই তো সকল আয়োজন ।
তিনি হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও আল্লাহ মিরাজের সময় এত কাছা কাছি অবস্থান করেছেন কোরআনুল মাজিদে সে সম্পর্কে বলা হয়েছে দুটি ধনুক এক সাথে রাখলে যত কাছা কাছি আমার আল্লাহ ও তার প্রিয় মাহবুব তার চেয়েও কাছা কাছি ছিলেন ।
তিনি কোন ক্রমেই মনে মনে মিরাজে যান নাই । কোরআন কে অসৃকার করা হবে তাহলে । তার পর ও হযরত আবু বকর ছিদ্দিক (রা.) প্রিয় নবির কাছে জানতে চাইলেন ।হে আল্লাহর রাসুল আল্লাহ দেখতে কেমন ? তিনি বলেছেন আবু বকর তিনি দেখতে আমার মত ।
আপনার গবেষনার জন্য বলি এক হযরত মুহাম্মদ (সা.) ব্যাতিত কেহই আল্লাহ কে দেখতে পারে না । হযরত মুহাম্মদ (সা.) ব্যাতিত আল্লাহর এই পৃথিবিতে কোন আগ্রহ নেই আমাদের ব্যাপারে ।
দয়করে কঠিন বা জটিল বিষয় গুলো কে না জেনা । লিখা লিখিতে আনবেন না । ইসলামের গুরুত্ব পুর্ন বিষয় গুলো নিয়ে সমস্যা তৈরি না করে । যে বিষয় গুলো সকলের কাজে আসে এি সকল বিসয় নি্যে লিখুন । ভাল করবেন । মেরাজ বিষয়ে আলোচনা করার মত আলেম পৃথিবীতে খুব কম আছে । আর আপনি আর আমি না জেনে অন্তত উচ্চ মধ্যমিক ধারনা না থাকিলে কেন অপ্রয়োজনে বিষয় গুলো লিখবো ।
৩০ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:২৪
ফারহাত৮৮৯ বলেছেন: // ইসলামের গুরুত্ব পুর্ন বিষয় গুলো নিয়ে সমস্যা তৈরি না করে । যে বিষয় গুলো সকলের কাজে আসে এি সকল বিসয় নি্যে লিখুন । ভাল করবেন //
আমি মনেকরি ইসলামের প্রত্যেক টি বিষয় ই গুরুত্বপূর্ণ । এবং যতটুকু জানি সেই বিষয়ে অবশ্যই সঠিক ধারণা থাকা জরুরি।
///তিনি কোন ক্রমেই মনে মনে মিরাজে যান নাই । কোরআন কে অসৃকার করা হবে তাহলে।//
আমার ঊপরে উল্লেখিত তিনটি সহীহ হাদীস দ্বারা যদি "তিনি কোন ক্রমেই মনে মনে মিরাজে যান নাই" একথা বুঝে থাকেন তাহলে আপনি আমার পোস্ট ঠিকমত পরেন নি।
//তার পর ও হযরত আবু বকর ছিদ্দিক (রা.) প্রিয় নবির কাছে জানতে চাইলেন ।হে আল্লাহর রাসুল আল্লাহ দেখতে কেমন ? তিনি বলেছেন আবু বকর তিনি দেখতে আমার মত //
আপনার উপরের ঘটনাটির কোনো রেফারেন্স দেননি। এবং এটা সহীহ হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক।
// আর আপনি আর আমি না জেনে অন্তত উচ্চ মধ্যমিক ধারনা না থাকিলে কেন অপ্রয়োজনে বিষয় গুলো লিখবো//
আমি স্বীকার করি আপনি আমার থেকে বেশি জানেন। এতে আমার কোনো আপত্তিও নেই।
কুরআনে ১৬ নং সূরা আন-নহল এর ৪৩ নং আয়াতে উল্লেখ আছে
"যদি তোমরা নিজেরা না জেনে থাকো তাহলে বাণীওয়ালাদেরকে জিজ্ঞেস করো"
আর আমি এ ক্ষেত্রে (পিস টিভির বক্তা আবু আমিনা বিলাল ফিলিপস, আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর ) এর সাহায্য নিয়েছি; তাদের বই পড়ার মাধ্যমে।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৭| ৩০ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:০৩
আশরাফ মাহমুদ মুন্না বলেছেন: .
গুড জব।
ধন্যবাদ।
৩০ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৩০
ফারহাত৮৮৯ বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:১৮
মাজহার অপু বলেছেন: ২০১১-এসে যদি এখনও সুপার ম্যান, ব্যাট ম্যান, এসব খুজে বেড়ান, কমিক পড়ে পড়ে তাহলে কি আর বলার আছে। বাস্তবে আসার চেষ্টা করুন। আপনার লেখা পড়ে যাতে মানুষ কিছু ভাবে, ভাবায়.তার চেষ্টা করুন। নতুবা লেখার সময় লিখে দিন বাচ্চাদের জন্য।
একটু মজা করলাম। যদিও অনেকের কাছে বিব্রতকর।।
ভাল থাকবেন আর আপনাদের খোদাও ভালো থাকুক- যেখানেই থাকুক,যেভাবেই থাকুক।
৩০ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:২৯
ফারহাত৮৮৯ বলেছেন: আপনিও ভাল থাকবেন। আমি দোয়া করি আল্লাহ যেন আপনাকে, আমাকে
সবসময় সঠিক পথে রাখে।
আমিন।
৯| ৩০ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:৩০
নীরব দর্শক্ বলেছেন: @..খাজা মুহাম্মদ মাসুম, আপনার কমেন্টস আশা করছি।
লেখক বলেছেন: "//তার পর ও হযরত আবু বকর ছিদ্দিক (রা.) প্রিয় নবির কাছে জানতে চাইলেন ।হে আল্লাহর রাসুল আল্লাহ দেখতে কেমন ? তিনি বলেছেন আবু বকর তিনি দেখতে আমার মত //
আপনার উপরের ঘটনাটির কোনো রেফারেন্স দেননি। এবং এটা সহীহ হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক।"
১০| ৩০ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৮:২১
কান্টি টুটুল বলেছেন: @খাজা মুহাম্মদ মাসুম----)আপনার গবেষনার জন্য বলি এক হযরত মুহাম্মদ (সা.) ব্যাতিত কেহই আল্লাহ কে দেখতে পারে না ।
এই তথ্য কোথায় পেলেন?সূত্রের উল্লেখ ছাড়া এই রকম তথ্য কেন দেন?
//হযরত মুহাম্মদ (সা.) ব্যাতিত আল্লাহর এই পৃথিবিতে কোন আগ্রহ নেই আমাদের ব্যাপারে ।
আমাদের ব্যাপারে কার আগ্রহের কথা বলছেন?কেন বলছেন?
১১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:২৩
কনক ২০২০ বলেছেন: বৈঞ্জানীক বিশ্লেষণে আকৃতীহিন/নিরাকার কোনো কিছুই চর্মচক্ষুর দৃষ্টিগোচর হয় না ।
১২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮
আমি_মুসলিম বলেছেন: আচ্ছালামুয়ালাইকুম প্রিয় ভাইয়েরা ।
আলহামদুল্লিলাহ, জাজাকাল্লাহু খাইরান ।
আপনাদের লিখা থেকে অনেক উপকৃত হলাম। আমি সহিহ হাদিস বিশ্বাস করি হয়ত অনেক সময় হাদিস পুরপুরি বুঝতে সক্ষম হই না কিন্তু তারমানে এইনা যে আমি হাদিস মানি না । আল কুরআন ও সহিহ হাদিস এর উপর ঈমান রাখার চেষ্টা করি। আপনাদের পোস্ট গুলার পড়ার পরে আমার কাছে কিছু বেপার খুব জটিল লাগছে তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করছি আর তা হোল নিন্মের হাদিস গুলো নিয়ে সবগুলাই সহিহ হাদিস আমি এই হাদিস গুলা বিশ্বাস করি কিন্তু বুঝতে পারছিনা ।
আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে (আল্লাহকে) অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখেছেন। সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) হাদিস নং ৩৩৩ ।
আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও আবূ সাঈদ আল আশাজ্জ (রহঃ) ... ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি مَا كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَأَى - وَلَقَدْ رَآهُ نَزْلَةً أُخْرَى “তিনি যা দেখেছেন, তার অন্তকরণ তা অস্বীকার করে নাই নিশ্চয়ই তিনি তাকে আরেকবার দেখেছিলেন” (৫৩ঃ ১১ -১৩) আয়াতদ্বয় তিলাওয়াত করলেন এবং এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বললেন, তিনি [রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] স্বীয় অন্তর্দৃষ্টিতে তাঁকে (আল্লাহকে) দুবার দেখেছিলেন। সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) হাদিস নং ৩৩৪ ।
মহান আল্লাহ্র আকার আছে। তিনি নিরাকার নন। তবে সেই আকার কেমন, তা কেউ জানে না। তিনি বলেছেন "কোন কিছুই তার সদৃশ নয়, তিনি সর্বশ্রোতা সর্বদ্রষ্টা " (সুরা শূরাঃ১১) তাকে বেহেশতে দেখা যাবে। তার দীদারই হবে বেহেশতে সবচেয়ে বড় সুখ। মহানবী (সাঃ) স্বপ্নে আল্লাহকে দেখেছেন। তিনি বলেছেন, আমি আমার প্রতিপালককে সবচেয়ে সুন্দর আকৃতিতে দর্শন করেছি ।
আহমাদ, তিরমিজী, সহিহুল জামে' ৫৯নং
এই খানে নবী সঃ এর ব্যাপারে বলা হচ্ছে যে তিনি তার রব কে দেখেছেন অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে । যার মানে খোলা চোখে, মানে চর্ম চোখে নয় । অন্তরচক্ষু দ্বারা দেখেছেন বা স্বপ্নে । কিন্তু বাস্তবে নয় ।
যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) মাসরুক (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) এর কাছে হেলান দিয়ে বসেছিলাম। তখন তিনি বললেন, হে আবূ আয়িশা! তিনটি কথা এমন, যে এর কোন একটি বলল, সে আল্লাহ সম্পর্কে ভীষণ অপবাদ দিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, সেগুলো কি? তিনি বললেন, যে এ কথা বলে যে, মুহাম্মাদ তার প্রতিপালককে দেখেছেন, সে আল্লাহর উপর ভীষণ অপবাদ দেয়। আমি তো হেলান অবস্থায় ছিলাম, এবার সোজা হয়ে বসলাম। বললাম, হে উমুল মু”মিনীন! থামুন। আমাকে সময় দিন, ব্যস্ত হবেন না। আল্লাহ তা’আলা কুরআনে কি ইরশাদ করেননিঃ “তিনি (রাসুল) তো তাঁকে (আল্লাহকে) স্পষ্ট দিগন্তে দেখেছেন-, (২৩ঃ ৮১), অন্যত্র “নিশ্চয়ই তিনি তাকে আরেকবার দেখেছিলেন” (৫৩ঃ ১৩)
আয়িশা (রাঃ) বললেন, আমিই এ উষ্মতের প্রথম ব্যাক্তি, যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলেছিলেনঃ তিনি তো ছিলেন জিবরীল (আলাইহিস সালাম) কেবলমাত্র এ দু-বারই আমি তাঁকে তাঁর আসল আকৃতিতে দেখেছি। আমি তাঁকে আসমান থেকে অবতরণ করতে দেখেছি। তাঁর বিরাট দেহ ঢেকে ফেলেছিল আসমান ও যমীনের মধ্যবতী সবটুকু স্থান।
আয়িশা (রাঃ) আরও বলেন, তুমি কি শোননি? আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ তিনি (আল্লাহ) দৃষ্টির অধিগম্য নন, তবে দৃষ্টিশক্তি তাঁর অধিগত এবং তিনই সূক্ষ্মদর্শী ও সম্যক পরিজ্ঞাত” (৬ঃ ১০৩) এরুপ তুমি কি শোননি? আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ “মানুষের এমন মর্যাদা নাই যে, আল্লাহ তার সাথে কথা বলবেন ওহীর মাধ্যম ব্যতিরেকে অথবা পর্দার অন্তরাল ব্যতিরেকে অথবা এমন দুত প্রেরণ ব্যতিরেকে যে তাঁর অনুমতিক্রমে তিনি যা চান তা ব্যক্ত করেন, তিনি সমুন্নত ও প্রজ্ঞাময়” (৪২ঃ ৫১)।
আয়িশা (রাঃ) বলেন, আর ঐ ব্যাক্তিও আল্লাহর উপর ভীষণ অপবাদ দেয়, যে এমন কথা বলে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর কিতাবের কোন কথা গোপন রেখেছেন। কেননা আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেছেনঃ হে রাসুল! আপনার প্রতিপালকের কাছ থেকে যা অবতীর্ণ হয়েছে তা প্রচার রুকন, যদি তা না করেন তবে আপনি তার বার্তা প্রচারই করলেন না। (৫ঃ ৬৭)
তিনি (আয়িশা (রাঃ) আরো বলেন, যে ব্যাক্তি এ কথা বলে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর ওহী ব্যতীত কাল কি হবে তা অবহিত করতে পারেন, সেও আল্লাহর উপর ভীষন অপবাদ দেয়। কেননা আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “বল, আসমান ও যমীনে আল্লাহ ব্যতীত গায়েব সম্পর্কে কেউ জানে না। ” (২৭ঃ ৬৫)
কিন্তু নিচের হাদিস দ্বারা এইটা পরিষ্কার যে নবী সঃ তার রব কে সরাসরি দেখতে না পেলেও কিছু দেখেছেন যা ছিল নূর ।
আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করেছি, আপনি কি আপনার প্রতিপালককে দেখেছেন? তিনি [রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)] বললেনঃ “তিনি (আল্লাহ) নূর, আমি কি করে তা দৃষ্টির অধিগম্য করব”। সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) হাদিস নং ৩৪০
মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার, হাজ্জাজ ইবনু শাইর (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু শাকীক (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, আমি আবূ যার (রাঃ) কে বললাম, যদি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাক্ষাৎ পেতাম, তবে অবশ্যই তাঁকে একটি কথা জিজ্ঞেস করতাম। আবূ যার (রাঃ) বললেন, কি জিজ্ঞেস করতেন। তিনি বলেন, আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করতাম যে, আপনি কি আপনার প্রতিপালককে দেখেছেন? আবূ যার (রাঃ) বলেছেন, এ কথা তো আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তিনি বলেছেনঃ আমি নূর দেখেছি। সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) হাদিস নং ৩৪১
আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও আবূ কুরায়ব ... আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সামনে পাঁচটি কথা বললেনঃ আল্লাহ কখনো নিদ্রা যান না। নিদ্রিত হওয়া তাঁর সাজেও না। তিনি তাঁর ইচ্ছানূসারে তুলাদণ্ড নামান এবং উত্তোলন করেন। দিনের পূর্বেই রাতের সকল আমল তার কাছে উত্থিত করা হয় এবং রাতের পূর্বেই দিনের সকল আমল তাঁর কাছে উত্থিত করা হয়। এবং তার পর্দা হল নূর (বা জ্যোতি)।
আবূ বকরের অন্য এক বর্ণনায় النُّورُ এর স্থলে النَّارُ (আগুন) শব্দের উল্লেখ আছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যদি সে আবরণ খুলে দেয়া হয়, তবে তাঁর নূরের বিভা সৃষ্টি জগতের দূশ্যমান সব কিছু ভস্ম করে দেবে। আবূ বকরের অন্য রেওয়ায়েতে حَدَّثَنَا শব্দের স্থলে عَنْ শব্দের উল্লেখ আছে।
আপনাদের পোস্ট এর অপেক্ষাই রইলাম যদি আমার লিখা কোন ধরনের ভুল ত্রুটি থাকে থাকে তাহলে আল্লাহ্ যেন আমাকে মাফ করেন ।
জাজাকাল্লাহু খাইরান
আচ্ছালামুয়ালাইকুম
১৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪
আহলান বলেছেন: এসব বিষয় নিয়ে তর্ক বা যুক্তি উপস্থাপন কোনটাই করা উজিৎ নয় ...
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:৪৪
Abdullah Arif Muslim বলেছেন: জাজাকাল্লাহু খাইরান। ধন্যবাদ দলিল সহকারে লেখার জন্য। আপনার ব্লগ পরিদর্শনের আমন্ত্রন জানানো হইলো আপনাকে।