নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসসালামলাইকুম। আমি ফারিহা হোসেন প্রভা,ঢাকা সবুজবাগ থেকে। ছোট বেলা থেকেই আমার ইচ্ছে ছিলো আমাদের দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কিছু করার। দেশের নারীদের নিয়ে অনেক কাজ করার ইচ্ছা আছে আমার এবং আমার স্বপ্ন দেশের একজন স্বশিক্ষিত নেত্রী হওয়া।

ফারিহা হোসেন প্রভা

একজন খুব সাধারণ মানুষ তবে অসাধারণ কেও হতে চাই ! ফেবু আইডিঃ Fariha Provs

ফারিহা হোসেন প্রভা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শেষ ইচ্ছা : শেষ পর্ব

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

সাইফ অসুস্থ! ডাক্তারের কাছে গেলো,
-তোমার কিছু হয়নি বাবা। যাস্ট গলায় একটু ঘা হয়ে গেসে আর কি। ঠিক হয়ে যাবে। তুমি ওষুধ পত্র ঠিকমত নাও।
গলার ঘা কিছুতেই ভালো হচ্ছেনা, দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। সাইফ নেশা করা এখনো ছাড়েনি। সে এখনো দিনে বিশটার বেশি সিগারেট খায়। সাইফের বন্ধু তার খবর নেওয়ার জন্য সাইফের ভাই কে কল দিলো,
-ভাইয়া, সাইফের কি অবস্থা এখন? কি রেসাল্ট আসলো?
সাইফের ভাই ফোণে কাদছে।
-ভাইয়া? কি হলো? কিছু বলছেন না কেন?
-তোমাদের বন্ধুরতো গলায় ঘা থেকে ক্যান্সার হয়ে গেছে!
-কি!
বড় বড় ডাক্তারের কাছে নিয়ে এবং কি বিদেশে নিয়েও সাইফের চিকিৎসা করানো হলো। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। এখনো আগের মতই অবস্থা বরং আরো বেশি খারাপ হচ্ছে। সবাই দোষ দিচ্ছে সাইফের অতিরিক্ত নেশা করাকে। কিন্তু এই নেশা কেন?
-দোস্ত আমার পূরভীকে এনে দে আমার কাছে। ওকে ছাড়া বাঁচবো না আমি। আমি পূরভীরে চাই। আমি পুরভীরে চাই।
-তুই কি রে? এতকিছু হইয়া গেলো। তোর শরীরের দিকে তাকাইয়া দেখ। কি অবস্থা করসোস, সবই তো ওই পূরভীর দোষ।
-ওই শালা তুই এইডা কি কইলি? আমার পূরভীরে দোষারোপ করতাসোস! তোর এত বড় সাহস! আমার পূরভী আমাকে ভালোবাসে নাই। আমাকে বুঝে নাই। কিন্তু ও কি কইসে আমাকে নেশা করতে? ওর কেন দোষ দেস? আমার নিজের দোষেই তো সব হইসে। এখন আমি কিছু জানি না। তোরা ব্যাবস্থা কর, আমার পূরভীরে আইনা দে।
সাইফের ভাই ও ভাবির রিকুয়েস্টে সাইফের বন্ধুরা মিলে পূরভীর সঙ্গে যোগাযোগ করলো। পূরভী শুনে প্রথমে বিশ্বাস করেনি। কিন্তু পরে সাইফের সঙ্গে সাইফের বন্ধুরা দেখা করিয়ে দেয়। তারপর বুঝতে পারে সাইফের আসলে কি হয়েছে। পূরভী আসলে অনেক কনফিউজড। কিভাবে কি হয়েছে কিছুই বুঝতে পারছে না।
-আমি না করে দিয়েছিলাম বলে এইভাবে নেশা! নেশা থেকে ক্যান্সার!
পূরভী কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। এখন সাইফকে একটু সময় দেওয়া শুরু করেছে। ফোণ করে খবর নেয়। ঔষুধ ঠিকমত খেয়েছে নাকি, খাবার ঠিকমত খাচ্ছে নাকি। আরো কত কি!
সে যে বসে আছে একা একা, রঙিন স্বপ্ন তার বুনেতে
সে যে চেয়ে আছে ভরা চোখে, জানালার ফাঁকে মেঘ ধরেতে।।
সাইফের কানে শায়ানের এই গানটি সারাদিন বেজে চলছে....
দ্বিতীয় বারের মত আবার প্রেমে পরতে চায় তার পূরভীর।
পূরভীর এভাবে সাইফের খেয়াল রাখতে রাখতে সাত মাস পার হয়ে যায়। সাইফের অবস্থা, যতক্ষণ পূরভী পাশে থাকে ততক্ষণ ভালো। কিন্তু পূরভী চলে গেলেই তার অবস্থা খারাপ থেকে অধিক খারাপ হয়ে যায়।
-ওগো ভালোবাসা আমার, তুমি শুনছো? তোমাকে আমি একটি গিফট দিতে চাই। তুমি নিবে?
-কি গিফট?
-আচ্ছা তোমার নীল রঙ কেমন লাগে? আমার প্রিয় রঙ কিন্তু নীল।
-ভালোই লাগে। কেন?
-না কিছু না। ঘুরতে যাবে আমার সাথে?
-কই?
-ওই সবুজে ঘেরা জঙ্গলে।
-জঙ্গল! কি বলো!
-হাহাহাহা মজা করছিলাম রে পাগলি।
বড় অবেলায় পেলাম তোমায়, কেন এখনই যাবে হারিয়ে?
কি করে বলো রবো একলা? ফিরে দেখো আছি দাঁড়িয়ে।
কেন হঠাত তুমি এলে? কেন রয়ে তবে পুরোটা জুড়ে?
-পল্লিমার সামনে এসো দেখা হবে।
-আমিতো অসুস্থ রে পাগলি। তুমি আসো না একটু।
-না তুমি আসো।
সাইফ গেলো কষ্ট করে তার পুরভীর সঙ্গে দেখা করতে। তার ভালোবাসার কাছে সব হেরে যাবে দুনিয়ার।
-এই নাও। তোমার জন্য।
-কি এটা?
-বাসায় গিয়ে খুলে দেখো কেমন।
বাসায় গিয়ে সাইফের দেওয়া উপহারটি খুলে দেখলো, একটি নীল রঙের শাড়ী। সাথে কাঁচের চুড়িও আছে। বাহ! দারুন!
-ওমা! এতো দেখি একটা চিঠিও আছে।
“পূরভী, আমার ভালোবাসা। আমার জীবন। আমি জানি আমি বেশিদিন বাঁচতে পারবো না। তোমায় একটু দেখতে চাই এই নীল রঙের শাড়ীতে প্লিজ। তুমি সময় করে একদিন এসো রমনা পার্কে। দেখা করবো।”
পূরভী ভাবছে এবার একটু বেশিই হয়ে যাচ্ছে। ও অসুস্থ অসুস্থ বলে আমার প্রয়োজনীয় সময়টুকও কেঁড়ে নিতে চাচ্ছে। না সে যাবে না। সাইফের ফোণ ধরে না। কোনোরকম যোগাযোগ নেই তাদের মাঝে। একদিন সাইফের ভাবি পূরভীকে ফোণ দিয়ে বলল,
-তুমি কেন ওর সাথে কথা বলো না? ওতো পাগলামি করে তোমার সাথে কথা না বলতে পারলে তুমি জানো না?
-ভাবি দেখুন আমারও একটা লাইফ আছে। পরিবার আছে, ভালোবাসার মানুষ আছে। সব কিছু ফেলে দিয়ে তো আর ওর জন্য আসতে পারবো না তাই না?
-তোমাকে বলছি না ওকে সময় দাও সারাদিন। বলছি দিনে একটিবার করে হলেও কথা বলো ওর সঙ্গে।
-না আমি পারবো না আর দুঃখিত।
-পূরভী, তুমি কি জানো ওর হাতে বেশি সময় নেই?
-মানে?
-হ্যা ও তোমাকে কিছুই বলেনি। তোমাকে নীল শাড়ী দিয়েছে কেন জানো? ওর প্রিয় রঙ এবং এটাই ওর মৃত্যুর শেষ ইচ্ছা।
-মানে কি ভাবি!
-ডাক্তার বলেছে ওর হাতে অল্প কয় মাস আছে। বেশিদিন বাঁচবে না আর। তাই আমাদের বলেছে ওর প্রিয় রঙের শাড়ীতে তোমাকে দেখাই ওর মৃত্যুর শেষ ইচ্ছে।
পূরভী বাকহীন হয়ে পরলো।
শুনছো কি তুমি আমাকে? ছিলে আমার হয়ে পুরোটা।
রবে কোথায় রেখে আমাকে? এ পথ চলায় তোমাকে চাই....
সবুজ ঘাসের উপরে বসে সাইফ অপেক্ষা করছে তার প্রিয়তমার জন্য। সবুজ গাছে ঘেরা সেই রমনার মনোরম দৃশ্যে হঠাত করে সাইফের চোখ পরলো সেই মায়ায় ঘেরা মেয়েটির দিকে। ঠিক তেমনিভাবে আবারো প্রেমে পরে গিয়েছে। পূরভীর দিকে প্রথমবার তাকিয়ে যেমনি ভাবে তার সিগারেটের আগুনে হাত পুড়ে গিয়েছিলো, ঠিক আজ তেমনি গোলাপ ফুলের কাঁটা লেগে হাত আবারো কেটে গেলো। পূরভী? এ যেন সাইফের জন্যই পৃথিবীতে পাঠানো এক অপরূপ সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ নারী। সবুজ ঘাসের উপর হেঁটে হেঁটে নীল রঙের শাড়ীতে পূরভী, আজ শুধুমাত্র সাইফের জন্য এসেছে।
সাইফ পূরভীর হাতে গোলাপ ফুল দিলো। পূরভী দেখলো সাইফের হাত কেটে গিয়েছে গোলাপের কাটায়।
-কিভাবে কেটে গিয়েছে? খেয়াল করো নি তুমি? খেয়াল কই থাকে হুম?
-তোমাকে দিকে।
-ও তাই! বসো এখানে।
জীবনে প্রথমবার পূরভী সাইফের হাত ধরলো, বুঝতে পারলো সাইফের অবস্থা। আজ কেন জানি খুব খারাপ লাগছে সাইফের জন্য। মনে হচ্ছে এই তাদের শেষ দেখা। আর কখনো সাইফের সঙ্গে কথা বলতে পারবে না। আজ পরিবার, পড়াশুনা, নিজের বয়ফ্রেন্ড সব কিছুই ভুলে গেলো।
-আজ কেন জানি তোমাকে বিদায় দিতে ইচ্ছে করছে না সাইফ।
-কেন?
-জানি না। ইচ্ছে করছে তোমার সঙ্গে দূরে কোথাও চলে যাই।
-হাহাহাহাহা কি যে বলো! তোমার তো পরিবার আছে। নিজের পড়াশুনা আছে এবং কি তোমার ভালোবাসার মানুষও আছে। সব কিছু ফেলে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত ছেলেটির কাছে কেন থাকবে?
-জানি না। কিছু মনে না করলে তোমায় কি একটিবার জড়িয়ে ধরতে পারি?
সাইফ চুপ করে একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে পূরভীকে জড়িয়ে ধরলো।
-আজ মনে হচ্ছে অসুস্থ হয়ে জীবনে সার্থক হয়েছি। আমার পূরভীর ভালোবাসা পেলাম অবশেষে।
পূরভী কাঁদছে। কেঁদেই চলেছে অনবরত.....
সাইফকে বিদায় দিয়ে আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে। কয়দিন পর একটি ফোণ আসলো গভীর রাতে,
-হ্যালো পূরভী?
-জি ভাবি? এতো রাতে!
-পূরভী সাইফের অবস্থাতো খুব খারাপ। তুমি জলদি এসে পরো প্লিজ ওকে দেখতে।
-ভাবি এখনতো রাত তিনটা বাজে। আমি কিভাবে আসবো?
-পূরভী, সাইফের শেষ নিঃশ্বাসে তুমি থাকবে না?
পূরভী চুপ করে ফোণটা কেটে দিয়ে রেডি হয়ে গেলো। পূরভীর মা,
-কিরে এতো রাতে কই যাস? তোর কি মাথা খারাপ?
-মা তোমাকে একটি ছেলের কথা বলেছিলাম না? ঐযে ক্যান্সার হয়েছে।
-হ্যা।
-তার অবস্থা খুব খারাপ মা। আমাকে যেতে হবে।
কোনোমতে একটা সিএনজি নিয়ে চলে আসলো হসপিটালে। কেমন যেন সব শূন্য লাগছে। নিরিবিলি, নিস্তব্ধ সব কিছু। খুব ভয় করছে। সাইফের ক্যাবিনের একটু সামনে আসতেই কান্নার আওয়াজ আসছে। পূরভী আর এগুতে পারছে না। ওখানেই নিশ্চল।
-সাইফ! সাইফ! সাইফ তোমার কি হয়েছে!
সাইফের চোখ খোলা। মনে হচ্ছে যেন ঠিক পূরভীর দিকে তাকিয়ে আছে। পূরভীও সাইফের দিকে তাকিয়ে আছে। একটু পর সাইফের ভাই এসে সাইফের চোখ বন্ধ করে দিলো এবং সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে দিলো সাইফের দেহ। পূরভী? এই দৃশ্য দেখে অজ্ঞান!
জ্ঞান ফিরার পর তাকে নিয়ে যাওয়া হলো সাইফের কবরের সামনে। মানে সাইফকে কবর দেওয়া হবে। তখন মনে হচ্ছিলো জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল করেছিলো পূরভী সাইফকে না করে। সেদিন যদি সাইফকে না করে অপমান না করতো তাহলে হয়তবা এখন কিছুই হতো না। কিন্তু সব কিছুতো আল্লাহ্‌ তা’য়ালার আদেশেই হয়ে থাকে। কারো কিছু করার থাকে না। এভাবে হাজারও মানুষকে অন্যের হৃদয় ভেঙে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হয়। বিদায় নিতে সাইফ বাধ্য। এখন তার পরিবার আছে এবং সাথে পূরভীর ভালোবাসাও আছে। সব আছে, কোনো কিছুর কমতি নেই। আছে শুধু কমতি জীবনের সময়ের।

তুমি কেন বুঝো না, তোমাকে ছাড়া আমি অসহায়
আমার সবটুকু, ভালোবাসা তোমায় ঘিরে
আমার অপরাধ ছিলো যতটুকু, তোমার কাছে
তুমি ক্ষমা করে দিয়ো আমায়....।

মন্তব্য ৬১ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৬১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৫২

রাকু হাসান বলেছেন:

সাইফ পূরভীকে দোষ না দেওয়ায় ভালো লাগলো ।প্রকৃত ভালোবাসা সেটাই যেখানে দোয়ারোপের জায়গাটা খুব কম । সাইফ ভালো থাকুক ।
কিছু টাইপো আছে ঠিক করে নাও :)

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: হুম চেষ্টা করেছি অন্তত একটু ভালো রাখার সাইফকে। হিহিহি... কেমন আছেন ভাইয়া? অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। অনেক দিন পর। শুভ সন্ধ্যা।

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষের মতো এত দুঃখী মানুষ পৃথিবীর আর কোথাও নেই।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৯

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: হুম তবে সেই দুঃখ টা কিন্তু আমরা নিজেরাই টেনে নিয়ে আসি। সকল দুঃখ কষ্ট থেকে আমরা যদি শিক্ষা গ্রহণ করি, তাহলে হয়তবা ২য় বার আর আমাদের দুঃখ কষ্ট পেতে হবে না।

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ব্লগে ফিরেছি কিছুদিন হলো।
আগের কোনো পর্ব পড়িনি।
মনে হয় বড়গল্প কিংবা উপন্যাস!

দেখা হবে অন্য লেখায়।
শুভকামনা।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। পাশেই থাকুন। ব্লগ থেকে কোথায় চলে গিয়েছিলেন জনাব? স্বাগতম আপনাকে।

৪| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


আজকাল অনেক ছেলেমেয়ে ভালোবাসার কাছাকাছি মানসিক সমস্যায় ভুগছে, অস্বাস্হ্যকর ভালোবাসা

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার আপনার মন্তব্যের জন্য। গল্প কি ভালো লেগেছে আপনার স্যার?
ভালো থাকবেন সব সময়। শুভ সন্ধ্যা।

৫| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: গল্প ভালো লেগেছে । অবুঝ প্রেম ভালোবাসা বুঝতে পারেনা, সাইফ রা তো শুধু কেঁদেই মরে ।

শুভকামনা রইল ।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: জি তবে আপনার মতে এই ধরণের ওয়ান সাইড লাভের ক্ষেত্রে সমাধান কি ভাইয়া?
ধন্যবাদ ধন্যবাদ আপনাকে অনেক। ভালো থাকবেন সর্বদা। শুভ সন্ধ্যা।

৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১৯

আরোগ্য বলেছেন: ভালো লেগেছে আপু। এবার একটা কবিতা দিয়ে ফেলুন।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৪

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: কবিতা লিখার জন্য পরিবেশ ও সময় প্রয়োজন। যা আমার কাছে নেই ভাইয়া। তবে চেষ্টা করবো।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২৩

সূর্যালোক । বলেছেন: পড়ছি,খারাপ লাগছে।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: হুম গল্পের প্রত্যেকটি লাইনের মর্ম বুঝতে পারলে অবশ্যই খারাপ লাগবে। লিখার সময় আমারও খারাপ লেগেছিলো খুব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া। শুভ সন্ধ্যা।

৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

নজসু বলেছেন: আমি তো সময়ই পেলাম না বোন।
আজকে পাঠ করে মন্তব্য করার ইচ্ছা রইল।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:১৬

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: পাঠ করেছেন ভাইয়া?
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন সব সময়। শুভ রাত্রি।

৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৩

হাবিব বলেছেন: সুন্দর গল্প লিখেছেন। এটাই কি শেষ ইচ্ছা?

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:১৮

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: পূরভীকে নীল শাড়িতে দেখাই তার শেষ ইচ্ছে।
জানি একটু ওড লাগছে ব্যাপারটা। তবুও জানতে চাই, কেমন লেগেছে?
ধন্যবাদ স্যার আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন সব সময়। শুভ রাত্রি।

১০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২২

মুক্তা নীল বলেছেন: # বড় প্রেম শুধু কাছে টানেে না, দুরেও ঠেলে দেয়। # গল্পে ভালোলাগা রুইলো। শুভকামনা করছি।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:১৮

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: ধন্যবাদ জানাই আমার বোনকে। আপু মুক্তা নীল কেন দিয়েছেন নামটা?

১১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪৭

বলেছেন: ভালোবাসা ভালো না

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:২০

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: আপনার কাছে এটাই মনে হলো অবশেষে?
হুম ছেলেদের প্রতি ভালোবাসা জন্মানো ভালো না মেয়েদের মনে, আমিও তাই মনে করি।
ধন্যবাদ জনাব আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন পাশে থাকুন। শুভ রাত্রি।

১২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৬

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: আজকাল এই কর্পোরেট ভালবাসার যুগে সত্যিকারের ভালবাসা পাওয়াটাই মুশকিল ।

নেই বললেই চলে ।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩০

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: জি ভাইয়া ঠিক বলেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৯

রাকু হাসান বলেছেন:

হুম ভালো আছি । তুমি তো ভালো । শুভকামনা রইল ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৩

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ভালোবাসার ব্যাখ্যা একেক জনের কাছে একেক রকম। ইদানিং ভালোবাসায় কমিটমেন্ট থাকে না, এটা বড় সমস্যা।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৪

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: আমার মতে ধর্মের বিধি বিধান মেনে চললে আর কোনো সম্পর্কে সমস্যা তেমন হবে না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

১৫| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৫৩

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ভালোবাসা মানুষকে কখনো কাদায় আবার কখনো হাসায়।
ভালোবাসা এদুটোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
গল্পটা বেদনাদায়ক।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভ কামনা আপনার জন্য।

১৬| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৬

আব্দুল্লহ আল মামুন বলেছেন: গল্পের দুটো পর্বই মনোযোগ দিয়ে পড়েছি। আশা করি সামনে আরো ভালো লিখবেন। কল্পলোকের গল্পের চাইতে জীবনকে গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন করে লিখলে তা হৃদয়কে বেশি নাড়া দেয়। আমিও আপনার মত গল্প লেখার চেষ্টায় আছি। আমার ব্লগটা ঘুরে আসতে পারেন, যদিও ব্লগে কম লিখি, কম সময় দেই, তবুও। আপনার জীবন ঘনিষ্ট অভিজ্ঞতা আমারও কাজে লাগতে পারে। ধন্যবাদ।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: স্বাগতম জনাব আপনাকে। অবশ্যই সময় পেলেই ঘুরে আসবো এখন থেকে কিন্তু। আপনিও আমার পাশে থাকবেন আশা করি।

১৭| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫১

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ভালো হইছে লেখা ।

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৮

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১৮| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২১

তারেক ফাহিম বলেছেন: মনোযোগ দিয়ে পড়লাম।

গল্প ভালোহয়েছে।

গল্পের নায়ক সাইফের প্রশংসা না করলেই নয়।
নিজের দোষেই সব হয়।

গল্পের মাঝের অংশগুলো কবিতার ভাব আছে।
অাপনি চেষ্টা করলে ভালো ভালো কবিতাও অামাদের উপহার দিতে পারেন।

শুভকামনা নিরন্তন।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৪

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ জনাব। আশা করি সব সময় আপনাকে পাশে পাবো।
আমার ভালোবাসা নিবেন। ভালো থাকবেন।

১৯| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪১

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: প্রথম থেকে সাইফের ক্যান্সার ব্যপারটা রিভিল না করলে মেইবি আরো উপভোগ্য হত। ভালোই লাগছে এমনিতে। :)

সে যে বসে আছে শায়ানেরই গান, তবে তার পুরো নাম শায়ান চৌধুরী অর্ণব, আমরা তাকে অর্ণব নামেই চিনি। গানের কথা শাহানা বাজপেয়ীর লেখা। চাইনা ভাবিস অ্যালবাম এ ছিলো! B:-/

ছবি দুটো কাদের? 8-|

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৬

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: জি সঠিক বলেছেন। গানের কিছু লাইন যুক্ত করলাম কারণ লিখার সময় গানের লাইনগুলো মনে পরছিলো তো তাই।
অনেকদিন পর আপনার মন্তব্য পেয়ে অনেক অনেক খুশি হলাম। কেমন আছেন জনাব? আশা করি ভালো আছেন। আমার পাশেই থাকবেন। ধন্যবাদ।

২০| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৮

নজসু বলেছেন: নতুন লেখা কবে?

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:১৭

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: আপনারা লিখছেন, সেগুলো পড়েই সময় কাটছে এখন। আরো কিছুদিন সময় কাটুক। কি বলেন?
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মানষিক সমস্যায় জর্জরিত ভালোবাসা ।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:০৬

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: জি। তবে এ থেকে বের হওয়ার সমাধান কি আপনার মতে?
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: তিনটি সমাধান: -
১। পারিবারিক ভালোবাসা, পরিবারের একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ।
২। পারিবারিক ভালোবাসা, পরিবারের একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ।
৩। পারিবারিক ভালোবাসা, পরিবারের একে অপরের প্রতি ভালোবাসা ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্‌! অনেক সুন্দর একটি কথা বলেছেন জনাব। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাহমুদের সঙ্গে আবার ঠাকুর কেন জানতে পারি কি?

২৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন: জীবনকে বুঝতে হবে। জীবন অনেক কঠিন।
জীবন অনেক সহজ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: আমার কাছে জীবন মানে এক গ্লাস শরবত। যেখানে চিনির সঙ্গে লবণেরও চাহিদা আছে। কিন্তু লবণের চাইতে অধিক বেশি পরিমাণে থাকবে চিনি। সেই চিনিটা কিন্তু আমাদের নিজেদেরই দিতে হবে পছন্দমত। তাহলেই শরবত পরিপূর্ণভাবে হবে টেস্টি।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার। পাশেই থাকুন।

২৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:২৯

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: ভালো লাগল।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে শুনে আমারও ভালো লাগছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। সব সময় ভালো থাকবেন।

২৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: ভালো আছি! আপনি ভালো আছেন তো? :)

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০২

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: জি আলহামদুলিল্লাহ্‌ আপনাদের দোয়ায় আছি ভালো।

২৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১২

মাহের ইসলাম বলেছেন: আপনি আমার মন খারাপ করে দিলেন !

ঘটনা কি পুরোপুরি সত্য ?

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৯

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: না জনাব, সত্যি নয়। তবে চিন্তা করুন সত্যি হলে কি করুণ ঘটনাই না হতো।
মন খারাপ করাতে চাইনি আপনার, দুঃখিত।
শুভ কামনা আপনার জন্য।

২৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫১

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: যেতে নাহি দিব হায়,
তবু যেতে দিতে হয় ,
তবু চলে যায় :(

জীবন কি এমনই???

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২১

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: জি জনাব, জীবন এমনই। মাঝেমাঝে আমাদের সাথে লুকচুরির খেলা খেলে কখনো আমাদের হাসায় আবার কখনো কাঁদায়।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য আপনাকে।

২৮| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৩৮

প্রামানিক বলেছেন: খুব ভালো লাগল। ধন্যবাদ

২০ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৬

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: স্যার আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভ রাত্রি।

২৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৩

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আমার কাছে কারো মন্তব্য ভালো লাগেনি


আমার মতে বাংলাদেশ এমন একটা দেশ যেখানে ভালোবাসার কোন দাম নাই। এখানে প্রেমের পরিণতি হয় মরন। না হয় ধুকে ধুকে বেচে থাকা। কারন আমাদের অর্থনীতি। কেমনে? একটা ছেলে ভালোবাসে তার ক্লাসের মেয়েকে। সে ইন্টারে পড়ে। (উদাহরণ) তো মেয়ের বাবা তাকে বিয়ে দেয়ার জন্য যখন পাত্র খুজে।সেটা ইন্টার পাসের পর হোক আর অনার্স পাস
ছেলে তখন বেকার।


২)অনেক সময় এই বিভিন্ন কারনে প্রেম নষ্ট হয়। এর জন্যও আমাদের ফালতু সংস্কৃতি দায়ী
। আজব এক দেশ।।।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: যথাযথ বলেছেন। সহমত আমি আপনার সঙ্গে। এই কারণেই আমার বাবা-মা'র শর্ত ছেলেকে আমার চাইতে ৭-৮বছরের বড় হতে হবে। কিন্তু এটা খুব ডিফিকাল্ট। আমিতো চাই সে ৩-৪বছরের সিনিওর হোক আমার চাইতে। এখন দেখি কি হয়.....শুভ রাত্রি।

৩০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

নাজমুল হক সাগর বলেছেন: অনেক অনেক অনেকটা ভালো লাগে আপি তোমার লেখাগুলো
তুমি বিশ্বাস করো আর নাই বা করো।।।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০১

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: আমি মুগ্ধ এত সুন্দর অনুপ্রেরণামূলক একটি মন্তব্য পেয়ে সত্যি বলছি। আপনি বিশ্বাস করুন কি না করুন।
অনেক অনেক ভালবাসা রেখে যাচ্ছি আপনার মন্তব্যে। শুভ রাত্রি।

৩১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৫

জুনাইদ-বিন-কায়েস বলেছেন: জলবৎ তরলং সুন্দরং

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.