![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সারা জীবন শুধু পথের সন্ধানে ছুটে চলেছি আমি, সত্যের সন্ধান আর মেলেনা। পথ অনেক দূরের। মানুষের দেয়া কষ্টগুলো জমিয়ে এখন ভীষণ একলা চলি আমি। অন্যের কাছে আশা করি না। শুধু বিশ্বাস করি নিজের বাবা-মাকে। পৃথিবীর মানুষগুলো শুধু কষ্ট দেয় আমায়। তাই এখন আর অন্যের ওপর ভরসা না করে নিজের যোগ্যতায় এগিয়ে চলা। আসলেই কি যোগ্য আমি। কোথাও কোন বন্ধু নেই। সহযোগীর চেয়ে শত্রু বেশী। যেখানে যাই শত্রু কুড়াই। কর্মক্ষেত্রে, নিজ জীবনে সব জায়গায়। মানুষের মুখ দেখে মানুষ সত্যি চেনা দায়। মানুষ ক্ষণে ক্ষণে গিরগিটির মতো রং বদলায়। আমি মানুষকে সত্যি বিশ্বাস করতে চাই। কিন্তু বিশ্বাস করা বড়ো দায় হয়ে দাড়ায়। পিছন থেকে ছুরি মারা সদা প্রস্তুত মানুষগুলো বড়ো ভাবায়। একটু আগের সবচেয়ে বড় বন্ধু ক্ষণিকের মাঝে অচেনা হয়ে যায়। সবাই যার যার মতো আখের গোছায়। আর আমি চেয়ে থাকি। নাকি ওরাই ঠিক। আর আমি সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে জানি না। চোখের পলকে নিজের চেহারা পাল্টাতে পারি না। আমি আসলে বোকার দলে। সময় থেকে পিছিয়ে পড়েছি। আমার মধ্যে আজকাল অবিশ্বাস গুলো আনাগোনা করে। অথচ মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ।তারপরও মনে হয় আলোর সন্ধান আমি পাবোই।ফারজানা
আর কিছুক্ষণের মাঝে আসবে ১১'ই ফেব্রুয়ারী। ফেব্রুয়ারী বাঙ্গালীর প্রাণের মাস, বসন্তের মাস, বইমেলার মাস, একুশের মাস। সেই সঙ্গে ফেব্রুয়ারী এখন আমার ব্যাক্তিগত জীবনে দুঃখের মাস।
গত বছর ১১'ই ফেব্রুয়ারী নিজগৃহে সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনি নৃঃসংশভাবে খুন হয়েছেন। খুনীরা এখনো পর্দার আড়ালে। নতুন নতুন খবরের ভীড়ে হারিয়ে গেছে সাগর-রুনি। মেঘের কথা এখন তার পরিবারের কয়েকজন ছাড়া আসলে কতজন মনে করে?
আমরা মনে মনে জানি, এই দুটো প্রাণ আর আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু কিছুই করতে পারি না। পারি না, কারন, আমাদের হাত বাঁধা আইনের কাছে, বিচার ব্যবস্থার কাছে আর তথাকথিত তদন্তের নামে প্রহসণের কাছে।
সাগর-রুনী হত্যাকান্ডে পর, আমরা দেখেছি, কিভাবে বদলে গেছে চেনা মানুষ গুলো মুখ। দেখেছি, কত মানুষ মুখোশের আড়ালে আসলে ভীষন স্বার্থান্বেষী হিংস্র মানুষ। তারা প্রশাসনের মিষ্টি মুখ আর প্রলোভনে সব, সব ভুলে যায়।
সাহারা খাতুনের ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম আজ ৩৬৫ দিন মানে ১ বছর গড়িয়ে গেল। তদন্তের কোন আশাজনক খবর এখন পর্যন্ত শুনিনি।
মেঘের দায়িত্ব নিয়েও হলো, অনেক অনেক প্রহসণ। আজ মেঘের খবর কেউ রাখে না। মেঘ যেন অসীম আকাশে ভেসে যাওয়া মেঘদলের একজন। এই ছোট্ট শিশুটি যে একজন কোমল প্রাণের মানুষ তা আমরা ভুলেই গেছি। এই শিশুটি এখনো অনেক অনেক ছোট্ট। ভাবে, তার বাবা-মা আসলে অনেক দূরে ঘুরতে গেছেন। বাবা-মা যে না ফেরার দেশে গেছেন, মেঘ এখনো তা বোঝে না।
আজ যদি মেঘের মামা বা নানিরা না থাকতো তাহলে এতিমখানায় বড় হতে হতো মেঘকে। কারন, প্রধানমন্ত্রী মেঘের দায়িত্ব নিয়ে সম্পূর্ণ ভুলে গিয়েছেন তাকে। মেঘের হাতে দুই লাখ টাকার একটি চেক তুলে দিয়ে উনার দায়িত্ব শেষ হয়ে গেছে বলেই মনে হয়। আর খেয়াল করবেনই বা কোনমুখে কারন, তিনি বলে ফেলেছিলেন, সাংবাদিক দম্পাত্তি তাদের বেডরুমে খুন হয়েছেন।
সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের পর কিছু ব্যাপার খুব লক্ষ্যনীয় ছিলো। এটি এন বাংলার মালিক মাহফুজের এবং তার সাঙ্গপাঙ্গদের ভয়াবহ আস্ফালন। মাহফুজুর রহমান, রুনিকে নিয়ে ক্রমাগত বাঁজে মন্তব্য করতে লাগলেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাচাল বলে আখ্যায়িত করলেন। অথচ, পুরো প্রশাসন থেকে শুরু করে এই লোকটির বিরুদ্ধে তেমন কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
সাগর-রুনির হত্যাকান্ডের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন সাপখেলাও চোখে পড়ার মতো। কেউ এওয়্যার্ডের লোভে, কেউ খ্যাতির জন্য, কেউ চ্যানেলের জন্য নতুন খবরের আশায়আর কেউবা নিজ নিজ ঘাড় বাচানোর দৌড়ে লিপ্ত ছিলেন। বিশেষত জয়-ই-মামুনসহ কিছু খুব পরিচিত মুখের বদলে যাওয়া দেখে হতভম্ব হয়ে যাই আমি। খুব কম মানুষকে সত্যিকার অর্থে মেঘ আর তার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে দেখেছি। আবার এটাও অস্বীকার করার উপায় নেই, যে মেঘের জন্য প্রতিটি সাধারণ মানুষের ভালবাসা ছিলো শ্রদ্ধা করবার মতো।
এসময়ে বসুন্ধরা গ্রুপ মেঘের হাতে ১৫ লাখ টাকার চেক তুলে দেয় যা মেঘ তার ২২ বছর পর উঠাতে পারবে। আমার কাছে বসুন্ধরা গ্রুপের এই টাকার অংক দেয়াকে একদিকে ইতিবাচক মনে হয়। অন্যদিকে নেতিবাচকও মনে হয়। কারন, কিছুদিন আগে বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকের ছেলের খুনের কেলেংকারী ঘটনা আমি আসলে ভুলে যেতে পারিনা।
আজ প্রায় এক বছর হতে চললো। বিচার পেলনা সাগর-রুনির পরিবার। রুনির মা যখন কাঁদেন,মেঘ বলে: তুমি কি বাবা-মার জন্য কাঁদছো? বিচারের জন্য আর্তনাদ করছে সাগর-রুনির আত্মা দ্বারে দ্বারে।
আমি সাগর রুনি হত্যার বিচার চাই। বিচার চাই ঐ সব মানুষদের যারা সাগর-রুনিকে নিয়ে জজ মিয়া নাটক সাঁজানোর প্রচেষ্টা চালায়। আমি বিচার চাই, বিচারের নামে প্রহসনের। বিচার চাই এই দুটো মানুষের হত্যাকারী এবং তাদের সহযোগীদের। আমি বিচার চাই, সেই সব নরপশুদের যারা রুনির গায়ে কাদা ছিটায়। আমি বিচার চাই সেইসব মানুষের যারা বলে, সাগর-রুনি তো বেডরুমে খুন হয়েছে। আমি বিচার চাই সেইসব মানুষের যারা মেঘকে ব্যবহার করে খেলা করে।
আমি বিশ্বাস করি, সরকারের সঠিক সহযোগিতা থাকলে খুনীদের সনাক্ত করা সম্ভব ছিলো এবং এখনো তা করা যায়। সরকারের কোন এক বিশেষ দূর্বলতাই সাগর-রুনির হত্যাকারীদের গায়েব হতে সাহায্য করেছে।
আর কতদিন এভাবে অথর্বের মতো বসে থাকতে হবে জানি না। মাঝে মাঝে গলা ছেড়ে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা করে, আমরা মানুষরা এত নিষ্ঠুর কেন? নতুন খবরের সঙ্গে কেন ভুলে যাই, এই মানুষ গুলো আমাদের সঙ্গী ছিলো, তাদেরও ছিলো বাঁচার অধিকার।
ফারজানা কবীর খান (স্নিগ্ধা)
বন জার্মানি
২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৫
আশফাক সুমন বলেছেন: সালাম,
"আমি বিশ্বাস করি, সরকারের সঠিক সহযোগিতা থাকলে খুনীদের সনাক্ত করা সম্ভব ছিলো এবং এখনো তা করা যায়। সরকারের কোন এক বিশেষ দূর্বলতাই সাগর-রুনির হত্যাকারীদের গায়েব হতে সাহায্য করেছে।"- সহ মত ।
৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৬
স্বপ্নের মানুষ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ
বাংলা ফ্যামিলিতে লেখার জন্য আপনাকে আমন্ত্রন জানাচ্ছি
http://www.banglafamily.com
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১১
আশফাক সুমন বলেছেন: সালাম,
"আমি বিশ্বাস করি, সরকারের সঠিক সহযোগিতা থাকলে খুনীদের সনাক্ত করা সম্ভব ছিলো এবং এখনো তা করা যায়। সরকারের কোন এক বিশেষ দূর্বলতাই সাগর-রুনির হত্যাকারীদের গায়েব হতে সাহায্য করেছে।
আর কতদিন এভাবে অথর্বের মতো বসে থাকতে হবে জানি না। মাঝে মাঝে গলা ছেড়ে চিৎকার করে বলতে ইচ্ছা করে, আমরা মানুষরা এত নিষ্ঠুর কেন? নতুন খবরের সঙ্গে কেন ভুলে যাই, এই মানুষ গুলো আমাদের সঙ্গী ছিলো, তাদেরও ছিলো বাঁচার অধিকার।"-- সহ মত ।