নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
‘গো ক্যাচ ও ফলিং স্টার’ ।
লুফে নাওগে পড়ন্ত তারা ।
ইংরেজ কবি জন ডান নারীর ছলনায় ত্যাক্ত হয়ে উচ্চারন করেছিলেন এমন চরন ।
রাতের আকাশের গায়ে ফুটে থাকা অগুনিত তারার দিকে তাকিয়ে থাকলে মাঝেমাঝেই উল্কাপাত চোখে পড়ে । মনে হয় উজ্জল কোন নক্ষত্র বুঝি টুপ করে খসে পড়লো আকাশের গা থেকে জমিনে ।
খসে পড়া সেই নক্ষত্রকে ছুটে গিয়ে তালুবন্দী করা যেমন অসম্ভব ও হাস্যকর, অবিশ্বস্থ, অস্থির ও অধরা সুন্দরী নারী হৃদয়কে করায়ত্ত করাও তেমনি অসম্ভব এক ব্যাপার ।
এটি ছিল প্রেমে ব্যর্থ জন ডানের সুন্দরী নারীর ব্যাপারে উপলব্ধি ।
বিশ্ব বেঈমান এরশাদের ব্যাপারেও বোধহয় এমন চরন প্রযোজ্য । অস্থির ও মুহূমুর্হূ পরিবর্তনশীল এরশাদের মনের থই পাওয়া সত্যি দুরূহ ব্যাপার । কখন যে তিনি কী ভাবেন আর কী বলেন, তা বুঝে উঠবে সে সাধ্য কার । কাকে যে তিনি কখন হৃদয় সমর্পন করবেন, কার গলায় যে কখন মালা পড়াবেন, তা এক জানেন তিনি আর এক জানেন উপরওয়ালা । আরেকজনও অবশ্য জানে । সে হচ্ছে খোদ ইবলিশ ।
বাংলায় ‘বাহাত্তুরে ধরা’ বলে একটি কথা আছে । বয়স বাহাত্তুর পেরুলে নাকি অনেকেই ভীমরতিগ্রস্থ হয়ে পড়ে । আমাদের এরশাদেরও হয়েছে তাই । দু’দিন পরপর তার হৃদয় কাকে দেবেন, কাকে দেবেন না, বা আদৌ কাউকে দেবেন কিনা এসব কথা ফলাও করে ঘোষনা করে মিডিয়ায় আলোচিত হন । এক সময়, যখন যৌবন মধ্যাহ্নে ছিল, তিনি নারীমহল কাঁপাতেন, আর খবরের বিষয় হতেন ।
‘ওয়ান ম্যান শো’ জাতীয় পার্টির আয়ু সম্ভবত এরশাদের আয়ুর সাথেই বাধা । তিনি চোখ বুজলে, জাতীয় পার্টিরও জানাযা হবে সংগে । তবুও এরশাদ তার সামান্য কিছু সংসদীয় আসন দেখিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে সবাইকে লালচ দেখিয়ে যাচ্ছেন ক্রমাগত ।
মেঘের অনেক রঙ । এরশাদের মনেরও বোধ হয় ।
©somewhere in net ltd.