নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হরতালের অস্ত্র ভোঁতা ও অকার্যকর হয়ে গেছে ।
চাপে ফেলে, ঠেসে ধরে দাবি আদায়ের পুরানো এই চরম ও চূড়ান্ত কৌশল আজ আর কোন ফসল ঘরে তুলতে পারে না । প্রতিবাদের কৌশল হিসাবেও আবেদনহীন ও বিরক্তিকর পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে একদা সমাজ কাঁপানো এই কর্মসূচী ।
হরতালে দুর্ভোগ পোয়াতে হয় সাধারন মানুষের । এবং হরতাল দেয়াও হয় ঠিক এই কারণেই ।
হরতালে জনজীবন অচল হয়ে পড়লে, জনদুর্ভোগ চরমে উঠলে জনগনের অভিভাবক সরকার অস্থির হয়ে উঠে সাধারন মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য দ্রুত হরতালকারীদের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে তাদের দাবি-দাওয়া মেটানোর আন্তরিক আশ্বাস দেবে- এটিই সবাই আশা করে ।
সরকার জনদরদী হলে সে আশা পূরণও হয় । হরতাল তাই সরকারের জনদরদের মাত্রা উন্মোচিত করে ।
কিন্তু হাল আমলের হরতালের ব্যর্থতা দেখে সাধারন মানুষের যতোটা না হরতালকারীদের প্রতি করুনা, বিরক্তি ও ক্ষোভ জন্ম নেয়, তারচে’ বেশী দুঃখ জন্ম নেয় নিজেদের প্রতি রাষ্ট্রের অভিভাবকের চরম উপেক্ষা ও ঔদাসীন্য লক্ষ্য করে ।
কোন অভিভাবকের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য তার প্রিয় সন্তানকে অপহরন করার পর মুক্তিপন দাবি করে দুর্বৃত্তরা । সন্তানের অমঙ্গল আশংকায় তার দরদী অভিভাবক দিশেহারা হয়ে সেই দাবি মেটানোর চেষ্টা করে দ্রুত ।
কিন্তু দুর্বৃত্তরা যদি ঐ ব্যক্তির গরীব কাজের বুয়াকে অপহরন করার পর মোটা মুক্তিপন দাবি করে, সেই ব্যক্তি কি এই অপহরনের ঘটনায় খুব একটা বিচলিত বোধ করবে ? দৃর্বৃত্তদের দাবি আদায়ে আন্তরিক হবে ?
এখানে দরদের প্রশ্ন জড়িত ।
©somewhere in net ltd.