নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মু, আমজাদ হোসেন

মানুষ পশুকে তখনই ছাড়িয়ে যায় যখন সে অন্য মানুষের সুখ-দুঃখ নিয়ে ভাবে । আমি একজন মানুষ ।

মু, আমজাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাটি ও মানুষ ।

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৮



কবে যে শেষবারের মতো আমার দু’টি পা মাটির স্পর্শ পেয়েছিল মনেই নেই ।



ইট-কাঠ-সিমেন্ট-পাথরে সারা শরীর মোড়া এই রুক্ষ নগরে কোথায় পাবো বিশুদ্ধ বেলে, দোয়াঁশ আর এঁটেল মাটি? আর পেলেও হয়তো আমার ভুবন সে অবধি বিস্তৃত নয় ।



মাটির তৈরী এ দেহের মাটির সাথে রয়েছে অজানা আত্মীয়তা । আমার মরহুমা দাদী আমার ছেলেবেলায় সারাক্ষন জুতো কিংবা চপ্পল বন্দী চরনযুগলকে মুক্ত করে নগ্ন পায়ে মাটিতে হাঁটাহাঁটি করতে পীড়াপীড়ি করতেন ।



তিনি প্রায়ই বলতেন, শরীরের সমস্ত যন্ত্রনা, উত্তাপ আর অস্থিরতা মাটির স্পর্শে নাকি বিদ্যুতের আর্থিং এর মতো নেমে যায় ।



এ কথার কোনই বৈজ্ঞানিক ভিত্তি হয়তো নেই । কিন্তু তবুও বিশ্বাস করি আমি । কারন বিজ্ঞানতো জগত ও জীবনের সমস্ত সত্য ও রহস্য এখনও চোখের সামনে মেলে ধরতে পারেনি । কত প্রয়েজনীয় বিষয়েই বিজ্ঞান এখনও অজ্ঞ ও অসহায় ।



আমি বিশ্বাস করি পায়ের নীচের মাটির রয়েছে আমাদের দেহ-মনের অস্থিরতা ও অশান্তি দূর করার ব্যাখ্যাতীত এক নিগূঢ় ক্ষমতা ।



সম্ভবতঃ এই কারনেই মাটির সাথে নিত্য যাদের মাখামাখি সেই কিষান-কিষানিরা সহজ-সরল ও ধীর-স্থির স্বভাবের হয় । শহুরে চিত্তচাঞ্চল্য ও অস্থিরতা তাদের মাঝে সহজলভ্য নয় । প্রশান্ত চিত্ত নিয়ে তারা অভু্ক্ত ও অর্ধভুক্ত থেকেও গভীর নিদ্রায় নিমেষে ডুবে যেতে পারে ।



অন্যদিকে মাটির সাথে যোগাযোগহীন বা কালে-ভদ্রে যোগাযোগ হওয়া শহুরে ‘সুখীরা’ জীবনের যাবতীয় সুখকে করায়াত্ত করতে পারলেও সুখনিদ্রা তাদের অধরাই রয়ে যায় ।



তবে কি মানুষেরও রয়েছে অদৃশ্য শেকড়? যে শেকড় দিয়ে মাটি থেকে তাকে অজানা ও অত্যাবশকীয় খাদ্য সংগ্রহ করতে হয় ?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.