নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কী হবে নামাজে ? কী হবে রোজায় ? কী হবে সফেদ পোশাক গাযে চড়িয়ে সাত পাকে পৃথিবীর প্রথম উপাসনালয়কে চক্কর মেরে এলে ?
পেট যদি হারাম উপার্জনের খাদ্য ও পানীয় থেকে মুক্ত হতেই না পারলো ?
জান্নাত কি জুটবে কপালে ?
আয় উপার্জনে হালাল হারামের সীমারেখা মেনে চলা মানুষের সংখ্যা বাংলাদেশে আশংকাজনকহারে কমে যাচ্ছে দিনদিন । কি চাকরি, কি ব্যবসায়-বাণিজ্যে সুদ, ঘুষ, প্রতারনা আজ স্বাভাবিক ও স্বীকৃত এক সামাজিক চর্চায় পরিনত হয়েছে ।
সৎ মানুষ আজ বিলুপ্তপ্রায় এক শ্রেনীর নাম । আজকের বাজারে সততা একটি কেতাবী ও আবেদনহীন শব্দ মাত্র । সমাজ-সংসারে সৎ মানুষেরা আজ মূল্যবান এন্টিক্সের মতো কেবলমাত্র সংরক্ষনযোগ্য, কিন্তু বাস্তব জীবনে একেবারেই অচল ।
একটা সময় ছিল যখন এদেশে সুদখোর ঘুষখোর শব্দগুলো অত্যন্ত ঘৃণ্য ও নিন্দনীয় ছিল । সুদখোর ও ঘুষখোরদেরকে সামাজিকভাবে প্রায় একঘরে করে রাখা হতো । তাদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করতে অনীহা প্রকাশ করতো মানুষ । তাদের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যেতেও কেউ আগ্রহী হতো না ।
কালের নির্মম পরিহাসে আজ সেই সুদখোর ও ঘুষখোররাই সমাজের সবচে’ প্রভাবশালী ও গন্যমান্য স্তরে উত্তীর্ণ হয়েছে । তারা আজ ক্ষমতাধর, পরম পূজনীয়, অনুসরনীয়, শ্রদ্ধেয় ও বরেণ্য ।
শুধুমাত্র সুদ আর ঘুষ থেকে উপার্জিত অর্থই কি হারাম ?
লোক ঠকানো, চুরী, জোচ্চুরি, লুটপাট, অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ, মজুতদারি, অতিরিক্ত মুনাফা করা, হারাম বস্তুর ব্যবসায় ইত্যাদি উপায়ে অর্জিত অর্থ সম্পদও সুস্পষ্টভাবে হারাম ।
এ ছাড়াও, সূক্ষ্ণ বিবেচনায়, কর্তব্যে ফাঁকি, দায়িত্বে ইচ্ছাকৃত অবহেলা, ব্যবসায়-বাণিজ্যে মিথ্যা শপথ, যাকাত প্রদানে ঔদাসীন্য বা অনীহাও অর্জিত অর্থসম্পদকে হারামে পরিণত করে ছাড়ে ।
▓ হারাম উপার্জনের কারনঃ
প্রধানতঃ তিনটি কারনে মানুষ হারাম উপার্জনের দিকে এগিয়ে যায় ।
প্রথমতঃ মূল্যস্ফীতির তান্ডবে আয়ের চাইতে ব্যয়ের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বেঁচে থাকার উপায়হীন প্রয়োজনে ।
দ্বিতীয়তঃ হালাল হারামের ব্যাপারে অত্যাবশকীয় মৌলিক জ্ঞান বা ধারনার অভাবে ।
তৃতীয়তঃ সম্পদ আহরনের অন্ধ ও সীমাহীন লোভ বা প্রতিযোগিতায় মত্ত হয়ে ।
▓ হারাম উপার্জনের ক্ষতিঃ
যা কিছু মানবজাতির জন্য ক্ষতিকর মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তাই মানুষের জন্য হারাম ঘোষনা করেছেন । হারাম উপার্জন ইহজগতে মানুষের দৈহিক ও মানসিক ক্ষতি করার পাশাপাশি পারলৌকিক ব্যর্থতার পেছনেও বিশাল ভূমিকা রেখে থাকে । সে ক্ষতিগুলোর কিছুটা দৃশ্যমান, কিছুটা উপলব্ধিযোগ্য ।
জাগতিক ক্ষতিসমূহঃ
--------------------------
প্রকাশ্য—
# হারাম উপার্জন মানুষকে বিবেকহীন ও অমানুষ করে তোলে,
# চক্ষুলজ্জা দূর করে দেয়,
# আত্মমর্যাদাবোধ কমিয়ে দেয়,
# মনে অহংকার তৈরি করে,
# ধর্মবিমুখ বানায় ।
অপ্রকাশ্য—
# দোয়া কবুল হয় না,
# সন্তানসন্ততি অমানুষ হয়,
# মানসিক শান্তি নষ্ট হয়,
# রোগ-বালাই ও অপমৃত্যু আসে ।
পারলৌকিকঃ
--------------------------
# আমল ব্যর্থ হয়,
# জান্নাত হারাম হয়,
# জাহান্নাম অবধারিত হয় ।
২| ০৩ রা মে, ২০২০ দুপুর ১২:০১
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: : ১ম হাদিস:
জাবিরের বর্ননামতে: একজন দাস এসে মোহাম্মদের কাছে মৈত্রীর আহবান করলো কিন্তু মোহাম্মদ জানতো না যে সে দাস ছিলো। পরবর্তীতে যখন তার মালিক এসে দাস ফিরে পেতে চাইলো তখন মোহাম্মদ তাকে বললো: ওঁকে আমার কাছে বেঁচে দাও। এবং তাকে তিনি তিনি দুটি কালো দাসের বিনিময়ে কিনে নিলেন। এরপর থেকে তিনি কেউ মৈত্রী ভিক্ষা করলে আর গ্রহন করতেন না যতক্ষন না নিশ্চিত হতেন যে সে দাস অথবা মু্ক্ত
সহী মুসলিম
২য় সহী হাদিস:
আব্দুল্লাহর পুলা জাবির বর্নিত: একবার এক সাহাবী সিদ্ধান্ত নিলো মরনের পর নিজের এক দাসকে মুক্ত করবেন এবং পরবর্তীতে তিনি গভীর অর্থসংকটে পড়লেন। তাই ন্যায়ের নবী মোহাম্মদ ঐ দাসরে নিলেন এবং নিলামে উঠালেন: আমার কাছ থিকা এই দাসকে কে কিনবে? আবদুল্লাহর পুলা নুয়াইম ঐ দাসকে উচ্চমূল্যে খরিদ করলো এবং মানবতার পরাকাষ্ঠা নবী মোহাম্মদ ঐ দাসকে দিয়া দিলেন।
সহী বুখারী
আমাদের পরানপিয় মোহাম্মদের সুন্নতী দাসব্যাবসা আজও আরবে প্রচলিত।আসুন সবাই আমরা নবীর পদাঙ্ক অনুসরন করি। সুন্নতী দাসব্যাবসা করি, আখেরে বহুত ফায়দা হবে
শ্রমদিবসের এই দিনে সুন্নত পালনের তাগাদা কেন জানি অনুভব করছি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা মে, ২০২০ সকাল ১১:৩০
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আপনার এই অসাধারণ পোস্টটিতে কোনো মন্তব্য না দেখে বেশ অবাকই হলাম | পাঠককুল এই চরম অপ্রিয় ( ! ) সত্যটি হজম করতে পারলেন না বলেই মনে হলো |