নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মু, আমজাদ হোসেন

মানুষ পশুকে তখনই ছাড়িয়ে যায় যখন সে অন্য মানুষের সুখ-দুঃখ নিয়ে ভাবে । আমি একজন মানুষ ।

মু, আমজাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাজার সংস্কৃতিঃ প্রকৃত ধর্ম ব্যবসায় ।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫২



কত পীর আওলিয়ার মাজারে ভরা আমাদের দেশ । তারা জান্নাতবাসী হয়েছেন নাকি হননি আমরা কি তা জানি? জানার উপায় কি আছে । অথচ তাদের মাজারে গিয়ে অগুনিত মানুষ প্রতিদিন নিজের জন্য দোয়া চায়, মানত করে মনের বাসনা পূরনের জন্য । হাশরে তাদের সংগী হওয়ার জন্য ইচ্ছা পোষন করে । কেউ কেউতো ভক্তির আতিশয্যে সেজদাই শুরু করে ।



শুনলে অবাক হবেন যে এই পীর আওলিয়ারাই কবরে শুয়ে থেকে আমাদের দোয়ার আশায় কাতর চোখে তাকিয়ে আছেন । তাঁদের কোনই ক্ষমতা নেই আমাদের উপকার করার । উল্টো বরং তাঁদের কিছু উপকার করার ক্ষমতা আমাদের আছে । আমরা তাঁদের জন্য দোয়া করে, দান-সাদকা করে তাঁদের উপকার করতে পারি ।



কেউ কেউ কষ্ট পেতে পারেন, তবুও বলছি । কারন এটি ভক্তির ব্যাপার নয়, যু্ক্তি ও তথ্যের ব্যাপার । কেউ কি জোর গলায় বলতে পারেন বড় পীর হযরত আব্দুল কাদের জ্বিলানী (র) জান্নাত লাভ করতে পেরেছেন নাকি দোযখের আগুনে পুড়ছেন ?



আসলে গায়েবের খবর আমাদের নবী (দ) চলে যাওয়ার পর বন্ধ হয়ে গেছে । আল্লাহ তায়ালা আর কারো মাধ্যমে পৃথিবীবাসীকে তা জানাচ্ছেন না ।



নবী রাসুলগন সবাই জান্নাতী । যেসব মানুষের কথা আমাদের নবী (দ) উল্লেখ করে গেছেন তারাও জান্নাতী । আর জীবিত অবস্থায় জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন যে সৌভাগ্যবান দশজন সাহাবী তাদের নামও সবার জানা । কিন্তু মক্কা মদীনায় গিয়ে দেখুন, দুনিয়ার সকল পীর আওলিয়ার চাইতেও মর্যাদাবান যে সাহাবীরা তাদের কবরের উপর কোন মাজার দাঁড় করানো হয়নি । তবে যে সব সাহাবী মক্কা মদীনার বাইরে অন্য কোন দেশে গিয়ে মারা গেছেন শুধুমাত্র তাদের কবরগুলোকেই আমাদের দেশের মতো মাজারে পরিনত করা হয়েছে অজ্ঞতা ও ভ্রান্তিতে ।



কবরে কার কি হয়েছে বা হচ্ছে, কে কি করেছিল এসব কাহিনী বলে আজকাল যারা ওয়াজ-নসীহত করে থাকেন তারা অধিকাংশই বানোয়াট, মনগড়া কাহিনী বলেন । তাদের বলা শুধুমাত্র সেইসব কাহিনীগুলো সত্য যেগুলো আমাদের শেষ নবী (দ) বলে গেছেন আর সহীহ হাদিস হিসাবে যা লিপিবদ্ধ আছে ।



কোন মৃত বা জীবিত পীর, আওলিয়া, বুজুর্গ, ফকির বা দরবেশ কি পারে আমাদের জান্নাতের নিশ্চয়তা দিতে ? তাঁরা নিজেরাইতো শেষ নবীর (দ) শাফায়াতের জন্য হুড়োহুড়ি শুরু করবেন হাশরের ময়দানে । আল্লাহরতো কোন সাহায্যকারী নেই । আর আল্লাহর রাসুলও (দ) হাশরের ময়দানে তার উম্মত থেকে কোন সেক্রেটারী নিয়োগ করবেন না সুপারিশের জন্য ।



সুতরাং সওয়াবের নিয়তে মাজারে যাওয়া, মাজার জিয়ারত করে মনোবাঞ্ছা জানানো, মাজারে গিয়ে সেজদা দেয়া-- এসব হচ্ছে সন্দেহাতীতভাবে শিরক্ । মাজারগুলোতে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা আয় হয়ে থাকে। এগুলোই হচ্ছে ধর্ম নিয়ে সত্যিকারের ব্যবসা । আর একটি শক্তিশালী মহল এই অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করছে ।



সচেতন মুসলমান ভাই ও বোনদের দায়িত্ব মাজার ও কবর পুজার বিরুদ্ধে মানুষকে সাবধান করা এবং মাজার সংস্কৃতির ব্যাপারে কুরআন হাদিসের জ্ঞান, যুক্তি এবং হিকমত ব্যবহার করে জনমত গড়ে তোলা ।



আল্লাহ আমাদের সবাইকে সীরাতুল মুস্তাকিমে সফল ভাবে চলার তাওফিক দান করুন ।



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০১৪ রাত ১২:৩৫

ক্লান্ত তীর্থ বলেছেন: রেফারেন্স দেন তো ভাই একটু!

১০ ই মে, ২০১৪ সকাল ১১:০১

মু, আমজাদ হোসেন বলেছেন: দেরীর জন্য দুঃখিত । ঠিক কোন বিষয়টির ব্যাপারে রেফারেন্স চাইছেন উল্লেখ করলে ভালো হতো । মাজার তৈরী করা, জিয়ারত করা, সিজদা করা, মানত করা---কোন্‌টি ?

২| ১০ ই মে, ২০১৪ রাত ১০:২৪

ক্লান্ত তীর্থ বলেছেন: এতদিন পর আপনি কোনটির রেফারেন্স চাইছি সেটাই বুঝতে পারেননি??


আপনি যে কথাগুলো বলেছেন সেগুলো কুরআন শরীফের কোন কোন আয়াত এবং কোন কোন হাদিস সংকলনের থেকে বলছেন।-আমি সবগুলো বিষয়ের ব্যাপারে রেফারেন্স চাইছি।

১১ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:০০

মু, আমজাদ হোসেন বলেছেন: সেতো অনেক সময়ের ব্যাপার ভাই, যেহেতু আমি আলেম নই এবং অনেক ব্যস্ত । এসব বিষয়ে সহীহ ও মশহুর হাদিস রয়েছে অসংখ্য । সিয়া সিত্তাহ্‌তে । অনুগ্রহ করে পড়ে নিবেন । আমার কাছে সিয়া সিত্তাহ্‌র ৪ টি আছে ।

ওখান থেকে এসব বিষয়ে অসংখ্য হাদিস পড়েছি । তবে নোট রাখিনি । যদিও খুঁজে বের করাটা খুব একটা কষ্টের কাজ নয় ।

মূলতঃ মাজার প্রসংগ নিয়ে হাক্কানী আলেমদের মাজে কোন বিতর্ক নেই ।
অাপাততঃ আপনার জ্ঞাতার্থে দু'টি হাদিসের রেফারেন্স খুঁজে পেলাম--

১) রাসুলুল্লাহ্ সা কবর যিয়ারতকারিনী মহিলাদের উপর লা’নত করেছেন । আর লানৎ করেছেন তাদের উপর যারা কবরের উপর মসজিদ বানায়, বাতি জ্বালায় । (নাসায়ী শরীফ ৩২২২নং হাদিস)

২) নবী করিম সা কবর পাকা করতে এবং কবরের উপর সৌধ নির্মান করতে নিষেধ করেছেন ।
(নাসায়ী শরীফ ৩২১১নং হাদিস)


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.