নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিনের পর দিন চলতে থাকা সীমাহীন দুর্নীতি, অদক্ষতা, অযোগ্যতা যখন এদেশের আইনশৃংখলা রক্ষার জন্য সবচে’ বড় এবং সুপ্রতিষ্ঠিত বাহিনী পুলিশকে এক ব্যর্থ, অকার্যকর ও অবিশ্বস্থ শক্তিতে পরিনত করে তখনই এ দেশের মানুষকে শান্তি ও নিরাপত্তা দেয়ার মহৎ উদ্দেশ্যে এলিট ফোর্স র্যাব প্রতিষ্ঠিত হয় ।
অর্থ্যাৎ র্যাবের জন্মই হয়েছিল পুলিশের ব্যর্থতার এক উজ্জ্বল প্রমান হিসাবে ।
কিন্তু এ জনপদে প্রতিটি কল্যানকর বস্তুই যেমন অন্যায় ও অনিয়মের দাপটে স্বল্প সময়ের ব্যবধানে অকল্যানকর চেহারায় আত্মপ্রকাশ করে তেমনিভাবে একদিন জনগনের আস্থা ও নিরাপত্তার প্রতীক হয়ে উঠা র্যাবও আজ মানুষের আতংক ও ধিক্কারের পাত্রে পরিণত হয়েছে ।
কেউ কেউ যুক্তি দেখাতে পারেন যে কিছু অসাধু কর্মকর্তার কুর্কীর্তির দায় কেন পুরো একটি বাহিনীর কাঁধে বর্তাবে ? এ ছাড়াও রাষ্ট্র যদি কোন প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত বাহিনীকে ব্যাক্তি ও দলের সংকীর্ণ ও অন্যায় স্বার্থে ব্যবহার করে তবে দার দোষ সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রেরই । সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে এ জন্য কোনভাবেই দায়ি করা যাবে না ।
এ যু্ক্তি খন্ডাতে বলতে হয়, যে বাহিনী বা এলিট ফোর্স ব্যক্তি বা দলের সংকীর্ণ ও অন্যায় স্বার্থে নিয়মিতভাবে ব্যবহৃত হয় এবং ব্যাপকভাবে অপরাধ কর্মে জড়িয়ে পড়ে তখন তার দায় কিছুটা হলেও সেই ফোর্সের উপর পড়ে ।
আর কোন ফোর্স যখন ভয়ংকর ঘাতক বাহিনীতে পরিণত হয়, তখন তাকে রক্ষা করার কোন গ্রহনযোগ্য যুক্তিই থাকে না । যদি থাকতো তাহলে হিটলারের গেষ্টাপো বাহিনীকেও পরবর্তীতে স্বীকৃতি দেয়া হতো ।
পঁচা পুলিশের প্রয়োজন মেটাতে জন্ম যে বাহিনীর সেই র্যাবের ভেতরেও যখন পঁচন দেখা দিয়েছে তখন তাকে বিলুপ্ত করা কিংবা আবারও কোন নতুন বাহিনী গঠন করার প্রয়োজনীয়তা কি প্রবলভাবে অনুভূত হচ্ছে না ?
২| ০৮ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪
নিষ্কর্মা বলেছেন: দূর্নীতি এবং বিচার-না-হওয়ার কালচার থেকে যতদিন না বেরিয়ে আসা যাবে, আইন অমান্যের প্রতিযোগীতা যত বাড়বে, অতদিন পর্যন্ত বাহিনী আর আইন বানিয়ে কিছুই করা যাবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২৯
রাহাত লতিফ তৌসিফ বলেছেন: র্যাবের পচনের ফলে নতুন বাহিনী গঠন করতে হবে, তারপর সেই বাহিনীর পচনের ফলে তৈরি করতে আরও নতুন বাহিনী। এর শেষ কোথায়? মানুষের স্বভাব না বদলালে যতই কৌশল নেয়া হোক , লাভ নেই।