নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মু, আমজাদ হোসেন

মানুষ পশুকে তখনই ছাড়িয়ে যায় যখন সে অন্য মানুষের সুখ-দুঃখ নিয়ে ভাবে । আমি একজন মানুষ ।

মু, আমজাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রমজানের উপবাস ।

৩০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:১১



মোটর গাড়ির কার্যকক্ষমতা বৃদ্ধি, রক্ষা এবং এর স্হায়ীত্বের জন্য বছরে একবার অন্তত গাড়িকে গ্যারেজে পাঠিয়ে সার্ভিসিং করাতে হয় । বাড়ির ছাদে রক্ষিত পানির ট্যাংকটিকেও বছরে অন্তত একবার সম্পূর্ণ পানিশূন্য করে শুকিয়ে নেয়াটা ট্যাংক এবং মানব স্বাস্থ্যের জন্য হিতকর ।



একইভাবে বছরে একবার অন্তত সারাদিন উপুস থাকার মাধ্যমে দেহের পরিপাকতন্ত্রটিকে একটু বিশ্রাম দেয়াটাও মানব স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত কল্যানকর । বিজ্ঞান এমনই বলে । এইজন্য পৃথিবীর বিভিন্ন ধর্মে রয়েছে উপবাসের প্রথা ।



মহান ও বিজ্ঞানসম্মত ধর্ম ইসলামেও রয়েছে একমাস সিয়াম সাধনা । আল্লাহ্ মানবদেহ ও আত্মার পরিচর্যার জন্য রেখেছেন এই চমৎকার ইবাদতের ব্যবস্থা ।



কিন্তু কিছু মানুষ রোজার মাসে ভোজনের উৎসব শুরু করে দেয় । দিনের বেলায় যতোটা না উপুস থাকে, রাতের বেলা তারচে’ বহুগুনে ভোজনের জমকালো উৎসব বসায় । এমনকি সারা বছর যারা রাতের বেলায় কম আহারে অভ্যস্ত, তারাও এ মাসে দিনের বেলায় আহার বন্ধ করে দিয়ে রাতে তা সুদে-আসলে পুষিয়ে নেয় ।



রোজায় ভালো না খেলে চলে না । এ কথা কেন বলা হয় জানি না । তাই রোজা এলেই দোকান-পাট-হাট-বাজারে উত্তম খাদ্যবস্তুর ব্যাবসায় রমরমা হয়ে উঠে । লোভী ও অতি মুনাফাখোরদের ভাগ্য খুলে যায় । আর সাধারন আয়ের মানুষদের দুর্দশা আরো বাড়ে ।



ভোজনের জন্য যুক্তি আছে অবশ্য । এ মাসের আহারের হিসাব আল্লাহ্‌ নিবেন না বা এ জাতীয় কথা । তবে আহারের না হোক, হিসাব যে বৈধ অবৈধ আয় কিংবা অপচয়ের বেলায় স্থগিত থাকবে না এ কথাটিও অনেকে ভুলে যান ।



সাধারন মুসলমানের কথা না হয় বাদই দিলাম, অনেক সুন্নাতের পাবন্দী আলেমওলামারাও আহার করতে বসে পেটের কিয়দংশ খালি রেখে উঠার হাদিসটি বারবার বিস্মৃত হয়ে যান এ মাসে । ফলে বাড়তে থাকে তাদের মেদভুঁড়ি আর হারাতে থাকেন তারা শারীরিক কর্মক্ষমতা ।



চর্ব-চোষ্য-লেহ্য-পেয় হরেকরকম মজাদার খাবারের অত্যাচারে রমজানে মুসলমানের পরিপাকতন্ত্রটি কাংখিত বিশ্রামের পরিবর্তে আরো ব্যস্ত হয়ে পড়ে । এবং রোজার অনেক উদ্দেশ্যই পূরণ হয় না ।



তাই রমজানে মুসলমানদের কম খাওয়া উচিৎ । উপবাসের তীব্রতায় তাদের উচিৎ গরীব ও প্রকৃত উপবাসী মানুষদের কষ্টের তীব্রতা হৃদয় দিয়ে অনুভব করার চেষ্টা করা । স্বল্প ও সাধারন মানের আহারে ইফতার ও সেহরী সম্পন্ন করে তাদের উচিৎ গরীব দুঃখীদের মাঝে বেশী বেশী খাদ্যবস্তু কিংবা অর্থ বিতরন করা । তবেই রমজানের উপবাস সার্থক ও অর্থপূর্ণ হয়ে উঠবে ।



সন্তুষ্ট হবেন মহান রব ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.