নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য । )
------------------------------------------
নাহ্ বনবাসেই যেতেই হবে দেখছি । মনে মনে ভাবলো শফিক ।
এই রমজানেও চোখ বাঁচানো দায় হয়ে গেছে ।
নগরীর সুপারমার্কেটের সামনে দিয়ে হাঁটছে সে ।
ডানে তাকালো । যুবতীর ফিনফিনে শাড়ির নীচে ফুটে উঠা অনন্য পদ্মনাভি । বাঁয়ে তাকালো । রমনীর ফর্সা উদোম পিঠ । সামনে তাকালো । ওড়নাবিহীন হেডলাইট্স ।
উর্দ্ধমুখে পথ চলিও না । শৈশবে বাল্যশিক্ষায় পড়েছিল সে । তবুও ঐ শিক্ষাকে অবহেলা করে উর্দ্ধমুখী পথ চলতে যায় শফিক । তাও কি রেহাই আছে । বিলবোর্ডে অর্ধনগ্ন নারীর বিজ্ঞাপন চিত্র চোখ ঝলসে দিল তার ।
মাথা নীচু করে হাঁটা শুরু করে সে । ছোটখাটো মানুষ শফিক । খানিক বাদেই থপ্ করে কপাল ঠুকে যায় কিসের সাথে যেন । না, দোকানের শাটার নয়, বিশালদেহী এক মহিলার পেটের সাথে ।
‘সরি’ ।
মহিলার কানেই গেল না ওর দুঃখ প্রকাশ । মনে হয় টের পায়নি । নির্বিকারচিত্তে হেঁটে চলে গেল চর্বির আড়ত নিয়ে ।
ফের হাঁটা ।
গা বাঁচিয়ে চলতে হয় ফুটপাতে । নারীরা কেয়ারলেস । রাস্তা দখল করে হাঁটে । ইজ্জত বাঁচাতে তাকেই রাস্তার একপাশে সরে গিয়ে যায়গা দিতে হচ্ছে । আগের সেই দিন কি আর আছে ।
একটু অন্যমনস্ক হতেই কে যেন ধাক্কা মারলো । পড়েই যাচ্ছিল সে । পেছন ফিরে তাকালো । ভারী নিতম্বের এক মহিলা পারফ্যূমের ভুবনমোহিনী ঘ্রান ছড়িয়ে হেঁটে যাচ্ছে । নির্বিকার । তারই নরোম নিতম্বের এক উদাসী ধাক্কা খেয়েছে সে ।
কী ব্যাপার ? তাকে দেখতে কি ঠিক প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের মতো লাগে না নাকি । নিজের আপাদমস্তক পর্যবেক্ষন করে শফিক । প্যান্ট, শার্ট, জুতো, গোঁফ, দাড়ি—সবইতো ঠিক আছে । তাহলে ! কলিকাল শুরু হয়ে গেল নাকি !
বাসস্টপেজে এসে দাঁড়ালো শফিক । বাসও এসে গেল প্রায় সংগে সংগেই । খালি দেখে একটা সিটে গিয়ে বসে পড়লো সে । খানিক বাদেই এক অল্পবয়সী মহিলা এসে পাশের খালি সিটে ধপাস্ করে বসে পড়লো । সে বসা শফিক তার উরুতে টের পেল প্রবলভাবে । সংকোচে মোচড় দিয়ে একটু সরে যেতে চেষ্টা করতেই মহিলা কোমল কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো,
‘সমস্যা হচ্ছে?’
‘না না, কী যে বলেন, সমস্যা কেন, খুব আরাম হচ্ছে’, বললো শফিক । তবে তা মনে মনে । মুখে শুধু একটু লাজুক হাসি হাসলো ।
গাড়ি চলছে । ড্রাইভার খুব কাছেই বসা । মধ্য বয়সী ড্রাইভারের যতোটা না নজর রাস্তার উপর তারচে’ বেশী রাস্তার দু’ধারে উর্বশীদের বুকের উপর ।
শফিক ভয় পাচ্ছিল । না জানি কোন দূর্ঘটনা ঘটে । কিন্তু ভাগ্য ভালোই । কিছুই ঘটলো না ।
নামবার সময় ঘ্যাঁ-------চ্ করে কড়া ব্রেক কষলো ড্রাইভার । হয়তো দৃষ্টি বিক্ষেপের অনিবার্য্য পরিণতি ।
শফিক আচম্কা তাল সামলাতে না পেরে হুমড়ি খেয়ে পড়লো এক যুবতীর কোলে ।
চোখ বন্ধ করলো সে । গালে চটাশ্ করে একটা প্রচন্ড চড় আশা করলো ।
কিন্তু কিছুই ঘটলো না দেখে সাবধানে চোখ খুললো সে । মেয়েটি তার করুন অবস্থা দেখে খিলখিল করে হাসছে । পাশে বসা তার বান্ধবীরাও সে হাসিতে শরীক হয়েছে ।
লজ্জায় আরক্তিম হয়ে গেল শফিকের দু’গাল ।
ঘরে ফিরে এসে নিশ্চিন্ত হলো শফিক । চোখদু’টি এইবার একটু যদি ভালো থাকে ।
ইফতারের বেশী সময় বাকি নেই । আজান শুনার জন্য টিভি অন করলো শফিক । খবর চলছে । সংক্ষিপ্ত পোশাকের সুন্দরী খবর পাঠিকা । এই রমজানেও আগের মতো আজ আর মাথায় কাপড় নেই ।
চোখ বন্ধ করলো শফিক ।
সত্যি কি বনবাসে যেতে হবে তাকে চোখ বাঁচাতে ?
২| ১০ ই মে, ২০১৫ রাত ২:১৪
অন্যসময় ঢাবি বলেছেন: সব দোষ ওই নারীর যে পুরুষের মত কুলাঙ্গারকে জন্ম দিয়েছে, বুকের দুধ খেতে দিয়েছে।
ইসলামে কিন্তু ছেলেদের দৃষ্টি সংযত রাখার কথা বলা আছে। যদিও গল্পে শফিককে ভাল ছেলেই মনে হয়েছে কিন্তু সমাজের অধিকাংশ ছেলেই লম্পট ও চরিত্রহীন; আমার মত ভণ্ড।
আপনার গল্পের মর্মবাণী আমি বুঝতে পেরেছি কিন্তু সমাজ ঠিক করার জন্য মেয়েদের চাইতে ছেলেদের শালীনতা বেশি জরুরি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫
ঢাকাবাসী বলেছেন: এটা রম্য রচনা!