নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মু, আমজাদ হোসেন

মানুষ পশুকে তখনই ছাড়িয়ে যায় যখন সে অন্য মানুষের সুখ-দুঃখ নিয়ে ভাবে । আমি একজন মানুষ ।

মু, আমজাদ হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যঙ্গ রচনা ।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮

টাইম মেশিনে চড়ে ১৯২০ সাল থেকে দুই বুড়ো বিজ্ঞানী এসে বর্তমান বাংলাদেশে হাজির ।

রাস্তায় প্রায় সকল তরুন-তরুনীর কানেই হেডফোনের তার ঝুলতে দেখে তারা বিভ্রান্ত । এ নিয়েই তাদের মধ্যে তর্ক হচ্ছে ।

১ম বিজ্ঞানীঃ ওদের সবার কান থেকে যে তার ঝুলছে দেখতে পাচ্ছ, ওগুলি নিশ্চয় সব হিয়ারিং এইড । যে হারে কলকারখানা আর যানবাহনের শব্দ চারপাশে শুনতে পাচ্ছি ওদের বোধ হয় কানের বারোটা বেজে গেছে । হিয়ারিং এইড ব্যবহার না করে চলতেই পারে না ।

২য় বিজ্ঞানীঃ দুর ! আমার তা মনে হয় না । এমনটি হলেতো সবার কানেই হিয়ারিং এইড থাকতো । কই, বুড়োদের কানেতো কোন হিয়ারিং এইড দেখতে পাচ্ছি না । আমার মনে হয়, কানে তার ঝুলিয়েছে যেসব তরুন-তরুনী তারা সবাই মেডিক্যাল স্টূডেন্ট । ওদের কান থেকে ওগুলো সব স্ট্যাথিস্কোপ ঝুলছে । বিজ্ঞানের কত উন্নতি হয়েছে দেখতে পাচ্ছো না ? এগুলি সব অত্যাধুনিক স্ট্যাথিস্কোপ ।

১ম বিজ্ঞানীঃ একদম মানতে পারলাম না । রাস্তাঘাটে, যানবাহনে বুঝি ডাক্তাররা সারাক্ষন কানে স্ট্যাথিস্কোপ লাগিয়ে রাখবে ? মনে হচ্ছে, চারপাশে উচ্চমাত্রার শব্দ থেকে বাঁচার জন্য এগুলি বিশেষ ধরনের সাউন্ড ফিল্টারিং ডিভাইস হবে । কানের উপকারের জন্য ব্যবহার করছে ওরা ।

২য় বিজ্ঞানীঃ আচ্ছা আমরা এত তর্ক করছি কেন অকারনে । একজনকে জিজ্ঞেস করলেইতো চলে ।
এ্যই, এ্যই ছেলে, একটু দাঁড়াওতো………. যাহ্ চলে গেল । কী ব্যাপার কানে সত্যিই কম শুনে নাকি ওরা ? মনে হলো আমার ডাক শুনতেই পায়নি ।

১ম বিজ্ঞানীঃ দেখলে, বলেছি না, ওরা কানে কম শুনে । ওগুলি হিয়ারিং এইড না হয়েই যায় না ।

২য় বিজ্ঞানীঃ আহ্ ! রাখতো তোমার প্যাঁচাল । এ্যই ছেলে । এই ধরলাম হাত । এবার না শুনে যাবে কোথায় বাছাধন ?

জনৈক তরুনঃ কী ব্যাপার আংকেল, আমার হাত ধরেছেন কেন ?

২য় বিজ্ঞানীঃ একটা প্রশ্নের উত্তর জানতে ।

জনৈক তরুনঃ মানে কী ?

১ম বিজ্ঞানীঃ মানে হচ্ছে, আমাদেরকে একটু বল দেখি, তোমার কানে এই তারগুলি কেন ঝুলিয়েছো ?

তরুনঃ কী যা তা বলছেন ? এটা হেডফোন ।

১ম বিজ্ঞানীঃ কী ফোন ?

তরুনঃ মর জ্বালা । কানে কম শুনেন নাকি? হেডফোন । হেডফোন ।

১ম বিজ্ঞানী ভ্যাবচ্যাকা খেয়ে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে ।

২য় বিজ্ঞানীঃ হেডফোন ? মানে কানে লাগিয়ে এটা দিয়ে ফোনে কথা বলছো ? ওহ্ তাই বলো । বিজ্ঞানের এতটা উন্নতি হয়েছে ! কিন্তু, তাহলেতো এটার নাম ইয়ারফোন হওয়ার কথা ছিল । যাকগে, বাবা, কার সাথে কথা বলছিলে রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে ?

তরুনঃ কার সাথে কথা বলবো আবার ? আমিতো গান শুনছিলাম ।

দুই বিজ্ঞানী সমস্বরেঃ অ্যাঁ ! ফোন দিয়ে গান শুনছিলে ?

তরুনঃ হ্যাঁ ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১

Misuk Roy বলেছেন: বিজ্ঞানীগণ অজ্ঞান :-P

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮

রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন: ভালো, তবে ফিনিশিং টা আরেকটু চমকপ্রদ আশা করেছিলাম।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১২

মু, আমজাদ হোসেন বলেছেন: একদম সঠিক বলেছেন । আমারও একই অভিমত । তবে কিনা সময়ের অভাবে হয়ে উঠেনি । :)

৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৫

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সত্যিই যদি ওরা আসতেন তবে এভাবেই চমকে যেতেন| রিয়াদের সাথে একমত

৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫০

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: শেষদিকটায় আরেকটু টুইস্টিং হিউমর আশা করেছিলাম। তবে তারা অবাক হতো না। বিজ্ঞানী তো, তারা ঐটা চিনতোই। হাজার হোক, জিনিসটা তাদের দ্বারাই তৈরি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.