নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
টাইম মেশিনে চড়ে ১৯২০ সাল থেকে দুই বুড়ো বিজ্ঞানী এসে বর্তমান বাংলাদেশে হাজির ।
রাস্তায় প্রায় সকল তরুন-তরুনীর কানেই হেডফোনের তার ঝুলতে দেখে তারা বিভ্রান্ত । এ নিয়েই তাদের মধ্যে তর্ক হচ্ছে ।
১ম বিজ্ঞানীঃ ওদের সবার কান থেকে যে তার ঝুলছে দেখতে পাচ্ছ, ওগুলি নিশ্চয় সব হিয়ারিং এইড । যে হারে কলকারখানা আর যানবাহনের শব্দ চারপাশে শুনতে পাচ্ছি ওদের বোধ হয় কানের বারোটা বেজে গেছে । হিয়ারিং এইড ব্যবহার না করে চলতেই পারে না ।
২য় বিজ্ঞানীঃ দুর ! আমার তা মনে হয় না । এমনটি হলেতো সবার কানেই হিয়ারিং এইড থাকতো । কই, বুড়োদের কানেতো কোন হিয়ারিং এইড দেখতে পাচ্ছি না । আমার মনে হয়, কানে তার ঝুলিয়েছে যেসব তরুন-তরুনী তারা সবাই মেডিক্যাল স্টূডেন্ট । ওদের কান থেকে ওগুলো সব স্ট্যাথিস্কোপ ঝুলছে । বিজ্ঞানের কত উন্নতি হয়েছে দেখতে পাচ্ছো না ? এগুলি সব অত্যাধুনিক স্ট্যাথিস্কোপ ।
১ম বিজ্ঞানীঃ একদম মানতে পারলাম না । রাস্তাঘাটে, যানবাহনে বুঝি ডাক্তাররা সারাক্ষন কানে স্ট্যাথিস্কোপ লাগিয়ে রাখবে ? মনে হচ্ছে, চারপাশে উচ্চমাত্রার শব্দ থেকে বাঁচার জন্য এগুলি বিশেষ ধরনের সাউন্ড ফিল্টারিং ডিভাইস হবে । কানের উপকারের জন্য ব্যবহার করছে ওরা ।
২য় বিজ্ঞানীঃ আচ্ছা আমরা এত তর্ক করছি কেন অকারনে । একজনকে জিজ্ঞেস করলেইতো চলে ।
এ্যই, এ্যই ছেলে, একটু দাঁড়াওতো………. যাহ্ চলে গেল । কী ব্যাপার কানে সত্যিই কম শুনে নাকি ওরা ? মনে হলো আমার ডাক শুনতেই পায়নি ।
১ম বিজ্ঞানীঃ দেখলে, বলেছি না, ওরা কানে কম শুনে । ওগুলি হিয়ারিং এইড না হয়েই যায় না ।
২য় বিজ্ঞানীঃ আহ্ ! রাখতো তোমার প্যাঁচাল । এ্যই ছেলে । এই ধরলাম হাত । এবার না শুনে যাবে কোথায় বাছাধন ?
জনৈক তরুনঃ কী ব্যাপার আংকেল, আমার হাত ধরেছেন কেন ?
২য় বিজ্ঞানীঃ একটা প্রশ্নের উত্তর জানতে ।
জনৈক তরুনঃ মানে কী ?
১ম বিজ্ঞানীঃ মানে হচ্ছে, আমাদেরকে একটু বল দেখি, তোমার কানে এই তারগুলি কেন ঝুলিয়েছো ?
তরুনঃ কী যা তা বলছেন ? এটা হেডফোন ।
১ম বিজ্ঞানীঃ কী ফোন ?
তরুনঃ মর জ্বালা । কানে কম শুনেন নাকি? হেডফোন । হেডফোন ।
১ম বিজ্ঞানী ভ্যাবচ্যাকা খেয়ে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে ।
২য় বিজ্ঞানীঃ হেডফোন ? মানে কানে লাগিয়ে এটা দিয়ে ফোনে কথা বলছো ? ওহ্ তাই বলো । বিজ্ঞানের এতটা উন্নতি হয়েছে ! কিন্তু, তাহলেতো এটার নাম ইয়ারফোন হওয়ার কথা ছিল । যাকগে, বাবা, কার সাথে কথা বলছিলে রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে ?
তরুনঃ কার সাথে কথা বলবো আবার ? আমিতো গান শুনছিলাম ।
দুই বিজ্ঞানী সমস্বরেঃ অ্যাঁ ! ফোন দিয়ে গান শুনছিলে ?
তরুনঃ হ্যাঁ ।
২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮
রিয়াদ আল সাহাফ বলেছেন: ভালো, তবে ফিনিশিং টা আরেকটু চমকপ্রদ আশা করেছিলাম।
৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১২
মু, আমজাদ হোসেন বলেছেন: একদম সঠিক বলেছেন । আমারও একই অভিমত । তবে কিনা সময়ের অভাবে হয়ে উঠেনি ।
৩| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৫
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: সত্যিই যদি ওরা আসতেন তবে এভাবেই চমকে যেতেন| রিয়াদের সাথে একমত
৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫০
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: শেষদিকটায় আরেকটু টুইস্টিং হিউমর আশা করেছিলাম। তবে তারা অবাক হতো না। বিজ্ঞানী তো, তারা ঐটা চিনতোই। হাজার হোক, জিনিসটা তাদের দ্বারাই তৈরি।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৪১
Misuk Roy বলেছেন: বিজ্ঞানীগণ অজ্ঞান