নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লাহ শয়তানদের তাড়াতে জ্বলন্ত মিসাইল ছুঁড়ে মারেন ।
রাতের অন্ধকারে লক্ষ কোটি তারাখচিত আকাশের দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকলে প্রায়ই দেখবেন কোন স্থির তারা আচমকা ট্রেসার বুলেটের মতো চোখের পলকে এদিক ওদিক ছুটে যাচ্ছে কিংবা টুপ করে আকাশ থেকে খসে পড়ছে ।
এটিকে বলা হয় উল্কাপাত । আসলে উল্কাপাত হচ্ছে শয়তানকে লক্ষ্য করে আল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে মারা ।
আকাশের সীমান্তে গিয়ে কান পাতে শয়তান ও তার চ্যালা দুষ্ট জ্বিনগুলি । পৃথিবীতে কার্যকর করার জন্য সে সব নির্দেশাবলী আল্লাহ জারি করেন, ফেরেশতারা সেসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার ব্যাপারে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে থাকে । এসব কথার কিছু আড়ি পেতে শুনার পর দুষ্ট জ্বিনেরা দুনিয়াতে এসে বিভিন্ন জ্যোতিষ ও তান্ত্রিককে সরবরাহ করার চেষ্টা করে ।
আকাশের বর্ডারে আলোকোজ্জ্বল ওয়াচ টাওয়ার তৈরী করেছেন মহান আল্লাহ । সেখানে রয়েছে মজবুত সুরক্ষা ব্যবস্থা । সেই বর্ডারের কাছে আড়ি পাততে গেলেই শয়তানদেরকে লক্ষ্য করে ছুঁড়ে মারা হয় জ্বলন্ত উল্কা পিন্ড ।
পবিত্র কুরআনে এভাবেই উল্কাপাতের ব্যাখ্যা করেছেন মহান আল্লাহতায়ালা ।
আল্লাহ বলেন,
''আকাশে আমি অনেক মজবুত দুর্গ স্থাপন করেছি । তারপর সেগুলিকে দর্শকদের জন্য আকর্ষনীয় করতে গ্রহ নক্ষত্রের বাতি দিয়ে আলোকসজ্জ্বা করেছি । আকাশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভাঙার কোন ক্ষমতাই নেই কোন শয়তানের । শয়তানদের ক্ষমতা নেই ওখানে গিয়ে আড়ি পেতে সংবাদ সংগ্রহ করে । যদি তারা গোপনে ওখানে আড়ি পাততে যায়, তাদেরকে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড ছুঁড়ে তাড়িয়ে দেয়া হয় ।''
---সুরা আল হিজর, আয়াত ১৬-১৮ ।
''আমরা আকাশকে গ্রহ নক্ষত্র দিয়ে সাজিয়েছি, আর নিরাপত্তা প্রাচীর তৈরী করেছি প্রতিটি বিদ্রোহী শয়তানের বিরুদ্ধে । ফলে তারা উর্দ্ধ জগতের কোন খবর শুনতে পায় না । তারা চতুর্মুখি আক্রমনের শিকার হয় ওখানে গেলে । তারপরও যদি কোন শয়তান খবর হাতিয়ে নিয়ে পালাতে চেষ্টা করে, তাদের পেছনে ছুটে যায় আগুনের মিসাইল ।''
--সুরা সাফফাত, আয়াত ৬-১০ ।
আরও জানতে দেখুন সুরা মুলক, আয়াত ৫ ।
২| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ৯:১০
আলোকরশ্মি22 বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে শিক্ষনীয় পোস্ট দেবার জন্য
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে মে, ২০২০ রাত ৯:০৪
নেওয়াজ আলি বলেছেন: নরপশুদের ছুড়ে মারা দরকার এখন