সাত লক্ষ মুসলিমকে পুড়িয়ে মারার ইতিহাস।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:০৫

এপ্রিল ফুলের ইতিকথা ।
===============
সাত লক্ষ মুসলিমকে পুড়িয়ে মারার ইতিহাস
:
১৪৯২ খ্রিস্টাব্দের ১লা এপ্রিল!!!
স্পেন থেকে মুসলমানদের চিরতরে উচ্ছেদ ও বিলীন করারর ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে ইউরোপিয় নরপিচাশরা। এক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেন খ্রিস্টান সম্রাট ফার্দিন্যাণ্ড এবং তার স্ত্রী পর্তুগীজ রানি ইসাবেলা।তাদের সম্মিলিত বাহিনী হাজার হাজার মুসলিম নারী,পুরুষ এবং শিশুকে হত্যা করে, গ্রামের পর গ্রাম জালিয়ে দিয়ে উল্লাস করতে করতে ছুটে আসে রাজধানী গ্রানাডায়। কখনো সম্মুখ যুদ্ধে মুসলমানদের পরাজিত করতে পারেনি বলে চতুর ফার্দিন্যাণ্ড পা বাড়ান প্রতারণার দিকে।তার নির্দেশে সকল রাস্তাঘাট বন্ধ করে দিয়ে আশেপাশের সব শস্যখামার জ্বালিয়ে দেয়া হয়।পুড়িয়ে দেয়া হয় শহরের প্রধান খাদ্য সরবারাহ কেন্দ্র ভেগা উপত্যকা। অচিরেই দুর্ভিক্ষ নেমে আসে শহরে। দুর্ভিক্ষ যখন প্রকট আকার ধারণ করলো তখন প্রতারক ফার্দিন্যাণ্ড ঘোষণা করলো, মুসলমানরা যদি শহরের প্রধান ফটক খুলে দেয় এবং নিরস্ত্র অবস্থায় যদি মসজিদে আশ্রয় নেয় তবে বিনা রক্তপাতেই তাদেরকে মুক্তি দেয়া হবে।
১লা এপ্রিল,
দুভিক্ষতাড়িত অসহায় নারী ও শিশুসহ গ্রানাডাবাসী এই আশ্বাসের উপর বিশ্বাস রেখে খুলে দেয় শহরের প্রধান ফটক।সবাইকে নিয়ে আশ্রয় নেয় পবিত্র মসজিদে। ঠিক তখনই চতুর ফার্দিন্যাণ্ড মুসলমানদেরকে মসজিদে আটকে রেখে প্রতিটি মসজিদে তালা লাগিয়ে দেয়।এরপর একযোগে সকল মসজিদে আগুন লাগিয়ে বর্বর উল্লাসে মেতে ওঠে হায়েনারা।অসংখ্য নারী শিশু আর্তনাদ করতে করতে জীবন্ত দগ্ধ হয়ে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারায় মসজিদের ভিতরেই।সেদিন সাত লক্ষাধিক মুসলিমের করুন মৃত্যু আর আর্তচিৎকারে ভারি হয়ে ওঠে গ্রানাডার আকাশ বাতাস।
ঠিক তখনই রানি ইসাবেলা ক্রুর হেসে বলে :
"হায় এপ্রিল'স ফুলস!!! শত্রুর আশ্বাস কেউ বিশ্বাস করে!! "

ইসাবেলার সেই উল্লাসকেই স্মরণ করার জন্য ইতিহাসের এই ঘৃণ্য দিনটি আজ পালিত হচ্ছে মহা আনন্দে।।

হে মুসলিম জাতি! তোমরা কি এই দিনে তোমাদের সেই অসহায় মাজলুম নির্যাতিত নিপেড়িত নিষ্পেষিত মুসলিম ভাই বোনদের রক্ত আর দগ্ধ লাশের সেই করুন ইতিহাস নিয়ে আনন্দ উল্লাস করতে চাও???তবে কর! তোমাদের কেউ বাধা দিবেনা।

কিন্তু শুনে রাখ!! যে জাতি তাদের ইতিহাস ভুলে যায় সে জাতির ধংশ অনিবার্য
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন।।।
আমিন।

০ টি +০/-০