নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Follow Us\ninstagram.com/fatih.solaiman\nMy Page\nfacebook.com/Fatihsolaimanofficial

FATIH SOLAIMAN

instagram.com/fatih.solaiman facebook.com/Fatihsolaimanofficial

FATIH SOLAIMAN › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রায় সব বাবা-মা-এর খুব সাধারন অভিযোগ, \'বাচ্চাটা পড়তে চায় না\' এই কথার ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ ।

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:০৯


প্রায় সব বাবা-মা-এর খুব সাধারন অভিযোগ, ‘ বাচ্চাটা পড়তে চায় না ।‘ এই কথার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ অনেক কথা ও সময় দাবি করে । তবুও একটু চেষ্টা করছি কম কথা ও সময়ে ।
যে পথিক তার গন্তব্য জানে না , সে কি তার লক্ষ্যে কোন দিন পৌঁছতে পারে ? পৃথিবীতে আর্থিক বা সামাজিকভাবে যারা সফল ,তাদের ৮৫%-এর কোন বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি নেই । আমরা জানি না , আমরা কেন এত সময় ধরে এত এত বিষয় পড়ি ? সামান্য দুই নৌকায় পা দিতেই যেখানে নিষেধ করা হয় । আমরা এমন সব বিষয় পড়ি যেটা আমাদের জীবনে কোন কাজে আসে না । আমাদের শিক্ষকরাও পড়েছেন, তারাও পড়িয়েছেন , আমরাও পড়েছি, এখন আমরাও পড়াচ্ছি, আমাদের বাচ্চারাও তাই পড়ছে , অনেক ক্ষেত্রে পড়তে বাধ্য করছি ।
মনুষ্য জীব সেটাই করে, বা করার প্রতি আগ্রহ দেখায় , যার থেকে ,সে জানে যে, এর একটা ফলাফল আছে । সুতরাং আগে ওদের বোঝাতে হবে কেন এটা দরকার ।
আমরা বড়রাই কি আমাদের প্রয়োজনের বাইরে কিছু করি ? মানব স্বভাব এভাবেই গঠিত । নিত্তান্ত মা বাবার ও শিক্ষকের চাপে পাস করেতে যতটুকু দরকার ততটুকুই শিখেছি বুঝে বা না বুঝে ।
এক গবেষণায় দেখা গেছে , স্কুল কলেজে আমরা যা শিখি তার ৯৫% এর উপরে আমাদের পুরো জীবনে কোন কাজে আসে না ।
পৃথিবীর সফল মানুষগুলো একাধিক বিষয় নিয়ে সফল হননি , তারা যে কোন একটা বিশেষ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য তাদেরকে আমরা সফল বলি ।
শেখা ও শেখানতেই সীমাবদ্ধ আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থা । তাত্ত্বিক জ্ঞানের সাথে যে , ব্যাবহারিক যদি অনুপস্থিত থাকে তবে সে জ্ঞান সাময়িক । সে জ্ঞান কোন পরিবর্তন আনতে পারবে না ।
আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় এমন সব শ্রেণিতে, এমন সব বিষয় অন্তর্ভুক্ত যার প্রয়োজন ও ব্যবহার সম্পরকে শিক্ষার্থীরা জানে না, বা বোঝার সর্ব নিন্ম বয়সও হয় না । তাই ওরা পড়তে চায় না । সুতরাং আমাদের উচিৎ তাত্ত্বিক জ্ঞানের সাথে ব্যাবহারিক বিষয়টাকে ওদের সামনে প্রনামিত করে দেয়া ওদের দ্বারা । আমরা এমন একটা দেশ বা সমাজ তৈরি করেছি যেখানে প্রাতিষ্ঠানিক সনদের গুরুপ্ত অপরিসীম ও অপরিহার্য । সনদের খুব কদর ,জ্ঞানের না ।
অথচ আমরা কথায় কথায় এমন সব মানুষের উদাহরন দেই বাস্তবে ও বইতে যাদের অনেকের কোন সনদই ছিল না । আমি সনদের বিরোধিতা করছি না , কিন্তু সনদ যেন জ্ঞানবিহীন না হয় ।
ব্যাঙ তার চারপাশের বিত্তাকার কুয়োতে থেকে আকাশ দেখে বলে , আকাশকে সে তার বাসস্থান বিত্তাকার কুয়োর মতই ছোট ভাবে ।
ইতিহাস পড়ুন , আপনার চারপাশের ঘটে যাওয়া ঘনটা দিয়েই সব বিচার করবেন না । পুরো পৃথিবীর এবং পৃথিবী গ্রহের বাইরে ঘটে যাওয়া বিষয় সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকুন ।
একজন অভিভাবক বা শিক্ষকের প্রধান কাজ , এমন ভাবে পাঠ্য বিষয় নির্বাচন করা যেটা শিক্ষার্থীর বয়সের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং পাঠ্য বিষয়- এর বাস্তব ব্যবহার বা প্রয়োজন তাকে ব্যবহারিকভাবে প্রমান করে দেয়া, তার (শিক্ষার্থীর) দ্বারা । এভাবে একবার চালু করে দিতে পারলেই হল । ওরা নিজের আগ্রহেই পড়বে। ভাল করলে প্রান খুলে প্রশংসা করুন , উপহার দিন । ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনেক কিছু সম্ভব হলেও ,অন্তত কাউকে কোন কিছু শেখানো সম্ভব নয় ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন। আসলে আমাদের এই শিক্ষা ব্যাবস্থা পরিবর্তন দরকার।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫১

FATIH SOLAIMAN বলেছেন: পরিবর্তন কিভাবে হবে বলেন ,আমরা ত আর কেও জ্ঞানার্জনের জন্যে পড়াশোনা করিনা শুধু সনদ পাওয়ার জন্যে পড়ি.।.।.।.।.।.।.।.।.।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.