![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
instagram.com/fatih.solaiman facebook.com/Fatihsolaimanofficial
জ্বালানি সম্পদের মাঝে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হলো গ্যাস। জীবাশ্ম জ্বালানির প্রধান সীমাবদ্ধতা হলো এর দুষ্প্রাপ্যতা। বিশ্বে খনিজ সম্পদের মজুদ ফুরিয়ে আসছে দ্রুত, এমতাবস্থায় আমাদের একটু সচেতনতা পারে মূল্যবান গ্যাস সম্পদের অপচয় হ্রাস করতে।
দৈনন্দিন জীবনে গ্যাসের ব্যবহার বেশি হয়ে থাকে, এজন্য বাসাবাড়িতে রান্নার সময় গ্যাস ব্যবহারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এ জন্য গ্যাসের অপচয় কমাতে মনে রাখতে হবে সহজ কিছু টিপস
১) প্রেশার কুকার এ রান্না করলে গ্যাস সাশ্রয় করা সম্ভব। এতে কম তাপে অল্প সময়ে রান্না করা যায়।
২) রান্নার কাজে ব্যবহৃত পাত্রের তলা পরিষ্কার ও চকচকে হলে তাপ দ্রুত ছড়ায় তাই গরম হতে সময় কম লাগে।
৩) রান্নার সময় পাত্র ঢেকে রাখলে রান্না দ্রুত হবে, গ্যাসের অপচয় হবে না।
৪) যে পাত্রে রান্না করা হয় সেটির পানি আগে থেকে শুকানো থাকলে চুলায় গ্যাস খরচ করে শুকাতে হবে না। পাত্রে পানি থাকলে সেটি শুকাতে গ্যাস অযথা খরচ হয়।
৫) রান্নার সময় অতিরিক্ত পানি দেয়া যাবে না, তাহলে পানি শুকাতে বেশি সময় চুলায় রাখতে হবে, ফলে বেশি গ্যাস খরচ হবে।
৬) ফ্রিজের ঠাণ্ডা খাবার সরাসরি চুলায় গরম না দিয়ে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় খানিক ক্ষণ রেখে দিলে সেই খাবারটি গরম করতে গ্যাস কম লাগবে।
৭) শীতকালে দেখা যায় ঘর গরম রাখতে অনেকে গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখেন, এতে গ্যাস অপচয় হয় অনেক। ঘর গরম রাখতে রুম হিটার ব্যবহার করুন।
৮) বর্ষাকাল এবং শীতকালে কাপড় শুকাতে সময় লাগে, অনেক সময় ভেজা কাপড় গ্যাসের চুলার আগুনের উপর রেখে শুকানো হয় যা সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়। স্বাভাবিক উপায়ে কাপড় শুকাতে চেষ্টা করুন,গ্যাস সাশ্রয় হবে।
৯) রান্না শেষে চুলাটি বন্ধ করে দিন। কোনকিছু রান্না না করা হলে চুলা জ্বালিয়ে রাখলে গ্যাসের অপচয় হয়।
প্রাকৃতিক উপায়ে গ্যাস তৈরি হতে সময় লাগে কয়েক কোটি বছর, অপরদিকে দ্রুত শেষ হয়ে আসছে গ্যাসের মজুদ। সবার সচেতনতা পারে গ্যাসের অপচয় কমিয়ে মূল্যবান এই সম্পদের স্থায়িত্ব আরও কিছুদিন বাড়াতে।
©somewhere in net ltd.