![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"Truth has come, and falsehood has perished. Surely! falsehood is ever bound to perish." AL QUR'AN 17:81 ফেইসবুক: https://www.facebook.com/RafiApece
সময়টা সম্ভবত ২০০৬ সাল।
যতদূর মনে পড়ে এস. এস. সি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এমন সময় একদিন শুনি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাড়িতে 'সাধারন ছাত্রছাত্রীরা' হামলা করেছে। সারা বাংলোতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। সবকিছু তছনছ করে দেয়া হচ্ছে। বিশাল ক্যাওস!
ভার্সিটির কাছাকাছি থাকার কারনে তৎকালীন ভিসি মোসলেউদ্দিনের ব্যাপারে টুকটাক জ্ঞান ছিল। বিএনপিপন্থী এই ভদ্রলোকের বিরুদ্ধে অভিযোগের অন্ত ছিল না ছাত্র-শিক্ষকদের। দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলপ্রীতি, নিয়োগ বাণিজ্য টাইপের যত আকাম-কুকাম ভিসির চেয়ারে বসে করা সম্ভব তার সবই করেছিলেন তিনি।
সুতরাং তার বাড়িতে হামলা একটা দেখার দৃশ্য হবে নিশ্চিত ভেবে বন্ধুরা মিলে রওয়ানা দিলাম। যদিও ভার্সিটির মূল ফটক ছিল বন্ধ, কিন্তু আমাদের আটকায় কে? ঘুর পথে বাংলোর কাছাকাছি গিয়ে রণহুংকার শুনেছি আর দেখেছি উড়ন্ত কালো ধোঁয়া।
ধ্বংস যজ্ঞ কাকে বলে সেদিন বুঝেছিলাম। পরের দিন পত্রিকা-টিভি দেখেও জেনেছিলাম। রীতি মত গাছপালা ভেঙে, আগুন ধরিয়ে, ঘরের ভেতর লুটপাট চালিয়ে, ভিসির বৃদ্ধা মা সহ স্ত্রী,পুত্র,কন্যাদের ছাদে পাঠিয়ে ম্যাসাকারের এক শেষ করা হয়েছিল। নেতৃত্বে অবশ্যই ছিল ছাত্রলীগ, কিন্তু আক্ষরিক অর্থেই সেটি ছিল সাধারন ছাত্রদের 'আন্দোলন', আমি জানি। আমার পরিচিত নন-পলিটিক্যাল অনেক বড় ভাইই এই সব ভাঙাভাঙিতে সক্রিয় ছিলেন। শোনা যায় ভিসির স্ত্রীর গয়নাগাঁটিও নাকি লুটপাট করা হয়েছিল। সত্য-মিথ্যা জানি না। তবে এক ভাইয়ের মুখে ফ্রিজে রাখা মিষ্টির প্যাকেট সাবাড় করার গল্প শুনেছিলাম, মনে পড়ে। আরো শুনেছি হুইস্কি,বিয়ারের বোতল মেরে দেওয়ার কাহিনি। এগেইন, সত্য মিথ্যা জানি না।
তবে ধ্বংস যজ্ঞ হয়েছিল, এটুকু নিশ্চিত। ভিসির পরিবার পরিজন ভয়ংকর একটা দিন কাটিয়েছিল এটা নিশ্চিত। তো গতকাল মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের কলাম পড়ে বারবার ঐ ঘটনার কথা মনে পড়ছিল। সেই সময়ও তিনি শাবির শিক্ষক ছিলেন, বলাই বাহুল্য। তিনি ঐ ভিসিকে (বা তার পরিবারকে) বাঁচানোর কোন চেষ্টা করেন নি, ভিসিবিরোধী ছাত্রদের ওপর তাঁর যথেষ্ট প্রভাব থাকা সত্ত্বেও। ঐ হামলার প্রতিবাদে কোন কলামও লেখেন নি। তো সেই জাফর স্যার যখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার প্রেক্ষাপটে লেখেন-
"একজন ভাইস চ্যান্সেলরকে তার অফিসে দিনের পর দিন আটকে রাখা খুব বড় একটা অন্যায় কাজ।
কিংবা, যখন লেখেন-
"সাধারণ মানুষ যখন দেখে- এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা স্বাধীন দেশের একজন নাগরিককে জেলখানার মতো একটা ঘরে আটকে রেখেছে, তখন তারা নিশ্চয়ই হতবাক হয়ে যায়। সবচেয়ে বিচিত্র ব্যাপার হচ্ছে, এই পুরো প্রক্রিয়াটার নাম দেওয়া হচ্ছে ‘আন্দোলন’।"
বা, যখন বলেন-
"অভিযোগ থাকলে তদন্ত হবে, শাস্তি হবে। কিন্তু আগেই নিজেরা শাস্তি দিয়ে একজনকে তার মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হবে সেটি কোন দেশের বিচার?"
অথবা, লেখেন-
"পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা খুব ভয়ঙ্কর উদাহরণ তৈরি হলো। কোনো একজন মানুষকে পছন্দ না হলে, তাকে সরানোর জন্য কয়েকজন কিংবা অনেকজন মানুষ একত্র হয়ে তাকে একটা ঘরে আটকে ফেলতে পারবেন। এর জন্য কাউকে কৈফিয়ত দিতে হবে না।"
তখন খানিকটা হাসি পায় বৈকি
৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২০
ফজলে রাব্বানি বলেছেন: তার উপর যখন সাদাকে কালো আর কালোকে সাদা বলার মানুষের সংখ্যা বেড়ে যেতে থাকে তখন অবস্থা হয় ভয়াবহ !
২| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৫
দখিনা বাতাস বলেছেন: একটু মনে হয় ভুল করে ফেলছেন,জাফর ইকবাল তার ৈ লেখায় কাকের মাংস বলে, শিক্ষকদের দ্বারা আরেকজন শিক্ষকের (ভিসি) হেনস্হা করা বুজাইছে। আপনি নিনজের লেখাতেই দেখন, শাবিরটা হইছিল ছাত্রদের দিয়ে।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৮
ফজলে রাব্বানি বলেছেন: যদি আমার ভুল না হয়ে থাকে তবে জাফর স্যার তার নিজের কলামটা লেখাটাকেই কাক হয়ে কাকের মাংস খাওয়ার সাথে তুলনা করেছেন। আপনি কলামটা আরেকবার পড়ে দেখতে পারেন।
৩| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২৭
নিকোলাস বিপ্স বলেছেন: আপনি যে লজিক দিয়েছেন তা ভাল।
তবে ভিসি মুসলেহ উদ্দিন আর ভিসি আনোয়ার হোসেন কি একই ধরণের মানুষ?
শাবিতে তৎকালীন ভিসি মুসলেহ উদ্দিন দুর্নীতি আর স্বজনপ্রীতির নজিরবিহীন উদাহারণ তৈরি করেছিলেন। তার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল ক্যাম্পাসের সকল সাধারণ শিক্ষার্থী।
আর বর্তমানে জাবির ভিসির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা নয়, বরং কতিপয় শিক্ষক যারা তাকে ব্যাক্তি হিসেবে পছন্দ করেন না বলেই এক ব্যতিক্রমি পন্থায় আন্দোলন করে চলেছে।
৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৩
ফজলে রাব্বানি বলেছেন: অফকোর্স মুসলেহউদ্দিন আর আনোয়ার স্যার এক নন। মুসলেহর বিরুদ্ধে যা যা অভিযোগ ছিল তা তো আমি উল্লেখ করেছিইই। কিন্তু কে বেশি দুর্নীতিবাজ আর কে কম সেটা তো জাফর স্যারের কাছে বিবেচ্য বিষয় হবার কথা না। প্রশ্নটা সেই জায়গায়। তিনি বলেছেন
"অভিযোগ থাকলে তদন্ত হবে, শাস্তি হবে। কিন্তু আগেই নিজেরা শাস্তি দিয়ে একজনকে তার মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হবে সেটি কোন দেশের বিচার?"
আমি বলতে চাইছি যে তাঁর এই দর্শনটুকু ২০০৬ সালে কোথায় ছিল?
৪| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৫২
ShusthoChinta বলেছেন: এমন ঘটনা উল্লেখের পরও জাফর ইকবালকে ডিফেন্ড করার চেষ্টা?? আচ্ছা ভাই একটা কথার উত্তর দেন তো,জাফর ইকবাল কি কোন পবিত্র ধর্মের উদ্ভাবক? নবী? পয়গাম্বর? তাহলে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে তাকে নির্ভুল,নিষ্পাপ,সত্যের মাপকাঠি প্রমাণের জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টাটা কেন করেন আপনারা?
৫| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:২১
মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: ShusthoChinta বলেছেন: এমন ঘটনা উল্লেখের পরও জাফর ইকবালকে ডিফেন্ড করার চেষ্টা?? আচ্ছা ভাই একটা কথার উত্তর দেন তো,জাফর ইকবাল কি কোন পবিত্র ধর্মের উদ্ভাবক? নবী? পয়গাম্বর? তাহলে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে তাকে নির্ভুল,নিষ্পাপ,সত্যের মাপকাঠি প্রমাণের জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টাটা কেন করেন আপনারা?
৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৫৭
স্বাধীকার বলেছেন:
জাফর স্যারদের বিবেক ক্ষণে ক্ষণে জাগ্রত হয়, ওয়েদার কিংবা সিজন বুঝে জাগ্রত হয়-সব সময় হয়না। সরকারে বাকশালী স্বৈরাচার কিংবা বামঘেষা কামুকরা থাকলে, জাফর ইকবাল স্যার হাইবারনেশনে থাকেন। বর্তমান সরকারের দলবাজি, ছাত্রলীগের সীমাহীন কুলাংগারী কিংবা নিলর্জ্জ অপশাসনে তিনি অস্বস্তিবোধ করেন না, সরকারের সমালোচনা করেন না। কারণ তিনি সরকারের সুবিধাবাদী, দেশে বিদেশের সভা সেমিনার আলোচনায় সরকারের প্রতিনিধি-তাই তার অবস্থা সিজন বুঝে হয়ে থাকে।
জাফর ইকবাল সেই সত্যকেই আড়াল করবেন-যা সরকারের বিপক্ষে যাবে, তিনি সেই মিথ্যাকেই সামনে আনবেন যাতে সরকারের সুবিধা হবে, সেই আলোচনাকেই তুলে ধরবেন-যেখানে সরকারী সুবিধাবাদীরা হাত তালি দিবেন। অনেকের কাছেই জাফর ইকবাল নবুয়ত লাভের কাছাকাছি আছেন, কিন্তু যাদের চোখ-কান এখনো কাছ করে, তাদের কাছে তিনি স্রেফ একজন জনপ্রিয় দলবাজ লেখক, সুবিধাবাদী কলামিস্ট এবং তার শিক্ষার্থীদের কাছে তিনি একজন বিভাগের শিক্ষক। এর বাইরে তাকে আর কোনো কিছুই মনে হয়না, বিকৃত ও বিক্রিত বিবেক দিয়ে জাফর ইকবালরা দেশজাতি রাষ্ট্রকে আর কিছু দিতে পারবেন না, দিতে পারবেন বিভেদ, একচোখা নীতি। আর আম্লীগকে দিতে পারবেন নিরবিচ্ছিন্ন সেবা।
যদিও তার মায়ের কাছ থেকে আমরা জেনেছি, কিভাবে বাকশালী রক্ষীবাহিনী বিধবাকে ঘরছাড়া করে পথে নামিয়েছিলো। কিন্তু আজ আম্লীগ দু এক টুকরা দেওয়াতেই তিনি সেদিনের সেই অপমানকে ভুলে গিয়েছেন। সেলুকাস, বড়ই সেলুকাস!!
০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
ফজলে রাব্বানি বলেছেন: হুম। ঠিক।
৭| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:৪০
আমি ভূমিপুত্র বলেছেন:
@ নিকোলাস বিপ্স,
ভিসি মুসলেহ উদ্দিন আর ভিসি আনোয়ার হোসেন মুটেই একই ধরণের মানুষ না ভিসি মুসলেহ উদ্দিন চোর আর ভিসি আনোয়ার হোসেন খুনী('৭৫ এর ৭-১০ ই নভেম্বর পর্যন্ত খালেদ মোশাররফ/হুদা/হায়দার সহ অন্তত ৪০ জন আর্মি অফিসার(ইনুর মতে ১২ জন)-লেডি দাক্তার-সাধারন মানুষ এর খুনী তাহের/আনোয়ার/বেলাল/বাহার ভাই চতুস্টয় - বাহার + আরেক ভাই ভারতীয় হাই কমিশনার সমর সেন রে জিম্মি করতে গিয়া গুলী খাইয়া মরে)
Indian high commissioner hurt in attack(Star News – November 27,1975) Link
না জাইন্যা আন্দাজে চাপা পিটানি খুনী আনোয়াররে মানায় আমনেরে না................
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৬
ডারক্জাসটিস বলেছেন: সাদাকে সাদা আর কাল কে কাল বলার মত মানুষের বড্ড অভাব!