![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চাঁদ বহু দূরে, তুমি দূরে নও
মোশন পিচকারের ইতিহাসটা কতই না অসাধারন !!! প্রথমে নির্বাক, তারপরে সবাক, তার পর সাদাকালো,তার ভিতর ফিল্ম নয়ের, ড্রামা, রোমান্স।তারপরে এলো রঙীন, মাঝে এনিমেশন, তারপর মিউজিক্যাল, আস্তে আস্তে কতোই না নতুন নতুন জেনারের উৎপত্তি।সময়ের চাহিদায় আর দর্শকদের প্রাণের দাবীতে আস্তে আস্তে উন্নত হতে লাগলো সিনেমার সেট ডিজাইন,ভিজ্যুয়াল ইফেক্টস আরো কতো নতুন নতুন টেকনোলজি।আর এখনকার হলিউডের সিনেমা মানেই আই ম্যাক্স আর থ্রিডির ছড়াছড়ি।মোশন পিকচারের মোড়ক এখন একেবারেই আলাদা।মারামারি, কাটাকাটি,ভাংচুর আর হাই-ফাই গ্রাফিক্স না হলে কোনো ছবি ব্লকবাস্টার হয় না।আর একটা সিনেমা হিট খেয়ে গেলো তো, আর কি? এবার শুরু হবে সিক্যুয়েলের পর সিক্যুয়েল।তাও যদি ফুরিয়ে যায় ভয় নেই, প্রিক্যুয়েল আছে না? আচ্ছা বলুন তো, আধুনিক হলিউডের কয়টা ছবি আপনাকে মোহগ্রস্থ করে? এমন সম্মোহনী ক্ষমতা কটা মুভির আছে? কটা আধুনিক সিনেমাকে কালজয়ী বলা চলে? যা সময়ের কোনো বাধা মানবে না,মানুষ সেগুলো যুগে যুগে দেখবে আর একটা বড়ো দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলবে, আহা !!!! একেই বলে সিনেমা !!! একেই বলে জীবন !!! আর এখানেই মনে হয় ক্ল্যাসিক এজের মুভিগুলো শতভাগ সফল। (অবশ্যই আমার ব্যাক্তিগত মতামত)
ভীষন ভালো লাগে, হলিউডের সেই ক্ল্যাসিক মুভিগুলোর কথা ভাবলে।এতোটা জীবনধর্মী আর আর এতোটাই আপন করে বানানো সেগুলো মনে হয় এর প্রতিটা চরিত্রই যেনো আমাদের কতো কাছের, কতো চেনা।
আসুন,আজকে আরেকটা ক্ল্যাসিক মুভির সাথে আপনাদের আলাপ করিয়ে দেই।মুভিটার নাম The Apartment, মুভিটির রিলিজটাইম ১৯৬০ সাল।ডিরেক্টর খুবই বিখ্যাত একজন এবং আমার বেশ ফেভারিট, নাম বিলি ওয়াইল্ডার।মুভিটির রানিংটাইম ২ ঘন্টা।আহা !!!! কি অসাধারন সেই দুই ঘন্টা।
যাই হোক, মুভিটি ১০ টি বিভাগে অস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলো এবং বেস্ট ডিরেক্টর এবং বেস্ট মুভি সহ মোট ৫ টি বিভাগে পুরষ্কার জিতেছিলো।মুভিটির আইএমডিবি রেটিং ৮.৪ আর টপ ২৫০ তালিকায় এর অবস্থান ৯১।
এবার মুভিটার প্লটটা সংক্ষেপে একটু জেনে নেই। The Apartment মূলত একটি রোমান্টিক কমেডী মুভি।ক্ল্যাসিক এজের রোমান্টিক সিনেমা মানে কিন্তু আজকালের মতো লুতুপুতুটাইপ হাবুডুবুময় না, বরং সেখানে প্রতিটি প্রেমের আবেদন আর গল্পের মাত্রা থাকে পুরোই অন্যরকম।আর সেই অন্যরকম ফ্লেভারটা না ভীষন রকমের সুন্দর।মনে অনেক আচ্ছন্ন করে রাখে।যাই হোক, গল্পের মূল নায়ক হলেন C.C. Baxter, যার অ্যাপার্টমেন্টকে ঘিরেই যতোসব কাহিনী আর সেই অ্যাপার্টমেন্টের জন্যই মুভিটার নাম The Apartment। C.C. Baxter নিউ ইয়র্কের একটি বড়ো ইনসুরেন্স কোম্পানিতে ক্লার্কের চাকরি করেন।বেশ ছোটোখাটো একটা চাকুরী হলেও ব্যাচেলার হওয়ায় একটি দুই রুমের অ্যাপার্টম্যান্টে বেশ ভালোই থাকেন ব্যাক্সটার।কর্পোরেট চাকরির দ্রুত প্রমোশনের জন্য তার মাথায় বেশ জটিল একটা আইডিয়া ভর করে,আর তা হলো,উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের তিনি মাঝে মাঝে কিছু সময়ের জন্য তার অ্যাপার্টমেন্টটি বিনামূল্যে ভাড়া দিতেন,তখন সেই সব হায়ার এক্সিকিউটিভরা তাদের মিস্ট্রেস বা গার্লফ্রেন্ডদের নিয়ে সেখানে এলোন টাইম স্পেন্ড করতেন।এদিকে ঐ অফিস বিল্ডিংয়ের এক লিফট অপারেটর ফ্রান কুবেলিককে ভালো লেগে যায় ব্যাক্সটারের।আস্তে আস্তে সবারই প্রিয়পা্ত্র হয়ে যেতে থাকে ব্যাক্সটার।তারা ব্যাক্সটারের প্রমোশনের জন্য বসের ( জেফ ডি. স্যালড্রেক) নিকট সুপারিশ পাঠাতে থাকেন।প্রমোশন পেয়েও যায় সে।ওদিকে প্রমোশনের সময় জিজ্ঞাসাবাদের সময় বসকে অ্যাপার্টমেন্টের স্ট্র্যাটিজির বলে দেয় ব্যাক্সটার।আর এটা জানতে পেরে স্বয়ং বসও তার অ্যাপার্টমেন্টের সময় কাটানোর ইচ্ছা জানায়।ঘটনাক্রমে জানা যায়,বসের গার্লফ্রেন্ড আর কেউই নন, সেই ফ্রান কুবেলিক।ব্যাক্সটারের হৃদয় ভেঙ্গে যায়,কিন্তু সবদিক বিবেচনা করে সে সমস্ত কিছু মেনে নেয়।জেফ ডি. স্যালড্রেক একজন বিবাহীত এবং তার দুইটি সন্তানও রয়েছে।কুবেলিক সবই জানে, এবং সব জেনেও সে স্যালড্রেককে ভালোবাসতো।আর স্যালড্রেকও কুবেলিককে বলতো যে,অচিরেই সে তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিবে।কিন্তু এই কাহিনীর মোড় ঘুরে যায় তখনই যেদিন স্যালড্রেকের পূর্ববর্তী আরো কিছু অফিসপ্রেম আর তার প্রতি স্যালড্রেকের কমিটমেন্টের শূন্যতা দেখে কুবেলিক ব্যাক্সটারের অ্যাপার্টমেন্টে সুইসাইড করতে যায়।আর এরপবেই ঘটতে থাকে দারুন সব ঘটনা.....................................আর পরিশেষে একটা দারুন ফিনিশিং।
মুভিটির সবচেয়ে পজিটিভ জিনিসটা হলো, গোটা রিপ্রেজেন্টেশানটাই এতোটাই নিষ্পাপ আর সাদামাটা হিসেবে দেখানো হয়েছে যে খারাপ আইডিয়োলজিগুলো মাথা থেকে হাওয়া হয়ে যায়।যেমন,ব্যাক্সটারের হায়ার বসেরা অন্য মেয়েদের সাথে রাত কাটাতো ব্যাক্সটারের অ্যপার্টমেন্টে, জিনিসটা চিন্তা করে দেখুন কতোটা কদর্য। কিন্তু পরিচালক এই কদর্যটাকে এতোটাই পেশাদারীভাবে ঢেকে দিয়েছেন যা ভীষনমাত্রায় প্রশংসনীয়।আবার এখানে কাহিনীতে বসের চরিত্রের মাধ্যমে পরকিয়া নামক সামাজিক ব্যাধিটি এসেছে,কিন্তু তার ম্যাসেজ এতোটাই পরিষ্কার যে পরিচালকের মুন্সীয়ানাকে স্যালুট জানাতে হয়।আপনি নিজে থেকেই বসের বিপক্ষে চলে যাবেন,চোখে আংগুল দিয়ে কিছু দেখাতে হবে না।এমনকি বসের চরিত্রের কোনো খারাপ জিনিসই আপনাকে দেখানো হবে না, কিন্তু তার বিপক্ষে আপনাকে দাঁড়া করানোটা এমন কোনো ব্যাপারই না, কারন এখানে ব্যাক্সটার চরিত্রের অবস্থানটা এতোটাই শক্তিশালী।গোটা মুভি জুড়ে ব্যাক্সটারের উপস্থি্তি আপনাকে ভীষণভাবে বিনোদি্ত করবে। তার হিউমার, তার সুখ-দুঃখ, তার ব্যাথা-বেদনা,তার হাসি সবকিছু মিলিয়ে একটা অসাধারন চরিত্র আমাদের সেই C.C. Baxter।তাই ব্যাক্সটারের চরিত্রে অভিনয় করা Jack Lemmon কে একটা বিশেষ ধন্যবাদ তো দিতেই হয়।
আর ছোট চুলের অধিকারীণী সেই ফ্রান কুবেলিকের মায়াবী পারফরম্যান্সও বেশ ভালো লেগেছে।মুভিটির শুরুতে ন্যারেটিভ বিষয়টাও দারুন লেগেছে।স্টোরিটি কিরকম সেসম্পর্কে বেশ পরিষ্কার আইডিয়া হয়ে যায়।মুভিটিতে ডার্ক কমেডির বেশ একটা টাচ রয়েছে।বিশেষ করে ব্যাক্সটারের কার্যকলাপে।আবার সেই কমেডীর উল্টোপাশে একরাশ দুঃখ আর বেদনাও রয়েছে।আর এন্ডিংয়ের ব্যাপারে বলবো, এর থেকে সুন্দর ফিনিশিং কি কখনো সম্ভব---এ যেনো মনেরই একান্ত চাওয়া একটি ফিনিশিং।সুতরাং The Apartment, সবমিলিয়ে একটা পরিপূর্ণ মুভি।
আমার পার্সোনাল রেটিং ৮.৫/১০।একটু সময় বের করে দেখে ফেলুন মুভিটা।অসাধারন টাইম পাস।আর এইরকম ক্ল্যাসিক আর্টের সাথে সখ্যতা থাকা দরকার।
জয়তু ক্ল্যাসিক সিনেমা।
মুভিটির ডাউনলোড লিংক:
http://www.megaupload.com/?d=LV6G38JS
http://www.megaupload.com/?d=DI4EARZR
http://www.megaupload.com/?d=N0FJ52QY
http://www.megaupload.com/?d=335M18QF
http://www.megaupload.com/?d=MAX6PJ1M
http://www.megaupload.com/?d=ONIQ249G
http://www.megaupload.com/?d=06G1VX9L
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:৫০
ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইজান
২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:৪১
নিপাট গর্দভ বলেছেন: ভালো স্ক্রিপ্ট। জটিল সব অ্যাক্টর। এত রাইতে পোস্ট দিলেন ক্যান? ঘুমাই
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:৪৯
ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: দিলাম আর কি, যখনই ভালো কোনো মুভি দেখি ট্রাই করি সাথে সাথেই রিভিউ পোস্ট করার।
৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৩:০৫
রাইসুল জুহালা বলেছেন: অসাধারন রিভিউ। ছবিটাও দুর্দান্ত ছিল। আমার খুব পছন্দের।
চমৎকার লাগল আপনার লেখাটা।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৮
ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:৩৭
ঘুমন্ত আমি বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৯
ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: থ্যাংক ইউ।
৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:২৫
ফয়সাল তূর্য বলেছেন: অসাধারন রিভিউ!!!
ছবিটা এখনি দেখতে ইচ্ছা করতেছে!!
কিন্তু লিমিটেড ব্যান্ডউইথ ইউজ করি তো, মুভি নামানো সম্ভব না, কোন বন্ধুকে দিয়ে নামাতে হবে।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩০
ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: আহারে !!! লিমিটেড ব্যান্ডউইথের জ্বালা আমিও বুঝি।যাই হোক, কারো কাছ থেকে কালেক্ট করে নিয়ে মুভিটি দেখে ফেলুন।
আর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৪১
দিপ বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন।
মুভিটি ডাউনলোড দিলাম।
দেখে আপনাকে জানাবো।
রাতে পোষ্টটা না দিয়ে রাত ৮ টার দিকে দিলে খুব ভালো হত।
কারন মুভি পাগলারা ৮- ১১ পর্যন্ত থাকে। পরে মুভি দেখতে বসে যায়।
আধুনিক কিছু মুভি যা আমার মনে হয় সারাজীবন মনে রাখবোঃ
Schindler's List
saving private ryan
shutter island
blood daimond
The Prestige
Inception
black swan
Chalenging
Forest Gump
seven
Fight Club
আরো আছে। মনে পরছেনা।
কিছু ক্লাসিক ভালো লেগেছে।
Psycho.
The Bird
Double Identity
Citizane Kane
Empire of the Sun
আরো আছে। মনে পরছেনা। সামনের মাস থেকে টানা
৩০ টা ক্লাসিক দেখব। আপনারগুলো লিষ্টে আছে।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৫
ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দীপ ভাইয়া, তোমার মন্তব্যের জন্য।হালের হলিউডি অনেক সিনেমাই রয়েছে যেগুলো হয়তো সারাজীবন মনে রাখার মতো।কিন্তু ইদানিং কোনো মুভি দেখে তেমন মুগ্ধ হই না, তাই ক্ল্যাসিক এজের কাছে মুখ গুঁজি।সামনের মাস থেকে যখন দেখবে খুব বেশি টানা দেখার ট্রাই কোরো না, সাথে কিছু নতুন সিনেমাও রেখো।তাহলে সেটা দারুন একটা মিক্সচার হবে।আর সামুতে রিভিউ দিতে ভুলো না কিন্তু
৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:১১
জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
এত সুন্দর রিভিউ পড়ে The Apartment না দেখাটা পাপের পর্যায়ে যাবে
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৬
ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: ভালোই বলেছেন জিসান ভাই।আপনি দেখেছেন নাকি?
৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫৯
হেডস্যার বলেছেন:
সবাই যখন বলতেছে তাইলে দিলাম ডাউনলোড
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:০৬
ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: দেন, উসুল হবে আশা করি।
৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩০
দিপ বলেছেন:
অবশ্যই রিভিউ দিব। যদিও আমি ভালো রিভিউ লিখতে পারিনা । অভিজ্ঞতা কমতো তাই। বয়স বারার সাথে সাথে ওটাও এসে যাবে।
মিক্সার করতে যখন বললেন, তখন তাই করবো, তাহলে আবার ১৫ টা দেখতে হবে।
কলেজ শুরু হয়ে গেছে।
প্রতিদিন একটার বেশি দেখতে পারবোনা।
একদিন ক্লাসিক একদিন নতুন। এভাবে।
কিছু মুভি রেকমেন্ড করেন। অন্তত্য ১৫টা বানাই।
আমার কাছে আছেঃঃঃঃ
Rope,
North by Northwest
The.Man.Who.Knew.Too.Much.
Daubt of shadow.
The.Great.Escape
12 Angry Men
pi
Cleopatra
বাকিগুলো আপনি বলেন। ১৫ টা বানিয়ে দেন
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১৪
ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: One Flew Over the Cuckoo's Nest (1975),Casablanca (1942), Rear Window (1954),It's a Wonderful Life (1946),Sunset Blvd. (1950),North by Northwest (1959),To Kill a Mockingbird (1962),Strangers on a Train (1951) এগুলো দেখতে পারো।আইএমডিবি তে সার্চ করে নিয়ো।তাহলে ভালো আইডিয়া হয়ে যাবে।
১০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩৬
জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
দেখি নাই। দেখবো
১১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৩৬
কবি রাজ বলেছেন:
আপনি যে কোন লেভেলের রিভিউ লিখেন,আপনি জানেন??
ঃ) ঃ)
এই মুভিটা দেখে আমি শার্লি ম্যাক্লেইন এর জন্য পাগল হয়ে গেছিলাম।
১২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৫০
কবি রাজ বলেছেন: সত্যিকার অর্থেই,আপনার মানের মুভি রিভিউ আর কারো কাছ থেকে পাই না ইদানিং।আর আপনার মুভি সিলেকশন ও অসাধারণ লাগে।
কিপ ইট আপ,ম্যান।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৭
ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: আমার লেখা রিভিউ আপনাদের এতো ভালো লাগে দেখেই আমি আমার নিত্য নতুন মুভি এক্সপেরিয়েন্সগুলো শেয়ার করতে এখানে ছুটে আসি।
আশা করি সামনের পোস্টগুলোতেও আপনাকে পাবো।অনেক ধন্যবাদ ভাই এতো সু্ন্দর কমেন্টের জন্য।
রিয়েলী এপ্রেসিয়েটিং ইট।
১৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২২
কুন্তল_এ বলেছেন: রিভিউ খুব ভালো লাগলো। বিশেষ করে এই অংশটা, "মুভিটির সবচেয়ে পজিটিভ জিনিসটা হলো, গোটা রিপ্রেজেন্টেশানটাই এতোটাই নিষ্পাপ আর সাদামাটা .... অভিনয় করা Jack Lemmon কে একটা বিশেষ ধন্যবাদ তো দিতেই হয়" - এ কথা গুলো খুবই সত্যি। পরিচালক বিলি ওয়াইল্ডার আসলেই দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। সাম লাইট ইট হট ও ডাবল ইমডেমনিটির পরিচালকতো আর যে সে ব্যক্তি না ! মুভিটার আইএমডিবি রেটিংও অনেক উপরে ৮.৪/১০।
ধন্যবাদ।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৯
ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: সেটাই মুভিটা দেখার সময় একবারো ঐসব খারাপ দিকগুলো মাথায় আসে নি, টোটালি মন্ত্রমুগ্ধের মতো দেখছিলাম।রিভিউ লেখার সময় এই পয়েন্টটা মাথায় এলো।আর বিলি ওয়াইল্ডারের কথা কি আর বলবো, ওনার তুলনা শুধু ওনার সাথেই হয়।তার সানসেট বুলাভার্ড দেখে সিম্পলি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
১৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৭
দারাশিকো বলেছেন: ইন্টারেস্টিঙলি গত পরশুদিন সিনেমাটা দেখে শেষ করলাম। এক বড় ভাই আমাকে বলেছিলেন এই সিনেমা না দেখা মানে কিছুই না দেখা।
আমি দেখলাম। কিন্তু আপনি যতটা এনজয় করতে পেরেছেন ততটা পারি নাই। কেন? বছরখানেক আগে আমি দেখেছি লাইফ ইন আ মেট্রো সিনেমাটা। সিনেমাটা নিয়ে একটু ঘাটাঘাটি করতে গিয়েই দ্য অ্যাপার্টমেন্টের নাম জানতে পারা, আগ্রহ হয়েছিল, কিন্তু সিনেমাটা দেখে হতাশ হয়েছি - এ কারণে নয় যে সিনেমার গল্প-অভিনয়-নির্মানশৈলী খারাপ, হতাশ হয়েছি কারণ লাইফ ইন এ মেট্রো তে হুবহু গল্পটা আগেই জেনে গিয়েছিলাম - হারামজাদা বলিউডের কারনে আরও কত ভালো ছবির টেস্ট মিস করতে হবে আল্লাহ জানে।
অভিনয়ের কথা আপনি বলেছেন, আমি বলবো সিনেমাটোগ্রাফি - কি দারুন কাজ। পুরো সিনেমাটাই একপ্রকার ইনডোরে - স্টুডিও। সেই ১৯৬০ সালে কি অর্গানাইজড ওয়েতে কাজ করতো ভাবুন তো - এত এত লোক, এত এত ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাকশন - কোথা্ও মেকি ভাব নেই বিন্দুমাত্র।
হিন্দী সিনেমাটার বাকী কাহিনীগুলো যে কোন কোন সিনেমা থেকে চুরি করেছে সেটা জানতে পারলে বেশ হতো।
রিভিউ চমৎকার হলো। অভিনন্দন।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৪৬
ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: হুমমমম......ঠিকই বলেছেন আপনি।আর আমি ব্যাক্তিগতভাবে বলিউডকে খুবই অপছন্দ করি। কেনো জানি অরিজিনালিটি খুঁজে পাই না তাদের কাজে,যাই শুনি তাই দেখি কপি করা,আর গান আর আইটেম নাচ ছাড়া তো কথাই নেই।আসলে ওদেরকেও দোষ দিয়ে লাভ নেই।বলিউডের বাজার এতোটাই সেনসিটিভ যে মুভি ব্যাবসাসফল করতে গেলে এসব ছাড়া গতি নেই।
মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
১৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩৩
দূর্যোধন বলেছেন: পার্ফেক্ট রিভিউ।
এই ধরনের ক্লাসিক মুভিগুলার জন্যই ডিভিডি আমার ডিভিডি প্লেয়ার এখনো টিকে আছে
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৩
ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: জয়তু আপনার ডিভিডি কালেকশান আর ডিভিডি প্লেয়ার
১৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১:০৮
মানবী বলেছেন: চমৎকার একটি ছবির সুন্দর রিভিউ!!
হিন্দী সিনেমা কপির চেষ্টা করলেও অরিজিন্যালের আবেদনের ধারে কাছে পৌঁছতে পারেনি। আরো কিছু অসাধারন হলিউড ক্ল্যাসিকের মতো এই ছবিটির ইনোসেন্স আর বাস্তবধর্মী অভিনয় মন ছুঁয়ে যায়।
"চিপার বাই ডজন" এর অরিজিন্যাল ভার্সনটিও রিসেন্ট ভার্সনগুলোর চেয়ে হাজার গুন উন্নত।
খুব পছন্দের সিনেমার সুন্দর রিভিউয়ের জন্য ধন্যবাদ ফেলুডার চারমিনার।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৩:২৯
ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
১৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ দুপুর ২:৩৯
কাউসার রুশো বলেছেন: খুব খুব মজা পেয়েছিলাম মুভিটা দেখে।
আপনার লেখাটাও ভালো হয়েছে...
১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ বিকাল ৪:৫৪
ফেলুদার চারমিনার বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ২:১১
তন্ময় ফেরদৌস বলেছেন: এটা আগেই দেখেছি। সেইরকম মুভি।
যাই হোক, রিভিউ অনেক সুন্দর হইসে