নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভালোবাসি বাংলাদেশ

বাংলাদেশ

এরিক ফ্লেমিং

ভালোবাসি বাংলাদেশ

এরিক ফ্লেমিং › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ, গ্লোবাল পলিটিক্স, হিস্ট্রি অব ফিউচার.....

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:২০

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের দক্ষিণে বিশাল ভূভাগ তলিয়ে যাবে। উদ্বাস্তু হবে কোটি কোটি মানুষ । দীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলছে এমন প্রচারণা । প্রবল এই প্রচারণার বিপরীতে আরেক দল বিজ্ঞানী বলছেন না, বাংলাদেশ ডুববে না। বরং দক্ষিণে বিশাল আকৃতির ভূভাগ জেগে ওঠার অপেক্ষায় রয়েছে। বঙ্গোপসাগরের নীল জলরাশির তলদেশকে তারা আখ্যায়িত করেছেন ‘প্রমিজড ট্রেজার অব দ্য ফিউচার’ বা ‘প্রতিশ্রুত ভবিষ্যৎ সম্পদভাণ্ডার’ হিসেবে।
বাংলাদেশ ডুববে না বরং দক্ষিণে বাড়বে এই তত্ত্বের প্রণেতাদের মতে, সময় যতই গড়াবে দক্ষিণে বাংলাদেশ ততই বাড়তে থাকবে। ভারত, চীন ও মিয়ানমার নদীব্যবস্থাপনার মাধ্যমে প্রতি বছর বিলিয়ন বিলিয়ন টন পলিমাটি গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনার মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরের মোহনায় জমা হচ্ছে। এভাবে ১৭৮০ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ২০০ বছরে বাংলাদেশের দক্ষিণে ৬২৯ বর্গকিলোমিটার আয়তন বেড়েছে। তবে প্রাকৃতিক নিয়মে এই ভূমি গঠন প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীরগতিতে অগ্রসর হচ্ছে। সমুদ্রের অগভীর অংশে ডাইক বা কংক্রিট ড্যাম নির্মাণ করে পলিমাটি আটকাতে পারলে শিগগিরই কমপক্ষে ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার নতুন ভূমি উদ্ধার করা সম্ভব হবে।তাই জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ ডুবে যাবে এ কথা বলে ক্ষতিপূরণ হিসেবে যে ফান্ড দেশে আনা হচ্ছে সেই টাকা ডাইক নির্মাণ এবং বনায়নের মাধ্যমে সবুজ বেষ্টনী তৈরির কাজে ব্যয় করা উচিত বলে মনে করেন তারা।
জালবায়ু পরিবর্তনের ফলে সাগরের পানির উচ্চতা বেড়ে বাংলাদেশের দক্ষিণবঙ্গ একদিন তলিয়ে যাবে শুরু থেকেই এ তত্ত্বের যারা বিরোধিতা করে আসছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের প্রফেসর বিশিষ্ট পরিবেশ বিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব। প্রফেসর রবের মতে, বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চল ছাড়া প্রায় পুরো সমতলভাগ গঠিত হয়েছে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনার মাধ্যমে উজান থেকে বয়ে আনা পলিমাটির মাধ্যমে। এ প্রক্রিয়া এখনো বহমান এবং দক্ষিণে বাংলাদেশ ক্রমে বাড়তে থাকবে। প্রফেসর রবের মতে, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনার মাধ্যমে প্রতি বছর ২.৪ বিলিয়ন টন (এক বিলিয়ন=১০০ কোটি) পলিমাটি বঙ্গোপসাগরে জমা হচ্ছে। বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত এ তিনটি প্রমত্তা নদীর বিশাল অংশ রয়েছে ভারত ও চীনে। ভারতের জাতীয় নদী গঙ্গার দৈর্ঘ্য ১৫৬০ মাইল এবং ব্রহ্মপুত্রের দৈর্ঘ্য ১৮০০ মাইল। এ তিনটি নদী ছাড়াও ভারত ও চীনের অন্যান্য নদীব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিলিয়ন বিলিয়ন টন পলিমাটি বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বঙ্গোপসাগরে জমা হচ্ছে। বৃষ্টি ও অন্যান্য কারণে বাংলাদেশের বাইরে বিশাল এসব নদীর বিস্তৃত অববাহিকা বিধৌত হয়ে বিপুল পলিমাটি বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে সাগর মোহনায় জমা হচ্ছে। সিলেট, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার লালমাই পাহাড় ছাড়া গোটা বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছে এভাবে পলি জমে। বিশেষ করে পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ বলে খ্যাত গাঙ্গেয় বদ্বীপ এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। এ জন্য বাংলাদেশকে বলা হয় ‘গিফট অব দ্য বে’।

সেজিস-এর গবেষণা-
সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সেজিস) সাম্প্রতিক এক জরিপেও ৫৫ হাজার ৫৯৮ বর্গকিলোমিটারের এই দেশের আয়তন আরো বাড়ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সমুদ্র উপকূল ঘেঁষে জেগে উঠছে নতুন এক বাংলাদেশ।
সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (সেজিস) বিজ্ঞানীদের সাম্প্রতিক এক জরিপে এ আশার কথা জানা গেছে। জরিপে গত ৩২ বছরের বিভিন্ন সময়ের স্যাটেলাইট চিত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, হিমালয় থেকে নেমে আসা বৃহৎ নদীগুলোর বাহিত পলি জমে বাংলাদেশের আয়তন প্রতি বছর ২০ বর্গকিলোমিটার করে বাড়ছে।যদিও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার গবেষণায় সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার ফলে বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের বিরাট ভূখণ্ড সাগরে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করা হয়।সরকার পরিচালিত সেজিসের প্রধান মমিনুল হক সরকার বলছেন, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র বাহিত পলির কারণে বাংলাদেশের মানচিত্র বদলাচ্ছে এবং প্রতি বছর নতুন ভূখণ্ড মূল ভূখণ্ডের সাথে যোগ হচ্ছে। এ দু’টি নদী প্রতি বছর ১০০ কোটি টনেরও বেশি পলি বহন করছে এবং এ পলি দক্ষিণের উপকূলীয় রেখাকে আরো সাগরের ভেতর ঠেলে দিচ্ছে এবং ফলে বাংলাদেশ নতুন ভূখণ্ড পাচ্ছে।
জাতিসঙ্ঘের জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত আন্তঃসরকার প্যানেলের ভবিষ্যদ্বাণীতে বলা হয়েছিল, দুই শতাধিক বেশি নদীবিধৌত বাংলাদেশ খুব ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটির ১৭ শতাংশ ভূখণ্ড সাগরে তলিয়ে যাবে। এর ফলে ওই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের ২ কোটি মানুষ পরিবেশগত শরণার্থী হয়ে পড়বে। আর খাদ্য উৎপাদন কমবে ৩০ শতাংশ।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নাসা গোডার্ড ইনস্টিটিউট ফর স্পেস স্টাডিজের পরিচালক প্রফেসর জেমস হানসেন বলেছেন, চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ গোটা বাংলাদেশটাই সাগরে তলিয়ে যাবে। আর এ নিয়ে ব্রিটিশ একটি পত্রিকায় খবর প্রকাশ হলে বেশ হৈচৈ পড়ে যায়।
তবে সেজিসের তথ্য হচ্ছে, সাগরে উচ্চতা বৃদ্ধি ও নদীভাঙনের ফলে ভূমির পরিমাণ কমার বিষয়টিই গবেষকরা হিসাবে ধরেছেন, নদী সাগরের মিলনস্থলে পলি পড়ে নতুন ভূখণ্ড তৈরির বিষয়টি তারা আমলে নেননি।মইনুল হক সরকার বলেছেন, ১৯৭৩ সালের পর থেকে বিভিন্ন সময়ের স্যাটেলাইট চিত্রগুলো পরীক্ষার পর দেখা গেছে, ওই সময়ের পর থেকে বাংলাদেশ প্রায় এক হাজার বর্গকিলোমিটার নতুন ভূখণ্ড পেয়েছে। আর এ ধারা অব্যাহত থাকলে ভূখণ্ড কমা তো দূরের কথা, ২০৫০ সালের মধ্যে সাগর থেকে আরো এক হাজার কিলোমিটার নতুন ভূমি বাংলাদেশের জন্য জেগে উঠবে।
এ দিকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপকূলীয় গবেষণা ও জরিপ বিভাগের প্রধান মাহফুজুর রহমানও উপকূলীয় অঞ্চলে ভূমি জেগে ওঠা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন। তিনি জাতিসঙ্ঘের ওই গবেষণা প্যানেল ও অন্যান্য জরিপ সংস্থার কাজকে খুব সাধারণ মানের বর্ণনা করে বলেন, সংস্থাগুলো শুধু সাগরের উচ্চতা বৃদ্ধিই দেখে, পলি পড়ে নতুন ভূমি সৃষ্টি তাদের চোখে পড়ে না। এক যুগ ধরে আমরা বিশেষজ্ঞদের মুখে শুধু শুনছি বাংলাদেশ সাগরে তলিয়ে যাবে, কিন্তু এ পর্যন্ত আমাদের কোনো গবেষণায় তার প্রমাণ মেলেনি।তিনি বলেন, গত শতকের পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে উপকূলীয় অঞ্চলে নির্মিত বাঁধ বাংলাদেশকে আরো ভূখণ্ড পেতে সাহায্য করেছে। আমরা বিশ্বাস করি, নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশের নতুন ভূখণ্ড বৃদ্ধির মাত্রাকে আমরা আরো ত্বরান্বিত করতে পারি।মাহফুজুর রহমানের মতে, নদীভাঙনে বাংলাদেশের অনেক ভূমি হারিয়ে গেছে বটে কিন্তু নদীর মোহনায় পলি জমে ও বাঁধের কারণে যে নতুন ভূমি যোগ হয়েছে সেটা ওই ক্ষতি পোষানোর চেয়ে অনেক বেশি। আর উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আরো বাঁধ নির্মাণ করা গেলে আমরা অদূরভবিষ্যতে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার বর্গকিলোমিটার নতুন ভূমি পাবো।

পাঁচ হাজার বছর আগে পানির নিচে ছিল দক্ষিণবঙ্গ!
ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞানীদের তত্ত্ব মতে, বাংলাদেশের দক্ষিণবঙ্গ আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর আগে পানির নিচে ছিল। পাঁচ হাজার বছর আগে উত্তরে বঙ্গোপসাগরের উপকূল রেখার সীমানা ছিল বিহারের রাজহিল পর্বত পর্যন্ত। গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনার বয়ে আনা পলি সগার মোহনায় জমতে জমতে হাজার হাজার বছরের পরিক্রমায় গঠিত হয়েছে আজকের দক্ষিণাঞ্চল। নবগঠিত এ অঞ্চলটি দেখতে গ্রিক অক্ষর ‘ডেল্টা’ ও বাংলা ‘ব’-এর মতো। এ জন্য এর নাম ডেল্টা বা বদ্বীপ। যেহেতু গঙ্গা অববাহিকার দক্ষিণে এর অবস্থান তাই এর নাম গাঙ্গেয় বদ্বীপ। এটি বিশ্বের বৃহত্তম বদ্বীপ। গাঙ্গেয় বদ্বীপের সীমানা পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশজুড়ে বিস্তৃত। গাঙ্গেয় বদ্বীপের পশ্চিমে রয়েছে হুগলী, ভাগীরথি নদী আর পুবে বাংলাদেশের পদ্মা-মেঘনার মোহনা। বাংলাদেশে এর সীমানা উত্তরে কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, শরীয়তপুর ও নোয়াখালী জেলা। অর্থাৎ পদ্মা নদীর দক্ষিণ অববাহিকা থেকে শুরু করে দক্ষিণে যতগুলো জেলা রয়েছে তার সবগুলো নিয়ে গাঙ্গেয় বদ্বীপ গঠিত হয়েছে। বদ্বীপের অন্য জেলাগুলো হলো মেহেরপুর, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলা। গাঙ্গেয় বদ্বীপের মোট আয়তন ৬০ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটার। সমুদ্র উপকূল থেকে ভাগীরথি পর্যন্ত এ বদ্বীপের দৈর্ঘ্য ৪৮০ কিলোমিটার। তবে অন্য আরেক দল ভূগোলবিদদের মতে, কোটি কোটি বছর আগে প্লাইস্টোসিন যুগে বঙ্গোপসাগরের উপকূল রেখা আরো দক্ষিণে ছিল। তখন এ অঞ্চলটি শুষ্ক মরুময় ছিল। কিন্তু পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং বিশাল হিমবাহের ফলে দক্ষিণের বিশাল ভূভাগ তলিয়ে গেছে। দু’টি তত্ত্বেরই সার কথা হলো বঙ্গোপসাগরের উপকূল রেখার পরিবর্তন হচ্ছে।

বাংলাদেশের গঠন-
ভূমি গঠনগত দিক দিয়ে বাংলাদেশকে মোট তিন ভাগে ভাগ করা যায়-
এক. সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের টারশিয়ারি যুগের পাহাড়। কোটি কোটি বছর আগে ভূ-আন্দোলনের ফলে এসব পাহাড়ের সৃষ্টি।
দুই. প্লাইস্টোসিন যুগের চত্বর ভূমি যথা উত্তরবঙ্গ, বরেন্দ্র অঞ্চল, মধ্য অঞ্চলের ভাওয়াল মধুপুর এবং কুমিল্লার লালমাই পাহাড়। এর বয়স আনুমানিক দুই থেকে আড়াই লাখ বছর।
তিন. প্লাবন ভূমি। পাহাড়ি অঞ্চল ছাড়া সমগ্র সমতল ভূমি এর অন্তর্ভুক্ত। প্লাবন ভূমির বয়স ৮০ থেকে ৯০ হাজার বছর। বিজ্ঞানীদের মতে, টারশিয়ারী এবং প্লাইস্টোসিন যুগের পাহাড়ি অঞ্চল ছাড়া সমগ্র বাংলাদেশের গঠন হয়েছে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা এবং ভারত, চীন ও মিয়ানমারের অন্যান্য নদীব্যবস্থার পলিমাটি জমে। কোটি কোটি বছরের পরিক্রমায় এ সমতল ভূমি গড়ে উঠেছে।

বাংলাদেশের দক্ষিণে বাড়ছে, পশ্চিমবঙ্গের নয়-
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আব্দুর রব স্যাটেলাইট ইমেজ, টপোশিট, এরিয়াল ফটোগ্রাফ, ১৭৮০ সালের রেনেলের ম্যাপ, ১৮৮০ সালের সার্ভে অব ইন্ডিয়া এবং ১৯৮০ সালের বাংলাদেশের স্পার্সোর ম্যাপ বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন ২০০ বছর ধরে গাঙ্গেয় বদ্বীপের ভারতের অংশ যেমন ছিল তেমনি রয়েছে, বাড়েনি। কিন্তু বাংলাদেশ অংশে ক্রমে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে এর আয়তন বাড়ছে। ১৭৮০ সালে বাংলাদেশ অংশের গাঙ্গেয় বদ্বীপের আয়তন ছিল ৪৬৭৮ বর্গকিলোমিটার। ১৯৮০ সালে এর আয়তন বেড়ে দাঁড়ায় ৫৩০৭ বর্গকিলোমিটার। অর্থাৎ গত ২০০ বছরে বাংলাদেশ অংশে গাঙ্গেয় বদ্বীপের আয়তন ৬২৯ বর্গকিলোমিটার বেড়েছে। বর্তমানে দক্ষিণ তালপট্টি, নিঝুম দ্বীপ, উরিরচর প্রভৃতি দ্বীপসহ আরো অনেক ছোট ছোট দ্বীপ আজ থেকে ৫০-৬০ বছর আগে জলমগ্ন ছিল। কখনো জেগে উঠত আবার কখনো তলিয়ে যেত। কিন্তু এখন এগুলো স্থায়ীরূপ লাভ করেছে। এভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণে আরো অনেক ছোট ছোট ডুবোচর, মগ্নচড়া রয়েছে যেগুলো জোয়ারের সময় তলিয়ে যায় আবার ভাটার সময় জেগে ওঠে। বঙ্গোপসাগরের প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও সাইক্লোনের সময় সমুদ্রের প্রলয়ঙ্করী ঢেউ ও বাতাসের তোড় অনেক ডুবোচরের মাটি সরিয়ে ফেলে এবং সেগুলো আবার দীর্ঘদিনের জন্য হারিয়ে যায়। এ কারণে ভূমি গঠন কিছুটা ধীরগতিতে হচ্ছে। স্যাটেলাইট ইমেজ থেকে দেখা যায়, বাংলাদেশের দক্ষিণে যেসব বড় বড় দ্বীপ, মগ্নচড়া ও ডুবোচর ছিল সেগুলোর আয়তন ক্রমে ছোট হচ্ছে। অন্য দিকে দক্ষিণে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ড বাড়ছে।
তার মানে হলো দক্ষিণে যেসব মগ্নচড়া, ডুবোচর এবং ছোট ছোট দ্বীপ ছিল সেগুলো প্রকৃতিক নিয়মে ভেঙে ছোট হয়েছে এবং ওই সব চরের মাটি বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের সাথে মিলিত হয়েছে। ফলে দক্ষিণে বাংলাদেশের আয়তন বাড়ছে।গাঙ্গেয় বদ্বীপ পূর্ব-পশ্চিমের বদলে উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে বাড়ছে। পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে গাঙ্গেয় বদ্বীপ উপকূল রেখার বর্তমান দৈর্ঘ্য ৩১৫ কিলোমিটার। রেনেলের ম্যাপ অনুযায়ী ১৭৮০ সালে এ দৈর্ঘ্য ছিল ২৯০ কিলোমিটার। অর্থাৎ গত ২০০ বছরে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে বদ্বীপ উপকূল রেখা চওড়ায় বেড়েছে ২৫ কিলোমিটার। ১৭৮০ সালে পদ্মার মূল চ্যানেল দক্ষিণ শাহবাজপুরের (বর্তমান ভোলা) পূর্ব পাশ দিয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হতো। বর্তমানে এটি তেঁতুলিয়া নদী নামে পরিচিত। ১৮৮০ সালের সার্ভে অব ইন্ডিয়া ম্যাপ অনুযায়ী পদ্মা ও মেঘনা চ্যানেল একসাথে মিলিত হয়ে মেঘনা নাম ধারণ করে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে। মিলিত এ চ্যানেলটি নোয়াখালীর দক্ষিণ-পূর্ব এবং হাতিয়ার পূর্ব পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। শত বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশের দক্ষিণে এভাবে ভূরূপের পরিবর্তন ঘটলেও গাঙ্গেয় বদ্বীপের ভারত অংশে কোনো পরিবর্তন সাধিত হয়নি।গত ২০০ বছরে উপকূল রেখার এ পরিবর্তন প্রক্রিয়ায় মোট তিনটি উপকূল রেখার অস্তিত্ব পাওয়ায় যায়। এগুলো হলো ১৭৮০ সালের রেনেল ম্যাপ, ১৮৮০ সালের সার্ভে অব ইন্ডিয়া ম্যাপ এবং ১৯৮০ সালের স্পার্সো ম্যাপ। ১৭৮০ সালের মানচিত্রে হাতিয়া দ্বীপের আয়তন দেখা যায় ৩৭২ বর্গ কিলোমিটার। ১৮৮০ সালে এ আয়তন বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭০ বর্গকিলোমিটার। এক শ’ বছরের মাথায় ১৯৮০ সালে হাতিয়া দ্বীপের আয়তন আবার কমে ৩৭০ বর্গকিলোমিটারে পৌঁছে। একইভাবে সন্দ্বীপের আয়তন ১৭৮০ সালে ছিল ৪৮০ বর্গ কিলোমিটার, ১৮৮০ সালে ৮০০ বর্গকিলোমিটার এবং ১৯৮০ সালে তা কমে দাঁড়াল ৩৪৭ বর্গকিলোমিটার। ১৭৮০ সালে শাহবাজপুর বা ভোলার আয়তন ছিল ৭৩০ বর্গকিলোমিটার। ১৯৮০ সালে এ আয়তন দাঁড়ায় ৩৪৭ বর্গকিলোমিটার। ভাঙা-গড়ার এই খেলায় হাতিয়া, সন্দ্বীপ, মনপুরা, শাহবাজপুর (ভোলা) প্রভৃতি দ্বীপের আয়তন একবার বেড়েছে আবার কমেছে। স্যাটেলাইট ইমেজে এ চিত্র ধরা পড়েছে। অন্য দিকে দ্বীপগুলোর আয়তন কমলেও ১৭৮০ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের দক্ষিণে আয়তন বেড়েছে ৬২৯ বর্গকিলোমিটার। নদীর যেমন এপার ভাঙে ওপার গড়ে তেমনি ভাঙা গড়ার খেলায় দ্বীপের মাটি ভেঙে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের মূল ভূখণ্ডের সাথে যুক্ত হয়েছে এবং দক্ষিণে বাংলাদেশের আয়তন বেড়েছে। প্রাকৃতিকভাবে এই ভূভাগ জেগে উঠতে শত শত এমনকি হাজার বছর লেগে যেতে পারে। তবে নেদারল্যান্ডের মতো সমুদ্রে ডাইক নির্মাণ করে দ্রুত এই বিশাল ভূভাগ উদ্ধার সম্ভব বলে মনে করেন ভূগোলবিদরা।

সম্ভাবনার নাম মহীসোপান-
বাংলাদেশের দক্ষিণে রয়েছে বিস্তৃত একটি মহীসোপন যা ভারত এবং বার্মার উপকূলে বেশ সঙ্কীর্ণ। উপকূল রেখা যেখানে শেষ হয়েছে সেখান থেকে সাগরের মহীসোপান শুরু (কন্টিনেন্টাল শেল্ফ)। মহীসোপান মৃদু ঢালবিশিষ্ট। ১৯৭৪ সালের ষোড়শ অ্যাক্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের আওতায় ৭০ হাজার বর্গকিলোমিটার মহীসোপান রয়েছে। উপকূল বরাবর এটি ২০০ কিলোমিটার চওড়া। তবে বাংলাদেশের এই দাবির প্রতি ভারতের আপত্তি রয়েছে। ভূগোলবিদদের মতে বাংলাদেশ অংশের এই মহীসোপান অঞ্চলটি অপার সম্ভাবনাময়। ভারত, চীন এবং বার্মার নদীব্যবস্থার মাধ্যমে বিলিয়ন বিলিয়ন টন পলিমাটি গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনার মাধ্যমে প্রথমে মোহনায় তারপর মহীসোপান অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে উপকূল থেকে মহীসোপান ধীরে ধীরে ভরাট হচ্ছে। কিন্তু প্রাকৃতিক নিয়মে এই ভরাটকার্যক্রম অত্যন্ত ধীরগতিতে হচ্ছে। নেদারল্যান্ডের মতো যদি মহীসোপান অঞ্চলে একটি ডাইক বা বাঁধ নির্মাণ করে পলিমাটি আটকে দেয়া যায় তাহলে ভূমি গঠন প্রক্রিয়া দ্রুত হবে এবং অল্প সময়ে বাংলাদেশের দক্ষিণে কমপক্ষে ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার নতুন ভূমি লাভ করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন প্রফেসর রব। মহীসোপান অঞ্চলে একটি অতল গহ্বর রয়েছে (সোয়াথ অব নো গ্রাউন্ড)। অতল এই গহ্বরটি বাংলাদেশের উপকূল থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরে। প্রতি বছর যে পলিমাটি মহীসোপানে জমছে তার অনেকটা এই অতল গহ্বর খেয়ে ফেলছে। অতল গহ্বরটি মহীসোপান থেকে শুরু করে মহীঢাল পর্যন্ত বিস্তৃত। ফলে পলিমাটি শেষ পর্যন্ত মহীঢালে গিয়ে মিশছে এবং গভীর সমুদ্রে হারিয়ে যাচ্ছে। মহীসোপান যেখানে শেষ সেখানে হঠাৎ ঢালু অঞ্চল শুরু হয়েছে। একে বলে মহীঢাল (কন্টিনেন্টাল স্লোপ)। দক্ষিণে ভূমি গঠন প্রক্রিয়ার ধীরগতির অন্যতম কারণ এই অতল গহ্বর এবং ঘূর্ণিঝড় ও সাইক্লোন। এ কারণে ডাইক নির্মাণ করে পলিমাটি আটকানো জরুরি। এ ছাড়া ডাইকের মাধ্যমে নদীমুখের গতি পরিবর্তন করে অতল গহ্বর এড়িয়ে পলিমাটিকে অন্যত্র জমা করা সম্ভব।

হল্যান্ড বানিয়েছে ডাচরা!
নেদারল্যান্ডের আয়তন ৩৩ হাজার ৮৯৩ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে ছয় হাজার বর্গকিলোমিটার ভূখণ্ড সমুদ্র উপকূলে ডাইক বা দেয়াল নির্মাণ করে উদ্ধার করা হয়েছে। শতকরা হিসেবে উদ্ধারকৃত ভূখণ্ডের পরিমাণ ৫ ভাগের ১ ভাগ। নেদারল্যান্ডের অভ্যন্তরে রয়েছে জুদার্জি সাগর। একে দেশের আয়তনে ধরলে দেশটির মোট আয়তন দাঁড়ায় ৪১ হাজার ৫৪৩ বর্গকিলোমিটার। লোকসংখ্যা এক কোটি ৬৪ লাখ। (উত্তর ও দক্ষিণ হল্যান্ড নামে নেদারল্যান্ডের দু’টি প্রদেশ রয়েছে। সে জন্য হল্যান্ডের নামেও পরিচিত নেদারল্যান্ড )।

যেভাবে নতুন ভূমি উদ্ধার করা হয় : প্রথমে উপকূল থেকে দূরে একটি নির্দিষ্ট সীমানা ঘিরে উঁচু দেয়াল-ডাইক নির্মাণ করা হয়। তারপর পাম্পের সাহায্যে দেয়ালের ভেতরের পানি বাইরে ফেলা হয়। ফলে দেয়ালের ভেতরের অংশ শুকিয়ে যায়। তারপর সেটি পরিণত হয় একটি নতুন জনপদে। পাম্প করে পানি দেয়ালের বাইরে সাগরে ফেলার জন্য উইন্ডমিল ব্যবহার করা হয়।

বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডের মধ্যে অভূতপূর্ব মিল-
ভারত এবং চীনে উৎপত্তি হয়ে দু’টি বিশাল নদী যেমন বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিলিত হয়েছে তেমনি ইউরোপের তিনটি প্রধান নদী নেদারল্যান্ডের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত উত্তর আটলান্টিক মহাসগরের ক্যারিবীয় সাগরের মিলিত হয়েছে। গঙ্গা এবং ব্রহ্মপুত্রের মাধ্যমে পলিমাটি জমে হাজার হাজার বছরের পরিক্রমায় সৃষ্ট বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল বিশ্বের বৃহত্তম বদ্বীপ। ইউরোপ হয়ে নেদার‌্যান্ডের মধ্যে দিয়ে রাইন মিউজ ও শেল্ডট দু’টি নদীর পলিমাটি নেদারল্যান্ডের পশ্চিমে ক্যারিবীয় সাগর মোহনায় জমা হয়ে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য দ্বীপ এবং বদ্বীপ। ফলে উভয় দেশের সমতল ভূমি নদীবাহিত পলিমাটি দ্বারা গঠিত। উভয় দেশের এক দিকে সমুদ্র। উভয় দেশ বন্যা আক্রান্ত। তবে নেদারল্যান্ড বন্যা প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে।

নেদারল্যান্ডের অবস্থান
উত্তর-পশ্চিম ইউরোপে আটলান্টিক মহাসগরের ক্যারিবীয় উপসাগরকূলে ছোট্ট এ দেশের অবস্থান। দেশটির উত্তর ও পশ্চিমে সাগর, দক্ষিণে বেলজিয়াম এবং পূর্বে জার্মানি অবস্থিত। নেদারল্যান্ড সম্পর্কে প্রচলিত প্রবাদ হলো আল্লাহ পৃথিবী বানিয়েছেন আর ডাচরা নেদারল্যান্ড বানিয়েছে।

দেশে দেশে ভূমি উদ্ধার-
যুক্তরাষ্ট্রের নিউঅরলিন্স, সানফ্রান্সিসকো, অস্ট্রেলিয়ার পার্থ, মেক্সিকো সিটি, দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন, দক্ষিণ চীন, হংকং, ম্যাকাও, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, টোকিও, বাহরাইনসহ বিশ্বের আরো অনেকে দেশ সমুদ্র উপকূলে ভূমি উদ্ধার করেছে। সিঙ্গাপুরের মোট আয়তনের ২০ ভাগ সমুদ্র থেকে উদ্ধারকৃত এবং আরো ৯৯ বর্গকিলোমিটার ভূমি উদ্ধারের কাজ চলছে।

জেগে উঠবে আরো অনেক নিঝুম দ্বীপ-
বাংলাদেশের দক্ষিণে ৪০টিরও বেশি ছোট বড় উপকূলবর্তী দ্বীপ রয়েছে। দ্বীপগুলোর বেশির ভাগই তেঁতুলিয়া নদীর পূর্ব থেকে ফেনী নদীর বিশাল মোহনার মধ্যবর্তী স্থানে । এর মধ্যে বেশ কয়েকটি দ্বীপ রয়েছে যেগুলো বিগত ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে স্থায়ী রূপ লাভ করেছে। এর আগে এসব দ্বীপ মগ্নচড়া (submerged shoals) হিসেবে ছিল। কখনো কখনো ভাটার সময় জেগে উঠত আবার জোয়ারের সময় হারিয়ে যেত। আবার কখনো বা প্রবল সাইক্লোনের তোড়ে দ্বীপের উপরিভাগে মাটি ক্ষয়ের ফলে ১০-১২ বছরের জন্য পানির নিচে হারিয়ে যেত এসব দ্বীপ। দ্বীপ গঠনের এ প্রক্রিয়ায় গত ৪০-৫০ বছরের মধ্যে স্থায়ী রূপ লাভ করেছে যে কয়টি দ্বীপ তার মধ্যে অন্যতম হলো নিঝুম দ্বীপ, উরিরচর, দক্ষিণ তালপট্টি। তবে গত মার্চ মাসে বার্তা সংস্থা এপি পরিবেশিত একটি খবরে বলা হয়েছে দক্ষিণ তালপট্টি আবার দেখা যাচ্ছে না।

নিঝুম দ্বীপ
১৯৫০ সালে স্থানীয় জেলেরা দ্বীপটি আবিষ্কার করেন। তবে ১৯৭০ সালের পর থেকে এটি স্থায়ী রূপ লাভ করে। এর আয়তন ১৪ হাজার ৫০ একর। ১৯৭০ সাল থেকে এখানে বসতি শুরু হয়। লোকসংখ্যা ১৫ হাজার । শুরুতে এটি চর ওসমান, বালুয়ার চর, বল্লার চর নামে পরিচিত ছিল। ওসমান নামে এক জেলে প্রথমে এখানে বসিত স্থাপন করেন এবং তার নামানুসারে এর নাম চর ওসমান হয় বলে প্রচলিত আছে। দ্বীপটি বর্তমানে প্রধান চারটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত । এগুলো হলো বল্লারচর, কমলারচর, চর ওসমান এবং চর মুরি। বাংলাদেশ সরকার দ্বীপটির মাটি ক্ষয় রোধ এবং দ্বীপের চারপাশে বালু আটকে আয়তন বাড়ানোর পরিকল্পনায় সুন্দরবনের কেওড়া জাতীয় বৃক্ষ রোপণ করে । অত্যন্ত দ্রুত বর্ধনশীল এ বৃক্ষের কারণে এটি এখন অন্যতম একটি ম্যানগ্রোভ অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। সুন্দরবনের হরিণ ছেড়ে দেয়ার পর নিঝুম দ্বীপ এখন ভরে গেছে চিত্রল হরিণে। কমপক্ষে পাঁচ হাজার হরিণ রয়েছে সেখানে। ২০০১ সালে সরকার নিঝুম দ্বীপকে ন্যাশনাল পার্ক ঘোষণা করে। চার দিকে পানির মধ্যে সুমসাম নীরবতা এ দ্বীপের প্রধান আকর্ষণ। এ কারণে এর নাম রাখা হয়েছে নিঝুম দ্বীপ। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার অন্তর্ভুক্ত দ্বীপটি।

(ইন্টারনেট থেকে)

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:৪৭

ফুলেরপাতা বলেছেন: তুলনাহীন ভালো লেখা।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২৩

এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: আমি লেখাটা সংগ্রহ আর সম্পাদনা করেছি মাত্র। আমার উদ্দেশ্য ইতিবাচক তথ্যের প্রবাহ সৃষ্টি করা।

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৫

ভিটামিন সি বলেছেন: ভাই এতো লেখা কিভাবে লিখলেন? হাত ব্যাথা করলো না? আপনাকে ব্যাভো দেবো না সাব্বাস দেবো বোঝতাছি না।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২০

এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: আমি লেখাটা সংগ্রহ আর সম্পাদনা করেছি মাত্র। তাই হাত বা আঙ্গুল কোথাও ব্যাথা হয়নি। আমাকে সাব্বাস দিতে হবে না বরং দেশের বর্তমান অবস্থা দেখে নিরাশ না হয়ে আসুন আশাবাদী হই, দেশকে ভালবাসি।

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:০৭

নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: অসাধারন বিশ্লেষণ, কিন্তু আফসোস আমাদের মাথামোটা নিতিনিরধায়করা এর কোন মুল্য দিবে না। :(

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৩২

এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: নীতিনির্ধারকদের কথা বাদ দেন, নীতিনির্ধারক বা নীতি কোনোটাই বদলাতে সময় লাগবে না। শুধু নিজেদের তৈরী হতে হবে ভবিষ্যৎ নীতিনির্ধারনের জন্য

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪

মৃদুল শ্রাবন বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।

নেদারল্যান্ড সম্পর্কে যতটুকু জানি, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দেশটির ভূখন্ড অলরেডি ৭ সেমি নিচে আছে। আমাদের দেশের এই অবস্থা হলে আমরা এতদিনে পানির নিচেই তলিয়ে যেতাম। কিন্তু ডাচরা যতগুলো নদী সমুদ্র থেকে দেশের মধ্যে ঢুকেছে সবগুলোর মুখে বাঁধ দিয়ে রেখেছে। এবং ঐ নদী পথে জাহাজ চলাচলের ব্যবস্থাও সুন্দর বেসিনের মাধ্যমে করা। বেসিনের দুইটা গেট থাকে। ভেতরের গেটটা বন্ধ রেখে বাইরের গেট খুলে জাহাজ বেসিনে ঢোকানো হয়। তারপর বাইরের গেট বন্ধ করে ভেতরের গেট খুলে জাহাজটি নদীতে প্রবেশ করে।

এই পদ্ধতিতে আমস্টারডাম যাবার সুযোগ হয়েছিল আমার।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৫

এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। যারাই স্রষ্টা প্রদত্ত মস্তিষ্ক ব্যবহার করেছে তারাই উন্নতি করেছে যে কোনো প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে। আমরাও উন্নতি করব ইনশাআল্লাহ্। বাংলাদেশও এক সমৃদ্ধ দেশে পরিনত হবে।

৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৪

কসমিক- ট্রাভেলার বলেছেন:





বেশ তথ্যসমৃদ্ধ লেখা , প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম
সময় নিয়ে পড়ে তারপর নির্ণয় করা হবে।

২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৩

এরিক ফ্লেমিং বলেছেন: কি নির্ণয় করলেন তা জানার প্রবৃত্তি জাগ্রত রইলো.....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.