নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একবিংশের ইলহাম (সমাজ ধর্ম দর্শন বিষয়ক প্রবন্ধ)

আত্মশুদ্ধি প্রজ্ঞা লাভ মনুষ্যত্বে সিদ্ধি লাভ

ময়না বঙ্গাল

মতলববাজি খতম করি বিবেকদন্ড বহাল করি

ময়না বঙ্গাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলমানদিগদের শত্রু ! ?

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫

হে কলমওয়ালা ! কোরানে উল্লেখ আছে কি - হে রাসুল আপনি দেখবেন মুসলমানদের বিরদ্ধে মানব সম্প্রদায়ের মধ্যে ইহুদী আর মুশরিকগণই উগ্রতর শত্রু।' অথচ প্রেক্ষাপট কি একথা বলছে না যে তথাকথিত মুমীনরাই পরষ্পরের মধ্যে উগ্রতর শত্রুতে পরিনত হয়েছে। বল। মুসলমানদের শত্রুতারহেতু আল্লা ক্লিয়ার ওয়াকিফহাল। কোরান আরও বলেছে - হে ইমানদারগণ ! তোমরা ইহুদী আর খ্রিষ্টানকে বন্ধুরুপে গ্রহন করো না তারা পরষ্পরের বন্ধু।' অথচ কি নির্মম পরিহাস যে, উল্টো আজ ইমানদারগণ পরষ্পর বন্ধু হতে পারছে না। তুমি বলে দাও যে, বিশ্বমুসলিম যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নের মত অভিন্ন মুদ্রানীতির ফর্মুলাতে একই কাতারে আবদ্ধ হতে পারে তবে খ্রিষ্টান ইহুদীগণ মুসলমানদের কৌশলগত বন্ধুতে রুপান্তরিত হয়ে যাবে। এই প্রেক্ষিতে বিশ্বমুসলিমকে স্মরণ করিয়ে দাও কোরানের ঐ সংলাপ টি যেখানে বলা হয়েছে - তোমরা আল্লা ও তার রাসুলের আনুগত্য করো, নিজেরা পরষ্পর বিবাদ বিতর্ক করবে না, তাহলে সাহস হারা হয়ে পড়বে। তোমাদের প্রভাব প্রতিপত্তি চলে যাবে। আর তোমরা ধৈর্য্যধারণ করবে। নিশ্চয় আল্লা ধৈর্য্যশীলদের সাথে আছেন'। অথচ তোমরা মুসলমানরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে বিবাদের বীজ বপন করে ফেরকা ফেরকা টুকরা টুকরার মধ্যে নিমজ্জিত হয়ে আছ। আর আশা করছো - আল্লা কখন এবং কোন সময় ইহুদী আর খ্রিষ্টানের উপর গযব নাযিল করবে। বল। তোমরা যদি নিজেরা নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা না করো তবে যে আল্লার সাহায্য আসবে না - একথা কি এত দিনেও বোধগম্য হচ্ছে না !

আল্লা কোরানে আরও বলেছে - হে ইমানদারগণ। তোমরা ইমানদারদের বাদ দিয়ে কাফেরদের বন্ধু করোনা।' তবে বল ইমানদার খ্যাত কোরানের ন্যায়পরায়ণতাকে মহান বলে কবূল করা এবং ইসলামকে ব্যবহার করা দলগুলো পরষ্পর বন্ধু হতে এগিয়ে আসছে না কেন ? বল। সার্বিককারন মূল্যায়নে দেখা যাচ্ছে মূলবিষয় সফেদ আত্মার অভাব। বল। মিথ্যাভাষণ, গিবত, আমানতের খেয়ানত, অন্যের হক নষ্ট করা বিশেষ করে জমিজমা টাকাপয়সা সম্পর্কীয় দোযত্রুটি এবং অহংবোধ থেকে দুরে থাকলে সফেদ আত্মা বা কলবুস সলীমের পথ প্রসস্থ হয়। যদি আমরা কলবুস সলীম কি আর কলবুস সলীমে কিভাবে উত্তরণ করা যায় এই তপস্যা গ্রহন করতে পারি তবে আল্লা বলছেন সুখের মিষ্টতা কতখানি তা অনুধাবণ করা যাবে।। বল। আল্লার আছে মহাসুখের ভান্ডার।

হে আঁধারমুখমন্ডল ! স্মরণ কর কোরানের ঐ সংলাপটি যেখানে বলা আছে - ইমানদার নারীপূরুষ একে অপরের বন্ধু। তারা ভালো কথার শিক্ষা দেয় এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। নামাজ প্রতিষ্ঠা করে যাকাত দেয় এবং আল্লার নির্দেশ অনুযায়ী জীবনযাপন করে। তাদের উপর আল্লা অনুগ্রহ করবেন। নিশ্চয় আল্লা পরাক্রমশালী।'
বল। হে আল্লা আমরা আজ অনৈক্যের কারনে হিংসা কী'না দুর করতে না পারার কারনে ভঙ্গুর হয়ে পড়ে আছি। অপরিমাণদর্শীতা বাস্তববোধের অভাব, সংকীর্ণ আত্মবিলাসের মোহে কুরান এবং সুন্নার প্রতি বিমুখ আমরা মুসলিম উম্মাহ্ শৌর্য বীর্য হিকমত সবই হারিয়ে ফেলেছি। কর্মফলে কি বদনসীব আমাদের যে, নিজেকে বাস্তব সংগ্রাম ময়দান থেকে সরিয়ে নিয়ে এক নিদ্রালু ও তমসাছন্ন জগতে বাস করছি। হে আল্লা আমাদের কোন ঐশ্বরিক নৈতিক ঝড়ের মুখোমুখি করে দাও। কেননা তোমার সমুদ্রে যে তরঙ্গ তাতে আমরা স্বভাব দোষে কোন উত্তলতা আনতে পারছি না। বল। হে আল্লা ইরাক আফগান ফিলিস্তিন লেবাননে যে অন্যায়ের দাবানল বয়ে চলছে তা থেকে শিক্ষা নিয়ে নৈতিক ঝড়ের মধ্যদিয়ে মুসলিম উম্মাহর স্তিমিত নিস্তরঙ্গ ধমনীতে তাওহীদি হিম্মতের জোয়ার জেগে ওঠার হিকমত প্রদান করুন। বল বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে বিভেদ থাকা সত্বেও প্রত্যেকটি ধর্মই মানুষকে ভালোবাসতে শিখায়, অন্যের প্রতি সহানুভূতির কথা বলে, আত্মনিয়ন্ত্রণের অনুশীলনে উৎসাহ দেয় এবং মানবকল্যাণের জন্য অনূপ্রেরণা যোগায়। বল ধর্ম নয় বরং ধর্মান্ধতাই মানুষকে সংকীর্ণমনা, ক্ষুদ্রচেতা ও স্বার্থপর এবং নির্বিচার করে তোলে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.