নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একবিংশের ইলহাম (সমাজ ধর্ম দর্শন বিষয়ক প্রবন্ধ)

আত্মশুদ্ধি প্রজ্ঞা লাভ মনুষ্যত্বে সিদ্ধি লাভ

ময়না বঙ্গাল

মতলববাজি খতম করি বিবেকদন্ড বহাল করি

ময়না বঙ্গাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাকে প্রশ্ন এবং হারমিস ও সক্রেটিস

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭

হে কলমওয়ালা ! তুমি আল্লাপাককে প্রশ্ন করেছিলে - হে আল্লা আমরা তাওরাত ইনজিল কোরানপাক থেকে জানতে পায় যে, তুমি প্রত্যেক যুগেই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের কাছে নবী ও রসুল পাঠিয়েছ কিন্ত আমরা লক্ষ্য করছি যে নবী রসুলের নামের উদহারণের বেলায় কোরানে এ পর্যন্ত যত নবী রসুলের নাম জানতে পায় তারা সকলে আশ্চার্যজনকভাবে আরব ভূখন্ডের অধিবাসী আর বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয় যে তোমার সবচাইতে বেশী নবী রসুল নাযিল হয়েছিল একটি মাত্র সম্প্রদায় সেটি হলো বনী ইসরাইল সম্প্রদায়। হে আল্লাহ তুমিই বল পৃথিবীর অন্যান্য ভূখন্ড কি দোষ করলো যে, সে সব অঞ্চলের দু'একটি নবী পয়গম্বরেরর নাম পর্যন্ত কোরানে উল্লেখ করলে না ? নাকি তুমি আর কোন অঞ্চলে নবী রসুল পাঠাওনি !

হে জাতীয়কবির নামধারী ! বল মহান আল্লাপাক তার একমাত্র তিলোত্তমা দুনিয়ার অধিবাসীদের সাওয়া উস সাবীলের আলোকবর্তিকা চেনাবার জন্য আদম সৃষ্টির শুরু থেকেই যুগে যুগে বিভিন্ন জাতির কাছে তার মনোনীত পয়গম্বর পাঠিয়েছেন শুধুমাত্র এজন্য যে, তোমরা যেন প্রজ্ঞা ইনসাফ পূর্ণ ফায়সালা ন্যায়পরায়ণতা সৎকাজ সচ্চরিত্র বস্তুসমাহার কি তা উপলব্ধি করতে পার। সাথে সাথে সিরাতাল মুসতাকিমের নিশানা মোতাবেক নিজেদের জীবনকে গড়ে তুলে দুনিয়া আখেরাতে কামিয়াব হতে পার। এ সম্পর্কে স্মরণ কর সূরা হাদীদের ঐ আয়াতটি যেখানে বলা হয়েছে - নিশ্চয় আমি রসূলগনকে প্রেরণ করেছি স্পষ্ট প্রমানসহ এবং তাদের সঙ্গে দিয়েছি কিতাব ও ন্যায়নীতি যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠিত করে। পাশাপাশি সূরা শুরার ঐ আয়াতটি স্মরণ কর যেখানে বলা হয়েছে - কেবল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অবলম্বন করা হবে যারা মানুষের উপর অত্যাচার করে এবং পৃথিবীতে অহেতুক বিদ্রোহাচরণ করে বেড়ায়। উহাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তদ শাস্তি।"

হে আঁধার মুখমন্ডল। স্মরণ কর সূরা নিসার ঐ আয়াত টি যেখানে বলা হয়েছে- অনেক রাসুল প্রেরণ করেছি যাদের কথা পূর্বে তোমাকে বলেছি এবং অনেক রসুল যাদের কথা তোমাকে বলিনি।" বল আল্লা আরব ভূখন্ড ছাড়া পৃথিবীর অন্যান্য ভূখন্ডের মেসেঞ্জার পয়গম্বরের নাম কোরানে উল্লেখ না করার কারণ হলো তখনকার জমানায় পৃথিবীর সভ্যতাধারী ভূখন্ড গুলো যোগাযোগের ক্ষেত্রে পরষ্পর বিচ্ছিন্ন ছিল। আরব ভূখন্ড ছাড়া অন্য ভূখন্ডের কাউরি নাম প্রকাশ হতো তখনকার দিনে আরবের মানুষের কাছে স্বাভাবিকতবিরোধী দৃষ্টান্ত। আল্লা প্রত্যেক রসুলকেই তার স্বজাতির ভাষা - ভাষী করে পাঠিয়েছেন তাদের নিকট দাওয়াতি মর্ম পরিষ্কারভাবে তুলে ধরার জন্য। পাশাপাশি স্থানীয় দেশ কাল এবং অভ্যস্ত ইতিহাসের আলোকে ব্যাখ্যার জন্য যাতে মানুষ বোধগম্য হতে পারে সহজে। বল। আল্লা মহান শিক্ষক।

হে কলমওয়ালা ! তুমি পৃথিবীর প্রাচীন মানুষ আর সভ্যতা সম্পর্কে আর কতটুকুই বা জান ? স্মরণ কর পাশ্চাত্যদেশের গ্রীক সভ্যতার কথা। সেই সভ্যতা ছিল রোমান পারস্য সিন্ধু সভ্যতার চাইতেও সৃজনশীলতায় উৎকৃষ্টতর। মধ্যপ্রাচ্যসভ্যতায় যেমন নূহ আর ইবরাহিমের মাধ্যমেই আল্লা আলোকবর্তিকার মশাল উদ্বোধন করেছিল। ঠিক তেমনিভাবে প্রাচীন গ্রীক সভ্যতার ঊষালগ্নে যখন মানুষরা হিংস্র জীবজন্তর ভয়ে একসাথে জড়ো হলো আর তার ফলে যখন সমাজের সূচনা হলো এবং জ্ঞানের এবং সত্যের আলোকবর্তিকার অভাবে তারা নিজেরা যখন অজ্ঞতার আঁধারে বিপথগামী হলো তখন ঐ জাতিকে আল্লা পথ প্রদর্শনের জন্য তার বান্দা এবং পয়গম্বর হারমিসকে প্রেরণ করে। হারমিসের মাধ্যমেই সে সমাজ তাওহীদ ও ন্যায়বিচারের আলোকবর্তিকার সাথে পরিচয় হয়। সে বান্দাই সর্বপ্রথম পাশ্চাত্য ভূখন্ডে আল্লার তরফ থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে সমাজের শৃঙ্খলাবিধান করে, পাশাপাশি মানুষের মধ্যে বিবেক সুকুমারবোধ এবং বন্ধুত্ব স্থাপনের সেতু নির্মাণ করে এবং প্রজ্ঞাসহ ইনসাফপূর্ণ ও ভারসাম্যপূর্ণ আপষ মীমাংসার হেকমত চালু করে। বল। আল্লা সর্বোচ্চ প্রজ্ঞাময়।

হে বিনয়ের অবতার ! তোমার কাছে সক্রেটিসের ইনফরমেশন পৌঁছিয়েছে কি ? সে ছিল গ্রীক সভ্যতার বুকে আল্লার অন্যতম পয়গম্বর। সে তৎকালীন জনগোষ্ঠীর প্রচলিত দেবতাদের অস্বীকার করে সকলকে এক আল্লার দিকে আহবান জানিয়েছিল। আল্লা তাকে নৈতিক মানদন্ডে উন্নতি ঘটিয়ে প্রদান করেছিলেন প্রজ্ঞা আর বলিষ্ঠ যুক্তি। সে তার বাগ্মিতা উপস্থাপন করে গ্রীক যুবাদের শিরকের ধারণার মুলোৎপাটন করে তাওহীদের মর্মমূলে পৌঁছানোর চেষ্টায়রত হয়েছিল এবং সাথে সাথে মানুষের নৈতিক চরিত্রের সংস্কারের মহান ব্রত শেষ পর্যন্ত পালন করেছিল। হে কলমধারী ! তুমি কি জান সে ছিল গ্রীকের শ্রেষ্ঠ জ্ঞানসাধক এবং সদ্গুনসম্পন্ন। সে বলত জ্ঞানই সদ্গুন অর্থাৎ যে ব্যক্তি সৃষ্টির অর্ন্ত্মনিহিত উদ্দেশ্য বোধগম্য হতে পেরেছে সে জনই মহান আল্লা দিদার লাভে সক্ষম। তিনিই আল্লা যিনি তার কাছে নিঃশব্দ প্রেরণার বাণী প্রেরণ করেছিল। আল্লার অন্যান্য নবীরসুলের মতই সে মানুষকে নৈতিক মানদন্ডে উন্নত করতে চেয়েছে। হে আধাঁরমুখমন্ডল ! তুমি আরও জেনে নাও যে, সক্রেটিসের সময়কার শাসক গোষ্ঠী যে ফর্মূলায় দেশ পরিচালনা করত তা ছিল মিথ্যা আর স্বার্থপরতার কম্বল দ্বারা আবৃত। আর সক্রেটিসের কাজ ছিল সেই কম্বলকে উম্মোচন করে সত্যের আলোকরশ্মি উদ্ভাসিত করা। তখন শাসক আর তথাকথিত বুদ্ধিজীবি শ্রেণীরা যুবকদের চরিত্র নষ্ট করা ও দেশদ্রোহিতার মিথ্যা অপবাদ আর তাদের মূর্তি আর দেবতাদের অবমাননার অজুহাতে গ্রেফতার করলো। পরবর্তীতে একটি প্রহসনের বিচার করে জহর প্রয়োগের মাধ্যমে তারা তাকে হত্যা করে। বল। আল্লা শেষ তুরুপেরও মালিক।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩০

গ্রিন জোন বলেছেন: সক্রেটিস নবী হতে হয়তো পারেন। কিন্তু কোরআন হাদিস দ্বারা তা প্রমাণিত নয়। তবে সক্রেটিস খোদায়ী প্রতিনিধিত্বের কাজ করতে চেয়েছিলেন বলেই তাকে হত্যা করা হয়। এক ঈশ্বরকে তিনি প্রতিষ্ঠিত করতে চাইলেন। এ কারণেই ক্ষমতাসীনরা ক্ষেপে গেল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.