নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একবিংশের ইলহাম (সমাজ ধর্ম দর্শন বিষয়ক প্রবন্ধ)

আত্মশুদ্ধি প্রজ্ঞা লাভ মনুষ্যত্বে সিদ্ধি লাভ

ময়না বঙ্গাল

মতলববাজি খতম করি বিবেকদন্ড বহাল করি

ময়না বঙ্গাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ - আল্লার নূর সংযোগের ঠিকাদার তথা রুহানি পীরভ্রাতাগণ (১ম পর্ব)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৯

হে শিশুদের সালামকারী ! তুমি তোমার দেশের পীর ব্রাদারগণকে বল। হে আল্লার নূর সংযোগের ঠিকাদারগণ ! যখন তোমরা একেক জন এক ঘরমে দো পীর যাও বাছা সো রাঁহো মনোভাব অন্তরে লালন কর- তখন নিজেরা কিভাবে বিশ্বাস করছো যে, তোমরা আল্লার নূরেতে অবগাহন করছো ! এটা তোমাদের বৃথা কল্পনামাত্র। ইহা এক প্রকার মতিভ্রম !
তুমি ডিক্লেয়ার দাও যে, তোমরা যারা আল্লার নূরের আবেশ লাভের দাবিদার তাদের অধিকাংশই নেহাত মরীচিকার আলেয়াতে বিভ্রান্ত। বল । তাহার নূরের আবেশ পেতে হলে সর্বপ্রথম দিলপ্রাণ থেকে হিংসাকে কতল করতে হবে। বল। তোমরা কি বাস্তবিকই হিংসার গ্লাণি দুর করতে পেরেছো ? তোমরা যে এক পীর সম্প্রদায় আর এক পীর সম্প্রদায় হতে তফাতে অবস্থান করছো- এই লক্ষণই ধরিয়ে দিচ্ছে যে, তোমরা মনের কি'না দুর করতে পারো নি। বল। আল্লার নূরের রওশন পেতে হলে সকল রুহানি শিক্ষকদের মাঝে প্রগাঢ় বন্ধুত্ব থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সিলসিলা চালু করতে হবে। বল। আল্লা বন্ধুত্বের শিরোমণি।
হে ময়না পাখীর নামধারী ! যে সকল আদমসন্তান আদমের সৃষ্টি কর্তার সাথে হট লাইন করতে চায়। তাদেরকে পরামর্শ দাও। বল। কলবের মাঝেই আয়না আছে। সে আয়নারই উপর আছে ছয়টা কলো রিপুর চাদর। সেই চাদরের ঢলাঢলি মনা রুখতে পারাই আয়না গড়া। অবুঝে গতর ঝুঁকায়ে আর গলা কাঁপানো জিকির হাঁকিয়ে পাবে নাকো আয়নার দেখা। কলবের মাঝেই আছে মনা তাজাল্লি আর নূরের রওশন। সেই আয়নারই রুপের ছটায় কত মন পাগল দিশে হারায়। মনা নিয়ত আর আমলই যে কলবের ভেতর আয়না বসাই- এ কথাটা নতুন করে নাইবা বলি। আসল কথা তবে বলি শোন হে কলবের কান্ডারি ! বিবেক চলে নিজ পথে আর মানুষ চলে মতলবে। তাই চলো মনা বিবেকেরই ঝাঁওয়া দিয়া করি রিপুর চাদর ঘষামাঁজা। পাইলেও পাইতে পারি বড় সাধের আয়নার দেখা। যদি গোপন মনে উচাটনে আয়না দেখার ভাব জমে- তবে চলো সবে ধাক্কামারি লোভ মোহ আর হিংসাকে। অথচ তোমরা পীরবাবাগণ একেকজন কুরশীওয়ালা হয়ে যেমন আল্লর কুরশীকে কেন্দ্র করে ফেরেশতাগণ পাক খায় ঠিক তেমনি ভাবে তোমরাও মুরীদানদের খেলাচ্ছো। তোমাদের অন্তরে যে কি মতলব তা আল্লার বোঝা সারা !
হে গণহারে সালামকারী ! তুমি বলে দাও যে, তোমরা যারা রুহানি শিক্ষকের ভূমিকা পালন করছো তারা বলে থাক যে- তাসাউফ পদে উত্তীর্ণ হয়ে অনেক ধরনের অলৌকিক ঘটনার অবতারণা করতে পারি। এটা একেবারেই তোমাদের মনগড়া কথা। তোমাদের স্মরণ নাই কোরানের ঐ সংলাপটির কথা যখন তোমাদের রসুল হিজরতের প্রায় সন্নিকটে খুবই সংকটময় মূহুর্তে মনে মনে কামনা করছিল আল্লার তরফ থেকে কোন প্রকার অলৌকিক সাহায্য নাযিল হোক। তখন আল্লাপাক ধমকের সুরে ভৎসনা করে বলেছিল যে- হে রাসুল তোমার আক্ষেপ হলে যদি তুমি পার তবে সুরঙ্গ করে ভূ-পৃষ্ঠের নীচে নেমে যাও অথবা সিঁড়ি বানিয়ে আকাশে উঠে যাও কিংবা কোন নিদর্শন থাকলে নিজে নিজে নিয়ে এসো।" বল, স্বয়ং রাসুলকে যখন এমনতর কথা বলা হয়েছে, সেখানে তোমরা উম্মতরা কিভাবে বলছ যে, আমরা রুহানি শিক্ষকগণ অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী বা তাদের অনুসারীগণ বলছ যে- আমাদের পীরসাহেবান কেরামতসম্পন্ন ব্যক্তি। বল। সমস্ত নিদর্শন মুযিজা কেরামতি অলৌকিকতা আল্লার তত্ত্বাবধানে !
হে কলমওয়ালা ! তোমাদের পন্ডিত শ্রেণীর কেউ কেউ বলে কি এলমে কিতাব আর এলমে কালব দু'ভাগে বিভক্ত। তুমি বলে দাও যে- এলমে কিতাব আর এলমে কালব পারষ্পারিক সম্পর্কযুক্ত। আসমানি কিতাবে কি বলা নাই যে, ঈশাকে আল্লাপাক তাওরাত ইনজিল ও হিকমত শিক্ষা দিয়েছিলেন। বল। পুঁথিগত ধর্মদর্শনবিদ্যা অর্জণের সাথে সাথে কলবুস সলীমে উন্নত হলে আল্লাপাক মুমিনকে সঠিক জ্ঞানের মর্ম উপলব্ধির সুযোগ করে দেন। যেমন আমাদের রাসুল কি তৎকালীন আরবদের মত হাতীওয়ালা আর আবাবিল পাখীর কংকর নিক্ষেপের ঘটনা জানত না অথবা ইবরাহিম সোলায়মান মুসা ঈশা ইউসুফের ইতিহাস কি তাঁহার জানা ছিলনা ? তা অবশ্যই জানা ছিল। অতঃপর আল্লা এই ইতিহাস থেকে ভারসাম্যপূর্ণ শিক্ষা এবং সঠিক ও তাৎপর্যপূর্ণ ইতিহাস বের করে আনার হিকমত প্রদান করেছিলেন। এ প্রেক্ষিতে স্মরণ কর মায়েদা সুরার ঐ আয়াতটি - হে কিতাবীগণ ! আমার রাসুল তোমাদের নিকট আসিয়াছে, তোমরা কিতাবের যাহা গোপন করিতে, সে উহার অনেক তোমাদের নিকট প্রকাশ করে এবং অনেক উপেক্ষা করিয়া থাকে। আল্লাহর নিকট হতে এক জ্যোতি ও স্পষ্ট কিতাব তোমাদের নিকট আসিয়াছে।" বল। সুবহানআল্লাহি বিহামদিহি।
হে কলবুস সলীমের নরসুন্দর ! যে সকল পীর মুরীদান ইঙ্গিত প্রদান করে যে- স্বপ্ন এবং কাশফের মাধ্যমে আল্লার দর্শন লাভ করেছেন। তুমি তাদের কোরানের ঐ আয়াতটি স্মরণ করিয়ে দাও। যখন বনী ইসরাইলরা বলেছিল হে মুসা আমরা আল্লাকে সরাসরি না দেখা পর্যন্ত তোমাকে কখনও বিশ্বাস করব না। তখন তাহারা বজ্রাহত হয়েছিল। অথবা স্মরণ করিয়ে দাও মুসার আল্লাকে দেখার খায়েশ অজ্ঞান বেহুঁস হয়ে পড়ার মাধ্যমে মিটেছিল। এই প্রেক্ষিতে তুমি বলে দাও যে, তোমরা খালেস দিলে কলবুস সলীম বা বিশুদ্ধ চিত্তে উন্নতির চেষ্টা চালিয়ে যাও । তখন অনুভব করতে পারবে যে, আল্লা তোমার সাথে সাথে আছেন। ব্যস, এ পর্যন্তই। বল। আল্লা বাড়াবাড়িপূর্ণ কথাতে অসন্তষ্টি প্রকাশ করেন। তোমরা সকল টালবাহানা বাজেয়াপ্ত ঘোষণা কর। বল। আল্লা সর্বোচ্চ প্রজ্ঞাময়।




মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.