নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একবিংশের ইলহাম (সমাজ ধর্ম দর্শন বিষয়ক প্রবন্ধ)

আত্মশুদ্ধি প্রজ্ঞা লাভ মনুষ্যত্বে সিদ্ধি লাভ

ময়না বঙ্গাল

মতলববাজি খতম করি বিবেকদন্ড বহাল করি

ময়না বঙ্গাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি আদর্শ নির্বাচনী ইশতেহার -প্রেক্ষিত বাংলাদেশ

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩১

নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনী আইন এবং নির্বাচনী আচরনবিধি সংস্কার :
যোগ্য, স্বধীনচেতা ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রিক্রুট করার জন্য তথা নিযোগে বিশুদ্ধতা আনয়নের লক্ষ্যে নিম্নলিখিত আইন প্রনয়ণ করা হবে ।

১.১ : প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং কমিশনার নিয়োগে স্বচ্ছতা দান এবং আস্থার সংকটের অবসানের জন্য সার্চ কমিটি গঠনের বিধান সন্নিবেশিত হবে । সার্চ কমিটি গঠিত হবে যাদের ভাবমূর্তি ভালো ছিল এমন অবসরপ্রাপ্ত কমর্জীবী এবং শিক্ষাবিদ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং নির্বাচনের শরিক বলে পরিগনিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে । সার্চ কমিটি কর্তৃক প্রস্তাবিত ৫ জন থেকে রাষ্ট্রপতি মহানুভবতা ও বিতর্ক এড়ানোর জন্য প্রকাশ্য লটারির মাধ্যমে প্রথম তিনজনকে নিয়োগ দিবেন ।

১.২ : প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার নির্ধারণ কল্পে বিচারকদের পাশাপাশি অবসরপ্রাপ্ত জেষ্ঠ আমলা, টেকনোক্রাট, শিক্ষাবিদ এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের থেকে অর্ন্তভুক্ত করার সুযোগ রেখে আইন প্রনয়ণ করা হবে ।

স্বাধীন এবং শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংবিধানের আলোকে নিম্নলিখিত যুগোপযোগী আইন প্রনয়ণ করা হবে-
১.৩ : নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনার সাথে সাথে দুই নির্বাচনের মধ্যবর্তী সময়ে গণতন্ত্রের সংস্কৃতি গড়ে তোলা এবং তাকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য সুস্পষ্টভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত হবে ।এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় আইন এবং বিধি বিধান প্রনয়ণ করা হবে ।

১:৪ : নির্বাচনকালীন নির্বাচন কমিশন অর্ন্তবর্তীকালীন সরকাররে ভূমিকা পালন করবে । এ লক্ষ্যে কার্য প্রনালী বিধির (রুলস্ অব বিজনেস-এর) প্রযোজনীয় সংযোজন-বিয়োজন করা হবে ।

১.৫ : স্বাধীনভাবে বাজেট প্রনয়ণ তথা আর্থিক স্বাধীনতা প্রদান তবে বিশেষ অডিটের ব্যবস্থা থাকবে, জনবলের নিয়োগ, বদলি, নিয়মানুবর্তিতা এবং পদোন্নতির ক্ষমতা প্রধান নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারে বর্তানো হবে ।

১.৬ : নির্বাচনী গেজেট প্রকাশের পূর্বেই নির্বাচনী বিরোধ নিস্পত্তির জন্য নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজদের ট্রাইব্যুনালে নিযোগ দেওয়ার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারে বর্তানো হবে ।
নির্বাচনী আইন এবং আচরন বিধি সংস্কার :

১.৭ : গণতন্ত্রের সংস্কৃতি গড়ে তোলা এবং তাকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে একটি গণতান্ত্রিক গঠনতন্ত্র প্রনয়ণ করে তা অনুসরনের জন্য সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে বাধ্য করার জন্য আইন করা হবে ।এবং গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তারা সম্মেলন করছে কি না কিংবা দলের নির্বাহী কমিটির নির্বাচন হচ্ছে কি না, কমিশন তা পর্যবেক্ষণ এবং তদারকি করবে ।

১.৮ : তৃণমূলের মতামতকে সম্মানিত করতে এবং মনোনয়ন বানিজ্য বন্ধ করার অভিপ্রায়ে তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে প্রত্যেক সংসদীয় আসনের জন্য একটি প্যানেল তৈরী করার এবং সেটি থেকে কেন্দ্রীয় মনোনয়ন দেওয়ার বিধান আরপিও’তে সংযোজন করা হবে ।

১.৯ : মনোনয়নপত্র অন লাইনে দাখিলের বিধান করা হবে । স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্খীর উপর বাধা নিষেধ আরোপ করা সংবলিত আইনটি বাতিল করা হবে ।কেননা এতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব হয় । এতে প্রার্খীর সংখ্যা কমে যায় এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্থ হয় ।
২.১ : অসমাপ্ত হলফনামা প্রদানকারী, তথ্য গোপনকারী এবং ভুল তথ্য প্রদানকারীর প্রার্থীতা বাতিল কিংবা তাদের নির্বাচন বাতিল করা হবে মর্মে আরপিও সংশোধন করা হবে ।

২.২ : নির্বাচনী ব্যয় নিরীক্ষণ এবং তথ্য গোপন বা আরপিও লঙ্ঘনের জন্য নির্বাচনী বিরোধের দরখাস্ত গ্রহণের এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের ওপর বর্তাবে মর্মে আইন সংশোধন করা হবে

২.৩ : গুরুতর নির্বাচনী অপরাধের জন্য সশ্রম কারাদন্ড এবং অর্থদন্ডের বিধান আরপিও’তে ফিরিয়ে আনা হবে ।

২.৪ : কোন দল কমিশনের নির্ধারিত শর্তগুলোর কোন একটি পূরণে ব্যর্থ হলে তার রেজিষ্ট্রেশন বাতিলের সুস্পষ্ট ক্ষমতা কমিশনের ওপর বর্তাবে মর্মে আরপিও সংশোধন করা হবে ।

২.৫ : আরপিও’র ৯০ (গ) ধারা অনুযায়ী, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের বিদেশী শাখা থাকা বেআইনি, যা রাজনৈতিক দলগুলো অমান্য করেই চলছে । তাছাড়াও নিবন্ধনের শর্ত হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন বিলুপ্ত করার বিধান আরপিও’তে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার প্রতি রাজনৈতিক দলগুলো ভ্রুক্ষেপও করছে না । এই সকল ধারা সমুহকে দৃঢ়ভাবে কার্যকর করা হবে ।

২.৬ : ধারণাটি ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের এক প্রস্তাবনা থেকে গ্রহণ করা হয়েছে । রাজনীতিতে কালো টাকার রাশ টানতে তথা রাজনৈতিক স্বচ্ছতার স্বার্থে আরপিও’তে নিম্নলিখিত আইন প্রনয়ণ করা হবে ।যথা-

২.৭ : কোন রাজনৈতিক দল কোন দাতার নিকট হতে দুই (২) হাজার টাকার অধিক চাঁদা গ্রহণ করতে পারবে না ।

২.৮ : প্রত্যেক দাতার নাম পরিচয় নিজ নিজ ওয়েব সাইটে প্রকাশ, সংরক্ষন এবং প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করা হবে ।

২.৯ : রাজনৈতিক দলগুলোকে আয়করের আওতায় নিয়ে আসা হবে । এজন্য আয়কর আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে ।

৩.১ : ‘না’ ভোটের বিধান করা হবে এবং আরপিও সংশোধন করে নির্বাচনে ‘না’ ভোট বিজয়ী হলে নতুন প্রার্থী নিয়ে আবার পুন:নির্বাচনের বিধান প্রবর্তন করা হবে ।

৩.২ : প্রার্থীর নির্বাচনী বৈধ ব্যয়সীমা হ্রাস করে জিরোতে নিয়ে আসার পদক্ষেপ নেয়া হবে :
ইতি পূর্বে নির্বাচনী ব্যয়সীমা উত্তোরত্তোর বৃদ্ধি করে আইন পাশ করা সাধারন মানুষের প্রতি চরম বৈষম্যমূলক ।
এতে একদিকে যেমন নির্বাচনে টাকার খেলা এবং দুবৃর্ত্তপনা বন্ধ হবে না, অন্যদিকে এতে সাধারন মানুষের সংসদে নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে না ।যার ফলে আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাতে সমাজের সর্বস্তরের জনগণের প্রতিনিধিত্বশীলতা নিশ্চিত হচ্ছে না ।সাধারন মানুষের ভোটাধিকার থাকলেও তারা প্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ থেকে বন্চিত হচ্ছেন । আর আমাদের জাতীয় সংসদ পরিনত হয়েছে কোটিপতিদের ক্লাবে ।বস্তুত আমাদের বর্তমান ব্যবস্থা হয়ে পড়েছে- বেস্ট ডেমোক্রেসি মানি ক্যান বাই’ । এই অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রার্থীদের পোস্টার ছাপানো ও প্রচার এবং সকল প্রার্থীকে এক মঞ্চে এনে প্রজকেশন মিটিং আয়োজনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী ব্যয় পর্যায়ক্রমে জিরোতে আনয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে মর্মে আইন ও বিধিবিধান প্রনয়ণ এবং বাস্তবায়ন করা হবে । নির্বাচন কমিশন জাতীয় স্বার্থের প্রধান গুরু্ত্বপূর্ণ খেলা নির্বাচনের এই ব্যয় মেটাতে দেশের বিভিন্ন কোম্পানীর স্পনসর গ্রহন করবে ।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.