![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মতলববাজি খতম করি বিবেকদন্ড বহাল করি
হে মুহাম্মদের (স) উম্মতগণ ! তোমরা কি আয়নায় নিজেদেরকে দেখতে পাওনা ? বল। একথা সত্য যে, মুসা ঈশার উপর অবতীর্ণ কেতাব এবং শরীয়ত তেমনভাবে সংরক্ষিত হয়নি কিন্ত তোমাদের সামনে মুহাম্মদের উপর অবতীর্ণ কেতাব সম্পূর্ণ অক্ষুন্ন আছে। অথচ তোমরা মুহাম্মদের ওফাতের পরপরই নিজেদের একে অপরকে মেন নিতে না পারার মহড়ায় মেতে উঠেছ। কিন্ত কেন হে মুহাম্মদের অনুসারীরা ! তোমাদের কি কখনও আবলুসি ভাবনার ফাঁকে এমনতর গুরুতর প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে না !
তবে বল। হে সৃষ্টির কারিগর। তুমি আমাদের রক্ষা কর। আমাদের মনের সংকীর্ণতা কাটিয়ে দাও। আমাদের কে একে অপরকে মেনে নেয়ার উদারতা দান কর। বিবেক উৎকর্ষের সোপান পয়দা করে দাও। তোমরা যারা মুহাম্মদের অনুসারী বলতেই গর্বে গদগদ তারা নিজেরা কেন একসাথে চলতে পারছ না। অথচ আল্লা কোরানে ইরশাদ করেছে যে, মুমীনরা পরস্পর ভাই ভাই। অতএব তোমাদের ভাইদের পারষ্পারিক সম্পর্ক পুর্নগঠিত করে নাও। আল্লাকে ভয় কর। আশা করা যায় তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হবে।
অথচ তোমরা তাবলীগ ইসলাম জামাত ইসলাম আহলে ইসলাম ওলামা ইসলাম হেফাজত ইসলাম পীর মাশায়খে ইসলাম খেতাবিরা আজান হাঁকানোর সাথে সাথে মসজিদের ট্যাপখানাতে দাঁড়ি খিলাল করে অজু সম্পন্ন করে নামাজে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে যাও। কিন্ত তোমরা কি ভেবে দেখেছ যে, আসলে তোমরা পরষ্পর বন্ধু নও। তোমাদের মধ্যে দা এবং কুমড়া সম্পর্ক। তোমাদের এই দা এবং কুমড়া সম্পর্কের নেপথ্যে যে রিপুর অন্যতম সোপান হিংসা দায়ী একথা আর নতুন করে নাই বললাম। এই হিংসা যে আপন আপন ফেরকার নেতৃত্ব উপভোগের জন্যই তা দিবালোকের মত উদ্ভাসিত। তোমরা ওলামা পীর মাশায়েখ নামধারীরা যে আপন আপন চৌহদ্দিতে নেতৃত্বের ছড়ি ঘোরাতে মাতোয়ারা এ ব্যাপারে কি তোমাদের কোন হুঁস আছে।
হে কলমওয়ালা ! এই প্রেক্ষিতে উম্মতকে ঐক্যবদ্ধ রাখার প্রয়াসে রাসুলের ঐ হাদীসগুলো এক নাগাড়ে উল্লেখ করতে থাক। যেমন- তোমরা অবশ্যই বিশ্বাসীগণকে দেখবে তারা পারস্পারিক ভালোবাসা, অনুকম্পা এবং সহানুভূতিতে এক দেহের ন্যায়। যেমন শরীরের এক অংশে বেদনা প্রাপ্ত হলে সমস্ত শরীর তা সমভাবে গ্রহণ করবে। তেমনি মুসলমানগণ তারা একে অপরের দূর্দশায় অবশ্যই অংশ গ্রহণ করবে, অনুপ্রেরণা দেবে, ভালোবাসবে। তিনি আরও বলেন - মুসলিম সমাজ একটি অট্রালিকার ন্যায়। তার এক অংশ অপর অংশকে শক্তিশালী করে। অথবা এক মুমিন অন্য মুমিনের জন্য প্রাচীর স্বরুপ। তার এক অংশ অন্য অংশকে শক্তিশালী করে। এ কথা বলার সময় তিনি এক হাতের আঙ্গুল অন্য হাতের আঙ্গুলের ফাঁকে ঢুকিয়ে দেখালেন। হে শিশুদের সালামকারী। বল। কোরানে কি বলা নাই মহান আল্লা বণী ইসরাইলদের নাফরমানির পুনরাবৃত্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে একে অপরকে মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তোমরা মুসলমানগণ কি নিজেদের মধ্যে বিভেদ বিসম্বাদজনিত কারণে বণী ইসরাইলিদের মত আবারও সে ধরনের নির্দেশ খেতে চাও ! লজ্জার যদি মাথা থেকেই থাকে, তবে তোমরা নড়েচড়ে ওঠো। নিজেদেরকে নিজেদের আত্মার বন্ধু করে নাও। বল।। আল্লা দয়ার সমুদ্র।
হে বেহুঁস সম্প্রদায় ! তোমরা বুকে হাত দিয়ে বল তো- তোমরা কি সত্যি সত্যি আখেরাতকে বিশ্বাস কর। তোমরা যে বল- শেষবিচারে উত্তোলন করা হবে। ভালো মন্দের অনন্ত নেয়ামতপূর্ণ এবং অনন্ত খারাবি পুরস্কার প্রদান করা হবে- এ ব্যাপারটা কি ইয়াকিন রাখো মনের গহীন বনেতে ! তোমরা মনের গহীনে যদি আখেরাতি ফায়সালার নুন্যতম খেয়াল রাখতে, তবে তোমরা বিভিন্ন নবী রসুল মহামানবের সম্প্রদায়েরা একে অপরের হরিহর আত্মা হয়ে যেতে। বল। আল্লা অসীম ধৈর্য্যশীল !
©somewhere in net ltd.