নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অগোছালো জীবনে কিছু সুখ পেয়ে ভেবেছিলাম বুঝি সব পেয়ে গেছি!কিন্তু ভুলে গিয়েছিলাম যে জলের উপর রাতের চাঁদটা কেবল ক্ষণীকের!বহু বসন্ত এসে চলে গেছে জীবন থেকে, নিজেকে চেনার বা বোঝার সময় হয়নি!আজ কেউ একজন চোখে আঙ্গুল দিয়ে ভুল গুলো ধরিয়ে দিলো!আর না, শুধরে ফেলব

Fokroul Hasan

আমি একজন মানুষ,এই পরিচয়ে জন্ম নিয়েছি,তাছাড়া পরিচয় দেয়ার মত বিশেষ কোন গুনাবলি আমার মধ্যে নেই...!এখনো বলার মত কিছু অর্জন করতে পারিনি, আর করতে যে পারব, সে সম্ভাবনাও নেই_______

Fokroul Hasan › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারগানা ভূঁইয়ার টেক।

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৩৭


নারগানা ভূঁইয়ার টেক আমাদের নারগানা বাসির কাছে বিশেষ একটা যায়গা।
কারন প্রকৃতিক দিক দিয়ে আমাদের এলাকাতে এটা দারুন সুন্দর নির্জন
একটা যায়গা। এটা আবার আমাদের খেলার মাঠ হিসেবেও পরিচিত ছিল।
নারগানার ছোট বড় সবাই জীবনের অনেকটা সময় এখানে কোন না কোন
ভাবে এখানে কাটিয়েছে।নারগানাতে বড় হওয়া প্রতিটি মানুষের জীবনের
সাথে এই যায়গাটা ওতপ্রোত ভাবে জড়িত।
এখানে গ্রীষ্মের দুপুরে, কাঠ ফাটা রোদে ঝিরি ঝিরি দক্ষিনা বাতাস বয়ে যায়।
শীতের সকালে কুয়াশার দেখা মিলে অনেক বেশি, আবার রোদ উঠে গেলে
কুয়াশা আর রোদের রশ্মি মিলে অদ্ভুত এক পরিবেশ তৈরি করে, যা দেখে
বিস্মিত না হয়ে পারা যায়না! নির্জন দুপুরে পাখিরা কিচির মিচির ডাকে।
রাতে বসে চাঁদ আর তারাদের মেলা। মোট কথা হলো প্রকৃতিক দিয়ে দারুন
সুন্দর একটা যায়গা।

এটা ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত আমাদের খেলার মাঠ হিসেবে ছিল। এখানে ক্রিকেট আর
ফুটবল দুটিই খেলা হতো। আবার অনেক অর্ডার যায়গা হিসেবেও এই যায়াগাটা
বিশেষ ভাবে বিবেচিত হতো।১৯৯৯ সালের পরে সবাইযার যার ব্যক্তিগত জমির
মালিকানা তারা নিজেরা নিয়ে নেয়, এবং সবাই যার যার নিজ জমিতে গাছ লাগিয়ে
এটাকে আরো নির্জন একটা যায়গাতে পরিনত করে ফেলে।

নারগানার খুব কম মানুষই পাওয়া যাবে যে তারা তাদের শৈশবের সময়টা এখানে
কাটায়নি। কেউ আসত ক্রিকেট খেলার জন্য, কেউ আসত ফুটবল খেলার জন্য।
কেউ আসত বনভোজন খেলার জন্য। রাখালেরা আসত গরু-ছাগল চড়ানোর জন্য।
এখানে আম, কাঁঠাল, পেয়ারার বাগান ছিল। কেউ কেউ আবার এইসব ফল খেতে
চলে আসত এখানে। ক্রিকেট আর ফুটবল খেলার সুবাধে আমরাও জীবনের অনেকটা
সময় এখানে কাটিয়েছি। আড্ডা দেয়ার জন্য অথবা বনভোজন খেলার জন্যও এখানে চলে
আসতাম। আহা! কত যে মধুময় ছিল এখানে কাটানো সময়গুলো।

এখানে কাটানো সময়গুলো মনে পড়ে গেলে খুব স্মৃতি কাতর হয়ে যাই, নস্ট্রালজিক
হয়ে যাই। কত যে মধুর সময় ছিল তখন। যখন তখন হারিয়ে যেতাম কল্পনার রাজ্যে
নাম না জানা অচেনা অজানা কত কিশোরির প্রেমে যে হাবুডুবু খেতাম! সকাল থেকে
রাত হয়ে যেতো, বাড়ি ফেরার নাম ছিলনা। ছুটে চলতাম এপাড়া থেকে ও পাড়া,
ফসলের এ মাঠ থেকে ও মাঠ। ফিরে পাবার নয়, তবুও মনটা মানেনা। ফিরে পেতে
চায় হারানো দিনগুলো, কারন মন যে আমার পাগলা ঘোড়া, লাগাম দেবার উপায় নেই।
আহারে, দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইল না, সেই-যে আমার নানা রঙের দিনগুলি।

জীবনের ব্যস্ততা বেড়েছে খুব। এখন আর যখন তখন চাইলেও এখানে এসে সময়
কাটাতে পারিনা। সময় বড্ড অসময় হয়ে গেছে! চলাতে চলতে যখন হাপিয়ে যাই,
ক্লান্ত হয়ে যাই, ‌অথবা পুরনো দিন গুলো ভেবে নস্ট্রালজিক হয়ে যাই, তখনই ছুটে
আসি এই প্রিয় যায়গাটাতে। ছুটে আসি নির্জনতাকে উপভোগ করতে, ছুটে আসি
পাখিদের কলোতান শুনতে। ছুটে আসি পৌষের দুপুরে মিষ্টি রোদ পোহাতে, ছুটে
আসি কুয়াশা আর রৌদের খেলা দেখতে। একটু সময় পেলেই নিজের মতো করে
একটু সময় কাটাতে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ইহা কোথায় অবস্হিত?

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৪

Fokroul Hasan বলেছেন: @চাঁদগাজী সাহেব, ইহা গাজীপুর জেলার একটি গ্রামে অবস্থিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.