নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্পষ্টভাষী আমি

সত্যের পথে থেকে সত্যকে খুঁজে বের করতে চাই;না পেলেও সমস্যা নেই; ছিনিয়ে আনব যে।

স্পষ্টভাষী আমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত

১৭ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৯:১৩

সুযোগ পেলে ঘরছাড়া হওয়ার স্বভাব আমার বেশ পুরোনো। যান্ত্রিকতা থেকে যতোটা পারি দূরে চলে যাই। এর ই পরিক্রমায় ঘুরে আসলাম মাধবকুণ্ড থেকে। দিনে গিয়ে রাতের মাঝেই ফিরে আসা যায়। ঢাকা থেকে ২১০ কিমি দূরে বাংলাদেশের চা রাজধানী নামে খ্যাত মৌলভীবাজার জেলা। এর ই বড়োলেখা উপাজেলায় মাধবকুণ্ড ইকো পার্ক এবং এর অভ্যন্তরে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত অবস্থিত। দেশের সবচেয়ে উঁচু জলপ্রপাত এর কারণেই সিলেট বিভাগ এই ইকো পার্ক বেশি পরিচিত। ঢাকা থেকে মাধবকুণ্ড যাওয়ার জন্যে বিমান,রেল,সড়ক পথ এর ব্যবস্থা রয়েছে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি ট্রেন এ যাওয়া হয়।সকাল ৬টা৪০ এ আন্তঃনগর ট্রেন পারাবত এক্সপ্রেস এ করে শ্রীমঙ্গল এ পৌঁছে,সেখান থেকে সরাসরি মাধবকুণ্ড। এর মাঝে পথের পাশের পাহাড় ঘেরা প্রকৃতি,সূর্যের হাসি,পাখির কলকাকলি মুগ্ধ করে রাখলো পুরোটা সময়। বাস এ করে ১২টার মাঝে আমি এবং আমার বন্ধু রাজি মাধবকুণ্ড পৌঁছে যাই। মাধবকুণ্ডের প্রধান ফটক থেকে আধা কিমি পথ হেঁটে জলপ্রপাত এর কাছে পৌঁছাতে হয়। এর মাঝে প্রকৃতির সৌন্দর্য্য আমাদের পথের ক্লান্তিটুকু ভুলিয়ে রাখে। বেশ দূর থেকেই উপর থেকে নিচে পানি পরার আওয়াজ পাচ্ছিলাম। আমার আগে আমার বন্ধু রাজির দৃষ্টিগোচর হলো জলপ্রপাতটি। আমি বাকরুদ্ধ হয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলাম,এই সেই ২৭০ ফুট উঁচু জলপ্রপাত। এর পর জলপ্রপাত এর পাশেই আমাদের টুকিটাকি জিনিস এর ব্যাগ রেখে পানিতে নেমে পরলাম। প্রায় ২ ঘণ্টা দাপাদাপির করে মহাক্লান্ত হয়ে,কিছুক্ষণ ভিতরেই ঘোরাফেরা। চারপাশ পাহাড়ে ঘেরা,সবুজের সমারোহ। ওখানে অবজার্ভেশন টাওয়ার থেকে আশেপাশের এলাকা বেশ ভালমতো অবলোকন করলাম। এর পাশেই রয়েছে খাসিয়া আধিবাসী পল্লী। যা কিনা ছবির মতো সুন্দর। এক কথায় অসম্ভব সুন্দর! প্রকৃতি, গাছপালা, প্রাণিকুল সব মিলিয়ে রূপের ভাণ্ডার। কখন যে ফিরার সময় হয়েছে টের ই পাইনি,ফিরতে তো হবেই।তাই বিকেলের ট্রেন এ ফিরতি পথে রওনা দিলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে।





কিছু তথ্যঃ



এরিয়াঃ ২৬৬ হেক্টর;



২০০১ সালে সরকার কর্তৃক একে ইকো পার্ক হিসেবে ঘোষণা;



বাংলাদেশ এর সর্ববৃহৎ প্রাকৃতিক জলপ্রপাত;



এটি পাথারিয়া পাহাড় হতে উৎসরিত;



বর্ষা মৌসুমে প্রতি সেকেন্ড এ পানি প্রবাহের পরিমাণ ৫০০ কিউসেক;



প্রচুর বাঁশবন এর সমাহার;



হরিণ,বন্য শূকর, বন মোরগ, বানরের দেখা মেলে।



মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৯:২৪

জালিস মাহমুদ বলেছেন: যেতে হবে একদিন............

২০ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ২:১৮

স্পষ্টভাষী আমি বলেছেন: হুম

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১০:৫২

কিং অফ মাইনকা চিপা বলেছেন: গত সেপ্তেম্বরে গিয়েছিলাম, সত্যি ই খুব ভাল একটা জায়গা। ভাল লেগেছে। সুজগ হলে আবারো যাব।

২০ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ২:১৯

স্পষ্টভাষী আমি বলেছেন: :) ধন্যবাদ

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১২:০৩

ফারজুল আরেফিন বলেছেন: +++++

৪| ২০ শে মার্চ, ২০১২ দুপুর ২:১৯

স্পষ্টভাষী আমি বলেছেন: ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.