![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাহাজ নির্মান। ঐতিহ্য আর গর্বের এই প্রকৌশল খাতটি আজ আমাদের সোনালী স্বপ্নের দিকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। বাংলাদেশ শুধু শার্ট সেলাই করতেই জানে না, তারা জাহাজ নির্মানের মত দক্ষ কারিগরি বিদ্যায়ও পারদর্শীতা দেখাতে পারে। ২০০৮ সাল থেকেই আর্ন্তজাতিক ভাবে বাংলাদেশ একটি উদিয়মান জাহাজ নির্মানকারী দেশ হিসাবে স্বীকৃত।যদিও ঐতিহাসিক ভাবে আমাদের আছে জাহাজ নির্মানের গর্বের ইতিহাস।(অন্য কোন পর্বে তা নিয়ে কিছু লেখার আশা রাখি)
অনেকের মনে প্রশ্ন আসে আসলে আমাদের তৈরী জাহাজ গুলোর গুনগত মান কেমন হবে। এই প্রশ্নটার সাথেই জড়িয়ে আছে আমদের ভবিষ্যত।কোন দেশের জাহাজ নির্মান শিল্পর অগ্রসর হবার ও তা স্হায়িত্বের মূলে যে বিষয়গুলি কাজ করে তা হল উন্নত গুনগত মান, তুলনামুলক কম উৎপাদন খরচ এবং সময়মত হস্তান্তর করা।আজ শুধু গুনগত মান নিয়ে আলোচনা সীমাবধ্ব থাকুক।
সমুদ্রগামী জাহাজ তৈরীতে গুনগত মান নিয়ন্ত্রন কারী প্রতিষ্ঠান গুলোকে বলে ক্লাসিফিকেশন সোসাইটি।এ প্রতিষ্ঠান গুলো বিশ্বব্যাপি স্বীকৃত এবং জাহাজ তৈরীতে এবং পরিচালনায় এ প্রতিষ্ঠান গুলোর প্রকাশিত নিয়মকানুন থাকে।এ প্রতিষ্ঠান গুলো প্রথমে একটি জাহাজের ড্রয়িং অনুমোদন করে। এরপর অনুমোদিত ড্রয়িং অনুযায়ি এদের নিজস্ব সার্ভেয়ার কর্তৃক জাহাজের নির্মান কাজ তদারকি শুরু করে এবং জাহাজে ব্যবহৃত প্রতিটি ষ্টিল প্লেট, ওয়েল্ডিং, যন্ত্রপাতি এমনকি নাট বল্টু পর্যন্ত পরীক্ষা করে । তৈরী শেষ হলে সন্তোষ জনক ট্রায়াল এর পর সার্ভেয়ার এর রিপোর্ট ভিত্তিতে জাহাজ টিকে ক্লাস সার্টিফিকেট দেয়া হয় যা অনেকটা ফিটনেস সার্টিফিকেট এর কাজ করে।প্রতিটি সমুদ্রগামী জাহাজের জন্য এমন সার্টিফিকেট বাধ্যতামুলক।
বাংলাদেশে সমুদ্রগামী জাহাজ তৈরীতে প্রথম থেকেই গুনগত মান নিয়ন্ত্রন কারী ক্লাসিফিকেশন সোসাইটি হল প্রতিষ্ঠান জি এল (Germanischer Lloyd) View this link ।জার্মান ভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশের সমুদ্রগামী জাহাজ নির্মান শিল্পের গৌরবের অংশিদার কারন বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত রপ্তানীকৃত প্রতিটি জাহাজ এ প্রতিষ্ঠান এ কর্মরত বাংলাদেশী সার্ভেয়ার কর্তৃক সার্টিফিকেট প্রাপ্ত হয়েছে। ২০০৭ সালে বাংলাদেশী সিপই্য়ার্ড কর্তৃক রপ্তানী আদেশ প্রাপ্তির পর যখন অনেকে সন্দেহ পোষন করছিলেন যে বাংলাদেশে আর্ন্তজাতিক সমুদ্রগামী জাহাজ তৈরী সম্ভব নয়, তখন এ প্রতিষ্ঠান এর দুই বাংলাদেশী সার্ভেয়ার এগিয়ে আসে সাহস আর অভিজ্ঞতার ঝুলি নিয়ে। যাদের ছিল পৃথিবীর বৃহত্তম দক্ষিন কোরিয়ার হুন্দাই সিপই্য়ার্ড এ কাজ করার অভিজ্ঞতা। তারা জাহাজের গুনগত মান যাচাই এর সাথে সাথে সিপই্য়ার্ড গুলোকে শিখিয়েছেন কি ভাবে আর্ন্তজাতিক মান অর্জন করতে হয়। ১৮৬৭ সালে প্রতিষ্ঠীত এ সংস্থাটির সদর দপ্তর হামবুর্গ শহের।বিশ্বের ৮০ টির ও বেশী দেশে এদের অফিস আছে। বাংলাদেশে এ সংস্থাটির অফিস চট্রগ্রামে খোলা হয় ১৯৯৯ সালে। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠান এ ৯ জন বাংলাদেশী প্রকৌশলী সার্ভেয়ার কর্মরত ।
বাংলাদেশ থেকে রপ্তানীকৃত সমুদ্রগামী জাহাজ গুলোর গুনগত মান নিয়ে আজ পর্যন্ত কোন মালিক বা প্রতিষ্ঠান কোন অভিযোগ করেনি। এমনকি কোন বন্দরে আর্ন্তজাতিক কোন আ্ইনের প্রয়োগের অভাবে জাহাজ বসে ও থাকেনি। এ প্রসঙ্গে ডেনিস রাস্ট্রদুত বলেছেন বাংলাদেশে তৈরী সমুদ্রগামী জাহাজে মেড ইন বাংলাদেশ লিখা থাকলে, বিদেশে বাংলাদেশের আর দূতাবাস প্রয়োজন নেই।এক জন বাংলাদেশী হিসাবে এটি অত্যন্ত গর্বের। এতে ক্লাসিফিকেশন সোসাইটির যেমন ভুমিকা, তেমনি বাংলাদেশী সিপই্য়ার্ড গুলো ও তাদের সর্বোচছ মেধা আর পরিশ্রমের কোন কমতি রাখেনি। সর্বোপরি প্রতিটি শ্রমিকের একাগ্রতা এবং সুযোগ পেলে কোন কিছু করে দেখানোর ক্ষমতাই আজকে বাংলাদেশের এই অবস্হান।
পরিশেষে একটি ভিডিও শেয়ার না করে পারলাম না। বাংলাদেশের ওয়েস্টার্ন মেরিন সিপই্য়ার্ড থেকে জার্মানীতে রপ্তানীকৃত সমুদ্রগামী জাহাজ (EMS WAVE) ঝড়ের মধ্যে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিচেছ। আটলান্টিক মহাসাগর থেকে বাংলাদেশের গর্জন শুনতে পাচেছন কি?View this link
অথবা
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৫১
জাহাজ মিস্ত্রী বলেছেন: ভাই লেখার কোন সময় অসময় নেই।
মানুষের আবেগ কে মূল্যায়ন করুন
ধন্যবাদ
২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৮
বিডি আইডল বলেছেন: সার্টিফিকেশন কি বাংলাদেশী সার্ভেয়াররাই দিচ্ছেন তা বিদেশ থেকে কেউ আসছে এটা করতে?
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৮
জাহাজ মিস্ত্রী বলেছেন: ধন্যবাদ
বাংলাদেশী সার্ভেয়াররা সকল রিপোর্ট জার্মানীতে হেড অফিসে পাঠায়। তার ভিত্তিতে বাংলাদেশী সার্ভেয়ারদের ৬ মাসের জন্য ইন্টেরীম সার্টিফিকেশন দিয়ে জাহাজ ডেলিভারী দিতে বলা হয়।ঐ সময়ের মধ্যে হেড অফিস সকল রিপোর্ট যাচাই বাচাই করে ৫বছরের জন্য সার্টিফিকেশন দেয়। সকল ক্লাসিফিকেশন সোসাইটির এটাই নিয়ম।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৪
ডজ বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই।
তবে, বড় অসময়ে দিলেন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ লেখা। প্রথম পাতায় শুধুই গুতোগুতি মার্কা লেখা চলছে এখন। ভালো লেখার কদর নেই।
লেখাটি শেয়ার করলাম আমার ফেবুতে।