নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাহাজ মিস্ত্রী

জাহাজ মিস্ত্রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাম্প্রতিক ইতিহাসে বাংলাদেশ হতে রপ্তানি কৃত জাহাজ সমূহ : পর্ব ৩

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

জার্মাানী। প্রযুক্তি আর প্রকৌশলে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্হানীয় দেশ।জার্মান প্রযুক্তি আর প্রকৌশল মানেই আধুনিক, টেকসই এবং হেভী ডিউটি। সামুদ্রিক আইনে জার্মাানী পৃথিবীর অন্যতম একটি কঠিন রাষ্ট্র। এবার আপনি যদি শুনেন বাংলাদেশের তৈরী জাহাজের এখন পর্যন্ত বড় ক্রেতা রাষ্ট্রটি জার্মাানী, তাহলে কিন্তু অবাক হবেন না। কারন এটাই সত্যি।



ইউরোপের উত্তর উপকূলে জাহাজসমূহ বছরের একটি বিরাট সময় বরফের মধ্যদিয়ে চলাচল করে। বরফের মধ্যদিয়ে চলাচল উপযোগী জাহাজ সমূহ কে আইস ক্লাস ভেসেল বলা হয়।সমুদ্রে ভাসমান জাহাজের পুরুত্ব অনুসারে আইস ক্লাস জাহাজ সমূহ চার ধরনের।বিস্তারিত জানতে ক্লিকান আইস ক্লাস জার্মানীতে রপ্তানীকৃত বাংলাদেশে তেরী জাহাজ সমূহ আইস ক্লাস ভেসেল যা দ্বিতীয় সর্বোচচ আই এ শ্রেনীভুক্ত।



২০০১ সালে একদল তরুন মেরীন ইন্জিনিয়ারের অক্লান্ত পরিশ্রমে চট্রগ্রামের কর্নফুলির তীরে প্রতিষ্ঠা পায় ওয়েস্টার্ন মেরীন শিপইয়ার্ড। তাদের স্বপ্ন ছিল যে জাহাজ নিয়ে তারা চষে বেড়িয়েছেন সমুদ্র থেকে মহাসমুদ্রে, তাদের সেই মেধা আর শ্রম দিয়ে তারা তৈরী করবেন সমুদ্রগামী জাহাজ। বিশ্বের বন্দরে বন্দরে পৌছাবেন দেশের নাম। ২০০৭ সালে তদের সেই স্বপ্ন ভেলায় হাওয়া লাগায় ডেনমার্কের কোম্পানী ষ্টেলা শিপিং আর সেই স্বপ্ন পরিপূর্ন বাস্তবতা হয়ে ধরা দেয় জার্মান কোম্পানী গ্রোনা শিপিং এর হাত ধরে।০৮ টি সমুদ্রগামী আইস ক্লাস কন্টেইনার জাহাজ তেরীর আদেশ পায় ওয়েস্টার্ন মেরীন শিপইয়ার্ড, যে জাহাজ গুলি পৃথিবীর সাত মহাসাগরই পাড়ি দেবার উপযোগী হবে। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ক্লাসিফিকেশন সোসাইটি জি এল এর তত্বাবধানে কাজ শুরু হয় ।



২০১০ সালের নভেম্বর মাসে এক আনন্দঘন পরিবেশে প্রথম দুটি জাহাজ জার্মান মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।প্রথম দুইটি জাহাজের নাম প্রাথমিক ভাবে GRONA AMMERSUM এবং GRONA BIESSUM ঠিক হলে ও জাহাজ দুইটি এখন EMS RIVER এবং EMS SEA নামে চলাচল করছে। এরপর ২০১১ সালের মার্চ মাসে আবার দুইটি জাহাজ EMS LAKE এবং EMS DOLLART , ২০১১ সালের জুলাই মাসে পরবর্তী দুইটি জাহাজ EMS TIDE এবং EMS WAVE এবং ২০১২ সালের মার্চ মাসে শেষ দুইটি জাহাজ EMS WATERএবং EMS FLOW জার্মান মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।



এই নাম গুলি আজ বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ। এগুলি মেড ইন বাংলাদেশ। সাত সমুদ্র তের নদীর ওপারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। আসুন পৃথিবীর বিভিন্ন বন্দরে বাংলাদেশের তৈরী সমুদ্র রানীদের সৌন্দর্য্য উপভোগ করি।





EMS RIVER





EMS RIVER





EMS SEA





EMS LAKE





EMS DOLLART





EMS DOLLART





EMS TIDE





EMS WAVE





EMS WAVE





EMS WATER





EMS FLOW



চলছে এবং চলবে .....................

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

মুক্তবন্দী বলেছেন: আমিও একজন এই নির্মানের গর্বিত অংশ।ভবিষ্যত এ শিল্পের প্রসারের সাথে জড়িত আমাদের আগামী।

২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪

ছাসা ডোনার বলেছেন: গুড লাক বাংলাদেশী শীপ নির্মানকারী ইন্জিনিয়ার গন এবং কর্মকর্তারা। আপনারাই আমাদের গর্ব!!!!!!!!!!!

৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫

মামুন,চৌ:হাট বলেছেন: যে কোন দেশের জন্য অর্থনৈতিক যুদ্ধটা সবচেয়ে বড় চ্যালেনজিং। এ ধরনের প্রতিষ্টান আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক যুদ্ধে জয়ের জন্য বড় ভূমিকা পালন করবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.