নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাহাজ মিস্ত্রী

জাহাজ মিস্ত্রী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিলিপাইনের ডায়েরী - পর্ব ৪ ওলংগাপো সুবিক এর রূপ - ছবি পোস্ট

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫২

ওলংগাপো আর সুবিক নিয়ে অনেক কথা হয়েছে কিন্তু দেখা তো হয় নি, চলুন দেখে আসি অপরূপ ওলংগাপো আর সুবিক



১। এটি সুবিক সিটি গেট, শহরের প্রতিটি প্রবেশ পথে এমন একটি গেট আছে। মজার ব্যাপার হল, এই গেট দিয়ে দিনে বা রাতে যখন ই পার হবেন গাড়ীর হেড লাইট বন্ধ করতে হবে, না হলে ২০০ পেসো ফাইন।





২। শহরের প্রায় প্রিতিটি রাস্তায় পাবেন এমন সামাজিক প্রচারনার ব্যনা। কবিদের মাথায় হাত।





৩। একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা স্প্যানিস গেট। ১৮৮৫ সালে নির্মিত এই গেট এখানে অবস্থিত স্প্যানিস নৌঘাটির প্রধান প্রবেশ পথ ছিল। এটি সুবিক বে মেট্রোপলিটন সিটির ভিতরে একেবারেই সী-বীচ এর কাছাকাছি।এটি ৪০০ বছরের স্প্যানিস শাসনের স্মৃতি চিহ্ন।





৪। সুবিক বে সী-বিচ এবং লাইট হাউজ। মাত্র ১ কিমি লম্বা বালুর বীচ, তাতেই এদের কত উৎসাহ। কক্সবাজার কে খুব মিস করি, ভাবি এরা কক্সবাজার দেখলে কি করত ? তবে লাইট হাউজ টি চমৎকার।













৫। জেলি ফিস - খুবই বিসাক্ত। শরীরের সংস্পর্সে চুলকানি ও ক্ষত হতে পারে। সী-বিচে মাঝে মাঝে এরা আসে ঝাঁকে ঝাঁকে। তবে সী-বিচ এদের মৃত্যু ফাঁদ, বালিতে আটকে, রোদে শুকিয়ে মারা যায়।







৬। সুবিক সিটি ন্যাশনাল ফ্লাগ স্ট্যান্ড। ২য় বিশ্ব যুদ্ধের পর ফিলিপাইন স্বাধিন হলেও ১৯৯২ সাল পর্যন্ত এখানে আমেরিকান নৌঘাটি ছিল। ১৯৯২ সালে আমেরিকান নৌঘাটি বন্ধ হবার ক্ষনটি স্মরনে এই ফ্লাগ স্ট্যান্ড তৈরী হয়।এটি ১২০ ফিট উচু, প্রথম বার ৯৪ ফিট লম্বা ফিলিপাইনের জাতীয় প্রতাকা উড়ানো হয়, যা ৯৪ বছরের আমেরিকান নৌঘাটির অবসানের প্রতীক।







৭। Ulo ng Apo (বৃদ্ধ মানুষের মাথা) এটি থেকে Olongapo শহরের নামের উৎপত্তি। যদিও এই ওলংগাপো শহরকে এখন অত্যন্ত নগরায়িত হিসাবে ক্লাসিফাই করা হয়েছে, কিন্তু অনেক বছর আগে এটি পাইরেটস আর সন্ত্রাসী দের তীর্থস্হান ছিল। সবসময় মারামারি কাটাকাটি লেগে থাকত। তখন এক বৃদ্ধ একদিন সকলকে ডেকে শান্তি ও ঐক্কের আহবান জানালেন, কিন্তু তার পরদিন ঐ বৃদ্ধের মাথা বিহীন লাশ পাওয়া গেল। অনেক খোজাখোজির পর এক ছোট বালক সমুদ্রের পাড়ে ঐ বৃদ্ধের মাথা দেখে ছিৎকার করতে থাকে Ulo ng Apo! Ulo ng Apo!! আস্তে আস্তে লোকমুখে প্রচলিত হয়ে নাম হয় Olongapo। আজও ঐ বৃদ্ধের মাথা এ শহরের মানুষের কাছে শান্তি ও ঐক্কের প্রতীক। ঐ বৃদ্ধকে না দেখি কিন্তু শহরের কেন্দ্রে স্থাপিত তার মাথা তো দেখতে পারি।







৮। ট্রাই সাইকেল এবং জীপ এখানকার প্রধান বাহন, অনেকটা আমাদের রিক্সা ও টেম্পুর মত। শহরটি ছোট তাই লোকাল বাস নেই, তবে শহর থেকে ম্যানিলা সহ দুরপাল্লার বাস চলে।











৯। মসজিদ বাংলাদেশ : বিস্তারিত জানতে পড়ুন Part -3









চলবে .................



পুর্বের পর্ব গুলি পড়তে হলে

পর্ব ১ Part 1

পর্ব ২ Part 2

পর্ব ৩ Part 3

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ বেশতো ঘূরিয়ে আনলেন... একদম ফ্রিতে...


ধন্যবাদ।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:৪৮

জাহাজ মিস্ত্রী বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০১

মামুন রশিদ বলেছেন: ছবি এবং বর্ণনা ভালো লেগেছে । শুধু 'চ' গুলো 'ছ' হয়ে পীড়া দিয়েছে ।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:৫১

জাহাজ মিস্ত্রী বলেছেন: ধন্যবাদ, সী-বিছ গুলো সী-বিচ হবে।

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:১৪

পথহারা নাবিক বলেছেন: এইটা ভালো লাগছে!! ছবি সহ বর্ণনা খুব মজা পাইলাম!!

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৭:৪৮

জাহাজ মিস্ত্রী বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১২:২০

আরমিন বলেছেন: চমৎকার সব ছবি আর বর্ণনা!
দয়া করে বানান গুলো ঠিক করে নেবেন, এত সুন্দর পোস্টে ভুল বানান পীড়া দেয়।
আমার দ্বীপ থেকে দ্বীপান্তরে পোস্টে দাওয়াত থাকলো।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:২১

জাহাজ মিস্ত্রী বলেছেন: দাওয়াত কবুল করলাম। ধন্যবাদ

৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:০০

শোভন শামস বলেছেন: লিখে যান ++++++
ভাল থাকবেন

ধন্যবাদ

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১১:২৯

জাহাজ মিস্ত্রী বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২১

ভ্রমন কারী বলেছেন: সাথেই আছি।

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:২১

জাহাজ মিস্ত্রী বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.