নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
“এখানে এক নদী ছিলো”
***প্রতিবেশী দেশের খুঁড়ে দেয়া কবরে শায়িত বাংলাদেশ নামের লাশটির উপরে মুষ্ঠিমেয় বাঙালীরা এবার মাটি চাপিয়ে ভরাট করে দিচ্ছে কবরটি । এদের কি থামানো যায় না ?***
ডাইনিং টেবিলে নাস্তা খেতে বসে চোখ গেলো সকালে দিয়ে যাওয়া খবরের কাগজখানির দিকে । ভেতরের পুরো একটি পৃষ্ঠা জুড়ে চরম ভয়াবহ একটি বিষয়ের উপর অনেকগুলি সংবাদের দিকে চোখ আটকে গেলো । বড় বড় হরফে একটি শিরোনাম – “ এখানে এক নদী ছিলো” কাব্যিক এই শিরোনামের ভেতরে এক মহা-বিভীষিকাময় আর আতঙ্কিত হওয়ার মতো সংবাদটি টেনে নিয়ে গেলো আমাকে দু’দিন আগে রেলপথে চট্টগাম থেকে ঢাকা আসার দিনটিতে ।
রেলের কামরায় বসে আমার স্বভাব মতো জানালা দিয়ে বাইরে দেখছিলাম । আদিগন্ত বিস্তৃত শষ্যের ক্ষেত । সেখানে সবে ফুটে ওঠা সর্ষেফুলের চোখ ধাঁধানো রঙ হঠাৎ হঠাৎ । তার মাঝে দিয়ে এলিয়ে থাকা শীর্ণ পানির ধারা । যেন থাকতে হয় তাই থাকা । এগুলি একসময় শাখা নদী ছিলো । রাস্তার পাশ ঘেসে বয়ে চলা একসময়ের প্রশস্ত খালগুলি ভরাট হয়ে গাঢ় সবুজ ধানের বীজতলা হয়ে উঠেছে । কেবল এখানে ওখানে পানির ছোপ । মাটিতে ডুবে থাকা দু’একটা নৌকার গলুই মাথা তুলে আছে এখানে সেখানে । ভাবলাম শীতকাল তাই পানি নেই । কিন্তু এ দৃশ্য তো সব সময়ই দেখছি, যখোনই এই পথে গেছি কি শীতে কিম্বা বর্ষায় । এই পথে যতোগুলি কালভার্ট দেখলাম তার ৯৫% এর কোথাও পানি নেই । শুকনো মাটিতে আগাছার মাথা তোলা কিম্বা সব্জীর ক্ষেত । পথে যেতে আবার অনেক নদীর দেখা মেলে । দেখলেই বোঝা যায়, অনেক ভরা যৌবন ছিলো একদিন তাদের । এখোন জড়াগ্রস্থ, মৃতপ্রায় । লম্বা লম্বা রেলসেতুগুলির নীচের নদীতে ধানের ক্ষেত, বালির হাট , ইট-সুড়কির মেলা । যেটুকু পানির দেখা মিলছে, গুটিকয়েক বছর গড়াতেই উধাও হয়ে যাবে তাও । তখোন এই পথে যেতে যেতে আমারই মতো কেউ একজন আঙ্গুল তুলে তার সন্তানকে বলবে - “এখানে এক নদী ছিলো” ।
খবর কাগজের এই সংবাদটি নতুন কিছু নয় । তবে নতুন করে আবারো ভেবে দেখার সুয়োগ করে দিলো । মোট ৯টি শিরোনামে খবরগুলো একটি পুরো পৃষ্ঠা জুড়ে । এখানে লেখা চিত্র থেকে খুব সামান্য তুলে ধরছি আমাদের কোনও বোধদয় হয় কিনা তার জন্যে -
১) এখানে এক নদী ছিলো –
……নদীগুলোর গতিপথ বদলে যাচ্ছে । হারাচ্ছে নাব্যতা । নদী দখলের তোড়ে ভেসে গেছে নদীর জল । মরে গেছে দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের ভৈরব, কপোতাক্ষ । সেই সঙ্গে অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে মাথা ভাঙ্গা, নবগঙ্গা, চিত্রা, কুমার, হরিহর, মুক্তেশ্বরী, ভদ্রা, শালিখা, বেত্রাবতী ।
জলাবদ্ধতা, লবনাক্ততা, আর্সেনিক বেড়ে যাচ্ছে । জীববৈচিত্র হুমকিতে । অপরিকল্পিত বাধ, পোল্ডার , স্লুইস গেট , সেতু রেল লাইন নির্মান এর কারন । শিল্পায়নের ধোয়া তুলে বুড়িগঙ্গা দখলের পরিনতি তো জানাই আছে । এখানেও তাই । আজ পরিনতি দেখে মনে হয় - এখানে এক নদী ছিলো একদিন ।
২) মরছে নদী -
খুলণার ডুমুরিয়া উপজেলার হামকুমড়া নদী । আঠারো বেকি , বেতনা, কাছিবাছা, শালতা , পশুর নদী । মরছে সবাই ধুঁকে ধুঁকে ।
৩) হারিয়ে গেছে ঘুংঘুর কালা -
কুমিল্লার ঘুংঘুর আর কালা ডুমুর নদী হারিয়ে গেছে । মরে গেছে ক্ষীরাই । দখল হয়ে গেছে ডাকাতিয়া ।
৪) বাঙ্গালী-করোতোয়া একই পথে -
বগুড়ার যমুনা,বাঙ্গালী, করোতোয়া মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে । নদীর বুকে চাষাবাদ, মাছের চাষ, কলকারখানার বর্জ্য, ময়লা আবর্জনা ফেলে নদীর দফারফা করা হচ্ছে । ভারতের বিভিন্ন এলাকায় বাধ দেয়াও একটি কারন ।
৫) মরার পথে রংপুরের ২৭ টি নদী -
প্রমত্তা তিস্তা এখোন শীর্ণ খাল । আত্রাই, ইছামতি, পূনর্ভবা , ডাহুক, যমুনেশ্বরী, কাটাখালি এখোন ছোট ছোট জল ধারা ।
৬) নাব্যতা হারাচ্ছে বাঁকখালি ও মাতামহুরী -
কক্সবাজারের দুই প্রধান নদী । মরমী শিল্পীদের মুখে মুখে একদিন এই নদীগুলো নিয়ে গান ছিলো । ডেজিংয়ের অভাবে সে গান শুকিয়ে গেছে ।
৭) নদীতে এখোন আবাদ হচ্ছে -
নীলফামারীর ২২ টি নদী পানিশূন্য । শষ্যের আবাদ এখোন সেখানে ।
৮) নদী শাসনের শিকার সাতক্ষীরার ২৭ টি নদী -
নদী তীর দখল, নদী শাসন, স্লুইসগেট নির্মান আর চিংড়ি চাষের জন্যে ছোট ছোট ঘের নির্মান করে সাতক্ষীরার ২৭ টি নদীকে বাকরূদ্ধ করা হয়েছে ।
৯) চলনবিলের সেই আট নদী -
মরে গেছে চলনবিল । অপরিকল্পিত বাধ, মহাসড়ক , ক্রস বাধ, স্থাপনা নির্মান করে চলনবিলের চলা থামিয়ে দেয়া হয়েছে । বিলুপ্তির পথে এর বিশাল মৎস সম্পদ ।
সব মিলিয়ে শুধু ভয়ঙ্কর একটি ভবিষ্যতের ছবি মাথার ভেতরে খেলে গেলো । আমি কোনও বিশেষজ্ঞ নই । নদীর উৎসমুখে পলি জমে কিভাবে নদীর স্রোতধারা কমে আসে, কিভাবে নদী ভাঙ্গনে নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয় আর এতে কি ভাবেই বা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়, কিভাবেই বা জীব-বৈচিত্র হারিয়ে যায়, কি ভাবেই বা অভিন্ন নদীর পানির হিস্যা আদায় করতে হয় ইত্যাকার বিষয়ে আমার জানা নেই । শুধু জানি, নদী হারিয়ে যাচ্ছে । প্রাকৃতিক ভাবেই তা হোক কিম্বা প্রতিবেশী দেশের বৈরিতার কারনেই হোক, তা নিয়ে এ মূহুর্তে আমার মাথাব্যথা নেই । প্রকৃতির বিরূদ্ধে আমাদের করনীয় কিছু নেই । প্রতিবেশী দেশের বৈরিতার জবাব দিতে আমাদের রাষ্ট্রীয় শক্তি নেই, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা নেই । কিন্তু যেখানে আমাদের করার আছে সেখানে চুপ করে আছি কেন ?
নদী দখল করে স্থাপনা নির্মান, নদী শাসনে অপরিকল্পিত বাধ প্রকল্প প্রনয়ন, পরিনতির কথা চিন্তা না করে মহাসড়ক নির্মান, চিংড়ি ঘের নির্মান, নদীতে রাসায়নিক বর্জ্য উদগারন এগুলো কারা করছে ? প্রতিবেশী দেশের লোকেরা ? ভারত-পাকিস্তান-মিয়ানমার-নেপাল ? নাকি আমি আর আপনি ? নাকি সাধারন পাবলিক ?
যে ৫৪টি অভিন্ন নদী ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তার স্রোত নিয়ন্ত্রন করছে ভারত নিজের স্বার্থেই । এর ও উজানে রয়েছে নেপাল আর চীন । এই নদীগুলো কেবল পানিই বহন করেনা , করে বিলিয়ন বিলিয়ন টন পলি (সেডিমেন্ট)। নদী স্রোত এই পলি নিয়ে যায় সাগর অবধি । ভারতের কারনে স্রোতের ধার কমে গেছে অনেক । সে কারনেই ভরাট হয়ে যাচ্ছে এখানকার নদীগুলো । কেবলমাত্র গঙ্গা-ব্রম্মপূত্র-মেঘনা নদী প্রবাহ দিয়ে বয়ে আসে প্রায় ৩ বিলিয়ন টন পলি, যা বিশ্বের সকল নদী পথে বয়ে আসা পলির এক-তৃতীয়াংশ । এই পলি বা সেডিমেন্টের শেষ গন্তব্য বঙ্গপোসাগর । অর্থাৎ বাংলাদেশের বুকের উপর দিয়ে এই বিপুল পলি স্রোতের সাথে ভেসে যাচ্ছে দক্ষিনে । এই একটিই পথ ।
পানি সল্পতার কারনে নদীতে স্রোত নেই তাই পলি সরছেনা । ড্রেজিঙ এর অভাবে জমে থাকা এই বিশাল পলি সরিয়ে নদীকে “ নদী আপন বেগে পাগল পারা ...” করা যাচ্ছেনা । দেশে ড্রেজার আছে নাকি ৬খানা । প্রয়োজন ৫৪ বা ৫৫ টি ড্রেজারের । ৯ খানি ড্রেজার নির্মানাধীন । আর এতে শক্তিশালী কারো কারো পোয়াবারো হয়েছে । নদী শুকোতে শুরু করতে না করতেই তাকে ভরাটের আয়োজন শুরু করে দিয়েছে তারা । যে যেভাবে পারছে, ভরাট করে জায়গা দখলের খেলায় মেতেছে । এভাবেই ঢাকার বুড়িগঙ্গা, বালু নদী দখল হয়ে গেছে । শীতালক্ষ্যাও যায় যায় । এগুলো তো আমাদের চোখের সামনেই হচ্ছে । ভারত, নেপাল নাকি চীনকে দোষ দেবেন ?
পানি বিশারদ থেকে শুরু করে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো সোচ্চার অনেকদিন থেকে এর ভয়াবহ পরিনতি কি হতে যাচ্ছে তা নিয়ে । বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন হয়েছে , হচ্ছে । কতোটুকু কি হয়েছে জানিনা । খুব একটা যে কিছু হবেনা বোঝা যায় । কারন দখলের হাতগুলো উপর তলার, রাষ্ট্রীয় যন্ত্রের মদদপুষ্ট, সরকারী সংস্থাগুলোর আনুকুল্যে টেবিলের নীচের আদান-প্রদান সিদ্ধ । নইলে লেক থেকে শুরু করে হাওড়–বাওর আর নদীতীরের পানি সহ সরকারী জমি বাপ-দাদার আমলের পাওয়া কিম্বা শ্বশুড়ের দেওয়া হয় কি করে ? গুলশান লেক মরতে মরতে খানিকটা বেঁচেছে । ভাগ্যিস পরিবেশবাদী আর প্রতিবাদী এলাকাবাসীরা ছিলেন !
ওদিকে পাকিস্তান, ভারত, নেপাল আর ভুটান মিলে সিন্ধু, গঙ্গা , ব্রম্মপূত্র , ইরাবতী নদী সমৃদ্ধ হিমালয় অঞ্চলে ৫৫২টি হাইড্রো-পাওয়ার প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে অনেকদিন আগে থেকেই। এর মধ্যে অনেকগুলিই তৈরী হয়ে গেছে , অনেকগুলি নির্মানাধীন । টিপাইমুখ তার একটি । এতে করে পদ্মা-যমুনা আর মেঘনা দিয়ে আসা পানির পরিমান আরো কমে যাবে । পদ্মা-যমুনা তো শেষ । এবার ধীরে বইবে মেঘনা । সমস্ত দক্ষিনবঙ্গ পলিতে ভরে যাবে । আর টিপাইমুখী বাঁধের কল্যানে সিলেট সহ উত্তর-পূর্ববঙ্গ মহাশ্মশানে পরিনত হবে । আন্তর্জাতিক দরবারে “ধণ্যা” দিয়ে কিছু একটা পাওয়ার আশায় সময় ক্ষেপনের সময় কি আছে আমাদের ?
প্রতিবেশী দেশের খুঁড়ে দেয়া কবরে শায়িত বাংলাদেশ নামের লাশটির উপরে মুষ্ঠিমেয় বাঙালীরা এবার মাটি চাপিয়ে ভরাট করে দিচ্ছে কবরটি । এদের কি থামানো যায় না ?
যায় হয়তো কিন্তু যারা করবেন তারা করছেন না । কেন করছেন না ? কারন তাতে যে তাদের দখলকরা বিঘার পর বিঘা জমি ছেড়ে দিতে হয় । যতোদুর মনে পড়ে, রাজউককৃত ঢাকা মহানগরের তৃতীয় মাষ্টার প্লানে, এর হারিয়ে যাওয়া নদী আর খালগুলিকে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব ছিলো রাজধানীকে জলাবদ্ধতা আর ভুমিকম্প থেকে বাঁচানোর জন্য । কাজ ও এগুচ্ছিলো । বন্ধ হয়ে গেছে সে প্রকল্প । কেন ? পত্রিকায় দেখেছি, প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়োজিত এক মহারথীর জমি নাকি তার ভেতরে পড়ে গেছে । তাই পুরো প্রকল্পের কাজটিই বাদ ।
সুপ্রিয় পাঠক, ঠান্ডা মাথা নিয়ে বসুন । আপাতঃ গায়ে লাগছেনা, এই এমোন বিষয়টি নিয়ে গভীর করে ভাবুন । হয়তো বলবেন, কি হবে ? দেশ মরুভূমি হয়ে যাবে , এইতো ?
( নদী শুকিয়ে গেলে কি হয় প্রসঙ্গে এই লিঙ্কটি দেখে নিতে পারেন - Click This Link )
বলবেন, আরবের মরুভূমিতে কি মানুষ থাকেনা ? সাহারা মরুভূমিতে কি মোটেও মানুষ নেই ? আছে অনেক মানুষ আছে ! সেখানে কেউ নদী ভরাট করে মরুভূমি বানায়নি । আরবের মরুভূমি এখোন স্বপ্নের দেশ । ঐশ্বর্য্যের আর সবুজের ছড়াছড়ি সেখানে । সাহারা মরুভূমিতে সবুজের সমারোহ আর ফসল দেখেছি আমি । কিন্তু আমাদের ভৌগলিক অবস্থান কি ওদের মতো ? ওদের কি নদী আছে তেমন একটা ? নেই । আমাদের আছে, আর তা দিয়ে পানি সাগরে পড়ে । ভূ-তাত্বিক ভাবে আমরা একটি “বেসিন” এলাকায় বাস করি । এই বিষয়টা মাথায় রাখুন । দেশ যদি শুধু মরুভূমি হয়েই যেতো তা না হয় দাঁত কামড়ে মানা যেতো ! কিন্তু শুধু কি মরুভূমিই হয়েই থেমে থাকবে দেশ ? মোটেও না ।
হিমালয়ের হিমবাহ গলে যে পানি নামে প্রতি বছর, বর্ষামৌসুমে যে পানির ঢল বয়ে যায় তাতেই আমরা বন্যায় ভাসতে থাকি বছরের অনেকটা সময় জুড়ে । নদীগুলো দিয়ে এখোনো পানি নেমে যেতে পারে বলে রক্ষা । সব নদী যখোন বুক চিতিয়ে ভরাট হয়ে যাবে, যা আমরাই করে ফেলবো অতি দ্রুত, তখোন গঙ্গা- ব্রম্মপূত্র দিয়ে নেমে আসা পানি কোথায় যাবে ? ভারত বন্যার পানি সরাতে তাদের সব ক’টি স্লুইসগেট সারা বর্ষাকাল জুড়ে খুলে রাখবে । কারন সকল পানিকে বাংলাদেশের উপর দিয়েই বয়ে যেতে হবে দক্ষিন সাগরে । বর্ষা মৌসুমে পরিনতিটা কি ভয়ানক হবে, একবার ভাবুন । এখোন বন্যার পানিতে ঘরের খাট পর্য্যন্ত ডুবে যায় । তখোন বন্যার পানি ছাড়িয়ে যাবে ঘরের ছাদ-টিনের চাল । আক্রান্ত এলাকার ব্যাপ্তি হবে সমগ্র বাংলাদেশ । অথৈ পানিতে ভাসবে সব । অর্থাৎ আমরা মরবো দু’ভাবে - শুষ্ক মৌসুমে মরুভূমিতে আর বর্ষাকালে ভয়াবহ বন্যায় । একবার চরম আবহাওয়ায় আর একবার পানিতে ।
আর অদুর ভবিষ্যতে এইভাবে যা ঘটবেই তার জন্যে আমরাই দায়ী থাকবো অর্ধেকটা । কেন যে আমরা নিজেরাই ডেকে আনছি নিজেদের মরন !
এখান থেকে কি আমরা ফিরতে পারিনা ?
সে বোধদয় আদৌ কারো হবে কি !
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহী ফ্লোরা,
আপনি শুধু এটুকুই দেখলেন ! আপনি তো কবিতাও লেখেন ! এ বিষাদ যে কবরের অন্ধকারের চেয়েও ভয়ঙ্কর বিষাদময় !
ভবিষ্যতের এরকম বিষাদ থেকে যে আমাদের কারো রেহাই নেই, এটুকু নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন ?
আপনি অনেক শক্তিশালী ব্লগারদের একজন । আপনার একটি আওয়াজ আমাদের হাযারো ব্লগারকে একাট্টা করতে পারে । একটি আওয়াজ তুলুন....
শুভেচ্ছান্তে -
২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪
আমিনুর রহমান বলেছেন: পোষ্টটি ষ্টিকি করা হোক।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: আমিনুর রহমান,
অসংখ্য ধন্যবাদ আমিনুর ।
৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:২৫
s r jony বলেছেন: GOOD POST
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: s r jony,
শুধু "GOOD POST" বললে কি চলবে ?
আর একটু চীৎকার করে এইে ভয়াবহতার জানান দিতে হবে...
তবু্ও ধন্যবাদ ।
৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮
শিপন মোল্লা বলেছেন: ফারাক্কা আমাদের এভাবেই দেশ থেকে সব নদীকে হত্যা করবে আমরা কিছুই করতে পারবোনা। তারপরও ভারতের দালালি করবো। জয় ভারত।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: আবুশিথি,
দেখুন , অন্যকে দোষ দিয়ে কি লাভ ? এটা তো সোজা কাজ ।
আমি কিন্তু সেকথাই এখানে লিখেছি - প্রাকৃতিক ভাবেই তা হোক কিম্বা প্রতিবেশী দেশের বৈরিতার কারনেই হোক, তা নিয়ে এ মূহুর্তে আমার মাথাব্যথা নেই । প্রকৃতির বিরূদ্ধে আমাদের করনীয় কিছু নেই । প্রতিবেশী দেশের বৈরিতার জবাব দিতে আমাদের রাষ্ট্রীয় শক্তি নেই, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা নেই । কিন্তু যেখানে আমাদের করার আছে সেখানে চুপ করে আছি কেন ?
কিন্তু যেখানে আমাদের করার আছে সেখানে চুপ করে আছি কেন ? ... আমি কিন্তু এখানেই জোর দিয়েছি । আমরা ফারাক্কা অভিমুখী লং মার্চ, টিপাইমুখ অভিমুখী লং মার্চ করেছি । কি হয়েছে ? কিচ্ছু না ।
আর এখানে যে কথা আমি বলেছি তার সমাধান - আমাদেরই এক শ্রেনীর মানুষের বিরুদ্ধে লং-মার্চ ।
এটা তো আমরা করতে পারি ! না কি পারিনা ? হয়তো বলবেন , " আপনি করুন " ।
আমি তো শুরুটা করে দিলাম .. আপনারা না হয় বাকীটুকু এগিয়ে নিয়ে গেলেন ।
ভেবে দেখুন আর একবার ।
শুভেচ্ছান্তে -
৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন। সচেতন হওয়া ফরয হয়ে দাঁড়াইসে।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব ,
আপনার হাতে আছে এক শক্তিমান কলম । অগুনতি আপনার পাঠক সংখ্যা ।
এটা নিয়ে আপনি একটা গল্প লিখতে পারেন আপনার নিজস্ব ষ্টাইলে । থীম দিচ্ছি - এক পরাক্রমশালী কেউ আপনাকে ধরে নিয়ে গেল । কারন আপনি পৃথিবীর ত্রাতা । তারা দেখতে চায় যে নূহের প্লাবনের পরিকল্পনা তারা করেছে তা থেকে আপনি কি ভাবে পৃথিবীকে বাঁচাবেন । কারন তারা তাদের প্লানে কোন ফাঁক-ফোকড় রাখতে চায়না । আপনাকে দিয়ে সেটা যাচাই করে নিতে চায় ...( দুঃসাহস দেখিয়ে ফেলেছি, তাইনা ? )
এটাই হোক আপনার দিক থেকে ফরজের কাজ । জনমত তৈরী করা ।
ভালো থাকুন ।
৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: স্টিকি হবার মতো পোস্ট।++++++++++
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: আজ আমি কোথাও যাবো না,
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
শুভেচ্ছান্তে -
৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৩
উমাইর চৌধুরী বলেছেন: কদিন বাদে এ সরকার হইত বঙ্গোপসাগরও বন্ধক দিবে ভারতীয় কুত্তাদের কাছে ।ফারাক্কা, তিস্তা সবকিছুইতো দিলাম ! শেখ মুজিবের সময় ৪০ দিনের জন্য ফারাক্কা চালু হয়ে ৪০ বছরেও বন্ধ হয়নি।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: উমাইর চৌধুরী,
গালি দেয়া বা অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানো খুব একটি সহজ কাজ ।
আমাদের দোষটা হলো , আমরা নিজেরা আমাদের দোষটা দেখতে পাইনা ।
আমরা কিছুই দেইনি । আমরা আমাদের অধিকার ছিনিয়ে আনতে পারিনি দূর্বল নেতৃত্বের কারনে । ব্যাপারটাকে এভাবে দেখুন ।
প্রকৃতির বিরূদ্ধে আমাদের করনীয় কিছু নেই । প্রতিবেশী দেশের বৈরিতার জবাব দিতে আমাদের রাষ্ট্রীয় শক্তি নেই, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা নেই । কিন্তু যেখানে আমাদের করার আছে সেখানে চুপ করে আছি কেন ? এই লাইন ক'টি কি আপনি দেখেন নি ?
আমরা যারা দেশটির কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিচ্ছি তাদেরকে দু'টো কথা বলুন । এদের কে থামান তবেই না হয় আর কিছুদিন বেশী বেঁচে থাকতে পারবো আমরা যা আপনার ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যে ভীষন প্রয়োজন ।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৮
ইউসুফ আলী রিংকূ বলেছেন: স্টিকি হবার মতো পোস্ট
আমরা মরবো দু’ভাবে - শুষ্ক মৌসুমে মরুভূমিতে আর বর্ষাকালে ভয়াবহ বন্যায় ।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
আহমেদ জী এস বলেছেন: লেখক বলেছেন: ইউসুফ আলী রিংকূ ,
জ্বী । আমি পরিবেশবিদ নই । তবু্ও সাধারন জ্ঞানে যা বুঝতে পারছি তাই ই বলেছি । দু'ভাবেই মরতে হবে ।
ধন্যবাদ আপনার সচেতনতার জন্যে ।
শুভেচ্ছান্তে _
৯| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খুবই গুরুত্বপূর্ন একটা পোষ্ট দিয়েছেন। সবার সচেতন হওয়া দরকার।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা,
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
ঠিক বলেছেন, যে আসন্ন প্রলয়ের সামনে আমাদের পড়তে হবে তা আমাদেরই কিছু অপরিনামদর্শী লোকেদের লোভের ফল ।
এদের লোভের হাত থেকে বাঁচার জন্যেই আমার এই লেখা । আপনাদের সচেতনতা হয়তো একে আরো বেগবান করবে ।
শুভেচ্ছান্তে -
১০| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২
দেবদাস. বলেছেন: ৭ নং +++++++++++++++
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: দেবদাস.
ধন্যবাদ অনেকগুলি প্লাস দিয়ে সচেতনতা প্রকাশ করার জন্যে ।
শুভেচ্ছান্তে -
১১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৯
জুন বলেছেন: আমাদের দেশ একদিন ছিল র দেশে পরিনত হবে সেটার অপেক্ষায় আছি বলতে পারেন আহমেদ জী এস।আমরা গল্প করবো 'আমাদের অমুক অমুক নদী ছিল,তাদের অসাধারন সুন্দর সব নাম ছিল ।এত প্রজাতির বিশাল বিশাল ফল আর কাঠের গাছ ছিল, নদী আর পুকুর ভরা মাছ ছিল, কত রকম স্থানীয় পশু পাখি ছিল, গৃহস্থের উঠোনে দেশী মোরগ মুরগী গরু ছাগল ছিল ইত্যাদি ইত্যাদি।
আজ এক পত্রিকায় দেখলাম আমাদের দেশের বিভিন্ন এলাকার বানর আর হনুমান বিপন্ন/হুমকীর সন্মুখীন।
সেদিন ধামরাইর সেই বিখ্যাত বাকুড়া ডিজাইনের ঘোড়া কিনতে গিয়েছিলাম। সেখানে পিতলের শো পীস প্রস্ততকারক বিখ্যাত রাশেদা মোশাররফের কারখানা প্লাস বাসার চারিদিকে কিছু বানর দেখলাম। খাবারের জন্য ঘুরছে বেচারারা হন্যে হয়ে । ভাবলাম নিজেরাই খেতে পায় না আর ওরা কি খাবে! প্রাকৃতিক যে খাবারের যোগান সেই ফল ফলাদি নিয়ে মানুষের সাথে তাদের অষ্টপ্রহর টানাটানি।
হয়তো একদিন সুন্দরবনের কুমির আর শুশুকের মত বিলীন হয়ে যাওয়া আমাদের দেশের অসংখ্য জিনিস নিয়ে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম গল্প করবে "জানো আমাদের দেশে না এসব জিনিস ছিল"।
আপনি আপনার সচেতন মন আর স্পর্শকাতর চোখ দিয়ে দেখেন লিখেন কিন্ত
আমরা কতটুকু সজাগ হবো সেটাই ভাবার বিষয়।
+
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
অনেক সচেতনতার পরিচয় দিয়েছেন এভাবে মন্তব্য করে । ধন্যবাদ ।
হ্যা, জীবন পাল্টে যায়, দিন ঘুরে বছর হয় প্রাকৃতিক নিয়মেই । তাই কালের চক্রে অনেক কিছুকেই আমাদের "ছিলো " বলতে হয় ।
এটাকে মেনে না নিয়ে উপায় নেই । কিন্তু তা যদি আমাদেরই লোভে, আমাদেরই অসচেতনতায়, আমাদেরই অপরিনামদর্শীতায় ঘটে থাকে তবে তার চেয়ে আহাম্মকী আর কিছু হয় না বোধ হয় । এটাকে মেনে নেয়া যায় কি ?
আর এই বিষয়টা তো কেবল "ছিলো" র মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবেনা ।
এ যে আমাদের অস্তিত্ব নিয়েই সজোরে টান দেবে । তখন গল্প করার জন্যে আমাদের কয়টি প্রজন্ম থেকে যাবে , ভাবনার বিষয় ।
তাই সজাগ হতেই হবে । এর বিকল্প নেই । যাদের লোভের কারনে আজ এই দশা তাদেরকে আমরা ঠেকাই না কেন ? কেন তাদের বিরূদ্ধে লং-মার্চ হয়না ? কেন পরিবেশবাদীদের দল ভারী হয়না ? রাজনৈতিক এজেন্ডায় লক্ষ লোকের সমাবেশ হয়, পরিবেশ আন্দোলনে হাতে গোনা লোক হয় কেন ?
এগুলো ভেবে দেখার সময় কি আসেনি ?
১২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
নীলঞ্জন বলেছেন: নদী যাচ্ছে। সাথে সাথে মনের নদীতেও চর জাগছে ভাই।
চমৎকার পোস্ট।++++++++++
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলঞ্জন ,
নদী "যাচ্ছে" না । তাকে কিছু কিছু লোকের লোভের কারনে , কিছু কিছু লোকের অপরিনামদর্শীতার কারনে "যেতে" হচ্ছে ।
এটা আমরা ঠেকাতে পারি । চুপ করে থেকে মন আর কাজের নদীতে চর জাগতে দেবেন না ।
দেবেন কি ????
শুভেচ্ছান্তে -
১৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪০
আমিনুর রহমান বলেছেন: গত ৫০ বছরে আমাদের দেশে ৫০০ এর অধিক নদী পুরোপুরি হারিয়ে গেছে। জীবিত নদী ২৩০ টির মধ্যে ২৫ টি নদী মৃতপ্রায় এবং আরো ৯০টি হারিয়ে যাওয়ার পথে।
নদী গবেষকদের মতে, সরকারী অবহেলাই এসব নদীর মৃত্যুর ঝুকির কারন। যৌথ নদীগুলোর উজানে ফারাক্কার মতো বাঁধ ও দেশের ভেতরে সেচ প্রকল্প ঘিরে নির্মিত বাঁধই বাংলাদেশে নদী বিলীন হওয়ার অন্যতম কারণ। এছাড়া নদী থেকে বৈধ ও অবৈধ বালু উত্তোলন আর নদী ভরাট, বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ, কোনোরকম পরিশোধন ছাড়াই শিল্পবর্জ্য নদীতে ফেলা, সরকারি ক্রসবাঁধ, নদীশাসনের পদক্ষেপও এসব নদীর অস্তিত্বের সংকট তৈরি করেছে। টিপাইমুখ বাঁধ নির্মিত হলে বাংলাদেশে আরো অনেক নদী বিলীন হবে। ক্রমাগত আরো নদী বিলীন হতে থাকলে ভবিষ্যতে অর্থনীতি ও পরিবেশ কে ভয়ঙ্কর এক বিভীষিকাময় অবস্থায় পড়তে হবে।
অবশিষ্ট নদীগুলোকে রক্ষা করতে নদীর সীমানা নির্ধারণ, দখলমুক্তকরণ, পুনঃখনন ও জোরালোভাবে সংরক্ষণ করা, সরকারের নদীকে অবক্ষয়িত জলাশয় ঘোষণা বা নদীর জমি ইজারা দেওয়ার ক্ষমতা বাতিল করার বিকল্প নেই।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১
আহমেদ জী এস বলেছেন: আমিনুর রহমান,
অনেক তথ্য দিয়েছেন যা এই লেখাটিকে সমৃদ্ধ করবে নিঃসন্দেহে । আমিও এই দিকেই ঈঙ্গিত করেছি । ভারতের কাছ থেকে আমরা কিছু কেড়ে নিতে পারবো কি ? পা্ওয়ার কিছু নেই । যা করবার আমাদেরকেই করতে হবে ।
লিখেছেন - "নদী গবেষকদের মতে, সরকারী অবহেলাই এসব নদীর মৃত্যুর ঝুকির কারন। "
আমি এসবের দিকেই আপনাদের নজর কাড়তে চেয়েছি । আমাদের কারনে যে ক্ষতি হচ্ছে , সেটা তো আমরাই সারিয়ে তুলতে বা বন্ধ করতে পারি । তাই না ?
সে জন্যে কিন্তু দেশব্যাপী আন্দোলন নেই ।
আপনার শেষের প্যারাটার সাথে প্রচন্ড সহমত আমার । এ জন্যেই আন্দোলন হতে পারে । খুচরো খাচরা ভাবে হবে না ।
চাই তুমুল আন্দোলন ।
শুভেচ্ছান্তে -
(এই ফাঁকে একটু বলে রাখি - আপনাকে আমি অনুসরনে নিয়েছি । দেখলাম অনেক দিন ধরে থাকলেও পোষ্ট দিয়েছেন খুব কম । যদি ও পোষ্টগুলি সচেতনতামূলক বেশীর ভাগটাই । থেমে থাকবেন না । )
১৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৭
অদৃশ্য বলেছেন:
খুবই সত্য কথা.... আমার এলাকাতে যে ছোট নদী ছিলো তার প্রবাহ কয়েকবছর আগেই বন্ধ হয়ে গেছে.... এই ঘটনাগুলো অনেক আগেই শুরু হয়েছে.... আর আমরা বাস্তবে এখনো সচেতন নই....
বাংলার পানি বহমান হয় অনেকটাই পার্শ্ববর্তি দেশের ইচ্ছার উপরে.... সবদিক থেকেই আমাদের গভীরভাবে ভাববার সময় হয়ে গেছে...
ধন্যবাদ জানাচ্ছি এমন সচেতনতামূলক পোষ্টের জন্য...
শুভকামনা....
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: অদৃশ্য,
জ্বী, খুব ধীরে ধীরে ঘুনপোকা ভেতরে যে বাসা বেঁধে ফেলেছে আমরা তার খোজ রাখিনি । আজ আপনার এলাকার হয়েছে , কাল আর একজনের এলাকার নদীপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাবে । অদুর ভবিষ্যতে সব ।
সবদিক থেকেই আমাদের গভীরভাবে ভাববার সময় হয়ে গেছে...
আমাদের গভীরভাবে ভাববার সময় শেষ হয়ে গেছে... এখোন শুধু কাজ .....আপনাদের সংঘবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলা ।
শুভকামনা আপনার জন্যে ও ।
১৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৯
আমিনুর রহমান বলেছেন:
আহমেদ জী এস ভাই, আবার লেখা শুরু করুন না এই বিষয় নিয়ে, এখন মনে হয় আরো অনেক বেশি ব্লগারের নজরে আসবে।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: আমিনুর রহমান ,
ধন্যবাদ আপনাকে ।
হয়েছে কি, খুব একটা সময় পাইনে লেখার ।
ব্লগারদের নজরের চেয়েও বেশী প্রয়োজন একাট্টা হওয়াটা । এটা যে কেউ শুরু করতে পারে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩৪
আমিনুর রহমান বলেছেন:
এই একাট্টা হওয়ার জন্যই তো আবার পোষ্ট দেয়া দরকার !
আপনি এই বিষয়ে জানেন তাছাড়া গুছিয়ে লিখার একটা ব্যাপারও আছে !!!
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: আমিনুর রহমান ,
ধন্যবাদ আপনাকে । তবে দুঃখিত উত্তর দিতে দেরী হলো বলে । দেখি, আপনার এই সুন্দর ইচ্ছেপুরন করে উঠতে পারি কিনা !
রাতের শুভেচ্ছা রইলো ।
১৭| ১৫ ই জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩৮
দীপংকর চন্দ বলেছেন: আত্মশক্তির ওপর বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধা থাকলে পরাক্রমশালী প্রতিবেশী দেশের খুব বেশি সুবিধা করতে পারার কথা নয় কখনওই!!
দেশপ্রেম জরুরী। সাথে সততা, কর্মনিষ্ঠা, আন্তরিকতা। এবং যথেষ্ট মেধা, যেটা আমাদের রয়েছে বলেই বিশ্বাস আমার।
প্রিয়তে রাখছি।
শুভকামনা শ্রদ্ধেয়। অনিঃশেষ।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
২১ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:০৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: দীপংকর চন্দ ,
অসম্ভব রকমের দুঃখিত এই কারনে যে, আপনার এই মন্তব্যটি দীর্ঘদিন অদর্শনেই পড়ে ছিলো এখানে । নোটিফিকেশান পাইনি বা চোখ এড়িয়ে গেছে । আজ আপনার পরে যে মন্তব্যগুলো এসেছে তার নোটিফিকেশান দেখে তবেই এখানে ঢুকেই দেখি আপনার সুন্দর এই মন্তব্যখানি অপঠিত থেকে গেছে । এই অনিচ্ছাকৃত ক্রটি মার্জনীয় ।
আপনার বিশ্বাসটুকুতে আস্থা রাখতে চাই আমিও ।
প্রিয়তে নেয়ার জন্যে অজস্র ধন্যবাদ ।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।
১৮| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ২:১৫
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: প্রিয়তে! সময়ে করে খুঁটি নাটি দেখে মন্তব্যে ফিরবো আশা রাখি!
২১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: এক নিরুদ্দেশ পথিক ,
প্রিয়তে নেয়ার জন্যে ধন্যবাদ ।
আসুন সময় করে । সবসময়ের জন্যে দরোজা খোলা রইলো । উষ্ণ আমন্ত্রন ।
১৯| ২১ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:১৯
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: সরাসরি প্রিয়তে । সময় করে আমার কথা বলব ।
শুভেচ্ছা রইল ।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,
অনেক দুঃখ প্রকাশ করছি, মন্তব্যের জবাব দিতে আমার অনিচ্ছাকৃত দেরীর জন্যে । নোটিফিকেশান তো পাই-ই নি , আর ভাবিও নি যে, এতো পুরোনো পোস্টে কেউ ঘুরে যাবেন । সত্যিই দুঃখিত ও মর্মাহত ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২০| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:২৫
করুণাধারা বলেছেন:
নদী আল্লাহর দেয়া এক নিয়ামত যে নিয়ামতকে আমরা চরম অবহেলা করছি। দেখুন, কোরআন শরীফে যতবার জান্নাতের উল্লেখ করা হয়েছে ততবার বলা হয়েছে তাজরি মিন তাহতিহাল আনহার- তার পাদদেশে নদী প্রবাহিত হয়।
নদী শুকিয়ে যাবার সাথে সাথে ভূ গর্ভস্থ পানির স্তরও নীচে নামতে থাকে- পানির অভাবে গাছপালা ধীরে ধীরে মারা যায়, উদ্ভিদ শূন্যতার কারণে বৃষ্টিপাত কমে যায় ফলে মরুকরণ বাড়তেই থাকে। নদী শুকিয়ে যাবার এই ভয়ংকর প্রভাব সম্পর্কেআমরা একেবারেই উদাসীন। এভাবে চলতে থাকলে আর বড়জোর তিরিশবছর- তারপর এদেশে পানির জন্য হাহাকার শুরু হবে। আজ ক্ষমতাধর কিছু মানুষ নদী দখল করছে, ক্ষমতাধর কিছু মানুষ আরো ক্ষমতার লোভে নদী বিকিয়ে দিচ্ছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যদি প্রশ্ন তোলে, তোমরা কেন এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করনি- তখন জবাব দেবার মত কিছু কি আমাদের থাকবে?
ধন্যবাদ চমৎকার পোস্টটির জন্য।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা ,
আমার এই পোস্টে আপনাকে দেখে ভালো লাগলো ।
ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যদি প্রশ্ন তোলে, তোমরা কেন এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করনি- তখন জবাব দেবার মত কিছু কি আমাদের থাকবে?
কিছু থাকার মতো কোনও কাজ কি আমরা করেছি ? সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় কোনও পর্যায় থেকে ?
আপনার একটি মরমী মনের পরিচয়ই যেন তুলে ধরেছে মন্তব্যটি ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৮:৪৬
ধ্রুবক আলো বলেছেন: আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র তো আমাদের উপর সব সময় কাঁঠাল ভেঙে খায় এটা চিরসত্য হয়ে গেছে। উনারা শুষ্ক মৌসুমে পানি দিবে না বর্ষাকালে বাঁধ খুলে দিবে এটা তো হয়েই আসছে, এখন একটা নোংরা জাতির কাছে থেকে আমরা আর কি আশা করতে পারি।
ভারতের কথা বাদ দিলাম আমাদের দেশের মানুষ তো আর ভালো মানুষের ভেতর পরে না। ক্ষমতা পেলে নদী কেন সাগরও দখল করে বসে থাকবে। নদীর ভালোবাসা এরা বুঝবে না, নদী যে কতটা আবশ্যিক টা এরা কোনোদিনই বুঝবে না। কারণ এদের সেই মন মানসিকতা নেই।
বাংলাদেশে অনেক নদীই ছিলো, ছিলো বলছি কারণ নদীগুলো এখন মানচিত্র তো দূরে বইয়ের পাতায়ও নেই। নদী না থাকার কারনে, বাকি নদীগুলোর নাব্যতা কমে যাওয়ার কারণে দেশে উত্তর অঞ্চল, আর নদী তীরবর্তী সকল অঞ্চলে বন্যার ভয়াল শিকার হতে হচ্ছে।
ঢাকায় যে বন্যা হয় সেটার কথা ভিন্ন, কারণ ঢাকায় বন্যায় ভাসে ড্রেনের পানি। ঢাকার মানুষ বোধ জ্ঞান সম্পন্ন না।
ভাই এই পোষ্টের জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন, আমাকে শেয়ার করেছেন ভালোবাসা জানবেন।
তথ্যগুলো খুব প্রয়োজন ছিলো আমার, একটা লেখা লিখছি নদী ও পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নিয়ে, লেখাটা শেষ হলেই পোষ্ট করবো। এখন খুব ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি, সময় করে লিখে পোষ্ট দিবো।
ভালোবাসা জানবেন ভাই। খুব ভালো থাকুন।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: ধ্রুবক আলো ,
আপনার পোস্টে আমার মন্তব্যে দেয়া লিংকটি ধরে এখানে এসেছেন এবং এমন সচেতন একটি মন্তব্য করেছেন দেখে ভালো লাগলো । ঠিকই বলেছেন - ক্ষমতা পেলে নদী কেন সাগরও দখল করে বসে থাকবে। তা কি বাকী আছে , ওটাও তো মনে হয় লীজ দেয়া হয়ে গেছে এরই মধ্যে ।
আপনার লেখার জন্যে আপনি নেটের বিভিন্ন সাইটে যান । বাঙলাদেশের নদী সংক্রান্ত ও নদী সংরক্ষন কমিটির সাইটেও ঢুঁ মেরে দেখতে পারেন ।
অনেক ভালোবাসা আপনার জন্যেও রইলো , রইলো নদী নিয়ে আপনার আগামী লেখার সাফল্য কামনা ।
(মূল পোস্টে "কষ্টে শুকিয়ে যাওয়া এক সাগর.......... সংক্রান্ত একটি লেখার লিংক দেয়া আছে । ওটাও আপনার কাজে লাগতে পারে ! )
২২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১৯
রায়হান চৌঃ বলেছেন: ১৯৭১ এর পূর্বে বর্তমান বাংলাদেশ ভুখন্ডে ১৪০০ এর উপর নদী ছিল, এখন ৪০০ উপর নেই, তা ও প্রায় মৃত
খুব ভালো লাগে যখন দেখি "পোষ্ট টি ষ্টিকি করা হোক", "প্রিয়তে", "খুবই গুরুত্বপূর্ন একটা পোষ্ট"
এর মানে হচ্ছে আমাদের আর কিছু করার নেই। "পোষ্ট টি ষ্টিকি করা হোক", "প্রিয়তে", "খুবই গুরুত্বপূর্ন একটা পোষ্ট" এসবেই সীমাবদ্ব জীবন।
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: রায়হান চৌঃ ,
আমার ব্লগে স্বাগতম ।
আমাদের আমজনতার এই হলো বিধিলিপি । এর বাইরে আমাদের আর কিছু করার থাকেনা । একটু প্রতিবাদ যাও হয় তা ক্ষমতার , নৈরাজ্যের, অসাধুতার বানের জলে ভেসে যায় ।
আপনার এমন দীর্ঘশ্বাসের পেছনে একটিই কারণ - যে শক্তিশালী অস্ত্রটি আমজনতার হাতে আছে তার ব্যবহার এই আমজনতারা জানেনা ।
২৩| ১৬ ই মে, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৯
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: নদী মৃত্যুর মিছিল চলছেই........
হারিয়ে যাচ্ছে অতীতের বসতকরা নদীর পাড়.....
কেউ কি দেখার নেই !
১৬ ই মে, ২০১৯ রাত ৯:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স,
২০১৩ সালের পদ্মা এই ২০১৯ সালে গেছে আরো শুকিয়ে, বাকী নদীগুলোও কলেবরে আরও শীর্ণ হয়েছে, পাড় ভেঙে যাচ্ছে অনেক নদীরই - তাই এই লেখাটিতে এতোদিন পরে আপনার মন্তব্যের উত্তরও খরার কবলে পড়বে। কি বলবো বলুন এমন মন্তব্যের পরে ?
শুধু বলি - দেখার কেউ নেই, নদীদের মৃত্যুর মিছিল চলছেই........
২৪| ১৭ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:০৯
আখ্যাত বলেছেন:
ফারাক্কার অভিসাপে খোদ ভারতও পুড়তে শুরু করেছে
১৮ ই মে, ২০১৯ সকাল ৯:৪১
আহমেদ জী এস বলেছেন: আখ্যাত,
লিংক ধরে এখানে এনে মন্তব্য করেছেন দেখে কৃতজ্ঞ।
আপনার সাম্প্রতিক পোস্টে ভারতেও যে এখন ফারাক্কা বাঁধ ভেঙে ফেলার আওয়াজ উঠছে তা বলেছি।
শুভেচ্ছান্তে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪০
মাহী ফ্লোরা বলেছেন: নদীর নাম গুলো এত সুন্দর ! সব মরে যাচ্ছে হারিয়ে যাচ্ছে! কি বিষাদ চারপাশে!