নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
( পনের অক্ষরে , অমিত্রাক্ষরী কবিতা )
কবিতা হলো সাহিত্যের রাজমুকুটটি । - সমারসেট মম ।
কে এমন পুঙ্গব, কামদেবে নাহি বশে,
আছে অন্তরীক্ষে কিবা ভূতলে কে সে জন
দেবকামিনী অপ্সরা মেনকারে না দোষে ?
যে পঞ্চশর রাখা আছে কন্দর্পের তূণে
সে শরাঘাতে মদন বচন নাহি শুনে
কে এমন দেবর্ষি, এমন কিবা মহর্ষি
আছে পুষ্পক উদ্যান সম এ ধরাধামে !
যে জন বলে সকম্পোষ্ঠে, “আমি কামজয়ী”
ধিক্ শত চিরকাল এমন মিথ্যুকেরে ।
বিশ্বামিত্র যেথা তাহার ব্রাক্ষ্মণ্য রুধিরে
অক্ষম কামাগ্নিশিখা থেকে রাখিতে দুরে,
মেনকার বাহুবন্ধে পুষ্করতীর্থ হতে
যে জন রাজর্ষি মোহবলে রমনপথে
মাহেন্দ্রক্ষনে করেছে মধুমক্ষি গমন
সে কি করে কহে, “পুন্যাত্মা আমিই শ্রমন” ?
তত্রাচ দেহমন্দির গমন শেষে, দোষে
রমনীরে । পাপিষ্ঠা, পিশাচিনী তোকে ধিক্
তুই ভুজঙ্গিনী, বেবুশ্যা নরকের কীট
এমতো অভিশাপে শতত দুষিছে যারে,
ফিরে ফিরে সেই কুহকীনি দেহমন্দিরে
পুঁজার লাগি আবারো কিসের তরে
আসে সুবেশী নরকুল সবে দলে দলে !
তারা পাপী কিবা তাপী জিজ্ঞাসে কোন জনে ?
হায় ধরাতল ! কাম যে দুর্লঙ্ঘ হেথায়
তবু দক্ষ অন্তজা রতি, চৌষট্টি কলায়
যতো পুঙ্গবে যেথা উদ্বাহু নৃত্যে মাতায়
কেজন সে সাধু, তাহারে না সম্ভোগে ? হায় –
কামপ্রবৃত্তি যে শত বাহু মেলি যেমতো
কান্তানুগমনে যায় , ফিরে যে নাহি চায় –
দেখে নাকো তার ও উর্দ্ধে যে “প্রেম” সতত
বিরাজে । সে কথা নাহি কেহ মানিতে চায় ।
হে পুতঃ স্মরনে রাখো, নহে যে কাম মোক্ষ,
নহে দেবযজ্ঞ কোনও শরীর সর্বস্য -
নহে পীবর কুচ-যুগমাঝে স্বর্গদ্বার ।
জেন, সেখানেও রহে দেবগৃহ পূঁজার,
প্রেম ও ভালোবাসিবার যতুগৃহ তার
রূপ-রস-গন্ধে ভরা প্রকৃতি যে উদার
হস্তে তারে করিছে দান আনন্দ সকলি
এই অনুমানে; তাহারে পূজিবে মানুষে
দ্যুলোক- মর্তে অন্তঃস্থিত অমৃত সম্ভারে ।
মনুষ্য জনমের ধারা বহিবার লাগি
প্রকৃতিমাতঃ তাহারে সোহাগে-প্রেমে বাঁধি
একে অপরেরে করেছে প্রেম অনুগামী ।
হায়- তত্রাপি মেদিনী মাঝে কাঁদিয়া ফেরে
প্রেম যে অনাদরে জন্ম-জন্মান্তর ধরে ।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: আমিনুর রহমান ,
ভালো লাগছে আপনার ভালো লেগেছে শুনে ।
শুভকামনা ।
২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮
একজন আরমান বলেছেন:
চমৎকার।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: একজন আরমান ,
শুধুই চমৎকার ?
যে কথা বলতে চেয়েছি সে সম্পর্কে কিছুই তো বললেন না...
ধন্যবাদ ।
৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
একজন আরমান বলেছেন:
কিছু বলার সাহস হচ্ছে না।
যে জন রাজর্ষি মোহবলে রমনপথে
মাহেন্দ্রক্ষনে করেছে মধুমক্ষি গমন
সে কি করে কহে, “পুন্যাত্মা আমিই শ্রমন” ?
সত্যিই চমৎকার।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: একজন আরমান,
এটাই আসল সত্য । আমরা কিন্তু উচ্চস্বরে তাই ই বলি -
" আমার চরিত্র ফুলের মতো পবিত্র " ।
সবটা মিলিয়ে মানুষের মতো হিপোক্রেট আর নেই ।
ধন্যবাদ আবারো ।
৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১২
জুন বলেছেন: আমার সুন্দর দাতগুলো আর বুঝি রইলোনা :-&
মনে হলো মেঘনাধ বধ না জুন বধ কাব্য
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
কেন... কেন... এই লেখায় মন্তব্যের জন্যে দাঁতের তো কোন অংশগ্রহন দেখিনা ! আগে আপনার একটি কবিতায় লিখেছিলেন, বয়স বেড়ে যা্ওয়ার কথা । সম্ভবত সে কারনে আপনার দাঁত পড়ে যা্ওয়ার সম্ভাবনাই বেশী । ডাক্তার দেখাতে হতে পারে ।
আর অমৃতাক্ষরের কথা বললে প্রথমেই " মেঘনাদ বধ" কাব্যের কথা মনে পড়বে যারা কবিতা বোঝেন, তাদের ।
আমাকে খুনের আসামী বানাতে চান ? মেঘনাদ মহাশয় আমার জন্মের আগেই বধ হয়েছেন । বাকী রইলেন আপনি "জুন"।
আপনাকে বধ করার চিন্তা থাকলে ও আমার ফাঁসি ঠেকাতে পারবেনা কেউ ।
তাই এখানে মেঘনাদ বধ, জুন বধ কোন্ওটাই নয় ।
মানুষের চরিত্র বধ হয়েছে মনে হয় ..........
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৪০
আহমেদ জী এস বলেছেন: বড়দাদা ,
ধন্যবাদ ।
ভালো লাগছে এটা জেনে যে চমৎকার লেগেছে আপনার কাছে ।
৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১৮
রাসেল মাহমুদ শুভ্র বলেছেন: অসাধারণ.....।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৪৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহমুদ শুভ্র ,
কবিতাটি কঠিন বটে , অমৃতাক্ষরী (?) বলেই হয়তো । তবু্ও বুঝতে পেরেছেন বলেই অসাধারন লেগেছে ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪০
মুশাসি বলেছেন: অনেক শব্দের অর্থি বুঝিনি, ব্যাপক পড়াশোনা লাগবে কবিতা বুঝতে।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মুশাসি,
ব্যাপক পড়াশোনার মোটেও প্রয়োজন নেই । একখানা বাংলা থেকে বাংলা অভিধান নিয়ে বসে পড়ুন আবার । দেখবেন জলবৎ তরলং ।
কষ্ট সত্ত্বেও পড়েছেন বলে ধন্যবাদ ।
৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪০
মুশাসি বলেছেন: অর্থ**
৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৫৪
ফারিয়া বলেছেন: কিছুই বুঝবনা, প্রথম কয়েক লাইন দেখেই টের পাচ্ছি, তাই আর আগালাম না!
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: ফারিয়া.
.......কিছুই বুঝবনা.....
আপনি কি পন করেছেন যে কিছুতেই বুঝবেননা ? উপর থেকে দেখে কি কখোন্ও বোঝা যায়, ভেতরটা যে কতো সুন্দর ?
আগান ..... দেখবেন ভালো লাগছে । ছন্দ আছে, আছে সুন্দর একটি বক্তব্য ।
১০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমিও ব্যর্থ হলাম। তবে আপনার লেখনী শক্তি সম্বন্ধে সম্ভ্রম জাগলো।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২০
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব,
কি যে বলেন !
আপনি না বুঝলে বুঝবে কে ? ইয়ার্কি করলেন কিনা বোঝা গেলো না । সবই বাংলা শব্দ । অপ্রচলিত হয়তো ।
তবুও বেনিফিট অব ডাউট দিয়ে আপনাকে এবং আরো অনেকের জন্যেই একটু বিশদ বলছি –
কাম নাচায়নি এমোন মানুষ আপনি পাবেন না ।
রামায়নের বিশ্বামিত্রের মতো খ্যাতনামা ব্রাক্ষ্মণ্ ও এর উর্দ্ধে যেতে পারেনি । পারেনি অনেক মুনি-ঋষিরাও । কারন কামদেবের তীরে বিদ্ধ হয়নি এমোন কথা যিনি বলেন, তিনি মিথ্যাচারই করেন । পৌরানিক কাহিনীতে এর যেমন ছড়াছড়ি তেমনি বর্তমানকালেও কি আমরা এই অভিলাষ থেকে বেরুতে পেরেছি ? এখানেও তো আছে অনেক কেচ্ছা । যেখানে আমরা উপগত হই তাকেই আমরা “ সব দোষের মূল” বলে আত্মতৃপ্তি পাই । অথচ আমরা নিষ্পাপ হবার বড়াইটাই করি । নিজের দোষ খুঁজিনা ।
কবিতায় এটাই বলেছি আমি ।
আর পাশাপাশি, মানুষ হিসেবে যা আমাদের হিসেবের ভেতরে রাখা উচিৎ তাও বলেছি । প্রকৃতি যে রিপু আমাদের দিয়েছেন তার লক্ষ্য কি শুধুই “সম্ভোগ”? মোটেও নয় । সে রিপুকেই প্রেম আর সোহাগ মিশিয়ে ব্যবহার করাই মোক্ষ । প্রকৃতি তাই-ই চান, যাতে এই ধরাতল ফুলে-ফলে শোভিত হয়ে ওঠে ।
দুঃখ , সেটাই হয়ে ওঠেনা ।
কবিতার বক্তব্য এগুলিই । আমাদেরকে স্মরন করিয়ে দেয়া – পূণর্বার ।
শুভেচ্ছা রইলো ...
১১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৫
shfikul বলেছেন: আমিও বুঝিনি।আর আপনার লেখনী শক্তি নিয়ে আমার কিছু বলার সাহস হচ্ছেনা।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
আহমেদ জী এস বলেছেন: shfikul,
ওহ মাই গয়য়য়য়য়য়....ড ! খুব কি দূর্বোধ্য কিছু লিখে ফেলেছি ? আপনাদের জন্যেই লেখা ... অথচ আপনারা বুঝতে পারছেন না । এটা হয়তো আমারি ব্যর্থতা !
তবু্ও কষ্ট করে উপরে হাসান মাহবুবকে দেয়া উত্তরটি যদি দেখেন তবে কবিতাটি আর একবার পড়ার পরে বুঝতে সহজ হবে ।
ভালো থাকুন, সাথে থাকুন ।
১২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৮
shfikul বলেছেন: কবিতাটা আমার কাছে কঠিন মনে হয়েছে তাই বুঝতে পারিনি।এটা তো আমার ব্যর্থতা।আপনার মতো হয়তো ভালো লিখতে পারিনা মানলাম,তবে তাই বলে আপনার লেখা বুঝতে না পারার পুরস্কার কি তিরস্কার? ? ?!!!বেশ বেশ।শুভ কামনা আপনার জন্য।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: shfikul ,
আপনার কোথা্ও বুঝতে ভুল হয়েছে । আপনি কি করে ভাবলেন , আমার একজন সহৃদয় পাঠককে আমি তিরষ্কার করবো ? আমার সকল পাঠকই আমার কাছে সম্মানীয় । এটুকু আমি বিশ্বাস করি ।
আচ্ছা বলুন তো , কেন আপনার মনে হলো আমি আপনাকে তিরষ্কার করেছি ।
এই লাইনটি - ওহ মাই গয়য়য়য়য়য়....ড ! খুব কি দূর্বোধ্য কিছু লিখে ফেলেছি ? ?
এই লাইনটা লিখেছি কয়েকজন পাঠক আপনার মতোই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বলে ।
তার পরের লাইনগুলো কি দেখেননি ?
আপনাদের জন্যেই লেখা ... অথচ আপনারা বুঝতে পারছেন না । এটা হয়তো আমারি ব্যর্থতা !
শফিকুল; তবু ও যদি আপনি দুঃখ পেয়ে থাকেন তবে আমি ক্ষমাপ্রার্থী ।
১৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৪
জুন বলেছেন: মন্তব্যের ঘরে সহজবোধ্য করে দেয়ায় বুঝতে সহজ হলো আহমেদ জীএস। মাইকেলের মেঘনাদ বধ কাব্য আমার অত্যন্ত প্রিয় একটি কাব্যগ্রন্থ । সুতরাং সনেট বোঝাটা আমার জন্য খুব একটা কঠিন নয় যদি মন দিয়ে পড়ি। মন লাগানোটাই কঠিন
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
ওহ... তাহলে আগেরবার মন দিয়ে পড়েননি, পরিষ্কার হলো । হয়তো এটাই হয়েছে যে, পড়তে গিয়ে দাঁত ভেঙেছে আপনার
( আগের মন্তব্যে লিখেছেন ) তাই মন দিয়ে পড়তে পারেননি । আর তাই অন্য অনেকের মতোই লেখা না পড়েই কেবল পরিচিত নাম দেখে " অসাধারন"... " ভালো লাগলো " এই জাতীয় কিছু মন্তব্য করে ফেললেন ?
একটা কথা কানে কানে বলি- লিখি মনের টানে । সে লেখা আপনাদের কাছে কেমন লাগলো, আমার উত্তরন ঘটলো কিনা এটা জানতে ইচ্ছা করে খুব । তাই স্তুতি নয় সত্যিকারের সমালোচনাটাই আশা করি । এটা আমাকে শুদ্ধ হয়ে উঠতে সাহায্য করে । আমার লেখাকে আরো সমৃদ্ধ হয়ে উঠতে হাত বাড়ায় । কঠিন সমালোচনা করলেও আমার আঁতে ঘা লাগাই না একটুও কারন আমি আমার মতোই, অতি সাধারন একজন । আপনাদের সত্যিকারের মন্তব্যই একজন লিখিয়েকে
"লেখক" হতে সাহায্য করে । যেমন করবে আমাকে ও । একজন প্রিয় সহ-ব্লগার হয়ে এটুকু পারবেন না ? পারতে যে হবেই আপনাকে এবং আপনাদের ।
বুঝলেন কিছু ? দেখবেন, আমি এক দু'লাইন বা দু'এক শব্দের মন্তব্যের উত্তরও অনেক লাইনে লিখে থাকি । আসলে আমিআমার পাঠকদের সাথে আন্তরিক হতে চাই, তাদের প্রতিটি শব্দকে রীতিমত অনুধাবন করি । তাদের সাথে একাত্ম হয়ে যাই । ব্লগে এলে মনে হয় , ভার্চূয়াল নয় যেন সামনা সামনি বসেই আড্ডা দিচ্ছি । প্রানের আড্ডা ।
শুভেচ্ছান্তে ।
১৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬
জুন বলেছেন: স্যরি কথাটা হবে অমিত্রাক্ষর ছন্দ :!>
সনেট অমিত্রাক্ষরই বাট আট লাইনের কবিতা
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
থ্যাঙকিউ । সেরে দিচ্ছি ।
১৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৪
জুন বলেছেন: সে একদিন পানশালে কোন
বারাংগনা দেখে
শেখজী বলেন ডেকে
'দেখছি তুমি মুর্তিমতী পাপ
মদ্যাপায়ী ব্যাভিচারীর অসংযমের ছাপ
অংগে তোমার আঁকা
তোমার রূপের কদর্য্যতা থাকছেনা আর ঢাকা'।
বারবনিতা বল্লে হেসে, 'স্বামী
দেখছো যা তা সত্য বটে আমি,
কিন্ত প্রভু বাইরে তোমার দেখতে যে রূপ পাই
যথার্থ কি অন্তরেতেও সত্য তুমি তাই'!
ওমার খৈয়ামও এটাই বলেছিলেন তার রুবাইয়াতে ...।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন:
জুন,
যখন বলেছেন খৈয়াম তা থেকে শতবর্ষ পরে ,
এই আমি নরাধম; কহিলাম একই সুরে -
"তত্রাচ দেহমন্দির গমন শেষে, দোষে
রমনীরে । পাপিষ্ঠা, পিশাচিনী তোকে ধিক্
তুই ভুজঙ্গিনী, বেবুশ্যা নরকের কীট
এমতো অভিশাপে শতত দুষিছে যারে,
ফিরে ফিরে সেই কুহকীনি দেহমন্দিরে
পুঁজার লাগি আবারো কিসের তরে
আসে সুবেশী নরকুল সবে দলে দলে !
তারা পাপী কিবা তাপী জিজ্ঞাসে কোন জনে ?"
একদম কাছাকাছি অনেকটা । সেই একই দোষারোপ , সেই একই জিজ্ঞাসা !
ধন্যবাদ খৈয়াম কে তুলে আনায় । আপনার স্মৃতি শক্তি যে প্রখর তা জানি । ঠিক জায়গাটাই তুলে ধরেছেন ।
খৈয়ামের এই রুবাইয়াৎ আমি পড়িনি । এখোন কি বলবেন -
"গ্রেট মেন থিংক এ্যালাইক " ?
১৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪
অদৃশ্য বলেছেন:
হাসান ভাইয়ের মন্তব্যের উত্তরে কিছুটা পরিচ্ছন্নতা এসেছিলো বলেই লিখাটি পড়বার আগ্রহটা হারাইনি... সরল কথা বললাম... প্রথমে ভয় পেয়ে গেছিলাম...
লিখাটি অবশ্যয় দারুন হয়েছে...
শুভকামনা...
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৪৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: অদৃশ্য,
ভয় পাবার কিছু ছিলোনা । আপনি না হয় বার ক'য়েক পড়তেন । দেখতেন নিজে নিজে যদি বুঝে ফেলতেন তবে যে আনন্দ পেতেন তা আপনার নিজের উপর নিজের আস্থাকেই বাড়িয়ে দিতো ।
সাহিত্য অনেক সময় খটোমটো মনে হয় । একটু খেয়াল করে পড়লেই মনে হয় ... বাহ.. বেশ সোজা তো !
ভয় পেয়েও আমাকে যে ছেড়ে যাননি, এর চেয়ে বড় পা্ওয়া আমার আর কি হতে পারে বলুন ?
এবার সাহস হলো তো ?
শুভকামনা আপনার জন্যেও ।
১৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৫
বোকামন বলেছেন:
বোকামন বুঝে কী দূর্বোধ্য কথন !!!
যতটুকু বুঝেছি তার বিশদ ব্যাখ্যা করবো না। (বোকামনের নিষেধ... হা হা)
সংক্ষেপে বলছি-
লেখক নিজেই বলছেন- “রূপ-রস-গন্ধে ভরা প্রকৃতি যে উদার”
আবার বলছেন - “হায় ধরাতল ! কাম যে দুর্লঙ্ঘ হেথায়”
“মনুষ্য জনমের ধারা বহিবার লাগি
প্রকৃতিমাতঃ তাহারে সোহাগে-প্রেমে বাঁধি” কেন!! সংকোচবোধ কেন !!
“দেখে নাকো তার ও উর্দ্ধে যে “প্রেম” সতত
বিরাজে ।” অমিত্রাক্ষরী কবিতায় কেমন যেন একটা এ্যডভেনচার পেলাম !!
সমারসেট মম যেমনটা বলেছেন-
Every production of an artist should be the expression of an adventure of his soul
৭ম ভালোলাগা জানালাম।
[আবারো বলছি, বোকমনের বোকা মন্তব্যে বিরক্ত হবেন না যেন]
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:০৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকামন,
.......বোকামন বুঝে কী দূর্বোধ্য কথন !!!
বোকামন বলেছে বোকারই মতোন !!!!!!!!!!!!!!!
"রূপ-রস-গন্ধ" আর "কাম" এক জিনিষ নয় । রূপ-রস-গন্ধে প্রান থাকে । কাম এ থাকে পশুত্ব । লভ আর লভ-মেকিং যে এক জিনিষ নয় মানেন তো ?
...মনুষ্য জনমের ধারা বহিবার লাগি
প্রকৃতিমাতঃ তাহারে সোহাগে-প্রেমে বাঁধি” এখানে সংকোচের কিছু নেই । কারন - টু রেষ্টোর দ্য হিউম্যান রেস, নেচার নেচারালি সিলেক্টেড দ্য ডিভাইস অব কপিয়্যুলেশান নট সেক্স। নো সংকোচ-ফংকোচ !!!!
এ্যাডভেঞ্চারের গন্ধ পেলেন ? এই সেরেছে ! প্রেমে মজে গেলে ডুবে যেতে হবে.........
সমারসেট মম , মমচিত্তের কথা ঠিকই বলেছেন ।
প্রানের ভেতর থেকে যখোন ভাবনারা অনেকটা পথ হেটে ভীড় করে আসে তখোন শব্দগুলো জীবন্ত হয়ে ওঠে । আর তখোনই একটি সাহিত্যের জন্ম হয় ।
ভালো আছেন তো ? ভালো থাকুন আর সুখে ....
১৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৭
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: +++++++++++ দিছি
০৩ রা জুলাই, ২০১৩ রাত ১১:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: ইরফান আহমেদ বর্ষণ,
প্লাসের দেখি বর্ষণ ঘটিয়ে ফেলেছেন !!!!
আমার পক্ষ থেকে আপনাকেও বর্ষণ সিক্ত ধন্যবাদ ।
১৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:০৬
বোকামন বলেছেন:
লভ আর লভ-মেকিং এক জিনিষ নয়
খুবই গুরুত্বপূর্ন মুল্যবান একটি কথা বলেছেন !!
মানি বলেই হয়তো আপনার পোস্টখানা খুঁজে পড়লাম এবং মন্তব্যে ঐ দুটি লাইনে দৃষ্টি আকর্ষন করলাম। কিন্তু বিশ্বব্যাপী আমাদের ওয়াই জেনারেশনদের নিয়ে শঙ্কিত। তাদের অনেকরে কাছে লভ আর লভ-মেকিং একই বিষয় হয়ে দাড়াচ্ছে। সমাজের গনমাধ্যম ও যোগাযোগ প্রকিষ্ঠানগুলোর চরম ব্যর্থতা ......।
যাইহোক, আপনার সময়ের জন্য ধন্যবাদ রইলো।
বোকামন সর্বসময় অত্যন্ত বেশী ভালো থাকে। আশাকরি আপনিও খুব ভালো আছেন। ভালো থাকুন সবসময়। :-)
০৪ ঠা জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকামন,
বোকামন -
লভ আর লভ-মেকিং যে এক জিনিষ নয়
একথা বোঝে ক'জন ?
শুধু ওয়াই জেনারেশান কেন ? সব জেনারেশানের ধারনাটাই অশুদ্ধ এখানটাতে । কী ব্যক্তি - কী সমাজ, সবখানেই শব্দ দু'টির অর্থ সমার্থক ।এর বাইরে ভাবার দরজাতে সবাই তালা মেরে রেখেছে যেন । কারনও হয়তো আছে ।
কারা এখানে ভেদ রেখা টেনে দেবে ? কোন সে জন !
হুমমমমম... ভালো না থাকলে চলবে কি করে ?
চাল-ডাল-তেল-নুনের হিসেব কষতে কষতে ; বাসে বাদুর ঝোলা হয়ে চলতে গেলে , ভালো না থেকে যে উপায় থাকেনা !!!!!
শুভেচ্ছান্তে .....
২০| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: অসাধারণ একটি কবিতা লিখেছিলেন সেই সময়ে। একটা লিঙ্ক ধরে এখানে এসে কবিতা পড়ে যুগপৎ চমকিত, বিস্মিত এবং বিমুগ্ধ হ'লাম। আমাদের দেশের বর্তমানের প্রতিষ্ঠিত কবিরাও বোধকরি এমন চমৎকার ভাবে পনের অক্ষরে অমিত্রাক্ষর ছন্দে কাম ও প্রেমের পাশাপাশি এমন শৈল্পিক সন্নিবেশ ( juxtapose) করতে পারবেনা। আমার কাছে মনে হয়েছে, আপনার তুলনাগুলো অতুলনীয়!
প্রকৃতি যে রিপু আমাদের দিয়েছেন তার লক্ষ্য কি শুধুই “সম্ভোগ”? মোটেও নয় । সে রিপুকেই প্রেম আর সোহাগ মিশিয়ে ব্যবহার করাই মোক্ষ । প্রকৃতি তাই-ই চান, যাতে এই ধরাতল ফুলে-ফলে শোভিত হয়ে ওঠে । দুঃখ , সেটাই হয়ে ওঠেনা -- ১৪ নং প্রতিমন্তব্যে আপনার এ বক্তব্যটুকুর জন্য দাঁড়িয়ে স্যালুট!
১৫ নং প্রতিমন্তব্যে ওমার খৈয়াম এর রুবাইয়াত থেকে যথার্থ উদ্ধৃতি দেয়ার জন্য জুনকেও আন্তরিক ধন্যবাদ এবং সেই সাথে অভিনন্দন, এমন একটি কাব্য আলোচনায় অংশ নিয়ে একে সমৃদ্ধ করে যাবার জন্য।
লভ আর লভ-মেকিং যে এক জিনিষ নয় মানেন তো? -- অনেকেই এর পার্থক্যটুকু সম্পর্কে অজ্ঞ, এবং আমি দেখেছি মানুষের এমন অজ্ঞতা তাদের সাথে কথোপকথনের সময় শ্রোতাদের কি পরিমাণ বিব্রত করে!!!
২১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১১
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার এ কবিতাটি মোটামুটি দীর্ঘ। অমিত্রাক্ষর ছন্দে লেখা হলেও, এই দীর্ঘ কবিতায় কোথাও কোন ছন্দপতন ঘটেনি, ভাবের ব্যত্যয় ঘটেনি, শব্দচয়নে ক্লিষ্ট হয়েছেন বলে মনে হয়নি। সাহিত্যমূল্যের বিচারে এটা আমার পড়া আপনার শ্রেষ্ঠ কবিতা, আর জ্ঞানের বিচারে ছিল ঠিক দুক্কুর বেলা ভুতে মারে ঢিল....। সেই লেখাটা পড়ে আমি এতই মুগ্ধ হয়েছিলাম, যে পরপর অনেকগুলো মন্তব্য করেছিলাম।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪০
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,
আপনার এমন মন্তব্যে যুগপৎ হতবাক ও মুগ্ধ । মন্তব্যের প্রথম অংশে যা বললেন , তা আমি শ্লাঘা জ্ঞানে মাথা পেতে নিলুম আর সাথে আপনার অবারিত উদারতাকেও । এমন প্রশংসা আমার জন্যে কবিতা লেখা কঠিন করে দিয়ে গেলো । কারন , হেমিংওয়ে বলে গেছেন - যিনি যত নির্মম ভাবে তার নিজের লেখা কাটতে পারেন, ছিঁড়তে পারেন, ঘসে ঘসে সাফ-সুতেরো করতে পারেন , তিনি তত বড় লেখক । নিজেকে বাতিল করতে না পারলে , প্রতি মূহুর্তে নিজেকে পেরিয়ে যেতে না পারলে ; সে মানুষ কিছুই সৃষ্টি করতে পারেনা । যে সৃষ্টিধর্মী লেখক নিজের সৃষ্টি সম্পর্কে বিন্দুমাত্রও শ্লাঘা জন্মিয়েছেন, নিজ মস্তিষ্কের অনবধানে হলেও; সেটুকুই তার কবর খোঁড়ার জন্যে যথেষ্ট ।
তাই এরপরে নিজেকে ভেঙে ভেঙে , ঘসে ঘসে কিছু লেখা এখন আরও কঠিন হয়ে যাবে আমার জন্যে ।
আমার নিজেরও মাঝে মাঝে মনে থাকেনা এমন কবিতা আমি লিখেছি কখনও । এতোদিন পরে হলেও কবিতাটি পড়ে মন্তব্য করলেন দেখে সবিশেষ কৃতজ্ঞ ।
পুরো মন্তব্যে আমি একজন "মানুষ"কে দেখছি । যেমন মানুষের খোঁজে আমরা থাকি ।
সতত শুভকামনা ।
২২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মুখ আর মূখোশের এ লড়াই বোধ করি সৃষ্টির মতোই পুরাতন।
তবে একমাত্র মুক্তি যে জ্ঞানে তাতে ডুবে না গিয়ে তাকেও কাস্টমাইজ করে নিচ্ছে যে যার মতো!
ফলে শাখ, প্রশাখা, উপশাখায় মানব বৃক্ষটাকেই হারিয়ে ফেলেছি।
ক্ষুধা তৃষ্ণার মতোই নিত্যতার কাম বিধান নিয়ে যত লুকোচুরি আর কিছুতে বোধকরি অমনটা হয়নি।
স্বভাব জ্ঞানের বিচ্যুতিতে, স্বার্থ, লোভ আর প্রবঞ্চনার কারেন্ট জালে মূখোশধারীরা লুকিয়ে রেখেছে সত্য।
আর একসময় অজানিতেই তারা হারিয়েও ফেলে সত্য জ্ঞান।
শুরু হয় আরোপিত বিধি বিধানের খড়গ তলে সত্যের অপমৃত্যু। প্রেম আর কামের সত্য সুন্দর বিকাশ রুদ্ধ হয়ে
প্রেম বধে শুরু হয় লুকোচুরি। মিথ্যা সাধুতার মোড়কে মুখোশে ঢেকে -সত্যকে অস্বীকারের পরিণতি কোন কালে
কোন যুগেই ভল ফল আনেনি। এনেছে শঠতা, মৃত্যু, কষ্ট-যন্ত্রনা। মহাকালের সিড়ি বেয়ে সত্যই উজ্জ্বল হয়েছে
মিথ্যারা নিক্ষিপ্ত হয়েছে আস্তাকুড়ে!
লালন গুরু -বিধানের ভারে সত্যের মুক্তি আশে গেয়ে গেলেন
যে বিধান গুনে পাপ পূন্য
সে বিধান বুঝে হও ধন্য
কিংবা
যে সমস্যা অনুসারে ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে পাপ পূন্যের আর নাই বালাই - -
কিন্তু বুঝলো ক'জনা।
মেঘনাথ বধের কথাই মনে পড়ে গেল প্রেম বধ পাঠ করতে করতে।
দারুন এক সৃষ্টির চোখের আড়ালে ছিল -ভাবতে নিজেকেই অপরাধী লাগছে।
অনেক অনেক ধণ্যবাদ উপহার দিয়ে ঋনি করায়।
+++++++++
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,
হ্যা ...মুখ আর মূখোশের এ লড়াই!
প্রেম আর কামের সত্য সুন্দর বিকাশ রুদ্ধ হয়ে প্রেম বধে শুরু হয় লুকোচুরি। মিথ্যা সাধুতার মোড়কে মুখোশে ঢেকে -সত্যকে অস্বীকারের পরিণতি কোন কালে কোন যুগেই ভল ফল আনেনি।
চমৎকার করে বলেছেন, কবিতার শেষের এই লাইন দু'টির সমার্থে--
হায়- তত্রাপি মেদিনী মাঝে কাঁদিয়া ফেরে
প্রেম যে অনাদরে জন্ম-জন্মান্তর ধরে ।
এসে কবিতাটি পড়ে মন্তব্য করে কৃতজ্ঞ করে রাখলেন।
অমন বিশ্লেষণাত্মক মন্তব্যে +++++++++
২৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৮
নীল আকাশ বলেছেন: গুরুজী,
কবিতা পড়ে আমি মুগ্ধ। এটা পড়া সময় বার বার মেঘনাদ বধের কথা মনে পড়ছিল। সম্ভবত কলেজে রাবনেকে নিয়ে একটা কবিতা পড়েছিলাম এই ছন্দে। মাইকেল মধুসদনের লেখার মতোই লাগলো। অমিত্রাক্ষর ছন্দে লেখাটা দারুন হয়েছে।
কবিতা লেখা আজকাল বাদ দিয়ে দিয়েছেন দেখি!
শুভ কামনা রইল।
১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,
লিংক ধরে এখানে আসার জন্যে ধন্যবাদ।
কারো কবিতা পড়ে পাঠক যদি বলেন - "কবিতা পড়ে আমি মুগ্ধ।" তবে তা কবিতা লেখককে ( কবি বলার সাহস নেই ) উৎফুল্ল করে, নাচায় আনন্দে। পাশাপাশি এই ভয়ও ধরিয়ে দেয় যে, পাঠকের মুগ্ধতা যেন নষ্ট না হয় এমন সব লেখার দায়িত্বটা কাঁধে উঠলো বলে।
কবিতা বাদ দিইনি। লিখবো সময় মতোই।
শুভেচ্ছান্তে।
২৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৭
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
লেখালেখির জন্য হাতে তলোয়ার থাকতে হয় না তবে ব্রেনে তীক্ষ্ণ ধারালো তলোয়ার থাকতে হয়। শুধু কলম দিয়ে লেখা হয় না - তার অন্যতম জ্বলন্ত প্রমাণ আপনি আহমেদ জি এস ভাই। ভয়ঙ্কর কবিতা।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,
অসম্ভব ভালো লাগলো আপনাকে দেখে।
এবং ভয়ঙ্কর মন্তব্য করেছেন।
শুভেচ্ছান্তে।
২৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ২:০৭
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
দারুন এ কবিতা পাঠে মুগ্ধ । সরাসরি প্রিয়তে।
মন্তব্য লেখার ঘরে যাওয়ার পথে কিছুটা হলাম স্তব্ধ । ব্লগের গুণী কতক ব্লগার ব্যতিত অনেক পাঠকই বলেছেন বেশ কঠীন বুজেনি কিছু । এ কথাটা বলা খুবই সহজ , কিন্তু এ সহজ কথাটা বলার জন্য কেনই কবিতাটা পড়া সেটা মাথায় ঢুকেনা কিছুতেই । পাঠের মুল্য উদ্দেশ্য হলো যে কবিতাটি পড়বে তা বুঝতে চেষ্টা করা, না পারাটা নীজেরই অক্ষমতা ,আর সেটা প্রকাশ করার প্রয়োজনটাই বা কি ? না কি নিছক মন্তব্যের প্রয়োজনে মন্তব্য করা ।কবিতার সব কথাই সকল শব্দই বাংলা অভিধানে আছে। যাদের অভিধান দেখার প্রয়োজন নাই, মনে করেন সকলই তারা জানেন তাই বুজেন নি কিছু সে কথাই বা আসে কেমন করে। একটি কবিতার সরলার্থ গুঢ়ার্থ দুটোই আছে,কবিতাটির গভীরে না গিয়ে পাঠ করা হলে দুর্বোদ্ধ ঠেকতেই পারে তবে সরলার্থ না বুঝার দায় তো অনেকটা পাঠকেরই । মন্তব্যের ফাকিবাজী দেখলে বিমূঢ় হয়ে যেতে হয়।
কথা হলো একটি কবিতাকে পাঠক নীজের মত করেও বুঝে নিতে পারে কারণ কবির মনের ভিতরে কবিতাটির একটি নিজস্ব গুঢ়ার্থতো থাকেই, তার সাথে পাঠকের চিন্তা ভাবনার মিল নাও হতে পারে । তবে পাঠক কবিতাটি পাঠে যদি কবিতাটির বিষয়ে তার অনুধাবিত কথা বলে যায় তা হলে কবি বুঝতে পারে নীজের ভাবনার গভীরতা ।এটা একজন কবির জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ণ বিষয় । এই কবিতাটি প্রায় এক দশক আগের লেখা একটি কবিতা । সে সময়ই কিছু পাঠক যেমনটি বলেছেন এখনো এমনটিই প্রায় দেখা যায় । মনে হচ্ছে আমরা যারা মাঝে মধ্যে দু একটি কবিতা লেখি তাদের চেয়েও পাঠকের পাঠ ক্ষমতা বৃদ্ধি করাই বেশী জরুরী। কবিতা লেখা ও তা বুঝার জন্য আপনি বেশ কিছু দিন আগে ভাল শিক্ষনীয় পোষ্ট দিয়েছিলেন । কবিতা পাঠের পর কবিতাটির উপর মন্তব্য লেখার বিষয়েই মনে হয় একটি অনুশীলন আসর বসানো প্রয়োজন !!!
যাহোক, মুল কথায় ফিরে আসি, ভারতীয় পুরাণে অপ্সরাদের থেকে দুষ্টু মেয়েদের` ‘ভাল‘ উদাহরণ সারা বিশ্ব ঢুঁড়েও আনা যাবে না । বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় দেবরাজ ইন্দ্র অপ্সরাদের পাঠাচ্ছেন নির্দিষ্ট কোনও ঋষি বা রাজার তপস্যাভঙ্গ করতে | যাতে ইন্দ্রের আধিপত্যের উপর আর কেউ বিরাজ না করতে পারেন। ভারতীয় পুরাণে মেনকাও দেমনি এক দুষ্টু নারী । ছলাকলা পটীয়সী ইনিও ছিলেন ইন্দ্রের সভায়। একদিন তাঁকেই তূণীরের বাণ বানালেন দেবরাজ । চাইলেন সেই শরাঘাতে তপস্যাভঙ্গ করতে । কাদের ? যাঁদের তিনি নিজের ক্ষমতার প্রতিপক্ষ মনে করতেন। পুরাণের কোথাও বলা আছে‚ মেনাকাকে পাঠানো হয়েছিল ঋষি বিশ্বামিত্রের তপস্যাভঙ্গ করতে । আবার কোথাও বর্ণিত‚ তিনি এসেছিলেন কৌশিকের কাছে , উদ্দেশ্য একই , রূপ-কাম-কলায় বশ করে তপস্যার পথ থেকে বিচ্যুত করা ।
বলা হয় ঋষি বিশ্বামিত্রর কঠিন তপস্যায় কেঁপে উঠেছিল ইন্দ্রের সপ্তম স্বর্গ,| প্রকট হয়েছিল ব্রাহ্মণ-ক্ষত্রিয়‚ দেব-মানব দ্বন্দ্ব যুদ্ধ, ক্ষমতার লড়াইয়ে এগিয়ে থাকতে ইন্দ্র স্থির করলেন‚ বিচ্যুত করতে হবে বিশ্বামিত্রকে, সুন্দরীদের মধ্যে দেবরাজ বেছে নিলেন মেনকাকে, তাঁর প্রতি নির্দেশ হল ‘ শিকার‘ করতে হবে ঋষি বরকে। ইন্দ্রের আদেশ কী করে অমান্য করেন ! অগত্যা ইন্দ্রের রাজসভায় নৃত্যগীতের আসর ছেড়ে রূপযৌবনের ডালি নিয়ে মেনকা এলেন মর্ত্যলোকে । ঘন বনে বিশ্বামিত্র ঋষিকে ধ্যানরত দেখে মেনকা নিজেই তাঁর প্রতি আবিষ্ট হলেন, নিছক কর্তব্য নয় , বিশুদ্ধ প্রেমে ভরে গেল তাঁর মন, পেশাদারিত্ব মুছে মেনকা মন দিয়ে বসলেন ঋষিকে, কর্তব্য ভুলে মেনকা মুগ্ধ নয়নে দেখতে লাগলেন বিশ্বামিত্রকে, ততক্ষণে মেনকার মায়াজালে ঘন বনের বদলে সেখানে সৃষ্টি হয়েছে স্বর্গীয় উদ্যান, মনোরম সুগন্ধে আমোদিত চারদিকে ।
স্বর্গ থেকে সব দেখে ইন্দ্র বুঝলেন কিছু একটা করতে হবে, তিনি সেখানে পাঠালেন বায়ুদেবতা মরুৎকে, ইন্দ্রের নির্দেশে মরুৎ উড়িয়ে নিয়ে গেল মেনকার বসন, ঘটনাচক্রে সেই সময়েই নিমীলিত চোখ মেললেন বিশ্বামিত্র, মনোহরা উদ্যানে আমোদিত পরিবেশে সামনে দাঁড়িয়ে নগ্নিকা মেনকা ! এই ত্র্যহস্পর্শ আর এড়াতে পারলেন না ঋষি, তপস্যা ভুলে মুগ্ধ হলেন অপ্সরা মেনকার আদিগন্ত বিস্তৃত রূপে, নতজানু হলেন তাঁর যৌবনের সামনে, আর অপ্সরা নিজে তো আগেই নতজানু হয়ে সর্বস্ব সমর্পণ করে বসে আছেন !
অতঃপর ঋষি বিশ্বামিত্র-অপসরা মেনকার মিলন, কোথাও বলা আছে‚ এই যৌনমিলন দীর্ঘস্থায়ী ছিল না, কারণ সম্ভোগ সম্পূর্ণ হতেই ঋষি বুঝে যান মেনকার আগমনহেতু, নিজের পদস্খলন অনুভূত হয়ে তীব্র বিবেক দংশনে দংশিত হন তিনি , কুপিত হয়ে মেনকাকে অভিশাপ দেন‚ তাঁদের মধ্যে কোনওদিন সাক্ষাৎ হবে না, বলে চলে যান ঋশি বিশ্বামিত্র, স্বর্গে ফিরে যান মেনকা, কিন্তু তখন তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
কর্ম দুস্কর্ম মতিভ্রম রতিভ্রম সবকিছু নিয়েই নারীপুরুষ সকলেরই রয়েছে নিজস্ব কিছু স্বর ,সেসকলই সুন্দরভাবে প্রতিধ্বনিত হয়েছে এই সুখপাদ্য কবিতাটিতে দারুন সব বহুমখী যতার্থ কাব্যিক শব্দ সম্ভারে । এটি আমার পাঠ করা ভাল লাগার কবিতার মধ্যে একটি ।
ধন্যবাদ আমার পোষ্টে লিংক দিয়ে সুন্দর এ কবিতাটি পাঠের সুযোগ করে দেয়ার জন্য ।
শুভেচ্ছা রইল
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,
নিছক মন্তব্যের প্রয়োজনে মন্তব্য করা নয়, বিশ্লেষণমূলক এই মন্তব্যে চমৎকার একটি কথা বলেছেন -
"........একটি কবিতাকে পাঠক নীজের মত করেও বুঝে নিতে পারে কারণ কবির মনের ভিতরে কবিতাটির একটি নিজস্ব গুঢ়ার্থতো থাকেই, তার সাথে পাঠকের চিন্তা ভাবনার মিল নাও হতে পারে । তবে পাঠক কবিতাটি পাঠে যদি কবিতাটির বিষয়ে তার অনুধাবিত কথা বলে যায় তা হলে কবি বুঝতে পারে নীজের ভাবনার গভীরতা।"
মন্তব্যের বাকী কাঠামোতে অপ্সরাদের নিয়ে যা বলেছেন, সে রাজনীতি কিম্বা দূর্নীতিতে রম্ভা মেনকারাই বারেবারে ব্যবহৃত হয়েছেন পুরুষের স্বার্থেই। রম্ভা, মেনকারা বরাবরই সে দুষ্কর্মের ঘানি টেনে গেছেন ছিঃ...ছিঃ ধিক্কারের সাথে পাপিষ্ঠা, পিশাচিনী, বেবুশ্যা নরকের কীট বিশেষণ নিয়ে।
কবিতাটি আপনার পাঠ করা ভাল লাগার কবিতার মধ্যে একটি জেনে ভালো লাগলো। প্রিয়তে নেয়ার জন্যে কৃতজ্ঞ।
শুভেচ্ছান্তে।
২৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৫২
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রায় সাত বছর আগে লেখা আপনার এ চমৎকার কবিতাটি আবার পড়ে গেলাম।
কবিতার মতই, বেশ কিছু চমৎকার মন্তব্য এবং প্রতিমন্তব্য বারবার পড়বার মত।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
ব্লগচারী একজনের এমন ফিরে ফিরে আসায় উদ্দীপিত। আপনার কারণেই আমিও বারবার কবিতাটি পড়ছি আর ভাবছি এমন কবিতা লেখার একটা "মন" আমার মনেও ছিলো ! যে কথা আপনার আগের মন্ত্যবেও বলে এসেছি।
( ভয়ে ভয়ে বলি, আপনার মন্তব্যগুলোর সাথে সংগত করার মতো শব্দযন্ত্র খুঁজতে আমাকে বেশ হাতড়াতে হয়।)
২৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: হঠাৎ করেই চোখে পড়লো, আজ থেকে ঠিক দুই বছর আগে এই দিনেই আপনার এ কবিতাটি পড়ে আমার ভাল লাগার কথাটি জানিয়ে গিয়েছিলুম। আশাকরি, আপনি আবার শীঘ্রই কবিতায় ফিরে আসবেন।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫২
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,
হুমমমমমমমমমমমমমমমম... প্রচন্ড রকমের কাকতালীয় ব্যাপার।
ব্লগে কবিতার ফুল এতো এতো ফুটে থাকে প্রতিদিন যে, ভয় হয় সে ফুলের গন্ধের মাঝে আমার কবিতার গন্ধ হারিয়ে যাবে হয়তো!
তবুও ফিরবো,সাহিত্যের বাতাস একবার যার গায়ে লেগেছে তার যে না ফিরে উপায় থাকেনা!
২৮| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৭
নার্গিস জামান বলেছেন: মইকেলের মতো করে কেউ আর লেখেন জানা ছিলো না। অসম্ভব সুন্দর
০১ লা জানুয়ারি, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫২
আহমেদ জী এস বলেছেন: নার্গিস জামান,
ঐ যে বললুম না, যে কেউ ইচ্ছে করলেই যা কিছু করতে পারে? আমিও না হয় খানিক চেষ্টা করলুম!
এসে পড়ে গেছেন, ধন্যবাদ ।
আমার ঘরে অনেক ধরনের লেখাই আছে, দেখে আসতে পারেন ইচ্ছে হলেই।
২৯| ৩০ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৮
করুণাধারা বলেছেন: ধন্যবাদ! এই চমৎকার কবিতাটি সন্ধান দেবার জন্য।
কিছু অজানা শব্দ আছে, কিন্তু পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল তরতর করে একটা সিঁড়ি দিয়ে নামছি, কোথাও আটকে গেলাম না আবার ক্লান্তও হলাম না। এর নাম বুঝি অমিত্রাক্ষর ছন্দ!! কেন জানিনা, মেঘনাদ বধের চাইতে কবিগুরুর বিদায় অভিশাপের সাথে এই কবিতার মিল বেশি খুঁজে পেলাম।
পূর্ণিমার নীল চাঁদ দেখতে দেখতে কি এমন কবিতাকে একেবারেই ছুটি দিয়ে দিলেন!!
৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,
ধন্যবাদ, সূত্র ধরে এখানে আসার জন্যে।
পূর্ণিমার নীল চাঁদ দেখতে দেখতে কি এমন কবিতাকে একেবারেই ছুটি দিয়ে দিলেন!!
আশ্চর্য্য শোনালেও বলছি, আমার নিজেরই মাঝেমাঝে মনে হয় এমন কবিতা কি আমিই লিখেছিলুম!!!!!!!!
এখন সেই মনও নেই , নেই কবিতার প্রতি সেই একাগ্রতা। তাছাড়া পূর্ণিমার নীল চাঁদ দেখার সুযোগ আর সময় কতোটুকু আর আছে এই বুড়োকালে!
তবু মনে হয় - একবার যেতে দে না আমার সেই ছোট্ট কবিতার গাঁয় .....। খুব সাধ জাগে!
একেবারেই ছুটি নেইনি তবে ফেলে আসা দিনগুলোর জাবর কাটি। তাই সময় পেলে পুরোনো কবিতাগুলোকেই আবার ঝাড়ামোছা করি।
এই মূহূর্তে হাতে আনকোরা কোনও লেখা নেই। অথচ ব্লগে হাজির থাকাটাও জরুরী। তাই ভাবছি, পুরোনো কিছুকে ঘসেমেজে আবার সচল করা যায় কিনা! তারই ফাঁকে ফাঁকে নতুন কিছু লেখা।
শুভেচ্ছা জানবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২১
আমিনুর রহমান বলেছেন: ভালো লাগা রইল।