নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
“ একদিন “ব্লগ” নামে একগুচ্ছ সামাজিক প্লাটফর্ম ছিলো....” !
ব্লগটি খুলতেই চোখ গেল “দৃষ্টি আকর্ষন” করা একটি লেখার দিকে । ব্লগার ফিউশন ফাইভ সেখানে লিখেছেন- “স্মরণাতীতকালে এমন দুঃসময় আর এমন মহাদুর্যোগ আর আসেনি, বাংলা ব্লগমণ্ডল এখন যার মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে। ব্লগার—এই মুহূর্তের বাংলাদেশে সবচেয়ে আলোচিত চরিত্র, সবচেয়ে দুর্ভাগাও।“
লেখার সারাংশ হলো, সরকার ব্লগের উপরে অযাচিত হস্তক্ষেপ করতে যাচ্ছেন ।
সরকারের এমোন হস্তক্ষেপ মেনে নিতে পারা গেলোনা ।
কেন গেলোনা বলি - ব্যক্তিকে, রাষ্ট্রকে, ধর্মকে ( এখানে দেখলাম ধর্মটাই প্রধান হয়ে উঠেছে নইলে কেবল আলেম উলেমাদের সাথে আলোচনা করার দরকার ছিলোনা ।এই উদ্দেশ্যই যদি না হয়, তবে উচিত হবে সকল শ্রেনীর সাধারন মানুষদের সাথে আলোচনা । ) আঘাত করে আর কথা বলা যাবেনা এমোনটাই সরকারী কর্তৃপক্ষের অভিলাষ । কিন্তু তাদের কে ভেবে দেখতে বলি, রাজনীতির মাঠে প্রতিদিন ব্যক্তিবিশেষের চরিত্র হরনকারী রাজনীতিক রাঘব-বোয়ালদের, বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রটির জন্মের ইতিহাস কে ব্যঙ্গ- বিদ্রুপকারী , জাতির জনকের নামে কুৎসা রচনাকারী তথাকথিত রাজনৈতিক দলগুলোর কথাকে কেন নিয়ন্ত্রনে আনা হবেনা ? নাকি সরকারী কর্তৃপক্ষ বলে রাজনৈতিক সার্টিফিকেটধারী “সরকার” আর “বিরোধী” দলকে তারা কিছু বলবেন না ? দোষ কি কেবল ব্লগারদের ?
নিয়ন্ত্রনের জন্যে গঠিত কমিটির সদস্য আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব আবু আহমেদ জমাদার বলেছেন, “প্রচলিত আইন অনুযায়ী দোষী প্রমাণিত হলে আপত্তিকর মন্তব্যকারীদের এক কোটি টাকা জরিমানা এবং ১০ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।” ।
আমার জিজ্ঞাসা, এই জরিমানা কি কেবল আস্তিক আর নাস্তিকদের জন্যে ? কারন এটিই মূখ্য আজকের এই “মাথাব্যাথা সারাতে মাথাটিকেই কেটে ফেলা” জাতীয় প্রচেষ্টার । অন্যকে আঘাত করে, এমোন কথা কি কেবল ব্লগেই হয় ? রাজনৈতিক সভা-সমিতিতে হয় না ? হ্যা এটা ঠিক, সেখানে ধর্মীয় দলগুলি বাদে কেউই ধর্মকে আঘাত দেন না, আঘাত করেন ব্যক্তি বিশেষকে, দলকে , রাষ্ট্রকে ।
সেখানে এই কমিটির ভুমিকা কি হবে, যখন তাদের সাধু উদ্দেশ্য বাক-স্বাধীনতাকে নিয়ন্ত্রন করা বা শোভনীয়তার ভেতরে রাখা ? তারা কি শুধু ব্লগেই হাত দেবেন ?
মনে পড়ে, সামু ব্লগে ব্লগার মুরশীদ এর একটি পোষ্ট এর লেখায় একটি মন্তব্য করেছিলাম । কারন উনি কিছুদিন আগে ব্লগের উপরে হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে আশা করেছিলেন এই বলে – “Authority should not obstruct the media for few who violate ethics and abuse freedom of writing, rather should work out ways to control and castigate them.” ।
বাক-স্বাধীনতায় যারা লাগাম টানতে চান তাদের ভেবে দেখার জন্যে আমার সেই মন্তব্য থেকে কিছু তুলে দিচ্ছি – “....পাশাপাশি উদাহরন দিয়ে বলি - ব্লগ হলো ক্লাসরুম-বোর্ডের মতো । ক্লাসরুমের এই বোর্ডের উপর বিভিন্ন শিক্ষক বিভিন্ন বিষয়ের উপরে লিখে নিজের আহরিত জ্ঞান তার ছাত্রদের সাথে ভাগ করে নিয়ে তৃপ্তি পেতে চেষ্টা করেন তাদের শেখানোর মাধ্যমে । এটিই নিয়ম । এর বাইরে চ্যাংড়া ছেলেপিলেরা বোর্ডের উপরে মাঝে মাঝে অনেক অশালীন কথাও লিখে থাকে শিক্ষকদের অনুপস্থিতিতে । তাই বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ ক্লাসরুম-বোর্ড সরিয়ে ফেলেনা দেয়াল থেকে । এটা একটা আহাম্মকী কাজ । বুদ্ধিমানের কাজ হলো ঐ চ্যাংড়া ছেলেপিলেদের শোধরানো কিমবা একান্ত তা না পারা গেলে স্কুল থেকে বহিস্কার ।কারন ক্লাসরুম-বোর্ডই হলো শিক্ষক-ছাত্রের মাঝে “টুলস অব কমিয়্যুনিকেশান ।”
যে লেখাটিকে নিয়ে আমি এটি লিখছি তাতে শত মন্তব্য এসেছে । সবই স্বতঃস্ফূর্ত । কোনটা রেখে কোনটা বলি !
সেখানে ব্লগার বুনোগান বলেছেন:
নাস্তিক মানেই যে 'ধর্ম অবমাননাকারী' এভাবে কেন 'নাস্তিক'দের উপস্থাপন করা হচ্ছে? যে কোন ধর্মে থেকেই একজন 'ধর্ম অবমাননাকারী' হতে পারে। ঢালাও ভাবে ব্লগারদের নাস্তিক বলাটা যেমন মুর্খামি, তেমনি ঢালাও ভাবে নাস্তিকদের 'ধর্ম অবমাননাকারী' বলা হলেও সেটা মুর্খামিই
আর ধর্ম অবমাননাকে কি কখনো সুনির্দিষ্ট করা সম্ভব? যে কোন গঠন মূলক ধর্মীয় আলোচনা অন্য পক্ষের নিকট অবমানকর মনে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ধর্ম বা রাজনীতি বিষয়ে সৎ আলোচনাও সম্ভব নয়।
ব্লগ সকল ধরনের আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত করে মানুষকে আলোকিত হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল। এবার এর মুখে লাগাম দিয়ে আমাদের সেই অন্ধকার মধ্যযুগেই ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। ধর্ম নিয়ে নেগেটিভ পজেটিভ যে কোন আলোচনা কি ধার্মিকদের ঈমানকে আরো সমৃদ্ধ করে না? আমরা চাই আলোকিত মানুষ, কূপমুন্ডকতা নয়!
ব্লগার রেজোওয়ানা বলেছেন:যখন বেশির ভাগ ভালো' কে এড়িয়ে গিয়ে কেউ স্বল্প' সংখ্যক মন্দকে হাইলাইট করে তখনই বোঝা যায় উদ্দেশ্য মোটেও সাধু নয়!
ব্লগার জুল ভার্ন বলেছেন:
ইন্টারনেট বা অনলাইনে তথ্য বিনিময়, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চার ধারা অব্যাহত রাখা খুব জরুরি। গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনে মুক্ত বুদ্ধির চর্চা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিকল্প নেই। জনগণের “সুস্থ্যমত” প্রকাশের অধিকারকে নিয়ন্ত্রণ বা কোণঠাসা করতে পারে এমন ধরনের কোন নীতিমালা প্রণয়ন বা বাস্তবায়ন করা আদৌ কাম্য নয়।
সর্বশেষ, বাক স্বাধীনতার পক্ষে যেমন সবার সোচ্চার থাকা উচিত, আবার এর অপব্যবহার থেকেও সচেতনভাবে বিরত থাকাই হবে সবার জন্য কল্যাণকর।
এই যে এতো এতো ধরনের মতামত তাকে রুখে দেবে এমোন সাধ্য কার ? এমোনটাই যদি হয় তবে তাকে “দুঃসাধ্য”ই বলতে হবে ।
সামাজিক ব্লগগুলি যে সারা বিশ্বে মানুষের কথা বলার দরজা খুলে দিয়েছে , মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে, বাক-স্বাধীনতাকে সুউচ্চে তুলে ধরেছে তাদের ক’টিকে নিয়ন্ত্রন করবে সরকার ?
হাযারো ব্লগারদের একজন হয়ে আমি যে ধারনাটি পোষন করি তা তুলে ধরে কিছু ভাবনার খোরাক দিচ্ছি, যারা যারা এই অবিবেচক কাজটিতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে কাজ করছেন তাদের জন্য , এমোনকি আমাদের ভোটে নির্বাচিত সরকারের জন্যেও -
“ব্লগকে যে ভাবেই সঙ্গায়িত করা হোক না কেন মূলটা তো এখানেই যে, এটা ব্লগারদের দিনমানের খেড়োখাতা । খেড়োখাতায় যতো আঁকাবুকি – কাটাকুটিই করি না কেন শেষমেশ তার নির্যাসটুকু তো আমার নিজের কথাই বলে, আয়নায় আমার মুখটিই দেখায় ! আমি কে...কেমন লোকটি আমি ! খুব কষ্ট নিয়েই বলছি – এখানে আমাদের অনেকের মুখটিই তার সুন্দরতা হারিয়ে ফেলেছে । কদর্য্য হয়ে উঠছে দিনেদিনে ।
আমার ব্লগ যদি আমাকেই দেখায়, তবে সেখানে আমার ছবিটি কেমন ? আমার রূচি -আমার শিক্ষা – আমার স্বকীয়তা – আমার নিজস্ব ধ্যানধারনার সুন্দর এবং সত্যিকারের ছবিটি কি আমি সেখানে লটকে দিতে পেরেছি ? ক্ষয়ে যাওয়া বুড়িগঙ্গার মতো আমার ব্যক্তি-মুখখানাও ঢেকে যাচ্ছে আমারই উগরে দেয়া বর্জে ! আমি কি এখানটাতে সচেতন ? অন্যে “মন্দ” বলে, আমি নিজে “ভালো” হবোনা কেন ; এই বোধটি কি আমি লালন করি ?
লেখা তো যে কেউই লিখতে পারেন , দিতেও পারেন । এ প্রসঙ্গে সাহিত্যিক স্যামুয়েল লাভার এর একটি উদ্বৃতিকে একটু ঘুরিয়ে না বললেই নয় – “মানুষের যখোন একবার কথা বলার চুলকানী ওঠে তখোন তার উপশম করতে পারে একমাত্র কলমই । কিন্তু আপনার যদি কলম না থাকে তবে ধারনা করি- সম্ভাব্য সকল উপায়ে আপনি চুলকোতে চাইবেন” । আপনার প্রতিটি লেখাই যে ভাষার অথবা মানুষের : সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যকে প্রতিনিধিত্ব করে এই সত্যটাই আমি -আপনি ভুলে যাই বারবার । লিখতে পারাটা ব্লগের জন্যে কঠিন কিছু নয়, কঠিন হলো আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন তা আর আপনাকে তুলে ধরছেন কি ভাবে ।
শেরিল কনোলী, সাহিত্য কি তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেছেন - যখোন ভাবনারা ভীড় করে আসে তখোন শব্দগুলো জীবন্ত হয়ে ওঠে ।
তাই আমাদের ভাবনার অসুস্থ্যতার কারনেই আমাদের পোষ্টখানাই ব্যবহৃত শব্দ সহ “দুর্গণ্ধ” ছড়ায় ।“
আর আমাদের সকল ব্লগারদের জন্যে এটুকু-
“এইখানটাতে আমাদের যে আরো সতর্ক, সংযত, রূচিশীল হতেই হয় , আজকের জন্যে এবং আগামীকালের ও । প্রতিটি ব্লগারই একটু সচেতন হলে আমরা হয়তো এই “অচলায়তন” ভেঙ্গে ফেলতে পারি । যে লেখক আবেগময়তার সাথে মানুষের পূর্ণতাকে বুঝতে অক্ষম, নিজের সৃজনশীলতার শোভনীয়তা – অশোভনীয়তা বুঝতে অক্ষম, ব্লগে তার আত্মনিবেদন নেই নয়তো প্রবেশাধিকার ।“
পাশাপাশি সকল ব্লগের মডারেশান প্যানেলকেও ভেবে দেখতে বলি কিছু । আমার নিজস্ব নিরীক্ষন , মডারেশান প্যানেল খুব একটা নিরপেক্ষ হয়ে উঠতে পারেনা । বক্তব্য নেই এমোন অনেক পোষ্টও অনেক ব্লগের নির্বাচিত পাতাতে আসে বা রিপোষ্ট কেন যে হয় , তা বোধগম্য নয় । জানি, অনেক ব্লগেই মডারেটরদের সংখ্যা নগন্য । ধর্মীয় বা রাজনৈতিক ধ্যান ধারনা নেই এমোন অনেকেই আবার কাজ করেন অনেকটা স্ব-প্রনোদিত হয়েই । আর্থিক ( যদি থাকে) লাভালাভের দিকে ফিরে দেখেন না । দৃষ্টিভঙ্গি এবং অন্যান্য কারনে আবার সবার মডারেশানের মানদন্ডও সমান নয় । এতো বিশাল একটা দায়িত্বে তাই ক্রুটি-বিচ্যুতি হতেই পারে । কিন্তু তা চলতে দেয়া ঠিক নয় । ব্যক্তিগত পছন্দের স্থান থাকা উচিৎ নয় এখানে । এইখানটাতে মডারেটরদের প্রত্যেককেই আরো নির্মোহ- নিরপেক্ষ , আরো সৃজনশীল, আরো বুদ্ধিদীপ্ত হতে হবে । একাট্টা হতে হবে । যা ভালো এবং শুদ্ধ ব্লগারদের টানবে “লেখার মতো লেখা”র জন্যে । তাহলেই হয়তো খরাক্রান্ত এই ব্লগগুলিতে ভালোলাগার খানিকটা স্রোত বইয়ে যেতে পারে । মনে রাখতে হবে মডারেটররাই হলেন ব্লগ-শরীরের ফুসফুস । তাদের টেনে আনা বিশুদ্ধ বাতাসই ব্লগকে বাঁচিয়ে রাখবে । এটুকু তো আশা করাই যায় সকল ব্লগের মডারেটরদের কাছ থেকে ” ।
“ব্লগে সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপ বন্ধ হোক এখনই “ এই শিরোনামের লেখাটি প্রসঙ্গে এতো এতো কথা লিখতে হলো কেবল সরকারের গঠিত কমিটির সদস্যদের সুবিবেচনার জন্যে । জানিনে তাদের শুভবুদ্ধি এতে জেগে উঠবে কিনা । তাই ভয় হয় .... ।
আমার ব্লগে সাম্প্রতিক একটি পোষ্ট আছে “এখানে এক নদী ছিলো” নামে ।
ভয় হয়, কোনদিন আমার মতো কাউকে অন্য কোথাও লিখতে না হয়- “ একদিন “ব্লগ” নামে একগুচ্ছ সামাজিক প্লাটফর্ম ছিলো....” !
ভয় হয়... বড় ভয় হয়....
২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: আজমান আন্দালিব ,
ধন্যবাদ অনেকদিন পরে আপনাকে দেখে ।
আপনি চমৎকার করে বিশ্লেষন করেছেন, তুলে ধরেছেন সত্যটিকে ।
আমাদের মতো "সুবিধাবাদী গণতন্ত্রে" এর চেয়ে ভালো কিছু আশা করাই বোকামী । কেবল "জুজু"র ভয় দেখিয়ে সবাই ফায়দা লুটতে চায় । কিন্তু কেউই সেই রাখাল ছেলের " বাঘ এলো বাঘ এলো..." গল্পটি থেকে কিছুই শিখলোনা ।
যে ব্লগাররা আত্মচেতনার তাগিদে, নিজের পরিচয়ের গরজে "প্রজন্ম চত্বর"এর জন্ম দিতে পেরেছেন তারা একদিন যে "বিসুভিয়স" হয়ে উঠতে পারবেন না এটা যারা ভেবে থাকেন তাদের বুদ্ধিবৃত্তির উপরে প্রশ্ন থেকেই যায় । তুষের আগুন নেভানো বড় কঠিন, এটা ভুলে যায় অনেকেই । এদের যদি আগাছা ও কেউ বলেন তবে সে আগাছা যে একদিন বেড়ে বেড়ে তাদের সাজানো বাগানটিকে ঢেকে ফেলতে পারে সে বোধটুকু ও তাদের নেই ।
এদের আন্দোলন থেকে, যে সরকার নিজেকে "মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক" বলে দাবী করেন তারা আগামীতে তাদের বধ করার জন্যে "তোমাকে বধিবে যে ....সেজন বাড়িছে গোকূলে..." এমোন একটি ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠা কাঁটাকে খুব সহজেই উপড়ে তুলতে পারতেন তা না করে তারা নিজের নির্বুদ্ধিতায় নিজের কফিনেই পেরেকটি ঠুকে দিয়েছেন ।
ঠিক হয়তো বলেন নি যখোন লিখেছেন - সুশীল সমাজ, শিক্ষিত সমাজ ব্লগ কি বুঝতে না পেরে নিরীহ ব্লগারদের পাশে দাঁড়ানোর সাহস করে নাই। কারন এদের সাহসের অভাব নেই । এরা নিজের হিসেবটি ঠিকই কষতে পারেন । কোনটাতে লাভ , কোনটাতে ক্ষতি । ব্লগের গলা টিপে ধরলে তাদের কি ? তারা তো ব্লগে কথা বলেননা ! কিন্তু তারা বুঝে উঠতে পারছেন না একদিন এই খড়গই যে তাদের উপর নেমে আসবে আরো তীব্রবেগে।
আশা করি এরা যতো তাড়াতাড়ি এটা বুঝবেন ততো সহজ হবে তাদের বেঁচে থাকা ।
২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: ফিফার লাস্ট পোস্টটা দেখলে আপনি কিছুটা আশ্বস্ত হতে পারেন আশা করি।
Click This Link
৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:২৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব,
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে । প্রশ্নটি কারো আশ্বস্ত হ্ওয়া বা না হ্ওয়া নিয়ে নয় । প্রশ্নটি হলো, শালীনতার ক্ষেত্রে ব্লগই একমাত্র টার্গেট কেন ? সহিংসতা ছড়ানোর ক্ষেত্রে ব্লগকেই একমাত্র দোষী করা হয় কেন ? প্রিন্টিং মিডিয়ার বিরুদ্ধে সহিংসতা ছড়ানোর অভিযোগ নেই ? চরিত্র হরনের অভিযোগ নেই ? আছে , ভুরি ভুরি আছে । তাদের ক্ষমতা বেশী তাই তাদের ধরা ছোঁয়া যাবেনা বলে "বলির পাঠা" হবে কেবল ব্লগাররা ? ব্লগাররা কি এতোটাই অচ্ছুত ?
এটা সচেতনতার প্রশ্ন, সংশ্লিষ্ট সকলের বুদ্ধিবৃত্তির কাছে প্রশ্ন , সকল বিবেকের কাছে প্রশ্ন ( অবশ্য বিবেক বলে যদি কারো কিছু থাকে !) , বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাসী সকল মানুষের কাছে প্রশ্ন ।
বাক স্বাধীনতায় আমি আপনি কতোটুকু পর্য্যন্ত যেতে পারি সেটা্ও একটি বড় প্রশ্ন বটে । আইন করে কি তা থামানো যাবে ? তাই আমি এই পোষ্টে এটা্ও লিখেছি - " এ প্রসঙ্গে সাহিত্যিক স্যামুয়েল লাভার এর একটি উদ্বৃতিকে একটু ঘুরিয়ে না বললেই নয় – “মানুষের যখোন একবার কথা বলার চুলকানী ওঠে তখোন তার উপশম করতে পারে একমাত্র কলমই । কিন্তু আপনার যদি কলম না থাকে তবে ধারনা করি- সম্ভাব্য সকল উপায়ে আপনি চুলকোতে চাইবেন” ।
অর্থাৎ আপনি সামাজিক সাইটগুলোতে বলতে না পারুন , বলার জন্যে একটা পথ খুঁজে নেবেনই । আর তাতে নোংরামী ছড়িয়ে পড়বে ঘরে ঘরে । এটা্ও ভেবে দেখা উচিৎ ।
এই সব জটিলতা থেকে বেড়িয়ে আসার সবচেয়ে সহজ পথটি হলো, আপনার আমার সচেতনতা । কর্তৃপক্ষ এই সচেতনতা বৃদ্ধির কাজগুলোই করবেন বলে আশা করি যার ফল হবে সবারই মঙ্গল ।
মাহবুব, আমার এই লেখাতে আমি এগুলোই তুলে ধরতে চেয়েছি । কেবল মাত্র সামু ব্লগের কর্তৃপক্ষ কি করলেন তা জেনে আশ্বস্ত হতে নয় । আমরা সবাই কি করেছি সুন্দর একটি ব্লগ পরিবেশ তৈরী করতে তা জানতে পারলে ভালো লাগবে । সামু যা করেছে তার জন্যে আমি ও বুক উঁচু করে বলতে পারি -" সামু আমারই ব্লগ, আমি এর গর্বিত সদস্য একজন । "
৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮
জুন বলেছেন: একদিন “ব্লগ” নামে একগুচ্ছ সামাজিক প্লাটফর্ম ছিলো
শিরোনাম এবং বিষয় বস্তুটি যথার্থ বর্তমান প্রেক্ষাপটে আহমেদ জীএস ।
+
০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
শুধু জানবেন, সত্য মরেনা কখোনও.. সময়ই সত্যকে তুলে ধরে , হয় আজ নয় কাল ।
৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৫০
আমিনুর রহমান বলেছেন: ব্লগ হলো ক্লাসরুম-বোর্ডের মতো । ক্লাসরুমের এই বোর্ডের উপর বিভিন্ন শিক্ষক বিভিন্ন বিষয়ের উপরে লিখে নিজের আহরিত জ্ঞান তার ছাত্রদের সাথে ভাগ করে নিয়ে তৃপ্তি পেতে চেষ্টা করেন তাদের শেখানোর মাধ্যমে । এটিই নিয়ম । এর বাইরে চ্যাংড়া ছেলেপিলেরা বোর্ডের উপরে মাঝে মাঝে অনেক অশালীন কথাও লিখে থাকে শিক্ষকদের অনুপস্থিতিতে । তাই বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ ক্লাসরুম-বোর্ড সরিয়ে ফেলেনা দেয়াল থেকে । এটা একটা আহাম্মকী কাজ । বুদ্ধিমানের কাজ হলো ঐ চ্যাংড়া ছেলেপিলেদের শোধরানো কিমবা একান্ত তা না পারা গেলে স্কুল থেকে বহিস্কার ।কারন ক্লাসরুম-বোর্ডই হলো শিক্ষক-ছাত্রের মাঝে “টুলস অব কমিয়্যুনিকেশান ।”
চমৎকার লিখেছেন +++
১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: আমিনুর রহমান,
সহজ করে বোঝানোর জন্যে আর কি লিখতে পারতাম ? এতেও কি যাদের বোঝার কথা, তারা বুঝেছেন ?
অসংখ্য ধন্যবাদ আমিনুর ।
ভালো থাকুন দিনমান ।
৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
আহমেদ জী এস,
দাঁড়াবার সময় সত্যিই নাই। আর দাঁড়াবার আগে ভেবে-চিন্তে দাঁড়াতে হয় কারণ সময় এখনও মূল্যবান। এতদূর হেটে এসে যখন আপনার এই লিখাটিতে দাঁড়ালাম। তখন দেখছি কিছু অতি মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ কথা আপনি লিখে রেখেছেন খুব যত্ন করে। ৯৮ বার পঠিত চারখানা মন্তব্য .....ডট ডট ডট( বুঝতে পারছেন নিশ্চয়ই কি বলতে চাইছিলুম)
বাবা-মা-শিক্ষক-অভিভাবকদের দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রতিযোগিতা যখন ক্লাসরুম-বোর্ডে বড় বড় অক্ষরে লিখে রাখা হয়; ছাত্র/ছেলেপিলেদের কি দোষ দিবো বলুন ? আপনার এই ভয়টি বাংলা-ব্লগের সূচনালগ্ন থেকেই আমার সঙ্গী ছিলো। দৃষ্টি আকর্ষণ এর সেই দৃষ্টি যেনও অন্ধ না হয়ে পড়ে, শঙ্কা এবং আশা দুটোই রইলো।
কৃতজ্ঞতা জানবেন।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্ধবিন্দু ,
জ্বী, আপনি যা বলতে চেয়েছেন তা বুঝতে পেরেছি । যে ভয়টি বাংলা-ব্লগের সূচনালগ্ন থেকেই আপনার সঙ্গী ছিলো তারই প্রতিফলন দেখছেন আপনি যৎকিঞ্চিত মন্তব্য আর নগন্য পাঠক সংখ্যা নিয়ে টিমটিম করে জ্বলা আমার এই পোষ্টেও । যদিও তার জ্বলে ওঠার কথা ছিলো বিসুভিয়াস হয়ে ।
হতাশ হবেন না আমার জন্যে , এই পোষ্টের দৈন্যদশা দেখে । আমার একটি পোষ্ট “ ব্রা স্কীলস” কিন্তু পাতে পড়ার সাথে সাথেই গপাগপ গলাধঃকরন করা হয়েছে । নূন্যতম সময়ে পাঠক সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়ে গেছে ।
আশ্বস্ত হতে পারেন ভালো জিনিষের জন্যে আমাদের দাঁড়ানোর সময় নেই দেখে । কারন আমরা কাজের লোক , ঝটপট করে চটপটি খেয়ে টাকরায় চাটি বাজিয়ে, মুখ মুছে ফেলানোতে সময় লাগেনা । বরং চটপটির ঝাল স্বাদ লেগে থাকে ।
এবার আমি কি বোঝাতে চেয়েছি বুঝতে পেরেছেন ?
“দৃষ্টি আকর্ষন” এর প্রতি যে দৃষ্টি আকৃষ্ট করতে চেয়েছেন তার বক্তব্যের সুদুর প্রসারী অভিঘাত থেকে বাঁচতে চাই বলেই ওখানে প্রথম মন্তব্যটি আমার -ই ।
শঙ্কার চেয়ে আশাটাকে বড় করে তুলুন ।
ভালো থাকুন ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৬
আজমান আন্দালিব বলেছেন: একদিন 'ব্লগ' নামে একগুচ্ছ সামাজিক প্ল্যাটফর্ম ছিল। সেই প্ল্যাটফরমে দেশের সচেতন নাগরিকরা তাদের চিন্তা-চেতনার প্রতিচ্ছবি আঁকতেন। দেশের জন্য মঙ্গলজনক বিষয়গুলো নিয়ে তাদের চিন্তার অন্ত ছিল না। দেশ বিরোধী কুলাঙ্গার সম্প্রদায়কে তারা ঘৃণা করতেন। স্বার্থবাদী রাজনৈতিক নেতাদের তারা সমালোচনার তীব্র দাহনে দগ্ধ করতেন। মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে যারা ধর্মীয় ঘৃণা বিদ্বেষ ছড়াতো তাদের গদামের উপর রাখতেন।
সচেতন সেই ব্লগারদের উপর রোষ নেমে আসল প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর। সচেতনতার সমার্থক হিসেবে ব্লগ জিনিসটাকে তারা বুঝতে চাইল না। ধর্মীয় উগ্র সম্প্রদায়ের কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে তারা ব্লগারদের কন্ঠরোধ করতে চাইল। ব্লগে সরকারের মন্দ কাজের সমালোচনা তারা মেনে নিতে পারল না। তাই ধর্মীয় উগ্রাবদিতার দোহাই দিয়ে তারা ব্লগারদের কন্ঠরোধ করতে নানান ষড়যন্ত্র করতে লাগলো।
নিরীহ ব্লগারদের তারা গলাটিপে ধরল। একসময় ব্লগারদের প্রতিবাদী কন্ঠ চুপসে গেল। তারা তাদের পাশে কাউকে পেল না। সুশীল সমাজ, শিক্ষিত সমাজ ব্লগ কি বুঝতে না পেরে নিরীহ ব্লগারদের পাশে দাঁড়ানোর সাহস করে নাই। ধর্মীয় উগ্র সম্প্রদায়ের কাছে বিবেক বিকিয়ে দিয়ে সরকারের তাবেদাররা ব্লগারদের মনোভাব বুঝতে পারলো না। এতে সরকারের ও লাভ হলো, কারণ তাদের সমালোচনা করার আর কেউ রইলো না। সরকার বিরোধীরাও ব্লগারদের নাস্তিক আখ্যা দিয়ে কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিল।
---এরকম হতে পারে, আহমেদ জি এস ভাই। আপনার লেখাটি সুন্দর লেগেছে।