নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাজন “পৃথিবীর ফুসফুস”

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:০৬





আমাজন “পৃথিবীর ফুসফুস” ।



অবা্ক হবেন হয়তো পৃথিবীর ফুসফুস ব্যাপারটি আবার কি , এরকমটা ভেবে ! এটা তো জানা আছে ফুসফুস ছাড়া মানুষ বাঁচেনা । কারণ বেঁচে থাকতে হলে তাকে অক্সিজেন গ্রহন করতে হয় । আর এই অক্সিজেন আমরা পেয়ে থাকি বাতাস থেকে। ফুসফুসের কাজ হলো বাতাস থেকে এই অক্সিজেন গ্রহন করে দেহে সরবরাহ করা । বাতাসে রয়েছে ৭৭-৭৮% নাইট্রোজেন এবং ২২% অক্সিজেন গ্যাস। বাকী ১% এ রয়েছে যতো ধরনের গ্যাসের কথা এযাবৎ আপনি জানেন তা ।

পৃথিবীতে যতোটুকু অক্সিজেন আছে তার ২০ শতাংশই যেহেতু উৎপাদিত হয় আমাজনের জঙ্গল থেকে তাই আমাজনকে “পৃথিবীর ফুসফুস” বলতেই হয় ।

পৃথিবীতে যতোটুকু “রেইন ফরেষ্ট” বেঁচে বর্তে আছে এখোনো, তার ৫৪% ই আছে আমাজন এলাকার আড়াই মিলিয়ন ( ২৫ লক্ষ ) বর্গমাইল জুড়ে ।প্রতি বছর পৃথিবীতে যে বৃষ্টিপাত হয় তার বেশীর ভাগটাই পতিত হয় এই এলাকায়, এখানকার উষ্ণতা আর আদ্রতার কারনে । সারা বছর জুড়ে গড়পড়তা বৃষ্টিপাতের পরিমান ৬৯ ইঞ্চি থেকে ৭৯ ইঞ্চি । যদিও কখোনও কখোনও এই মাত্রা ৩৯০ ইঞ্চি ছাড়িয়ে যেতে পারে । তাই এই জঙ্গলকে ডাকতে হয় “রেইন ফরেষ্ট” বলেই ।

পৃথিবীতে সবচেয়ে প্রাচীনতম ইকোসিস্টেম হলো এই রেইন ফরেষ্ট, অদ্ভুত সুন্দর আর বিষ্ময়কর । জুড়ে আছে পৃথিবীর আয়তনের ৬ শতাংশ এবং পৃথিবীতে যতো বৃক্ষরাজি আর পশু-পাখী আছে তার অর্ধেকের বেশীটাই রয়েছে এখানে । আর আমাজন হলো এদের ভেতরে সর্ব-বৃহত্তম ।





ছবি-২ General distribution of tropical rainforest



আমাজনকে বুঝতে হলে পৃথিবীর অন্যত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রেইন ফরেষ্টগুলির কথাও একটু জেনে রাখা ভালো । বেশীর ভাগ রেইন ফরেষ্টগুলিই পৃথিবীর মৌসুমী খাত বা আধার (monsoon trough ) এলাকায় ছড়িয়ে আছে যাকে ভুগোলবিদরা জানেন “ইন্টারট্রপিক্যাল কনভার্জেন্স জোন” হিসেবে । এরা ছড়িয়ে আছে নিরক্ষীয় এলাকায় (equatorial zone), দক্ষিনপূর্ব এশিয়ার শ্রীলঙ্কা-মায়ানমার থেকে শুরু করে ফিলিপিনস, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাপুয়া-নিউগিনি হয়ে উত্তরপূর্ব অস্ট্রেলিয়া পর্য্যন্ত । সাব-সাহারান এলাকাতে ক্যামেরুন থেকে কঙ্গো । দক্ষিন আমেরিকার আমাজন, মধ্য আমেরিকার বোসাওয়াস, ইউকাতান পেনিনসূলা, এল-পাতেন, বেলিজ আর হাওয়াই সহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অনেক দ্বীপে ।

আমাজনের কথায় ফেরা যাক ।

একদিন লক্ষ-লক্ষ বছর আগে বর্তমান আফ্রিকার বুকের ভেতর থেকে উঠে এসে প্রোটো-কঙ্গো (জায়ারে) নদী ব্যবস্থার অংশ হিসেবে আমাজন নদী বয়ে চলেছিলো পশ্চিমে যখন আফ্রিকা আর দক্ষিন আমেরিকা মহাদেশ দুটি মিলেমিশে ‘গন্ডোয়ানাল্যান্ড’ (Gondwanaland)নামের সুপার-কন্টিন্যান্ট এর অংশবিশেষ অবস্থায় ছিলো ।৬০০ মিলিয়ন বছর আগে “প্রি-ক্যাম্ব্রিয়ান” যুগে এই সুপার-কন্টিনেন্ট এর জন্ম পুরো হয় । দক্ষিন আমেরিকা, আফ্রিকা, এ্যারাবিয়া, মাদাগাস্কার, ইন্ডিয়া, অস্ট্রেলিয়া আর এ্যান্টার্টিকা মিলে গড়ে উঠেছিলো এই সুপার-কন্টিন্যান্ট । ১৮০ মিলিয়ন বছর আগে “জ্যুরাসিক” যুগের (Jurassic Period)শুরুতে এর থেকে আলাদা হতে থাকে এক একটি ভুখন্ড । যার বর্তমান রূপ আমরা দেখছি এখোন বিভিন্ন মহাদেশ হিসেবে ।

[ এখানে এসে আপনার নিশ্চয়ই মনে পরবে “দ্য জ্যুরাসিক পার্ক” ছবিটির কথা ]





ছবি-৩ বিশ্বের আদিম মানচিত্রে ‘গন্ডোয়ানাল্যান্ড’



মাত্র ১৫ মিলিয়ন বছর আগে ভু-ত্বাত্তিক ভাবে আফ্রিকান প্লেটের সাথে নাযকা প্লেটের ধাক্কা লেগে যে আন্দিজ পর্বতমালার জন্ম হয় তা এই আমাজনের গতিপথকে আটকে দিয়ে তাকে একটি অন্তর্দেশীয় সাগর (Inland Sea)বানিয়ে ফেলে । ধীরে ধীরে এটি হয়ে ওঠে বিপুলায়তনের বিশাল এক জলাভুমি আর সুপেয় পানির লেক ।

দশ মিলিয়ন বছর আগে এর বিপুল জলরাশি নতুন যাত্রা শুরু করে । উৎসমুখ আন্দিজের নেভাদো মিস্‌মি নামক চূড়া । পশ্চিমের স্যান্ডষ্টোনের তৈরী ভুখন্ড কেটে কেটে আমাজন বয়ে চলে পূর্বাভিমুখি । এই সময়কালেই জন্ম হয় আমাজন রেইন ফরেষ্ট এর । বরফযুগে (Ice Age) সমুদ্রের পানির স্তর নীচে নেমে গেলে খুব দ্রুতই লেকের পানি অপসারিত হয়ে নদীর আকার ধারন করে আমাজন । এর তিন মিলিয়ন বছর পরে সমুদ্রের পানি এতোটাই নীচে নেমে যায় যে বেড়িয়ে পরে মধ্য আমেরিকান যোজক (Central American isthmus) ভুখন্ডটি । এ ঘটনাটি দুই আমেরিকার মধ্যে প্রানীদের ব্যাপক হারে “মাইগ্রেশান”এর সুযোগ তৈরী করে দেয় ।



আজ এই আমাজনই হয়ে দাঁড়িয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আয়তনের (voluminous) নদী যা মিসিসিপি নদীর আয়তনের ১১ গুন বড় । পুরো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমান একটি এলাকাকে বিধৌত করছে এই নদীর জল । নীলনদের পরেই পৃথিবীর দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী এটি । পাড়ি দিয়েছে ৩০০০ মাইল পথ আর পাঁচ পাঁচটি দেশ । এর শাখানদী রয়েছে ১১০০টির মতো যার ভেতরে ১৭টি শাখা নদীই দৈর্ঘ্যে ১০০০ মাইলের বেশী । জোয়ারের সময় এর সমুদ্র মুখটি ৩০০ মাইল ব্যাপী চওড়া হয়ে ওঠে আর প্রতিদিন ৫০০ বিলিয়ন ঘনফুট সুপেয় পানি গিয়ে পড়ে আটলান্টিকের বুকে । এই ঝাপিয়ে পড়া পানির গতিবেগ এতোটাই বেশী যে নদীর মুখ থেকে আটলান্টিকের মধ্যে প্রায় ১৫০ মাইল পর্যন্ত আপনি আমাজনের সুপেয় পানি ছাড়া সমুদ্রের স্বাভাবিক লবন পানি পাবেন না । আর নিউইয়র্ক শহরকে যদি আপনি নয় বছর ধরে খাবার পানি সরবরাহ করতে চান তবে আটলান্টিকের বুকে ঝাপিয়ে পড়া এই একদিনের পানিই যথেষ্ঠ ।

আমাজনের এই অববাহিকা ঘিরেই গড়ে উঠেছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ রেইন ফরেষ্ট এর জঙ্গল । আয়তনে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৮টি অঙ্গরাজ্যের সমান । আর তা আছে দক্ষিন আমেরিকা মহাদেশের ব্রাজিল, বলিভিয়া, পেরু, ইকুয়েডর, কলাম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা, গিয়েনা আর সুরিনাম নামের দেশগুলো জুড়ে । অর্থাৎ দক্ষিন আমেরিকার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ভুখন্ড জুড়েই আপনি এই গাঢ় সবুজের অরণ্য দেখতে পাবেন । দেখতে পাবেন প্রকৃতির আদিম রূপ । শুনতে পাবেন হাযার হাযার বছরের সময়কে ছুঁয়ে আসা নিঃশব্দ আরণ্যক কথকতা ।



ছবি-৪ আকাশ থেকে আমাজন ।



শখের আমাজন এক্সপ্লোরার লেসলি টাইলার তার বিশাল এক ওয়েবপেজে লিখেছেন – “একটি রেইনফরেষ্টে একবারও পা না রাখা ছাড়া কারো পক্ষে এর সৌন্দর্য্য বর্ণনায় সুবিচার করা অসম্ভব । কোনও ছবিই, কোনও চলচ্চিত্রই বা কোনও বইয়ের পক্ষেই এর ভয়ঙ্কর সুন্দরতাকে তুলে ধরা সম্ভব নয় । আমি এই আমাজনকে নিয়ে যতো ছবি তুলেছি তার কোনওটিতেই আমি এর সত্যিকার রহস্য আর শ্বাসরূদ্ধকর সৌন্দর্য্যের প্রতি সুবিচার করতে পারিনি ।আমার শ্বান্তনা এটুকুই, আমার মতো সবাই-ই এই একই হতাশায় ভুগছেন ।”





ছবি-৫ কূহকী অরণ্য



আর আমার নিজের (লেখকের) কথা যদি বলি, তবে বলতেই হয় – আমাজন এবং তার রেইনফরেষ্টের জন্যে ইন্টারনেট, আমাজনের উপরে লেসলি টাইলার এর তোলা ব্যক্তিগত ছবির পেজ ঘেটে ঘেটে মনে হয়েছে কোনটা রেখে কোন ছবিটি আমি এই পোষ্টে দেবো । ছবি ডাউনলোড করতে গিয়ে আমিও সুবিচার করতে পারিনি হয়তো আদিম আমাজনকে আপনাদের সামনে তুলে ধরতে !

আদিম মানুষ আর পরিবেশগত অবস্থার প্রভাবে রেইনফরেষ্ট, সিজনাল ফরেষ্ট, ক্ষনস্থায়ী ফরেষ্ট, জলপ্লাবিত ফরেষ্ট আর আদিগন্ত বিস্তৃত বৃক্ষহীন প্রান্তরের (সাভান্না) সমাহার নিয়ে আমাজন হয়ে উঠেছে একটি “মোজাইক অব ইকোসিষ্টেম”, একবার আপনি এখানে পা রাখলে আপনার মনে হবে , সময় যেন থেমে গেছে এখানে । অক্সিজেন সমৃদ্ধ নির্মল ভারী বাতাস আপনার বুকে এনে দেবে আলাদা এক অনুভূতি ।



ঘন পাতায় ছাওয়া এই অরণ্যের ছাদের ফাঁক-ফোঁকড় দিয়ে বাইরের বাতাসের কোনও দোলা লাগবেনা আপনার গায়ে । আদ্রতা আর উষ্ণতার কারনে মাটি থেকে আদিম গন্ধ নিয়ে উঠে আসা ধোঁয়াসা ঘিরে থাকবে আপনাকে সারাক্ষন । মনে হবে কুয়াসার ভেতর থেকে উঠে আসছেন আপনি, পৃথিবীর প্রথম মানুষটি । আপনার চারপাশ ঘিরে আছে আদিম অরণ্য শব্দহীন, মন জুড়ানো রংয়ের প্রজাপতি আর পাখি । বিশ্বের তাবৎ প্রজাতির পাখিদের এক-তৃতীয়াংশ পাবেন আপনি এখানে । যাদের মধ্যে “toucan” নামের ছোটখাটো এই পাখিটি আমাজনের “আইকন” হয়ে আছে এর শোরগোল পাতানো স্বভাবের কারনে । এরা এতো শব্দ করে যে, আধা মাইল দূর থেকে আপনি এদের বাঁকানো আর শরীরের তুলনায় লম্বা ঠোটের ডাক শুনতে পাবেন।



ছবি-৬ টুকান

স্কারলেট ম্যাকাওর দিক থেকে আপনি চোখ ফেরাতে পারবেন না এর রংধনু রংয়ের কারনে । পাবেন তোতা-পাখি শ্রেনীর এই ম্যাকাওর আরো হরেক রকম । বর্তমানে কিন্তু এরা একটি “এনডেঞ্জার্ড” প্রানী ।



ছবি-৭ স্কারলেট ম্যাকাও

পৃথিবীর ১০মিলিয়ন প্রজাতির গাছ-গাছড়া, পাখি, প্রানী আর পতঙ্গের আধেকটাই আপনি পাবেন এখানে । সবচেয়ে কিম্ভুত কিমাকার দেখতে প্রানী থেকে শুরু করে নয়নকাড়া সুন্দর, বিশ্বের সবচেয়ে বিশাল আর সবচেয়ে ক্ষুদ্র, বিকট শব্দে ডাক দিয়ে ওঠা আর সবচেয়ে শান্ত, সবচেয়ে ভয়ঙ্কর থেকে সবচেয়ে নিরীহ প্রানীটির দেখা পাবেন আপনি এখানেই ।

“এ্যানাকোন্ডা” ছবিটি দেখেননি এমোন কেউ কি আছেন এখানে ? হাযারো বিচিত্র রকমের প্রানীদের ভেতরে বোয়া কন্সট্রিকটর গোত্রের ভয়ঙ্কর সেই এ্যানাকোন্ডাকেও আপনি দেখবেন এখানে । লম্বায় ২১/২২ ফুটের মতো প্রানীটি আস্ত গিলে খেয়ে ফেলে তার শিকারকে ।



ছবি-৮ এ্যানাকোন্ডা... মারো টান হেইও.....



বারো হাত কাকুঁড়ের তের হাত বীচির মতো ১২ ইঞ্চি লম্বা আর ১২/১৩ ইঞ্চির লেজ আর মাত্র দু’পাউন্ড ওজন নিয়ে সিংহমুখী খুঁদে বানরকে দেখবেন গাছের ফলমূল, পোঁকা-মাকড়, টিকটিকি খেয়ে বেড়াচ্ছে এখানে সেখানে ।



ছবি-৯ সিংহমুখী সোনালী বানর ।

আরো দেখতে পাবেন- গাছের ডালে লেজ বাঁধিয়ে ঝুলে থাকা স্পাইডার মাংকি, কাঠ-বেড়ালী মুখের স্কুইরেল মাংকি, উলের মতো পশম দিয়ে গা ঢাকা উলি মাংকি, খূঁদে পিগমী মাংকি, শ্লথ নামের ভীষন আলসে মাংকি , জায়ান্ট এন্টিয়েটার, বিশালাকৃতির ৬ ফুট লম্বা জলজ ভোঁদর, লম্বায় ২ ফুট আর ১০০ পাউন্ড ওজন নিয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে বিশাল আর তীক্ষ্ণ দাঁতওয়ালা ইঁদুর ক্যাপিবারা ।

আছে বিশালাকৃতির জলজ স্তণ্যপায়ী “মানাতী” দেখতে সীল আর তিমির মতো হলেও থলথলে এই প্রানীটি কিছু কিছু দিকে কিন্তু অসাধারন । দেখতে কিম্ভুত কিমাকার হলেও মানুষের মতো এদের ফুসফুস আছে । তাই বাতাস টেনে নিতে এদের বারেবারে উঠতে হয় পানির উপরে ।





ছবি-১০ আমাজনের মানাতী



পাবেন আমাজন নদীর সবচেয়ে সুন্দর প্রানীটির দেখা । গোলাপী ডলফিন ।পৃথিবীর আর কোথাও নেই । আমাজন অরন্যের সব রহস্য আর কল্পকাহিনী দিয়ে ঘেরা একটি বিরল প্রজাতি ।



ছবি-১১ “গোলাপী সুন্দরী”

নদীর জলে আপনি যখন আট ফুট লম্বা “ইলেক্ট্রিক্ ঈল” এর দেখা পাবেন তখন ১০০ হাত দূরে থাকতে হবে আপনাকে । কারন এই মাছটি ৬০০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক শক দিতে পারে আপনাকে ।



ছবি-১২ ঈল... ভয়ঙ্কর

আর আমাজনের পিচ্চি কিন্তু ভয়ঙ্কর জলজ প্রানী “পিরানহা”র ধারেকাছেও যাবেন না আপনি । এর শক্তিশালী চোয়াল আর ব্লেডের মতো ধারালো দাঁত আপনার হাড় থেকে চোখের পলকে খুঁবলে নেবে মাংশ । মাত্র পাঁচ থেকে দশ ইঞ্চি লম্বা, আমাদের রূপচাঁদা মাছের মতো দেখতে এই মাছটির ঝাঁকের মধ্যে পড়ে গেলে মূহুর্তে আপনার হাড্ডি ক’খানা ছাড়া আর কিছু খুঁজে পাওয়া যাবেনা ।



ছবি-১৩ “রাক্ষুসে পিরানহা”

আমাজনের আর এক ঘাতক প্রানী “জাগুয়ার” । সাহস, শক্তিমত্তা আর ভয়ঙ্কর রকমের সুন্দর চিতা জাতীয় এই প্রানীটি ছুটতে পারে দ্রুত, চড়তে পারে গাছে, পারে সাঁতরাতে । পালাবেন কোথায় ?



ছবি-১৪ সুন্দর কিন্তু ভয়ঙ্কর

আমাজনের কুমিরের কথাই বা বাদ যাবে কেন ? আমাজনের নদীগুলোতে এর চেয়ে বিশাল কোন ঘাতক নেই । আর এর কোনও শত্রুও নেই বরং অনেক প্রজাতির ভেতরে “ব্লাক কেইম্যান” নামের কুমির প্রজাতিটি সবার শত্রু ।বাগে পেলে হাতি থেকে শুরু করে খেয়ে ফেলে সব । সরীসৃপ বর্গের মাংশাসী এই প্রানীটিকে নিয়ে অনেক “হরর” চলচ্চিত্র আপনারা দেখে থাকবেন অনেকেই ।



ছবি-১৫ কুমির কালো

পৃথিবীর গাছপালা-তৃণলতার দুই তৃতীয়াংশই রয়েছে আমাজন জুড়ে । ৮০,০০০ প্রজাতীর গাছপালা (plant species)রয়েছে এখানে ।বৃক্ষরাজী এখানে এতোই ঘন হয়ে ছেয়ে আছে যে একফোঁটা বৃষ্টির পানি মাটির স্পর্শ পেতে সময় নেবে দশ দশটি মিনিট । এই গাছগাছালীর আধেকটাই বৈশ্বিক আবহাওয়া নিয়ন্ত্রনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে ।



ছবি-১৬ আমাজন লিলি ….পদ্মপাতার পালঙ্ক ।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুলটি পাবেন আপনি এখানেই, আমাজন লিলি ।একটি সকার বলের মতো বড় । বেঁচে থাকে মাত্র তিনদিন । ফুঁটে ওঠার সময় এর রংটি থাকে সাদা । ফোঁটে রাতের বেলা । পরাগায়নের সময় হলে রং পাল্টায় ফুলটি । ঠিক যেন মেয়েদের প্রেমে পড়ার মতো । হতে থাকে পিংকি পার্পল । আমাজন লিলি গাছের পাতাটিও ঢাউস সাইজের । আধা মিটার ব্যাসার্ধ নিয়ে গোলাকার পাতাটি ১৩৬ কেজি ওজন বইতে পারে ।আপনি নিশ্চিন্তে পাতাটির উপর একটা লম্বা ঘুম দিয়ে উঠতে পারবেন । গড়িয়ে পানিতে পড়ার ভয় নেই কারন পাতার ধারটি উঁচু কার্নিশের মতো । উপরি ভাগটি সবুজ হলেও নীচের দিকটি এর মেরুন রংয়ের । এর আদি এলাকা ব্রাজিল আর আমাজনে এটি ফুঁটে থাকে বারোমাস ।



আছে “বার্ড অব প্যারাডাইজ” নামে খ্যাত নয়ন কাড়া “হ্যালিকোনিয়া” ফুলটি ।





আনারস জাতীয় গাছ “ব্রোমিলাদ” । রংয়ের বাহারে শ্বাসরূদ্ধ হবেনা তো কি !



অর্কিড আছে হাযারো রকমের ।



তিনটি বৃতি আর তিনটি পুষ্পপল্লব নিয়ে আছে শ্বেত শুভ্র “ট্রিলিয়াম” ফুল। সাপের বিষ নামাতে আর সন্তান প্রসব সহজ করাতে আদিবাসীদের মোক্ষম দাওয়াই ।



আছে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা ২০০ ফুটের চেয়ে বেশী উঁচু “কাপোক” গাছ ।আছে দিনে ৯ ইঞ্চি করে বেড়ে ওঠা লম্বা লম্বা বাঁশগাছও । আছে শরীর উত্তেজক

“ কোকো” গাছ ।

এই রেইন ফরেষ্টে খাওয়ার যোগ্য ফলমূল আছে ৩০০০ রকমের যা আপনা আপনিই গাছে গাছে ধরে থাকে , প্রকৃতির দান । আমাজনের লোকজন এ থেকে মাত্র ১৫০০ রকমের ফলমূল খেয়ে থাকে । অথচ খাওয়ার জন্যে নিজেরা জন্মায় মাত্র ২০০ রকমের ফলমূল তাও ইদানিং কালে । এই এলাকার বৃক্ষরাজীর ভেতর ৭০% গাছগাছালিতেই পাওয়া যায় ক্যানসার বিরোধী কিছু না কিছু গুনাবলী । অথচ এই সব গাছগাছালীর ৯০% আধুনিক বিজ্ঞানের পরীক্ষা-নিরীক্ষার আওতায় আনা হয়নি আজও ।এতো অবহেলিত হয়ে পড়ে আছে এই বিশাল অরণ্য ।

অবহেলিত হয়ে আছে আমাজনের আদিবাসীরাও । ১৪৯২ সালে ক্রিষ্টোফার কলম্বাস যখোন “নতুন দুনিয়া” আবিষ্কার করে ভাবলেন তিনি ‘ইন্ডিয়া”র মাটিতে পা রেখেছেন, তার পিছে পিছে ১৫০০ সালের দিকে সম্পদের লোভে অন্যান্য ইউরোপিয়ান অনুপ্রবেশের আগে যেখানে আনুমানিক ৯০ লক্ষ আদিবাসী ছিলো এই বিশাল অরণ্যের আরণ্যকতা গায়ে মেখে, আজ তা এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২/৩ লাখে । সম্পদ আর বসতি স্থাপনের কারনে স্পেনিয়ার্ডদের হাতেই মারা গেছে এর অধিকাংশ আদিবাসী । পৃথিবীতে যা হয়ে থাকে - “জোর যার, মুল্লুক তার” সভ্যতার সংমিশ্রনে শংকর হয়ে যাওয়া থেকে আর সকল প্রতিকূলতাকে ঠেলে যারা রয়ে গেছে তাদের মধ্যে আছে ২১৫টি এথনিক গ্রুপ আর এরা কথা বলে ১৭০ টি ভাষায় । অরণ্যের গহন গভীরে এখোনও ৫০টির মতো এথনিক গ্রুপ রয়েছে যাদের এ পর্য্যন্ত সভ্য জগতের আলো দেখা হয়ে ওঠেনি ।



ছবি-২১ আদি অকৃত্রিম….

ওদিকে ভাস্কোদা-গামা সত্যিকারের “ইন্ডিয়া”তে পা রেখেছেন ফেলেছেন তার পরে পরেই। কিন্তু “ইন্ডিয়ানস” নামটি গায়ে মেখে আছে আজো এই অরণ্যের গহনচারীরা । এই আদিম অরন্যের মানুষগুলি এই মাটিতে কি করে এলো তা নিয়ে আর্কিওলজিষ্টদের ভেতরে রয়েছে নানা অনুমান, নানা বাদানুবাদ । এর ভেতরে সবচেয়ে প্রাচীন এবং বহুল প্রচারিত হাইপোথিসিসটি হলো – শেষ বরফ যুগের পরেপরেই সাইবেরিয়া অঞ্চল থেকে এদের আগমন ঘটে এখানে ।এটি যে সম্ভব তা নিয়ে তর্ক-বিতর্কে “কনটিকি” আর “কানতুতা”র মতো এক্সপিডিশানের জন্ম । “কনটিকি” এক্সপিডিশানের কথা আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন, পড়েছেন ইংরেজী পাঠ্যপুস্তকে । হামবোল্ট স্রোতের (Humboldt Current ) সহায়তায় দক্ষিন আমেরিকার পশ্চিম অংশ থেকে যে পলিনেশিয়ান দেশগুলিতে যাওয়া যা তা-ই প্রমানিত হয়েছে এই সব সমুদ্র যাত্রা থেকে ।



ছবি-২২ প্রকৃতির সন্তানেরা…

একদিন এমোনতরো রহস্য আর আদিমতা নিয়ে পড়ে থাকা আমাজন কালের বিবর্তনে আজ তার রং-রূপ হারাতে বসেছে ।প্রতি বছর লক্ষ্ লক্ষ্ একর জমির গাছপালা পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে ।

কেন ?

বসতি চাই… চাই টাকা । গ্লোবাল অর্থনীতির সাথে জুড়ে দিতে হবে একে ।এর অফুরন্ত সম্পদকে শুষে নিতে হবে । তাই জঙ্গল কেটে পরিষ্কার করতে হচ্ছে “টিম্বার” সরবরাহের জন্যে । মাংশ আর চামড়া রফতানীর জন্যে গড়ে তুলতে হচ্ছে “ক্যাটেল গ্রেজিং ফিল্ড” ।“ক্যাটেল র‍্যাঞ্চ” বানানোর নামে চলছে অরণ্য কেটে জমি দখলের উৎসব, ঠিক যেন আর একটি বাংলাদেশ ! তেল-গ্যাস আর খনিজের খোঁজে হেক্টরের পর হেক্টর জঙ্গল সাফ-সুতেরো হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই ।

তাই আদিম অরন্য থেকে বিশ্ব অর্থনীতিতে সামিল হতে আমাজনকে খোঁয়াতে হচ্ছে তার আব্রু তার সতীত্ব । প্রতি সেকেন্ডে একটি ফুটবল মাঠের মতো এলাকার আরণ্যক আব্রু খসে পড়ছে মাইনিং আর বন-উজাড়ের কারনে । শিউরে ওঠার মতো । ১৯৭০ সাল থেকে এ পর্য্যন্ত ১৪ লাখ হেক্টরেরও বেশী জঙ্গল হারিয়ে গেছে এভাবে । এইসব কারনে আর বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলে সৃষ্ট দাবানলে এর চেয়েও বেশী পরিমান এলাকা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ । রুক্ষ হয়ে গেছে প্রান্তর । হারিয়ে যাচ্ছে প্রানী বৈচিত্র ।



দেখেশুনে মনে হচ্ছে আমাদের “সুন্দরবন” আর “মধুপুর শালবন” এর মতো দূর্ভাগ্য বরন করতে যাচ্ছে আমাজন । একদিন সভ্যতার বলি হয়ে আমাজন যদি হারিয়ে যেতে বসে তবে কি পৃথিবী ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগতে শুরু করবে ?



ছবি ও সূত্রঃ Internet / The Amazon: The World's Largest Rainforest . By Rhett A. Butler / Indigenous peoples in Brazil From Wikipedia / Amazon -rainforest-plants.html / Amazon plants and trees By WWF. / And others.

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +১৬/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

শাহেদ চট্রগ্রাম বলেছেন: পিলাচ বস।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহেদ চট্রগ্রাম,
আপনার যে ভালো লেগেছে তা জেনে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ পড়ার এবং মন্তব্যের জন্যে ।

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২৮

বোকামন বলেছেন:






চমৎকার পোস্ট ...
ঠিকই বলেছেন “সভ্যতার বলি’ ...

আপনার পরিশ্রমের জন্য কৃতজ্ঞতা সম্মানিত লেখক....
ভালো থাকবেন!

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকামন ,
আপনার এই একটি মন্তব্যেই আমার সকল পরিশ্রমের ঘাম শুকিয়ে গেছে । ধন্যবাদ অফুরান ।

হুমমমম... সভ্যতার নেকটাইটি গলায় বেঁধে আমাদের এখোন হাসফাঁস অবস্থা । শ্বাসের বড্ড কষ্ট ......

ভালো থাকবেন আপনিও ।

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫

ইউরো-বাংলা বলেছেন: চমৎকার সব তথ্য, ভাই ব্রাজিল থাকেন নাকি ?

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: ইউরো-বাংলা ,
নারে ভাই... আমি ব্রাজিলবাসী নই । ইটপাথরের বস্তিতে ভরা আর দুষিত বাতাসে ঢাকা যে রাজধানী শহরটি আছে এই বাংলায় সেখানেই থাকি আমি ।
হা... আপনাদের চমৎকার তথ্য দেয়ার জন্যে একটু খাটতে হয়েছে আর কি....।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।

৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

ইসমত ইলা বলেছেন: পড়ে ভাল লাগলো। অনেক কিছু সহজ করে জানতে পারলাম। আপনাকে লিখার ব্যাপারে উৎসাহিত করিছ। শুভকামনা রইল। ভাল থাকবেন।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ইসমত ইলা,
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে । আমি খুবই সাধারন একজন, তাই জটিল করে লিখতে পারিনে । কথার ছলে লিখি আর তা যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে তা আপনার মহানুভবতা ।
উৎসাহ দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ ।
আপনি কষ্ট করে আমার ব্লগের বাকী অন্দর মহলটি ঘুবে এলে খুশি হবো । আপনার ভালো লাগতে পারে জেনে সাথে আর একটি লিংক দিলাম -

Click This Link

ভালো থাকুন ....

৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১০

আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন: দারূণ পোস্ট.......অঅঅঅঅনেক কিছু জানলাম........ +++++++

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩০

আহমেদ জী এস বলেছেন: আহমেদ সাব্বির পল্লব,

সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ । সাথে থাকবেন ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০৯

ভবঘুরের ঠিকানা বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই । এরকম তথ্যবহুল লেখা আরও চাই ।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভবঘুরের ঠিকানা,

সুন্দর বলার জন্যে ধন্যবাদ ।
আমি তথ্যবহুল লেখারই চেষ্টা করি যদি তা এধরনের পোষ্ট হয়, কতোটুকু হয়ে ওঠে জানিনে ।
আপনার জন্যে একটা লিংক দিলাম । ভালোলাগার মতো কিছু পেলেও পেতে পারেন ।

Click This Link

৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

জুন বলেছেন: তথ্যনির্ভর পোষ্ট অনেক কিছু জানা হলো আহমেদ জীএস ।অবশ্য এটা নিয়ে ন্যাশনাল জিওতে অনেক ডকু দেখার সৌভাগ্য হয়েছে । কিন্ত প্রান্জল বাংলায় পরিপুর্ন বোধগম্য লেখায় +

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
আপনার মতো সশরীরে ঘুরে বেড়ানোর মতো সুযোগ , সময় , ইচ্ছে, অর্থ এই সবগুলো একত্রে আমার ভাগ্যে জুটে উঠলো না তাই আমাকে বিনে পয়সার অন্তর্জালে সুখ মেটাতে হয় । দৌড়-ঝাপের বালাই নেই , চেয়ারে বসে শুধু কী-বোর্ড টিপে টিপে ঘুরতে যা্ওয়া । খুব সহজ, তাইনা ?
হা, এটার উপর ডকুমেন্টারি ন্যাট জিওতে দেখতেই পারেন আপনি । তারপরেও যে এখানে এসে দেখেছেন সেজন্যে কৃতজ্ঞ হয়ে রইলাম ।
চেষ্টা করি প্রাঞ্জল করে লিখতে যাতে বুঝতে পারাটা সহজ হয়ে ওঠে । কিন্তু সত্যটা কি জানেন? সবাই সব সময় সব কিছু বুঝে উঠতে পারেনা ।
ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্যে ।

৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪

এসএমফারুক৮৮ বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।

++++++

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: এসএমফারুক৮৮,
চমৎকার একটি ধন্যবাদ আপনাকে । ভালো লাগলো অনেকগুলো প্লাস দিয়েছেন দেখে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

সোহরাব হোসাইন বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট ।

১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহরাব হোসাইন ,
ধন্যবাদ আপনাকে । আপনাদের ভালো লাগছে জেনে সাহস বাড়ছে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৯

মিঠেল রোদ বলেছেন: apnar poste shudhu valo laga jananor jonno log in kora.

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: লেখক বলেছেন: মিঠেল রোদ,

ঠিক একটুকরো মিঠেল রোদ এর মতো আপনাকে আমার জানালা গলে ঢুকে পড়তে দেখে খুব ভালো লাগলো । থাকুন আরো দীর্ঘক্ষন ।

ঘুরেফিরে দেখুন আমার ঘর - গৃহস্থালী ...

প্রতিদিনই এভাবে আমার জানালায় উঁকি দিলে আরো ভালো লাগবে ।

আপনার ভালো লাগতে পারে ভেবে একটা লিংক দিলাম -

কষ্টে শুকিয়ে যাওয়া এক সাগর...
Click This Link

১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৪

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
চমৎকার পোষ্টে +++++++++++++++

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনালী ডানার চিল,

অনেক ভালোলাগলো আপনার এত্তোগুলো প্লাস দেখে । আপনার ভালো লেগেছে জেনে নিজের উপর আস্থা বাড়লো মনে হয় ।
শুভেচ্ছান্তে ।

১২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৪

জুন বলেছেন: আপনি আমার কথাটি ভুল বুঝেছেন । ইংরেজীতে বর্ননা দেয়া টিভির অনেক কথাই হয়তো বুঝে উঠতে পারিনি। যা আপনার বাংলায় লেখা পরিপুর্ন করলো।
আর টাকা, সময়, সুযোগ থাকার পরও অনেকের ঘুরে বেড়ানোর মানসিকতাই নেই, এটা আমি অনেকের সাথেই আলাপ করে জেনেছি। তাদের কাছে এটা নিতান্তই অপচয় মনে হয়।তার চেয়ে এই টাকা দিয়ে তারা কিছু জিনিস কেনা বা জমানোটাই প্রেফার করে ।
ধন্যবাদ আহমেদ জী এস

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,
আপনার কোনও কথাটিকেই আমি ভুল বুঝিনি । বরং উল্টোটা ।

আপনার প্রথম মন্তব্যের উত্তরে আমি লিখেছিলাম এটা - "চেষ্টা করি প্রাঞ্জল করে লিখতে যাতে বুঝতে পারাটা সহজ হয়ে ওঠে । কিন্তু সত্যটা কি জানেন? সবাই সব সময় সব কিছু বুঝে উঠতে পারেনা"
আমি বলতে চেয়েছি, কারো কারো পক্ষে হয়তো এই রকম " প্রাঞ্জল" ভাষার লেখাও কোন্ও কোন্ও সময় বোধগম্য হয়না । শুধু এটাই । আপনি বোঝেননি, কোথাও এমোন কথা বলিনি ।

আপনার দ্বিতীয় প্যারার উত্তরে বলি - আপনার অনেক লেখাতেই এই বক্তব্য দেখেছি । সত্য কথাটিই বলেছেন আপনি ।
আপনি অনেক দেশে দেখেছেন, ঘুরেছেন । আমার তা হয়ে ওঠেনি বলেই খানিকটা ক্ষেদ মেশানো কথা বলেছি অকপটে ।

কষ্ট করে আপনাকে আবার আসতে হলো বলে , দুঃখিত ।

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।

১৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

কৈশর বলেছেন: গুড লাগছে !!

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: কৈশর,

আমারো ভালো লাগছে আপনার সুন্দর মন্তব্যটি পেয়ে ।
ধন্যবাদ ।

১৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:১৩

আমিনুর রহমান বলেছেন:

অনেক তথ্যবহুল এবং চমৎকার গুছানো পোষ্ট। আপনি এত কম পোষ্ট দেন কেন ভাইজান। আরো সুন্দর সুন্দর বেশি বেশি পোষ্ট চাই। ভালো থাকবেন।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: আমিনুর রহমান,
প্রশংসা মেশানো মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।

কম পোষ্ট করি কেন ?
অসংখ্য কারনের ভেতরে একটা হলো , চলমান পারিপার্শ্বিকতা । বর্তমান ডামাডোলে জীবনটাকে বাহুল্য মনে হয় যে ।
" ইনহাস্ত ওয়াতানম" বলে একটা কথা আছে সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখায় । আমি শুধু দেখছি, কেবল তরুন প্রজন্ম আর আমাদের মতো গুটিকয় লোক ছাড়া আর কারো মনেই এটা রেখাপাত করেনা । চলতি প্রেক্ষাপটে এটা পরিষ্কার হয়ে উঠছে দিনদিন । খুব কষ্ট হয় বাকীদের মানসিকতার দৈন্যতা দেখে । দেশের প্রতি মমত্ববোধ যে কি জিনিস তাই-ই হয়তো এরা জানেননা । তাই লেখার প্রতি মাঝে মাঝে বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠি । আবার ব্লগকে ভালোবাসি বলে , এখানে আসা থেকে নিজেকে ঠেকিয়ে রাখতেও পারা যায় না । খুব দো'টানায় রয়েছি আজকাল ।
আর একটি কারন হলো, কি লিখবো ! কেনই বা লিখবো ! কি হবে লিখে ! ইত্যাকার ভাবনা । এটা ভাবার কারন অনেক । ভালো পোষ্ট সবাই দেখেন না, যারা দেখেন তাদের সংখ্যা তেমন একটা নয় । তবু ও তাদের কথা ভেবেই আমাকে লিখতে হয় । এরাই যে কোনও ভালো পোষ্টদাতার প্রেরনা । তাদের জন্যেই লিখি । অনেক ভাবতে হয়, পড়তে হয়, বিশ্লেষন করতে হয়, যা বলতে চাই তার সাথে সাযুজ্য খুঁজতে হয় । সময় লেগে যায় । কম পোষ্ট দেয়ার এটাও একটা কারন বৈকি ।
আমার ব্লগে অনুগ্রহ করে যদি একবার ঢুঁ মেরে আসেন তবে দেখবেন আপনার ভালোলাগার মতো অনেক কিছুই হয়তো আছে সেখানে ।

আপনাকে দেখে ভালো লাগলো আমিনুর । ভালো থাকুন ।

১৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

অবয়ব বলেছেন: পিলাস। অনেক তথ্যবহুল এবং কৌতুহলী পোস্ট।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: অবয়ব,
অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
তথ্যবহুল এবং কৌতুহলী পোস্ট হয়তো কিন্তু একটি মেসেজ দিয়েছি সেটাই আসল । বুঝতে পেরেছেন নিশ্চয়ই ?
শুভেচ্ছান্তে ।

১৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০০

সেয়ানা বলেছেন: দারূণ পোষ্ট । এরকম তথ্যবহুল লেখা আরও চাই ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সেয়ানা ,

ধন্যবাদ পোষ্টটি পড়ার জন্যে ।
আরও তথ্যবহুল লেখা চেয়েছেন বলে সম্মানিত বোধ করছি ।
আপনার জন্যে কয়েকটি লিংক দিচ্ছি । দেখলে আশাহত হবেন না হয়তো -
Click This Link

Click This Link

Click This Link

Click This Link

ভালো থাকুন , সাথে থাকুন ।


১৭| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩১

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: চমৎকার পোস্ট , তবে ছবিগুলো ভালো হয় নি । আরেকটু ভালো রেজ্যুলেশনের ছবি আপলোড দেয়া উচিত ছিলো ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: আহমেদ জী এস বলেছেন: মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়,

গোস্তাকি নেবেন না মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় । ছবি আপলোড আর তার কোয়ালিটি কি করে জাতে তুলতে হয় , এ ব্যাপারে আমি এক্কবারেই নাদান । আমার দৌড় কীবোর্ড এ আঙ্গুল রাখা আর প্রয়োজনীয় বক্সে ক্লিক করা পর্য্যন্ত । ক্ষমা করা যায় নিশ্চয়ই !
তবে ধন্যবাদ ত্রুটিটি দেখিয়ে দেয়ার জন্যে । আগামীতে যেন ভালো ছবি আপলোড করতে পারি তার জন্যে আপনার মন্তব্যটি শিরোধার্য্য করে রাখলাম ।
সাথে রয়েছেন তো ?
শুভেচ্ছান্তে ।

১৮| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৪০

হাসান মাহবুব বলেছেন: অসাধারণ লেখা। সিনেমায়, বইয়ে আমাজনকে দেখে কতবার হারিয়ে গেছি সেই সুমহান বিশালতায়!

পিরানহা সম্পর্কিত তথ্যটি অতিরঞ্জিত বলে জানি। নিমিষেই ঝাঁক বেঁধে একজন মানুষকে খেয়ে ফেলে হাড্ডিগুড্ডি রেখে দেয়, এই তথ্য ঠিক না। তাদের শক্ত চোয়াল এবং দাঁত, হিংস্রতা এবং ক্ষুধা আছে, তবে তা এতটা ভয়াবহ না। উইকিতে কী লিখসে দেখেন,

Legendary reputation

There are various myths about piranhas such as how they can dilacerate a human body or cattle in seconds. These myths refer specifically to Pygocentrus nattereri, the red-bellied piranha.[22] A recurrent myth is that they can be attracted by blood and are exclusive carnivores.[23] A Brazilian myth called "piranha cattle" states that they sweep the rivers at high speed and attack the first of the cattle entering the water allowing the rest of the group to traverse the river.[24] These myths were dismissed through research by Helder Queiroz and Anne Magurran and published on Biology Letters.[25] Nevertheless, a study in Suriname found that piranhas may occasionally attack humans, particularly when water levels are low.

১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব,
ধন্যবাদ মন্তব্য আর তথ্যের জন্যে ।
পিরানহা সম্পর্কিত তথ্যটি হয়তো অতিরঞ্জিত । তার পরেও কথা থাকে-যা রটে তা বটে... ।

এ্যানিমল প্লানেট থেকে আর একটি তথ্য দিচ্ছি ---- Piranhas are South American fish noted for their ferocity.
Piranhas may attack any living animal—including man—that enters the water they inhabit, and often eat their own kind. They attack in large schools, sometimes gathering by the hundreds to strip the flesh from a large animal.

Are Piranhas Really Dangerous?

Piranhas (pih RAHN yuhz) have triangle-shaped teeth that are razor-sharp. The fish are known as cruel killers. Sometimes they swim in large schools. They may attack a large fish or other animal in the water. The piranhas will use their sharp teeth to chop their victim into tiny bits.
However, piranhas are not always that deadly. In fact, they usually swim alone. .....

এটা দেখে আর ন্যাংটো বয়সে পড়া কা.আ. হোসেনের "মাসুদ রানা" বই থেকে নিয়ে সাহস করে ( দুঃসাহস বলবেন না তো আবার ?) লিখেছি - .... এই মাছটির ঝাঁকের মধ্যে পড়ে গেলে মূহুর্তে আপনার হাড্ডি ক’খানা ছাড়া আর কিছু খুঁজে পাওয়া যাবেনা ।

লক্ষ্য করুন - "মাছটির ঝাঁকের মধ্যে.." । অতিরঞ্জিত মনে না ও হতে পারে ।

বাদ দেন.. উইকি আর এ্যানিমল প্লানেট এর প্যাচাল । খুঁজলে আরো প্যাচাল হয়তো পা্ওয়া যাবে ।

আপনার ভালো লেগেছে লেখাটি ? অনেক সময় নষ্ট করে আমার এখানে এলেন । আগেভাগে চান্স পেয়ে তাই শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখছি নববর্ষের ।

১৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:২১

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: আপনাকে অনেকগুলো ধন্যবাদ। আপনাদের কারনেই শত ক্যাচালের মধ্যেও ব্লগে আসি।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: তন্দ্রা বিলাস ,

অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও ।
শত ক্যাচালের মধ্যেও আমার মনোভাবটি কি আর কেনই বা আমিও আপনার মতো ব্লগে আসি তার উত্তরটিও দিতে চাই আপনার জন্যে -
" ইনহাস্ত ওয়াতানম" বলে একটা কথা আছে সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখায় । আমি শুধু দেখছি, কেবল তরুন প্রজন্ম আর আমাদের মতো গুটিকয় লোক ছাড়া আর কারো মনেই এটা রেখাপাত করেনা । চলতি প্রেক্ষাপটে এটা পরিষ্কার হয়ে উঠছে দিনদিন । খুব কষ্ট হয় বাকীদের মানসিকতার দৈন্যতা দেখে । দেশের প্রতি মমত্ববোধ যে কি জিনিস তাই-ই হয়তো এরা জানেননা । তাই লেখার প্রতি মাঝে মাঝে বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠি । আবার ব্লগকে ভালোবাসি বলে , এখানে আসা থেকে নিজেকে ঠেকিয়ে রাখতেও পারা যায় না । খুব দো'টানায় থাকি । তারপরেও আপনাদের মতোন শুভ্র মানসিকতার মানুষদের জন্যে খাতা-কলম খুলে বসি । কারন এর ভেতর দিয়ে আপনাদের সাথে আমার একটা অলিখিত আর অদৃশ্য বন্ধুত্ব তৈরী হয়ে যায় বলে বিশ্বাস করি । পূতিগন্ধময়তার জন্যে তাকে ঠেলে সরিয়ে রাখবোই বা কেন !

খেয়াল করলে দেখবেন , আমার পাঠক সংখ্যা সীমিত । তাদের মন্তব্যগুলিও অধিকাংশই প্রচলিত মন্তব্যের ধাঁচে গড়া নয় । যেমন আপনি আন্তরিক ভাবেই এই মন্তব্যটি করেছেন । মনের কথা তুলে ধরেছেন । আর আমিও আপনাদের একান্ত আপন ভেবেই প্রতিটি মন্তব্যেরই উত্তর যত্ন করে দিয়ে থাকি । খেয়াল করেছেন হয়তো ।

ব্লগ তো আমাদের অবসরের সঙ্গী, ভালোলাগার বাগান । নিজস্ব ভূবন ! সেখানে সবারই আলাদা এবং অন্যরকম মানসিকতা নিয়েই প্রবেশ করা উচিত । তাইনা ?
ভালো থাকুন, সাথে থাকুন ।

২০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪২

রাতুল_শাহ বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট,
প্রিয়তে রাখলাম।

১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাতুল_শাহ ,
অনেকদিন পরে আপনাকে আমার এখানে দেখে ভালো লাগলো । প্রিয়তে রাখার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
ভালো থাকুন এবং সাথেই থাকুন ।

২১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৩

পূরান পাগল বলেছেন: Oshadharon post. 1 nissase pore fellam.ajkal blog e ondho dolio procharpotrer (poster) ottachare asa hoyna.sudhu apnar post e comments. Korte mob theke login korkam. Valo thakben.

১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: পূরান পাগল ,
অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার কথাগুলো । কষ্ট করে মোবাইলে মন্তব্য করেছেন বলে কৃতজ্ঞ হয়ে থাকলাম ।
সময় পেলে এই পোষ্টের কয়েকটি মন্তব্যের উত্তরে দেয়া বড়সড় লেখাগুলো পড়লে আপনার ভালো লাগতে পারে । মন খারাপ তো লাগতেই পারে যা বলেছেন তা নিয়ে । সময়ই একদিন সব ঠিক করে দেবে , এই বিশ্বাস রাখুন ।
আপনিও ভালো থাকবেন । সাথে থাকুন.....

২২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৩

রুপ।ই বলেছেন: ভালো লেগেছে .....আবার আসাতে হবে মনে হয়।

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: রুপ।ই,
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম । আবার আসা নয়, আসুন - সাদর আমন্ত্রন আমার ব্লগে ।
ভালো থাকুন এবং সাথেই থাকুন ।

২৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

জর্জিস বলেছেন: View this link

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: জর্জিস ,
ধন্যবাদ । আপনার লিংকটি দেখেছি, খুব সুন্দর। ছবিগুলোও পরিচ্ছন্ন ।
তবে আপনার এই লেখাটি আমি দেখিনি । এটা বিশ্বাস করতে পারেন । আপনার মতো আমারো সূত্র ইন্টারনেট । তাই তথ্যের মিল থাকাটাই সম্ভব ।

ভালো থাকুন । সাথে থাকুন । আর নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো ।

২৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

আজমান আন্দালিব বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্টটি প্রিয়তে...

১৩ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: আজমান আন্দালিব ,

ধন্যবাদ প্রিয়তে রাখার জন্যে ।

এখানে দেখে খুব ভালো লাগলো ।

কেমন আছেন আপনি ? নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো ।

২৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
আমাজান ব্রাজিলের একটা বিশ্ব রাজনীতির হাতিয়ার

অনেক অজানা তথ্য।


প্লাস সহ প্রিয়তে

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: বাংলাদেশী দালাল ,

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ । বিশ্ব রাজনীতির হাতিয়ার কে নয় ? আমরাই কি এর বাইরে আছি ?

প্লাস সহ প্রিয়তে নিয়েছেন জেনে কৃতজ্ঞ হয়ে রইলাম ।
দেরীতে হলেও নববর্ষের শুভেচ্ছা ।

২৬| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বেশ কয়েকবার আপনার এই পোষ্ট টি দেখবো দেখবো করেও ক্লিক করিনি ! কলেজে থাকতে ভূগোল নিয়ে বহুত পেরেশানিতে সময় যেতো। তাই ভূগোলে বসবাস করেও এর প্রতি আগ্রহ হয় না , বোঝায় সমস্যা হয় বলে।

আমাজানের আকাশ থেকে তোলা, কুহকী অরণ্য আর পদ্মপাতার পালঙ্ক ছবিটা দেখে মুগ্ধ ! সামনাসামনি দেখতে পেলে হয়ত সেটা আর লিখে ফুটিয়েই তুলতে পারতাম না !

অ্যানাকোন্ডার কথা আবার মনে পরে গেলো ! প্রতি মুহূর্তেই একটা সাসপেন্স !

শুভেচ্ছা আপনার জন্য। বর্তমান অস্থিরতা কেটে গেলে নতুন পোষ্ট নিয়ে আসুন। ১০ তারিখের পর আপনার আর পোষ্ট আসে নি। কোনো গল্প হলে ভালো হয় !

২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন:
অপর্ণা মম্ময়,

শেষতক ক্লিক করতে পেরেছেন বলে স্বস্তি পেলুম ।
লিখেছেন - বর্তমান অস্থিরতা কেটে গেলে নতুন পোষ্ট নিয়ে আসুন।
আমি অস্থির কে বললে আপনাকে !
অনেক হিসেব রেখেছেন । নতুন পোষ্ট ? আপনি জানেন, একটি প্রসব বেদনা, কতো কষ্টকর অনেকটা সময় নিয়ে জুড়ে থাকে ? নিজের কারনেই আমাকে তাই খানিকটা ভেবেচিন্তে লিখতে হয় । হয়তো সে কারনেই লেখা সব সময় দেয়া হয়ে ওঠেনা । আপনি ভালো গল্পকার তাই হয়তো গল্প দেখলেই ভালো লাগে । নিরাশ করছিনে - আমার খান কয়েক গল্প আছে এখানে । নতুন গল্প যতোক্ষন না লিখছি ততোক্ষন ইচ্ছে হলে সেগুলো দেখতে পারেন অনুগ্রহ করে ।

তবে সিরিয়াস বিষয় নিয়েও আমি গল্পের মতোই লিখতে চেষ্টা করি । আপাতত তারই একটা লিংক দিচ্ছি যদি তাতে গল্পের কিছুটা তিয়াস মেটে আপনার -
কষ্টে শুকিয়ে যাওয়া এক সাগর -http://www.somewhereinblog.net/blog/GSA1953happy/29571481

শুভেচ্ছা নেবেন । শুভরাত্রি ....

২৭| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২৩

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: দুর্দান্ত পোষ্ট !

২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বপ্নবাজ অভি ,

ভালোলাগলো মন্তব্যটি ।

ধন্যবাদ রইলো, রইলো এই রাত্রির শুভেচ্ছা ও ......

২৮| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সময় নিয়েই না হয় লিখুন । আর এই পোষ্ট দেখেই বলেছিলাম অস্থিরতার কথা

এখানে

বেশী বললে দুঃখিত!
ভালো থাকুন । আর সময় নিয়ে আপনার দেয়া লিঙ্কে গিয়ে পড়ে আসব।
শুভ রাত্রি

২৬ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপর্ণা মম্ময়,

আপনার আন্তরিকতার জন্যে ধন্যবাদ ।
আমি প্রতিদিনই একটু একটু করে লিখছি আমার খেরো-খাতায়। নিজের জন্যে - আপনাদের জন্যে ।

যতোদিন নতুন কিছু না পাচ্ছেন, একজন সিরিয়াস পাঠক হিসেবে আপনার কাছে নিশ্চয়ই আশা করবো, আপনি প্রায় প্রতিদিন একটু একটু করে আমার লেখাগুলো দেখবেন যদিও জানি আপনি ব্যস্ত মানুষ।অযাচিত অনুরোধ করে ফেলেছি কি ?

ভালো থাকুন এবং আনন্দে .....

২৯| ০৮ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬

মিজান ঢাকা ব্লগ বলেছেন: এই সব পোস্ট পরতেই ত ব্লগে আসা।

ধন্যবাদ ভাই...।

০৮ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: মিজান ঢাকা ব্লগ ,

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ।

সাহস করে একটি লিংক দিচ্ছি , আপনার ভালো লাগতেও পারে --

কষ্টে শুকিয়ে যাওয়া এক সাগর
Click This Link

শুভেচ্ছান্তে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.