নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

এমোন করে হয়না ........

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

এমোন করে হয়না ........





এমোন করে ভালোবাসা হয়না, জানকী !



গৃহস্থমাচায় যে লাউশাক বাড়ে ধীরে

পরম নিভর্য়ে জড়িয়ে কাছের কঞ্চিরে

উদ্ধর্গামী - উন্নত শিরে, তার ভয় নেই

পতনের, স্খলনের দাগে পোড়েনা দেহ

তার, কবেকার – ভয়হীন যাত্রা নিমেষে

ফুলেফলে ভরন্ত হয় একান্ত বিশ্বাসে ।



এছাড়া লাউডগায় ফোটেনা ফুল, জানকী !



গৃহস্থমাচায় যে লাউশাক বাড়ে ধীরে

সন্দেহ কীট যদি একবার তারে

দংশায়, নধর শরীর ছোঁয় ভুলে

লেগে যায় নিদাঘ বাহারী লতায়

কৌমার্য্য খসার গরল দাগ কোনও

নিশ্চিত পচন তখোন ছড়াবে জেনো ।



সন্দেহকীট এভাবেই খায় ভালোবাসা, জানকী !

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১০

মামুন রশিদ বলেছেন: সন্দেহকীট এভাবেই খায় ভালোবাসা, জান কী !


চমৎকার রুপক কবিতা :)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: মামুন রশিদ,

হুম কীটদংশন থেকে বাঁচতে হলে, জান তে হবে ।
আসলেই সন্দেহ বড় ভয়ানক, তাইনা ?

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:২১

টুম্পা মনি বলেছেন: গৃহস্থমাচায় যে লাউশাক বাড়ে ধীরে
সন্দেহ কীট যদি একবার তারে
দংশায়, নধর শরীর ছোঁয় ভুলে
লেগে যায় নিদাঘ বাহারী লতায়
কৌমার্য্য খসার গরল দাগ কোনও
নিশ্চিত পঁচন তখোন ছড়াবে জেনো ।

সুন্দর, সুন্দর।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: টুম্পা মনি ,

স্মৃতি যদি বিশ্বাসঘাতকতা না করে তবে আমার পোষ্টে এটাই সম্ভবত আপনার প্রথম মন্তব্য ।

"সুন্দর, সুন্দর।" বলে শেষ করেছেন মন্তব্যটি । এজন্যে সুন্দর একফালি শুভেচ্ছা আপনাকে ও ।

শুভরাত্রি ।

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৭

তন্দ্রা বিলাস বলেছেন: ওয়াও! দারুন লিখেছেন।
প্লাস রইল।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: তন্দ্রা বিলাস ,

ওয়াও... প্লাস দিয়েছেন দেখছি ।

আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হবার সাথে সাথে আপনাকে ধন্যবাদ দেয়ার কথাটিও জানিয়ে রাখছি ।

৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: সংক্ষিপ্তাকারে অনেক গভীর ভাব তুলে এনেছেন কবিতায়। অনেক দিন পর আপনার কবিতা পড়লাম। নিঃসন্দেহে ভালো লেগেছে।

পচন , ফোটে না ফুল --- বানানটা ঠিক করা দরকার ভাইয়া।

শুভকামনা রইলো

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপর্ণা মম্ময় ,

ধন্যবাদ ত্রুটিটুকু শোধরাতে বলার জন্যে । শুধরে দিচ্ছি । আসলে খুব তাড়াহুড়ো করে লিখেছি ঘন্টা খানেকের ভেতরে , যা আমি সাধারনত করিনে । তাই ত্রুটি হয়ে থাকবে ।

হুমমমম... অনেকদিন পরে আপনি ও এলেন ।

শুভেচ্ছান্তে ।

৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কবিতা ভালো লেগেছে।

জানকী’র উচ্চারণটা কী হবে? জানোকী, নাকি অন্য কিছু? ‘জান’ থেকে উৎপন্ন হলো?

এমোন আর তখোন এভাবে লেখার কারণ কী? তাহলে পতোন, স্খলোন, গৃহস্থো, পরোম, উন্নতো, দেহো, ভরন্তো, একান্তো, সন্দেহো, যোদি, নধোর, শোরীর, গরোল, কোনোও, ইত্যাদিগুলোও কি এভাবে লেখা যৌক্তিক হয় না? উচ্চারণ বিধি অনুযায়ী আমার উল্লেখ করা শব্দের উচ্চারণ এমনই, কিন্তু আমরা কখনো এভাবে লিখি না। ‘তেমোনি’ এখোন, তখোন, এমোন- এগুলো এভাবে না লিখলেও উচ্চারণ এ রকমই হবে। নরেন বিশ্বাসের একটা বই আছে উচ্চারণের উপর- সেখানে শুরুতেই খুব সিম্পল একটা উদাহরণ দেয়া আছে উচ্চারণের ব্যাপারে। শব্দের এসব উচ্চারণ আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে শেখানো হয় তা না, না-শেখা মানুষও কিন্তু শব্দগুলো এভাবেই উচ্চারণ করে থাকেন।

যাই হোক, আপনার ‘ছুটি শ্যাষ’ দেখতে পাচ্ছি (না) ;) আশা করি ভালো আছেন।

শুভ কামনা।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন:
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ,

আমার মন্তব্য যেমন আপনার ভালো লেগেছে তেমনি আপনার পান্ডিত্যের পরিচয় পেয়ে আমারও ভালো লাগছে । আমি সাহিত্যের ছাত্র নই । বরং উল্টোটা । তবে এটুকু জানি, সাহিত্য কি, বিশেষ করে কবিতাই বা কি, কি ঢংয়েই বা লেখা যায় তা; ইত্যাদি নিয়ে হাযারো তত্ত্ব ও তথ্য আছে । সেদিকে না ই বা গেলাম ।

প্রসঙ্গ তুলেছেন বলে খানিকটা না বললেই নয় । শুধু বলি - সাহিত্য ভাঙে প্রতিনিয়ত এর চলন, এর বলনে । তবেই না সাহিত্য ঋদ্ধ হয়, তার রূপ খোলতাই হয় । শুধু ব্যাকরণ মেনে সাহিত্য চলেনা । স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ও তাই বলে গেছেন, চলেছেন ও অনেক ক্ষেত্রে না মেনেই । চললে আমাদের বঙ্কিমীয় যুগেই পড়ে থাকতে হতো । আপনার পান্ডিত্য বলে - এগুলো আমার চে’ আপনি ঢের ভালো বোঝেন ।

বিশেষ করে কবিতা সাহিত্যের ব্যাকরণের হাত ধরে চলে না অনেকটা সময়েই । ব্যাকরণ হয়তো লেখায় শুদ্ধতা আনে কিন্তু “না – ব্যাকরণ’ যে কেবল অশুদ্ধতা আনে এমোন কোনও কথা নেই । কবিরা শব্দ নিয়ে ভাঙাগড়ার খেলায় মেতেছেন অনেক। তাতেই কবিতা গতিশীল হয়েছে, মুগ্ধতা ছড়িয়েছে । একসময় এই ঢাকাতেই কবিতা নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে । ছন্দ নিয়ে, বানান নিয়ে সব বাঘা বাঘা কবি-সাহিত্যিকেরা পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছিলেন বলেই আপনি আজকের আমাদের সাহিত্যজগতটিকে এমোন দেখছেন ।

কবিতা কি, এ নিয়ে অনেক তর্ক আছে । আধুনিক কালের ভাষায় “ক্যাচাল” আছে বলতে হবে । (“ক্যাচাল” না “কেচাল” কোনটি ঠিক হবে ?)
কবিতার ভাবসম্পদই কি আসল ? নাকি কথার ইন্দ্রজাল ? নাকি ঠ্যাংগারে কিছু শব্দ ? আসলে যিনি লিখছেন যে ভাবখানি নিয়ে তা-ই সত্য । তাকে সাহিত্য বলুন আর যাই বলুন, কবির সে সত্যই কিন্তু সাহিত্যের সম্পদ ।
সে সূত্রেই আজকাল আর বানানের গায়ে ব্যাকরণের ইস্তিরী করা পোষাকটি চড়ালেন কিনা তা মূখ্য নয় । দেখতে বাহারী হলেই হলো । আজকাল আর বানানের “আ-কার” বা “ও-কার” নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলে । আর আপনি যা বলেছেন তা “উচ্চারন” এর ব্যাপার । ফোনেটিক্স কি লিখে বোঝানোর জিনিষ ? না কি বোঝানো যায় ? চোখ কি শব্দের উচ্চারন শোনে, না শোনে কান ? যেমন আপনি “ এখন” এই শব্দটিকে কি ভাবে উচ্চারন করেন ? “এখন” না “এ্যাখোন” ? একবার উচ্চারন করে দেখুন , কোনটা !
চোখ দেখে “এখন” আর মুখ তা দেখেই বলে “এ্যাখোন” । আর সেটাই যদি হরফে ধৃত হয় তবে ভাষার জাত গেল বলে চেল্লানো ঠিক বুদ্ধিমানের কাজ হবে কি ? মনে তো হয়না ! হবহু ব্যাকরণ মেনে চলা তো রাজকীয় শকটে চেপে ধীর লয়ে গঙার ধারে প্রাতঃসমীরন সেবন করার মতো । আমি নগন্য জনতার ভীড়ে আরো নগন্য একজন । আমার তো লাফ দিয়ে বাস-টেম্পুর হ্যান্ডেল ধরে ঝুলে পড়লেই হলো । তাতে কি আমার গন্তব্যে যাওয়া হয়ে উঠবেনা ? নিদেন পক্ষে বুড়িগঙ্গার নির্মল হাওয়া ( এখোন অবশ্য দুর্গন্ধী ) খাওয়া যাবে তো ?( আরো বলা যেতো , স্থান আর সময়ের স্বল্পতায় তা হয়ে উঠলোনা ।)

আর “জানকী” প্রসঙ্গে বলি – জান থেকে এর উৎপত্তি নয় । মূল ধাতু “ জনক “ থেকে এসেছে । শব্দটি বিশেষ্য পদ । জনক রাজার কন্যা । আপনি যাকে “সীতা” বলে জানেন । “জানকী” কে আপনি উচ্চারন করতে পারেন “ জানোকি” কিন্তু “ জানোকী” নয় ।

আশা করি আপনার জানতে চাওয়াগুলোর কিছুটা হলেও জানাতে পেরেছি ।
খুব ভালো লাগলো আপনার বিশ্লেষনাত্মক মন্তব্য । কবিতাটি যে আপনার ভালো লেগেছে এটা জেনে ভালো লাগলো ।

ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।

৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

ভিয়েনাস বলেছেন: সন্দেহকীট এভাবেই খায় ভালোবাসা, জান কী ! খুব চমৎকার হয়েছে.....আসলেই সন্দেহ খুব খারাপ জিনিস। সকল কিছু ধ্বংস করে দেয়।
ভাইজান আপনি অনেক সুন্দর কবিতাও লিখেন দেখছি।

ভালো লাগলো :)

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভিয়েনাস ,

আমি কবিতা লিখিনে । লেখার চেষ্টা করি । আপনাদের পছন্দ হলে সাহস বাড়ে । তাতে আবার একটা সমস্যা হতে পারে । আমার আজেবাজে কবিতাকে ও তখোন আপনাদের গিলতে হতে পারে !
( হা...হা...হা... )

হুমমম সন্দেহ তো ঘুন পোকা । খেয়ে ফেলে মূল-কান্ড শুদ্ধু বসতবাটি সব ।

ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য আর সাথে থাকার জন্যে ।

ভালো থাকুন ।

৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৯

জুন বলেছেন: সন্দেহ করা ঠিক না । তবে লাউ গাছ বেয়ে উঠা কঞ্চিটাও ভালো হওয়া দরকার। ঘুনে ধরা পঁচা হলে দুজনের জন্যই মুশকিল আহমেদ জী এস।
+

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,

চমৎকার ! খুব বুদ্ধিমতী আপনি ।
হুম সন্দেহের ঘুনপোকা সেখানে ( যে দিকে আঙ্গুল তুলেছেন ) ও বাসা বাঁধতে পারে । তবে সন্দেহটা একতরফাই বেশী হয় ।
কঞ্চির চেয়ে লাউডগা নাজুক বেশী, তাইনা ? পচনটা সেখানেই লাগে আগে । লাউডগা হেজে গেলে কঞ্চির ও তো দীর্ঘশ্বাস পড়তে পারে । এটা ভেবে যে, তাকে জড়িয়ে ছিলো যে জন, সে জন গেছে কোথা ভাসি.......
[ জানকীকে সেটাই বলা হয়েছে হয়তো কবিতায় ]

একখানা প্লাসের জন্যে ধন্যবাদ অসংখ্য আপনাকে ।

ভালো থাকুন আর সাথেই থাকুন ।

শুভ সন্ধ্যা ।

৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০২

বোকামন বলেছেন:
উদ্ধর্গামী - উন্নত শিরে, তার ভয় নেই
পতনের, স্খলনের দাগে পোড়েনা দেহ


হূম ...
হয়তো জানার ইচ্ছে নেই- লাউডগার .. ফুলের .. লতার ..

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকামন ,

হুমমমমমমমমমম কারোই , লাউডগার .. ফুলের .. লতার .. জানার ইচ্ছে নেই কঞ্চিটার রোদ ফসলা দিন একএকা কাটবে কি করে ! বিষন্ন একাকী রাতে তার স্বপ্ন দেখা হবে তো !

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে এবং সাথে শুভেচ্ছা ।

৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: কবিতা ভালো লেগেছে প্রিয় আহমেদ জী এস !

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বপ্নবাজ অভি ,

খুব ভালো লাগছে শুনে যে, খুব তাড়াহুড়ো করে লেখা কবিতাটিও আপনার ভালো লেগেছে ।

সব সময় সাথে আছেন বলে কৃতজ্ঞ ।
ভালো থাকুন ।

শুভেচ্ছান্তে ।

১০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আরে বাহ! আজকে সবাই দেখি খুব সুন্দর সুন্দর কবিতা দিচ্ছে আর আমার রাত্রি হয়ে যাচ্ছে কবিতাময়! আমার বেশ ভালো লেগেছে। শুভেচ্ছা রইল।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাল্পনিক_ভালোবাসা ,

বেশ নন্দিত ভাবে মন্তব্যটি করেছেন ।
শুধু রাত্রি কেন , আপনার ঝকঝকে দিনগুলোও কবিতাময় হোক ।

তবে সাধু সাবধান , সন্দেহ বড়ো বেশী ঘাতকী .....

ধন্যবাদের সাথে একগোছা শুভেচ্ছাও রইলো আপনার জন্যে ।

১১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০২

নেক্সাস বলেছেন: অনেক ম্যাচিউরড একটা কবিতা। খুব সুন্দর বাক্য বিন্যাস ও উপমার সরস ব্যাবহারে প্রাঞ্জল...

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: নেক্সাস,

কি বলা যায় আপনার এই মন্তব্যের উত্তরে !
চা'য়ের লিকারের মতো তাজা, সুগন্ধিময় !

ভেবে মরি .......

শুভেচ্ছান্তে ।

১২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬

রাতুল_শাহ বলেছেন: সুন্দর

জানকী মানে বুঝলাম না।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাতুল_শাহ ,

“জানকী” হলো জনক রাজার কন্যা । আপনি যাকে “সীতা” বলে জানেন । সীতার আর এক নাম জানকী । শব্দটি বিশেষ্য পদ ।

আমরা ধাঁধা হিসাবে বলিনা - " সীতার আর এক নাম জান কি ?"

এবারে সহজ হলো মনে হয় , তাইনা ?

১৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো কবিতা।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব,

খুশি হয়েছি আপনাকে দেখে ।

শুভেচ্ছান্তে ।


[ অনেকদিন আপনার ঘরে হানা দেয়া হয়না । যাবো দেখি শিগগির ...]

১৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
চমৎকার কবিতা।


++++++++

চতুর্থ ভাললাগা রেখে গেলাম।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: স্নিগ্ধ শোভন,

ভালোলাগার কোনও প্রথম দ্বিতীয় নেই ।

অনেকগুলো প্লাস দেয়াতে কৃতজ্ঞ ।

ভালো থাকুন, স্নিগ্ধ থাকুন শোভন ।

১৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৫

আমি ইহতিব বলেছেন: দারুন একটা কবিতা পড়লাম, খুব ভালো লাগলো।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: আমি ইহতিব,

ধন্যবাদ এমোন মন্তব্যের জন্যে ।
ভালো থাকুন ।

শুভেচ্ছা জানবেন ।

১৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: একটা চিন্তাকে কেন্দ্র করে পুরো কবিতার আবর্তন- মোহনীয়!

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রোফেসর শঙ্কু,

মোহনীয়, আপনার এক বাক্যে করা কবিতার পোষ্টমর্টেমটি ও ।

শুভেচ্ছা জানবেন । ভালো থাকুন ।

১৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪২

রাতুল_শাহ বলেছেন: জ্বি ভাই:)

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাতুল_শাহ,

ইমোর ফোকলা দাঁতের হাসিতেই বোঝা গেল বেশ মজা পেয়েছেন । :P

শুভেচ্ছান্তে ।

১৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যাক ভালো লাগলো, একটা প্রশ্ন করে অনেক অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে পারলাম। তবে আমি আমার মূল পয়েন্টটা আপনাকে ধরিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছি। আমি ভেবেছিলাম ‘এমন’ শব্দটা আমরা যেভাবে উচ্চারণ করি আপনি তা নির্দেশ করার জন্য ওটা ‘এমোন’ করে লিখেছেন। আমি ঠিক জানি না, এ ব্যাপারটাকে কি শব্দের ভাঙাগড়া বলে? আমি বলতে চেয়েছিলাম যে ‘এমন’ শব্দটাকে যদি আমরা ‘এমোন’ লিখি সঠিক উচ্চারণ নির্দেশ করার জন্য (বা অন্য কোনো কারণে), তাহলে আপনার পুরো কবিতাটা নিচের মতো করে লেখা যাবে কিনা:

অ্যামোন করে ভালোবাসা হয় না, জানোকি!

গৃহস্থোমাচায় যে লাউশাক বাড়ে ধীরে
পরোম নিভর্য়ে জড়িয়ে কাছের কঞ্চিরে
উর্ধ্বোগামী - উন্নতো শিরে, তার ভয় নেই
পতোনের, স্খলোনের দাগে পোড়ে না দেহ
তার, কবেকার – ভয়হীন যাত্রা নিমেষে
ফুলেফলে ভরন্তো হয় একান্তো বিশ্বাসে।

এ ছাড়া লাউডগায় ফোটে না ফুল, জানোকি!

গৃহস্থোমাচায় যে লাউশাক বাড়ে ধীরে
সন্দেহো কীট যোদি একবার তারে
দংশায়, নধোর শোরীর ছোঁয় ভুলে
লেগে যায় নিদাঘ বাহারী লতায়
কৌমার্য্য খসার গরোল দাগ কোনোও
নিশ্চিত পচোন তখোন ছড়াবে জেনো ।

সন্দেহোকীট এভাবেই খায় ভালোবাসা, জানোকি!



‘এমন’ শব্দটাকে আমরা উচ্চারণ করি ‘অ্যামোন’ হিসাবে, তাই নয় কি?

ভালো লাগলো আপনার বিশদ বিশ্লেষণ।


ঠিক কতোদিন আগে আপনাকে আমার ব্লগে দেখেছিলাম ভুলে গিয়েছি। খুব ব্যস্ত নাকি? থাক, আমার ব্লগে যেতে হবে না, এখানে একটা রেখে গেলাম আপনার পড়ার জন্য ;)

***


ঢলের নদীতে ভাঙো তুফানের ঢেউ
ঢেউয়ের তুফানে গাঁথো নদীর কুসুম।
রাতের নিগণ্ঠে বেঁধে দিকচক্রবাল
আঁধারের গর্ভে খোঁজো রাতের কুটুম।

তারপর আঁকি
স্বপ্ন নয়, বৃক্ষ নয়, রহস্যের পাখি।
সরল শরীরে ধরে আগুনের দ্রোহ
কী আশ্চর্য ফুটিয়েছো সম্ভেদ মোহ!


কদম্ব কন্দলীকন্যা কিংবা কিংশুকিনী
ভেবে দেখো উহাদের কতোটুকু চিনি।
ধোঁয়াশার সবখানি খুলে দিয়ে বসু
প্রেম দাও হে প্রশস্য প্রেমপ্রাজ্ঞ প্রসূ।

--রহস্যের পাখি, ১০ সেপ্টেম্বর ২০০৮

***

শুভ কামনা থাকলো আহমেদ জী এস ভাই।


১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,

দেরী হলো উত্তর দিতে , সারাদিন অন্যত্র ব্যস্ত থাকাতে ।

হুমমমম .." পুরো কবিতাটা নিচের মতো করে লেখা যাবে কিনা:.." লিখেছেন । এ্যামোন করে ল্যাখা যাবেনা ক্যানো ? আপনি লিখে ফেলেছেন তো কবিতাটি । না কি ফেলেন নি ? আর আমিও লিখলাম আগের লাইনটি । কে বাঁধা দিচ্ছে লিখতে ? লিখতেই পারবেন । কেউ বাঁধা দেয়ার নেই । তবে লেখার পরে কি প্রতিক্রিয়া হবে সেটা মাথায় রাখতে হবে ।
উদাহরন দিয়ে বলি - লবন দিলে খাবারের স্বাদ বাড়ে । বেশী দিলে কি হয় ? খাবারটি পাতে তোলা যায়না । এইতো ? লবন পরিমান মতো হলেই তা কেবল পাতে তোলা যায় । এখোন আপনি যদি বেশী লবন দিতেই চান কার সাধ্য আছে আপনাকে থামায় ? কেউ নেই । যখোন বাঁধা দেয়ার কেউ নেই তখোন আপনি দিয়েই ফেললেন । কি হবে ? কেউ খাবারটি পাতে তুলতে পারবেননা । কিন্তু দিতে তো বাঁধা নেই তাইনা ?

একটা বাংলা ছায়াছবির কথা মনে পড়লো । ছবির নামটি মনে নেই, দৃশ্যটি একটি কৌতুকের । কৌতুকাভিনেতা ছিলেন মরহুম খান জয়নুল । দৃশ্যটি এরকম - খান জয়নুল একজন লজিং মাষ্টার , ছাত্র পড়াচ্ছেন । পড়ানোতে মনোযোগ নেই মাষ্টার সাহেবের । তার সব মনোযোগ জানালার ওধারে পাশের বাড়ীর মেয়েটির দিকে । দুজনে বেশ আকার ইঙ্গিত চলছে । ছাত্রটির পড়া শেষ , জিজ্ঞেস করলো , স্যার এখোন কি পড়বো ? মাষ্টার সাহেব তো ব্যস্ত অন্যদিকে । না তাকিয়েই ছাত্রকে বললেন "পাখি সব করে রব" পড় । ছাত্রটি কবিতাটি পড়া শেষ হতেই বললো, স্যার পড়া শেষ, এখোন কি করবো । কি বিরক্তি ! এই মধুর ক্ষনটিতে বাঁধা পড়া ভালো লাগে কারো ? মাষ্টার সাহেব জানালার দিক থেকে মুখ না ফিরিয়েই বললেন , সব "আ-কার" দিয়ে পড় । ছাত্র পড়ছে - "পাখা সাবা কারা রাবা রাতা পাহালা..... " । পড়া শেষ হয়েছে বলতেই মাষ্টার সাহেবের ধমক , "ই-কার" দিয়ে পড় । ছাত্র পড়ছে - "পিখি সিবি কিরি রিবি রিতি পিহিলি.... " । এভাবে চললো ... " পুখু সুবু কুরু রুবু রুতু পুহুলু .................. " শেষতক ।

এবার বোঝাতে কি পেরেছি, কোনটি গ্রহনীয় হবে আর কোনটি নয় ? কিন্তু একজন লেখক তার মত প্রকাশে স্বাধীন । এই স্বাধীনতা তাকে খরচ করতে হয় হিসেব করে । তবেই তা শোভনীয় হয় ।

বলেছি তো আমি সারাদিন " রোটি-কাপড়া অওর মকান" এর ধান্দায় ব্যস্ত থাকি । রাতে ফিরে যেটুকু সময় হাতে থাকে তার আধেকটাই চলে যায় ঘর-গেরস্থালীর ঘেরাটোপে । বাকীটুকুতে ব্লগ , মেইল করে কাটে । কি করে তখোন ব্লগারদের সবার কাছে যেতে পারি বলুন তো !

খুব লজ্জা দিলেন সোনাবীজ । নিজের কবিতাটি রেখে গেছেন আমার জন্যে । আপনার এই ভালোবাসা ফেরাতে পারি এ সাধ্য নেই ।

২০০৮ সালের কবিতা । রহস্যের যে পাখিটি পাঁচটি বছর আগে এঁকেছেন তা বেশ ডাঙর হয়েছে এতোদিনে । হয়েছে নিশ্চয়ই আরো শ্রীময়ী ।
আপনার লেখার হাত আরো খোলতাই হোক , শব্দের বুনট আরো জোড়ালো হোক এ কামনা করি । "ছাই" ওড়ালে নাকি অমূল্য রতন মেলে.. এমোনটা ছোট্টবেলা থেকে শুনে এসেছি । তাই যেন হয় !

ভালো থাকুন , সাথে থাকুন । শুভেচ্ছা রইলো ।

১৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫

একজন আরমান বলেছেন:

কবিতা সুন্দর হয়েছে। যে প্রশ্ন ছিল তা সোনাবীজ ভাই করেছেন আর তার উত্তরও পেয়ে গিয়েছি। এখন বুঝতে পারছি আপনারা দুজন কতো বড় মাপের লেখক। :-B :-B :-B

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: একজন আরমান,

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে । বেশ সাধারন আমি । বড় মাপের লেখক কিনা জানিনে ।

মনের গরজে লিখি । তা লেখা হিসেবে উৎরে যায় কিনা তার ভারতো আপনাদের হাতে ।

শুভেচ্ছান্তে ।

২০| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নাহ, আমার ব্যঙ্গটা এবারও ধরতে পারেন নি প্রিয় আহমেদ ভাই ;)

যাহোক, আপনার কথার সূত্র ধরেই বলছি- যখোন, তখোন, এমোন, দ্যাখায়- কথাগুলোকে এভাবে লিখবার প্রয়োজন পড়ে না- তাহলে অতিরিক্ত ব্যবহারের জন্য এগুলো তিতা হয়ে যায়। আপনার কবিতাটাকেও যে এ ব্যবহারগুলো খানিকটা ‘তিতা’ করে ফেলেছে আমি সেটাই বলতে চেয়েছিলাম। যাঁরা শব্দগুলোকে এভাবে লেখেন তাঁরা না জেনে বা না বুঝেই লেখেন- অনেকটা ‘এমনি এমনি’ খাওয়ার মতো। এটা আমার কাছে বোকামি মনে হয়।

ভালো থাকুন। আপনার লেখাও আরও সাবলীল ও পরিণত হয়ে উঠুক- এ কামনা থাকলো জী এস আহমেদ ভাই।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ,

দুঃখটা এখানেই , আপনিও আমার সুক্ষ ব্যঙ্গগুলি ধরতে পারেননি । আমার উত্তরগুলি , সেখানে যেমন আপনার প্রশংসা ও আছে তেমনি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়াও আছে । শুরু থেকেই যে আপনি ব্যঙ্গ করে গেছেন এটা আমার অজানা নয় । অতখানি কম বুদ্ধির মানুষ আমি নই । আর সেটা জেনেই তার উত্তরে আমি যা বলেছি তার মর্ম বুঝতে আপনাকে আরো অনেক পথ যেতে হবে । ( ভালো করে আবার পড়ুন আমার উত্তরগুলো ) আপনাকে যে প্রশংসা করেছি সেটুকুও আপনি বোঝেন নি ।

প্রবাদ আছে - " ফলন্ত বৃক্ষ ফলভারে নুয়ে থাকে " । কেবল মাথা উচু করে থাকে তালগাছ । যে কটি ফল তালগাছে ধরে তার চে' বেশী ফল ফলন্ত আমগাছের নীচে টুপটাপ করে ঝরে পড়ে যখোন তখোন বাতাসের দোলায় ।

বোঝাতে পেরেছি কি কিছু ?

আর নয় । নো হার্ড ফিলিংস , রাইট ?

সব কিছু যেন বুঝে উঠতে পারেন এমোন কামনা থাকলো আপনার জন্যেও ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।

২১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫০

শাহেদ খান বলেছেন: আপনার এবং 'সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই'-এর বিশাল বিস্তারিত কমেন্ট পড়ার পর কবিতার রেশ মাথা থেকে সত্যি আউট হয়ে গেছে ! কবিতাটা তাই আবার পড়লাম।

রূপকের কাঠামোয় চমৎকার লেখনী। +++

বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত নিয়ে গবেষণা'র আপাতত আগ্রহ নেই। শুধু আপনাদের কমেন্টগুলো থেকেই একটা ব্যাপার মনে হল, তাই কৌতুহলের বশে বলছি,
আপনি লিখেছেন,
"চোখ কি শব্দের উচ্চারন শোনে, না শোনে কান ? যেমন আপনি “ এখন” এই শব্দটিকে কি ভাবে উচ্চারন করেন ? “এখন” না “এ্যাখোন” ? একবার উচ্চারন করে দেখুন , কোনটা !
চোখ দেখে “এখন” আর মুখ তা দেখেই বলে “এ্যাখোন” ।"


--আসলেই তো তাই ! চোখ 'এখন' দেখলেও মন তো ঠিকই নিজস্ব বুদ্ধি খরচ করে বুঝে নিচ্ছে - এটা মুখে বলা/কানে শোনা 'এ্যাখোন' শব্দটা বোঝানোর জন্যই লেখা হয়েছে। ঠিক সেভাবে 'এমন' লিখলেও মন সেটাকে 'এমোন'-ই পড়ে নিতো। তাহলে শুধু-শুধু চোখের সামনে 'এমোন' ঝুলিয়ে মনের বুদ্ধিমত্তা'কে প্রশ্নবিদ্ধ করা এমন আবশ্যক কী? #:-S

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহেদ খান,
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
লিখেছেন , " বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত নিয়ে গবেষণা'র আপাতত আগ্রহ নেই " কিন্তু নিজের অজান্তেই যে খানিকটা আগ্রহ দেখিয়েই ফেলেছেন পরবর্তী কথাগুলো লিখে ।

শেষে করা আপনার প্রশ্নটির জবাব, ব্লগার সোনাবীজের মন্তব্যের উত্তরেই দেয়া আছে । ৫ নং মন্তব্যের জবাবটি দেখলেই হয়তো খানিকটা ধারনা পাবেন ।

শুভেচ্ছান্তে ।

২২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৫

শাহেদ খান বলেছেন: হাহ হা ! আমার প্রশ্ন'টা তো ঐ ৫ নং মন্তব্যের জবাব থেকেই করা হয়েছিল।

আচ্ছা, ঠিকাছে। :)

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহেদ খান,

ঠিক কি করে থাকে , বলুন ? আপনিও ৫নং মন্তব্যের জবাবটি বোঝেন নি ।

ওখানে আছে - "সাহিত্য ভাঙে প্রতিনিয়ত এর চলন, এর বলনে । তবেই না সাহিত্য ঋদ্ধ হয়, তার রূপ খোলতাই হয় । শুধু ব্যাকরণ মেনে সাহিত্য চলেনা । স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ও তাই বলে গেছেন, চলেছেন ও অনেক ক্ষেত্রে না মেনেই ...

আবার বলেছি - "কবিতা সাহিত্যের ব্যাকরণের হাত ধরে চলে না অনেকটা সময়েই । ব্যাকরণ হয়তো লেখায় শুদ্ধতা আনে কিন্তু “না – ব্যাকরণ’ যে কেবল অশুদ্ধতা আনে এমোন কোনও কথা নেই ...."

আপনার প্রশ্ন ছিলো - "তাহলে শুধু-শুধু চোখের সামনে 'এমোন' ঝুলিয়ে মনের বুদ্ধিমত্তা'কে প্রশ্নবিদ্ধ করা এমন আবশ্যক কী?"

উপরের লাইনগুলোতে আসলে যা বলা হয়েছে তার সারার্থ, কবিতায় অনেক কিছুই চলে । গ্রামারের ধার না ধেরেই ।
'এমোন' শব্দটি ব্যবহার করাতে তাই কোনও প্রশ্ন আসার কথা নয়, তাইনা ? শব্দটি ব্যবহারে ক্ষতিই বা কি ?

বোঝাতে পেরেছি ? এবারে কি ঠিক আছে ?

[ আপনার লেখা শেষ শব্দটি "ঠিকাছে"ও কিন্তু আপনার সূত্র মতে প্রশ্নবিদ্ধ হবার কথা । ]

২৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

শাহেদ খান বলেছেন: :)

অনেক কিছু তো আমি আসলেই বুঝিনি, এবং আমি বুঝিও অনেক কম। যেমন, কবিতা'র ব্যাকরণ জিনিসটা আবার কী? রবীন্দ্রনাথ থেকে শাহেদ খান ( :P ) কেউ কি ব্যাকরণ মেনে কবিতা লিখেছে কখনও? কবিতা তো খুব আবেগের বিষয়, ওকে ধরা-বাঁধা নিয়মে লিখে কী প্রকারে? ভাষা'র ব্যাকরণ হয় জানি, সাহিত্যের ব্যাকরণ কী সত্যি আছে? - জানতে চাই না, এবং থাকলেও মানতে চাই না ! :)

কবিতা রচনায় কবি অবাধ, মুক্ত এবং স্বাধীন। আপনি কবিতার ছন্দ-মাত্রা-বিন্যাস-প্রকরণ নিয়ে যেমন ইচ্ছা খেলুন, আপত্তি নেই। তবে 'বানান' জিনিস'টা বোধহয় এইটুকু স্বাধীনতা'র একটু সতর্ক অবস্থানে রাখা উচিৎ।

সারার্থে বলতে চাইলেন, "কবিতায় অনেক কিছুই চলে"। আমি বলছি, শুধু কবিতায় না, গল্প-উপন্যাস-নিবন্ধেও চলে ! যদি আঞ্চলিক ভাষায় লিখতে চান তো হাসান আজিজুল হক-এর "আগুনপাখি"র মত পুরোটাই সে ভাষায় লিখুন ! যদি ধ্বনি'র উচ্চারণ অনুযায়ী এমোন শব্দ বসাতে চান তো, কালিপ্রসন্ন'র "হুতোম পেঁচার নকশা"র মত আগা-গোড়া সবটাতেই সেভাবে লিখুন। 8-|

কিন্তু কবিতার কোনও জায়গায় এভাবে, কোনও জায়গায় ওভাবে বানান লিখলে তো বিভ্রান্তি'র ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে ! (অবশ্য লেখার মাঝখানে কোনও কোনও জায়গায় যদি কথোপকথন বা চরিত্রগুলো'র উদ্ধৃতি'র বিষয় থাকে, তখন হয়ত উদ্ধৃতি'র অংশে বানান'টাও আপনার স্বাধীনতার অন্তর্গত হয়ে যাবে।)

আমি আবারও বলছি, কবিতার প্যাটার্ন নিয়ে আমি কখনও কোনও আন্দোলন উপস্থিত করব না, কিন্তু 'বানান' বিষয়টা যদি প্রত্যেক কবি নিজেদের মত লিখতে শুরু করে, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের খবর আছে ! তারা বাংলা ২য় পত্রের মত বাংলা ১ম পত্র'কেও ভয়ানক জটিল জিনিস বলে আবিস্কার করবে !

বিশ্বাস হচ্ছে না আমি এতগুলো কথা বলে ফেললাম। ব্যাকরণ নিয়ে আমার কোনও প্রকার আগ্রহ নেই (আবারও বলছি, 'কবিতা' খুব আবেগের বিষয়, এর কোনও ব্যাকরণ থেকে থাকলেও আমি ওতে মাথা ঘামাতে চাই না)। আমি সরল পাঠক হিসেবে সবটা বললাম। আপনি আর 'সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই' ক্রমাগত রূপক-উপমা'র ব্যবহারে ব্যঙ্গ আর রস-রসিকতা করেছেন; আমাকে দিয়ে ওসব হয় না ভাই। যা মনে হয়, সোজা-সাপ্টা বলে ফেললাম।

অধিকন্তু নঃ দোষায় ! :)


('ঠিকাছে'র ব্যাপারটা উপরের কোথাও ব্যাখ্যা করে ফেলেছি। আশা করি, খুঁজে পাবেন !)

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহেদ খান,

খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যখানি । বেশ গোছানো লেখা । পরিষ্কার করে বুঝিয়ে লেখা । সবটাই বুঝতে পেরেছি , না বোঝার কোন্ও কারন নেই ।
যে প্রসঙ্গে এতো সুন্দর করে লিখলেন তার একটা আলাদা দিক তুলে ধরতে চাই যাতে আপনাদের সকলের ক্ষমা সুন্দর মানসিকতা নিয়ে ভেবে দেখতে সুবিধে হয় - আমরা কেউই এখানে নোবেল পুরষ্কার পাওয়া লেখক নই , এমোনকি দেশীয় বাংলা একাডেমী পুরষ্কারপ্রাপ্ত ও নই । সবার কথা আমি জানিনে তবে আমি যে নবীশ এবং শখের বশে লিখি এটা স্বীকার করতে দ্বিধা নেই । তাই চুলচেরা বিশ্লেষনে গেলে আমার প্রতি অবিচারই করা হবে । থাকনা, আপনাদের চোখে দু'একটা ভুল ! ক্ষতি কি !

সহ ব্লগার সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাইকে এটাই আমি বোঝাতে পারিনি ।

তবে ভালো লাগছে এটা জেনে যে, অনেক কিছু জানা গেলো আপনাদের দু'জনের কাছ থেকে । তর্ক হিসেবে বা ব্যঙ্গ হিসেবে না নিয়ে আপনি যে পরিশুদ্ধ মননের পরিচয় রেখেছেন তা মনে থাকবে দীর্ঘকাল ।

আর এ বিষয়ে কোন আলাপ না করাই আমাদের "ব্লগীয় আত্মীয়তার " জন্যে শ্রেয়তর হবে বলে আশা রাখি ।

ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।

২৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:১১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শাহেদ ভাই, কেমন আছেন? আপনার মতো মহান কবি ও গল্পকারের কমেন্টে এ অধমের নাম দেখে অাপনাকে 'উপস্থিতি' জানাতে এলাম :)

বানান বিষয়ক এ অালোচনাটা উপভোগ্য ও শিক্ষণীয় হতে পারতো, কিন্তু ব্যাপারটা ক্রমশ ভিন্ন বাঁকে মোড় নিচ্ছিল দেখে অামি ইস্তফা দিয়ে চলে গিয়েছিলাম, নেহায়েত সৌজন্যের খাতিরে অাপনার জন্য অাবার এসেছি। অামি বিনয় ভালোবাসি, বিনয়ীকে শ্রদ্ধা করি; বিনয় জ্ঞানের পরিচায়ক। অামরা অন্যত্র এ নিয়ে বিশদ অালোচনার সুযোগ পাবো অাশা রাখি।

অার কী!!!!! শব্দ ভাঙা ও গড়া, তাই না? উপরে 'রহস্যের পাখি'তে ভাঙচুরের কিছু 'খেল' খেলেছি- কিন্তু তা সবার জন্য না- যিনি বোঝেন কেবল তার জন্য :)

শাহেদ ভাই, অাশা করি এ নিয়ে এখানে আপনার সাথে অামার আর কোনো অালাপ হবে না। ভালো থাকবেন শাহেদ ভাই।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,

যদিও আপনার মন্তব্যটি শাহেদ খানকে লেখা তবু্ও আপনার একটি কথা খুব ভালো লেগেছে । তর্ক এড়াতে চেয়েছেন । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার এই সুন্দর মনোভাবের জন্যে ।

ব্লগে তো আমরা আসি সময় কাটাতে মনের যতো কথা নিয়ে । তাই একটি সুন্দর পরিবেশ আমাদের সকলের কাম্য । আপনার মনেও সে দোলাটি দেখতে পেয়ে আশান্বিত । আশা করি আগের ব্যাপারটি নিয়ে ভুল বুঝবেন না ।

আপনার সব কথা আমি বুঝতে পেরেছি । সহ ব্লগারের সহমর্মিতাটুকুই আমাদের সব কিছু ছাপিয়ে উঠুক ।

ভালো থাকুন । রাতের শুভেচ্ছা ।

২৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৫

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রিয়মানুষটিকে কিভাবে খুশি রাখবেন। দারুণ ।সন্দেহ জিনিসটা খুব খারাপ ।

এজন্যই বিশ্বাসে মেলায় বস্তু ।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার,

খুব জোরদার একটি কথা বলেছেন, "বিশ্বাসে মেলায় বস্তু "।

সন্দেহ আগাছার মতো বাড়ে , ঢেকে ফেলে সাজানো বাগান ।

ধন্যবাদ অনেক আপনাকে ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছা জানবেন ।

২৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৪

শাহেদ খান বলেছেন: আহমেদ ভাই, হয়তো ব্যস্ততার কারণে আজ আপনার ব্লগে আসা হয়নি। আপনার জবাব দেখতে এসে তাই আমি নিজের মন্তব্যটাই আবার দেখে গেলাম।

আমার কথাগুলো কি ওখানে তর্কের মত শোনাচ্ছে? যদি তাই হয়, তবে জানবেন আমি হারতেই তর্ক করি। সুস্থ তর্কে হেরে যাওয়াতেই নগদ লাভ - নতুন করে জানা হয়, নতুন ধারণা'র সূচনা হয়। জিতে গেলে আমার ভান্ডারে নতুন কিছুই যুক্ত হয় না। যারা বোঝে না, তারাই কেবল জিততে মরিয়া থাকে।

আমি আপনার জবাবের অপেক্ষায় আছি। 8-|

ব্লগার সোনাবীজ ভাই: আচ্ছা, এখানে আলাপ হবে না। অন্য যেকোনওখানে যেকোনও সময় হবে। তবে 'মহান কবি ও গল্পকার' ইত্যাদি বলে হঠাৎ আমাকে খোঁচা দিলেন কেন? :P (তবে ওসব শুনতে আমার মোটেও খারাপ লাগে না B-) )

হাহ হা !

আচ্ছা, যাই হোক। ভাল থাকবেন, দুজনই। :)

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহেদ খান,

ব্লগার সোনাবীজ এবং আপনি, দু'জনকেই আমার ভালোলাগা দিলাম বেশ দীর্ঘ সাহচর্য্যের জন্যে ।

আপনার এই মন্তব্যের জবাব হয়তো আগের মন্তব্যের ঘরে দিয়ে ফেলেছি ।

হ্যা... সময় পাইনি ব্লগে আসার । দুঃখিত , দেরী হলো বলে ।

শুভরাত ।

২৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩১

শাহেদ খান বলেছেন: আমিও নবীশ এবং শখের বশে লিখি অবশ্যই।

আচ্ছা, ওসব কথা শেষ হোক তবে। :)

ব্লগে আমার পরিচিত মানুষের সংখ্যা বেশ কম। যাদের সাথে একটু আলাপ হয়ে যায়, তাদের সাথে অনেক কথা বলে ফেলি হয়তো। তবে আমি সুহৃদ হয়েই থাকতে চাই সবার তরে। 8-|

শুভকামনা আপনার প্রতি, আহমেদ ভাই। সবসময়ের জন্য।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহেদ খান,

একটি বহুল গা্ওয়া/শোনা গানটিকে ঘুরিয়ে বলি -
" আমরা সবাই সুহৃদ-বন্ধু মোদের বন্ধু বাগানে ...." ।

ভালো থাকুন চিরটাকাল এমনি করেই .........

২৮| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার কবিতা ভাই। দেরিতে হলেও ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: এহসান সাবির ,

ধন্যবাদ আপনাকে ।
হ'লো না হয় দেরী , একদম না আসার চেয়ে তো ভালো....

শুভেচ্ছান্তে ।

২৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:০২

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: সুপ্রিয় জী এস ভাই,


কবিতার সারমর্ম অনেক কাজে আসবে। কবিতাটি আগে পড়লে হয়ত আমার জন্যে আরো ভাল হত!


শুভকামনা রইল!!

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫২

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভ্রমরের ডানা ,



অনেক পুরোনো লেখায় আপনার মন্তব্য দেখে ভালো লাগলো ।
তবে বিনে পয়সায় "ছবক" নিয়ে গেলেন , সেটা কি ভালো হলো ? :(

হুমমমমমমমমমমমমম বুঝতে পারছি ----- সন্দেহ কীট নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে !!!!!!!!!!!!!!!! :#)

ঈদ শুভেচ্ছা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.