নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

নৈঃস্বর্গের মৃত্যু উপত্যকা ....

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৬


নৈঃস্বর্গের মৃত্যু উপত্যকা ....
( ডিজিটাল ভ্রমন..... ছবি আর লেখায় / প্রথম পর্ব )

ডানহাতখানা কপালে রেখে সূর্য্যের ঝলসানো আলো ঠেকিয়ে দিগন্তে তাকালো স্মীথ । চোখ কুঁচকে আছে তার । দিগন্তপ্রসারী ঢেউ খেলানো ধূ-ধূ বালিয়ারী থেকে উঠে আসছে আগুনের হলকা । দরদর করে নেমে আসা ঘামে তার কালো চামড়া চকচক করে উঠছে । নিচের উপত্যকা আর দুরের অস্পষ্ট পাহাড়শ্রেনী তীব্র হিটওয়েভ এর কারনে যেন কাপছে থিরথির করে । ঐ পাহাড় ছাড়িয়ে আর কতোপথ পাড়ি দিতে হবে তাকে ! স্বপ্নের সোনা কি জুটবে তার ভাগ্যে ?


ছবি -১ ..... লক্ষ লক্ষ একর জুড়ে পড়ে থাকা উষর বৃক্ষবিহীন বালিয়ারী.....

ক্যালিফোর্নিয়ার পূব অঞ্চলের এই নরকের মতো গনগনে মোজাভ ডেজার্টের সল্টলেক সিটির সীমানায় দাঁড়িয়ে আছে সে । বুঝতে চাইছে যেন সামনের লক্ষ লক্ষ একর জুড়ে পড়ে থাকা উষর বৃক্ষবিহীন বালিয়ারী , কঠিন পাহাড়শ্রেনীর হালচাল । মোজাভ মরুভূমির এই বৈরী উপত্যকার শত শত মাইল পেড়িয়ে তাকে পৌঁছুতে হবে সিয়েরা নেভাদার পাহাড়ী ঢালে । তারপরে আর কতো মাইল পেরুতে হবে তাকে, “সাটার’স মিল” এলাকায় যেতে ? যেখানে ভাগ্য ফেরাতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে সারা আমেরিকার মানুষ ? পথের ধুলোয় যেখানে মিশে আছে সোনা আর সোনা ?
সোনার খোঁজে শুধু সে –ই নয়, ক্যাপ্টেন জেফারসন হান্টের নেতৃত্বে সল্টলেক সিটিতে জড়ো হয়েছে আরো আরো ভাগ্যান্বেষী । যদি কপাল ফিরে যায় ।



ছবি -২ ..... ভাগ্য ফেরাতে হুমড়ি খেয়ে পড়া মানুষ । ক্যালিফোর্নিয়া গোল্ড রাশ ।

১৮৪৯ সালের অক্টোবরের এক মধ্য সকালে তারই মতো কালো চামড়ার জো আর লিটল ওয়েষ্ট এর থেকে দশগজ দুরে দাঁড়িয়ে মনটাকে শক্ত করলো সে ।
সোনা হাতছানি দিয়ে ডাকছে তাকে, ডাকছে লিটল ওয়েষ্ট আর জো কেও । তাদের পেড়িয়ে যেতেই হবে এ পথ । ৪৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা তার গায়ে আগুনের ছ্যাকা দিয়ে যাচ্ছে যেন । গরু আর খচ্চরে টানা ওয়াগনের কাছে জড়ো হওয়া দলটির দিকে তাকালো স্মীথ।
এই মহা নরকের পথ কখন, কতোদিনে , কিভাবে পেড়িয়ে যেতে হবে তার পরিকল্পনা চলছে ওখানে । তুষার ঝড়ে কয়েক বছর আগে এই পথেই সোনার খোঁজে যাওয়া ডোনার পার্টির মর্মান্তিক পরিনতির কথা এখনও জেগে আছে দলটির মনে । তাই জানে, শীত নামার আগেই এই নরক উপত্যকার পথ ধরে সিয়েরা নেভাদার ঢাল পেড়িয়ে যেতে হবে ওদের । যেন কিছুতেই তুষার ঝড়ের সামনে পড়তে না হয় । ওল্ড স্প্যানিস ট্রেইল ধরে গেলেই তাড়াতাড়ি হবে । শীতের বরফে সল্টলেক সিটিতেই আটকে থাকার কোনও মানে নেই । ট্রেইলটি সিয়েরা নেভাদার দক্ষিন পাশ ঘেসে গেছে আর শীতকালেও ট্রেইলটি নিরাপদ । কিন্তু সমস্যা হলো, ট্রেইলটি চেনে এমন কোনও ওয়াগন চালক নেই দলে ।
তবুও চলা শুরু হলো ভাগ্যকে সামনে রেখে । সল্টলেক সিটিতে খামোখা বসে থাকার কোনও যুক্তি নেই । ইতিমধ্যেই অনেক দেরী করে ফেলেছে দলটি । আরও দেরী হলে সোনার ভাগ না ও পাওয়া যেতে পারে । উৎসাহে টগবগ করছে দলের লোকেরা । এর মধ্যেই কে এক নবাগত আগন্তুক এক শর্টকাট পথের খবর নিয়ে এলো । “ওয়াকার পাস” এর পথ ধরে গেলে দলটি ৫০০ মাইলের মতো এই নরকসম মরুভূমির রাস্তা কমিয়ে ফেলতে পারবে । পথটি মনঃপূত হলোনা ক্যাপ্টেন জেফারসন হান্টের ।
কিন্তু সোনা বলে কথা । ক্যাপ্টেন হান্টকে ফেলে দল থেকে একশ’র ও বেশী ওয়াগন ধরলো “ওয়াকার পাস” এর পথ । জো , লিটল ওয়েষ্ট আর স্মীথ রইলো ওয়াগন বহরের পুরোভাগে । কিন্তু বিধি বাম ! যাত্রার দুদিনের মাথায় গভীর এক গিরিখাতের প্রান্তে এসে থমকে দাঁড়াতে হলো দলটিকে । এ গিরিখাত পেরিয়ে যাবে কে ? দলের অধিকাংশ ওয়াগন মুখ ঘুরিয়ে ফিরে চললো ক্যাপ্টেন হান্টের পথ ধরতে । দুঃসাহসে ভর করে থেকে গেল স্মীথ আর বন্ধুরা বাকী ২০টি ওয়াগনের সাথে । ভাগ্যদেবী যদি সহায় হন তবে তাড়াতাড়িই তারা পৌঁছে যেতে পারবে গন্তব্যে । ওয়াগনের মুখ ঘুরিয়ে গভীর ক্যানিয়নটিকে ঘুরে পাশ কাটাতে অজানা এক পথ ধরে চললো স্মীথ এর কাফেলা । খরচ হয়ে যেতে থাকলো এক একটি মূল্যবান দিন । আগুনের হলকা গায়ে মেখে তবুও শেষ বাঁকটি পেড়িয়ে গেলো দলটি ক্যানিয়নের গভীর খাত ছাড়িয়ে । সামনে বৃক্ষের ছায়া বিহীন মাইলের পর মাইল ছড়িয়ে থাকা বালি আর লবনে মাখানো রুক্ষ ধূঁ-ধূঁ মরুভুমি –গ্রুম লেক উপত্যকা ।

ছবি -৩ - গ্রুম লেক .. লবনে মাখানো রুক্ষ ধূঁ-ধূঁ মরুভুমি ।

স্মীথ এর মন কু গেয়ে উঠলো এতোক্ষনে । ভাগ্যদেবী মুখ তুলে চাইবেন তো ? কিন্তু কোন পথে যেতে হবে , কোন দিকে ! পথের খোঁজে দ্বিধা বিভক্ত হয়ে গেল দলটি । দক্ষিনে বহুদুরের বরফাচ্ছাদিত মাউন্ট চার্লসষ্টোন হাতছানি দিয়ে ডাকছে যেন ভাগ হয়ে যাওয়া একটি দলকে । দুষ্প্রাপ্য পানির দেখা মিলতে পারে ওখানে । দক্ষিনের পথেই ওয়াগনের মুখ ঘুরলো তাদের । এই নরককুন্ড থেকে বেরিয়ে সম্ভাব্য একটি আশ্রয় লাভের আশায় শ্রান্ত দলটি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো যেন ।
স্মীথ এর ভাগ্য বিধাতা তখন আর এক হিসাবে ব্যস্ত । আর সোজা পশ্চিমমুখো গেলেই পাওয়া যেতে পারে ওয়াকার পাস, এই আশায় জে-হকার’স নামের মূল দলটি সোজা পশ্চিমের পথ ধরলো । ওয়াকার পাস এর খোঁজে । জো , লিটল ওয়েষ্ট আর স্মীথ রইলো দলটির আগেভাগে ।
সল্টলেক সিটি থেকে বেড়িয়েছে তারা দু’মাস হয়ে গেল প্রায় । খাবারে টান ধরলো । পানির পাত্র তলানীতে এসে ঠেকতে চাইলো । তবুও যেতে হবে, ফেরার পথ ক্রমেই সঙ্কুচিত হয়ে আসছে যে । অথচ এখনও সিয়েরা নেভাদার দেখা নেই ।


ছবি - ৪ ---- The Lost '49ers

স্মীথ এর ভাগ্যে সিয়েরা নেভাদার দেখা আর মেলেনি কোনদিন । সিয়েরা নেভাদার পথে প্যানামিন্ট ভ্যালী ছাড়িয়ে রোদ ঝলসানো তপ্ত অজানা আর এক উপত্যকায় রেড ইন্ডিয়ানদের হাতে মৃত্যু ঘটে তার । আর সে থেকেই উপত্যকাটির নাম হয়ে যায় – মৃত্যু উপত্যকা । ডেথ-ভ্যালী ।

ডেথ-ভ্যালীর গল্প এখানেই শেষ নয়
সোনা খোঁজার দল “দ্য লষ্ট ফোর্টিনাইনার্স ” (Lost '49ers) যে ভাবে দুটো দলে ভাগ হয়ে গিয়েছিলো সিয়েরা নেভাদার পথে , আপনারাও যদি তাদের সাথে পথ চলতে থাকেন তবে জানবেন ; গল্পটিও সেভাবে দু’ভাগ হয়ে গেছে এখান থেকে । কালো চামড়ার স্মীথ, জো আর লিটল ওয়েষ্টের গল্প নেই ডেথ-ভ্যালীর কোনও গুজব – গল্পে । ভাগ্যান্বেষী এই তিন কালো চামড়ার মানুষের রং, ঘামের গন্ধ হারিয়ে গেছে নেভাদার পথে ।
যে গল্প টিকে আছে তা “বেনেট আরকান” দলের কাহিনী ।
ওয়াকার পাস এর খোঁজে ক্যাপ্টেন জেফারসন হান্টের দলচ্যুত হয়ে গভীর গিরিখাতটি পেরিয়ে গ্রুম লেক উপত্যকায় এসে স্মীথের দলটি যে দুটোভাগে বিভক্ত হয়ে যায় , তা নিশ্চয়ই আপনার মনে আছে ? এখান থেকেই আবার টিকে থাকা আর একটি গল্পের শুরু ------
মিষ্টার বেনেট আর আরকান পরিবার সহ একটি দল ওয়াগনের মুখ ঘুরিয়ে ফেললো দক্ষিনে বহুদুরের বরফাচ্ছাদিত মাউন্ট চার্লসষ্টোনের পথে । তৃষ্ণার্ত নারী-শিশুদের জীবন বাঁচানোর পানির দেখা মিলবে ওখানে । মিলবে খাবার । আগেই তো ক্ষুধার্থ আর চলৎশক্তিহীন গরু আর খচ্চচরগুলিকে জবাই করে , রোদে পুড়ে নষ্ট হয়ে যাওয়া ওয়াগনের কাঠ পুড়িয়ে খাবারের সংস্থান করতে হয়েছে তাদের । বাকী চলনসই যা রইল তাই নিয়ে আবার পথে নামা । আদিগন্ত বিস্তৃত লবনাচ্ছাদিত তপ্ত উপত্যকা পেড়িয়ে চলার শক্তি নিঃশেষ হয়ে যাওয়া দলটি ওয়ার্ম স্প্রীং ক্যানিয়ন হয়ে প্যানামিন্ট পর্বতশ্রেনীর সামনে এসে দাঁড়িয়ে গেল । এই পর্বতশ্রেনী পেড়ুতে হবে তাদের । হলোনা । পরিবারের নারীশিশুদের ভোগান্তি তখন চরমে । হাল ছেড়ে দিয়ে আবার ফিরে আসতে হলো সেই লবনাচ্ছাদিত তপ্ত উপত্যকাতেই । আশা বড় কুহকিনি । বাঁচতে চাই, বাঁচাতে চাই পরিবার – এই আশা নিয়ে উইলিয়াম ল্যুয়িস ম্যানলি আর জন রজার্স বাকীদের সেখানেই রেখে চললেন খাবার আর পানির খোঁজে । প্যানামিন্ট পর্বতশ্রেনী পেড়িয়ে গেলেই সিয়েরা নেভাদার দেখা মিলবে আর মিলবে খাবার ও পানি । শীঘ্রই ফিরে আসা যাবে এটা ভেবেই পা বাড়ালেন উইলিয়াম আর জন । তারপর ..... যেতে...যেতে ...যেতে । দিন গড়িয়ে মাস গেলে ৩০০ মাইল পাহড়ীপথ পাড়ি দিয়ে পৌছা গেল মিশন সান ফার্নান্দো’তে । খাবার আর পানি জোগাড় হলো, জোগাড় হলো ৩টি ঘোড়া আর একচোখ নেই এমন একটি খচ্চর । ফেরার পথে ক্লান্ত একটি ঘোড়া মরে গেল , বাকী দু’টোকেও ছেড়ে আসতে হলো পথের মাঝে । উইলিয়াম আর জন এর এতো পরিশ্রমেও শেষ রক্ষা হলোনা । ততোদিনে সোনা খোঁজার আশা ছেড়ে শিশু ও মহিলা সহ বেনেট আর আরকান পরিবারকে ফেলে রেখে বাকীরা যে যার মতো চলে গেছে এই অভিশপ্ত মরুভূমি পেড়িয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ।


ছবি – ৫ ------ বেনেট আরকান পরিবার ।

উইলিয়াম আর জন ফিরে আসবে জীবন ধারনের রসদ নিয়ে , এই গভীর বিশ্বাস বিধ্বস্ত বেনেট আর আরকান পরিবারকে দিয়েছে পথ চেয়ে থাকার শক্তি । উইলিয়াম আর জন ফিরে এলে এই দোযখের আগুন আর মৃত্যুসম ভয়াল অভিজ্ঞতার ভেতর থেকে বেঁচে আসা পরিবার দুটি যখন এই অভিশপ্ত মরুভূমি থেকে নতুন জীবনের সন্ধানে পা বাড়ালো তখন কেউ একজন নাকি এই বিভিষীকাকে বিদায় জানিয়েছিলো এই বলে – “ গুডবাই ডেথভ্যালী ” ।
সে-ই থেকেই তার নাম হয়ে যায় “মৃত্যু উপত্যকা” ।

আপনাদের অনেকেরই হয়তো ধারনা যে , এই উপত্যকায় গেলেই মৃত্যু অবধারিত তাই নাম ডেথভ্যালী । ধারনাটি যে ভুল, তা এতোক্ষন উপরের কাহিনীর সাথে হাটতে হাটতে আপনি বুঝে গেছেন নিশ্চয়ই ! তবে এখানে ছড়ানো ছিটানো আছে অনেক মৃত স্বপ্নের নিঃশব্দ ধ্বংসাবশেষ । এর মাটি আর পাহাড়ের বর্ণিলতার মতোই ছড়িয়ে আছে হাযারো রঙিন গল্প ।
নামের সাথে “মৃত্যু” কথাটি জড়িয়ে থাকলেও এই মৃত্যু উপত্যকায় যে প্রান বৈচিত্রের দেখা মেলে, প্রকৃতি এখানে যে মনোহর রূপে সাজিয়েছে তাকে, তা আপনার শ্বাস রূদ্ধ করে দেয়ার জন্যে যথেষ্ট ।


ছবি – ৬ ----- শ্বাস রূদ্ধকর গোধূলির আকাশ নিয়ে পড়ে থাকা ব্যাডওয়াটার বেসিন ।

আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের দক্ষিনাঞ্চলের মোজাভ ডেজার্টের ৫৫০ বর্গমাইল জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে আছে এই মৃত্যু উপত্যকা । বৈরী কিন্তু ভয়ঙ্কর সুন্দর এই বিরান উপত্যকাটির ব্যাডওয়াটার বেসিন এলাকাটিতে আপনি যখন পা রাখবেন, জানবেন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৮২ ফুট নীচে আছেন আপনি । উত্তর আমেরিকাতে এটাই সর্বনীচু এবং পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণ এলাকা । একশ বছর আগে ১৯১৩ সালের জুলাই মাসে এখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫৭ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড । যা এ পর্য্যন্ত রেকর্ডকৃত পৃথিবীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা । বছরের ৬ মাস এই তাপমাত্রা ওঠানামা করে ৩৮ডিগ্রী থেকে ৪৮ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের মধ্যে । সারা বছরের গড়ে এই মাত্রা ২৫ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড । বুঝুন !
কেন এমনটা গরম এখানে ? বিশাল মরুময় প্রান্তরের মাঝে দাঁড়িয়ে আপনার এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন না । যদি স্যাটেলাইটের তোলা নীচের ছবিটি আপনি দেখেন, দেখবেন এলাকাটি একটি বেসিন বা গামলার মতো ।



ছবি – ৭-----স্যাটেলাইটের তোলা মৃত্যু উপত্যকার ছবি ।

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৮২ ফুট নীচু হবার কারনে এবং চারদিক থেকে সুউচ্চ পাহাড় শ্রেনী একে আগলে আছে বলে , উপত্যকাটি লম্বাটে একটি গামলার আকার ধারন করেছে । এই গামলার তলদেশে সারা বছর আটকে থাকে ভারী বাতাস । ১১০০০ফুট উচ্চতার টেলিষ্কোপ চূড়া সহ এর চতুর্পাশ ঘিরে থাকা সুউচ্চ পর্বতশ্রেনী ডিঙিয়ে এই বাতাসের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ নেই । ফলে , সূর্য্যতাপ বাতাসের ফাঁদে আটকা পড়ে যায় । বৃষ্টিপাত প্রায় নেই বলেই শুষ্ক বাতাস আর লবন-বালুর মেঝে (বেসিন ফ্লোর), মোজাভ ডেজার্টের গনগনে সূর্য্যের তাপে রূটি সেকা প্যান এর মতো উষ্ণতা ছড়ায় । বেসিনের পাথরগুলো এতো গরম হয়ে থাকে যে আপনি এখানে দুপুরের খাবারের জন্যে ডিম ভেজেও নিতে পারেন ।


ছবি - ৮ ------- ডেথভ্যালীর পাথুরে মেঝেতে ডিম ভাজার দৃশ্য ……..

লবন ছাড়া ডিম মুখে তুলবেন কি করে ? কুছ পরোয়াঁ নহী । ডেথভ্যালীর মেঝে জুড়ে আছে ২০০ বর্গমাইলের সল্টপ্যান (salt pan) । লম্বায় ৪০ মাইল আর প্রস্থে ৫ মাইল । সেখান থেকে খানিকটা তুলে নিলে ক্ষতি কি ?


ছবি –৯ -------ডেথভ্যালীর মেঝেতে বিছিয়ে থাকা লবনের স্তর ।

আপনি এখন বলতেই পারেন, এই পোড়ার মরুভূমিতে লবন এলো কোত্থেকে ।
প্লেইস্টোসিন যুগে উত্তর আমেরিকার আইসক্যাপের বরফ গলে গলে এখানেই ছোট ছোট সাগরের জন্ম দিলে তাদের একত্রে নাম দেয়া হয়েছিলো “লেক ম্যানলি” । বরফ গলা শেষে মরুকরনের প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া শুরু হলে এই লেকের সব পানি বাষ্পীভূত হয়ে যায় । পড়ে থাকে শুধু লবন আর লবন । আর পড়ে থাকে বোরাক্স (borax), সিলভার আর সীসা।
“গোল্ড রাশ” এর পরে ১৮৮৩ সাল থেকে ১৯০৭ সাল পর্য্যন্ত এই বোরাক্স উত্তোলনই ডেথভ্যালীকে করে রাখে মানুষের কোলাহলে মুখর ।


ছবি – ১০ . হারমোনি বোরাক্স ওয়র্কস ।

ছবি – ১১ হারমোনি বোরাক্স ওয়র্কসের খচ্চরে টানা গাড়ী ।

সোনা খুঁজতে আসা লষ্ট ফোরটি নাইনার্সের গল্পের সাথে এই যে এতোক্ষন ডিজিটালী ঘুরে এলেন সিয়েরা নেভাদার পথ , তা আপনি নিজে স্বশরীরে হেটে গেলে আপনাকে ধরতে হবে ডেথভ্যালী ন্যাশনাল পার্কের ভিতর দিয়ে যাওয়া হাইওয়ে- ৩৯৫ । অথবা হাইওয়ে- ১৯০ । আছে আরও পথ । যেদিকে যেতে চান সেদিকের ।


ছবি -১২ --- এই পথ যদি না শেষ হয় ........


ছবি -১৩ --- হাইওয়ে - ৩৯৫ ।


ছবি -১৪--- নাম ফলক ।

এখন আপনি যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন , সেখানেই হাযার বছর ধরে দাঁপিয়ে বেড়িয়েছে আমেরিকার আদিবাসী “তিমবিশা” গোত্র । “রেড ইন্ডিয়ান” শব্দটি সম্ভবত এই “তিমবিশা” নামটি থেকেই এসেছে । কারন “তিমবিশা” শব্দটির অর্থ - "Red Rock Face Paint"


ছবি – ১৫. তিমবিশা, রেড ইন্ডিয়ান ।

সাদা মানুষেরা এখানে পা রাখার আগে এই তিমবিশা গোত্র এখানেই বেড়াত শিকার ধরে আর পিনিওন পাইন বাদাম ও মেসকুইট বীন চাষ করে । এই মাটিতেই তাদের সব প্রয়োজন মিটতো বলে উপত্যকাটি ছিলো এক পবিত্র ভূমির মতো । বিজাতীয় মানুষেরা পবিত্র ভূমিকে অপবিত্র করে বসতি গাড়বে, এটা পছন্দ হয়নি বলে ধূঁ-ধূঁ বালিয়ারীতে দিশেহারা ভাগ্যান্বেষী অসংখ্য সাদাকালো মানুষদের প্রান খোয়াতে হয়েছে তাদের হাতে । ধারনা করা হয়; শুরুর গল্পে যে স্মীথ, লিটল ওয়েষ্ট আর জো এর কথা জেনেছেন তারাও এই রেড ইন্ডিয়ানদের হাতেই মারা পড়েন ।
আজ আর সেই রামও নেই, সেই অযোধ্যাও নেই । তবে আছে কিছু গল্প আর স্বপ্নের সমাধি । আছে ফেলে রাখা স্মৃতি । আর আছে ফার্নেস ক্রীক নামের উপত্যকায় কিছু তিমবিশা রেড ইন্ডিয়ান ।
ডেথভ্যালী এখন “ডেথভ্যালী ন্যাশনাল পার্ক” । ১৯৩৩ এর ১১ই ফেব্রুয়ারী প্রেসিডেন্ট হার্বার্ট হুভার মূল উপত্যকা সহ আশেপাশের জায়গা নিয়ে “ডেথভ্যালী ন্যাশনাল মনুমেন্ট” এলাকা হিসাবে ঘোষনা করেন । ১৯৯৪ সালে এর বিস্তৃতি আরো বাড়িয়ে পুনঃনামকরন করা হয় “ডেথভ্যালী ন্যাশনাল পার্ক” ।
এখন এর জেল্লা গেছে বেড়ে । পথশ্রান্ত পথিক এখানে পাবেন বিভিন্ন রিসোর্ট । মৃত্যু উপত্যকায় জীবনের পরশ ।


ছবি –১৬ --- প্যানামিন্ট স্প্রীং রিসোর্ট ।


ছবি –১৭ -- ফার্নেস ক্রীক রিসোর্ট ।


ছবি –১৮ --- ফার্নেস ক্রীক র‍্যাঞ্চ ।

ঘুরে আসতে পারেন ডেথভ্যালীর সর্ব উত্তরের গ্রেপ-ভাইন ক্যানিয়নের সবুজ মরুদ্যানে লুকিয়ে থাকা অনেক গল্পের জন্মদাতা “ স্কটি’জ ক্যাসেল” থেকে ।


ছবি – ১৯ -- স্কটি’জ ক্যাসেল

পথ চলতে চলতে দেখে আসুন লষ্ট ফোর্টিনাইনার্সের স্বপ্নের স্বর্ণতীর্থ “সাটার’স মিল” জায়গাটি ।


ছবি – ২০ -- সাটার’স মিল স্মৃতিফলক ।

এই স্মৃতি ফলকটি দেখতে দেখতে ক্যালিফোর্নিয়ান গোল্ডরাশের সেই সব দিনগুলোর কথা ভাবুন একবার । শত শত মাইল এবড়ো থেবড়ো পাহাড়ের ঢাল, আদিগন্ত গনগনে বালুময় মরুভূমি , গোত্তা খাওয়া ক্যানিয়ন পেড়িয়ে ছুটে আসা মানুষের ঢল । বয়ে চলা নদী আর ঝর্ণার জল ছেকে ছেকে সোনালু কনা তোলার হিড়িক । তিরতির বয়ে যাচ্ছে পাহাড় থেকে নেমে আসা স্রোতস্বিনী । তারই জলে দিনরাত শরীর ভিজিয়ে ছাঁকুনী হাতে ছেঁকে তোলা বালুমাটির দিকে তৃষিত চোখে চেয়ে আছে এই বিজন প্রান্তে মৃত্যু ঝুকি নিয়ে আসা মানুষগুলো । সোনালী কিছু ঝিলিক দিয়ে উঠলো কি ?



ছবি - ২১ স্বর্ণ সন্ধানে .........

তারপর ? প্রতীক্ষিত সোনার খনির দেখা মেলা ।
যে সোনার খনির পথ চেয়ে কেটেছে হাযারো ভাগ্যান্বেষী মানুষের দিন। তেমনি একটি সোনার খনি ; ডেথভ্যালীর সবচেয়ে সমৃদ্ধ আর বেশী উত্তোলন যোগ্য “কিয়েন ওয়ান্ডার মাইন” । গোল্ড রাশের মূল আকর্ষন । এখনও এমনটাই দেখতে পাবেন আপনি বাইরে থেকে । সেই আগের মতো । বহু দুর থেকে এলেও ডেথভ্যালী ন্যাশনাল পার্কের রক্ষনাবেক্ষনকারীর দল আপনার ভেতরে ঢুকে ঘুরে ঘুরে দেখার আশাটি পুরন হতে দেবে না । নিরাপত্তার কারনে আপনার এখন ভিতরে ঢুকতে নিষেধ আছে তাদের ।



ছবি - ২২ -- কিয়েন ওয়ান্ডার মাইন ।

আপনার চোখে এটাকে ভুতুড়ে মনে হবে । নির্জন, পরিত্যক্ত । ঢুকতেই যখন পারা যাচ্ছেনা তাই ওদিকের কথা না ভেবে পা বাড়ান সোনার খনির মতো ভুতুড়ে নির্জন আরো যে অনেক শহর ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এই মৃত্যু উপত্যকায়, সেদিকে । যেখানে সেদিনগুলির মানুষের ভেঙে যাওয়া স্বপ্নের নিথর ধংশাবশেষ দেখতে পাবেন আপনি ।


ছবি - ২৩ -- ডেথভ্যালী ঘোষ্ট টাউন ।

“আমার বিশ্বাসই হচ্ছেনা ফ্রিসকো এই অল্প সময়ের মধ্যেই এখন এক মৃত শহর । ভাবতেই পারিনা, এই ক’দিন আগেও যেখানে লাইন ধরে আমরা খাবার আর মদ গিলেছি সেই পানশালাগুলোর ভেতর এখন পেঁচারা উড়ে বেড়ায় ! আমাদের হেটে চলা পথ এখন আগাছার জঙ্গল ।” - এই ছিলো ১৯৩০ সালে “ট্যুরিং টপিকস” এ সাক্ষাৎকার দেয়া ফ্রাঙ্ক শর্টি হ্যারিসের বিস্ময় । ডেথভ্যালীর ভুতুরে শহরগুলো সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেছেন এমনটাই ।



ছবি - ২৪ -- ফ্রাঙ্ক শর্টি হ্যারিস (উপরে) আর নীচের ছবিতে ওয়াল্ট স্কটি ( খচ্চরের পিঠে ) আর শর্টি ।

কে এই ফ্রাঙ্ক শর্টি হ্যারিস ? সে সময়কার ডেথভ্যালীর একজন কিংবদন্তীর ল্যান্ড প্রসপেক্টর ।ছোটখাটো একটি মানুষ । রোড আইল্যান্ডে জন্ম নিয়ে সাত বছর বয়সেই এতিম । ১৪ বছর বয়সে ভাগ্যান্বেষনে পশ্চিমে আসা তার । লেডভাইল , কলোরাডো, টম্বষ্টোন, আরিজোনা ঘুরে অবশেষে থিতু হওয়া ডেথভ্যালীতে । খর্বাকৃতির জন্যে নাম হয়ে যায় “শর্টি” । ডেথভ্যলীর অনেক সোনার খনিই শর্টির আবিষ্কার । শর্টি নাকি বাতাসে সোনার গন্ধ খুঁজে পায়, এমন কিংবদন্তী ছড়িয়ে আছে ডেথভ্যালীর মানুষের মুখে মুখে । কিন্তু গোল্ড মাইনিংয়ে জড়িয়ে পড়েন নি বা খনি মজুরের কাজ করেননি কখনও । শুধু পশ্চিমের সেলুনগুলিতে বসে গল্প বলা আর মদ গিলে চূর হয়ে থাকাতেই ছিলো তার আনন্দ । তার বলা গল্পগুলিই তাকে মৃত্যু উপত্যকার “হিরো” বানিয়ে রেখেছে আজও ।
৭৮ বছর বয়সে ক্যালিফোর্নিয়ার বিগ পাইন এলাকায় নিজ কেবিনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন এই মানুষটি । মৃত্যুর আগে শেষ ইচ্ছে জানিয়ে ছিলেন , তাকে যেন মৃত্যু উপত্যকার মাঝখানে দাফন করা হয় । আর তার শিয়রের পাথর ফলকে যেন লেখা হয় এই এপিটাফটি ----- “ হিয়ার লাইজ শর্টি হ্যারিস, আ সিঙ্গল ব্লাঙ্কেট জ্যাকএ্যাজ প্রসপেক্টর ১৮৫৬ – ১৯৩৪ ।”


ছবি - ২৫ -- রিয়োলাইট ঘোষ্ট টাউন ।১৯০৫ এ নব্বই হাযার ডলারে নির্মিত তিন তালা ব্যাংকের ভুতুরে কাঠামো ।

একশত বছর আগে দশ হাযারের ও বেশী মানুষের পদভারে মুখরিত ছিলো যে রিয়োলাইট শহরটি, মাত্র একযুগের মধ্যেই তা বিরান । ১৯০৪ এর আগেও পাহাড়ে পাহাড়ে ছিল আকরিক কোয়াটর্জ এর ছড়াছড়ি । তাতে মেশানো ছিলো সোনা । জুটে গেলো সোনাখেকো লোক । ২০০ ল্যান্ড ক্লেইম জমা পড়লো । বসলো কোয়াটর্জ পরিশোধন ফ্যাক্টরী । এলো বিদ্যুত । গড়ে উঠলো ব্যাংক , ষ্টক এক্সচেঞ্জ , বোর্ড অব ট্রেড । জমজমাট এই শহরের আর এক নাম হয়ে গেলো “ দ্য কুইন সিটি ” । ১৯০৭ সালে শুরু হলো অর্থনৈতিক ধস । ১৯১২ সালের ভেতরেই ভুতুরে হয়ে গেলো শহরটি । ফার্নেস ক্রীক ভিজিটরস সেন্টার থেকে হাইওয়ে – ৩৭৪ ধরে উত্তর দিকে ৩৫ মাইল দুরে গেলেই আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন এই ঘোষ্ট টাউনের একদম মাঝখানে ।



ছবি - ২৬ -- ওয়াইল্ডরোজ কিল্‌ন ।

এবারে উপরের ছবিটিতে এস্কিমোদের বাড়ীর মতো দেখতে কিম্ভুত কিমাকার স্থাপনাগুলোর চারপাশ ঘুরে আসুন । ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড ওয়েষ্ট এর সু - সংরক্ষিত পুরোনো যা কিছু আছে তার ভেতরে এই ওয়াইল্ডরোজ কিল্‌ন একটি । মৌচাকের মতো আকৃতি নিয়ে ২৫ ফুট উঁচু এই দশ দশটা কয়লা পুড়িয়ে সিলভার আর সীসা গলানোর ভাঁটি আমাদের দেশের ইটভাটার কথা মনে করিয়ে দেবে আপনাকে । ১৮৭৭ সালে বানানো হয়েছিলো এগুলো । ১৮৭৯ এর পরে এগুলো আর ব্যবহার করা হয়েছিলো কিনা তার কোন হদিশ নেই । তাই এগুলো এখনও টিকে আছে গায়ে গতরে অনেকটা আগেরই মতো । প্যানামিন্ট পর্বতশ্রেনীর পশ্চিম অংশে ওয়াইল্ডরোজ ক্যানিয়নে এগুলো দেখতে পাবেন আপনি । কয়লা পোড়ানো গন্ধও লেগে আছে তার গায়ে আজও ................

ছবি, তথ্য ও সূত্র – ইন্টারনেট ।

চলবে ---------

মন্তব্য ৫০ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৫০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪

সাহসী সন্তান বলেছেন: ছবি এবং লেখা দুইটাই অত্যন্ত মনমুগ্ধকর! একটা প্রশ্ন ভাই, প্রথমে যে কহিনীটা বর্ননা করলেন এটাকি নিছক কল্পনা নাকি বাস্তবের কোন মিল আছে? অথ্যাৎ আপনি প্রথম যে গল্পটা দিয়ে পোস্ট শুরু করছেন সেটা কি বাস্তব? ছবি গুলোর সাথে লেখাটা মিলালে কিন্তু আমার কাছে তাই মনে হচ্ছে!!


পোস্টে ভাললাগা রেখে গেলাম!

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাহসী সন্তান ,


প্রশ্নটির জবাব আগে দিয়ে নেই - এ জাতীয় গল্প ডেখভ্যালীর পথে পথে ছড়ানো । পোষ্টেও তাই বলেছি । কালো চামড়ার স্মীথ, জো আর লিটল ওয়েষ্টের গল্প নেই ডেথ-ভ্যালীর অফিসিয়াল রেকর্ডে । যে গল্প টিকে আছে তা “বেনেট আরকান” দলের কাহিনী ।
আমি শুধু আমার মতো করে স্মীথের কাহিনী লিখেছি , এ রকমটাই হয়তো হয়েছে এমন মনে করে ।
আমি শুধু তথ্য নিয়ে ডেথভ্যালীর এই কাহিনীটি নিজের মতো করে সাজিয়েছি । অন্য তথ্য দিয়ে ডেথভ্যালীর ভয়াল সুন্দরতাকে আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি ।

পোস্টে ভাললাগা রেখে যাওয়ার জন্যে ধন্যবাদ । আগামী পর্বেও সাথে থাকবেন সাহস করে , এ আশা করি ।
শুভেচ্ছান্তে ।

২| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০

রিকি বলেছেন: ডেথ ভ্যালী আর বলেছে কাকে---দেখেই তো গলা শুকিয়ে আসে !!!! :-& চমৎকার উপস্থাপন। অনেক কিছু জানলাম। পোস্টে ২ য় ভালো লাগা :) :) :)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: রিকি ,



ধন্যবাদ আপনাকে ।

হ্যাঁ...... ময়াল সাপের মতো এঁকেবেঁকে যাওয়া বৃক্ষ বিহীন পাহাড় শ্রেনী আর ক্যানিয়ন , ধূঁ ধূঁ বালিয়ারী আর দিগন্ত জোড়া খৈ ফোঁটা আকাশ ডেথভ্যালীকে দিয়েছে তার নাম । এটুকুই তার সব নয় - আছে গোধুলি বেলায় মন কেমন করা আমেজ ও । মাথার উপরে নিঃসীম রাতের আকাশে তারাদের মেলা ।

সাথে থাকুন , দেখতে পাবেন মৃত্যু উপত্যকা নয় , এক মুগ্ধতার উপাখ্যান ......

৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: পড়তে ভালোলাগছিলো। বহু বছর আগে আপনি একটা ধারাবাহিক উপন্যাস লিখছিলেন। শেষ হলে পড়বো বলেছিলাম। মনে আছে এখনো। আজ থেকে শুরু করবো।

শুভকামনা রইলো। :)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: শতদ্রু একটি নদী... ,



খুশি হয়েছি পড়তে আপনার ভালো লাগছিলো বলে, এটা জেনে ।
ওহ .....হো ঐ ধারাবাহিক উপন্যাস ? এতোদিনেও ভুলে যান নি দেখে ভালো লাগলো । পড়ুন । বেশ রাত হলে পড়ুন , একা একা । হয়তো ভালো লাগবে ।

শুভেচ্ছান্তে ।

৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮

শায়মা বলেছেন: কি সাংঘাতিক ভাইয়া! কত দিন ধরে লিখেছো!!!!


ভাইয়া স্মীথের সোনা খোঁজার চাইতেও গরম বালিতে ডিম পোচ!!!! আমার এখুনি সেখানে গিয়ে এই যাদু দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে! আর মানুষের গোত্রের নাম ফেইস পেইনট??? কেনো??? তারা কি মুখে পেইন্ট করতো নাকি!!!!!! কত কিছু জানতে ইচ্ছে হচ্ছে এখন!!!!!:( আড় ডেথভ্যালীর গোধুলীর আকাশ কি লাল!!!!!!!!!!
এক্কেবারেই রুপকথার মত ভাইয়া!!!!!!!

অনেক অনেক সুন্দর! অনেক ভাল লাগা!:)

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা ,



বেশ কিছু দিন তো লাগেই । তথ্য যোগাড় করা, সে তথ্যকে আরো দশটা জায়গায় ঘুরে ঘুরে যাচাই করা , তারপরে তা থেকে নিজের মতো করে আর সম্পূর্ণ আলাদা একটা গল্প বানানো তো ঝকমারী কাজ । সময় তো লাগবেই ।

ফেইস পেইনট??? কেনো???
সুন্দর হতে কে না চায় ? ওখানে তো তখন পারসোনা বা শাহনাজ'স ছিলোনা যে ফাউন্ডেশান, ব্লাসন ইত্যাদি পাবে ওরা । তাই শুধু সুন্দর হতে, মুখে ঐ গৈরিক মাটিই লেপ্টে দিত । লাল দেখাতো মুখ আর সে থেকেই রেড-ইন্ডিয়ান নামটি ।

সাথে থাকুন আর পরবর্তী পর্বে রূপকথার এক মায়াবী রাজ্যের দেখা পেলেও পেতে পারেন ।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
ভালো থাকুন ।

৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০

কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপন!!! কত দিন ধরে লিখেছেন এই লেখাটি?
অবাক করা অনেক কিছু জানলাম।
অনেক অনেক শুভেচ্ছা!!!

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: কামরুন নাহার বীথি ,




কতোদিন ধরে লিখেছি ? সে অনেক অনেক দিন আগে থেকে ....এক দেশে ছিলো যে এক রাজা ..... সে সময় থেকে !
উপরের ৪ নং মন্তব্যের জবাবটি অনুগ্রহ করে দেখে নিলে জানতে পারবেন কতো সময় লাগলো ।

আরো অবাক করা, মন কাড়া নৈঃস্বর্গের দেখা পাবেন যদি সাথে থাকেন ।

মন্তব্যে ধন্যবাদ । শুভেচ্ছান্তে ।

৬| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৯

সুমন কর বলেছেন: ডেথভ্যালী সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ছবিগুলোও দুর্দান্ত।

অনেক কষ্ট করেছেন, পোস্টটির জন্য। এমন একটি শেয়ারের জন্য পোস্টে ভালো লাগা রইলো।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: সুমন কর ,



ঃভালোলাগা দেয়ার জন্যে ধন্যবাদ । কষ্ট তো করতেই হয় ভালো কিছুর জন্যে । ব্লগাররা সবাই তেমন কষ্ট করেই তাদের পোষ্ট দেন ।
সাথে থাকুন আরো মোহময় কিছুর জন্যে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৯

এস কাজী বলেছেন: চমৎকার পোস্ট জী এস ভাই। নিশ্চিত অনেক সময় আর কষ্টের ফসল এই লেখা। তবে মিথ্যে বলবনা দুএকটা জায়গায় আমি পথ হারিয়েছি। মনে হচ্ছে দ্বিতীয়বার পড়তে হবে।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: এস কাজী ,




কেন পথ হারালেন ? দূর্বোধ্য লিখেছি কি কোথাও ? গল্পটা যে দু'ভাগ হয়ে গেছে তাই বোঝাটাও ভাগ হয়ে গেছে ।

তথ্য যোগাড় করা, সে তথ্যকে আরো দশটা জায়গায় ঘুরে ঘুরে যাচাই করা , তারপরে তা থেকে নিজের মতো করে আর সম্পূর্ণ আলাদা একটা গল্প বানাতে তো কষ্ট হয়ই । কষ্ট না করলে আপনাদের হাতে কি ফসল তুলে দিই , বলুন তো !

শুভেচ্ছান্তে ।




৮| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৬

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া তুমি তো সেকেন্ড ইমন জুবায়ের ভাইয়া!!!!!!!!!!!


আমার প্রশ্নের জবাবটাও দিয়ে দিলে!!!!!!!!!!

থ্যাংক ইউ ভাইয়ামনি!!!!!!!!!!!!


১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা ,



বিশেষায়িত করেছেন ।
কিন্তু আমি যে কারো মতো নই ! আমি যা , আমি তা-ই । একথাটি লেখা আছে আমার প্রোফাইলে ।

কোন প্রশ্নটির জবাব দিলুম ? ধন্দে পড়ে গেলুম ।

পুনরায় মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।

৯| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩০

কলমের কালি শেষ বলেছেন: অসাধারণ অনেক তথ্য জানলাম । প্রকাশের ভাষাও বেশ সাবলিল । তাই পড়তে খুব মজা লেগেছে । চলুক ।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: কলমের কালি শেষ ,




মজা যাতে পান সে জন্যেই তো ভ্রমনের লেখাখানিতে গল্প ফেঁদে বসেছি ।

চলবে .... সাথে থাকুন ।

ও.... হ্যা... কলমের কালি শেষ হবার আগে বলে যাই - মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।

১০| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪২

দীপংকর চন্দ বলেছেন: আমি বুঝতে পারি না কিভাবে এতো মোহময় লেখা লেখেন, উপস্থাপন করেন এতো নান্দনিকভাবে!!!

অসম্ভব ভালো লাগলো বললে কি কম বলা হয়!!!

'অসাধারণ' শব্দটিই উপযুক্ত মনে হচ্ছে!!!

অনিঃশেষ শুভকামনা জানবেন শ্রদ্ধেয়।

অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: দীপংকর চন্দ ,



এমন মন্তব্যে অভিভূত ।

আপনাদের মতো বোদ্ধা পাঠকদের জন্যেই তো মোহময় করে লেখার চেষ্টা করি । সেটা আপনাদের ভালো লাগে জেনে সোৎসাহে আবারো লেগে থাকি আরও মোহনীয় হয়ে ওঠার জন্যে ।

ভালো থাকুন আপনিও এবং আপনার ধারেকাছের মানুষজন ও......

১১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১২

জুন বলেছেন: অসাধারণ
+

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,



ধন্যবাদ ।

১২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৯

উদাস কিশোর বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: উদাস কিশোর ,



অনেক অনেক ভালোলাগা এতোগুলো প্লাস দেয়াতে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

১৩| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩২

রেজওয়ান তানিম বলেছেন: বেশ ভালো লাগল

আমেরিকা অনেক বড় দেশ।

ওদের অনেক অনেক জায়গা আছে এই রকম হনটেড

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০১

আহমেদ জী এস বলেছেন: রেজওয়ান মাহবুব তানিম ,


হুমমমম অনেক বড় দেশ । নেভাদা ডেজার্টে এমন জা্য়গাও আছে যেখানে " আউট অব বাউন্ড " বা "রেসট্রিকটেড এরিয়া " র সাইন বোর্ড টানানো আছে । সামরিক বাহিনীর খুব গোপন পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানোর জন্যে এসব এলাকার ধারে কাছে যাওয়াও নিষিদ্ধ । সব এলাকা নিয়েও অনেক হন্টেড কাহিনী ছড়ানো আছে । এর বাইরেও আছে অনেক হন্টেড হাউস বা এরিয়া ,বিভিন্ন
স্টেটে ছড়ানো ।
ভালো লেগেছে বলার জন্যে ধন্যবাদ ।

১৪| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১০

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: লোভ এবং মৃত্যু বোধহয় পাশাপাশি চলে।। তাইতো দেখি স্বচ্ছল্যের পাশে মৃ্ত্যুকেও।। বাস্তবের সাথে গল্পেও।।(গল্পের পুরো রূপটিকে নিজের মত করে বুঝতে যেয়ে)।।
আর এপিটাফের ব্যাপারে বলবো,আমার মনকাড়া,ঘুরতে ঘুরতে এখানে এসেই শেষ থামা থেমেছে।।
মৃত্যুর রূপও কিন্তু সুন্দর হতে পারে ছবিগুলি আর বর্ননা তারই প্রমান।।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: সচেতনহ্যাপী


এটাকে লোভে পাপ........ বলা যাবেনা । এরা সবাই ভাগ্যান্বেষী । শুধু ভাগ্য ফেরাতে মৃত্যুকেও তুচ্ছ জ্ঞান করেছে । যেমন আমাদের মালয়েশিয়াগামী লোকজন ।
তবে প্রবাদ হিসেবে আপনার লোভ এবং মৃত্যু বোধহয় পাশাপাশি চলে।। কথাটি ঠিক ।

সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
ভালো থাকুন এবং সুখে ।

১৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৬

ডি মুন বলেছেন: আগেও বার দুয়েক এসে ফিরে গিয়েছিলাম। সময় নিয়ে পড়ব বলে।
পড়লাম। খুব ভালো লেগেছে।

++++

সুন্দরভাবে তুলে এনেছেন ডেথভ্যালির আদ্যোপান্ত। সংযুক্ত ছবিগুলোও সুন্দর।
অতীতে হারিয়ে যাওয়ার মত আনন্দ পেলাম।

প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।
ভালো থাকুন।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডি মুন ,



কষ্ট করেছেন বলে ধন্যবাদ ।
আর প্রিয়তে নিয়েছেন বলে কৃতজ্ঞ হয়ে রইলুম ।

আসলেই আদিগন্ত ঢেউ খেলানো বালিয়ারীর উপরে সূর্য্যের আলোর লুকোচুরিতে নিজেকে হারিয়ে ফেলতে মন করে !

১৬| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪৩

রিকি বলেছেন: সাথে থাকুন , দেখতে পাবেন মৃত্যু উপত্যকা নয় , এক মুগ্ধতার উপাখ্যান ......

সাথে আছি ভাইয়া :) :) :) :) চলতে থাকুক ডেথ ভ্যালির উপাখ্যান। :)

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: রিকি ,


ধন্যবাদ সম্মতির জন্যে ।

কিন্তু ঐ গনগনে দোজখের আগুন গায়ে মেখে আর খৈ-ভাজা বালুর উপর হেটে হেটে কতোক্ষন চলতে পারবেন ? পারবেন তো ? :D :P

১৭| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৫

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: শেষ করবোই, আজকে থেকেই শুরু করবো। একেবারেই শেষ করে ফেলার আশা রাখি। পড়তে আমার ভালোই লাগে, বড় লেখা হলে আরো আগ্রহ নিয়ে পড়ি। :)

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: শতদ্রু একটি নদী... ,




ভালো লাগলো জেনে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

১৮| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৪

লালপরী বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো ডেথ ভ্যলি নিয়ে । চমৎকার লেখনি +++্

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: লালপরী ,




সুন্দর এই মন্তব্যে যারপর নেই খুশি ।
সাথেই থাকুন -------

১৯| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২২

তিথীডোর বলেছেন: অসাধারন লেখা!....আমেরিকার সাউথ ওয়েস্টের এই রুক্ষ সৌন্দর্য্য সবসময় আমাকে ভিষন এ্যট্রাক্ট করে...ডেথ ভ্যালীতে এখনও যাওয়া হয়নি--তবে দুধের স্বাদ ঘোলে মিটিয়েছিলাম বছর দুই আগে--আমরা চারজন (আমরা দুজন আর দুই ছেলেমেয়ে) ডালাস/টেক্সাস থেকে লাস ভেগাস/নেভাডা পর্যন্ত লং ড্রাইভে গিয়েছিলাম...অসাধারন সে এক্সপেরিয়েনস!--টেক্সাসের খা খা ধূধূ প্রান্তর ছাড়িয়ে সানতা ফে/নিউ মেক্সীকোর লাল মাটি, তারপর সেডোনা/আ্যরীজোনার রক্তিম পাথুরে সৌন্দর্য্য--অবশেসে নেভাদার গনগনে তাপমাত্রায় ঝলসাতে ঝলসাতে গাড় নীল কলোরাডো নদীর সন্ধীক্ষনে হূভার ড্যাম দেখা!.....

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: তিথীডোর ,



ঈশশশশশশশশ........ কি বলেন ! ওয়াইল্ড ওয়েষ্টের সেই কাউবয় শহরগুলি মাড়িয়ে এলেন আর ডেথভ্যলীতে যান নি ?
অনেক ট্যুরিষ্ট এজেন্সী আছে । নিজেরা গেলেই ভালো । প্রচুর পানি নিতে হবে , জুস নয় । গাড়িটি হতে হবে ঝামেলা ফ্রি । গাড়ির এসি টা যেন বিগড়ে না যায় খেয়াল রাখতে হবে । এগুলোই আসল, মৃত্যু উপত্যকায় পা রাখতে গেলে । নিজের মতো করে দেখে নিতে পারবেন সব । সেই উথাল পাতাল ঢেউ খেলে যাওয়া ধূঁ-ধূঁ বালিয়ারী , রক্তিম পাথরই শুধু নয় দেখতে পাবেন রঙ-বেরঙের পাহাড় আর মনকাড়া ফুলের সমারোহ ।
আগামী পর্বে আপনার না দেখা ডেথভ্যলীর নৈঃস্বর্গিক ছবি খানিই তুলে ধরতে চাই । না যাওয়ার আগে পর্য্যন্ত দুধের স্বাদ ঘোলে মিটিয়ে নিতে সাথে থাকুন ।

ধন্যবাদ, আপনার মনের অনুভূতি নিয়ে লেখা মন্তব্যটির জন্যে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

২০| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭

কাবিল বলেছেন: ছবি আর লেখায় চমৎকার লেগেছে ++++++++
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাবিল ,




অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এতোগুলো প্লাস দিয়েছেন বলে ।
হ্যা ....পরবর্তী পর্ব লিখছি । শেষ হলেই দেখতে পাবেন ।

শুভেচ্ছান্তে ।

২১| ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৪

অন্ধবিন্দু বলেছেন: পাঠক নয় ডিজিটাল ভ্রমন করলাম। কিন্তু লেখক কী কখনও ইহাতে এনালগ ভ্রমন করিয়াছিলো। জানতাম চাই।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্ধবিন্দু ,



ডিজিটাল ধন্যবাদ ।

এনালগে আশপাশ দিয়া গিয়াছি । মরনের ডরে ভিত্রে ঢোকা হয় নাই , যা গরম । পানির কলসি ভুলে বাড়িতে রাখিয়া আসিয়াছিলাম । এখন জানিতে পারিলেন তো ?

২২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫১

জেন রসি বলেছেন: তীব্রভাবে বেঁচে থাকার জন্যই হয়তোবা মানুষ বারবার মৃত্যুর খুব কাছাকাছি যেতে পছন্দ করে। এইসব অভিযাত্রীর দলগুলো কি শুধুই সোনার আশায় জীবন মৃত্যুর আবর্তে ঘুরপাক খেয়েছে??আমার মনে হয় অজানা এবং নিষ্ঠুর প্রকৃতিকে জয় করার এক দুর্বার সহজাত বাসনা সবসময়, সবযুগেই মানুষের মধ্যে বিরাজ করে!

আপনার চমৎকার উপস্থাপনায় ডেথ ভ্যালীকে নতুন আঙ্গিকে জানলাম।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: জেন রসি ,



আপনার কথাগুলো ঠিক আছে ---- নিষ্ঠুর প্রকৃতিকে জয় করার এক দুর্বার সহজাত বাসনা সবসময়, সবযুগেই মানুষের মধ্যে বিরাজ করে!
তাই তো মানুষ হিমালয় পাড়ি দেয় , চাঁদের বুকে রাখে পদচিহ্ণ ।

কিন্তু এখানে অভিযাত্রীর দলগুলো ভাগ্য ফেরানোর আশাতেই জীবন মৃত্যুর আবর্তে ঘুরপাক খেয়েছে শুধু ।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

২৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ২:১০

অন্ধবিন্দু বলেছেন: আমগো ডিজিটাল ভ্রমন কইরা ঘুমাইতে যাইতে হয়। স্বপ্নে দেহি পানির কলস যেইডার ভিত্তে খালি অভাবের ডর, আশপাশ দিয়া ডেথ-ভ্যালীর চিহ্নও নাই।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্ধবিন্দু ,





আমনহে তো ডিজিটাল ভ্রমন কইররা ঘুমাইতে যান। মুই তো কোনও ভ্রমনই কর্তে পার্লাম না । আমনহের তো তবু পানির কলসি আছে মুই তো রাস্তার কল দিয়া হোত কইররা টান দিয়া পানি খাই ... :(


মৃত্যু উপত্যকার কথা মনে করে ডেথ-ভ্যালীর চিহ্ন দেখতে চান কেন ? বালাই শাট । "ডেথ" এর চিহ্ণ না থাকাই ভালো ।
এমন নিবিড় পাঠককে তো উল্টে বলতেই হয় " যুগ যুগ জিও" ।

২৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৬

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: অসাধারন পোষ্ট। শুভকামনা।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: রেজওয়ানা আলী তনিমা ,




অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
পরবর্তী পর্ব দিয়েছি , দেখুন ।

২৫| ১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১০

সোহানী বলেছেন: ও মাই গড!!!!!! এতো চমৎকার লিখা মিস করেছি!!!!!!!!!!!!! নাহ্ আবার প্রথম থেকে অাপনার লিখা দেখা শুরু করতে হবে.........

গোল্ড রাস, ডেথ ভ্যালি নিয়ে অনেক মুভি, জিও চ্যানেলে ডকুমেন্টারী দেখেছি। কিন্তু আপনার লিখা সব কিছুকে এক সূত্রে গেথেঁ দিল, অসাধারন।

ভুল ভাঙ্গলো, আপনি এ ধরনের লিখা অনেক লিখেছেন।............ অাসলে ২০১৫ এর অঅগে অামি ব্লগে ছিলাম ঠিকই কিন্তু পড়ার চেয়ে লিখতাম বেশী। কারন সময়ের খুব টানাটানি ছিল (এখনো টানাটানি বেশীই চলছে)। তাই যখনই নতুন কিছু মাথায় আসলে লিখতে বসতাম। এখন যেমন লিখি কম, পড়ি বেশী কারন সময়ের টানাটানি চরম...............হাহাহাহাহাহা

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,



এতোদিন পরে এ লেখাটিতে আপনার মন্তব্যটির জবাব ঠিক কি দেয়া উচিৎ , ভেবে পাচ্ছিনে ।
বিশাল এই লেখার তপ্ত মরুভূমিতে আপনার পা পড়েছে দেখে ভালো লাগলো । এখানে আপনার সোনা না জুটুক , মাথার উপরে নিঃসীম রাতের আকাশে তারাদের মেলা হয়তো জুটবে । দেখতে পাবেন মৃত্যু উপত্যকা নয় , এক মুগ্ধতার উপাখ্যান ......

আমারও সময়ের টানাটানি । পোস্ট পড়তে , বুঝে উঠতে সময় লাগে । তারপর মন্তব্য করতেও সময় লাগে । ঝটপট চোখ বুলিয়ে ফটাফট মন্তব্য করার অভ্যেস নেই বলে ব্লগে একবারে বেশী লেখা পড়তে, মন্তব্য করতে সময়ে টান পরে ।

সাথেই থাকুন । পাঠকের ভালো লাগা লিখিয়েকে সাহস জোগায় .........................

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.