নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...
মাঝে মাঝে আমার ভীষন ডাংগুলি খেলতে ইচ্ছে করে,
হাতড়ে বেড়াতে ইচ্ছে করে দিগন্ত জোড়া কৈশোর ।
পুতুল ভেঙেছি বলে ফিরোজার কান্না
মাঝে মাঝে নদী হয়ে উছলায় ।
ফিরোজা এখোন কি করে ?
ভারী গিন্নিবান্নি হয়েছে নিশ্চয়ই
সামলাচ্ছে চতুর্দিক দশভুজা হয়ে !
অথচ ফিরোজা ছিলো আলসের কুড়ি এক মেয়ে
বেনী দুলিয়ে, ফুল ফুল ছাপা ফ্রকে তুলতো ঢেউ
চুষতো বুড়ো আঙুল সারাক্ষন ।
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে নির্দয় গুলতিবাশে পাখী মারি,
চোরকাটা মাঠ পেরিয়ে গগনদের আমের বাগান
তছনছ করি । মার্বেলে মার্বেল ঠুকে ঠুকঠুক
পার করে দিই রোদেলা দুপুর, শেয়াল ডাকা রাত,
রসে ভরা গাছের কলসে ঢিল ছুড়ি অহেতুক ।
মিছেমিছি ভুতের ভয়ে কাঁপি, বুকে দিই ফুঁ,
ইয়াসিন মোল্লার পানি পড়া খাই ।
ইয়াসিন মোল্লা এখোনও আছে তো মসযিদের সেই ঘরে ?
কী নুরানী চেহারা ছিলো তার
মুরগীর ঠ্যাং খেয়ে খেয়ে এবাড়ী ওবাড়ী ।
মাঝে মাঝে পালিয়ে যেতে ইচ্ছে করে কোথাও কোনখানে
কাউকে কিছু না বলে হঠাৎ হঠাৎ, কিবরিয়ার সাথে যেমন
পরীক্ষা থেকে পালিয়ে একদিন । সেই দুবলার চর,ছৈ’ওয়ালা নাও,
আসমা নামের কালো মেয়েটির বাড়ীতে পান্তাভাত,
জোনাকির আলোতে ঝিঁ-ঝিঁ ডাকা রাত,
এখোনও ডাকে মাঝে মাঝে ।
আসমার মতো কেউ একজন এখোনও দাঁড়ায় এসে পথে
সঙ্গী হতে চায়,কেরসিন বাতিতে আলো ফেলে দেখি
আমি তাকে চিনিনা । তবুও চোখে লেপ্টে থাকে তার অবয়ব,
নিশিন্দির ডাক ডাকে ।
ইচ্ছাগুলো নিয়েই আমি আছি দিনমান
হাটে যাই-বাজারে যাই, যাই কাজকামে ।
নিজের কামরায় এসি ছেড়ে বসি, খস খস্ সই করি,
কাগজে – খাতায় । ব্যাংকে জমতে থাকে চাঁদি
কেবল ইচ্ছেরা খরচ হয়ে যায় ।
লোক আসে লোক যায় । টেলিফোনে কথা কই ।
নিপাট ভদ্রলোক একজন, কাজ ছাড়া বুঝিনা কিছুই
মনে হয় । বিকেলের ঝিম ধরা রোদে বাড়ী ফিরি
সুবোধ বালকের মতো । সবাই ঘিরে থাকে কাছেপিঠে
ঘরে কিম্বা বাইরে যেখানেই যাই । অথচ কিছু যেন গেছে খোয়া
এমোন চিনচিনে ব্যথা একশো চার জ্বর নিয়ে অন্দরে
ঘাপটি মেরে থাকে ।
দেখেনা কেউ, আর একটি কিশোর থেকে যায় সেই বন্দরে
এক কাসাব্লাঙ্কা যেন প্রতীক্ষায় থাকে
কখোন ফিরে আসি কাছে তার ।
ছবি - httpswww.shutterstock.com এর সৌজন্যে
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২২
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাদা মনের মানুষ ,
মাঝে মাঝে তো ইচ্ছে করে , মোড়ের আলাল মিয়ার চায়ের দোকানে আপনাদের নিয়ে জম্পেশ করে চা খাই !
২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৬
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মনটাকে নষ্ট্যালজিক করে দিলেন ভাই, এতো দেখছি আমারই মনের ইচ্ছেগুলো। এই ইচ্ছেগুলোই আমাকে বারে বারে বনে বাদাড়ে টেনে নিয়ে যায় জী এস ভাই............কবিতায় ভালোলাগা।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাদা মনের মানুষ ,
এমন অনেক ইচ্ছেগুলো নিয়ে একটা কিশোর সব মানুষের ভেতরেই বাস করে , জীবন পথের কোনও বাঁকে কখনও কখনও নষ্টালজিয়া হয়ে থমকে দাঁড়িয়ে পড়ে শুধু !
ধন্যবাদান্তে ।
৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৭
সাদা মনের মানুষ বলেছেন:
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাদা মনের মানুষ ,
আপনি বনে বাদাড়ে না ঘুরে একটা চায়ের দোকান দিলে পারতেন !!!!!!!
৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭
তারেক ফাহিম বলেছেন: অনেক সুন্দর স্মৃতিচারণ
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: তারেক ফাহিম ,
সবারই মনে হয় এমন ধরনের কিছু স্মৃতি থাকে যা খুব সুন্দর ।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৩
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাইয়া,এই নাগরিক জীবনে মাঝে-মাঝে কতকিছুই তো ইচ্ছে করে।সব কিছু ছেড়ে-ছুড়ে চলে যেতে ইচ্ছে করে দূর কোন অজানায়।
তবে এখন আমাদের পায়ে কি এক অদৃশ্য শেকর পরে গেছে।তাই অনেক ইচ্ছেদেরই আর ডানা মেলা হয় না।ইচ্ছেরা সব বাক্সবন্দি হয়ে গেছে।
সহজ করে কবিতায় কত কথা বলে গেলেন।আর নিয়ে গেলেন স্মৃতির অতলে.......
ভাল থাকুন।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোস্তফা সোহেল ,
সময়টা এমন যে ইচ্ছেরা কেবল খরচ হয়েই যায় ! তবুও কোথায় যেন এক কিশোর ডাক দিয়ে যায় বারেবারে, -----আয়... আয়... আয়...
জীবনের মরুপথে কারও কারও এই কৈশোর-স্মৃতিচারণ এক মরুদ্যানের মতোই যেন ক্লান্তি ঝরায় ।
৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: দুরন্ত কৈশোরের সেই দিনগুলির জন্য সত্যিই আফসোস লাগে। খুব ভাল লিখেছেন ভাই।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: সম্রাট ইজ বেস্ট ,
সব মানুষের মাঝেই চুপি চুপি একটি কিশোর লুকিয়ে থাকে । আজ সে কৈশোর ছেড়ে অনেকটা পথ পাড়ি দিয়ে এসেছেন বলেই ফেলে আসা কৈশোরের জন্যে আফসোস হচ্ছে । খুবই স্বাভাবিক ।
ভালো লাগলো মন্তব্যটি ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ভাই, আপনার কবিতা পড়ে যেন শৈশবের কিছু স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল। আর সেই সাথে একটা গল্প মনে পড়ে গেল। এক বুড়ি ছিল- তার ছেলে ও ছেলে বউ তাকে তাড়িয়ে দিল। তখন থেকে সে রোজ জঙ্গলে যায়, কাঠ কাটে এবং তা বাজারে বিত্রিু করে, আর রোজ রোজ যমরাজকে গালি দেয়। মরার যমরাজ আসে না। একদিন যমরাজের বুড়ির উপরে কৃপা হল। আর হা,হা, হা করতে করতে করতে যম-রাজ বুড়ির কাছে জঙ্গলে এসে পড়লো; বুড়ি তখন তাকে জিজ্ঞাসা করল, তুমি কে বাবা? আমি যমরাজ,তুমি আমাকে প্রতিদিন ডাকো,এখন বল তোমার জন্য আমি কি করতে পারি। বুড়ি তখন বলল, এ কাঠগুলোর বোঝাটা আমার মাথায় তুলে দাও বাবা ! মানুষ ইচ্ছা করলে সবকিছু হয় না, অনেকটা প্রকৃতির নিয়ম উপর নির্ভর করে।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহরিয়ার কবীর ,
সুন্দর গল্প । হ্যা, মানুষ তার জীবনেই ফিরে যেতে চায় মনে মনে, যে জীবন ছিলো তার কাছে সমধুর ।
আমার কবিতাও আপনার গল্পের কাব্যরূপ ।
অনেক অনেক ভালোলাগা মন্তব্যে ।
ভালো থাকুন ।
৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইলো না; সে-ই যে আমার নানান রঙের দিনগুলি।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য ,
....................... এত বেদন হয় কি ফাঁকি !
ওরা কি সব ছায়ার পাখি ।
আকাশ-পারে কিছুই কি গো বইলো না ---------------------------------
৯| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: কাসাব্লাঙ্কা তো মাটির নীচের সবজি বা ফসল। তারকাছে শেষ মেষ ফিরে যাবেন।
এমনিতে কবিতাটায় যাপিত জীবন ও অতীত স্মৃতির বর্নণা ভালই হয়েছে।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার ,
কাসাব্লাঙ্কা নামটিতে আপনার বুঝতে একটু ভুল হয়েছে ।
আমার উদৃত কাসাব্লাঙ্কার গল্পটি সংক্ষেপে এই - কাসাব্লাঙ্কার বাবা জাহাজঘাটে তাকে জাহাজের ডেকে রেখে সাবধান করে বলেছিলো, "আমি একটু ঘাটে নামছি শীঘ্রই ফিরে আসবো , এখান থেকে একটুও নড়বেনা আমি না আসা পর্যন্ত । " এরই মধ্যে জাহাজে আগুন লেগে গেলে যাত্রীরা সব হুড়মুড় করে নেমে গেলো কিন্তু কাসাব্লাঙ্কা বাবার বলে যাওয়া কথামতো সেই জায়গাতেই ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রইলো । আগুন তাকে গ্রাস করলেও সে একচুলও নড়েনি জায়গা থেকে - অপেক্ষায় ছিলো বাবার ফিরে আসার । বিশ্বাস ছিলো বাবা ফিরে আসবেই ।
আমি এই প্রতীক্ষার কথাই বলেছি , মানুষের মনের গভীরে তার যে শৈশব লুকিয়ে আছে সেই শৈশবটিই পরিনত মানুষটি একদিন তার কাছেই ফিরে আসবে এমন প্রতীক্ষায় থাকে ।
কাসাব্লাঙ্কা নামে ফল বা সবজী আছে কিনা জানিনে তবে কাসাব্লাঙ্কা নামে মরোক্কোর একটি পোর্ট আছে । আর কাসাব্লাঙ্কা নামে একটি ছবিও ( হামফ্রে বোগার্ড ও ইনগ্রীড বার্গম্যান অভিনীত ) নির্মিত হয়েছিলো যদিও ভিন্ন গল্প নিয়ে ।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
১০| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৭
প্রামানিক বলেছেন: ইয়াছিন মোল্লার পানি পড়া লাগবো না, চা খাওয়ান।
কবিতা পড়ে সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩২
আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক ,
ইয়াছিন মোল্লার এতো এতো পানি পড়া খাইয়া , কোমরে কালো তাগা বাইন্ধা , মসযিদের ইমাম সাহেবের দেয়া তাবিজ / মাদুলী গলায় ঝুলাইয়া বড়দের মতো চা খাওয়ার কথা কেউ বলেনা । ছিঃ .....................
১১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কেবল ইচ্ছেরা খরচ হয়ে যায় !!!!!!
কি নিদারুন সত্য ....
ফিরোজা , কিবরিয়া , আসমা , নামে নামে ভর করে নামে কৈশর !
অসম্ভব মন ছুঁয়ে মনে থাকা লেখা ।
১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা ,
সব মানুষের ভেতরে লুকিয়ে থাকা এক কিশোরকে টেনে এনেছি কবিতায় । যারা যারা বুকের গহীন কোনে লুকিয়ে থাকা একটা কিশোরকে লালন করেন পরম যত্নে তাদের কথাই বলেছি । মন তো ছুঁয়ে যাবারই কথা তেমন মানুষদের !
তাই তো লিখেছি -
.............সবাই ঘিরে থাকে কাছেপিঠে
ঘরে কিম্বা বাইরে যেখানেই যাই । অথচ কিছু যেন গেছে খোয়া
এমোন চিনচিনে ব্যথা একশো চার জ্বর নিয়ে অন্দরে
ঘাপটি মেরে থাকে ।
কারন -----
লোক আসে লোক যায় । টেলিফোনে কথা কই ।
নিপাট ভদ্রলোক একজন, কাজ ছাড়া বুঝিনা কিছুই
মনে হয় ...................।
মন্তব্যটিও মন ছুঁয়ে থাকলো।
শুভেচ্ছান্তে ।
১২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৯
আলোরিকা বলেছেন: আর এভাবেই কেটে যায় একটি জীবন !
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১
আহমেদ জী এস বলেছেন: আলোরিকা ,
হ্যা.... বুকের মাঝারে একটি কিশোর / কিশোরী নিয়ে হয়তো কেটে যায় এক একটি জীবন !
মন্তব্য ভালো লাগলো ।
শুভেচ্ছান্তে ।
( দীর্ঘক্ষন ব্লগ বন্ধ থাকার কারনে উত্তর দিয়ে দেরী হলো বলে দুঃখিত । )
১৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আপনার কবিতা খুব ভাল ভাবেই অনুভব করলাম।
ইচ্ছে হয় সব ছেড়ে ছুড়ে কোথাও হারিয়ে যেতে
এইসব জঞ্জাল থেকে।
এখনো পারিনি তা করতে,
কি যেন এক অদৃশ্য রশি
আমায় রাখে বেঁধে!
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: মোহেবুল্লাহ অয়ন ,
অনেক কিছুই তো মানুষের ইচ্ছে হয় কিন্তু সে ইচ্ছেরা একসময় খরচ হয়ে যায় । জীবনের অনেক জটিলতার অদৃশ্য রশি মানুষকে বেঁধে রাখে- ইচ্ছেদের কাছে ঘেসতে দেয়না ।
ভালো লাগলো মন্তব্য ।
ভালো থাকুন , সাথেই থাকুন ।
( দুঃখিত, দীর্ঘক্ষন ব্লগ বন্ধ থাকার কারনে উত্তর দিয়ে অনিচ্ছাকৃত দেরী হয়ে গেলো । )
১৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৮
ওমেরা বলেছেন: সবাই কেন দুরন্ত কৈশোরে ফিরে যেতে চায় । কিন্ত আমার মনে হয় সত্যি যদি যাওয়া যেত তাহলে কেউ যেত না। অতীত নিয়ে কিছুক্ষন ভাবা যায় কিন্ত সামনে আগানো যায় না কিন্ত মানুষের মেন্টালিটিই হল সামনে আগানো।
তবে কবিতা খানি কবিতা হিসাবে খুব ভাল হয়েছে । ধন্যবাদ ভাইয়া ।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩২
আহমেদ জী এস বলেছেন: ওমেরা ,
লিখেছেন - " কিন্ত আমার মনে হয় সত্যি যদি যাওয়া যেত তাহলে কেউ যেত না।...................." ।
যেতো ... যেতো .. অনেকেই যেতো! কেন যেতো ? বলতে গেলে লম্বা হবে তাই খুব ছোট করে বলছি ----- এই যেমন আপনি, যতোটুকু ব্লগ থেকে জানি পড়াশোনা করছেন । সংসারের ঘানি হয়তো টানতে হচ্ছেনা, তেমন কোনও দায়-দায়িত্ব অবশ্যম্ভাবী ভাবে আপনার কাঁধে নেই তাই সব কিছুই এখন আপনার কাছে মধুর মধুর মনে হবে । আপনি আর এই জীবনটা ছেড়ে কোথাও যেতে চাইবেন না । মানুন আর না মানুন, আপাততঃ এটাই আপনার কাছে আপেক্ষিক সত্য । আর যারা যৌবনের অনেক পথ পাড়ি দিয়ে এখন যেখানে এসেছেন সেখানে অনেক দায়-দায়িত্ব, অনেক যুদ্ধ, অনেক সংগ্রাম, অনেক ত্যাগ , অনেক যন্ত্রনা । তাদের কাছে জীবন এখন একটা বোঝা বই আনন্দমঠ জাতীয় কিন্তু নয় । হাপ ছাড়তে পারলেই বাঁচা যেত বলে মনে হয় । এমন অনেকেই পারলে ফিরে যেতেন সেই কৈশোরে যেখানে জীবনের দায় নেই , ত্যাগ নেই , সংগ্রাম নেই, নেই যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা । শুধু আছে নির্মল আনন্দ, অপাপবিদ্ধ সুখে কেটে যাওয়া দিন ।
ভেবে দেখতে পারেন গভীর ভাবে । আর নীচে সম্রাট ইজ বেস্ট এর মন্তব্য আপনাকে হয়তো ভাবতে সাহায্য করতে পারে ।
কবিতাখানি যে কবিতা-ই হয়েছে সেটা বলার জন্যে ধন্যবাদ ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
১৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫০
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ওমেরা বলেছেন: সবাই কেন দুরন্ত কৈশোরে ফিরে যেতে চায় । কিন্ত আমার মনে হয় সত্যি যদি যাওয়া যেত তাহলে কেউ যেত না। অতীত নিয়ে কিছুক্ষন ভাবা যায় কিন্ত সামনে আগানো যায় না কিন্ত মানুষের মেন্টালিটিই হল সামনে আগানো।
সবার কৈশোর একরকম নয়। যারা গ্রামে থেকে বড় হয়েছেন তাদের কৈশোর আর যারা শহরের বন্দী জীবনে কৈশোর পার করেছেন তাদের কৈশোর এক হবে না। গ্রামের হারিয়ে যাওয়া খেলাগুলো যেগুলো কৈশোরে প্রায় সবাই খেলেছে সেগুলো খেলা, বৃষ্টিতে দাপাদাপি করে শরীরে কাদা মাখিয়ে ভূত সাজা, ঝড়ে আম কুড়ানো, অন্যের গাছের আম চুরি করা, পাখির বাসায় হানা দিয়ে বাচ্চা চুরি করা, নদীতে বা বিলে মাছ ধরা, সাঁতার কাটা, নৌকায় রাত কাটানোর সুমধুর স্মৃতি, রাতে গল্পের আসর, শীতে নতুন ধানের পিঠা আরও কতকিছু; এগুলো শুধুমাত্র গ্রামেই পাওয়া যায়। আপনি হয়ত এগুলোর সাথে পরিচিত নন তবে এই স্মৃতিগুলো খুবই মধুর যা মনে হলে আবারও কৈশোরে ফিরে যেতে মন ব্যাকুল হয়ে ওঠে।
এতকথা বলার উদ্দেশ্য হল- আমাকে সুযোগ দেয়া হলে আমি আবারও কৈশোরে ফিরে যেতে চাই।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: সম্রাট ইজ বেস্ট ,
ওমেরাকে উদ্দেশ্য করে বলা মন্তব্য তিনি দেখেছেন এবং কিছু বলেছেনও । দেখে থাকবেন !
লিখেছেন - আমাকে সুযোগ দেয়া হলে আমি আবারও কৈশোরে ফিরে যেতে চাই।
সেটা তো আর সম্ভব নয় তবে সে কৈশোরকে বুকে আগলে রেখে স্মৃতির মধুর মধুর বাঁশি বাজিয়ে যাওয়া যাবে ইচ্ছে হলেই ।
মন্তব্যে ধন্যবাদ । শুভেচ্ছান্তে ।
১৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:২১
ওমেরা বলেছেন: ধন্যবাদ সম্রাট ভাইয়া@। জী আপনার কথা হয়ত ঠিক। কারন আমার শৈশবকাল কেটেছে ঢাকার ফ্লাট বাসায়, কৈশোরীবেলা বাবা,মা ছাড়া ভাই-ভাবীর সাথে একটা বিজাতীয় ক্যালচারে । তাই কৈশোরের সৌন্দর্য কেমন অনুভবই করি নাই । তাই আমি কখনো ফিরে যেতে চাই না ।
আবারও ধন্যবাদ ভাইয়া ।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: ওমেরা ,
" সম্রাট ভাইয়া" নিশ্চয়ই আপনার এই মন্তব্যটি দেখে থাকবেন ।
ধন্যবাদান্তে ।
১৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পুরানো সে-ই দিনের কথা
ভুলবি কী রে হায়,
ও সে-ই চোখের দেখা প্রাণের কথা
সে কি ভোলা যায়!
আয় আর একটিবার আয় রে সখা
প্রাণের মাঝে আয়,
মোরা সুখের দুখের কথা কবো
প্রাণ জুড়াবে তায়।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: রূপক বিধৌত সাধু ,
আমরা তো সুখের দুখের কথা-ই কই নিজের সাথে নিজে গোপনে গোপনে !
১৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২২
জুন বলেছেন:
মাঝে মাঝে ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই দিনগুলোয়
যখন ভোর ভোর কুয়াশায় শিউলী ফুল কুড়িয়ে ফিরেছি কোচর ভরে।
ভর দুপুরে ঘুমিয়ে থাকা মায়ের পাশ দিয়ে পা টিপে টিপে বের হয়ে পরি
শাপলা ফোটা দীঘির শান্ত নিথর জলে পা চুবিয়ে বসে থাকি অনাদিকাল ।
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে ছোট্টবেলার মত সেই পাহাড়ের ঢালে আমলকি গাছের ছায়ায়
চন্চলা হরিনের হরিন চোখ দুটো আরেকটিবার যেন দেখি
বড় ইচ্ছে হয় আমারও আহমেদ জী এস ।
+
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,
স্মৃতি কাতরতা আরও বাড়িয়ে দেয়া একটি মন্তব্য ।
আপনার মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে ! আমার তো রোজই ইচ্ছে করে, ফিরে গিয়ে মোরগ ডাকার আগে উঠে শীতের শিউলী কুড়াই !
নিথর জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকা নয় , স্কুলে যাবার আগে স্নান করতে গিয়ে পুকুরের জল ঘোলা করে করে চোখ দু'টো করমচা লাল হয়ে উঠা পর্যন্ত তান্ডব চালাই , আর ঘরে ফেরার পথে কচুগাছের পাতা ছিঁড়ে দু'ঠ্যাঙের ফাঁক দিয়ে তিনবার ঘুরিয়ে চোখ ঘসতে, যাতে লাল চোখ সাদা হয়ে যায় । ( কিছুটা হতো বোধহয় ) । ইচ্ছে করে , ভর দুপুরে ঘুমিয়ে থাকা মায়ের পাশ দিয়ে পা টিপে টিপে বের হয়ে ডাংগুলি আর মার্বেল খেলতে যেতে ।
তবে আপনার ইচ্ছের মতো চঞ্চলা কোন হরিন চোখ আরেকটিবার দেখার সুযোগ হয়নি , হয়েছে নেড়ী কুত্তার দলের মাঝে ঝগড়া লাগিয়ে তাদের দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে ঘেউ ঘেউ করা দৃশ্য দেখার ।
আপনার ইচ্ছেগুলোতে কোমলতা আছে , আমার ইচ্ছেগুলোতে শুধুই দস্যিপনা । তবে মাঝে মাঝে জোনাক জ্বলা রাতে জোনাকি ধরতে ইচ্ছে করে খুব ................ .খুব ইচ্ছে করে ...................খুব ইচ্ছে করে !!!!!!!!!
১৯| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর ,
ভালো লাগলো আমারও যে, আপনি সময় করে লেখাটি দেখেছেন ।
২০| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সবার ভেতরেই ছেলেবেলা হাতছানি দিয়ে ডাকে। এক্কাদোক্কা, ঘুড়ি ওড়ানো বা পুতুল খেলা স্মৃতির ফাকে। লেখাটিতে অনেক ভালো লাগা রইলো আহমেদভাই।
সাদা মনের মানুষভাইকে চায়ের দোকান দেবার প্রস্তাবটি নিয়ে আমিও ভাবছি।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: কঙ্কাবতী রাজকন্যা ,
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
বুকের মাঝে একটি কিশোর / কিশোরী নিয়ে হয়তো সবাই-ই কাটিয়ে দেয় এক একটি জীবন !
শুভেচ্ছান্তে ।
২১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৫
করুণাধারা বলেছেন: সত্যি, কত ইচ্ছে জমা ছিল মনে। জীবন দোলায় দুলতে দুলতে সেসব কোথায় হারিয়ে গেল!
ব্যাংকে জমতে থাকে চাঁদি
কেবল ইচ্ছেরা খরচ হয়ে যায়।
+++++
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা ,
আমার ইচ্ছের মর্ম কথাটিই বলে গেলেন কবিতারই দু'টো লাইন তুলে এনে ।
সুতো কাটা ঘুড়ির মতো ইচ্ছেরা কোথায় কোথায় যে হারিয়ে যায় !
প্লাস দেয়াতে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৭
উম্মে সায়মা বলেছেন: ইশ ইচ্ছেগুলো যদি পূরণ হত! মন খারাপ করে দেয়া সুখের স্মৃতি।
আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম....
অনেক ভালো লাগা কবিতায় আহমেদ জী এস ভাই।
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: উম্মে সায়মা ,
আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম....
ঠিক এই আবেগ থেকেই মাঝে মাঝে ইচ্ছেগুলো মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে । বোকাট্টা ঘুড়ির মতো লাট খেতে ইচ্ছে করে সেই সুন্দর দিনগুলোর ভেতর । কিন্তু ঐ পর্যন্তই । ইচ্ছেরা ইচ্ছেই থেকে যায় ............................
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
২৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৩
শায়মা বলেছেন: ছেলেবেলা ছেলেবেলা প্রিয় ছেলেবেলা!!!!!!
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা ,
হুমমমম..... চেক শার্টের মতো আঁকিবুকি কাটা মনে ছেলেবেলাটা যেন চ্যাংড়া বাতাসের মতো এলোমেলো হয়ে আসে ।
প্রিয় দিনগুলো বুকের উঠোনে যেন মূর্ছা যায় মৃগী রোগীর মতো !
২৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৮
শামছুল ইসলাম বলেছেন: মাঝে মাঝে অতীতের স্মৃতিঘরে ঘুরে এসে আবার বর্তমানে পদার্পণ - চমৎকার স্মৃতিময় কবিতা ।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: শামছুল ইসলাম ,
মানুষ স্মৃতিকাতর । একটা সময়ের পরে মনে হয় , হায়রে .... যদি একটু পেছনে ফিরে যাওয়া যেত !
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৯
সুমন কর বলেছেন: পুরো জীবনটাই কবিতায় তুলে ধরেছেন। বেশ হয়েছে। +।
মনে আছে, এ কবিতা পড়ার সময়ই সামুর সার্ভার ডাউন হয়ে যায়.....
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: সুমন কর ,
হ্যা... সময়টা সার্ভার ডাউন হয়ে যাওয়ার সময় ।
খুব ভালো লাগলো আপনাকে দেখে ।
সাথে থাকুন আর থাকুন ভালো ।
২৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: চমৎকার কবিতা । কথা গুলো খুব সুন্দর । জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময় হয়তো শৈশব কাল ।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০১
আহমেদ জী এস বলেছেন: নূর-ই-হাফসা ,
ঠিক বলেছেন - শৈশব কাল আসলেই মধুর , মূল্যবান তো বটেই !
সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।
২৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৩
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আহমেদ জি এস ভাই : আহা কি কবিতা শোনালেন ? ভুলেই গিয়েছিলাম ডাংগুলি খেলার কথা | মনে হলো আপনার কিবরিয়া নামের বন্ধুটাতো মনে হয় আমার ডাংগুলি খেলে কাটানো বেলার যে কোনো বন্ধু তমাল, মইনুল, বাবু বা আশিক | আহ, ওদের সাথে ডাংগুলি খেলে কাটানো আমার ছেলে বেলা ! ভীষণ ভালো লাগলো কবিতা | অনেক ধন্যবাদ |
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: মলাসইলমুইনা ,
নষ্টালজিক হয়ে গেছেন , এইতো !
সবারই ছেলেবেলা যে রঙিন প্রজাপতি হয়ে উড়ে উড়ে যায় মনের মাঝে এখনও , একথা নিশ্চয়ই না বললেও চলে ।
ভালো থাকুন আর থাকুন ডাংগুলি খেলার মেজাজে ..................
২৮| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:১৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: মনযোগ দিয়ে পড়লাম এই শৈশব কৈশোর কর্মকাল আর এবেলার কাহিনি সমৃদ্ধ কাব্য কথা
মনে পরে যায় নীজেরও অনেক কথা । বাল্যকালে দশ্যিপনা না হলে জীবনটাই একেবারে বৃথা ।
কাকে কখন কিভাবে মনে ধরে কিভাবেই বা তারা আবার হারিয়ে যায় ভাবতেও অবাক লাগে
তবু তারা ফিরে আসে বারে বারে ভাবনা চেতনায় । সুন্দর এই জীবনগাথামুলক কবিতাটিকে
প্রিয়তে নিয়ে গেলাম ।
শুভেচ্ছা রইল ।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,
স্মৃতিরা জোনাকির মতো শুধু জ্বলে আর নেভে । তাইতো ফিরে আসে বারে বারে ভাবনা চেতনায় ।
প্রিয়তে নেয়ার জন্যে অশেষ ধন্যবাদ ।
[ অঃটঃ ----- তা , আপনি কেমন আছেন ? সব খবর ভালোতো ? ভালো থাকুন আর থাকুন সুস্থ্য । ]
২৯| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ,
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
৩০| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৫
শিখা রহমান বলেছেন: "দেখেনা কেউ, আর একটি কিশোর থেকে যায় সেই বন্দরে
এক কাসাব্লাঙ্কা যেন প্রতীক্ষায় থাকে
কখোন ফিরে আসি কাছে তার।"
আমাদের সবার ভেতরেই কি সেই কিশোর কোথাও না কোথাও থেকে যায় না? অদ্ভুত সুন্দর কবিতা। আপনার কবিতারা বড্ড মন ছুঁয়ে যায়। ভালো লেগেছে অনেক।
১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩২
আহমেদ জী এস বলেছেন: শিখা রহমান ,
হ্যা , যায় ! আমাদের সবার ভেতরেই একটি কিশোর কোথাও না কোথাও থেকে যায় । তার ছবি জোনাকির মতো শুধু জ্বলে আর নেভে । বুকের বদ্ধ খাচার ভেতরে সে আলো প্রজাপতির মতো ঠোক্কর খেয়ে খেয়ে উড়ে উড়ে বেড়ায় ।
বলেছেন , " আপনার কবিতারা বড্ড মন ছুঁয়ে যায়।"
কবিতায় আমি গল্প লিখতে চেষ্টা করি । জীবনের গল্প । তাই হয়তো আপনার মন ছুঁয়ে যায় ।
একটি লিংক দিলুম এরকম এক লম্বা কবিতার , খারাপ লাগবেনা মনে হয় ---
কি দোষে ! (কাহিনী কাব্য )
শুভেচ্ছান্তে ।
৩১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮
সামিয়া বলেছেন: আহ!!
কি এক সময় ছিল!!!!
আর বর্তমানে কোথায় এসে দাঁড় করিয়ে দিলো!!
সময়ে সব বদলায়। সব।
শুধু মনটাই পড়ে থাকে
নির্দিষ্ট এক অলৌকিক সময়ে ।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: ইতি সামিয়া ,
দিন আসে , দিন যায় । কৈশোরের সীমারেখা ছাড়িয়ে জীবনের রথ ছুটে চলে অগস্ত্যযাত্রার পথে । তারই চাকায় অলৌকিক সময়গুলো উড়ে যায় ধুলো হয়ে !!!!!! মনের চোখ দেখে .... শুধু দেখে .................
সুন্দর একটি মন্তব্যের জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৩২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০
সকাল রয় বলেছেন: কবিতা পড়ে চলে গেলাম দুরন্ত কৈশরে।
সাবলীল সুন্দর কবিতা।
অনেক অনেক ভালোলাগা।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: সকাল রয় ,
আমাদের সবার ভেতরেই একটি দুরন্ত কিশোর কোথাও না কোথাও থেকে যায় । মাঝে মাঝে সে কিশোর হাতছানি দিয়ে ডাকে ... তাই তো মাঝে মাঝে ফিরে যেতে হয় তার কাছে !
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।
ভালো থাকুন ।
৩৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৮
ওমেরা বলেছেন: আহমেদ ভাইয়া আপনার প্রতিমন্তব্যে আমাকে নিয়ে পর্যালাচনা ঠিক আছে, কিন্ত বাকীটুকু পড়ে তো চিন্তায় পরেগেলাম। এখন তো মনে হচ্ছে জীবনটা এখানেই যদি আটকে রাখতে পারতাম !! কিন্ত জীবন তো এগিয়ে যাবে জীবনের নিয়মে !! আফসোস !!
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: ওমেরা ,
জীবন এগিয়ে যাবে সাথে সাথে যাবে জীবনের সব জটিলতাও । তবুও শেষ পারানির ঘাটে বসে কোনও একদিন মনে হবে - হায়রে ! জীবনটাকে যদি নানারঙের দিনগুলোতে আটকে রাখতে পারতুম !
আফসোস , তা আর হয়ে উঠবেনা ...................
৩৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:০৫
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
আহ!!!স্মৃতিচারণমূলক কবিতা।
মনটা ছুয়ে গেল........।
১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় ,
নষ্টালজিক হয়ে গেলেন মনে হয় । আহ......... পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কিরে হায়...................
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
৩৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:০৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ধন্যবাদ কুশল জানার জন্য ।
আসলে স্মৃতি চারণের কবিতায় স্মৃতি চারনই চলছে ।
অঃটঃ প্রেক্ষিত - Disk Prolapse জনিত কারণে বহু পুরানো একটি ব্যথায় (lower back pain) ভুগছি । মাঝে মাঝে সেরে যায়, মাঝে মাঝে আবার ধরে বিবিধ কারণে । যখন ধরে তখন তখন কিছুদিন কাবু করে ছাড়ে। ডাক্তার বলেন ছেলেবেলার মত চিত হয়ে হাত পা উপরে তুলে ব্যায়াম করার জন্য । ভালই লাগে ছেলে বেলায় ফিরে যাওয়া যায়
দোয়া করবেন ।
শুভেচ্ছা রইল
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,
আবারও এসেছেন দেখে ভালো লাগলো । হুমমমমমম..... স্মৃতির মার্বেল ঠুকে ঠুকে জীবনের খেলাই বটে !
ডিস্ক প্রোলাপস্ আসলেই বড্ড ব্যথাদায়ক । ফিজিওথেরাপী ব্যথার ফ্রিকোয়েন্সী কমিয়ে খানিকটা সুস্থ্যতা দেবে বটে কিন্তু নিরোগ করে তুলবেনা । পরম করুনাময় আপনাকে যথাসম্ভব ব্যথামুক্ত রাখুন ।
তাহলে লো ব্যাক পেইন আপনাকে শৈশবে নিয়ে গেছে ? আমার স্মৃতির কবিতা তাহলে স্বার্থক ?
ভালো থাকুন , সুস্থ্য থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।
৩৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
অনেক সুন্দর কথায় কৈশোরের সেই প্রজাপতি জীবনের দিনগুলো জীবন্ত হয়ে উঠেছে
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী ,
এ তো আমাদের প্রত্যেকেরই ফেলে আসা এক একটা দিনের কথা ।
খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য ।
আর নীচে খায়রুল আহসান তাঁর মন্তব্যে আরও জীবন্ত করে দিয়ে গেছেন, কৈশোরের সেই প্রজাপতি দিনগুলো ।
৩৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৪
সোহানী বলেছেন: আরে এইটা কুনু ব্যাপার জী ভাই। ইচ্ছে হবার সাথে সাথে তা করবেন...... নো টেনশান, নো চিন্তা, নো চারপাশে তাকানো, নো পাছে লোকের কথা্।
আপনার ইচ্ছে হয়েছে মার্বেল খেলতে, ঢিল দিতে বা ছই নৈাকায় ঘুরতে, তাতে তো সমস্যা দেখি না। কে কি বললো কে কি ভাবলো সেটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে এখনি নদীতে ঝাঁপ দেন... শুধু মাঝার ব্যাথা বা হাপানীর টান এর ব্যবস্থা কইরা রাইখেন....হাহাহাহা
একটু মজা করলাম। আসলে আমরাই বেশি চিন্তা করি। এক এক বয়সে একেক কাজ, অনেক বাধাঁ ধরা নিয়ম তাই মনের ভীতর সবসময়ই একটা আকুলতা থাকে সে না পাওয়ার। আপনি যদি আপনার সেই বয়সের আনন্দটুকু পরিপূর্নভাবে পেতেন তাহলে দু:খবোধ অনেক কম হতো। তাই আমার কথা জীবন একটাই...... এতো চিন্তার এতো হিসেব নিকেশের কি আছে। যা আছে তাই কুড়িয়ে নাও, সেটাতো কোন কার্পণ্যতা নয়।
অনেক ভালো থাকেন........ অনেকদিন পর কবিতা পড়লাম আপনার ........।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩০
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,
রসে-কষে মেলানো মন্তব্য । ছেলেমেয়ে বেলার কটকটি আর রেশমী মিঠাই খেয়ে হাত চটচটে করে ফেলার মতো লেগে রইলো মনে ।
সেই বয়সের আনন্দটুকু উপচেই পড়েছিল , সেই বয়সের গা-গতর বেয়ে । এখন সময় বৈরী । তাই হয়তো দুঃখবোধ ! সব মানুষেরই এ দুঃখেরও হিসেব করতে হয় , নিকেশ করতে হয় সময়ের দেনা -পাওনা । তবেই না আর কিছু কুড়িয়ে নেয়ার নেশা জাগে !
ভালো থাকুন আপনিও । শুভেচ্ছান্তে ।
৩৮| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: ছেলেবেলার সেই ডাংগুলি খেলা, লাট্টু (লাটিম) খেলা, সিগারেটের খালি প্যাকেট দিয়ে তাস খেলা, গুলতি দিয়ে পাখি মারা, চকমকে মার্বেল খেলা এবং ঘমের মাঝেও এসব খেলা দেখা, ইত্যাদির কথা মনে করিয়ে দিলেন। আপনার যেসব বন্ধু বান্ধবীর নাম নিয়েছেন, কবিতা পড়ে আমাদের সবার মনেই মনে হয় সেরকম কিছু নাম ভেসে উঠেছে।
এ ছাড়াও, দিঘীর জলে ইট-পাথর দিয়ে ঢিল ছুঁড়ে ব্যাঙ লাফানো খেলা, পথ চলতে চলতে লজ্জাবতীর পাতা ছুঁয়ে ছুঁয়ে বন্ধ করে দেয়া, বাসায় কেউ সাইকেল নিয়ে বেড়াতে এলে চুপিসারে তার সাইকেল নিয়ে চালানো প্র্যাকটিস করা, ইত্যাদির কথা মনে পড়ছে। এসব আজ শুধুই স্মৃতি, বার বার ফিরে ফিরে আসে, কবিতা পড়েও এলো।
কবিতার শিরোনাম এবং ছবি ভাল লেগেছে। কবিতায় ভাল লাগা + +
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,
শুধু কি তাই ! মাটি ছেনে গুলতি বানিয়ে রোদে বা চুলোর আগুনে শুকিয়ে পকেট বোঝাই করে ৫/৬ কিলোমিটার দূরে চলে যাওয়া । গুলতিবাঁশে পাখি শিকার করতে । স্নান করতে গিয়ে পুকুর ঘাটে বড়শি ফেলার বাঁশের মাচান দখলের লড়াই , দু'দলে ঘন্টার পর ঘন্টা । বুক - পাঁজর বাঁশের খোঁচায় ছিঁড়ে যাওয়া । ঘন্টায় চার আনা ভাড়ার সাইকেল নিয়ে চালানোর কোশেশ করতে করতে হাটু আর গোড়ালির ছাল তুলে ফেলা । মেয়েদের সাথে রান্নাবাড়ী, দাড়িয়াবান্ধা খেলার মজা , দলে না নিলে আড়ি....আড়ি...আড়ি । একটু বয়েস বেড়ে গেলে মুরগী চুরি । খবরের কাগজ মুড়িয়ে সিগারেট বানিয়ে দলেবলে সুখটান দেয়া ............. আরও আরও কতো কি !
আপনিও বড় স্মৃতিকাতর করে দিলেন ।
৩৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৪
শামচুল হক বলেছেন: স্মৃতিচারণমূলক কবিতা খুব ভালো লাগল। কবিতা পড়ে শৈশবে ফিরে গেলাম।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৫৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: শামচুল হক ,
মাঝে মাঝে শৈশবে ফিরে যাওয়া ভালো । কার না ইচ্ছে করে যেতে !
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
৪০| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২২
সোহানী বলেছেন: হায় হায় হাত চটচটে হলেতো সমস্যা দেখছি.... পাশের বাসার কোন সুন্দরী ললনা কি তখন ছিল না যে রুমালে ফুল পাখি একেঁ, "যাও পাখী বল তারে সে যেন ভুলে না মোরে" লুকিয়ে বইয়ের ফাঁকে রেখে যেত আমি কিন্তু হিউজ প্রেমপত্র সাথে ফুল ও পেতাম........ ।
১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,
না, ও রকমটা আর কপালে জুটলো কই !!!!!!
অভিজ্ঞতার ঝুলি বেশ ভারী , বোঝা যাচ্ছে । তা মাঝে মাঝে সেই ফুলের গন্ধ এখনও কি বুকের মাঝ পুকুরে ঘাঁই দিয়ে যায় ?
৪১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪২
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: জি এস ভাই আমাকে একেবারে শৈশবে নিয়ে গেলেন। আপনার ফিরোজার মত একজন আমাকে খেলায় নেয়নি বলে তার খেলাঘর ভেঙ্গে দিয়েছিলাম। পরে দুই পক্ষের পুতুল বিয়ের মাধ্যমে বিষয়টার মিটমাট হয়।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৩২
আহমেদ জী এস বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন ,
হা ...হা...হা... আমার ফিরোজা নয় ! এরকম ফিরোজারা ছেলেবেলায় সবারই থাকে । যাদের পুতুলের ঘর ভাঙা যায়, আড়ি.. আড়ি দেয়া যায় যাদের সাথে ; আবার দিন না যেতেই ভাবও হয়ে যায় ! কী সুন্দর আর নির্মল ছিলো সেইসব দিন !
ভালো লাগলো শৈশবের সেই স্মৃতিচারণ ।
ব্লগ দিবসের শুভেচ্ছা ।
৪২| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২২
নায়না নাসরিন বলেছেন: ভাইয়া মাঝে মাঝে আমার ইচ্ছা করে এই মফস্বল শহর ছেরে ঢাকায় চলে যাই। সেখানে কত আনন্দ কত সুখ।
শহরের বাহিরে থাকি বিধায় ছোট বেলায় আমরাও উঠানের মধ্যে সবাই মজা করে হাড়ি পাতিল খেলতাম
বরাবরের মতই আপনার লিখাতে অনেক ভালোলাগা ভাইয়া+++++++++
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: নায়না নাসরিন ,
আপনি যে কেমন স্বর্গে আছেন, আপনি জানেন না । আপনার ওখানে স্নেহ-মায়া-মমতা লতায় পাতায় জড়িয়ে আছে । আছে উদাসী বন, ডগমগে লাউশাকে ফোটা ফুল , তৈ-তৈ করা হাসদের ছানা !
ঢাকা নরকের শহর । এ্খানে ইট-পাথরের জঙ্গলে তৃষ্ণার জল নেই , নেই স্নেহ-মায়া । এখানে উদার আকাশ নেই , নেই ধানের শীষে একটি শিশির বিন্দু ।
এখানে না আসাই ভালো । হাড়ি-পাতিল খেলার সব মন নিয়ে থাকুন , যেখানে আছেন সেখানেই ।
মন্তব্যে ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৪৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৭
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনার সঙ্গে ডাংগুলি খেলার খায়েস জেগেছে।
এই খেলা ছেলে বেলায় খুব একটাখেলিতে পারি নাই ।
মাঝে মাঝে আমার খুব শখ হয়.....
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ,
হা........হা............হা.............ছেলেবেলায় ডাংগুলি খুব একটা খেলতে পারেন নি ?
আপনার জীবনটাই তো ষোলআনা মিছে ......................
৪৪| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮
ধ্রুবক আলো বলেছেন: কবিতায় মনের গভীর ইচ্ছে প্রকাশ। সুন্দর কবিতা। ভীষণ ভালো লাগলো।
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: ধ্রুবক আলো ,
নষ্টালজিক হয়ে গেলেন কি খানিকটা ?
আহ......... পুরানো সেই দিনের কথা ভুলবি কিরে হায়...................
শুভেচ্ছান্তে ।
৪৫| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১০
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
শৈশব, কৈশর মন্থন ! এরা হারিয়ে যায় শরীর থেকে তবে রয়ে যায় দিলে কিন্তু দৃশ্যপট পাল্টে যায় তাই রয়ে যায় নিভৃতে, যন্ত্রণা বাড়িয়ে সুখ দেয় !
১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫১
আহমেদ জী এস বলেছেন: কথাকথিকেথিকথন ,
যন্ত্রনারও একটা নিকষ ভালোলাগা থাকে , শিরায় ড্রাগ পুস করার মতো । শৈশব-কৈশোরের দিনগুলিও নেশায় ঝিম মেরে থাকে হৃদয়ের গহীন কোনে ................
শুভেচ্ছান্তে ।
৪৬| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৮
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা.......মাথা খারাপ, টাইম নাই ওই সব ভাবাভাবির.......... তের নুনের হিসেব কষতেই জীবন পার.... দীঘির জলে ঘাই দেয়ার সুযোগ নেই।
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,
টাইম নাই , এটা তো মিছা কইলেন । টাইম কইর্রা যে একটু হইলেও হেগো কতা মনে পড়ছে হেডা তো এর আগের মন্তব্যেই কইছেন ..........। বুজি কেম্মে ?
৪৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩০
অন্তরন্তর বলেছেন: সেই অবাধ্য কৈশোরে ফিরে যেতে মন চাচ্ছে আপনার পোস্টে। খুব সুন্দর করে লিখেছেন সেই দিনগুলোর কথা। আমার ডাংগুলি, মার্বেল খেলতে এখন ইচ্ছে করছে জি এস ভাই। শুভ কামনা।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্তরন্তর ,
অন্তরের গোপন কথাটি বলে গেলেন । "আমায় ফিরায়ে লহো...." এই আকুতি সব মানুষের মাঝেই বিরাজিত ।
মন্তব্যে ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৪৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৩
ট্রাম্প বিন পুতিন বিন হিটলার বলেছেন:
পুতিন বলছেনঃ বিশ্ব সামলানো থেকে শৈশবে ফিরে যাওয়া ভাল মনে হচ্ছে।
২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: ট্রাম্প বিন পুতিন বিন হিটলার ,
আমার ঘরে স্বাগতম ।
পুতিন বলছেনঃ বিশ্ব সামলানো থেকে শৈশবে ফিরে যাওয়া ভাল মনে হচ্ছে।
ট্রাম্প বলেছেনঃ শৈশবে ফিরে যেতে দেয়া হবেনা । শৈশবে প্রবেশের জন্যে ভিসা প্রদান নিষিদ্ধ করা হলো ।
হিটলার বলেছেনঃ কোনও শৈশব টৈশব নাই । শৈশব-যৌবন সব জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দাও । থাকবে শুধু নীল রক্তের বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা ।
আর ট্রাম্প বিন পুতিন বিন হিটলার বলেছেন -- আমারে ছাইররা দ্যাও, কোনও কিছু সামলাইতে পারমুনা । বিছানায় হিসু করার কালে ফিরইয়া যাওয়াই ভালো .............
৪৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১১
আখেনাটেন বলেছেন: এই ডাংগুলি খেলা নিয়ে কত শত স্মৃতি। মাঠফাটা দুপুরে খেলতে খেলতে ক্লান্ত হয়ে গেলে শেষে মাঠ থেকে তাজা তরমুজে ক্লান্তি দূর করা।
ছুটোছুটি, লুটোপুটি আর হুটোহুটিতে শিশুকাল-কৈশরকালের এই রূপ জীবন্ত হয়ে উঠে এই সব লেখায়।
২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: আখেনাটেন ,
আপনার এমন মন্তব্যের উত্তরে রবীন্দ্রনাথ থেকে ধার করে বলি - সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি, রইলোনা - সোনার খাঁচায় রইলোনা ...............
সেই স্মৃতিতাড়িত হয়েই এই লেখা ।
৫০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৩
ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
অনবদ্য! ভাল লাগল!
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: ভ্রমরের ডানা ,
মাঝেমাঝের ইচ্ছেগুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।
অনিচ্ছাকৃত কারনে উত্তর দেয়া বিলম্বিত হলো বলে , দুঃখিত ।
৫১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১১
ট্রাম্প বিন পুতিন বিন হিটলার বলেছেন:
ট্রাম্প বলছেনঃ Wrong.You are a liar.
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: ট্রাম্প বিন পুতিন বিন হিটলার ,
ট্রাম্প যদি এমন কথা বলে - "রং। য়্যু আর আ লায়ার"
তাহলে পুতিন হবে সে কথার "বায়ার " ।
হিটলার তখন অর্ডার দেবে --- " ফায়ার "
আর এতোদিনে তাই " ট্রাম্প বিন পুতিন বিন হিটলার " ছেলেবেলা থেকে করেছে " রিটায়ার "
৫২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫
জাহিদ অনিক বলেছেন:
মাঝেমাঝে আমারও ইচ্ছে করে এমন কবিতা লিখতে।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: জাহিদ অনিক ,
খুউব ভালো লাগলো মন্তব্য ।
মাঝেমাঝের এই ইচ্ছেগুলো যেন খরচ হয়ে না যায় !
৫৩| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০২
সোহানী বলেছেন: কোথাও দেখছি না !!!!!!!!!!!!!! বিজি??????????
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,
না সোহানী , আমি ব্যস্ত নই । দেখবেন কোত্থেকে ? আসিই নি যে এখানে ! ভালো লাগছিলোনা তাই ।
৫৪| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৭
আটলান্টিক বলেছেন: আমার মাঝে মাঝে সব কিছু ছেড়েছুড়ে জংগলে চলে যেতে ইচ্ছা করে।টাইম মেশিন কবে আসবে কে জানে...
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: একটি আটলান্টিক ,
ধন্যবাদ এমন মন্তব্যের জন্য যে, সাধু-সন্যাসী হতে ইচ্ছে করে আপনার ।
টাইম মেশিন আসার অপেক্ষায় থেকে লাভ নেই, কল্পনা মেশিনে চড়ে যেখান থেকে খুশি ঘুরে আসুন , এক্ষুনই।
৫৫| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:১০
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আহ! কতকিছু মনে করিয়ে দিলেন শ্রদ্ধেয় প্রিয় কবিবর!!
আপনার মাঝেমাঝে পড়ে আমি শৈশব কৈশোর উড়ন্ত যৌবনারম্ভের দুরন্তর সময়গুলো ঘুরে আসলাম। আহ! কত মধুর, কতনা স্মৃতিময় দিনগুলো যেন সোনার হরফে লিখা জীবন খাতায়, মনে হতেই চকচক করে উঠে চোখের পাতা। হারানো সেই সুখস্মৃতি এখনো মাঝেমাঝে ভাসায় শ্রাবণ বানে! অনেককিছু প্রাপ্তির মাঝেও অনুভব করি কিছু অপ্রাপ্তির, হারানোর কিছু দুঃসহ বেদনা, কখনওবা বিশেষ কিছু সময়, যে সময়ে রয়েছে স্বর্গসুখের কাব্য-গাঁথা।
তৃপ্ততায় ভরে উঠুক আপনার প্রহরগুলো,
শুভকামনা আপনার জন্য সবসময়।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন ,
চমৎকার ও হৃদয়গ্রাহী মন্তব্যে ধন্যবাদ । আসলেই সেসব ছিলো সোনাঝরা এক একটা দিন !!!!!
শতসহস্র শুভেচ্ছা আপনার জন্যেও ।
৫৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৯
অয়ি বলেছেন: কবিতা হতে হতে গল্প হয়ে গেছে, জন্মের কাছাকাছি সময়ের । মাঝে মাঝে যাওয়া হয় ওখানে । নিয়মিত কেন নয়?
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: অয়ি ,
আমার ঘরে আপনাকে স্বাগতম ।
"কবিতা হতে হতে গল্প হয়ে গেছে, জন্মের কাছাকাছি সময়ের " এই মন্তব্যের উত্তরে এটুকু -----
ব্যাখ্যাতীত এক সন্ধ্যেয় অব্যক্ত কথাগুলোর শ্রুতিময় রূপই হলো কবিতা । কবিতা তো জীবনের কথাই বলে । আর জীবন তো খন্ড খন্ড একেকটা গল্পই । তাই কেবল কবিরাই পারেন সংক্রামক ভাবে জীবনের আহ্বানে সাড়া দিতে ।
আর - " মাঝে মাঝে যাওয়া হয় ওখানে । নিয়মিত কেন নয়? " এমন প্রশ্নটি বুঝে উঠতে পারি নি ঠিকঠাক । তাই এর প্রত্যুত্তর কি করবো ভেবে মরছি ? যদি বলেন শৈশবে ফিরে যাবার কথা তবে বলি, ওখানে আমি নিয়তই যাই মনে মনে । সবাই -ই হয়তো যায় , তাকে যে যেতেই হয় । নিজেকে মিলিয়ে দেখতে হয় যে !
শুভেচ্ছান্তে ।
৫৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০৩
অয়ি বলেছেন: স্বাগতমের জন্য ধন্যবাদ। কবিতার ব্যাখ্যা কী ব্যাখ্যাতীত ? আপনার কবিতার নাম ধরে বলেছিলাম মাঝে মাঝে কেন জন্মের কাছাকাছি যাওয়া হয় । আপনি সঠিক ধরেছেন । তার ব্যাখ্যায় আপনি নিয়মিত শৈশবে যান । আপনার শুভেচ্ছা গ্রহণ করলাম ।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩১
আহমেদ জী এস বলেছেন: অয়ি ,
কবিতার ব্যাখ্যা ব্যাখ্যাতীত নয় । তবে কবিতা ব্যাখ্যাতীত এক সন্ধ্যের অব্যক্ত কথাগুলোর শ্রুতিময় রূপ । কবিতার শব্দ হবে সহজ কিন্তু শব্দলহরী ঠুং ঠাং করে অব্যক্ত কিছুকে জানিয়ে যাবে যা শব্দাতীত ।
এই কবিতাটির কথাই ধরুন । সহজীয়া শব্দ অথচ শব্দের বাইরেও কিছু বোধ দোলা দিয়ে যায় মনে।
ধন্যবাদ আবার এসেছেন বলে ।
৫৮| ২৯ শে মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৬
অলিভিয়া আভা বলেছেন: হরেক রকমের ইচ্ছের কথা বললেন। একটু আগে আপনার আরেকটা কবিতা পড়ছিলাম- ভালোবাসার ফেরিওয়ালা.... সেখানেও আপনি অনেক কিছু দেয়ার বদলে কেবল ভালোবাসা দেয়ার কথাই বলেছেন।
এই যে হরেক রকমের ইচ্ছে কিংবা কোন কিছু না দেয়ার বদলে কেবলমাত্র ভালোবাসা দিতে চাইবার ইচ্ছে; এর মধ্যে কোথাও যেন একটা যোগসূত্র আছে । এসব আমার ভাবনা।
কবিতার কথায় ফিরে আসি, কবিতায় অনেক অপূর্ণ ইচ্ছের কথা বলা হয়েছে। ভালোই হয়েছে এক দিক দিয়ে ইচ্ছেগুলো পূর্ণ হয়নি। ইচ্ছেরা পূরণ হয়ে গেলে আর কবিতা হয়ে আসে না।
ভালো লাগা রইলো।
২৯ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:৪৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: অলিভিয়া আভা ,
অনেক ভাবনাদের নিয়ে নতুন এলেন আমার ঘরে । স্বাগতম ।
কবিতায় অনেক অপূর্ণ ইচ্ছের কথা বলা হয়নি। "আমায় ফিরায়ে লহো...." এই যে আকুতি সব মানুষের মাঝেই বিরাজমান, একটা বয়েসে এসে সেখানেই যে ফিরতে ইচ্ছে করে; বলা হয়েছে তারই কথা ।
হরেক রকম ইচ্ছেও তো জীবনের প্রতি ভালোবাসা থেকেই উৎসারিত হয় , তাইনা ? যদিও জীবন এগিয়ে যায় সাথে সাথে যায় জীবনের সব জটিলতাও । শেষ আকাশে পাখা মেলার পরে পাখিদের তাই আর ফেরা হয়না কোথাও । ডানা ভেঙে মাটিতেই মুখ থুবড়ে পরে । শুধু থেকে যায় নিঃসীম আকাশের প্রতি তার ডানা ঝাপটানো ভালোবাসার কিঙ্কিনি শব্দ । এসব ভালোবাসার রংই আলাদা ।
তাই একজন ভালোবাসার ফেরিওয়ালা বেলোয়ারী চুড়ি আর রেশমী ফিতের রং নয়, ভালোবাসার রং ফেরী করে করে ফেরে ।
এ হলো একটা জীবনদর্শন । শেষ পারানির ঘাটে যেতে যেতে সেই-ই তার পথের পাথেয় ।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
রাতের শুভেচ্ছা ।
৫৯| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৪১
মিথী_মারজান বলেছেন: মন ভেজানো কবিতা।
যে পাথরটা বুকে জমানো আছে শৈশব স্মৃতি নিয়ে, পাথরটা একটু যেন নড়ে উঠলো।
চমৎকার বললে খুব কম বলা হবে কবিতাটিকে।
আমিতো বলবো অত্যন্ত ভালোবাসার একটা কবিতা।
'দেখেনা কেউ, আর একটি কিশোর থেকে যায় সেই বন্দরে' - এখানটায় আমার চোখটাও ভিজিয়ে দিয়েছেন।
২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১০
আহমেদ জী এস বলেছেন: মিথী_মারজান ,
যে মনে কিশোরীবেলার স্মৃতিমেদুরতা বায়োস্কোপের মতো আলোছায়া নিয়ে ঘুরে ঘুরে মরে, তার চোখে জল টলমল করারই কথা ।
মাঝে মাঝের এই কবিতাটি আপনার বুকের পাথর নড়িয়ে, চোখ যে আদ্র করে দিয়েছে তাতে কবিতাটির সার্থক জন্ম হলো মনে হয় !
নান্দনিকতা নিয়ে গোছানো এই মন্তব্যটিতে আপ্লুত ।
মন্তব্যে প্লাস ।
শুভেচ্ছান্তে ।
৬০| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০২
নীল আকাশ বলেছেন: আপনি সত্যই কবি। একমাত্র কবিরাই পারে এভাবে হারানো দিন গুলি কে বিমুর্ত করে তুলে ধরতে!
আপনার কবিতার ব্যাপারে আমি আগে শুনেছিলাম, আর আজকে অসম্ভব মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম। শৈশব নিয়ে এর চেয়ে ভালো কবিতা আমি আগে কখনো পড়িনি। অসম্ভব, এর চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না।
+++++++++++++++
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলআকা৩৯ ,
আমার কথা আগে কোথায় শুনেছিলেন জানিনে তবে এমন অকৃপন মন্তব্যে কৃতজ্ঞ ।
আপনি যে কবিতার একজন ভালো সমঝদার, তার প্রমানও রেখে গেছেন এখানে ।
ধন্যবাদ এখানে এসে ঢুঁ মারার জন্যে ।
শুভেচ্ছা জানবেন অফুরান ।
৬১| ১২ ই জুন, ২০১৯ সকাল ১০:২৩
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: শৈশবের সোনালী দিনগুলো কখনো ভুলবার নয়......
ফিরে আসে নস্টালজিয়া.......
যেন মান্নাদের কফি হাউজ..... গ্রাম আছে, বাড়ি আছে, নেই কেবল দুর্বার শৈশব !
পোস্টে পিঠার ধোঁয়া ওঠা মুগ্ধতা...
১২ ই জুন, ২০১৯ রাত ৮:৫০
আহমেদ জী এস বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স,
পোস্টে পিঠার ধোঁয়া ওঠা মুগ্ধতা তো দিলেন কিন্তু তাতে যে পাটালি গুড়ের রসে ভেজানো পিঠের কথা মনে পড়ে গেলো তার কি হবে?????
হুমমমমম আমাদের জীবন যন্ত্রনা আছে, জ্বালা আছে, কাঁধে বোঝা আছে, সকাল বিকেল দৌঁড়ঝাপ আছে, নেই কেবল দুর্বার শৈশব..................
৬২| ১২ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:১০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বাক্কা সুন্দর কবিতা
মেয়েবেলার দিনগুলো আহা
১২ ই জুন, ২০১৯ রাত ১০:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: কাজী ফাতেমা ছবি ,
মেয়েবেলার দিনগুলো আহা...............
ছেলেবেলার গল্প শোনার দিনগুলো আজ
এখন কতো দুরে,
আর আসেনা রাজার কুমার পঙ্খীরাজে উড়ে।
৬৩| ১৪ ই জুন, ২০১৯ দুপুর ১:৪৯
মুক্তা নীল বলেছেন:
শ্রদ্ধেয়
আপনার কৈশোরের কবিতায় মুহূর্তের মধ্যেই হারিয়ে গেছিলাম আমাদের সেই ফেলে আসা কোন এক টুকরো সোনালী কৈশোরে।
জানি যে দিন যায় সে দিন আর ফিরে আসে না। কিন্তু আপনি যে কবিতায় কেমন স্মৃতি মাখা করে লিখলেন মনটা অস্থিরতার ভর করলো । আপনার কবিতা পড়ে আমার ভীষণ ভালো লাগছে
শুভকামনা ও ধন্যবাদ জানবেন ।
১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:৪৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: মুক্তা নীল,
মনটা অস্থিরতায় ভরে যায় তাদেরই যারা জীবনটাকে খুব ভালোবাসে। জীবনের সোনাঝরা দিনগুলি আজও যাদের স্মৃতিতে অম্লান। সেই অস্থিরমতিদের পালিয়ে শৈশবে নিয়ে যাওয়ারই আমন্ত্রন এই কবিতায়।
মন্তব্য ভালো লাগলো। সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ। শুভেচ্ছান্তে।
১৪ ই জুন, ২০১৯ রাত ৯:৪৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: মুক্তা নীল ,
আমার এই কবিতাটিও হয়তো আপনাকে অনেক কিছুই মনে করিয়ে দিতে পারে.........কি দোষে ! (কাহিনী কাব্য )
৬৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫০
রুমী ইয়াসমীন বলেছেন: শ্রদ্ধেয় ভাইয়া, আপনার এই কবিতাটা আমি কী যে মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম যা বুঝাতে পারব না।
এত্তো সুন্দর অসাধারণ করে কিভাবে যে সেই হারানো শৈশব কৈশোরবেলার স্মৃতিগুলো বাস্তব চোখের সামনে এত্তো আবেগ দিয়ে ভাসিয়ে তুললেন সত্যি অনেক অনেক মুগ্ধ হয়েছি। চোখের কোণে জল জমে গেল। আমার তো কেবল মাঝে মাঝে না একদম সবসময় ইচ্ছে করে সেই ছোট্টটি হয়ে যেতে। সব কিছুতেই অসম্ভব ভালো লাগা ও আনন্দ খুশির হাতছানিতে বারবার শৈশবজীবনটা অনুভব রাখতে চাওয়ার প্রয়াস চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা।
এই অসাধারণ কবিতাটা আমাকে পড়ার সুযোগ করে দেবার জন্যে শ্রদ্ধেয় আমি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ হয়ে রইলাম।
অসম্ভব ভালোলাগা ও মুগ্ধতা রেখে গেলাম কবিতায়....
ভালো থাকবেন ভাইয়া সবসময় এই শুভকামনা জানাই ....
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: রুমী ইয়াসমীন,
আমার ঘরে এই প্রথম পদধুলি আপনার। স্বাগতম।
যে মনে কিশোরীবেলার স্মৃতিমেদুরতা বায়োস্কোপের মতো আলোছায়া নিয়ে ঘুরে ঘুরে মরে, তার চোখ জলে ছলছল হওয়ারই কথা। বোঝা গেলো, জীবনের সেই সোনাঝরা দিনগুলি আজও যাদের স্মৃতিতে অম্লান, আপনি তাদেরই একজন।
ভালোলাগা আর মুগ্ধতা রেখে যাওয়াতে কৃতজ্ঞ।
ভালো থাকুন আপনিও, বুকে জমে থাকা স্মৃতির আনন্দলহরী নিয়ে।
৬৫| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:২২
পদ্মপুকুর বলেছেন: প্রথমত: আমি একজন স্বীকৃত নস্টালজিক; যেটা আমার ব্লগ প্রোফাইলেই লেখা আছে এবং আমি আপনার মত সুন্দর লিখতে পারি না। এজন্যই হয়তো আমার কথাগুলোই আপনি লিখে দিয়েছেন, থ্যাঙ্কু!
দ্বিতীয়ত, গুলতিতে আমার নিশানা ভালো ছিলো। বাজি ধরে আমের বোটায় লাগিয়ে অক্ষত আম পাড়ার রেকর্ড আমার আছে, কিন্তু কখনওই কেনো যেনো কোনো পাখির গায়ে লাগাতে পারিনি। একবার এক হলুদপাখির ডানার পাখনা উড়িয়ে দেয়াই ছিলো এক্ষেত্রে আমার সর্বোচ্চ সফলতা। তবে একবার বড় ভাইয়ের বন্ধু কাওসার ভাই ঢাকা থেকে আমাদের বাসায় বেড়াতে গেল, সাথে এয়ারগান। আমাকে কাওসার ভাই শেখালেন কিভাবে ট্রিগার টিপতে হয়... আমি বেশ দুরে একটা শালিক বা অন্য কোনো একটা পাখি দেখে নিশানা করে ট্রিগার টিপলাম, পাখিটা একটা ডালে বসা ছিলো, ট্রিগার টিপতেই দেখলাম, কেমন যেনো মাথাটা বেকিয়ে ডাল থেকে খসে পড়লো....। আমার মনটা অসম্ভব খারাপ হয়ে গেলো। আসলে পাখি বা যেকোনো কিছুই মেরে ফেলার মধ্যে কোনো আনন্দ নেই, তা ওইদিন বুঝেছিলাম।
তৃতীয়ত: ইয়াসিন মোল্লা এখনও এর ওর ঘরে খেয়ে নুরানী চেহারার আছে.. মানে কি হ্যাঁ? আমি কিন্তু মাদ্রাসায় পড়েছি, সে সূত্রে এর ওর বাড়িতে খেয়েছিও...
চতুর্থত: মাঝে মাঝে আমার ভীষন ডাংগুলি খেলতে ইচ্ছে করে, আমি এই খেলাটা ভালো পারতাম।
এবং পঞ্চমত: ইচ্ছাগুলো নিয়েই আমিও আছি দিনমান তবু কিছু যেন গেছে খোয়া। তাই এ মনে চিনচিনে ব্যথা একশো চার জ্বর নিয়ে অন্দরে ঘাপটি মেরে থাকে এবং আমিও প্রতিক্ষায় থাকি কখন আমার সেবেলা ফিরে আসে... সে প্রতিক্ষা থেকেই আপনি যে লেখা থেকে আমাকে দাওয়াত দিয়ে এনেছেন, সেরকম লেখা তৈরী হয়।
দাওয়াত দিয়ে এনেছেন যেহেতু, খালিহাতে তো আসা যায় না, তাই লম্বা মন্তব্য করে গেলাম, কষ্ট করে পড়ে ধন্য করবেন। আর একটু খাসদিলে দোয়া করবেন যেনো একদিন আপনার মত লিখতে পারি।
১৩ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৬
আহমেদ জী এস বলেছেন: পদ্ম পুকুর,
পদ্ম পুকুরে জলে কোনও কিশোরীর তোলা ঢেউয়ের মতোই দুলে গেলো মন্তব্যটির কথাগুলো।
এক স্বীকৃত নস্টালজিকের নষ্টালজিয়া।
ডাংগুলিতে হাফেজ ছিলুম, তবে মাদ্রাসায় যাইনি কখনও।
কাদা মাটি দিয়ে গুলতি বানিয়ে আগুনে পুড়ে পকেট ভর্তি করে যেতুম পাখি মারতে, শহরতলীর দিকে, দলেবলে। কৈশোরের জোশে পাখির দিকে গুলতি ছোঁড়াতেই নজর ছিলো বেশী। পাখি মারা তখন ছিলো কারিশমা। হাতের টিপ যে খুব ভালো ছিলো তা নয় তবে জিপিএ-৫ পেতুম, গোল্ডেন না পেলেও। অথচ পাখি পড়ে গেলে মায়া লাগতো। বুকটা ধরফড় করতো। তওবা করতুম, আর পাখি মারবোনা। কিন্তু অমন তওবা আর কতোক্ষন থাকে?
হা ...হা... হা... আমাদের পাড়ার মসযিদের খাদেম সাহেবকে ( নাম মনে নেই, আমরা হুজুর বলতুম) পাড়ার লোকেরাই প্রতিবেলা পালা করে খাওয়াতো। আমাদের পালা এলে সেদিন মুরগী ( মান সম্মান বজায় রাখতে ) করতেই হোত, আর যথারীতি "রান"খানা হুজুরের পাতেই যেতো।
ঐ যে মাদ্রাসায় পড়েছেন, তাই অমন হুজুরকে দাওয়াৎ তো দিতেই হয়।
মন্তব্য সুপার লাইকড।
ভালো থাকুন আর নিরাপদে।
৬৬| ০৬ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪৯
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: ইচ্ছে গুলো কোথায় গেল?
ইচ্ছে ছিল অনেক কিছু
ফড়িং কিংবা প্রজাপতির পিছু
তেপান্তরের মাঠ পেড়িয়ে
তুলো তুলো মেঘ ছাড়িয়ে
আমার যে সব ইচ্ছে গুলো
ইচ্ছে গুলো কোথায় গেল?
এই পোস্টের জীবনের অনেক কিছু পেলাম। নীল প্রজাপতির মত ধরা দিল। যেন হারিয়ে যায়নি.....
অসাধারণ কবিতায় ভালো লাগা রইলো। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১২
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: প্রথম হইছি, চা খাওয়ান