নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

এ যেন নয় পৃথিবীর ....... সাই-ফাই চলচ্চিত্র থেকে বেড়িয়ে আসা এ কোন ভিনগ্রহ ??

০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১৩


সোকোত্রার মাটিতে পা দিয়েই আপনার মনে হবে , সাই-ফাই চলচ্চিত্র থেকে বেড়িয়ে আসা এ কোন ভিনগ্রহে এসে পড়লেন আপনি । সোকোত্রা যেন পৃথিবীর কেউ নয় ।
চারটি দ্বীপের একটি আর্কিপেলাগো । সোকোত্রা এর মধ্যে সবচেয়ে বড়টি । আর্কিপেলাগোর প্রায় ৯৫ শতাংশ জায়গা জুড়েই আছে এই দ্বীপটি, সোকোত্রা ।
হর্ণ অব আফ্রিকার ১৫০ মাইল পূবে আর এ্যারাবিয়ান পেনিনস্যুলার দক্ষিনে ২৪০ মাইল গেলেই আপনি দেখা পাবেন বিজন নিঃসঙ্গ এই ভৌতিক দ্বীপটির ।
কেউ কেউ বলে থাকেন , এটাই সেই স্বর্গের আসল “ইডেন গার্ডেন” নইলে এটা এতো নিঃসঙ্গতা, এতো সৃষ্টিছাড়া বৈচিত্রময়তা নিয়ে “গালফ অব এডেন” এর একপ্রান্তে একাকী জেগে আছে কেন !

চিত্র – ১. ভারত মহাসাগরে একাকী পড়ে থাকা সোকোত্রা । বাম দিকের উপরে ইয়মেনের আল-মুকাল্লা শহর আর নীচে হর্ন অব আফ্রিকার সোমালিয়া ।

লম্বায় ৮২ মাইল আর প্রস্থে ৪০ মাইল জায়গা জুড়ে , চেনা পৃথিবীর মাঝে অচেনা অদ্ভুত এই জায়গাটি আপনার কাছে মনে হবে “সাই-ফাই” সিনেমা থেকে উঠে আসা । ছয় থেকে সাত মিলিয়ন বছর আগে গন্ডোয়ানা মহাদেশের মূল ভূখন্ড থেকে, কি জানি কি রাগে সেই যে ঘর ছেড়ে ছিটকে চলে এসেছে ভারত মহাসাগরে তারপর থেকেই চুপটি করে ঘাপটি মেরে আছে সোমালিয়া থেকে ২৫০ কিলোমিটার আর ইয়মেন থেকে ৩৪০ কিলোমিটার দূরে এক নিভৃত কোনে ।




চিত্র - ২ সাই -ফাই কিছু নয় , এ হলো লক্ষ লক্ষ বছর ধরে কেবল বদলে বদলে যাওয়া ।

৮০০ দুর্লভ প্রজাতির উদ্ভিদ আর প্রানীকুল নিয়ে শোভিত সৃষ্টিছাড়া এই দ্বীপ যার ভেতরের এক তৃতীয়াংশই পৃথিবী নামের গ্রহটির আর কোথাও খুঁজে পাবেন না আপনি । এমনকি এই দ্বীপটির মতোই একাকী নির্জনে থাকা গালাপাগোস, হাওয়াই , নিউ-ক্যালিডোনিয়ার মতো দ্বীপগুলিতে, যেখানেও আছে সৃষ্টিছাড়া প্রজাতির অনেক উদ্ভিদ কিন্তু সোকোত্রায় যা আছে তা সেখানে নেই । সোকোত্রার এই বৃক্ষরাজীর অনেকের পূর্বপুরুষেরাই আবার ২০ মিলিয়ন বছর আগে ঘর বেঁধেছিলো এখানে । এই ২০ মিলিয়ন বছরের বৈরী আবহাওয়ার ঘাত-প্রতিঘাত সয়ে সয়ে তাদেরই উত্তরসূরী গাছপালাগুলোকেও ধরতে হয়েছে কিম্ভুত-কিমাকার রূপ । ভয় ধরানো সম্ভ্রমে আপনাকে তাকিয়ে থাকতে হবে শুধু ।

চোখের সামনে পাতার বিশাল ছাতা মেলে ধরা গাছগুলো আপনাকে অবাক করে দেবে। ড্রাগনব্লাড বৃক্ষ । নামটিরও রয়েছে আলাদা এক মাজেজা । গাছটি থেকে নিঃসৃত আঠার ( রেজিন) রঙ রক্তের মতো লাল । গাছটি কেটে যে কেউ আপনাকে ভেলকি লাগিয়ে দিতে পারে এই বলে যে, দেখো....দেখো , মানুষের পাপের ফল , গাছ কাটলেই বেরুচ্ছে রক্ত আর রক্ত ! (ধর্মপ্রান মানুষদেরকে দলে ভেড়ানোর উদ্দেশ্যে কিছুদিন আগে এরকম একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছিলো ।) ভেলকি দেখাতে প্রাচীনকালে এই আঠার ব্যবহার হতো যাদু বিদ্যায় আর ম্যাজিক ঔষধ হিসেবে যা নাকি সারিয়ে তুলতো সকল রোগ । আজ এই নিঃসৃত আঠার ব্যবহার আছে রঞ্জক আর বার্নিশ শিল্পে ।


চিত্র - ৩ ড্রাগনব্লাড বৃক্ষ । আকাশের নীচে ছাতা মেলে, মাটিতে ছায়া ফেলে ......

আছে কিম্ভুত আকারের বোতল বৃক্ষ । মরুভূমির গোলাপ । মাটির ভালোবাসার প্রয়োজন নেই তার , এ যেন কঠিন পাথরের বুক আঁকড়ে আকাশকে নৈবেদ্যের গোলাপ নিবেদন । ফুলগুলি গোলাপী রংয়ের হাতছানি দিয়ে যেন ডেকে ডেকে যায় ।
অনেকেই হয়তো ইতিহাসের পাতায় বাওয়াব গাছের কথা পড়ে থাকবেন । এই মরুভূমির গোলাপ গাছগুলোও ঠিক যেন “বাওয়াব গাছ” এর ক্ষুদে সংস্করন ।






চিত্র - ৪ মরুভূমির গোলাপ ( ডেজার্ট রোজ ) বা বোতল বৃক্ষ । মাটির ভালোবাসার প্রয়োজন নেই তার , কঠিন পাথরের বুক চিরে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকা ........



চিত্র - ৫ বাওয়াব গাছ । মিলিয়ে নিতে পারেন ডেজার্ট রোজ বা বোতল বৃক্ষের সাথে ......

চিত্র - ৬ ফ্রাঙ্কিনসেন্স । সুগন্ধী গাছ ।

প্রাগৈতিহাসিক কিছুর মতো দেখতে এই ফ্রাঙ্কিনসেন্স বৃক্ষগুলির দেখা পাবেন আপনি সোকোত্রার পূর্ব সীমানায় । এই বৃক্ষের কষ (রেজিন) এর তীব্র সুগন্ধের কারনে দাহকর্মে এই বৃক্ষগুলি প্রচুর পোড়ানো হতো । অনেকটা যেন আমাদের চন্দন কাঠের মতো ।

চিত্র -৭ দিগন্ত বিস্তৃত বালুকাময় সাগর সৈকতের রঙিন হাতছানি ।

কোথাও দীর্ঘ প্রসারী বালুকাময় সাগর সৈকত, কোথাও কোরাল রীফ নিয়ে গড়ে ওঠা পাথুরে উপকূল , আকাশ ছোঁয়া পাহাড় আর লাইমষ্টোনে তৈরী গুহা নিয়ে সোকোত্রা ভারত মহাসাগরের নীল জলে শুয়ে থাকলেও তার বুকের সবটাই জুড়ে আছে তপ্ত , শুষ্ক আর উষর পাথুরে মাটির নিনাদ । বাতাসে মরুভূমির তপ্ত আমেজ বছর জুড়ে । গড় উষ্ণতা ২৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড আপনার গায়ে আগুনের হলকা না ছোয়ালেও সুখকর নয় । বৃষ্টির দেখা বলতে গেলে পাবেন না এখানে ।

চিত্র - ৮ আকাশচুম্বী পাহাড়ের সারি , দূরে দূরে ......,

চিত্র -৮ আছে বোল্ডার আর মাটি ধ্বসে ভয়াল বেলাভূমি ……

চিত্র -৯ আওমাক বীচ...............

দেখা পাবেন ধাঁধা লাগানো সাদা সাদা বালিয়াড়ির ঢেউ নিয়ে মাইলের পর মাইল পড়ে থাকা আওমাক বীচ । মৌসুমী তীব্র বাতাস এই বালিয়াড়িকে নতুন নতুন আকৃতিতে গড়ে তুলছে প্রতিনিয়ত ।
বিচিত্র এক ভূ-প্রকৃতি নিয়ে সোকোত্রা পড়ে আছে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে ।

চিত্র -১০

চিত্র -১১

চিত্র -১২

চিত্র -১৩

চিত্র -১৪

চিত্র -১৫ - ১৫ মিটার ব্যাসার্ধ, ৮ মিটার উচ্চতা আর ১ কিলোমিটার আনুভূমিক গভীরতা নিয়ে হালা সমুদ্র তীরের “ হক কেভ ” ।

মিলিয়ন মিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীর স্বর্গ থেকে বিচ্যুত হয়ে একাকী পড়ে থাকা এ মাটিতে বাকী পৃথিবীর বিবর্তন ধারার কোনও ছোঁয়া লাগেনি । তাই সে পৃথিবীর হয়েও যেন নয় পৃথিবীর । প্রাগৈতিহাসিকতার ছাপ তার সারা গায়ে ।

বিচিত্র এর ইতিহাস ।

খ্রীষ্টিয় ১ম শতকে একটি গ্রীক নেভিগেশান এইডে আপনি দ্বীপটির প্রথম উল্লেখ দেখতে পাবেন । ৩য় শতকের তৈরী একটি কাঠলিপি আর গুহাচিত্র সহ বিভিন্ন ভাষার লেখা উদ্ধারের সাম্প্রতিক আবিষ্কারে মনে করা হয় অতি প্রাচীনকাল (খৃষ্টজন্ম পূর্ব ) থেকেই ব্যবসার একটি ঘাঁটি হিসেবে বিভিন্ন জাতি এই দ্বীপটিকে ব্যবহার করে এসেছে । আশ্চর্যের বিষয় হলো , গুহার দেয়ালে লেখা এসবের অধিকাংশই ভারতীয় ব্রাহ্মী ভাষায় লেখা । আর আছে দক্ষিন আরবী, ইথিওপিয়ান , গ্রীক, পালমিরিয়ান, ব্যাক্ট্রিয়ান অক্ষর ও ভাষা ।
তাহলে কি দ্বীপটি তার অবস্থানের কারনেই প্রাচীন কালে ভারত মহাসাগরীয় বানিজ্য পথে বিভিন্ন জাতি কর্তৃক অস্থায়ী ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিলো ?
প্রখ্যাত ভ্রমনকারী মার্কোপোলোও সোকোর্তার কথা বলে গেছেন তার ভ্রমন কাহিনীতে । বলেছেন, এখানকার অধিবাসীরা পরিবর্তিত খ্রীষ্টান হলেও রোমের পোপের ধর্মানুসারী ছিলোনা । তারা ছিলো আদতে “নোস্ত্রোনিয়ানস” যারা প্রাচীন যাদুবিদ্যার চর্চ্চাও করতো । এরা এসেছিলো সম্ভবত ভারত থেকে, খ্রীষ্টের জন্মেরও আগে । কালের পালাক্রমে এই সোকোত্রাবাসীরা খ্রীষ্টান থেকে মুসলিম গোত্রে নিজেদের নাম লেখায় । কারন ১৫০৭ সালের পর্তুগীজ নৌ-কমান্ডার ত্রিস্তান ডি চুনহার ভ্রমনবৃত্তান্ত থেকে জানা যায় , সোকোত্রাকে তারা বেছে নিয়েছিলেন বানিজ্যিক প্রয়োজনে ভারতে যাওয়ার নৌপথে একটি স্ট্রাটেজিক পয়েন্ট হিসেবে গড়ে তুলতে এবং একই সাথে বন্ধুসুলভ খ্রীষ্টানদের ইসলামের শাসন থেকে রক্ষা করতে । এরপরে ১৫১১ সালের দিকে সোকোত্রা ইয়োমেনের মহড়া সালতানাতের অন্তর্ভুক্ত হলে সোকোত্রাবাসীরা সবাই ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন । যা আজও বহমান । ১৮৩৪ সালে ব্রিটিশরা দ্বীপটি কিনতে চেয়েও ব্যর্থ হয় যদিও ১৮৮০ সালে সুলতান ব্রিটিশদের হাতে সমগ্র সালতানাতের রক্ষা করার দায়িত্বটি ছেড়ে দেন । ১৯৬৭ সালে মাহেরা সালতানাতের বিলুপ্তি ঘটলে সোকোত্রা স্বাধীন দক্ষিন ইয়োমেনের অংশ হয়ে যায় । বর্তমানে এই প্রাগৈতিহাসিক দ্বীপটি রিপাবলিক অব ইয়োমেন এর একটি অংশ ।

নামটি তার এমন কেন ? বিতর্ক আছে “ সোকোত্রা” শব্দটি নিয়ে । কেউ বলেন আরবী শব্দ “সুগ” বা “সুক” যার অর্থ ‘বাজার” , সেখান থেকেই নামটির ব্যবহার । কেউ বলেন শব্দটি সাংস্কৃত যার অর্থ “ স্বর্গীয় দ্বীপ ” ।

চিত্র -১৬ -হাজহির পর্বতের পায়ের কাছে অবহেলায় পড়ে থাকা প্রধান জনবসতি - “হাদিবো” ।

সোকোত্রার মানুষেরা.....

৩ হাযার বছরের ও আগে মানুষর পদধূলি পড়েছিলো এই সৃষ্টিছাড়া দ্বীপে । সম্ভবত প্রাচীন মিশরীয়, গ্রীক, রোমানজাতি তাদের পায়ের চিহ্ন এঁকেছিলো এখানে প্রথম । এখানকার সম্পদে হাত পড়েছিলো সেবার রানী আর আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট এর মতো মানুষদের। এরপরে সময়ের সাথে সাথে পাল্টে গেছে একে একে সব ।
সৃষ্টিছাড়া এই দ্বীপে বসবাস করা মানুষের সংখ্যা মাত্র ৪০ হাযার । সৃষ্টিছাড়া বলেই হয়তো সভ্যমানুষেরা এর ছায়া মাড়াননি । নইলে মাত্র দু’বছর আগে কেন এখানকার একমাত্র রাস্তাটি তৈরী হবে ?
এখনকার মানুষেরা প্রায় সবাই এখন দক্ষিন আরব থেকে আসা । প্রধানত ইয়োমেনাইটস, মাহরা ও হাদ্রামুত এলাকার মানুষ এরা। ভাষা “সোকোত্রী” যা প্রাচীন ভাষার সাথে আরবী ভাষার মিশ্রন । আলাদা করে আরবীর ব্যবহার ও আছে । পুরনো সংষ্কৃতিকে আঁকড়ে আছে এখনও । বেদুইন জাত । পাহাড়ী এলাকায় এরা পশু চড়িয়ে খায় , জন্মায় কিছু ফসলও । প্রধান শহর বা রাজধানীও বলতে পারেন যে “হাদিবো” শহরটিকে সেটা পড়ে আছে সমুদ্র সৈকতে হাজহির পর্বতের পাদদেশে । এখানকার মানুষেরা বেশীর ভাগই মৎস্যজীবি । কেউ কেউ সুনীল জলের নীচে মুক্তা খুঁজে ফেরে । কিছু কিছু কৃষিকাজেও এখানকার মানুষ জড়িয়ে আছে । এতোদিন অবহেলিত থাকার পরে আধুনিকতার ছোঁয়া সবে লাগতে শুরু করেছে এর গায়ে । ইয়োমেনের রাজনৈতিক টানাপোড়েন অবশ্য সোকোত্রা থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিয়ে গেছে বারবার । তাই এখনও সোকোত্রার গা থেকে আদিম গন্ধ একেবারে যায়নি ।
সোকোর্তার নারীরা সারা অঙ্গ এখনও রাঙিয়ে তোলে মেহেদীর কারুকাজে । আরবীয় সংস্কৃতির ছোঁয়া যেন এখানেও । মেহেদীর রঙে রাঙা হয়ে ওঠা সোকোত্রা সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ।

চিত্র -১৭ চরণ রাঙানো কারুকাজে , রিনিকি ঝিনিকি ছন্দ বাজে .................

চিত্র -১৮ সোকোত্রায় সোকোত্রীয়ান ইয়োমেনের মানুষেরা..................

চিত্র - ১৯ টুরিষ্ট ডেষ্টিনেশান “দেতওয়া লেগুন” এর পাড়ে ছাগল পালিকা সাদিয়া । জন্ম আর বেড়ে ওঠা এখানকারই এক পাহাড়ের গুহায় ।

চিত্র -২০ উমাগ সৈকতের কিশোরী...............



চিত্র -২১ স্থানীয় জেলে ..................





চিত্র - ২২ মাছ ধরার স্বর্গ ................. একদিন দল বেঁধে ......

সোকোত্রার প্রানীকুল....

১৮০ প্রজাতির পাখিতে সোকোত্রা মুখরিত । ৬ টি প্রজাতি আবার বিলুপ্তির পথে । সোনালী পাখার “গ্রস বীক” ইয়োমেনের জাতীয় পাখি । এবং
প্রজাপতি রয়েছে ১৯০ রকমের । ৬৮০ প্রজাতির মাছ । ৬০০ প্রজাতির সরীসৃপ আর পতঙ্গের দেখা পেলেও এর ৯০ শতাংশই বিলুপ্তির পথে ।
তাই ইউনেস্কোর তরফ থেকে এই দ্বীপটিকে ২০০৮ সালে “ওয়ার্ল্ড ন্যাচেরাল হেরিটেজ সাইট” ঘোষণা করা হয়।

চিত্র - ২৩ “মনোসেন্ট্রোপাস বালফুরি” সোকোত্রার হারিয়ে যেতে বসা মাকড়সা ।

চিত্র - ২৪ “সোকোত্রা ষ্টার্লিং” পৃথিবীর আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবেনা যে পাখি ।

চিত্র - ২৫ “ক্যামেলিও মোনাকাউস”
“ক্যামেলিও মোনাকাউস” যে সরীসৃপের হিসসসসসসস....... শব্দ শুতে পেলে আপনি কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলবেন চিরতরে । এমনই যাদুকরী শক্তি নাকি আছে এর, যাদের এই সৃষ্টিছাড়া দ্বীপটি বাদে পৃথিবীর আর কোথাও আপনি দেখতে পাবেন না !

চিত্র - ২৬ রোদের প্রচন্ড তাপ এড়াতে গাছে উঠে পড়া ঢাউস সাইজের শামুক ।

চিত্র - ২৭ বিলুপ্তির পথে মিষ্টি পানির রঙিন কাকড়া ।

চিত্র - ২৮ খাবার নিয়ে ঘরে ফেরা ক্রিষ্টেল স্ত্রী বাজপাখি, মায়ের মমতায় মাখামাখি ।

চিত্র - ২৯ বিলুপ্তির পথে এডিথকোলিয়া গ্রান্ডিস ।

চিত্র - ৩০ বিচিত্র অর্কিড “কারাল্লুমা সোকোত্রানা”

বদলে যাচ্ছে পৃথিবী । ধীরে ধীরে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে সোকোত্রার গায়েও । ছোট্ট একটি এয়ার পোর্টও তৈরী হয়েছে দল বেঁধে আসতে থাকা ভ্রমন পিপাসুদের জন্যে । এভাবে হয়তো একদিন সোকোত্রা পাল্টে যাবে , প্রাগৈতিহাসিকতার গর্ব মুছে যাবে তার । সাই-ফাই চলচ্চিত্র থেকে বেড়িয়ে আসা কোন ভিনগ্রহ মনে হবেনা আর তাকে।

বহুদূরে , একাকী থেকে থেকে, আধুনিক পৃথিবীর ছোঁয়া বাঁচিয়ে যে মানুষেরা এতোদিন ধরে রেখেছে তাদের সংস্কৃতি, তাদের ভাষা, এতোদিন যে বৃক্ষরাজী আর প্রানীকূল ২০ মিলিয়ন বছরের বৈরী আবহাওয়ার ঘাত-প্রতিঘাত সয়ে সয়ে এসেছে তাতেও কি একদিন লাগবে গ্রহন ?

সর্বশেষ : গ্রহন লাগতে শুরু করেছে এই লগ্নেই । পৃথিবীর ইডেন বাগানে ঢুকে পড়েছে সাপ । রাজনৈতিক বিষবাষ্প ছড়িয়ে যাচ্ছে সোকোত্রার আকাশে । আরব আমীরাতের লোলচক্ষুর দৃষ্টিতে পড়েছে সে । অতি সম্প্রতি আমীরাতের সেনা বাহিনী ইয়মেনের হাত থেকে জবর দখল করে নিয়েছে সোকোত্রা । বলছে , আমীরাত নাকি ৯৯ বছরের জন্যে লীজ নিয়েছে দ্বীপটি । কার কাছ থেকে লীজ নিয়েছে , সে ব্যাপারটি পরিষ্কার নয় । তাদের উদ্দেশ্য, এখানে নাকি একটি বানিজ্যিক বন্দর গড়ে তোলা হবে ।

স্বর্গের পতনের এই শুরু .....


কৃতজ্ঞতা অন্তর্জালের কাছে ।
তথ্যসূত্র ও ছবি -
https://en.wikipedia.org/wiki/Socotra
http://www.dailymail.co.uk/sciencetech/article-2431857/The-lost-world-Socotra-remote-island-plants-20-MILLION-years-old.html#ixzz3kelJH39A
http://www.biologie.uni-rostock.de/wranik/socotra/texts/31.htm
http://www.aljazeera.com/indepth/inpictures/2015/02/precarious-living-yemeni-island-socotra-150213145010826.htm
http://hadhramouts.blogspot.com/2014/02/socotra-sights-and-people.html

মন্তব্য ১৩৭ টি রেটিং +২৬/-০

মন্তব্য (১৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

তারেক ফাহিম বলেছেন: চমৎকার ছবি ব্লগ।

ভাইয়া পোষ্টটি ডাবল আসলো মনে হয়।

তাও ভালো লাগলো, সুন্দরকে দুইবার কেন বারবার দেখতে ইচ্ছে করে। B-)

০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: তারেক ফাহিম ,




ধন্যবাদ প্রথম মন্তব্যটির জন্যে ।
তবে মনে হয়, এটি ছবি ব্লগ না হয়ে ফিচার হয়েছে ।
এবার ঠিক হয়েছে ?

হ্যা, প্রকৃতির এই অদ্ভুত খেয়াল বারেবারে চোখ মেলে দেখার মতোই ।
শুভেচ্ছান্তে ।

২| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: শুভ সকাল। ভারত মহাসাগরের 'সুকোত্রা' দ্বিপের নামই জানতাম না। এ দ্বীপে এতে অদ্ভূত কিছু উদ্ভীদ আছে জানতাম না। যাক জানার পরিধিটা বাড়লো। আর ছবিগুলো সত্যি ইউনিক। অনেক ভাল লাগার একটা পোস্ট।

০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী ,




সে জন্যেই তো লিখেছি "এ যেন নয় পৃথিবীর " ।
জেনে ভালো লাগলো যে, লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৩| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৭

কামরুননাহার কলি বলেছেন: দেখে মতো হলো আমিই যেনো এই স্বপ্নের রাজ্যে বসবাস করতেছি।

০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: কামরুননাহার কলি ,




এক স্বপ্নের দেশে বাস করার মতোই সোকোত্রা । ২০ মিলিয়ন বছর ধরে তিলে তিলে গড়ে ওঠা স্বপ্ন ।
ভালো লাগলো আপনাকে এখানে দেখে ।

শুভেচ্ছান্তে ।

৪| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮

শামছুল ইসলাম বলেছেন: শেষ শব্দে যেন বুকে শেল বিধলো- "স্বর্গের পতনের এই শুরু"।

০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: শামছুল ইসলাম ,




এখানে আপনার মন্তব্য দেখে খুব ভালো লাগলো ।
হ্যাঁ............. স্বর্গের পতনের শুরু এভাবেই হয়েছিলো । সর্পরূপী শয়তানের প্ররোচনায় আদম ও ইভের স্বর্গ থেকে বিদায় ..........।

ভালো থাকুন আর সুস্থ্য । শুভেচ্ছান্তে ।

৫| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: অভুতপূর্ব ছবিগুলো দেখে ভিশন ভালো লাগলো। পোস্টের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: অনন্য দায়িত্বশীল আমি ,




অভূতপূর্ব ছবিই শুধু নয়, এর ইতিহাসটাও অভূতপূর্ব ।

মন্তব্যে ভালো লাগা । শুভেচ্ছা রইলো ।



৬| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: অসাধারণ ছবি,লেখাগুলি পড়া হয়নি পরে পড়ে নিবো।

০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: তারেক_মাহমুদ ,




না পড়েও মন্তব্য করে গেলেন । ধন্যবাদ ।

৭| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৩৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ইতিহাস, ঐতিহ্য, ভ্রমন, জ্ঞান আর দর্শন

সব মিলিয়ে অসাধারন এক পোষ্ট!

মুগ্ধ পাঠ আর অন্তহীন ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা! একের ভেতরে অনেকে জ্ঞানের সংযোজনে।

শেষটায় কষ্টটা ছূঁয়ে গেল এক বাক্যেই---

++++++++++

০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ,




অনেকদিন পড়ে ছিলো লেখাটি বাক্সবন্দি হয়ে । কেবল গত দু'দিন আগে সোকোত্রায় আমীরাতের আগ্রাসন দেখে মনে হলো, এখনই সময় !
সোকোত্রা

শেষের কষ্টটা যেন বুকে বাজে ।

মন্তব্যে প্লাস ।

০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ,




সোকোত্রা লিংকটিতে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন ।

৮| ০৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

প্রামানিক বলেছেন: গুরু, হঠাৎ করে কি দেখালেন, এ তো মনে হলো পৃথিবীর মাঝেই আরেক পৃথিবী। তবে কষ্ট লাগল শেষের রাজনৈতিক কামড়াকামড়ি দেখে। না জানি এই স্বর্গ আবার দুই দেশের টানাহেঁচড়ায় ধ্বংস হয়ে যায়!

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রামানিক ,



ঠিকই বলেছেন , এ যেন পৃথিবীর মাঝেই আরেক "এলিয়েন পৃথিবী"।
বানিজ্যের মধু যেখানে সেখানে মুধুখেকো পতঙ্গের কামড়া কামড়ি তো লাগবেই ।

মন্তব্যে ভালো লাগা ।

৯| ০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১০

জুন বলেছেন: আহমেদ জী এস একটু ব্যাস্ত থাকার জন্য আপনার পোষ্টে একটু নজর বুলিয়ে গেলাম মাত্র। বিমুগ্ধ সোকোত্রার রুপ বৈচিত্রে। মন্তব্য নিয়ে আসছি পরে, তার আগে দিয়ে যাই আমার ঘরের মরু গোলাপের ছবি ও বোটানিক্যাল শোএর বহু মুল্যবান ডেসার্ট রোজ এর এক বনসাই :)

+

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,




আহা ... মরি ...মরি
হৃদয় নিয়েছেন নিংঙারী ।
ব্যস্ততার মাঝেও সঞ্চারী-
রেখে গেছেন অপরূপ দু'টি মঞ্জরী
ব্লগ করকমল তলে ..............


আমিও আবার আসছি আপনার প্রষ্ফুটিতব্য গোলাপী মন্তব্যের কোলে !


১০| ০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২২

মিথী_মারজান বলেছেন: ওয়াও!
কি সুন্দর!!!
গাছ, ফুল, পাহাড়, সমুদ্র এমনকি মাকড়শাটা পর্যন্ত কত সুন্দর!
আসলেই যেনো সোকোত্রা একটা স্বর্গীয় দ্বীপ!
দারুণ সব তথ্য ছবিতে ভরপুর পারফেক্ট একটা ছবি ব্লগ।
মুগ্ধতার রেশ কাটছেনা।
আরে হ্যাঁ!!! মুগ্ধতা কাটবেই বা কিভাবে, দেখতে হবে না কার ব্লগে এসেছি!!!!:)

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: মিথী_মারজান ,



মুগ্ধতা কাটবেই বা কিভাবে, দেখতে হবে না কার ব্লগে এসেছি!!!
এভাবে বলার পরে মুখখানা আমার যে ডেজার্ট রোজের মতো লাল হয়ে গেল লজ্জায় !

আন্তরিকতার ছোয়ায় চমৎকার আপনার মন্তব্য । মন্তব্যে ভালো লাগা
শুভেচ্ছান্তে ।

১১| ০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১

বাবুরাম সাপুড়ে১ বলেছেন: পুরো দ্বীপটাকেই তো ছবি এবং কথায় তুলে এনেছেন। দারুন। মেহনতি পোস্ট বটেক !

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৩২

আহমেদ জী এস বলেছেন: বাবুরাম সাপুড়ে১ ,



পুরো দ্বীপটাকে আর তুলে আনতে পারলুম কই ? ওটা এখন আরব আমিরাত তুলে নিয়ে গেছে !!!! :(
দ্বীপটি কেমন দেখতে হলে অনুগ্রহ করে ৭ নং প্রতিমন্তব্যের "সোকোত্রা" লিংকটিতে ক্লিক করুন ।

মন্তব্যে প্লাস ।
শুভেচ্ছান্তে ।

১২| ০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৪৩

নীল আকাশ বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন। মুগ্ধ হলাম ছবি গুলি দেখে । ইস্‌ যদি একবার যেতে পারতাম !!!

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলআকা৩৯ ,



লেখাটি অসাধারন বলায় ভালো লাগলো ।
আফসোস কেন ? এই তো কাছেই । একবার গিয়ে ঘুরে আসুন না হয় ! মুগ্ধ হওয়ার মতোই দ্বীপটির ল্যান্ডস্কেপ ।

ভালো থাকুন ।

১৩| ০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫

সামিয়া বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম পড়ে পড়বো ।

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সামিয়া ,



প্রিয়তে নেয়ার জন্যে ধন্যবাদ ।
এতোক্ষনে নিশ্চয়ই পড়া হয়েছে ?

১৪| ০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: বিচিত্র সুন্দর পোষ্ট।

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: প্রান্তর পাতা ,





অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্যে ।

ভালো থাকুন নিরন্তর ।

১৫| ০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:০০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: দারুন পোস্ট।

০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ১১:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: টারজান০০০০৭ ,




মন্তব্যের জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছান্তে ।

১৬| ০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৯

এম আর তালুকদার বলেছেন: আজকের মত এত সময় নিয়ে এবং মনযোগ দিয়ে কোন ছবির ব্লগ পড়েছি কিনা মনে পরে না। খুব ভাল লাগলো।

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: এম আর তালুকদার ,




পাঠককে হতে হবে আপনার মতো ধীমান , তবেই ব্লগ লিখিয়েরা অনুপ্রেরণা পাবেন । এতে ব্লগে লেখা ও মন্তব্যের খরা নিয়ে আমাদের যে আক্ষেপ তা অনেকটাই দূর হতে পারবে ।

অনেক অনেক ভালো লাগা এমন মন্তব্যে ।
শুভেচ্ছা জানবেন ।

১৭| ০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: প্রিয়তে স্থান পেল।

সুন্দর।


++++++

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার,



প্রিয়তে নেয়ার জন্যে ধন্যবাদ ।
মন্তব্য ও প্লাস দেয়াতে অনেক অনেক ভালো লাগা ।

ভালো থাকুন আর সুখে ...............

১৮| ০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: যে সুন্দর করে বর্ননা দিলেন ভাইয়া অপূর্ব।
সোকত্রাকেও মানুষই ধ্বংস করবে।মানুষ রুপি ওই সব অমানুষের হাত থেকে সোকত্রা বেচে থাকুক তার সৌন্দর্য নিয়ে যুগের পর যুগ।
সুন্দর একটি পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোস্তফা সোহেল ,




আমার সকল পোস্টে আপনার করা মন্তব্যে যে আন্তরিকতার দেখা মেলে এবারেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি ।
পৃথিবীর মাঝে থেকেও যে পৃথিবীর নয় , তাকে নিয়েও এখন শুরু হয়েছে রাজনীতি । আপনার কথা মতোই বলি - সোকত্রা বেচে থাকুক তার সৌন্দর্য নিয়ে যুগের পর যুগ।

দ্বীপটির কেন বেঁচে থাকা উচিৎ তা জানতে অনুগ্রহ করে ৭ নং প্রতিমন্তব্যের "সোকোত্রা" লিংকটিতে ক্লিক করুন ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।

১৯| ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।

০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর ,





মন্তব্যের জন্যে অজস্র ধন্যবাদ ।

২০| ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯

নতুন নকিব বলেছেন:



সুন্দর। জানার, বুঝার এবং চিন্তার; একসাথে অনেক কিছুর সমাহার। ধন্যবাদ।

০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন নকিব ,



আপনার জানার, বোঝার এবং চিন্তার সাথে মেলানো মন্তব্য ।
মন্তব্যে প্লাস ।

শুভেচ্ছান্তে ।

২১| ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

সনেট কবি বলেছেন: পোষ্টটি খুব উপভোগ করলাম। ++++++++++++++++++

০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: সনেট কবি,



পোস্টটি উপভোগ্য হয়েছে জেনে ভালো লাগলো ।
এত্তো এত্তো প্লাসে আপ্লুত ।

সনেটচারীকে অনেক শুভেচ্ছা ।

২২| ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৯

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কী অপূর্ব !! নির্জন বিষাদ মাখা রুপ !!
ইতিহাস তথ্য ছবি ভবিষ্যৎ সবকিছু মিলিয়ে পরিপূর্ণ একটা লেখা।

ধন্যবাদ ভাইয়া।

০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা ,



এই অপূর্বতা আর নির্জনতার ছায়া গায়ে মেখেই তো সোকোত্রা পৃথিবীর হয়েও পৃথিবীর কেউ যেন নয় !
তেমন পাঠকের কাছ থেকে লেখার পরিপূর্ণতার স্বীকৃতি মিললে লিখিয়েকে বর্তে যেতে হয় !
অজস্র অজস্র ধন্যবাদ এমন সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ।

ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।

২৩| ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৯

জাতির বোঝা বলেছেন: অসাধারণ।

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: জাতির বোঝা ,



মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।

২৪| ০৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


খুবই সুন্দর যায়গা, মানুষজন পেছনে পড়ে আছে।

আমিরাত দরিদ্রলকগুলোকে এখনা থেকে সরিয়ে দেবে একদিন

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী ,



ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।
জায়গাটি কেমন বুঝতে হলে অনুগ্রহ করে ৭ নং প্রতিমন্তব্যের "সোকোত্রা" লিংকটিতে ক্লিক করুন ।
আর আপনার মন্তব্যের শেষেরটুকু সম্পর্কে ৩৬ নং মন্তব্যে জুন , সোকোত্রাকে নিয়ে যা যা ঘটবে তা চমৎকার করে তুলে ধরেছেন ।

শুভেচ্ছান্তে । ভালো থাকুন নিরন্তর ।

২৫| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:০৬

তাশমিন নূর বলেছেন: চমৎকার ! মুগ্ধকর!!

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: তাশমিন নূর ,



লেখাটি পড়া আর মন্তব্য করাতে ধন্যবাদ ।
সম্ভবত অনেকদিন পরে দেখা মিললো আপনার ।

ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।

২৬| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:১২

সুমন কর বলেছেন: সোকোত্রার অদ্ভুদ সব ছবি আর ফিচার পোস্ট হিসেবে দারুণ পোস্ট। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সুমন কর ,




ধন্যবাদ আপনাকেও, যে আপনি এটি পড়েছেন, দারুণও বলেছেন ।
ভালো থাকুন । সাথেই থাকুন ।

২৭| ০৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৪১

সোহানী বলেছেন: পোস্টে আহমেদ জী এস দেখে ঢুকলাম, কিছুদূর পড়ার পর আবার চেক করতে গেলাম এটা কি আহমেদ জী এস এর লিখা নাকি ড: আলীর লিখা..........হাহাহাহাহা...। মজা করলাম............. কারন আপনার এ ধরনের তথ্য ভিত্তিক লিখা অামার চোখে পড়েনি।

অনেক কিছু জানলাম। যে ছবিগুলো উপরে দিয়েছেন বিশেষকরে গাছগুলোর ছবি ইর্ন্টানেটে অনেক দেখে কিন্তু জানতাম না যে এটি কোথাকার। অনেক অনেক কিছু জানলাম। আরো জানলাম নব্য ব্রিটিশদের হাতে এটি পড়েছে, আর রক্ষা নেই এর। এরপর পোলাপান মাছের নেট না নিয়ে আকাশ নেটেই সময় কাটাবে.......... অার এক কিছু হবে দাস কিছু হবে মীর জাফর। ইউএন নামের এ খেলনাকে বন্ধ করে দেয়া উচিত। এদের যখন কোন ক্ষমতাই নেই কিছু রিলিফের চাল দেয়া ছাড়া তাহলে এদেরকে পুষে লাভ কি!!!!!!!!!!!!! পৃথিবীটাকে কয়েকটা ভাগে ভাগ করে ক্ষমতাশীন কয়েকটা দেশকে দিয়ে দেয়াইতো ভালো। তাহলে অযথা এ মানুষগুলো মরবে না বা যুগের পার যুগ দাস হয়ে বেচেঁ থাকবে না।

অনেকদিন পর অবশেষে আসলেন লিখা নিয়ে, ভালো লাগলো।

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,




অনেকদিন পরে নয় আসছি তো প্রায়ই , টুকটাক মন্তব্যও করছি ।

আমার এ ধরনের তথ্যভিত্তিক লেখা অাপনার চোখে পড়েনি বলেছেন । তথ্যভিত্তিক আরও অনেক অনেক লেখা আছে এই অধমের। চোখে পড়াতে হলে আপনাকে কষ্ট করে আমার ব্লগ উঠোনের এখানে সেখানে একটু ঢুঁ মেরে আসতে হবে যে !
আর সোকোত্রার ভাগ্য নিয়ে যা বলেছেন , হয়তো তেমনটাই ঘটবে ।

ভালো লাগলো বরাবরেই মতোন আপনার হাস্যরসে মাখা অথচ স্যাটায়ার ধর্মী মন্তব্যখানি ।
ভালো থাকুন আর সাথেই থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।

২৮| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

মাআইপা বলেছেন: বর্ণনা সহ ছবি অসাধারণ !!!!!!!!
শুভ কামনা রইল

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাআইপা ,




সোকোত্রার মতোই সাই ফাই চলচ্চিত্র থেকে উঠে আসা অসাধারণ আপনার "নিক" খানি । এই ব্লগের পৃথিবী ছাড়া আপনিও আর কোথাও খুঁজে পাবেন না তাকে ।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।

২৯| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৫১

গেছো দাদা বলেছেন: ভালো লাগলো ।

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: গেছো দাদা



ভালো তো লাগতেই হবে । ২০ মিলিয়ন বছর আগের গাছের কথা লিখেছি যে ! :P

৩০| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১২:৫৬

ওমেরা বলেছেন: সব কিছু মিলিয়ে বলতেই হয় একটা চমৎকার পোষ্ট ।

১০ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: ওমেরা ,




মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।
ভালো থাকুন ।

৩১| ০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ১:০৫

সামিয়া বলেছেন: সত্যিই অসাধারণ অনেক শিক্ষনীয় একটি পোস্ট এবং অনেক অজানাকে জানা হলো আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

১০ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: সামিয়া ,




প্রাগৈতিহাসিক সোকোত্রাকে আরো জানতে হলে অনুগ্রহ করে ৭ নং প্রতিমন্তব্যের "সোকোত্রা" লিংকটিতে ক্লিক করুন । ভালো লাগবে ।

সুন্দর মন্তব্যে অনেক ভালো লাগা ।

৩২| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: আর একবার এসে ছবি গুলো দেখে গেলাম।

১০ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩২

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,




ছবি যেন শুধু ছবি নয় ! আছে .. আছে ছবির পেছনেও গল্প আছে ..............



৩৩| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১২

করুণাধারা বলেছেন: অপূর্ব!! বারবার পড়ে দেখার মত একটা পোস্ট।

পোস্টের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শেষটুকু পড়ে মন খারাপ হলো।

পোস্ট বুকমার্কড করে রাখলাম।

১০ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা ,



এমন আন্তরিক মন্তব্যে ভালোলাগা ।
শেষের যা ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে তা বেদনা দায়কই বটে । নীচে ৩৬ নং মন্তব্যে সহ-ব্লগার জুন , সোকোত্রাকে নিয়ে কি কি ঘটতে পারে তা চমৎকার করে তুলে ধরেছেন ।

বুক মার্কড করে কৃতজ্ঞতায় আটকে রাখলেন ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৩৪| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:০০

এটম২০০০ বলেছেন: Would the Government of Bangladesh, Nepal and Bhutan sue in the International Court CM West Bengal Mamata-Sree for her "Vagar-Sree Prokolpo" through which she polluted the blood of their citizen with deadly diseases through rotten cows, cat, dog etc.?

১১ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: এটম২০০০ ,



এখানে অপ্রাসঙ্গিক বলে কোনও মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন ।

৩৫| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৯

মিরোরডডল বলেছেন: অদ্ভুত সুন্দর!!!!
ডেসার্ট রোজ টা অনেক ভালো লাগলো

১১ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: MirroredDoll ,



আসলেই ভালো লাগার মতোই মরুগোলাপ ।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।

৩৬| ০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

জুন বলেছেন: এবার খুব ধীরে সুস্থে মন দিয়ে পুরো লেখাটি পড়লাম আহমেদ জী এস।
সৃষ্টিছাড়া দ্বীপ বলে আপনি সোকোত্রা দ্বীপমালাকে একাধিকবার উল্লেখ করেছেন কিন্ত সেই দ্বীপ জুড়ে ছড়িয়ে প্রান - নিস্প্রান প্রতিটি জিনিসই ব্যতিক্রমী। যেমন বৈচিত্রময় অপুর্ব গঠন তাদের, তেমনি তাদের ইতিহাস। তবে স্বর্গ থেকে যেমন পতন ঘটেছিল আদি বাসিন্দা আদম আঃ এর তেমনি এটিরও পতন ঘটবে যা আপনি শেষ লাইনে উল্লেখ করেছেন। যখন আমিরাতের মালিকানায় যাবে তখন হয়তো গড়ে উঠবে নানা রকম ক্যাসিনো, প্রমোদ বিলাসের জন্য নানা রকম ব্যবস্থা । অপার সৌন্দর্য্য নিয়ে নিভৃতে পরে থাকা সোকোত্রা তখন লাসভেগাসের মত এক নামেই পরিচিত হয়ে উঠবে। আর বিশ্বের তাবত ধনী জুয়ারীরা ছুটে আসবে সেই কৃত্রিম সৌন্দর্য্যের সোকোত্রায়, হারিয়ে যাবে তার আসল রূপ।
যাই হোক আপনার কল্যানে তার আগেই দেখে নিলাম দ্বীপমালা সোকোত্রাকে ।
আবারো জানাই ভালোলাগা ।
বোটানিক্যাল শোতে যে মরু গোলাপের গাছটি প্রথম পুরস্কার পেয়েছিল আমার তোলা তার একটি ছবি দেয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না । পাশেই দেখেন কাপটি সাজিয়ে রেখেছে টুলের উপর :)

১১ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন ,





জানি আপনার ঘুরে বেড়ানোর পা , তাই আবার এসে ঘুরে গেলেন ! অনেকেই কিন্তু আসছি বলে আর আসেনা !!!!! সেজন্যে
অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনি যে ছবি এঁকে গেলেন ভবিষ্যত সোকোত্রার তা হয়তো সত্যি হয়েই উঠবে একদিন । কারন , আমীরাত দেশটি সম্প্রতি চাইছে এবং তারই আয়োজনে ব্যস্ত যাতে সারা পৃথিবীর নম্বর ওয়ান পর্যটন এলাকা হয়ে উঠতে পারে । তারা তাদের সব অবকাঠামোই সেই ধাঁচে গড়ে তুলছে । সোকোত্রায় তার সামরিক অভিযান তারই আলামত মনে হয় ।
চমৎকার বিশ্লেষণ আপনার ।

মরু গোলাপের দু-দু'টো ছবি দিয়ে আপনি আমার পোস্টটিকে সমৃদ্ধ করে গেলেন । সম্ভবত আপনিই আমাদের মধ্য একমাত্র সৌভাগ্যবতী যিনি এই প্রাগৈতিহাসিক ছাপমারা গাছটিকে দেখলেন । ছবিও তুললেন । নিজের ঘরের সাজিয়ে রাখলেন তাকে ।

মন্তব্যে ভীষন ভালো লাগা ও প্লাস ++++

৩৭| ০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: চমৎকার ছবি ব্লগ । চোখ ধাধানো সুন্দর ।
বর্ণনা গুলো ও দারুণ লাগলো । ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য ।

১১ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: নূর-ই-হাফসা ,




হাযারো ধন্যবাদ আপনার এমন করে বলা মন্তব্যের উত্তরে । ভালো লাগলো ।

শুভেচ্ছান্তে ।

৩৮| ০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩৮

হাফিজ বিন শামসী বলেছেন:


আমি মনে হয় একসময় এ দ্বীপের অধিবাসী ছিলাম। পড়ছিলাম আর ছবির সাথে মিল খুঁজে ফিরছিলাম সাথে সাথে স্মৃতি রোমন্থন।


আমরা কোন কিছুই হারাতে চাই না। ভাললাগা সব কিছুতেই আমাদের হারানোর ভয় থাকে। তবে কিছু হারানোর মধ্য দিয়েই নতুন কিছু পাওয়ার পথ সুগম হয়।

১১ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাফিজ বিন শামসী ,




আমি মনে হয় একসময় এ দ্বীপের অধিবাসী ছিলাম। মনে হয় কেন ? সত্যিই কি ছিলেন , নাকি লেখাটি পড়তে পড়তে স্বপ্নরাজ্যে চলে গিয়েছিলেন বলে এমনটি ভাবতে ভালো লাগছে ?

কোনও কিছু হারিয়ে না গেলেও কিন্তু নতুন কিছু পাওয়া সম্ভব। নতুন কিছুকে পেতে হলে কিছুকে হারাতে হবে এমন কোনও কথা নেই ।
ভালো লাগলো মন্তব্য ।
শুভেচ্ছা রইলো ।

৩৯| ০৯ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২১

জাহিদ অনিক বলেছেন:


দেখলেই চোখ জুড়ায়।
অনেক দিনের পুরানো ফসিল যেন জমে আছে সভ্যতার বিপরীতে !
আবার আসব পড়তে। দেখে গেলাম শুধু ছবিগুলো !
সময়ের বড্ড তাড়া !

১১ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: জাহিদ অনিক ,



সময় তো তাড়া করেই বেড়ায় চিরটাকাল । এবার না হয় সেই সময়টাকেই উল্টো তাড়া করে আবার আসুন ........

৪০| ১০ ই মে, ২০১৮ রাত ২:৫৮

উম্মে সায়মা বলেছেন: কত বৈচিত্রময় দুনিয়া। আর তার কতকিছুই জানিনা! আপনার অসাধারণ বর্ণনাসহ ছবিব্লগ দেখে কিছু অজানা জানা হল!
বোতল গাছ দেখে মনে হল সত্যিই যেন ফ্লাওয়ার ভাস! আর সবকিছুই কি সুন্দর! দ্বীপ মানেই সবসময় স্বপ্নাময় সব দৃশ্য!
অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
শুভ কামনা.....

১২ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: উম্মে সায়মা ,



হ্যা ..... পৃথিবীটা বিচিত্রই বটে । দেখার চোখ থাকলে এর পরতে পরতে বিস্ময় আর শ্বাসরূদ্ধকর প্রকৃতিকে দেখতে পাবেন আপনি ।
ভালো লাগলো আপনার বিস্ময়ভরা মন্তব্যটি ।
শুভকামনা রইলো আপনার জন্যেও ।


৪১| ১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭

শিখা রহমান বলেছেন: বাহ!! লেখা পড়ার আগেই ছবিগুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। ছবিগুলো দেখা শেষ করে তারপরে প্রথম থেকে ধীরে সুস্থে লেখাটা পড়লাম। তথ্যবহুল লেখা হলেও ছবি ও বর্ণনার গুণে পড়তে ভালো লেগেছে।

এই পোষ্টটা বার বার পড়া যায়। অনেকদিন লেখাটা মনে ঝংকার তুলবে। আপনার লেখা আপনার মন্তব্যের মতোই, মনে দাগ কেটে যায়।

শুভকামনা। ভালো থাকবেন। খুব সুন্দর আর ব্যতিক্রমী লেখাটার জন্য ধন্যবাদ।

১২ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: শিখা রহমান ,



এমন আন্তরিক মন্তব্যে শুধু বলতে পারি , " অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে । "
এই পোষ্টটা বার বার পড়া যায়। অনেকদিন লেখাটা মনে ঝংকার তুলবে।
পাঠকের এমনটা মন্তব্য একজন লিখিয়ের শ্রেষ্ঠ পাওনা । কৃতজ্ঞ হয়ে রইলুম ।

ভালো থাকুন আপনিও । শুভেচ্ছান্তে ।

৪২| ১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:১১

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: পোষ্টটি অনেক আগে পড়ে ও লা্ইক দিয়ে চলে গিয়েছিলাম..।


আবারও ছবিগুলোতে খানিক চোখ বুলিয়ে মুগ্ধতা রেখে গেলাম।।

১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: শাহরিয়ার কবীর ,




দেখেছি আপনার লাইক । অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে মুগ্ধতা রেখে যাওয়ার জন্যে ।
শুভেচ্ছা জানবেন ।

৪৩| ১০ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩

খালেদা শাম্মী বলেছেন: ছবিগুলি দারুণ লেগেছে।

১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: খালেদা শাম্মী ,




ভালো লাগলো আপনি মন্তব্য করেছেন বলে ।
তবে , দেরীতে সাড়া দিতে হলো বলে দুঃখিত ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৪৪| ১০ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমিও সুকোর্তো দ্বীপের কথা এই প্রথম জানলাম। এক বসায় পড়তে পারি নি। আজ শেষ করলাম। সত্যিই অদ্ভুত একটা দ্বীপ এবং দ্বীপের গাছগুলো। আপনার লেখাটাও অদ্ভুত সুন্দর।

১৪ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই ,




বলেছেন, আমার লেখাটাও অদ্ভুত সুন্দর। সেই মেয়েটির মতো ??? :P

হ্যা ... এখানের বৃক্ষরাজীও বাতাসে ঠেস দিয়ে মুখ উঁচু করে তাকিয়ে থাকে একেলা আকাশের দিকে । পাথুরে মাটি ফুঁড়ে মরুগোলাপ নিবেদন করে প্রেমের নৈবেদ্য । মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে এমনি করেই চলছে তাদের প্রাগৈতিহাসিক প্রেম প্রেম খেলা, কেউ কারে ছুঁয়ে দিতে পারেনা কখনও । থেকে যায় অধরা ...........

৪৫| ১০ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৫২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুকোর্তো দ্বীপ ভালো লাগিলো । :)

১৪ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ,




সোকোত্রাকে ভালো লাগাতে পেরেছি বলে লেখাটিকে সার্থক মনে হচ্ছে ।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।


৪৬| ১০ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৭

নায়না নাসরিন বলেছেন: কেপশন সহকারে ছবি ব্লগটা অনেক ভাললাগলো ভাইয়া । অনেক অজানা জিনিস দেখা হলো । নিয়মিত আসতে পারিনা বিধায় অনেক ভালো লিখা মিছ হয়ে যায় । ভালো থাকবেন ভাইয়া। ++++++

১৪ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: নায়না নাসরিন ,




আপনাকে আর আপনার মন্তব্য দেখে ভালো লাগলো । আপনার সব ভালো তো ? আশা করবো, ভালো থাকুক নাসরিন ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।

৪৭| ১২ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:০৫

সোহানী বলেছেন: আমি কিন্তু আপনার ২০১৫ এর লিখা থেকে পিছনের দিকে হাটা শুরু করেছি.... যতই হাটছি ততই মুগ্ধতা বাড়ছে। যেহেতু সামুতে নোটিফিকেশানের সমস্যা তাই এখানে জানান দিলাম ;)

১৪ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,




বুদ্ধিমতীর মতোই কাজটি করেছেন আপনি । নোটিফিকেশানের যে হ্যাপা পোয়াচ্ছি আজকাল তাতে মনে হয় সেই ডাকপিয়নদের যুগেই ফিরে যেতে হবে । পুরোনো লেখায় করা কারো মন্তব্য দেখতে , জানতে বা জানাতে হলে , ঘরে ঘরে গিয়ে বোধহয় বলতে হবে --- " চিট্‌ঠি অ্যাঁয়ি হ্যাঁয় .... অ্যাঁয়ি হ্যাঁয়.....চিট্‌ঠি অ্যাঁয়ি হ্যাঁয় .... বহোৎ দিনোকে বাদ ...."

আমার পুরোনো লেখাগুলোর পথে আপনার পদচিহ্ণের রেখা যে পরতে শুরু করেছে , দেখতে পাচ্ছি !
সে পদচিহ্ন নৈঃস্বর্গের উপত্যকা পেরিয়ে, নিষিদ্ধ যতো বইয়ের আঙিনা ডিঙিয়ে , চড়া দামে কেনা পৃথিবীর সব ছবির মতোই এক একটা ছবি হয়ে উঠবে ।

শুভেচ্ছান্তে । ভালো থাকুন ।

৪৮| ১৪ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪১

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: আপনার পোষ্ট মানেই নতুন কিছু, নতুন কিছুর সাথে জানাশোনা। প্রশংসায় শেষ হবার নয় এমন গোছানো কথামালায় নতুনত্বের সাথে পরিচিত হওয়া। অনেক অনেক ভালো লাগা।
ছবিগুলো সত্যি বিস্ময়ের, দারুণ উপভোগ্য পোষ্ট।

১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:০০

আহমেদ জী এস বলেছেন: নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন ,



এমন মন্তব্যেও অনেক অনেক ভালো লাগা ।
ভালো থাকুন আর সুখে .......................

৪৯| ১৫ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৪৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেক কষ্ট করে এ পোস্ট লিখেছেন, তা পোস্ট পড়ে বোঝাই যায়। সেজন্য প্রথমেই একটা ধন্যবাদ জানিয়ে শুরু করছি।
দু'কোটি বছরের পুরনো ইতিহাস, কল্পনাই করতে পারিনা। তবে আপনার লেখার গুণে (সূত্রের সত্যতা ছাড়াও) তা অনেকটা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে।
ছাতার মত গাছগুলো দেখে কেন যেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট এর কথা মনে হলো। বালুকাময় সাগর সৈকত আর আকাশচুম্বী পাহাড়ের সারি দেখে ভাল লাগলো, তবে এ পাহাড়গুলো যেন মাটি নয়, লোহা কিংবা তামা দিয়ে তৈ্রী করা। আওমাক বীচ আর তার পরের ছয়টি চিত্র অভূতপূর্ব!
"সোকাত্রা" নামটি অনেকের মত আমারও অজানা ছিল, আপনার এ পোস্ট পড়েই প্রথম জানলাম। তিন হাযার বছর পুরনো "হাদিবো" জনগোষ্ঠির ঘরবাড়ীগুলোর করুণ অবস্থা দেখে মায়া হল। "হক কেভ" এর অভ্যন্তরে ঘোরাঘুরি নিশ্চয়ই খুবই একটা রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা। "সোকাত্রা স্টার্লিং"টাকে দেখে তো আমাদের চিরচেনা কোকিলের মতই মনে হলো।

১৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান ,




হ্যাঁ.... কষ্ট তো খানিকটা হয়ই , পড়তে হয়, তথ্য খুঁজতে হয় , গোছাতে হয় । এইসব করে করে তবে একটা লেখাকে তুলে আনতে হয় । এমন কষ্টগুলোকে পুরষ্কার বলেই মনে হয়, যখন আপনার মতো ( আপনাদের ও ) বিদগ্ধজনেরা এমন গুছিয়ে মন্তব্য করেন লেখাতে ।

অনেক অনেক ভালো লাগা এই মন্তব্যে ।
শুভেচ্ছান্তে ।



৫০| ১৬ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:১৪

জাহিদ অনিক বলেছেন:


সোকোত্রা দেখে ও পড়ে যতটা মুগ্ধ এটা ভেবে খারাপও লাগছে যে এতটা সৌন্দর্য্যের দেশের লোকজনের উন্নতিও মনে হয় কিছুটা পিছিয়ে। হয়ত সভ্যতা অতটা এসে পড়েনি সেখানে।

৭নং মন্তব্যের উত্তরে দেয়া ভিডিওটাও দেখলাম। সেখানে দেখি গোলাগুলিও হয় ! সাগর পাড়ি দিয়ে ইয়েমেন এর হামলা !
ভয়াবহ ব্যাপার।


১৬ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: জাহিদ অনিক ,



আবারও এসেছেন দেখে ভালো লাগলো । এতটা সৌন্দর্য্যের দেশের লোকজনের কেন যে উন্নতিও হয়নি কিম্বা সভ্যতা অতটা এসে পড়েনি কেন সেখানে, সে কথা কিন্তু খানিকটা বলা আছে লেখায় ।
গোলাগুলিটা সেখানের নয় , ওটা ইয়োমেনের গৃহযুদ্ধের । এই গৃহযুদ্ধের কারনেই সোকোত্রা অবহেলিত থেকে গেছে ।
এখন ইয়োমেনের গৃহযুদ্ধের সুযোগ নিয়ে সেখানে হাত দিয়েছে ধনাঢ্য ইউনাইটেড এ্যারাব এ্যামিরেটস ।
তারা এটাকে বানিজ্যিক বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে চায় । বুঝতেই পারছেন, তাতে শেষটায় এই আদিম প্রকৃতি কোথায় যে হারিয়ে যাবে .........

৫১| ১৮ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:২৮

ইমরান আশফাক বলেছেন: ওয়াও! এখানে কি পাকেজ টুরের ব্যবস্হা আছে?

১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৮:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ইমরান আশফাক ,




আমার ব্লগে স্বাগতম ।
মন্তব্যে ধন্যবাদ তবে ইয়োমেনের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ডামাডোলে প্যাকেজ ট্যুরের কি অবস্থা জানা নেই ।

৫২| ১৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: সুন্দর শিক্ষামূলক পোষ্ট। আরেকবার সময় হাতে নিয়ে ভালোভাবে পড়ে দেখতে হবে।
পোষ্টে অনেক পরিশ্রম দিয়েছেন, কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৮ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: ধ্রুবক আলো ,



এ লেখাটি হারিয়ে যাচ্ছেনা । সময় সুযোগ মতো পড়ুন । খুব একটা খারাপ লাগবেনা ।
কৃতজ্ঞতা জানানোয় কৃতজ্ঞ হয়ে রইলুম ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৫৩| ২৭ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:৫১

শামচুল হক বলেছেন: লেখা পড়ে ছবি দেখে মুগ্ধ হলাম ওস্তাদ।

২৮ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: শামচুল হক ,



ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।

৫৪| ০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ৯:৩২

পবন সরকার বলেছেন: নতুন জিনিষ দেখালেন, এই জায়গা সম্পর্কে আমার কোন ধারনাই ছিল না। ধন্যবাদ আপনাকে

০২ রা জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: পবন সরকার ,



সোকোত্রা যেন পৃথিবীর কেউ নয় । সাই-ফাই চলচ্চিত্র থেকে বেড়িয়ে আসা এ যেন এক ভিনগ্রহ । তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করার লোভ সামলাতে পারিনি ।
ধন্যবাদ এখানে আসা ও মন্তব্য রেখে যাওয়ার জন্যে ।

৫৫| ০৫ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আজকের গল্পটি আপনাকে উৎসর্গ করেছি।

মায়িশার ফেইসবুক স্ট্যাটাস (গল্প)

০৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী ,




আন্তরিকতার সাথেই আপনার এই উৎসর্গটি গ্রহন করলুম ।
গল্পটিতে এর মধ্যেই আমার মন্তব্য রেখে এসেছি ।

ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে ।

৫৬| ০৫ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২৮

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: Click This Link

৫৭| ১১ ই জুন, ২০১৮ সকাল ১০:১১

শামচুল হক বলেছেন: ওস্তাদ, আপনার অনুমান ঠিক রেখে আছাড় খেয়েই "কানাডার জঙ্গলে একরাত" কাহিনীর সমাপ্তি ঘটিয়েছি। সময় পেলে পড়ার অনুরোধ রইল।

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: শামচুল হক ,



আছাড় খেয়েছেন ? দাঁড়ান ...দাঁড়ান... গজ-ব্যন্ডেজ আর ডেটল নিয়ে আসছি ............ ;)

৫৮| ১১ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৪০

বিজন রয় বলেছেন: অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ব্লগে নিয়মিত হওয়ার চেষ্টা করছি, আর ব্লগে এস আপনাকে দেখছি না, পাচ্ছি না।
না, না, এটা ঠিক না।

অথচ আমার প্রত্যেকটি পোস্টে আপনার উপস্থিতি থাকত।

১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিজন রয় ,




হা....হা....হা..... !!!!
রোজার মাসে হয়েছি একটু সংযমীত
মনখানাও থাকে বিক্ষিপ্ত ,
সময় পেলে আপনার পোস্টে থাকা করিব রপ্ত
কাঠখড় পুড়িয়ে হবেন না তপ্ত । B-)

৫৯| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহা!!! অপূর্ব!! অপূর্ব!! ইউনিক। আপনি অন্য গ্লোবের মানুষ । পোষ্ট নিয়ে আর কোনও চিফ্ মন্তব্য করে আপনার বিরাগভাজন হবোনা। আপনি অনেক সময় নিয়ে পোষ্ট দেন। যেকারনে আমার দৃষ্টিতে মিস্টার পারফেকশন। কোনও কারনে আগে পোষ্টটি না দেখার কারনে দুঃখিত।

। উল্লেখ্য ব্লগে কোয়ালিটির গুনে অনেকের প্রতি অন্তরের শ্রদ্ধা চলে আসে। যে কারনে স্যার বা সম জাতীয় সম্মোহন গুলি চলে আসে। আর এখান থেকেই বলছি, স্যার অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে।

১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি ,



অশেষ শুভাশীষ রইলো আপনার প্রতি, এমন আন্তরিক মন্তব্যের জন্যে ।
লেখাগুলো যাতে ভালো হয় তার জন্যে চেষ্টার ত্রুটি করিনে। কারন আমার লেখাতে তো আমাকেই দেখায় । আমি কে , আমি কেমন তা চিনি নিতে পাঠককে সাহায্য করে ।
এমন বলবেন না , পোষ্ট নিয়ে আর কোনও চিফ্ মন্তব্য করে আপনার বিরাগভাজন হবোনা। । অবশ্যই মন্তব্য করবেন, লেখক কি ভাবলো তা নিয়ে মনে হয় মাথা ঘামানোর উপযোগীতা নেই । কারন একজন পাঠকের মূল্যবান মন্তব্যই লেখককে সাহসী হতে , ঋদ্ধ হয়ে উঠতে সাহায্য করে ।

স্যার নয় , আমরা সহব্লগার । সবাই সমান । বিশেষ করে লেখার ক্ষেত্রে । আমরা শিখছি । পারষ্পারিক মন্তব্যের ভেতর দিয়ে আমরা একে অন্যকে শক্তিমান লিখিয়ে হতে সাহায্যই করছি মাত্র ।

আপনার শ্রদ্ধাটুকু মাথায় তুলে রাখলুম ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৬০| ১১ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি ,



অশেষ শুভাশীষ রইলো আপনার প্রতি, এমন আন্তরিক মন্তব্যের জন্যে ।
লেখাগুলো যাতে ভালো হয় তার জন্যে চেষ্টার ত্রুটি করিনে। কারন আমার লেখাতে তো আমাকেই দেখায় । আমি কে , আমি কেমন তা চিনি নিতে পাঠককে সাহায্য করে ।
এমন বলবেন না , পোষ্ট নিয়ে আর কোনও চিফ্ মন্তব্য করে আপনার বিরাগভাজন হবোনা। । অবশ্যই মন্তব্য করবেন, লেখক কি ভাবলো তা নিয়ে মনে হয় মাথা ঘামানোর উপযোগীতা নেই । কারন একজন পাঠকের মূল্যবান মন্তব্যই লেখককে সাহসী হতে , ঋদ্ধ হয়ে উঠতে সাহায্য করে ।

স্যার নয় , আমরা সহব্লগার । সবাই সমান । বিশেষ করে লেখার ক্ষেত্রে । আমরা শিখছি । পারষ্পারিক মন্তব্যের ভেতর দিয়ে আমরা একে অন্যকে শক্তিমান লিখিয়ে হতে সাহায্যই করছি মাত্র ।

আপনার শ্রদ্ধাটুকু মাথায় তুলে রাখলুম ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৬১| ১২ ই জুন, ২০১৮ রাত ১১:৫০

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: ছাতার মত গাছের ছবি দেখে পোস্টটিতে ঢুকেছিলাম। সত্যি পারফেক্ট শিরোনাম। সাই ফাই ছবির মতই গাছগুলো। যেমন আশ্চর্য গড়ন তেমনই কিম্ভূত কিছু। বোতল গাছগুলো রীতিমত দানবীয় এবং ভয়ঙ্কর। খটকা হল মানুষ যেখানে ব্যবসায়িক ঘাটি গেড়েছে এবং বসবাস করে আসছে প্রায় দুই হাজার বছরেরও আগে থেকে সেখানে এমন প্রাগৈতিহাসিক পরিবেশ থাকার কথা না, অথচ আছে। ব্যাপারটা বিস্ময়কর; আর সেজন্যই ‘সৃষ্টিছাড়া’ তকমাটাও মিলে যায়। আপনি এতবার ‘সৃষ্টিছাড়া’ শব্দটা উল্লেখ করেছেন যে মন্তব্যে শব্দটি প্রত্যাশা করছিলাম। কিন্তু দেখলাম শুধুমাত্র জুন আপু সামান্য ছুঁয়ে গেলেন, আর কেউ নয়। আমার মনে হল, যেন বিস্ময়ে আদর করে ‘সৃষ্টিছাড়া’ বলা হচ্ছে। আমি অবশ্য ভৌতিক ভাবেও তাই বলতাম। যাইহোক, পরিবেশের সাথে আরও বিস্ময় জাগিয়ে দিলো স্থানীয় লোকজনের পোশাক এবং চেহারা। প্রথম জেলেদের ছবি দেখেই বলে উঠলাম, আরে এ যে আমাদের লুঙ্গি ! এরপর বোরখা পরা মহিলাটির ওড়নার প্রিন্টও একেবারে আমাদের খাঁটি গ্রাম-বাংলার। শিশুদের পোশাকের ডিজাইন এবং দেখতে সব আমাদের দেশের মত। ভাবলাম একেবারেই সহজ-সরল, নিটোল জীবনে আছে ওরা। তথ্য দেখছি গুহাতে বেশীরভাগ ব্রাহ্মী লিপি পাওয়া গেছে। আর আমাদের বাংলার আদিতেও আছে ব্রাহ্মী ! তার মানে সংযোগ অবশ্যই ছিল প্রতীয়মান হয়। আওমাক বীচের ছবিগুলো অসাধারণ। ধবধবে সাদা বালিয়াড়ি বেলাভূমি মন কেড়ে নিল। একটা গুরুত্বপূর্ণ অমীমাংসিত প্রশ্ন উঠে গেলো লেখাতির শেষে এসে। মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য আধুনিকায়ন প্রয়োজন। সভ্যতার অগ্রসরতা প্রয়োজন। কিন্তু ঠিক কতটা উন্নয়ন করে লাগাম ধরা প্রয়োজন কিংবা প্রকৃতিকে ঠিক কতটা অক্ষত বা আদিম রেখে উন্নয়নের চাকা ঘোরানো প্রয়োজন সে বিষয়ে কোন সদুত্তর কারো কাছে নেই। বিষয়টা নিয়ে তারা ভাবে না যাদের হাতে সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা। আর সহজ মানুষগুলো জীবনযাত্রা উন্নয়নের ফাঁদে পড়ে চুপচাপই সব মেনে নেয়, আরও স্বাগত জানায়। জানাবেই বা না কেন, জীবন মানের উন্নয়ন তো অবশ্যই প্রয়োজন। মানুষ তো চায়ই তার যাপিত জীবনকে আরও সহজসরল এবং আরামদায়ক করতে। তাই প্রযুক্তির আগ্রাসন বা আধুনিকায়নকে তো থামানো যাবে না। কিন্তু কতটা ?এই প্রশ্নের উত্তর বের করেনি বলেই পৃথিবীর আরও অনেক স্থানের এই স্থানটিরও তার আদি অকৃত্রিম নিসর্গ হারিয়ে যাওয়ার তীব্র আশংকা। আমাদের বাংলাদেশও উন্নয়নের যাঁতাকলেই পিষ্ট হচ্ছে।
পরিশেষে, এত সুন্দর একটি দ্বীপের ব্যাপারে আমাদের জানানোর জন্য এবং কষ্টকৃত এতগুলো তথ্য ও নয়নাভিরাম ছবি দিয়ে আমাদের সমৃদ্ধ করারা জন্য আপনার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই।শুভকামনা।

১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: চঞ্চল হরিণী ,



পোস্টটি যে আপনার ভালো লেগেছে তা বোঝা গেলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়া ও কিছু জবাব নেই এমন প্রশ্ন রেখে বিশাল মন্তব্য
করেছেন দেখে । সত্যিকারের পাঠক হিসেবে আপনি যথার্থ । একজন লেখক এমন পাঠক পেলে বর্তে যায় । ধন্যবাদ ।
সভ্যতার অগ্রসরতা প্রয়োজন। কিন্তু ঠিক কতটা উন্নয়ন করে লাগাম ধরা প্রয়োজন কিংবা প্রকৃতিকে ঠিক কতটা অক্ষত বা আদিম রেখে উন্নয়নের চাকা ঘোরানো প্রয়োজন সে বিষয়ে কোন সদুত্তর কারো কাছে নেই।
আপনার এই প্রশ্নটিই বলে দেয় কতোখানি পরিশুদ্ধ আপনার চিন্তা চেতনা । আসলেই তাই - প্রায়োরিটি এবং তার ব্যাপ্তি খুব হিসেব নিকেশের ব্যাপার , প্রকৃতি আর জীবনে । আমরা এই হিসেবে অহরহ গড়মিল করে ফেলি বলেই প্রকৃতি ক্ষত নিয়ে ধুঁকে ধুঁকে মরে , জীবনটাকে জটিল বলে মনে হয় ।

মনে রাখার মতো এই মন্তব্যটির জন্যেও আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা রইলো । আগাম শুভেচ্ছা ঈদের ......................

৬২| ১৩ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: বিচিত্র সব গাছ অচেনা সব ফুল স্বপ্নের ভুমি সব মিলিয়ে বিচিত্রতা, মনোমুগ্ধকর বর্ণনীয় ছবিগুলো তারচেয়েও মুগ্ধকর।
খুব ভালো লাগলো নতুন একাকী পড়ে থাকা দ্বীপ সম্পর্কে জেনে দেখে। সেজন্য কৃতজ্ঞতা জানাই।

গাছগুলো সত্যি অবাক করার মতো ভাই, ভালো লাগলো দেখতে পেরে।

১৩ ই জুন, ২০১৮ রাত ১০:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন ,



সাঁই ফাঁই এ দ্বীপটি সম্পর্কে আপনাদের জানাতে পেরে আমারও ভালো লাগছে ।
পড়া ও মন্তব্যের জন্যে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
ঈদের আগাম শুভেচ্ছা ।

৬৩| ১৪ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৪৪

চঞ্চল হরিণী বলেছেন: সুন্দর প্রতিমন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই। "সত্যিকারের পাঠক হিসেবে আপনি যথার্থ । একজন লেখক এমন পাঠক পেলে বর্তে যায় " আপনার এই কথায় ভালোলাগার সাথে একটু অস্বস্তি বা লজ্জাও পেয়েছি। জানিনা আমি কেমন পাঠক, কিন্তু আমি স্লো রিডার এইটুকু জানি। তাই অনেক সময়ই অনেক লেখা বাদ পড়ে যায়। সেগুলো পড়তে না পড়তে নতুন পোস্ট জমে যায়। যাইহোক,আপনাকেও ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা।

১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: চঞ্চল হরিণী ,



অহেতুক আপনাকে অমন কথা বলিনি । আমি কাউকেই অহেতুক কিছু বলিনে ।
লেখাটি পড়ার পরে প্রথম মন্তব্যটি তো আপনি একলাইনেও দিতে পারতেন ! তা কিন্তু করেন নি । বিশদ আলোচনা করেছেন, পোস্টের তথ্যের সাথে মিলিয়ে ওখানকার অনাগত ভবিষ্যতের কথা ভেবে খুব যৌক্তিক ভাবেই আধুনিকায়নের কথা এনেছেন । ব্লগিংয়ের এটাই হলো চমৎকারীত্ব , পারষ্পারিক মতের তৎক্ষনাত প্রবাহ ।

ঈদের দিনটি আপনাকে চঞ্চলা রাখুক এমন শুভেচ্ছা রইলো ।

৬৪| ১৪ ই জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:





অদ্ভুত সুন্দর এক দ্বীপ ! শিহরণ জাগানো । যেন স্বপ্ন দিয়ে মোড়ানো । প্রকৃতি স্বপ্নও দেখতে জানে মনে হয় !!

প্রাকৃতিক ব্যাপারগুলো মানুষ টিকতে দেয় না । মানুষ সেই আদিকাল থেকেই রোবট রূপে হঠাত হঠাত প্রাকৃতিক পৃথিবীকে ধ্বংস করে আসছে ।

১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: কথাকথিকেথিকথন ,



মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
আসলেই মানুষ রোবটিক হয়ে গেছে ।
ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন ।

৬৫| ১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫৭

জোকস বলেছেন: ঈদ মোবারক।

১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: জোকস ,



ঈদ শুভেচ্ছা । ঈদের দিনটি হাসিখুশিতেই কাটুক আপনার ।

৬৬| ১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৪৫

সৈয়দ তাজুল বলেছেন:

জনবেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের অফুরন্ত শুভেচ্ছা, ভাল থাকুন সবসময়

১৬ ই জুন, ২০১৮ রাত ৯:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: সৈয়দ তাজুল ,



আপনাকেও ঈদের বিলম্বিত শুভেচ্ছা ।

৬৭| ০৬ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ১০০১নং পাঠক হলাম।
গাছ আর প্রানীগুলি দেখে সত্যিই ভিনগ্রহের কোন আবাস বলে মনে হল।
নাগরিকদের পরনে লুঙ্গি দেখে নিজেদের সাথে কিছুটা মিল পেলাম।
আনকোরা বিষয় নিয়ে করা পোস্টটি অনুসন্ধিৎসু মনে চিন্তার খোরাক জুগিয়েছে।

০৬ ই জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: গিয়াস উদ্দিন লিটন ,




মনে হয় আরেক ভিনগ্রহ থেকে আপনি এলেন এই এত্তোদিন পরে !!!!! :((
যাক, আরেক সহস্রাব্দের শুরুটা হলো আপনাকে দিয়েই ।

"লুঙ্গি দেখে নিজেদের সাথে কিছুটা মিল পেলাম।" হা...হা...হা..। কিন্তু লুঙ্গি খুলে যাওয়ার মিল ..... :P :D

৬৮| ২৪ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বেশ পরিশ্রমী পোষ্ট । অনিন্দ সুন্দর এই দ্বীপটির তথ্যপুর্ণ বিবরণ পাঠে ও ছবিগুলি দেখে মুগ্ধ । অসুস্থতার জন্য ব্লগে বিচরণ কম থাকায় যথা সময়ে একে দেখা হয়নি । এখন অনেকক্ষন লাগিয়ে বেশ মনযোগ দিয়ে দেখলাম আর মন্ত্রমুগ্ধের মত সামনের দিকে এগিয়ে গেলাম । মন্তব্যের ঘর পারি দিতে গিয়ে অবশ্য এক জায়গায় চোখ আটকে যায় , কৌতুকের নমুনা দেখে বিস্ময়াভুত হলাম, যাহোক বলার কিছুই নেই । পোষ্টটির পরিশেষে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অবস্থা প্রসঙ্গে আপনি সঠিক কথাই বলেছেন । আমারো মনে হয় ‘হুতি’ বিদ্রোহীদের দমনের নামে আরব কোয়ালিশনের মৈত্রীদের নীজেদের মধ্যে অন্তসংগাত হয়তবা এডেন , আবু ধাবি ও রিয়াদের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্যে একটি বড় পরিবর্তন নিয়ে আসবে । ইতিমধ্যে ইয়েমেনের তিন বছরের বিরাজমান গৃহযুদ্ধ প্রথম বারের মত ৬০ হাজার জনবসতির এই দুর দ্বীপদেশের তীরে পৌঁছে গেছে । যার ফলে এই গৃস্মের খর তাপের উত্তাপের সাথে সকোত্রার পলিটিকেল টেনসন সমমাত্রায় ক্রমাগত বাড়তে থাকবে । দ্বীপটির প্রাকৃতিক হেরিটেজের বৈশিষ্ট হুমকীর সন্মুখীন হবে । যাহোক দ্বীপটির অপরূপ দৃশ্যাবলী লাইভ দেখার জন্য এই লিংকটিতে গিয়ে কিছুটা দেখে এলাম ।

আপনার পোষ্টটি দেখা না হলে এটা দেখার জন্য কোতুহল মনে হয় হতোনা কোন কালেই, জানার পরিধিকে বাড়ানোর বিষয়ে সহায়তা করার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।

পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।

শুভেচ্ছা রইল ।

২৪ শে জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ,




অসুস্থ্যতা নিয়েও যে আমার এই পোস্টে এলেন তাতে কৃতার্থ বোধ করছি । তার উপর এটাকে প্রিয়তে রেখে কৃতজ্ঞতাপাশেও বেঁধে রাখলেন ।
হ্যা... এখন সোকোর্তার ভাগ্য অনিশ্চিত হয় পড়েছে । আরব আমীরাত ও অন্য আরব দেশগুলোর কামড়া-কামড়ি এই নির্জন দ্বীপটির ভার্জিনিটি কতোখানি ক্ষতবিক্ষত করে, দেখতে বেশী সময় লাগবেনা হয়তো !
আপনার দেয়া লিংকটি দেখেছি । সোকোর্তার উপরে আরো বেশ কিছু ভিডিও আছে , সেগুলোও দৃষ্টি নন্দন আর অসংখ্য ওয়েব পেজ তো আছেই ।

ভালো থাকুন আর থাকুন কর্মক্ষম ।
আন্তরিক শুভেচ্ছা সহ ।

৬৯| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫২

পুলক ঢালী বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট । এটাকে শুধু ছবিপোষ্ট বলা যাবেনা। বর্ননা সমৃদ্ধ প্রচুর পরিশ্রমী তথ্যবহুল পোষ্ট। দ্বীপের প্রাকৃতিক পরিবেশে সৌন্দর্য্যের তুলনায় ভয়ঙ্করত্ব যেন বেশী প্রতিভাত হয়েছে। মনে হচ্ছে কোন কারনে প্রাগঐতিহাসিক সময় যেন দ্বীপ চত্বরে এখনো আবর্তিত হচ্ছে ফলে বিবর্তন থেমে আছে। গাছগুলিকে দেখে মনে হচ্ছে যেন পারমানবিক বিষ্ফোরনের পর প্রকৃতি বিকৃত রূপ ধারন করেছে (আসলে খবর নেওয়া দরকার কোন পরাশক্তি গোপনে কাছাকাছি কোথাও পারমানবিক বোমা পরীক্ষা করেছিল কিনা :D। )
গাছের আকৃতি প্রমান করছে ওখানে পানি শূন্যতা রয়েছে তাই সারভাইব করার জন্য কান্ড পানি ধারন করে রেখেছে।
বিরাট বিরাট মাছ ধরছে দেখে অক্কা পাওয়ার দশা বাব্বা! কত্তোবড় লবস্টার :D
সবশেষে বলবো স্বার্থান্বেষী মানুষের স্বার্থের সাম্রাজ্য গঠনের যূপকাষ্ঠে শেষপর্যন্ত না দ্বীপটির বলি হয়ে যায়। এমন একটি পোষ্ট উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: পুলক ঢালী,



চমৎকার একটি মন্তব্য!

দ্বীপের প্রাকৃতিক পরিবেশে সৌন্দর্য্যের তুলনায় ভয়ঙ্করত্ব যেন বেশী প্রতিভাত হয়েছে। মনে হচ্ছে কোন কারনে প্রাগঐতিহাসিক সময় যেন দ্বীপ চত্বরে এখনো আবর্তিত হচ্ছে ফলে বিবর্তন থেমে আছে।

সে জন্যেই তো বলেছি - সাই-ফাই চলচ্চিত্র থেকে বেড়িয়ে আসা এ কোন ভিনগ্রহ ?? কারনটাও বলা আছে , মিলিয়ন মিলিয়ন বছর ধরে কেবল বদলে বদলে যাওয়া।

আপনার মন্তব্যের শেষ কথাটির সুরও বাজিয়েছি আমার লেখার শেষে --- পৃথিবীর ইডেন বাগানে ঢুকে পড়েছে সাপ। স্বর্গের পতনের শুরু ..........

মন্তব্যে প্লাস +++++++
শুভেচ্ছান্তে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.