নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ

নিজের সম্পর্কে লেখার কিছু নেই । সাদামাটা ।

আহমেদ জী এস

পুরোপুরি একজন অতি সাধারন মানুষ । আমি যা আমি তাই ই । শয়তানও নই কিম্বা ফেরেশতা । একজন মানুষ আপনারই মতো দু'টো হাত, চোখ আর নিটোল একটা হৃদয় নিয়ে আপনারই মতো একজন মানুষ । প্রচন্ড রকমের রোমান্টিক আবার একই সাথে জঘন্য রকমের বাস্তববাদী...

আহমেদ জী এস › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাজকা লাইনস, দ্য লাইনস উইথ মিষ্ট্রি ......

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৩



দক্ষিন পেরুর নাজকা মরুভূমির উপর দিয়ে আকাশ পথে যেতে যেতে অদ্ভুত কিছু লাইনের দেখা মিললো পল কোসক এর । লং-আয়ল্যান্ড ইউনিভার্সিটির ইতিহাস বিভাগ থেকে, প্রাচীন যুগে জমিতে সেচের ধরন ধারন খুঁজতে এসেছেন তিনি , এই পেরুতে । সময়টা ১৯৪০ সাল । এগুলেন আকাশপথে দেখতে পাওয়া লাইনগুলো ধরে ধরে । বিস্ময়ে অবাক হয়ে দেখলেন , অনেকগুলি লাইন মিলেমিশে একটি পাখির ছবি দেখাচ্ছে । আরো অবাক কান্ড, কিভাবে যেন লাইনগুলি একত্রিত হয়ে দক্ষিন অয়নান্তের দিকে মুখ করে আছে যে স্থানে সূর্য্য অস্ত যাচ্ছে। পল কোসক লেগে পড়লেন , কিভাবে এসব দীর্ঘ লাইন বানানো হয়েছে আর এর উদ্দেশ্যই বা কি তা খুঁজতে । সাথে যোগ দিলেন জার্মান গনিত ও প্রত্নতত্ত্ববিদ মারিয়া রিচি । এইসব রেখাচিত্র এখানে আঁকা হয়েছে কেন সে সম্পর্কে তারা ধারনা দিলেন, সূর্য্য আর অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তুসমূহ দিগন্ত রেখায় কোথা থেকে উঠে আসে, এইসব চিত্র তারই নির্দেশিকা । ধারনাটি খারাপ নয় মোটেও । একটি মানমন্দিরের ধারনা ?

ছবি - নাজকার ভূ-রেখাচিত্র । কিছু বলে কি ?

১৯৩৯ সালে এক সন্মেলনে পেরুভিয়ান আর্কিওলোজিষ্ট টোরিবিও ম্যাজিয়া সবাইকে চমকে দিয়ে বললেন যে, ১৯২৭ সালে ঐ উপত্যকায় হাইকিং করতে গিয়ে তিনি অসংখ্য অদ্ভুত কিম্ভুত কিমাকার সব দীর্ঘ রেখা দেখতে পান । যদিও রেখাচিত্রগুলি মাটির সমান্তরালে থেকে ভালো করে দেখতে পাননি তিনি । তার ধারনা আকাশপথ ছাড়া এসব চিত্র পরিষ্কার ভাবে দেখা সম্ভব নয় । কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট করলেন ম্যাজিয়া । পেরুভিয়ান সেনাবাহিনীর বিমানগুলো আকাশ পথে উড়াল দিলো । আর তাতেই সাধারণ্যে একটা “মিথ” জন্ম হলো - আকাশ থেকে দেখা ছাড়া এই লাইনগুলো দেখা কিছুতেই সম্ভব নয় । টোরিবিও ম্যাজিয়ার এই বর্ণনা থেকেই মানুষের কৌতুহলের শুরু। কৌতুহল ঠেকলো গিয়ে গ্রহান্তরের আগন্তুক থিওরীতে। কারন যেহেতু আকাশে ওঠা ছাড়া এসব চিত্র দেখা যায়না আর এতো বিশাল বিশাল রেখা মাটিতে আঁকা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় তাই এসব ভীনগ্রহবাসীদের কাজ না হয়েই যায়না। ধারনাটা জেঁকে বসলো এমন করেই ।

অথচ বইপুস্তকে এই নাজকা লাইনের প্রথম উল্লেখ আপনি দেখতে পাবেন পেদ্রো সিঁয়েজা ডি লিয়ন এর লেখা ১৯৫৫ সালের একটি বইয়ে । তিনি প্রথমে ভুল করে রেখাগুলিকে ট্রেইল মার্কারস হিসেবেই ধরে নিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন । কিন্তু পেরুভিয়ান মিলিটারী আর সিভিলিয়ান বৈমানিকেরাই প্রথম যারা সেগুলিকে আলাদা কিছু হিসাবেই চিহ্ণিত করেছেন ।

নাজকা লাইন সম্পর্কে ইতিহাসের এইসব তথ্যগুলো নাজকা লাইনের মতোই মনে হয় জটিল । পল কোসক সম্ভবত এ্‌ই জটিলতাকে আরও জটিল করে দিয়েছেন এই বলে - ৩১০ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে থাকা নাজকা লাইন হলো “the largest astronomy book in the world” ।

ছবি - জটিল কিছু !

দক্ষিন পেরুর নাজকা মরুভূমিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব বিশালাকৃতির লাইনগুলো যাকে আপনি জিয়োগ্লিফস বা ভূ-রেখাচিত্র বলবেন, তাদের সাংস্কৃতিক তাৎপর্য হাযারো হাইপোথিসিসের পরেও আজ পর্যন্ত রয়েছে ধোঁয়াশায় ভরা ।
১০০০ থেকে ১২০০ ফুটের মতো লম্বা লম্বা একেকটি রেখা পড়ে রয়েছে ৫০ মাইল ব্যাপী শুষ্ক আর উষর মরুভূমি সদৃশ্য এক উপত্যকায় , নাজকা ও পালপা শহর দুটির মাঝখানে । রাজধানী লিমা থেকে ৪০০ কিলোমিটার পাড়ি দিলেই তবে দেখা মিলবে এই সব অদ্ভুত সব রেখাচিত্রের । গবেষকরা বলছেন , খ্রীষ্টপূর্ব ৫০০ থেকে খ্রীষ্ট পরবর্তী ৫০০ সালের নাজকা সভ্যতার সময়কালে এগুলো আঁকা বা বানানো হয়েছে । অবশ্য নাজকা সভ্যতার সময়কাল নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যেও রয়েছে মতভেদ ।

শত শত ছোটবড় সাধারন লাইন টেনে টেনে আর জ্যামিতিক আকৃতি দিয়ে আঁকা হয়েছে “জ্যুমর্ফিক” পাখি, মাছ, জাগুয়ার, বাঁদর এসবের ছবি । আছে কিছু মনুষ্যাকৃতিও । আবার “ফাইটোমর্ফিক” আকৃতিতে আঁকা হয়েছে গাছপালা , ফুলও । প্রায় ৮০০টি লম্বা লম্বা রেখা টানা হয়েছে এখানে যার কিছু কিছু আবার ৩০ মাইল পর্যন্ত দীর্ঘ । রয়েছে ৩০০র মতো জ্যামিতিক চিত্র আর ৭০টির মতো প্রানী ও গাছের ছবি । যতোই দিন যাচ্ছে গবেষকরা ততোই নতুন নতুন লাইন আর চিত্রের দেখা পাচ্ছেন । বাড়ছে হাইপোথিসিসের সংখ্যাও ।

ছবি - পৌরানিক প্রানী ।

ছবি -উপরের ছবির ব্যাখ্যা > জিভ বের করা, গায়ে ফুটকুঁড়ি আর অনেকগুলি পা নিয়ে সেই পৌরানিক প্রানী ।

জাপানীজ গবেষকরা আবার তাতে খানিকটা ধোঁয়াশা মিশিয়েছেন । বলছেন আবার আরেক কথা - মিলছেনা ! ২০১১ সালে ইয়ামাগাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক যখন মানুষের মাথার মতো দেখতে এবং আর একটি পৌরানিক প্রানীর চিত্র খুঁজে পেলেন যা নাজকার রেখাচিত্রের আয়তনের তুলনায় বেশ ক্ষুদ্র ; তখন আকার আকৃতির আর ছবির বিষয়বস্তুর বৈসাদৃশ্যই তাদের চিন্তার কারণ হয়ে উঠলো । যেগুলোর সময়কাল আবার নাজকা সভ্যতা শুরুর দিকের এমনকি তারও আগের হতে পারে বলে তাদের ধারনা । প্রানীর চিত্রটির নির্মানশৈলী আবার ‘প্যারাকাস’ সভ্যতার নির্মানশৈলীর মতোই । তাই ২০১২ সালেই ইয়ামাগাতা বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষনা দিলেন নাজকায় একটি গবেষনা কেন্দ্র খোলা হবে যা ২০২৭ পর্যন্ত চালু থাকবে । যদিও তারা ২০০৬ সাল থেকেই নাজকা এলাকায় মাঠ পর্যায়ের কাজ করে যাচ্ছেন ।
১০০টির মতো এধরনের রেখাচিত্র খুঁজে পেয়েছেন তারা এ পর্যন্ত ।
ছবি - ৩১০ ফুট লম্বা আর ১৯০ ফুট প্রস্থ নিয়ে বাদর ।

অগভীর এই লাইনগুলো সৃষ্টি করা হয়েছে উপত্যকার লাল লাল নুড়ি পাথর সরিয়ে সরিয়ে নীচের সাদা-ধূসর জমিনকে অবারিত করে করে । গবেষকরা এইসব রেখাচিত্র সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে বাক-বিতন্ডায় মেতে থাকলেও একটা বিষয়ে সবাই মোটামুটি একমত যে, এগুলো সম্ভবত ধর্মীয় গুরুত্ব বহনকারী কিছু ।
সম্ভবত এলাকাটি একান্ত নিভৃতে থাকাতে আর জনবিরল হওয়াতে সাথে এর মাটি শুষ্ক , বাতাসের প্রবাহহীন স্থায়ী আবহাওয়া আর বছরে ১ইঞ্চিরও কম বৃষ্টিপাতের কারনে প্রাকৃতিক ভাবেই একই রকম থেকে গেছে রেখাগুলি । নড়েচড়েনি খুব একটা । তবে ২০১২ সালে মনে হলো রেখাগুলো একটু একটু ক্ষয়ে যাচ্ছে । কারনটাও বোঝা গেলো, ভূমি দখলকারীদের আনাগোনা ।
৮০ বছর ধরে সাধারণ্যে প্রচলিত শক্ত ধারনা এমনটাই যে , আকাশপথ ছাড়া রেখাগুলো দেখা সম্ভব নয় । অথচ সত্যটা এই , আশেপাশের উঁচু পাহাড়ী টিলাগুলো থেকেও রেখাগুলো দেখা যায় ।
মাটিতে কেন এসব আঁকিবুকি করা হয়েছে তার রহস্য বের করার চেয়ে , কি করে এসব আঁকা হয়েছে তা বের করা ঢের সহজ ছিলো গবেষকদের কাছে । খুব সাধারন যন্ত্রপাতি আর সার্ভেয়িং ইক্যুইপমেন্ট দিয়ে এগুলো আঁকা হয়েছে বলে তাদের ধারনা । কারন অনেক রেখার শেষ প্রান্তের মাটিতে কাঠের খুঁটি পোঁতা রয়েছে । রেখাগুলো আসলে এক একটা পরিখার মতো যার বেশির ভাগই ৪ থেকে ৬ ইঞ্চি গভীর আর তা করা হয়েছে নাজকা মরুভূমির উপরে থাকা লাল রংয়ের আয়রন-অক্সাইডে আচ্ছাদিত নুড়ি পাথর সরিয়ে । এতে নীচের সাদা-ধূসর মাটি উন্মুক্ত হয়ে এক একটা সাদা রেখার আকৃতি দিয়েছে যা আকাশপথে দেখলে আশেপাশের বালু-পাথর আর মাটি থেকে স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয় । সবকিছু হিসেবে নিয়ে তারা বলছেন , খুব সতর্কতার সাথে প্লান করে এগুলে একদল মানুষের পক্ষে আকাশপথের সাহায্য ছাড়াই এর চেয়েও বড় রেখাচিত্র কয়েকদিনের মধ্যেই আঁকা সম্ভব । অবশ্য এই অল্প গভীরতার পরিখার তলদেশে প্রচুর চুন ( লাইম) থাকার কারনে আর তা সকালের শিশিরের সাথে মিশে গিয়ে তলদেশে শক্ত আবরন তৈরী হয়েছে যা বাতাসের ঝাঁপটা থেকে রেখাগুলোর ক্ষয় রোধ করছে ।
ছবি - ৩১০ ফুট লম্বা হামিংবার্ড এর প্রতিকৃতি ।

ছবি - কুকুরের রেখা চিত্র ।

ছবি - বিশালাকৃতির গাছে ফুল ।

প্রানী, গাছপালা আর মানুষের প্রতিকৃতি নিয়ে বিশাল এই রেখাচিত্রগুলি ছড়িয়ে আছে ৩১০ বর্গমাইল জুড়ে । আর তা সবই টানা হয়েছে আয়রন-অক্সাইডে আচ্ছাদিত নুড়ি পাথর সরিয়ে সরিয়ে । সবচেয়ে ছোট্টপাখি হামিংবার্ড এর প্রতিকৃতিই ৩১০ ফুট লম্বা । আবার বানরগুলোও প্রায় ৩১০ ফুট লম্বা আর ১৯০ ফুট প্রস্থ নিয়ে হয়ে চিত্রিত হয়েছে।
সব মিলিয়ে দেখলে , এই কাজগুলিকে বিশাল আর জটিল বলেই মনে হবে ।
গ্রহান্তরের কোনও আগন্তুকদের কাজ ? হতেও পারে ! কারন, রেখাচিত্রে একজন মহাকাশচারীর চেহারা ফুটে রয়েছে যে ! সুইস বিজ্ঞান লেখক এরিখ ফন দেনিকেন (Erich von Däniken) যিনি ভীনগ্রহবাসীদের নিয়ে বৈজ্ঞানিক লেখা লিখেছেন প্রচুর , তিনি ও যোগ দিয়েছেন এই বিতর্কে । তার ধারনা এটা ভীনগ্রহবাসীদেরই কাজ ।

ছবি - গ্রহান্তরের আগন্তুক ! ভীনগ্রহের মহাকাশচারী ?

পৃথিবীতে থাকা সবচেয়ে শুকনো ধাঁচের সবগুলো মরুভূমির মধ্যে এই নাজকা মরুভূমির মাটিও বেশ শুকনো আর শক্তপোক্ত । বছর জুড়ে তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রীতেই থাকা আর বাতাসের প্রবাহের অনুপস্থিতির কারনে রেখাচিত্রগুলি উন্মুক্ত থেকে পরিষ্কার দৃশ্যমান ।

ছবি - সুদূরে বয়ে যাওয়া লাইন...

এইসব রেখাচিত্র আর প্রতিকৃতি কেন যে আঁকা হয়েছে প্রত্নতত্ত্ববিদ , জাতিবিজ্ঞানী আর নৃবিজ্ঞানীরা তার খোঁজে প্রাচীন নাজকা সংস্কৃতিকে উল্টেপাল্টে দেখেছেন । অনুমান, আকাশ থেকে দেবতারা যেন এ্গুলো দেখতে পান তাই এত্তোবড় করে এসব রেখাচিত্র এঁকেছে প্রাচীন নাজকা সভ্যতার লোকেরা । লং-আয়ল্যান্ড ইউনিভার্সিটির পল কোসক আর জার্মান গনিত ও প্রত্নতত্ত্ববিদ মারিয়া রিচি অবশ্য এমনটা মনে করেন না । তাদের ধারনা , এসবই জ্যোতির্বিদ্যা আর সৃষ্টিতত্ত্ব সংক্রান্ত । রেখাগুলো সম্ভবত একরকমের মানমন্দির হিসেবে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে আঁকা হয়েছে যেখানে রেখাগুলি নিরক্ষীয় রেখার অনুপাতে সুদূর দিগন্তের ওপার থেকে সূর্য্য আর মহাশুন্যের অন্যান্য বস্তুরাজির উদয় ও অস্তগামীতার নির্দেশক । রিচির অনুমান, এগুলোর কিছু কিছু কিম্বা সবটাই কোনও না কোনও নক্ষত্রপুঞ্জের প্রতীক ।

ছবি - নাজকার মাকড়সা । ওরিয়ন নক্ষত্রপুঞ্জ ?

১৯৯৮ সালে শিকাগোর এ্যাডলার প্লানেটরিয়ামের সিনিয়র জ্যোতির্বিদ এবং রিচির গবেষনার দায়িত্বপ্রাপ্ত ফিলিস বি. পিটলুগাও রিচির মতো প্রানীগুলোকে মহাকাশে স্বর্গীয় কিছু আকৃতির প্রতিভূ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন । কম্পিউটারের সাহায্যে নক্ষত্রদের সারি নিয়ে গবেষনা চালিয়ে তিনি ধারনা করেন যে , বিশালাকৃতির মাকড়সাটি আসলে ওরিয়ন নক্ষত্রপুঞ্জের ( কন্সটিলেশন ) এ্যানামর্ফিক চিত্র । চিত্রটি থেকে যে তিনটি সোজা রেখা উঠে এসেছে তা ওরিয়ন বেল্টের তিনটি নক্ষত্রের স্থান পরিবর্তন খুঁজে বের করার জন্যে ব্যবহৃত হতো।
অদ্ভুত বটে ।
পল কোসক আর মারিয়া রিচির এই এ্যাষ্ট্রোনমী তথ্য ১৯৭০ সাল পর্যন্ত মানুষ সত্য বলেই ধরে নিয়েছিলো কিন্তু বাঁধ সেধেছে একদল আমেরিকান গবেষকরা । তারা এই এ্যাষ্ট্রোনমী থিওরী আর প্রচলিত এলিয়েন থিওরীর ভেতর ফুঁটোফাঁটা খুঁজে বের করছেন ।
আমেরিকা কিম্বা অন্যত্র, অনেক প্রাগৈতিহাসিক সভ্যতায়ও আপনি জ্যোতির্বিদ্যা আর সৃষ্টিত্ত্বের সংযোগে করা এরকমের কিম্ভুত কিমাকার কাজ দেখতে পাবেন যেমনটা ইংল্যান্ডের ষ্টোনহেঞ্জ । কেবল ইংল্যান্ড বা পেরুই নয় ; এমন রহস্যময় রেখাচিত্র রয়েছে বলিভিয়া, চিলি, মিশর, মাল্টা, মিসিসিপি এবং ক্যালিফোর্নিয়া সহ নানান দেশে। হাজার হাজার বছর আগে কোড ম্যাট্রিক্স সিস্টেমে স্থাপিত এই রেখাগুলো।
বলিভিয়ার সাজামা রেখা ( Sajama Lines ) পৃথিবীর আর একটি অন্যতম রহস্য। পশ্চিমের আগ্নেয়গিরির দুর্গম এলাকায় রয়েছে হাজার খানেক নিখুঁত রেখা। এতগুলো রেখা কে তৈরি করল তা যেমন জানা যায়নি, কেনই বা করল সেটিও এক রহস্য।
প্রত্নতাত্বিকদের মতে, এই অঞ্চলে ৩ হাজারেরও বেশি বছর আগে মানুষের বসতি ছিল। তবে সরল রেখাগুলো তারাই নির্মাণ করেছে কিনা, সে ব্যাপারে ঐতিহাসিক কোনো তথ্য নেই। বিজ্ঞানীদের ধারণা, একে অপরকে অতিক্রম করা রেখাচিত্রগুলো নিশ্চয় বিশেষ উদ্দেশ্যেই তৈরি করা হয়েছে। সম্প্রতি সাজামা অঞ্চলের স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করা হয়েছে।
তিন থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত প্রশস্ত রেখাগুলো ১৮ কিলোমিটার বা তারচেয়েও দীর্ঘ। প্রায় সাড়ে ৭ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে রেখাগুলো অনেকটা নাজকা রেখার মতোই।

ছবি - সাজামা লাইনস, বলিভিয়া ( স্যাটেলাইট ছবি )

ছবি - সাজামা লাইনস, বলিভিয়া ( স্যাটেলাইট ছবি )

আপনাদের পরিচিত ‘ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক’ এর গবেষক প্রত্নতত্ত্ববিদ জোহান রেইনহার্ড এর ১৯৮৫ সালে দেয়া ব্যাখ্যাটিও কিন্তু ফেলে দেয়ার মতো নয় । রেইনহার্ড অঙুলি নির্দেশ করলেন ঐ সময়ের নাজকা এলাকার প্রানী ও প্রাকৃতিক পরিবেশের দিকে । তার বক্তব্য , যে এলাকায় সারাবছরে ২০ সেন্টিমিটারও বৃষ্টিপাত হয়না সেখানে অবশ্য অবশ্যই জল একটি মহার্ঘ্যবস্তু । আর তাই ঐসব রেখাচিত্রের অধিকাংশ আদপেই কোনও ভৌগলিক কিম্বা মহাজাগতিক বস্তুর দিকনির্দেশক হবার কথা নয়। তার মতে এসব রেখা ও আকৃতিগুলো হলো, ফসল উৎপাদনে পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরনে দেবদেবীর পুজোয় ধর্মীয় আচার আচরণের নির্ঘন্ট মাত্র, কোনও অলৌকিক কিছু নয়। তার ব্যাখ্যা - রেখাগুলো পুত -পবিত্র এক একটি পথ যা নির্দেশ করে কোথায় কোন জায়গাতে কোন দেবদেবীদের পুজো দিতে হবে ।
‘ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক’ এর প্রাক্তন গবেষক এ্যান্থনী এ্যাভেনীও বলেছেন প্রায় একই কথা -নাজকার জ্যামিতিক রেখাচিত্রগুলো এতো বিশাল আয়তনের যে সম্ভবত সেই নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে জড়ো হয়ে নাজকার মানুষেরা জলের জন্যে দেবতাদের কাছে ধর্ণা দিতেন কিম্বা নৈবেদ্য নিবেদন করতেন । হয়তো এটাও একটা ধর্মীয় বিশ্বাস !

মিশর এবং মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে বিশেষজ্ঞ , সুইস আর্ট হিষ্টোরিয়ান হেনরী স্টিয়ারলিন ১৯৮৩ সালে প্রকাশিত একটি বইতে বলেছেন বেশ মজার কথা । নাজকা লাইনকে তিনি জুড়ে দিয়েছেন মমি বানানোর প্রক্রিয়ার সাথে । প্রত্নতত্ত্ববিদরা খ্রীষ্টপূর্ব ৮০০ থেকে ১০০ সাল পর্যন্ত টিকে থাকা পেরুর “প্যারাকাস সভ্যতা” (এই সময়কালটা আবার নাজকা সভ্যতার সময়কালের সাথেও জড়িয়ে গেছে । কোনও প্রাচীন সভ্যতার ব্যাপ্তিকাল নিয়ে ইতিহাসবিদ আর গবেষকদের মতভিন্নতা নতুন কিছু নয় । ) সময়ের প্রাপ্ত মমিতে জড়ানো যে কাপড় পেয়েছেন তা সম্ভবত নাজকা লাইন নামের তাঁতযন্ত্রে বোনা । তার ধারনা, এইসব লম্বা লম্বা লাইন আর জ্যামিতিক রেখাগুলো মূলত বিশাল এক একটি প্রাগৈতিহাসিক তাঁত । কারন , মমিতে ব্যবহৃত যে কাপড় তার সুতোগুলো অসম্ভব লম্বা লম্বা এবং কাপড়গুলো প্রস্থেও বিশাল । একমাত্র বিশালাকৃতির কোনও তাঁতযন্ত্র ছাড়া তা বয়ন করা সম্ভব নয় এবং তা নাজকা লাইনগুলোর ধরনের সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ । একই সাথে তার ধারনা , ছোট ছোট আর অসচরাচর দেখা যাওয়া আকৃতিগুলো শাস্ত্রীয় আচার অনুষ্ঠান সংক্রান্ত কাজের উদ্দেশ্যই করা।
বুঝুন , ঠ্যালা ! বিশ্বাস করবেন কোনটা ?
তার এই থিওরী যদিও সর্বগ্রাহ্য হয়নি তবুও গবেষকরা মমিতে ব্যবহৃত কাপড়ের বয়নের ধরন এবং নাজকা রেখাচিত্রগুলির সাজানোর মধ্যে মিল খুঁজে পেয়েছেন ।
গবেষকরা যা বলে বলুক , কিন্তু ইতিহাসবিদরা যে বলে গেছেন , প্যারাকাস সভ্যতার
মানুষজনদের ছিলো জলসেচ, জল ব্যবস্থাপনা আর বয়ন শিল্পে প্রভূত জ্ঞান, তার কি হবে ? নাজকার মানুষও যে সেই ধারা বহন করবে, এটাই স্বাভাবিক ।

ছবি - চক্রাকারে পাথরবেষ্টিত কূপ বা puquios

রোজা লাসাপোনারার নেতৃত্বে ইটালির “ইন্সটিটিউট অব মেথোডলজিজ ফর এনভারনমেন্টাল এ্যানালিসিস” এর গবেষকরা স্যাটেলাইট টেকনোলোজী ব্যবহার করে সেই জল ব্যবস্থাপনারই অনেকটা তুলে এনেছেন । চক্রাকারে পাথরবেষ্টিত কূপের অস্তিত্ব পেয়েছেন তারা । ধারনা, নাজকার মানুষেরা নাজকার জলশূণ্য প্রান্তরে এমনি করেই মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে জলধারনের ব্যবস্থা তৈরী করে নিয়েছিলো একদিন ।
আর যে সব থিওরী রয়েছে তারাও বলছে , এই সব অগভীর রেখাগুলো আসলে জলের ধারা কোনদিকে তারই নির্দেশক কিম্বা জলসেচ প্রকল্প অথবা জলপ্রাপ্তির জন্যে দেবতাদের দৃষ্টি আকর্ষনের শাস্ত্রীয় আচার অনুষ্ঠানের উপকরণ। এখানের মাকড়সা, পাখি এবং গাছগাছালির চিত্র হয়তো “উর্বরতা”র প্রতীক। আবার কেউ কেউ বলেন, এসবই হয়তো এ্যাষ্ট্রনোমিক্যাল ক্যালেন্ডার।
১৯৯০ সালে আর্কিওএ্যাষ্ট্রোনমি বিশেষজ্ঞ জেরাল্ড হকিন্স আর এ্যান্থনী এ্যাভেনি সকলের এমন ধারনাকে হটিয়ে দিয়ে বলেছেন, এ যাবত প্রাপ্ত প্রমানাদি, এমন সব ব্যাখ্যার জন্যে পর্যাপ্ত নয়।
ধোঁয়াশা ভরা এই সব বিশাল বিশাল জিয়োগ্লিফস যেন পৃথিবী কিম্বা ইতিহাস থেকে মুছে না যায় তাই ইউনেস্কো ১৯৯৪ সালে নাজকা লাইনকে “ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট” হিসেবে ঘোষনা করেছেন ।

সৃষ্ট পৃথিবীতে এরকম যে হাযারো রহস্যময়তা রয়ে গেছে তা দেখে আমাদের মতো সাধারণ মানুষেরা অবাক হই। সীমিত জ্ঞান, চিন্তার অনগ্রসরতা, বোঝার দৈন্যতা, কুসংস্কার নিয়ে এসব কিছুকেই ঐশ্বরিক বলে ভাবি । অলৌকিক হয়তো বটে , কিন্তু মানুষের অগ্রযাত্রা এসব রহস্যকে একে একে জ্ঞানের পরিসীমায় নিয়ে আসছে । বোধগম্য করে তুলছে সব রহস্যকে।
শুধু আমরা “দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া , ঘরের বাইরে দুইপা ফেলিয়া...”র মতোই জ্ঞানের চক্ষু মেলে দেখিনে, হয়তো দেখতেও চাইনে কিছুই ......................



তথ্য কৃতজ্ঞতা সূত্র -
১. Wikipedia, the free encyclopedia
২. Click This Link
৩. Drone discovers New Nazca Lines in Peru
৪. Click This Link
৫. Click This Link
৬. Nazca Lines: Mysterious Geoglyphs in Peru
৭. National Geographic

মন্তব্য ১২৪ টি রেটিং +৩০/-০

মন্তব্য (১২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



প্রথম হওয়ার প্রচেষ্টায়...

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন নকিব,





প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়নি । তবে আমি ব্যর্থ, "সাদা মনের মানুষ" এর মতো চা দিয়ে আপ্যায়ন করতে । :(

প্রথম মন্তব্যকারী হিসেবে রইলো প্রথম শুভেচ্ছা ।

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৬

সাত সাগরের মাঝি ২ বলেছেন: বিশাল পোষ্ট............ সময় নিয়ে পড়তে হবে

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাত সাগরের মাঝি ২,





হায়রে!!!!!!!! সাত সাগরের মাঝি যদি বলে, সাগরটা বিশাল তবে খালবিলের মাঝিরা কি বলবে ?
সাত সাগর পাড়ি দিয়েই তো মাঝিরা নতুন নতুন দেশ আবিষ্কার করে ফেলে! সময় নিয়েই না হয় লেখাটিতে পাড়ি দিন।

পরবর্তী মন্তব্যের জন্যে আগাম ধন্যবাদ । :(

৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:



চা দিয়ে অাপ্যায়ন নয়, যে হৃদ্যতার পরশে অাবদ্ধ করেছেন, তা-ই বড় প্রাপ্তি।

সময় নিয়ে পড়ে পোস্টে মন্তব্যে অাসার অভিপ্রায়ে শুভেচ্ছাসহ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: নতুন নকিব,




আবারও আসবেন বলে ঘোষনা দিয়ে গেলেন! নকিবের কাজটিই তো তাই!
শুভেচ্ছান্তে ।

৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অজানা ইতিহাস জানলাম।

সত্যি পৃথিবী বড় অদ্ভুত।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোঃ মাইদুল সরকার ,





আসলেই পৃথিবী বড় অদ্ভুত। কতো যে রহস্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর এখানে সেখানে! তা দেখে আমাদের মতো সাধারণ মানুষেরা অবাক হই। সীমিত জ্ঞান, চিন্তার অনগ্রসরতা, বোঝার দৈন্যতা, কুসংস্কার নিয়ে এসব কিছুকেই ঐশ্বরিক বলে ভাবি । অলৌকিক হয়তো বটে , কিন্তু মানুষের অগ্রযাত্রা এসব রহস্যকে একে একে জ্ঞানের পরিসীমায় নিয়ে আসছে । বোধগম্য করে তুলছে সব রহস্যকে।

মন্তব্যে ধন্যবাদ ।

৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সুন্দর একটি পোষ্টের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ভাইয়া।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোস্তফা সোহেল,




আন্তরিকতার সাথে আপনার দেয়া ধন্যবাদ গৃহীত হলো ।

৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: অদ্ভুত ব্যাপার!!!
জানলাম।
আসলে আমি বিশ্বাস করি পৃথিবীতে অনেক লৌকিক ব্যাপার আছে।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

আহমেদ জী এস বলেছেন: রাজীব নুর,



অদ্ভুত ব্যাপারই বটে কারন যতো বেশী এসব নিয়ে গবেষণা, ততো বেশী কন্ট্রোভার্সি ।
এরকম কতো যে অদ্ভুত রহস্য ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পৃথিবীর এখানে সেখানে! তা দেখে আমাদের মতো সাধারণ মানুষেরা অবাক হই। সীমিত জ্ঞান, চিন্তার অনগ্রসরতা, বোঝার দৈন্যতা, কুসংস্কার নিয়ে এসব কিছুকেই ঐশ্বরিক বলে ভাবি । অলৌকিক হয়তো বটে , কিন্তু মানুষের অগ্রযাত্রা এসব রহস্যকে একে একে জ্ঞানের পরিসীমায় নিয়ে আসছে । বোধগম্য করে তুলছে সব রহস্যকে।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে ।

৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৩৮

জাহিদ হাসান বলেছেন: নাজকা লাইন যারা বা যেই বানাক না কেন সে আকাশে উড়তে পারতো, নাহলে সে কি করে বুঝবে যে এত বিশাল জায়গা জুড়ে যে লাইন আকা হচ্ছে তা প্রকৃত রুপ পেয়েছে বা ছবিটা ঠিকঠাক মত হয়েছে? তাই নয় কি?



==================================
একদিন এই উগান্ডা ছেড়ে চলে যাবো বহুদূরে !
==================================

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: জাহিদ হাসান,



অনুসন্ধিৎসু প্রশ্ন! ঠিক বটে, আকাশে না উঠে এমন ছবি ঠিকঠাক আঁকা যায় কিভাবে ? ফন দেনিকেন আপনার এমন ধারনাটির সাথে নভোচারীর ছবিটি মিলিয়ে বলেই তো দিয়েছেন, এসব কাজ হলো গ্রহান্তরের আগন্তুকদের। আবার গবেষকরা দেখিয়েছেন আকাশে না উঠেও খুব সাধারন যন্ত্রপাতি আর সার্ভেয়িং ইক্যুইপমেন্ট দিয়ে এগুলো আঁকা সম্ভব। ল্যান্ড সার্ভেয়িং ইক্যুইপমেন্ট দিয়ে তো আমরা মানচিত্রও বা ভূচিত্র যা-ই বলুন তা নিখুঁত ভাবেই আঁকি। উড়োজাহাজ থেকে দেখে দেখে আঁকিনে মনে হয়!
তেমন প্রযুক্তি (এখন পর্যন্ত অজ্ঞাত) যদি না থাকতো তবে প্রাচীন মানুষেরা হাযার টন পাথরের চাঁই শত শত ফুট উঁচুতে উঠিয়ে পিরামিডই বা কি করে বানালো ? আপনার প্রশ্নের সাথে জুড়ে দিয়ে তাহলে বলতে হয় - তখনকার মানুষ "লেভিটেশান" ( গ্রাভিটেশান এর বিপরীত) না জানলে কি করে পিরামিড বানালো! লেভিটেশান করেই তারা টনকে টন ওজনের হাযার হাযার পাথরের চাঁই আকাশে তুলে ফেলেছে।
প্রকৃতির ছবিতে এমন প্রশ্ন আছে অনেক।

কিসে যে কি হয়, আমরা এটা জানিনে বলেই গন্ডোয়ানা থেকে কেউ ছিটকে গেছে মহাসাগরে! তেমনি করেই উগান্ডা থেকেও ছিটকে পড়তে হবে একদিন... :P

৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: একদম ই ধারনা ছিল না ; নতুন কিছু জানলাম ।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: মনিরা সুলতানা,



জানাতে পেরেছি বলে এই আজাইররা লেখাটির সম্মান বাঁচলো বোধহয়!
ধন্যবাদ।

৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: এ সম্পর্কে জানি।

এগুলোকেও ক্রিপ্টোগ্রাফী হিসেবে ধরা যায়।

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স,



বলতে গেলে কিছুটা ধরা যায় আবার যায়ও না। কারন ক্রিপ্টোগ্রাফীতে প্লেইন টেক্সট থেকে এনক্রিপশান করতে হবে তারপরে হবে সাইবার টেক্সট ইত্যাদি। কিন্তু নাজকায় যা পাওয়া গেছে তা সরাসরি প্রানী ও উদ্ভিদের চেহারা , চিহ্ণ হলে কথা ছিলো । এইসব চিত্রে সাইবার টেক্সট এর মতো লুকায়িত কিছু থাকার কথা নয়। হয়তো এগুলো কিছুর প্রতীক হিসেবেই আঁকা হয়েছে, এই যা। হয়তো উর্বরতাকেই বোঝানো হয়েছে এখানে।
আমি ঠিক বলেছি কিনা বুঝতে পারছিনে তবে ভরসা, কোনও তথ্যেই এই রেখাচিত্রকে "জিওগ্লিফস" এর পাশাপাশি "ক্রিপ্টোগ্রাফী" বলা হয়েছে এমনটা চোখে পড়েনি।

১০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪

বিজন রয় বলেছেন: পৃথিবীটা রহস্যময়। জীবন রহস্যময়!
মানুষ একটি প্রাণীমাত্র!!!

ভাল পোস্ট!!
++++++

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিজন রয়,



এই একটিমাত্র প্রাণী মানুষের মনের রহস্যেরও কি কোনও শেষ আছে ?

প্লাসে আপ্লুত। শুভেচ্ছান্তে।

১১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০০

নীল আকাশ বলেছেন: এটা আমি অনেক আগেই ইংরেজিতে পড়েছিলাম, তখন এত বেশি সাইনটেফিক টার্ম ইউজ করেছিল যে এতটা ভালো করে বুঝতে পারিনি। এটা সহ আরো কিছু আছে যেমন স্টোনহেন্জ, যার কোন ব্যাখ্যা আজ পর্যন্ত পাওয়া যায় নি। দুর্দান্ত একটা টপিকের উপর লিখেছেন। সময় থাকলে অনুরোধ করবো স্টোনহেন্জ এর উপর লেখার জন্য। আপনি এমনিতেই অনেক ব্যস্ত , অনুরোধ করার পর লজ্জা লজ্জা লাগছে। কিন্তু এত সুন্দর করে আর কেই বা আপনার মতো পোষ্ট দিতে পারবে?
লাইক তো দিয়েছিই, প্রিয়তেও রেখে দিলাম। মাঝে মাঝে সময় পেলে পড়তে ভালোই লাগবে।
আমি আপনার একজন মুগ্ধ পাঠক।
শুভ কামনা রইল!

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীল আকাশ,



এমন করে করা মন্তব্যে আপনিও আমায় মুগ্ধতায় আটকে রাখলেন!
চেষ্টা করি, এমন সব জটিল বিষয়ে সহজবোধ্য করে লিখতে। তাতে আপনাদের সাড়া পেলে বর্তে যাই, একটা দায়বদ্ধতাও চলে আসে।
প্রিয়তে নেয়া আর লাইক দেয়াতে কৃতজ্ঞ।
আমার এই লেখাগুলো দেখতে পারেন --
ঠিক দুক্কুর বেলা ভুতে মারে ঢিল....

“লভ এ্যান্ড রোমান্স” । সখি ভালোবাসা কারে কয়......

সুন্দরী মুখের আড়ালে মৃত্যুর পরোয়ানা...........
এমনি আরো অনেক ।
ভালো থাকুন আর সুখে ..................

১২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আহমেদ জী এস,







বিশাল থিসিস। :P

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: পাঠকের প্রতিক্রিয়া !



মাত্র দু'টি শব্দে পাঠক তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে গেলেন !!!!!!!!!
এ কেমন প্রতিক্রিয়া !!!!!!!!! :(

১৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া সকল বৈজ্ঞানিক, জোতির্ষীবিদ, গনিতবিদ, জ্যামিতিবিদদের গবেষনালদ্ধ ফলাফল পড়ার পরে আমি নিজে এক সিদ্ধান্তে উপনিত হইলাম তাহা হইলো, এই সুবিশাল বিশাল রেখাচিত্রগুলি নিশ্চয় ঐ পানি বা জলের পরিখার জন্যই বানানো হইয়াছিলো। তাই নাম দিলাম এর জলচিত্র। জলের জন্য যে চিত্র তাহা জলচিত্র।:)

আর বুঝাই যাচ্ছে সেই দেশের লোকগুলি অনেক অনেক শিল্পবোদ্ধা ছিলো তাই জল না পেয়ে প্রাণ আইঢাই করবার পরেও সেই জল সেঁচে আনতে প্রাণান্ত পরিশ্রমের পরেও শিল্পের কথাটুকু ভোলেনি। আর তাই সেই জাতি আজ বিলীন হয়ে গেছে বটে তবুও সেই জলচিত্র শিল্প দেখে আমরা হচ্ছি মুগ্ধ এবং মুগ্ধ!!!! :)

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: শায়মা,



যাক, এবার খাস বাংলাদেশী একজন বৈজ্ঞানিক ওরফে জোতির্ষীবিদ ওরফে গনিতবিদ ওরফে জ্যামিতিবিদের কাছ থেকে একটি
যুগান্তকরী হাইপোথিসিস পাওয়া গেলো। জ্ঞানী-গুনির ক্ষেত্রে বাঙালীর ‌ইজ্জৎ কা সওয়াল আর রইলো না। দ্যাশের মুখ উজ্জ্বল হইলো। :D
জলচিত্র নাম রাখার মতো এই অঘটন ঘঠনীয় হাইপোথিসিসটির নাম রাখা গেলো "আল-শায়মী" ( আলসেমী নয় কিন্তু ) থিয়রী। :P

যাউকগা, আসলি বাৎ করি-- ঐসব রেখাচিত্র হয়তো জল সংক্রান্ত কিছু নির্দেশনা কিম্বা জলের জন্যে দেবতাদের চরণে ধর্মীয় আচার আচরণের নৈবেদ্য। সব জল্পনা-কল্পনার ভেতরে এমন ধারনাটাকেই যুক্তিযুক্ত মনে হয়। আপনার এমন সিদ্ধান্তে উপনিত হওয়াটা তাই অমূলক নয়। গোল্ডেন-এ প্লাস.................. :#)

১৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৭

কিরমানী লিটন বলেছেন: আপনার কষ্টসাধ্য পোষ্টের মাধ্যমে নতুন অনাক কিছু জানলাম। অভিবাদন আর শুভাশিস রইলো- এমন প্রয়োজনীয় আর শিক্ষামুলক পোষ্টের জন্য । ভালোবাসা জানবেন প্রিয় আহমেদ জী এস ভাইয়া।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: কিরমানী লিটন,



এতো বড় লেখাটি পড়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আপনাদের কিছু হলেও জানাতে যে পেরেছি তাতেই লেখাটিকে সার্থক ভাবতে ইচ্ছে করছে।

ভালোবাসা, আপনার জন্যেও।

১৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৪

হাবিব বলেছেন: কত কিছু যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে চারিপাশে......সব কিছু আল্লাহর নিদর্শন বহন করে

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাবিব স্যার ,



মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ ।

হ্যা.... সৃষ্ট পৃথিবীতে এরকম হাযারো রহস্যময়তা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়ে গেছে যা দেখে আমাদের মতো সাধারণ মানুষেরা অবাক হই। সীমিত জ্ঞান, চিন্তার অনগ্রসরতা, বোঝার দৈন্যতা, কুসংস্কার নিয়ে এসব কিছুকেই ঐশ্বরিক বলে ভাবি । অলৌকিক হয়তো বটে , কিন্তু মানুষের অগ্রযাত্রা এসব রহস্যকে একে একে জ্ঞানের পরিসীমায় নিয়ে আসছে । বোধগম্য করে তুলছে সব রহস্যকে।

১৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:






রহস্যে ঘেরা এই পৃথিবী, আরো রহস্যময় মানুষের হৃদয়! তাইতো এতো ব্যাখ্যা, এতো ধারণা।

আমারতো মনে হয় নাজকা সভ্যতার বাচ্চারা বেশ উড়নচণ্ডী ছিলো, খেলতে খেলতে এই রেখাগুলো হয়ে গিয়েছে!!

বেশ তথ্যবহুল এবং অদ্ভুত ভাবনাময় পোস্ট। ভাল লাগলো বেশ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: কথাকথিকেথিকথন,





হা...হা...হা... ভালো একটা হাইপোথিসিস! নাজকা সভ্যতার উড়নচণ্ডী পোলাপান, খেলতে খেলতে এই রেখাগুলো বানিয়ে ফেলেছে!! যেমন আমরাও এককালে যখন উড়নচণ্ডী ছিলুম তখন বৃষ্টিতে কাদায়ভরা মাঠে পা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে কতো কিছুই যে আঁকতুম!! আর সী-বিচে তো আঁকিই এখনও!
পোস্ট ছেড়ে নষ্টালজিক হয়ে গেলুম।

শুভেচ্ছান্তে।

১৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: কে এঁকেছে,ক্যান এঁকেছে
কি আজিব কারবার!
ভুত নাকি এলিয়েন
ঘুরে ফিরে বারবার।

ভেবে ভেবে হয়রান
যত হও আধূনিক;
কি করি ভেবে না পাই
তা-ই মোর গাধু নিক।

সিক্রেট শেষ নেই
ফুরোবেনা লিস্টি;
তাই কি কয়েছে খোদা
ঘুরে দেখ সৃষ্টি!!

আল্লাজি আ'ল্লামা বিল ক্বালাম
আল্লামাল ইনসানা মালাম ইয়া'লাম।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: কি করি আজ ভেবে না পাই,


কি করি আজ ভেবে না পাই
নাজকা লাইনের কোন লাইনে যাই
কোন লাইনে যে পাইবো পানি
সে কথা তো কেউনা জানি............

নাহ.... আপনার লাইনে ওঠা গেলোনা! আরো প্রাকটিস লাগবে! 8-|

তবে শুরুতে যা বললেন হাসতে হাসতে, বলা যায়না তাও একদিন সত্য হয়ে উঠতে পারে। তাই ঘুরে দেখতে হবে সৃষ্টিকে!!

চমৎকার এই ছড়া মন্তব্যে প্লাস +++++++

১৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: শায়মাপু যত সিধে
কয়ে দিলো কেসটা;
গেছেগো গেছেগো তার
ঘট-মাথা শেষটা।

পুলাপান হেসে কুটি
আমি কই আহারে;
হোক তার ত্বরা শেফা
ভালা পাই তাহারে।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: কি করি আজ ভেবে না পাই,



অঘটন ঘটন পটিয়সী হলেও শায়মা মন্তব্যে একটা ঘটনা কিন্তু ঘটিয়ে ফেলেছেন! "আল-শায়েমী" থিসিস দিয়ে ফেলেছেন । থিসিসটাকে এখন "তোমাকে খুঁজছে বাংলাদেশ' এর কাছে পাঠিয়ে দেয়া হবে যাতে থিসিসদাত্রীকে তারা খুঁজে বের করে সুপারষ্টার এর ফিতেটা গলায় ঝুলিয়ে দিতে পারেন। তখন কিন্তু "কি করি আজ ভেবে না পাই" এর মতো চ্যাংড়া পুলাপাইনের হাসি যে কুতায় যাইবেক সেইটার শেফা হইবে। :-P :||
এইরাম দাঁতাইল্ল্যা হাসি হেরে ভালা পাওয়া না! :#) সুতরাং যা কর্তাছেন হেইয়া ভাইব্ব্যা চিন্তা কইর্রেন............... =p~

১৯| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: বিশাল পোস্ট। ধৈর্য ধরে পড়লে অনেককিছু জানা সম্ভব। কিছুটা পড়লাম। বাকিটুকু সময়মত পড়ব।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সম্রাট ইজ বেস্ট,




"সময়" বলে কথা! সময়মতো বাকীটুকুও পড়বেন বলে আশা রাখি ।

২০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: সিম্বোলজি হবে....

আর আপনার কমেন্ট এ সাইবার টেক্সট নয় সাইফার টেক্সট হবে....

আর সিকাডা কোড লিখে সার্চ দিন :)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: আর্কিওপটেরিক্স,



আবারো আসার জন্যে ধন্যবাদ। জ্বী, সিম্বোলজি ই মনে হয় ঠিক।

আর ভুলটা ধরিয়ে দেয়াতে কৃতজ্ঞ।

২১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬

করুণাধারা বলেছেন: অনেক দিন আগে একটা বই পড়েছিলাম, "দেবতারা কি গ্রহান্তরের মানুষ!" সেখানে এ সম্পর্কে কিছু লেখা ছিল, ঠিকভাবে বুঝিনি। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানা গেল, কিছু রহস্য রয়েই গেল.....

চমৎকার পোস্টে লাইক।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: করুণাধারা,





বৈজ্ঞানিক বিষয়ে বিশেষ করে "এলিয়েন" সম্পর্কে এরিখ ফন দেনিকেন এর বেশ অনেকগুলি বই রয়েছে। সম্ভবত "দেবতারা কি গ্রহান্তরের মানুষ!" বইটি দেনিকেনের বইয়ের অনুবাদ। দেনিকেন সারা বিশ্ব ঘুরেছেন এবং গ্রহান্তরের আগন্তুকদের সম্পর্কে সংগ্রহ করেছেন এমন সব তথ্য-উপাত্ত যা অকাট্য বলেই মনে হবে।

আমার এই সামান্য লেখায় আপনাদের যে কিছু জানাতে পেরেছি তাতে নিজেকে ধন্য মনে করছি।
মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

২২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বাহ ! অসাধারণ । সম্পূর্ণ অজানা একটি বিষয় নিয়ে পোষ্ট দিলেন। অত্যন্ত পরিশ্রমী পোস্ট ।

রেয়ারের মধ্যে রেয়ার। পোস্টে++++++

শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি,




জ্বী, পরিশ্রম তো একটু করতেই হয়! নেট ঘেটে ঘেটে তথ্য সংগ্রহ, তাকে যাচাই বাছাই করা অর্থাৎ চেক ক্রসচেক করা, তা থেকে
নিজের মতো করে একটা গল্প তৈরী করা যা ব্লগের পাঠকদের মনপূতঃ হবে। এসব মাথায় রেখেই সবকিছু সাজাতে পরিশ্রম করতে হয়।
এমন লেখাকে আপনি যখন বলেন - রেয়ারের মধ্যে রেয়ার তখন পরিশ্রমটুকু আর পরিশ্রম মনে হয়না ।

শুভকামনা ও ভালোবাসা থাকছে আপনার জন্যেও।

২৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২০

সনেট কবি বলেছেন: ১৯ তারিখ আপনাকে নিয়ে একটা পোষ্ট দিয়ে ছিলাম হয়ত নজরে আসেনি।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: সনেট কবি,



অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি এমন নোটিফিকেশনের দায়িত্বটুকু পালন করেছেন বলে। দুঃখিত অবশ্যই যে আমাকে নিয়ে লেখা পোস্টটি আমি নিজেই দেখিনি!
আপনি জানিয়ে গেছেন বলেই তৎক্ষনাত লেখাটি দেখেছি এবং আমার কৃতজ্ঞতাও জানিয়ে এসেছি ।
শুভেচ্ছান্তে।

২৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫২

ঋতো আহমেদ বলেছেন: এরিকের লেকচার শুনছিলাম গত সপ্তাহে। ইউটিউব এ ২ ঘন্টার দুটো পর্ব গোগ্রাসে গিলেছি। সেখানে আপনার এইসব চিত্র নিয়েও কথা বলেছেন এরিক। ভেবে দেখবার মতো যুক্তি উপস্থাপন করেছেন তিনি।

Unsolved mysteries of the past

https://m.youtube.com/watch?v=9doJSphkZNM&t=2082s

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঋতো আহমেদ,



বৈজ্ঞানিক বিষয়ে বিশেষ করে "এলিয়েন" সম্পর্কে এরিখ ফন দেনিকেন এর বেশ অনেকগুলি বই রয়েছে। দেনিকেন সারা বিশ্ব ঘুরেছেন এবং গ্রহান্তরের আগন্তুকদের সম্পর্কে সংগ্রহ করেছেন এমন সব তথ্য-উপাত্ত যা অকাট্য বলেই মনে হবে।
গোগ্রাসে গেলার মতোই সব বিষয়!
নাজকা লাইন সম্পর্কেও তাঁর ধারনা ঐসব গ্রহান্তরের আগন্তুকদের কাজ।

লিংকটির জন্যে ধন্যবাদ। সময় করে দেখে নেয়ার আশা রাখছি।

২৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪৭

মাহের ইসলাম বলেছেন: ভালো লেগেছে।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: মাহের ইসলাম ,




আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশী হলুম।
শুভেচ্ছা রইলো।

২৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৫

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: আহমেদ জী এস,





ট্রুথ নেভার ডাই্‌জ। কপি-পেষ্ট লেখা।

আপ্নে একটা ফাঁকিবাজ। লেখায় ঠিকমত দাঁড়ি, কমা দেন না। দুদিন পর পতিউক্তর(!) করেন। আপ্নাকে কমেন্টু করা মানে সময় লষ্ট।।:P;)

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১০

আহমেদ জী এস বলেছেন: পাঠকের প্রতিক্রিয়া !



একদম হাচা কৈছেন। কপি-পেষ্ট লেখা।
নেট ঘাইট্টা ঘাইট্টা তথ্য সংগ্রহ কৈরর‍্যা কপি কৈর‍ে ওয়ার্ড ফাইলে পেষ্টু করা। হেইয়ার থন বাংলায় নিজের মতো কৈরে ওয়ার্ড ফাইলে ল্যাহা। হেই জায়গার থন লেহাডারে কপি কৈরে "নতুন ব্লগ লিখুন"এ পেষ্ট করা। এইটা ট্রুথ নেভার ডাইজ কৈলাম। :(

দাড়ি কমা দিতে পয়সা লাগে না । চাইলে ছাপ্পড় ফাইরর‍্যা দিয়া দিমুনে। আমি অতো কিপ্টা না! একটার জায়গায় চাইলে ৪/৫টা দাড়ি দিমু, কমা কিন্তুক এট্টাও কম দিমুনা। ;)

কমেন্টুরে বেহুদা সোমায় লষ্ট কৈয়েন না। কমেন্টু গিয়ান মাপুইন্না গজফিতা। কমেন্টুতে যত্তো সোমায় লষ্ট কর্বেন, তত্তো গিয়ান বাড়বে জাইন্নেন............... :P

পাঠকের প্রতিক্রিয়ার মতো এডাও ল্যাখকের পেতিক্রিয়া।

শুভেচ্ছান্তে।

২৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:২১

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: লেখাটি পড়ে অনেক অজানা কিছু জানতে পারলাম, ধন্যবাদ আপনাকে। শুভ কামনা নিরন্তর।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ফারিহা হোসেন প্রভা,



লেখাটি পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
আপনার জন্যেই শুভ কামনা অনেক অনেক।

২৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪০

জাহিদ অনিক বলেছেন:
মানুষের অবাক হওয়া যেন শেষ হতে চায় না, মানুষ ভালোবাসে অবাক হয়ে যেতে। প্রকৃতি নিজেকে সেভাবেই সাজিয়েছে একটু একটু করে নিজেকে প্রকাশ করছে মানব সভ্যতার কাছে।

নাযকা লাইন সম্পর্কে একটা ডকুমেন্টারি দেখেছিলাম অনেক আগে। সেটা ভুলেও গিয়েছিলাম। আজকে আবার মনে পড়ল।
হামিং বার্ডটা আমার ভালো লাগছে।

আপনার এই পোষ্টটা নিশ্চয়ই আর্কিওলজিক্যাল গুরুত্ববহ।

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: জাহিদ অনিক,



হ্যা.... মানুষ অবাক হতে হয়তো ভালোইবাসে! তাইতো মানুষ ছোটে উর্ধাকাশে, ডুব দেয় গহীন সাগর তলে। ডিঙিয়ে যায় পাহাড়-পর্বত, দুস্তর মরুভূমি। খুঁজে ফেরে অসূর্য্যস্পর্শা অরণ্যতল।

এ জাতীয় জিওগ্লিফসের জন্যে মনে হয় খোঁড়াখুঁড়ি করতে হয়না তাই বিষয়টি আর্কিওলজির আওতায় আসবে বলে মনে হয়না। ঐসব রেখাচিত্রের আর্কিওলজিক্যাল গুরুত্ব তাই হয়তো নেই। তবে ইতিহাসে এর গুরুত্ব অবশ্যই আছে।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

২৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



এ পৃথিবীতে এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত হয়নি কত আজব আজব বিষয়াদী রয়েছে। মহাবিশ্বের সাথে পৃথিবীকে তুলনা করলে একবিন্দু শিশির কণা মনে হয়। বিশাল আমাজন জঙ্গল, এন্টারকটিকা মহাদেশ কিংবা উত্তর মহাসাগরের অনেক অংশেই এখনো মানব পদ চিহ্ণ পড়েনি। এটা সৃষ্টির এক অনন্য রহস্য। "নাজকা লাইনস" সম্বন্ধে এই প্রথম আপনার লেখা পড়ে জানলাম। আপনার দেওয়া লিঙ্কগুলোও স্টাডি করলাম। কৌতুহল বেড়ে গেছে।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: কাওসার চৌধুরী,



মহাবিশ্বের সাথে পৃথিবীকে তুলনা করলে একবিন্দু শিশির কণা মনে হয়। এটাও ঠিক তুলনা হলোনা। মহাবিশ্বের সাথে কোনও তুলনাই চলেনা এমনই ক্ষুদ্র এই পৃথিবী।

কৌতুহল বাড়িয়ে দিয়েছি? তাহলে সম্ভাব্য সকল উপায়ে কৌতুহল মিটিয়ে নেবেন। ঘরের বাইরে দু'পা ফেলেই তবে দেখে নিতে হবে বিশ্বব্রহ্মান্ডের রহস্য।
এই লিঙ্কগুলোও এবং ঐ লিংকে গেলে আরো হাযারো লিঙ্ক পাবেন যা পড়লে অবাক হয়ে যাবেন সৃষ্টি রহস্যের রহস্য নিয়ে।

আমাজন সম্পর্কেও আমার একটি পোস্ট আছে এই ব্লগে । দেখে নিতে পারেন।

শুভেচ্ছান্তে ।

৩০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


ওসব এলাকায় মানুষ শিকার করতো, সামান্য চাষাবাদ করতো, আর আজগুবি ধর্ম পালন করতো; এগুলো ধর্মীয় কিছুর প্রকাশ হতে পারে।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: চাঁদগাজী,



হ্যা... সম্ভবত এগুলো প্রায় বৃষ্টিপাত বিহীন এক প্রান্তরের মানুষজনের ফসলের প্রয়োজনে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বৃষ্টির জল ধরার অপ্রশস্ত নালা জাতীয় কিছু এবং একই সাথে সে নালা দেবতাদের উপসনায় ব্যবহৃত ধর্মীয় সংস্কারের চিহ্ণের আদলে কাটা হয়েছে যাতে বৃষ্টির দেবতা তুষ্ট থাকেন ।

সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ।

৩১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৪০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্যিই কত অদ্ভুত রহস্যে ভরা এ পৃথিবী!

আর আমাদের জ্ঞান ধারনা বা অনুমান কত ভাসা ভাসা!
এসব পড়লে ইচ্ছে করে এসবের গবেষক হয়ে যেতে :P খুঁজে খুঁজে বের করতে প্রকৃত কারণ!

মাঝে মাঝে ভয়োনিচ স্ক্রীপ্টের ছবি গুলোর দিকে আনমনে চেয়ে থাকি!
কত ভাবনা খেলে যায়! নাজকা লাইনও এমন দারুন রহস্য!

দারুন উপস্থাপনায় ভাল লাগলো।
সমাধান হোক এ রহস্যের। আমাদের জ্ঞান ভান্ড পূর্ণ হোক অতীতের জ্ঞানে :)
ভবিস্যতের পথে।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু,




ঠিকই বলেছেন - আমাদের জ্ঞান ধারনা বা অনুমান কত ভাসা ভাসা!
এর কারনেই আমরা অবাক করা কিছুকেই ঐশ্বরিক বলে ক্ষান্ত দিই কিছু আর তলিয়ে ভাবিনে। এ প্রসঙ্গে আমার বক্তব্যটি লেখার শেষ প্যারায় বোল্ড করে দেয়া আছে। কপি করা যায়না বলে এখানে তুলে দিতে পারলুম না।

হ্যা...আমাদের জ্ঞান ভান্ড পূর্ণ হোক। পোক্ত হোক আমাদের জানার বোধবুদ্ধি, খোলা থাকুক আমাদের চোখ।

মন্তব্যে ভালোলাগা।

৩২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:০৪

সেলিম৮৩ বলেছেন: কিছু অতীত ঐতিহ্য, নিয়মরীতি। ভালো লাগলো।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: সেলিম৮৩,





ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।

৩৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৫০

মলাসইলমুইনা বলেছেন: আহমেদ জি এস ভাই,
সেই ছোটবেলায় আম্মার বানানো ভাপা পিঠে ছিল আমাদের কাছে রেলগাড়ি পিঠা । ধোয়া উড়ছে পিঠের বদ্ধ হাড়ি থেকে ! কি করে যে আস্ত একটা পিঠের মধ্যে আম্মা সুন্দর করে গুড় ভরে দিতেন সেটা ভেবেই কত বিস্মিত রাত কেটেছে আমার ! বড় হবার সাথে সাথে সেই বিস্ময়গুলো যেন কোথায় হারিয়ে গেলো মনে একরাশ ব্যাথা জমিয়ে। সেই স্কুলে থাকতে প্রথম যখন নাজকা লাইন সম্পর্কে পড়েছিলাম সেদিন থেকে কত আশ্চর্য গ্রহান্তরের আগুন্তকের কথা কল্পনায় ভেবে ছিলাম ! আর ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের এক্সপ্লোরার বেটা জোহান রেইনহার্টের এই নাজকা লাইনস সম্পর্কে মতামত দিয়েছে প্রিয় ব্লগার শায়মার জলচিত্রের মতোই যে --ওগুলো পানির অভাব বুঝাতেই করা হয়েছিল, যেটা খুবই সম্ভব একটা ব্যাখ্যা । কেউ কথা রাখে না । শুধু বিস্ময়গুলো ছোটবেলার ছিনিয়ে নিয়ে যেতে চায় । সেই নাজকা লাইন্স, সেই ভিনগ্রহের আগুন্তক সেই বিস্ময়গুলোর কিছু থাকুক না এখনো ! কি হবে শুধু “...চক্ষু মেলিয়া , ঘরের বাইরে দুইপা ফেলিয়া...” সব দেখে ফেললে ! লেখায় ভালোলাগা ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: মলাসইলমুইনা,




ইদানীং আপনার মন্তব্যের উপযুক্ত প্রতিমন্তব্য করা কঠিন হয়ে উঠছে! ভাবতে হয়, কি লিখি, কি ভাবে লিখি!
এই যে পিঠার কথা লিখলেন তাতে ফিরে যেতে হলো আবার সেই শৈশবে। এখন পিঠে নিয়ে লিখবো না রহস্য নিয়ে লিখবো এটা ভাবতে ভাবতেই সময় পার!
আমরাও মায়ের পিঠে বানানোর শিল্প কতোভাবে যে মকসো করার চেষ্টা করতুম, হতোনা একটাও। কেমন ছ্যাড়াব্যাড়া হয়ে যেতো আটা-ময়দা-চালের গুড়ি সব। মায়ের পিঠা শিল্পতো বিস্ময়ের বস্তু ছিলোই , বিস্ময় ছিলো আমরা কেন তা পারছিনে তাতেও!

শায়মা একেবারে খারাপ বলেন নি। তার মতো ব্যাখ্যা গবেষকরাও অনেকে দিয়েছেন। সেকথাও এই লেখায় আছে।
আর আমার মনে হয়, এগুলো সম্ভবত প্রায় বৃষ্টিপাতহীন এক প্রান্তরের মানুষজনের ফসল ফলানোর প্রয়োজনে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বৃষ্টির জল ধরার অপ্রশস্ত নালা জাতীয় কিছু এবং একই সাথে সে নালা দেবতাদের উপসনায় ব্যবহৃত শাস্ত্রীয় সংস্কারের "অং - বং" চিহ্ণের আদলে কাটা হয়েছে যাতে বৃষ্টির দেবতা তুষ্ট থাকেন । আর বিশালাকৃতি দেয়া হয়েছে একারনে যে দেবতারা আকাশ থেকে যেন এসব নৈবেদ্য দেখতে পান।
আবার কিন্তু ঘুরে ফিরে আকাশে থাকা কারো কথা এসেই যাচ্ছে, তাইনা? এটুকুও না হয় থাকুক রহস্যে ঘেরা!

আর কি হবে শুধু “...চক্ষু মেলিয়া , ঘরের বাইরে দুইপা ফেলিয়া...” ?
হবে হবে অনেক কিছুই হবে! বাইরে দুইপা ফেলিয়া চক্ষু মেলিয়া আকাশ দেখিবেন, সেখানে দেখিবেন নক্ষত্ররাজী ছাইয়া রহিয়া আকাশের অন্ধকারকে কী আলো-আধারীতে স্বপ্নময় করিয়া রাখিয়াছে। তখন স্বপনের সেই দেশে পাড়ি দেবেন, দেখিবেন রহস্যের আদিঅন্ত নাই। রহস্য বিস্ময় হইয়াই রহিবে............................

৩৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৮

অয়ি বলেছেন: বিস্ময়কর । পড়ে মনে হলো এ নিয়ে নতুন নতুন তত্ব আসবে কিন্তু সত্য আসবে না !

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: অয়ি,



পড়েছেন দেখে ভালো লাগলো। ব্যাপারটি বিস্ময়কর তো বটেই রহস্যময়ও! কে জানে সত্য কবে আসবে!

অনেকদিন পড়ে এলেন। শুভেচ্ছা জানবেন।

৩৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

শিখা রহমান বলেছেন: আপনার একটা আশ্চর্য গুণ আছে জানেন? খুব জটিল আর তথ্য বহুল বিষয়গুলোকেও আপনি হৃদয়গ্রাহী করে উপস্থাপন করতে পারেন। অবশ্য মন্তব্যের যাদুকরের জন্য এটা সহজ ব্যাপার। :)

অনেক ভালো লেগেছে লেখাটা। ব্যাপারগুলো এমন সহজ করে বলেছেন যে পড়ার সময়ে হোঁচট খেতে হয়নি।

তবে সব জেনে ফেলতেও যে ইচ্ছে হয় না। একটু রহস্যময়তা না হয় থাকুক প্রকৃতির কাছে...বিস্মিত হবো বারংবার!!

ভালো থাকুন। শুভকামনা অফুরন্ত!!

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: শিখা রহমান,



সত্যি বলতে কি, অনেকক্ষন ভেবেও আপনার এমন মন্তব্যের জবাবে কি বলা যায়, খুঁজে পাইনি!
মন্তব্যের প্রথম অংশের জবাবে "খুশি হয়েছি" বলবো; না কি বলবো- "কৃতজ্ঞ হয়ে রইলুম" ? প্রশংসার জোয়ারে ভেসে যাবার কথা বলবো নাকি শুধু "ধন্যবাদ" জানিয়ে যাবো?
নিজেরটা দিয়ে তো আর হবেনা তাই কবি নজরুলের কিছু কথা ধার করে বলি -- বিশ্বাস করুন আমি অসাধারন হতে আসিনি, আমি মন্তব্যের যাদুকর হতে আসিনি, আমি এসেছিলুম একঝাক মানুষের সঙ্গ পেতে, একদল ঝকঝকে লেখকের লেখায় নিজেকে মিলিয়ে দিতে।

ব্যাপারগুলো এমন সহজ করে বলেছেন যে পড়ার সময়ে হোঁচট খেতে হয়নি।
আমি যে জটিল করে কিছু লিখতে চাইনে! আমার সকল পাঠক যেন আমার লেখা সহজেই বুঝতে পারেন এমনটাই চাই। ব্লগে লিখতে পারাটা কঠিন কিছু নয়, কঠিন হলো আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন; তা। পাঠক যদি তা না-ই বোঝেন তবে লিখে কি লাভ ?

তবে সব জেনে ফেলতেও যে ইচ্ছে হয় না
জানার যে শেষ নেই...................

একটু রহস্যময়তা না হয় থাকুক প্রকৃতির কাছে...বিস্মিত হবো বারংবার!!
৩৩নং মন্তব্যে করা মলাসইলমুইনার কথাটির সুরই যেন বাজিয়ে গেলেন। তিনি মন্তব্যের শেষে বলেছেন - আর কি হবে শুধু “...চক্ষু মেলিয়া , ঘরের বাইরে দুইপা ফেলিয়া...সব দেখে ফেললে !” ?
তাকে যা বলেছি আপনাকেও বলছি তাই ---------- বাইরে দুইপা ফেলিয়া চক্ষু মেলিয়া আকাশ দেখিবেন, সেখানে দেখিবেন নক্ষত্ররাজী ছাইয়া রহিয়া আকাশের অন্ধকারকে কী আলো-আধারীতে স্বপ্নময় করিয়া রাখিয়াছে। তখন স্বপনের সেই দেশে পাড়ি দেবেন, দেখিবেন রহস্যের আদিঅন্ত নাই। রহস্য বিস্ময় হইয়াই রহিবে............................

শুভকামনা রইলো আপনার জন্যেও।

৩৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

আলোরিকা বলেছেন: কত অজানা রে ? পড়লাম এবং প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম । গবেষণা পরে হবে ;) এ জাতীয় বিষয়ে পড়তে , জানতে ভালই লাগে । ধন্যবাদ ভাইয়া । ভাল থাকুন :)

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: আলোরিকা,



অনেকদিন পরে দেখা দিলেন!
পড়েছেন আবার প্রিয়তে নিয়েও রেখেছেন জেনে ভালো লাগলো।
গবেষণা কি এখন শেষ হয়েছে ? রেজাল্টের অপেক্ষায়। :P

এ জাতীয় বিষয়ে পড়তে , জানতে ভালই লাগে আপনার তাই এই লিংক দুটি দিলুম----
রহস্যময় এক চাদর “দ্য তুরিন শ্রাউড” (X-file )

স্বপ্নে দেখা এক রাজকন্যে……“কোয়েলাকান্থ” দ্য ফিস আউট অব টাইম ।

যেখানেই থাকুন আপনিও ভালো থাকুন।
শুভেচ্ছান্তে।

৩৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২০

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার লেখা, এই নাজকা লাইন্স নিয়ে আগ্রহ ছিল; আপনার লেখা হতে অনেক কিছু জানলাম। কিন্তু যতই জানলাম, মাথা ততই চক্কর দিল রে ভাই। এই নাজকা লাইনগুলোর চেয়ে একে কেন্দ্র করে থিওরিগুলো আরও বেশী জটিল।

++++

লাইকের সহিত প্রিয়তে রইল।

ভাল থাকুন প্রিয় ব্লগার, সবসময়, প্রতিক্ষণ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: বোকা মানুষ বলতে চায়,



মাথায় চক্কর দেয়ার মতোই ব্যাপার স্যাপার। কেউ বলে এই, কেউ বলে ঐ। সে কথাই তো বলেছি - "পল কোসক সম্ভবত এ্‌ই জটিলতাকে আরও জটিল করে দিয়েছেন এই বলে - ৩১০ বর্গমাইল এলাকা জুড়ে থাকা নাজকা লাইন হলো “the largest astronomy book in the world” ।
যাবেন কই ?
লাইক ও প্রিয়তে নিয়েছেন জেনে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রাখছি।
ভাল থাকুন অনুক্ষন, আপনিও।

৩৮| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এরিক ফন দানিকেনের বেশ কয়েকটা বই পড়েছিলাম।
মুলত এই বইগুলোর মাধ্যমেই এসব দেখেছিলাম।
তবে এলিয়েনদের কাজ বলে মনে হয় না। দানিকেন অবস্য সেটাই মনে করেন।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী,



বৈজ্ঞানিক বিষয়ে বিশেষ করে "এলিয়েন" সম্পর্কে এরিখ ফন দেনিকেন এর বেশ অনেকগুলি বই রয়েছে। দেনিকেন সারা বিশ্ব ঘুরেছেন এবং গ্রহান্তরের আগন্তুকদের সম্পর্কে সংগ্রহ করেছেন এমন সব তথ্য-উপাত্ত যা অকাট্য বলেই মনে হবে।
গোগ্রাসে গেলার মতোই সব বিষয়! বাংলা অনুবাদে তার ৪খানা বইয়ের একটা সিরিজ পড়েছিলুম কলেজ জীবনে।
নাজকা লাইন সম্পর্কেও তাঁর ধারনা ঐসব গ্রহান্তরের আগন্তুকদের কাজ।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

৩৯| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪০

নজসু বলেছেন:



খুব আগ্রহ নিয়েই পড়েছি।
কিছু কিছু বিষয়ে মানুষে খুবই আগ্রহ থাকে।
একটা সাইটে পেরুর এই নাজকা লাইনস সম্পর্কে অনেকদিন আগে পাঠ করেছিলাম।
সেটাতে আপনার লেখার মতো এতো বিশদ আর এতো ছবি ছিলো না।
রেখাগুলি সত্যই রহস্যের এক আঁধার।

তথ্যবহুল পোষ্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৬

আহমেদ জী এস বলেছেন: নজসু ,



ভালো লাগলো আপনার আগ্রহ দেখে। চেষ্টা করেছি বিশদ করে লিখতে যাতে লেখার বিষয়বস্তুতে ফাঁকি না থাকে।
অনেক প্রাগৈতিহাসিক সভ্যতায়ও আপনি জ্যোতির্বিদ্যা আর সৃষ্টিত্ত্বের সংযোগে করা এরকমের কিম্ভুত কিমাকার রহস্যময় কাজ দেখতে পাবেন যেমনটা ইংল্যান্ডের ষ্টোনহেঞ্জ । কেবল ইংল্যান্ড বা পেরুই নয় ; এমন রহস্যময় রেখাচিত্র রয়েছে বলিভিয়া, চিলি, মিশর, মাল্টা, মিসিসিপি এবং ক্যালিফোর্নিয়া সহ নানান দেশে।

আপনার জন্যে এদু'টো-

The geoglyphs of the Atacama Desert in South America


Stretching from Syria to Saudi Arabia, thousands of ancient geoglyphs built from stone stretch across the desert plains. Known as the “works of old men”।

৪০| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০০

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আহমেদ ভাই, বেশ ব্যাস্ত, পড়বো পড়বো করে পড়তে পারলাম না । পরে আসতেছি।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: ধ্রুবক আলো,





আসুন, সময় করে আসলেই খুশি হবো।

৪১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯

জুন বলেছেন: আহমেদ জী এস,
আমাদের সময় প্রাইমারী স্কুলের লাইব্রেরীও অনেক সমৃদ্ধ ছিল। সে সময় আমাদের লাইব্রেরী থেকে নিয়ে পড়েছিলাম প্রিন্সিপ্যাল ইব্রাহিম খাঁঁ এর সংকলিত একটি বই নাম সুর্য্যি মামার রথে । বইটিতে সারা বিশ্বের প্রতিটি দেশের একটি করে উপকথা/ গল্প ছিল যা উনার অনুবাদ করা। আমার ক্ষুদ্র জীবনে বিস্ময় আর অত্যন্ত আনন্দ নিয়ে আসা সেই বইটিতে আমি প্রথম পড়েছিলাম রাপা নুই বা ইস্টার আইল্যান্ড দ্বীপের পাথর মানুষদের কথা।
এরপর আসে দানিকেনের বই। আমাদের বই পাগল পরিবারের( বাবা ও মায়ের পরিবারের) একজন সদস্যও বাদ ছিল না এই অদ্ভুত এক অলৌকিক বা অত্যাশ্চার্য্য বিষয় নিয়ে লেখা বইটি না পড়া তারপর এটি নিয়ে আলোচনা না করা।
এত বিশাল ভুমিকা দিলাম এই কারনে যে আমি যখন ব্লগে ইস্টার আইল্যান্ড ইষ্টার আইল্যান্ড এক অমীমাংসীত রহস্যে ঘেরা দ্বীপ নিয়ে লিখি তখন তথ্যের জন্য অনেক অনেক সুত্র নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে হয়েছিল কারন সেখানে তো আর আমি ভ্রমনে যাইনি :`>
সে সময় আমি এই নাজকা লাইন নিয়ে তথ্য দেখেছিলাম।এর মাঝে কিছু বাংলা লেখাও ছিল। তবে অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ভাবে সেই লেখা পড়ে বিষয়টি পরিস্ফুটিত হয়নি। অত্যন্ত জটিল ও রহস্যময় বিষয়টি আপনি যেমন সহজ ও সাবলীল ভাষায় লিখেছেন বা রহস্যের পর্দা উন্মোচন করতে চেষ্টা করেছেন তা সত্যি প্রশংসনীয়। এব্যাপারে কথা বলতে আরেকবার আসবো ।
ভালো থাকুন । শুভেচ্ছান্তে

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৪২

আহমেদ জী এস বলেছেন: জুন,



কোনও লেখার সাথে কি করে যে নিজেকে জড়িয়ে নিতে হয়, কি করে সেই লেখার সাথে তথ্য-উপাত্ত যোগ করতে হয় তা মনে হয় কেউ আর আপনার মতো করে পারবেনা। সেজন্যই তো বলি - আপনি হলেন ব্লগের চলতি রেডী রেফারেন্স (ব্লগপিডিয়া)।
এ লেখাতেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি, মন্তব্যখানি লেখার সাথে মিলেমিশে গেছে। নাজকা লাইনের রহস্যের মতো রহস্য করেই ইস্টার আইল্যান্ড প্রসঙ্গ এনেছেন সেই মেয়েবেলার প্রাইমারী স্কুলের লাইব্রেরীর সমৃদ্ধতার কথার মধ্যে দিয়ে।

সহজ ও সাবলীল ভাষায় লিখতেই চেষ্টা করেছি যাতে আমার পাঠকেরা সহজেই কিছু বুঝতে পারেন।

আবার কথা বলতে আসবেন বলেছেন, অপেক্ষায় রইলুম ।
শুভেচ্ছান্তে ।

৪২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৯

সোহানী বলেছেন: গতকালই অফিসে যেতে যেতে ট্রেনে বসে আপনার লিখাটা পড়ছিলাম। এতোটাই ডুবে গেছি যে আমার স্টপেজ এ নামতে ভুলেই গেছিলাম। শেষ মূহুর্তে দৈাড়ে নেমে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছি। ...হাহাহাহাহা (অফিস লেইট এর জন্য আপনি দায়ী হতেন নিশ্চিত... :P :P :P )

নাজকা লাইন নিয়ে শুধুমাত্র রহস্য হিসেবে ধারনা ছিল। কিন্তু আপনি এ কঠিন ও জটিল রহস্যকে সকল শাস্ত্র বিশ্লেষন সহ সাবলিলভাবে বর্ননা করেছেন জী ভাই স্টাইলে :-B :-B । বরাবরের মতই মুগ্ধ.................।

সকল মন্তব্য আর বিশেষ করে শায়মার সহজ সরল ব্যাখ্যাকে আমিও সমর্থন করি। সত্যিই তাই, যেহেতু কৃষি ও ভূমি ব্যবহারই ছিল মূল অথনীতি তাই পানি একটি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে মরুভূমির মতো স্থানে। সাথে ধর্ম বা দেবতাকে পূজা একটি কমন বিষয় নি:সন্দেহে।............ অাবার আসবো সবার আলোচনা ও আপনার অসাধারন প্রতিউত্তর পড়ার জন্য।

২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




এই সেরেছে! আর একটু হলেই তো আমার হয়েছিলো। :|
এরপরে সত্যি সত্যি অফিসে যেন লেট না হন, তাই ঠিক করেছি জী ভাই স্টাইলে আর লিখবোনা। :((
আপনার জন্যে আলাদা ভার্সনে লিখবো, ঐ যেমন পত্রিকার থাকেনা "সকালের সংস্করণ" , "সান্ধ্য সংস্করণ"; "অনলাইন সংস্করণ" তেমন করে - "সোহানী সংস্করণ"। :P

আপনি এ কঠিন ও জটিল রহস্যকে সকল শাস্ত্র বিশ্লেষন সহ সাবলিলভাবে বর্ননা করেছেন
আসলে আমি যে জটিল করে কিছু লিখতে চাইনে! আমার সকল পাঠক যেন আমার লেখা সহজেই বুঝতে পারেন এমনটাই চাই। ব্লগে লিখতে পারাটা হয়তো কঠিন কিছু নয়, কঠিন হলো আপনি কি বোঝাতে চাচ্ছেন; তা। পাঠক যদি তা না-ই বোঝেন তবে লিখে কি লাভ ? তাই জটিলতাকে পরিহার করতেই হয়।

আবার আসবেন বলেছেন, তা অফিসে লেট হবেনা তো ? :)

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছান্তে ।

৪৩| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:






নস্টালজিয়া হৃদয় উষ্ণ করে। পরান জুড়ায়! এই ব্যাপারটা অধিকাংশ ছোটবেলার সাথে মিলে যায়।
সী-বীচে আঁকা আলপনা সমুদ্রের জল ধুয়ে নিয়ে গেলেও মন খারাপ হয় না, যেন আরো মন চায় ধুয়ে নিয়ে যাক বারবার!

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫০

আহমেদ জী এস বলেছেন: কথাকথিকেথিকথন,




সী-বীচে আঁকা আলপনা সমুদ্রের জল ধুয়ে নিয়ে গেলেও মন খারাপ হয় না, যেন আরো মন চায় ধুয়ে নিয়ে যাক বারবার!
তাই কি! আমার তো মন খারাপ হয়ে যায়!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! :((

৪৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

ফেইরি টেলার বলেছেন: ভালো একটি ব্যাপার নিয়ে লিখেছেন । +++++++++

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: ফেইরি টেলার,




প্রথম এলেন আমার ব্লগে, স্বাগতম!
প্লাস দেয়া আর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

শুভেচ্ছান্তে।

৪৫| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩২

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো টপিক নিয়ে লিখেছেন। আমার কাছে অলৌকিক কিছু মনে হচ্ছে না (কোনোকিছুই কখনও মনে হয় না)। এটা নিয়ে আরো পড়বো।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: হাসান মাহবুব,




ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্যে।
আমিও কিন্তু অলৌকিক বলিনি, বলেছি - "অলৌকিক হয়তো বটে" অর্থাৎ সন্দেহজনক।
অলৌকিক মানেই তো, লোকাতীত বা মনুষ্যের পক্ষে বা মনুষ্যলোকে অসম্ভব । আমাদের সীমিত জ্ঞানে, মনুষ্যলোকে এই সব অনেক কিছুরই ব্যাখ্যা করা দুরূহ, রহস্যময় বলে মনে হয়। একদিন হয়তো মানুষের জ্ঞানের পরিধি বাড়বে তখন হয়তো এই রহস্য বুঝে ওঠা তেমন কঠিন কিছু হবেনা।

শুভেচ্ছান্তে।

৪৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

মিথী_মারজান বলেছেন: বাহ্!
দারুন তো!
একদমই জানা ছিল নাজকা লাইনস সম্পর্কে।
প্রতিটি প্রতিকৃতিই তো অর্থবহ মনেহচ্ছে।
আর রহস্যময় তো অবশ্যই।
আপাতত রহস্যগুলো সম্পূর্ণরূপে উদঘাটন করতে না পরলেও পোস্টটি পড়েই বেশ রোমাঞ্চিত হলাম আমরা পাঠকেরা।
খুবই সুন্দরএকটা পোস্ট।
অনেক ধন্যবাদ আমাদেরকে খানিকটা সময়ের জন্য রহস্যময় ভাবনায় মাতিয়ে রাখার জন্য।:)


০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: মিথী_মারজান,



বেশ কিছুদিন পরে এলেন । ধন্যবাদ এসেই মন্তব্য করার জন্যে।
নিজের মতো করে চেষ্টা করেছি রহস্য বজায় রেখে রোমাঞ্চকর করে তুলতে। তা যে আপনাদের রোমাঞ্চিত করতে পেরেছে, জেনে ভালো লাগলো।
শুভেচ্ছান্তে।

৪৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৩৯

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:



পৃথিবীর কত কিছু জানিনা ।

আরো পড়াশুনা করতে হবে ।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২০

আহমেদ জী এস বলেছেন: অপু দ্যা গ্রেট,




শুধু আপনি একা কেন, আমরা নিজেরাও অনেক কিছু জানিনে!
এটা ঠিক বলেছেন, জানতে হলে আরো পড়াশুনা করতে হবে। আসলে জ্ঞান অর্জনের জন্যে পড়ার কোনও বিকল্প নেই।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

৪৮| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

অন্তরন্তর বলেছেন: নাজকা লাইনস নিয়ে অনবদ্ধ পোস্ট। আসলে এত বিস্তারিতভাবে জানতাম না নাজকা লাইনস নিয়ে। কতজনের কত মত ছিল, আছে অথবা থাকবে বলেই কিছু কিছু জিনিস মিস্ত্রী থাকাই ভাল বলে আমি মনে করি। তানাহলে ঐ জিনিসের প্রতি আগ্রহ কমে যায়। খুব সুন্দর পোস্টের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভ কামনা নিরন্তর।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: অন্তরন্তর,



লেখাটি পড়া ও মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
ব্লগের স্বল্প জায়গাতে যতোখানি সম্ভব বিস্তারিত জানাতে চেষ্টা করেছি। আপনার তা ভালো লাগায় প্রচেষ্টা অনেকটা সার্থক বলে মনে হলো।
আপনার জন্যেও নিরন্তর শুভ কামনা।

৪৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অাপনার অত্যন্ত অত্যন্ত তথ্যবহুল লেখাটা পড়লাম। এটার সম্পর্কে প্রথম পড়েছিলাম সেবা প্রকাশণীর বই ''ভিণগ্রহের মানুষ, রহস্য'' বা ''ভিণগ্রহের মানুষ, প্রমান'' বইতে।
এখানেও হাইপোথিসিসের অভাব নাই। তবে, বরাবরের মতোই আমার মনে হয়, সবই সত্যি।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,



মন্তব্যে ভালোলাগা।
এখন পর্যন্ত হাইপোথিসিসগুলো নিয়ে নাড়াচাড়া করা ছাড়া আমাদের উপায় নেই। এ যাবৎকাল পর্যন্ত মানুষের লব্ধ জ্ঞান অনেক রহস্যেরই কিনারা করতে পারেনি হয়তো কিন্তু দিনকে দিন বিজ্ঞানের প্রসার আরো বাড়বে, বাড়বে মানুষের নতুন জ্ঞানচোখ। সে পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতেই হবে।

শুভেচ্ছান্তে।

৫০| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার অজ্ঞতার জন্য লজ্জা পাচ্ছি, তবুও বলতে দ্বিধা করছি না যে নাজকা লাইনস সম্পর্কে আপনার এ পোস্ট পড়ার আগে পর্যন্ত তেমন কিছুই জানতাম না। আপনার প্রাঞ্জল বর্ণনা, দুষ্প্রাপ্য ছবি সংযোগ এবং ছবিগুলোর বোধগম্য ব্যাখ্যার কারণে এ পোস্টটা খুবই সুপাঠ্য এবং উপভোগ্য হয়েছে।
পোস্টের শেষে বোল্ড করা আপনার কথাগুলোর সাথে একমত। ভাল বলেছেন।
১৩ ও ২০ নং মন্তব্যের জন্য মন্তব্যকারীদ্বয়কে ধন্যবাদ এবং চমৎকার উত্তর দেয়ার জন্য আপনাকেও ততোধিক ধন্যবাদ।
পোস্টে প্লাস + +

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩১

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




হা...হা.....হা....... আপনার কি ধারনা একজন মানুষ সব কিছুই কি জানবে? নাকি প্রয়োজন আছে ? আপনি যা জানেন হয়তো আমি তার আধেকটাও জানিনে। তেমনি 'তিনি' যা জানেন তা হয়তো আপনিও জানেন না।
এই না জানাকে কেউ জানিয়ে দিয়ে আর কেউ তা জেনে নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যায় সভ্যতাকে। মানুষ একে অপরের পরিপূরক, একাকী কেউই স্বয়ংস্পূর্ণ নয়।
আমি চেষ্টা করি এ জাতীয় লেখাগুলোকে প্রাঞ্জল করে তুলতে যাতে পাঠক অবোধ্য কিছুর মুখোমুখি না পড়েন, তিনি আগ্রহ হারিয়ে না ফেলেন।
পোস্টে লাইক ও প্লাস দেয়াতে কৃতজ্ঞ।

৫১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৭

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:






হা হা! তখন ভেবে নিবেন মনের সব দুঃখ, ক্লেদ, আগলি গুলো যেন ধুয়ে নিয়ে যাচ্ছে! তখন ভাল লাগবে।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: কথাকথিকেথিকথন,




সেগুলো মনের সৈকতে দাগ রেখে যাওয়া দুঃখ, ক্লেদ। সী-বীচে আঁকা আলপনা নয়!

৫২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০০

খায়রুল আহসান বলেছেন: মলাসইলমুইনা, শিখা রহমান, শায়মা, জুন আর সোহানী - এদের মন্তব্যগুলো ভাল লেগেছে, আপনার উত্তরগুলো সহ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: খায়রুল আহসান,




আবার ফিরে আসায় ধন্যবাদ।
হ্যাঁ, এরা সবাই ভালো ভালো মন্তব্য করেছেন আর আমি যতোদূর পেরেছি তার যোগ্য প্রতিউত্তর দিতে; এই আর কি!

৫৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:১৩

সোহানী বলেছেন: "সোহানী সংস্করণ"............... হায় আল্লাহ্ এ জীবনে আর কত নতুন নতুন আইডিয়া যে পাবো !!!!!!!!!!!!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,



হুমমমমমমমমমমম আইডিয়া যে কতো রকমের হতে পারে তা মনে হয় এবার বুঝলেন!
আর একটা আইডিয়া দিচ্ছি -
এরপর থেকে জী ভাইয়ের পোস্ট পড়ার আগের দিন ঘড়ির সময়টা একঘন্টা-দু'ঘন্টা এগিয়ে নিন, অফিস লেটের কোনও চান্স পাবেন না... ;) :#)

৫৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া, ঘর হতে দু পা ফেলিয়া! পৃথিবীর রহস্যই এখনওঁ সব উতঘাটন হলো না, মহাশুন্য তোঁ এখনও বহুক্রোশ দূরে!
এখানে একটা কথা বলি, এলিয়েন আদৌ আমার বিশ্বাস হয় না। এগুলো কাকতালীয় ভাবে প্রকৃতির কাজ হবে।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: ধ্রুবক আলো,




ঠিক বলেছেন, পৃথিবীর রহস্যই এখনওঁ সব উতঘাটন হলো না, মহাশুন্য তোঁ এখনও বহুক্রোশ দূরে!
আসলেই এখন পর্যন্ত মানুষের লব্ধ জ্ঞান অনেক কিছুরই সমাধানের জন্যে যথেষ্ঠ নয় যদিও মানুষ মাত্র ১১৫ বছরের ভেতরেই মহাকাশের দিকে ছুটে চলার মতো জ্ঞান অর্জন করেছে । তার এই অর্জন বিস্ময়কর। আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে সূর্য্যের কাছাকাছি গিয়ে তার সদর দরজায় উঁকি দেবে, এমন প্রযুক্তিও মানুষের হাতের মুঠোয় এখন। লক্ষ লক্ষ তারকাপুঞ্জের নির্ঘন্ট বানিয়ে ফেলছে মানুষ এর মধ্যেই। মানুষ তাই আশাবাদী, দিন দিন তার জ্ঞানের পরিধি বেড়ে যাবে। অনেক অলৌকিক ঘটনার পেছনের কারনও সে বের করে আনবে একদিন।

নাজকা লাইনের মতো বিষয়গুলো হয়তো ভীনগ্রহবাসীদের নয়! কিন্তু কে বলতে পারে ভীন গ্রহবাসী বলে কিছু নেই? শুধুমাত্র আমাদের মিল্কিওয়ে নক্ষত্রপুঞ্জে (গ্যালাক্সী) আনুমানিক যে ৪০ হাযার কোটি নক্ষত্র রয়েছে, সেখানে ১কোটি নক্ষত্রের মধ্যে যদি একটাতেও সূর্য্যের মতো গ্রহ এবং তাতে প্রান থাকে তবে আমাদের এই মিল্কিওয়ে নক্ষত্রপুঞ্জেই প্রানের সম্ভাবনা রয়েছে ৪০হাযার। অবাক হবার মতোই! আর বিশ্বব্রহ্মান্ডের কথা না হয় বাদই দিলুম।

ভেবে দেখতে পারেন।

৫৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ ভোর ৬:২৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: বছর দুয়েক আগে Mail online এ প্রকাশিত একটি সচিত্র বৈজ্ঞানিক ফিচারে দেখেছিলাম যার মুল কথা ছিল অবশেষে নাজকা গুহার রহস্য বা পাজল এর সমাধান পাওয়া গেছে , সেটি নাকি সফিসটিকেটেড ইরিগেশনের জন্য ব্যবহৃত হতো ।
সচিত্র বিবরণীটিতে আরো বলা হয়েছিল বলা হয়েছিল স্যটেলাইট ধারণকৃত তথ্য উপাত্ত ও চিত্র বিশ্লেষন করে দেখা যায় যে ঐ গুলি এখনো নাকি সেখানকার কিছু এলাকায় সেচ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ।

আমার মতে শায়মাপুর বিশ্লেষনই সঠিক । আপনার পোষ্টে দেয়া ভুগর্ভ হতে মাটি খুরে জল বের করার জন্য চক্রাকারে গর্ত খুরে ফ্লানেল তৈরী করে সেখান হতে পানি আহরন করে ঐ মরু অচ্ঞলে কৃষিকাজে জল সেচের ব্যবহারাবলীই বহুলভাবে নির্দেশ করে

জল প্রাত্তির জন্য পাথরের গাথুনী ব্যবহার করে যে সমস্ত পথ পরিক্রমা তৈরী করে জলের উৎসে পৌঁছানো হতো ও সেখান হতে যে উপায়ে জলকে সেচের জন্য কৃষিভুমিতে নেয়া হতো সেগুলির গভীর গতিপথগুলিই মনে হয় অংকন শিল্লির নিখুত হাতের টানা শিল্পের মতই পরিপুষ্ট হয়ে পরিচিত প্রকৃতি, জীব জন্তু ,পশু পাখী ও মানবের আকৃতি পেয়ে যেতো । জলসেচের কারণে পানি প্রবাহজনীত ভুপ্রাকৃতিক গঠন বিশেষ করে চন্দ্র সুর্যের প্রভাবের বিষয়গুলিকে আমলে নিয়ে ভুগর্ভ হতে জল আহরন ও বিতরনের পথ পরিক্রমা রচিত হতো বলে এদের গতিপথ ও নিশানা আপনার পোষ্টের বর্ণনার মত একটি বিশেষ দিকে প্রবাহিত বলেই মনে হয় ।

নাজকা লাইনের এই অপুর্ব রেখচিত্রের বিষয়গুলিকে সুস্দরভাবে বিবরনসহ সচিত্র আমাদের কাছে তুলে ধরে এ বিষয়ে বিস্তারিত আরো অনেক বিষয় জানতে সহায়তা করার জন্য ধন্যবাদ । পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।

শুভেচ্ছা রইল

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪১

আহমেদ জী এস বলেছেন: ডঃ এম এ আলী,



অনেকদিন পরে আপনাকে দেখে ভালো লাগলো। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যখানিও।

মনে হয়, নাজকার ঐ লাইনগুলো সম্ভবত প্রায় বৃষ্টিপাতহীন এক প্রান্তরের মানুষজনের ফসল ফলানোর প্রয়োজনে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বৃষ্টির জল ধরার অপ্রশস্ত নালা জাতীয় কিছু এবং একই সাথে সে নালা দেবতাদের উপসনায় ব্যবহৃত শাস্ত্রীয় সংস্কারের "অং - বং" চিহ্ণের আদলে কাটা হয়েছে যাতে বৃষ্টির দেবতা তুষ্ট থাকেন । আর বিশালাকৃতি দেয়া হয়েছে একারনে যে দেবতারা আকাশ থেকে যেন এসব নৈবেদ্য দেখতে পান।
শায়মা একেবারে খারাপ বলেন নি। তার মতো ব্যাখ্যা গবেষকরাও অনেকে দিয়েছেন। সেকথাও আমি এই লেখায় বলেছি।

লেখাটি প্রিয়তে নেয়ার জন্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন প্রতিদিন এবং সুস্থ্য।
শুভেচ্ছান্তে।

৫৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:১৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: পিরামিড তৈরীসহ বিভিন্ন প্রাচীন সভ্যতার "কিছু কিছু" মিথ আছে যে, মানুষের চেয়েও জ্ঞ্যানী ভিনগ্রহ বাসীদের অস্তত্ব আছে।। সেটাই কি আবা ফিরে আসছে?? কারন ঐসব প্রশ্নের জবাব (আমি) পাই নি।। এটাও কি সে রকম কিছু??

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সচেতনহ্যাপী,




ঐ সব প্রশ্নের ঠিকঠাক জবাব দেয়ার মতো প্রযুক্তিগত জ্ঞান এখনও আমাদের হাতে নেই, আমরা অনুমান করি শুধু আর তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকি। একটা কিছু বলে ভাবি, যথেষ্ট হয়েছে গবেষনা, আর কিছু তলিয়ে দেখার নেই!
এরিক ফন দেনিকেন বা জ্যাকারিয়ার (Zecharia Sitchin ) লেখা বই নেট থেকে দেখে নিতে পারেন। চিন্তার খোরাক পাবেন।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

৫৭| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০০

ইসিয়াক বলেছেন: আপনা‌কে ধন্যবাদ ও বিজয় দিব‌সের শু‌ভেচ্ছা

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ইসিয়াক,



আমার ব্লগে স্বাগতম।
বিজয়ের এই আনন্দে আপনাকেও শুভেচ্ছা।

৫৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪৪

ফয়সাল রকি বলেছেন: নতুন একটা বিষয় জানলাম, ধন্যবাদ।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: ফয়সাল রকি,



আপনাকে জানাতে পেরে লেখাটি মনে হয় সার্থক হলো।

মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছান্তে।

৫৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২

নীলপরি বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট । এই বিষয় সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। খুব ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে স্যর।

শুভকামনা

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: নীলপরি,



কতো যে রহস্য ছড়িয়ে আছে পৃথিবীর পথে পথে, আপনাকে তার খানিকটা জানাতে পেরেছি জেনে ভালো লাগলো।

শুভকামনা রইলো আপনার জন্যেও।

৬০| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৪

চিত্রাভ বলেছেন: বিচিত্র খবর চিত্তচমৎকরণ --- পাঠে হইল মনন, দেশ ও আকাশমন্ডল ।

"আমি কবি তর্ক নাহি জানি,
এ বিশ্বেরে দেখি সমগ্র স্বরুপে --
লক্ষ কোটি গ্রহ তারা আকাশে আকাশে
বহন করিয়া চলে প্রকান্ড সুষমা,
- - - - - - - -
- -- - - - - - "।
(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

হয়তো পেরু মাটি, আকাশ, তারায় তারায় সুষমা অনুভব করেছিল এবং দেখেছিল । আপনার লেখাকে তারিফ দিয়ে ভাললাগা বোঝান কমই হয়ে যায়, শুভেচ্ছা নিন ।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২১

আহমেদ জী এস বলেছেন: চিত্রাভ,



একটা চিত্তচমৎকরণ মন্তব্য নয়, একটা চিত্র এঁকে গেলেন যেন সৃষ্টির!

আমার ব্লগে প্রথম এলেন, সুস্বাগতম।
মন্তব্যে প্লাস +++++

"...... লক্ষ কোটি গ্রহ তারা আকাশে আকাশে
বহন করিয়া চলে প্রকান্ড সুষমা,"

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এটুকু দেখেই লক্ষ কোটি তারাদের দেখে দেখে আঁখি না ফেরার গল্প দিলুম এখানে --
“মাগো, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফেরে ১ম পর্ব

“মাগো, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফেরে .....” ২য় পর্ব

“মাগো, তোমায় দেখে দেখে আঁখি না ফেরে

শুভেচ্ছান্তে ।

৬১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৪০

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: নাজকা লাইন নিয়ে অনেক আগ্রহ ছিল। ইংরেজি লেখাগুলো পড়ে তেমন আরাম পাইনি। বাংলা তথ্যবহুল লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ স্যার।

০৩ রা মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:২২

আহমেদ জী এস বলেছেন: স্বপ্নবাজ সৌরভ,




আপনার আগ্রহ অনেকটাই মিটেছে জেনে ভালো লাগলো।

ভালো থাকুন। শুভেচ্ছান্তে।

৬২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

শের শায়রী বলেছেন: নাজকা লাইন নিয়ে সেই ছোট বেলায় সেবার ভিনগ্রহের আগন্তুক এবং রহস্যে পড়ছিলাম, পড়ে দানিকেনের বইতে। দারুন মুগ্ধ পাঠ। লেখাটি আমি আমার পছন্দের কালেকশান শের শায়রীর রহস্যের দুনিয়ায় স্বাগতম এ যোগ দিলাম ভাই।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৪০

আহমেদ জী এস বলেছেন: শের শায়রী,




লেখাটি নিজে এসে দেখে গিয়ে করা এই মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
আর লেখাটি আপনার সংগ্রহে রেখে কৃতজ্ঞ করে রাখলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.